এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  সিনেমা

  • শহরের চৌকাঠে সিনেমা

    প্রগতি চট্টোপাধ্যায়
    আলোচনা | সিনেমা | ০২ মার্চ ২০০৮ | ৯৪৪ বার পঠিত
  • উঠোন
    --------
    তিরুবনন্তপুরমের চৌকাঠে সিনেমা পা রাখে ডিসেম্বরে। ডিসেম্বর মাসে এখানে শীতলহরের প্রচ্ছায়াতেও আসে না শহর। মৌসুমী বৃষ্টির পরে সুতীব্র নীল আকাশ আর উষ্ণ সূর্যতাপে দিনগুলি ক্ষয়ে যায়। আবারও, এই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি-ই, সিনেমার উৎসব আসে শহরে। এবারের বারোতম ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অফ কেরালা'র নির্ধারিত দিনগুলি ছিলো সাত থেকে চোদ্দই ডিসেম্বর।

    কেরালা স্টেট চলচ্চিত্র আকাদেমি এই উৎসবের উদ্যোক্তা। বারো বছরে এই বাৎসরিক সিনেমা-সপ্তাহ উৎযাপনের একটি ঋজু আলেখ্য কিছুটা পরিস্ফুট হতে পেরেছে। সরকার এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক, কমিটিতে থাকেন কবি-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক, ভাব ও কন্টেন্টগত দিক থেকে হঠাৎ করে দরিদ্র হয়ে যাওয়া মেনস্ট্রিম মলয়ালম সিনেমার অনেক কলাকুশলী। কিছু যাদুমন্ত্রবশত, এই উৎসবটি সরকারী তেজ ও নোংরা ন্যাতার মতন রাজনীতির জলস্পর্শ বাঁচিয়ে শুদ্ধ থাকতে চেষ্টা করে যার। স্বীকৃত বুদ্ধিজীবীদের আত্মরতি খুব একটা থাকে না। আমার মতন সাধারণ দর্শক নিরুপদ্রবে সিনেমা দ্যাখেন। এই সব ছোটো খাটো চমৎকারিত্বের জন্যই কেরালার এই ফিল্ম- উৎসব শিরদাঁড়া উঁচু করে দাঁড়াতে শিখে গেছে। বিদেশী প্রতিনিধি থেকে দেশী সিনেমাপ্রিয় মানুষ, আর অতি সাধারণ মলয়ালী দর্শকের কাছে উৎসবটি এই কারণে সম্মাননীয়। এই ছোটো শহরের সিনেমা হলগুলির শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট করুণ। আর, মলয়ালী সমাজের পূর্বপ্রোথিত আইকনগুলির প্রতি স্ফটিক-কঠিন মধ্যবিত্ত রক্ষণশীলতা এবং সাংস্কৃতিক ভুমিখণ্ডটিতে ক্রমাগত কিছু খেলো, অন্ত:সারবিহীন বীজ-- যেমন টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো, ট্যালেন্ট শো, বেবাক-বোকা সিরিয়াল ইত্যাদি বপন করে যাওয়ার চেষ্টার মধ্যে এই ফিল্ম ফেস্টিভাল একপাত্র 'এলা-নীর' ( মলয়ালমে, ডাবের জল )।

    বারো বছরে উৎসবের কাঠামোর অদল-বদল হয়েছে। এখন অনেক বেশী ছবি আসছে। অনেক আগে থাকতেই ( ধরুন সত্তর-আশির দশক) কেরালার জেলা শহরে, আধা-মফস্‌সলে ফিল্ম সোসাইটি তৈরি করার একটা চেষ্টা ছিলো। তাতে অনেক সুফল ফলেছিলো। খোলা আকাশের নীচে বসে দূর-গ্রাম, নগণ্য জনপদের কিশোর-তরুণেরা ( কিশোরী- তরুণীরা কিন্তু মোটেই তেমন নয়! ) সাব-টাইটেল-বিহীন 'মেঘে ঢাকা তারা ', বা 'পথের পাঁচালি ' দেখেছে -- এমনই শুনেছি। নব্বই-এর দশক থেকে মলয়ালী তরুণসমাজ সিরিয়াস সিনেমা থেকে যথেষ্টই বিচ্যুত হয়েছে। কিন্তু পঁয়তিরিশ-উর্ধ্বদের মধ্যে এখনও রয়ে গেছে ভিশ্যুয়াল তীব্রতায় আর ভিন্নরকম কাহিনীতে চোরাটান। এখনও বহু মানুষ আছেন যারা উত্তর কেরালা থেকে ফিল্ম ফেস্টিভালে আসেন, দশ-বারো ঘন্টার দূরত্ব পেরিয়ে। সেদিক থেকে ঐঊঊঔ , ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভাল অফ কেরালা, যথেষ্ট সম্ভ্রম আদায় করে। তিনশো টাকায় যে কেউ পেতে পারে ডেলিগেট পাস, ছাত্রদের একশো টাকা ছাড়। এবারে ডেলিগেট পাসের সঙ্গে হাতে এলো চমৎকার কাগজে ছাপানো উৎসব-সম্বলিত তিনশো আঠেরো পাতার একটি পুস্তিকা , যাতে সবগুলি ছবির বিষয়ে তথ্য সাজানো রয়েছে।

    এই হল উঠোন।
    আর এই উঠোনটি পেরিয়েই শহরের চৌকাঠে পা রাখে সিনেমা।

    সিনেমা-বাউল না-হওয়ার জন্য
    --------------------------

    আমি সিনেমা-বাউল নই। (কখনও কি হব?)
    একটি সপ্তাহের রুটিনে সকাল ন'টা থেকে রাত্রি সাড়ে এগারোটা- বারোটা পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো পূর্ণদৈর্ঘ্য-স্বল্পদৈঘ্য-ফিচার-ডকু-ওপন ফোরাম-সেমিনারে তেমন ভাবে মগ্ন হতে পারিনি। খুব কম সিনেমা দেখেছি, খুঁটে খুঁটে; আন্তর্জাতিক উৎসবগুলির প্রশংসারেণু মেখে আসা নামী পরিচালকের কাজ না দেখে এমনই ঢুকে পড়েছি এলোমেলো ভাবে, ভিড় বাঁচিয়ে সিটে বসে পড়েছি। এই জন্য অনেক ভালো সিনেমা বাদ গেছে। এর মধ্যে, স্বচ্ছ, প্রসাধনহীন ডকুমেন্টারী থেকে উদ্বোধনী ছবি, উনিশ বছরের হানা মখমলবাফের , 'বুদ্ধ কোল্যাপ্সড্‌ আউট অফ শেম'। ( Buddha Collapsed out of Shame -- Hanna Makhmalbaf Iran/Persian/Colour/81'/2007 ) কেরালা-উৎসবে এই ডেব্যু ফিচারটি যথেষ্ট আলোচিত,নন্দিত। তালিবানের কদাচারে ধুলো হয়ে যাওয়া বামিয়ান-বুদ্ধের গ্রামের ছয় বছরের বালিকা 'বক্তের-'র স্লেট-পেন্সিল হাতে তুলে নেওয়ার ইচ্ছের সঙ্গে একটি পক্ষীডানা জোড়ার, এবং এই পক্ষীডানাটিকে গ্রামের বালকদের দ্বারা মুচড়ে দেওয়ার কাহিনী। গুঁড়িয়ে যাওয়া বুদ্ধের মতন বালিকাটিও ক্লেশে ধ্বস্ত হয়। এই ছবি দেখিনি বলে অনেক আক্ষেপ আমার। প্রতিযোগিতায় আসা চোদ্দোটি ফিল্মের দিকে লুব্ধ চোখে তাকাই; তাদের পরিচয়-লিপি পড়ে পড়ে মুখস্থ করি। এই সব ছবি-ই ২০০৬-৭ এ তৈরি, তাই এদের দেখলেই বর্তমানের ভাবনার রেখাকৃতির সম্মুখীন হব, এমন ভুল-ভাবনায় জড়িয়ে পড়ি-- আবারও বাদ দিয়ে ফেলি অনেক 'ভালো সিনেমা', এছাড়া জিরি মেনজেল, পেদ্রো আলমোদোভারের রেত্রোস্পেকটিভ। এবারের প্রতিযোগিতায় আসা অনেক সিনেমায় মনে হয়েছে, প্রথম কয়েকটি রীলের ঘনপিনদ্ধ প্রত্যাশা পরের দিকে পিঁজে যাচ্ছিল।
    এমন একটি :
    'স্যুলি ইন দ্য স্কাই' ( `A Ceu de Suely / Brazil / 90'/ 2007/ ) : পরিচালক আমিন আইনজ।
    সাও পাউলো থেকে গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসে আরমিলা গেদেস। ছ'মাসের ছেলে কোলে। বরের ঠিক-ঠিকানা নেই, পয়সা-কড়ি নেই। গ্রামের বাড়ীতে দিদিমা আর মাসী। প্রথম দিকের নীল আর কাঁচা হলুদ রঙে চোবানো ফ্রেমে হাইওয়ের ধারে দাঁড়ানো হারমিলার গ্রাম, কোনোক্রমে অস্তিত্ব বয়ে নিয়ে চলা গ্রামের মানুষ, লাতিন-আমেরিকীয় আন্তরিক পরিবারসূত্রগুলি -- ইত্যাদি মিলিয়ে-মিশিয়ে খানিকটা মনোযোগ ধরে রাখলেও মধ্যপথে সব কিছু কার্যকারণহীন হয়ে পড়ে। জীবনধারণের তাগিদে হারমিলার শরীর বিক্রীর প্রতিদিনের রুটিন, এবং একদিন শিশুটিকে ফেলে রেখে আবার অন্য শহরের খোঁজে দূরপাল্লার বাস-ধরার বিন্যাসটি ঠিক পরিষ্কার হয় নি আমার কাছে।

    এবারে প্রতিযোগিতায় ছবি রেখেছিলেন অডুর গোপালকৃষ্ণণ।
    "নালু পেন্নঙ্গল'-- ( Four Women / India / Malayalam /105' / 2007/ ) সত্তর বছরের অডুর নিশ্চিতভাবেই তাঁর শিল্পকলার স্বর্ণসময় পেরিয়ে এসেছেন। সত্তর-আশির দশকের "এলিপাথায়ম' ( Mouse Trap) , 'মুখামুখম' ( Face to Face ), 'কোডিয়েট্টম' ( The Ascent ) প্রভৃতির ভিন্টেজ অডুরকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। গত এক দশকের করা তাঁর সিনেমা তেমন টানেনি। এবারের 'ফোর উইমেন' কিছুটা হলেও, ভিন্নতর। চার সময়ের চার মেয়ের গল্প বলার মধ্যে সরলতা, সহমর্মিতা আছে। চল্লিশের দশক থেকে চারটি গল্প এক এক করে নেমে আসে শেষ- ষাটে। দ্বিতীয় গল্পের সদ্য-বিবাহিতা মেয়েটি স্বামীর নিরুচ্চার অবহেলায় ফুরিয়ে যাবার আগেই বাপের বাড়ী এসে কৃষি-শ্রমিকের কাজ নেয়। চতুর্থ গল্পের মেয়েটি, কামাক্ষী-- তার বিবাহের বেলা গড়িয়ে যায় , সামাজিক কটাক্ষ- অবহেলা সামলে নিয়ে সে নিজের জমি খুঁজে নিতে চায়। এই মেয়ের চরিত্রে নন্দিতা দাস বেশ ভালো, অ-মলয়ালী-জনিত একটু আলগা আড়ষ্টতা সত্ত্বেও।
    চার মেয়েই সময়ের নৌকার বয়েছেন, এলোমেলো স্রোতে বৈঠা হাতে নিয়েছেন।

    প্রতিযোগিতার ছবির টানে দেখে ফেলি আর্জেন্তিনার, ' XXY' , ( XXY / Argentina / 91' / 2007/ ) -- পরিচালক লুসিয়া পুয়েনজো ভিন্নতর যৌনতার প্রশ্ন নিয়ে ছবি বানিয়েছেন। বছর পনেরোর অ্যালেক্সের জীবকোষে শুধু মাত্র XX -ই নেই, আছে একটি Y -কণা, যা তাকে ভিন্নতর যৌনতার তুমুল বিভ্রমের মধ্যে নিয়ে যেতে থাকে। তার বাবা-মা তাকে সমাজের কটূ-কৌতুহল থেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান, তবুও উৎকট সামাজিক কৌতূহল তার বস্ত্র নামিয়ে দেখতে চায় তার ' Y '-এর চিহ্নবস্তুটিকে।
    খুব ভালো সিনেমা। উরুগুয়ান সমুদ্রতটের গভীর উদাসীনতা, ছাই রঙের কালার প্যালেট, কোঁকড়া চুলে ছাওয়া অ্যালেক্সের মুখ, খুব ভালো তুলেছে ক্যামেরা।
    এই ছবিটি, যুগ্মভাবে ইরানের ছবি ' ১০+৪' ( পরিচালক মানিয়া আকবরী, দেখিনি এই ছবিটি ) এর সঙ্গে উৎসবের প্রথম পুরস্কার , 'সুবর্ণ চকোরম'-প্রাপ্ত।

    উৎসবের মহাজনেরা
    ----------------------

    চিলে-র মিগেল লিতিন :
    আপনি ছিলেন উৎসবের প্রধান অতিথি। আগেও একবার এসেছেন। উদ্ধৃত করলেন পাবলো নেরুদা-র কবিতার লাইন , " Those who have returned, had never really left" . উৎসবের খবর/ট্রিভিয়া নিয়ে উৎসব-কমিটির প্রকাশিত বুলেটিন, যা গোছা-ভরে থাকতো সিনেমা হলগুলির বাইরে, তাতে আপনি লিখেছেন, " Cinema is a form which unites all the villages of the world." পৃথিবীর গ্রামগুলি সরু-সরু আলপথ দিয়ে জোড়া, আর সিনিওর লিতিন, আপনারা যারা 'লাস্ট মুনের' মত সিনেমা বানান, ঐ আলপথগুলির ঠিকানা খোঁজার উপায় বলেন, আর আমরাও এক-গাঁয়ের জামতলা থেকে অন্য গাঁয়ের ইস্কুল-মাঠে পৌছে যাই।

    জাফর পানাহি :
    আপনি উৎসবের অন্যতম জুরি-মেম্বার। গত এক-দেড় দশকের ইরানীয় 'ন্যুভেল ভাগের' সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। ইরান-সরকারের সঙ্গে ক্রুসেড লড়ে-লড়ে 'দায়েরে', 'হোয়াইট বেলুন', 'অফ-সাইড'-এর মত সিনেমা বানান। এবারের উৎসব চলাকালীন ইরান থেকে আপনার কাছে একটি অতি ক্লেশকর খবর এসে পৌছয়, আপনার তরুণী মেয়েটিকে ড্রেস-কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ-হেফাজতে সাত-আট ঘন্টা কাটাতে হয়েছে।
    জাফর পানাহি, সবাই জানেন আপনার সিনেমা থামবে না।

    মার্জিনের ঐপাশে
    -------------------

    মার্জিনে রাখা সিনেমায় সঙ্গতভাবেই ঢুকে পড়ে রাজনীতি/যৌনতা/ শিল্পের ভিন্নরুপী ন্যারেটিভ। এবারে, " Cinema of/at the Margins" নিয়ে একটি আলোচনা ছিলো। মিগেল লিতিন ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন শ্রীধর রঙ্গায়ন, যাঁর অল্টারনেটিভ সেক্সুয়ালিটির ছবি এবারে দেখানও হল ( Sixty Eight Pages/ India/ Colour/ 92'/2007 )। Queer/Underground ফিল্মমেকার হিসেবে শ্রীধর নিজেকে 'মার্জিনে দাঁড়ানো শিল্পী' মনে করেন। একই ধরণের বিকল্প যৌনতার সিনেমা শ্রীধর আরও করেছেন, যেমন --'পিঙ্ক মিরর', 'ইওর্স ইমোশানালি'। আলোচনায় লিতিন বললেন, তিনি বিশ্বাস করেন ভিন্নতর সিনেমা-আখ্যানের ক্ষেত্রে এই আরোপিত মার্জিত-রেখাটি একদিন অবলুপ্ত হয়ে যাবে।
    কিন্তু কতদিনে?

    বলকান ব্লুজ
    -------------

    নব্বই-এর দশক থেকে ইয়োরোপের বলকানে যে রাজনৈতিক মানচিত্রের বদল ঘটছে, তার প্রক্রিয়া এখনও থামেনি। সম্প্রতি আরেকটি দেশের জন্ম হয়েছে সেখানে, কসোভো। যুদ্ধ, হন্যমান রাজনীতি, কয়েক লক্ষ নাগরিকের বিনষ্ট ভবিষ্যতের অন্তর্লীন বিষাদে ছেয়ে আছে পূর্বের ভেঙ্গে যাওয়া যুগোস্লাভিয়া থেকে বেরিয়ে আসা সার্বিয়া, মন্টেনেগ্রো, স্লোভানিয়া , স্লোভেকিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া-হার্সেগোভিনা, ম্যাসিডোনিয়া...
    বলকান দেশগুলির একগুচ্ছ সিনেমা ছিলো এবারের উৎসবে। সবাই এই ছবিগুলির কথা বারবার বলেছেন।
    একটি লিস্টি নিচে রাখা গেল।
    Mirage
    Mecedonia /Macedonian/ Colour/104'/2004.
    Director: Svetozar Ristovski

    The Trap
    Serbia /Serbo-croatia /Colour /106' /2007
    Director: Srdan Colubovic

    Kukumi
    Croatia-Serbia and Montenegro /Albanian /Colour/ 107' /2005
    Director : Isa Qosia

    Totally Personal ( Docu-Feature)
    Bosnia-Herzegovina /Bosnian/Colour/70' /2005
    Director : Sasvim Licno
    এরমধ্যে একমাত্র 'দ্য ট্রাপ' দেখলাম। যেখানে অসুস্থ ছেলে নিয়ে দিশেহারা মধ্যবিত্ত বাবা এক ভয়ঙ্কর অনৈতিক ঘটনায় জড়িয়ে ফেলেন নিজেকে। এছাড়া, অনেকেই বলেছেন 'কুকুমি','টোট্যালি পারসোনাল'-এর কথা।

    দশ মাসের অপেক্ষায়
    --------------------

    ডিসেম্বর '০৮ আসতে আর দশ মাস। ১৩তম কেরালা ফিল্ম ফেস্টিভালের জন্য ততদিন অপেক্ষা।
    আগামী ডিসেম্বরে শহরের কাঁধে আবার এক আজব পাখনা জুড়ে যাবে। সকাল থেকে প্রায় মধ্যরাত্রি পর্যন্ত 'সাধারণ দর্শকেরা' পর্দায় দেখবেন, সরল/বাঁক-নেওয়া/ মৃদু/সোচ্চার/ স্মিত/ বিষণ্ন/বিমূর্ত /আধা-বিমূর্ত কাহিনীর নানান পরিস্ফূটন।

    আমিও নিতান্ত 'সাধারণ দর্শকের'একজন হয়ে ঢুকে পড়বো উপ্‌ছে পড়া সিনেমা হলে -- আর, হয়তো এবারের থেকে অনেক বেশী মন দিয়ে , গুছিয়ে, সিনেমা দেখবো।

    মার্চ ২, ২০০৮
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০২ মার্চ ২০০৮ | ৯৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন