এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  কূটকচালি

  • যদিদং হৃদয়ং

    ইন্দিরা মুখার্জি লেখকের গ্রাহক হোন
    কূটকচালি | ০৩ মে ২০১১ | ৯৪৬ বার পঠিত
  • টেমস নদীর বাতাস আজ বড়ই সুখকর। নদীতীরের শহর লন্ডনে আজ রাজবাড়ির "শাহী-বিবাহ'অনুষ্ঠিত হইতেছে। রাণীমা এলিজাবেথের বড়নাতির বিবাহ। মাতৃহারা নাতি রাজকুমার উইলিয়ামের সহিত তার ইউনিভারসিটির আটপৌরে সহপাঠিনী কেট মিডলটনের শুভ পরিণয়ে বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হইতেছে সানাইয়ের অণুরণন। সর্বত্র উড়িতেছে ইউনিয়ান জ্যাকের নীলে লালে শুভেচ্ছা বার্তা। দশ বছরের ঘনীভূত প্রেম আজ পূর্ণতা পাইতে চলিয়াছে। চারিদিকে সাজোসাজো রব। পৃথিবীর বিভিন্নপ্রান্ত হইতে নিমন্ত্রিত রাজদূতেরা আসিয়াছেন। উপস্থিত পাঁচশত সংবাদগ্রাহকেরা। যাঁরা রাজকীয়তাকে অতি রাজকীয় করিবার জন্য আসিয়াছেন। রাজবাড়ির পারিবারিক সমারোহে মোট দুই বিলিয়ন দর্শক উপস্থিত হইয়াছেন। নবজীবনে প্রবেশের ঠিক পূর্ব মূহুর্ত্তে রাজকণ্যা সকলকে হাত নাড়িয়া অভিবাদন জানাইয়াছেন গতকাল যখন সে আইবুড়ো ভাত খাইতে ছিল সেই ফাঁকে পাত্র উইলিয়াম তার বন্ধুদের সহিত দক্ষিণ লন্ডনের ব্যাটার্সি পার্ক-প্রাঙ্গণে ফুটবল খেলিয়াছে।

    বিমাতা ক্যামেলিয়া তা জানিয়া প্রমাদ গণিলেন "বিবাহের প্রাক্কালে কি প্রয়োজন খেলিবার?' উপর হইতে গর্ভধারিনী স্বর্গত: ডায়না হুঙ্কার ছাড়িয়া কহিলেন "উহুঁ উ উ! না বিয়াইয়া কানাইয়ের মা আইলেন!' আশীর্বাদ করিলেন "আহা! উহারে একটু খেলিতে দাও! বিবাহের পর যে কিরূপ রাজকীয় মুষিক-দৌড় শুরু হইবে! না জানি আমার ভাবী পুত্রবধূ উইলিয়ামের নাসিকায় দড়ি লাগাইয়া কতকিছু করাইবে!'

    "জানা আছে! পনের বৎসরের পুত্রটিকে তো ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলে, এতদিন তো এই আমিই ছিলাম তাহার সাথে; সেন্ট এন্ড্‌রুজ ইউনিভার্সিটি যাইবার সময় তাহার সেলফোন, রুমাল, টাই, ওয়ালেট আগাইয়া দিলাম। তাহার শুভ পরিণয়ের সংবাদ পাইবামাত্র চার্চে গিয়া বাতি দিলাম। এত বিশাল ঝক্কি সব একাহাতে সামলাইলাম আর উনি এখন উপর হইতে ফাঁকা মাঠে গোল দিতেছেন' উইলিয়াম-বিমাতা কহিলেন।

    ডায়না বলিলেন "এ আর এমন কি!' "রাজমাতা যদি সমর্থ হইতেন একা হাতে এই যজ্ঞ্যি সামালাইবার ক্ষমতা রাখিতেন' ক্যামিলিয়া বলিলেন "হ্যঁ¡, তাঁর তো বাতজবেদনা আর ক্ষণেক্ষণে স্মৃতিভ্রম বর্তমানে, আর আজকাল রাজবাড়ির দাসদাসীরাও পূর্বের মত নাই। অতএব ফ্যাশন ডিজাইনার হইতে ভূষণ-পালিশ, সসেজের মশলার অনুপান হইতে কেকের ব্যাটার সবকিছুই আমাকে দেখিতে হইতেছে। তোমার কনিষ্ঠ পুত্র হ্যারি তো বধূমাতা কেটের ভগিনী পিপার পিছনে ছোঁক ছোঁক করিতেছে। কোনো কাজেই সে লাগিল না। আর তোমার আমার সাধারণ পতিদেব চার্লস মহাশয় তো বার্ধক্যের কারণে কিংকর্তব্যবিমূঢ়! তিনি শুধু একটি কাজই করিতে পারেন। পানশালায় অতিথিদের ঠিকমত পানসামগ্রীর দ্বারা আপ্যায়ন হইতেছে কিনা আর এক আধ সুরাপাত্র চুক চুক করিয়া চুমুক দিয়া আমাকে আসিয়া ঘন্টায় ঘন্টায় চুম্বন করিয়া চলিয়া যাইতেছেন।' ডায়না বলিলেন "এ আর নতুন কথা কি? আমি থাকিলে এতটা না বাড়িলেও তাঁর ছোটপুত্রের মত তোমার পিছনে ছোঁক ছোঁক করিতেন ইহা তো সর্বজনবিদিত। আমি কি সাধে পলায়ন করিয়াছিলাম! ডোডির সাথে না পালাইলে আমার জীবন দুর্বিসহ হইয়া উঠিত এতদিনে "যাক আজ আমার গর্ভের প্রথম সন্তানের বিবাহ; এসব অলুক্ষুণে কথা বলিব না'।

    এতক্ষণে রাজবাটির দাসদাসীগণ বাকিংহাম প্যালেস হইতে গায়ে হলুদের তত্ত্ব লইয়া ওয়েষ্টমিনস্টার এবে অভিমুখে যাত্রা করিয়াছে। বধূমাতার গোলাপী গাউনের সহিত জরির ফিতা বাঁধিয়া, শ্যানেল এইট শিক্ত করিয়া; রৌপ্য রেকাবে হীরক খচিত ব্রোচ, বিবিধ মণিমুক্তার অঙ্গুরীয়, রতনচূড়, মানতাশা, ইত্যাদি অলঙ্কার লইয়াছে। কেহ বহন করিতেছে তাহার কেশ সামগ্রী। কেহ তাহার প্রিয় খাদ্য। বাকিংহাম প্রাসাদের প্রহরীগণ উচ্ছ্বসিত। নতুন লাল পোশাক পাইয়াছে সাথে নতুন কালো লোমের টুপিও। রাণীর সভাকবি ক্যারল এন ড্যাফি "রিং"নামক বিবাহের কবিতা লিখেয়াছেন। দশ নম্বর ডাউনিং স্ট্রীটের ল্যারি নামক বিড়াল ক্যাবিনেটের টেবিলে বসিয়া বিবাহ দেখিতেছে। সেও রাজবাড়ি হইতে গলায় বাঁধিবার ইউনিয়ান জ্যাক ভূষিত ডিজাইনার বো উপহার স্বরূপ পাইয়াছে। বিবাহ সহ দীর্ঘায়িত অবকাশের সপ্তাহ শেষে লন্ডনের নরনারীগণের ফূর্ত্তি লক্ষ্য করা যায় পথিপার্শ্বের পানশালাগুলিতে। ফোয়ারা ছুটিতেছে সিঙ্গলমল্ট হুইশকির; স্রোতের মত শ্যাম্পেন বহিতেছে। বিয়ারের ঝর্ণায় সিক্ত হইতেছে হোটেলগুলির কার্পেট। বিয়েবাড়ির ভোজনশালায় নানা রকমের কেকবেকিং হইতেছে। রাজকীয় "হগ-রোস্টের"ম্যারিনেশন পর্ব চলিতেছে। একদিকে রাজকীয় বার্বিকিউয়ের ব্যবস্থা হইয়াছে।

    জনা পঞ্চাশ রাষ্ট্রপ্রধান এবং দুইহাজার নিমন্ত্রিত অতিথির পদার্পণ হইয়াছে। মহিলা অতিথিদের টুপির বৈচিত্র্যে বিবাহালয় বৈচিত্রময় হইল। কাহারো মস্তকে একগুচ্ছ গোলাপের চূড়া। কাহারো পাখির বাসার মত লিলিফুলের বেড়া, কাহারো আবার জরির প্রজাপতি। কেউ আবার রংবেরংয়ের পালক সাজাইয়াছেন মস্তকে। এদিকে লন্ডনের বাসন্তী মেঘলা আকাশ; ড্যাফোডিল ও ফুটিয়াছে। দু এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়িয়াছে উহার পাপড়িতে। আম জনতা পথ-উতসবে সামিল হইয়াছে। কেহ শিবিরে আশ্রয় লইয়াছে, নবদম্পতির মঙ্গল কামনা করিতেছে। অবশেষে রোলসরয়েসে চাপিয়া রাজপুত্র লাল পোশাকে অবতরণ করিল। সাথে বরকর্তা কনিষ্ঠভ্রাতা হ্যারি। রাণীমা আসিলেন ডিউক অফ এডিনবরা, ফিলিপের সাথে। ভ্রূযুগল ঈষৎ কুঞ্চিত। তাঁর পুত্র চার্লস সস্ত্রীক উপস্থিত হইলেন। কিন্তু বিবাহের বধূর দেখা নাই। ভোর ছয় ঘটিকায় শুরু হইয়াছে তাহার কেশ পরিচর্যা। পাঁচজন বিশেষ কেশ বিশারদ আসিয়াছেন।

    রাণী এলিজাবেথ বলিয়া উঠিলেন "ঐ কেশই তাহার কাল হইল; আমার বা উহার শাশুড়ি ডায়নার এরূপ তো দেখি নাই। আমাদের সময় এরূপ হইত না। ঐ জন্যই বলিয়াছিলাম উইলিয়ামকে "যেমন-তেমন ঘর হইতে রাজবাটীতে মেয়ে ঢুকিলে সমস্যা হয়! অমন প্রেম ঘনিষ্ঠতায় পূর্ণতা না পাইলেই নয়? তা পৌত্র আমার শুনিল না'।

    চার্লস বলিল "আহ্‌, থাম না মা! যা হইয়াছে ভালোই তো "রাণী ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন "মনে আছে? আজি হতে তিরিশ বৎসর পূর্বে তোমারেও বলিয়াছি এতসব, তুমি শুনিলে না, দেখিলে তাহার পরিণতি"চার্লস হালকা হেসে বলিল "থাক না মা আজ ওসব কথা'।

    এরূপ বচসা হইতে হইতে যীশুর মন্দিরে পিতার হাত ধরিয়া প্রবেশ করিলেন রূপবতী কেট-কুমারী। সর্বশুভ্রা। মস্তকে হীরের টায়রা পরিয়া এলোচুলে। কানে হীরের দুল, গলায় হীরের ফুলফুল হার।শুভ্র ফুল্ল কুসুমিত অর্কিড হস্তে; মুখ শুভ্র লেসের কারুকার্য করা উড়নিতে আচ্ছাদিত। ছিদ্র দিয়া সব দেখিতে পাইতেছেন কিন্তু তাহাকে কেহ স্পষ্ট দেখিতেছে না। সাদা ঘাগরার পিছনে যৎসমান্য রেশমী রেল। দেখিয়াই রাণি জ্বলিয়া উঠিলেন।

    রুমালে চশমা মুছিয়া ভালো করিয়া দেখিলেন আর ফিলিপকে বলিলেন "আমি এত ঘটা করিয়া দ্বিপ্রাহরিক আহারের বিশেষ ব্যবস্থা করিলাম। আর আমার নাত-বৌ এর দাম দিল না! বেনা ঘাসের অরণ্যে মুক্তা ছড়াইলাম! হায় যীশু, তুমি কোথায়?'

    ফিলিপ বলিলেন "আহা, অত অধৈর্য্‌য হইলে চলিবে রাণী? অধুনাকালের পাত্রী, দিন বদলাইয়াছে। উহারা এখন বৈদ্যুতিন যুগ দেখিয়াছে। ফেসবুক করিতেছে। কত কত ডিজাইনারের পোশাক দেখিয়া শুনিয়া বানাইয়াছে। নতুন প্রজন্মের নরনারী এরা। তোমার সহিত তুলনা করিলে সংঘাত হইবে। চক্ষু মুদিয়া যীশুর প্রার্থণা কর। রাণি ভুলিবার নয়। বলিলেন "এমন জানিলে! অত মূল্যবান খাঁটি সোনার হীরের অঙ্গুরীয় উহাকে না দিলেই হইত! বানাইয়া দিলাম আমি'।

    বিবাহ শুরু হইল। চার্চের আকাশ বাতাস ঘন্টাধ্বনিতে অণুরণিত হইল মেপলগাছের পাতাও শুনছে সেই শব্দ। বিউগ্ল বাজিতে শুরু হইল। সুরের মুর্ছনায় চার্চ মুখর। ক্যান্টারবেরী চার্চের ডিনের মধ্যস্থতায় কেটের পিতা সম্প্রদান করিলেন। দুই হস্ত এক হইল। উইলিয়াম কেটের পাণিগ্রহণ করিলেন। কেটের চোয়াল দৃঢ় হইল। শপথ নিলেন বর-কনে। সম্মিলিত প্রার্থনা সঙ্গীত হইল। ফিলিপ পৌত্রবধূর গর্বে গর্বিত পিতামহ।

    রাণিকে বলিলেন "দেখিলে রাণি? তুমি নাত-বৌয়ের নিন্দা করিতেছিলে, তোমার পুত্রবধূ স্বর্গীয় ডায়নার জন্য যে শপথ বাক্য "তোমার সকল আদেশ মানিয়া চলিব' পরিবর্তন করিতে হইয়াছিল, আমাদের নাত-বৌ কিন্তু লক্ষীমেয়ের মত অবলীলাক্রমে তাহা উচ্চারণ করিয়া ফেলিল। দেখ এ আমাদের দেখিবে। সেবা করিবে। বড় বাধ্য মেয়ে। আমি উহার পিতামাতাকে জানাই'।

    রাণী বলিলেন "সাধে কি বলে পুরুষের বুদ্ধি! কদাপি মেয়ের প্রশংসা করিবে না, নতুন কুটুম মাথায় চড়িয়া বসিবে"রাজবাড়ি প্রবেশ করুক তাহার পর যা বন্ধন দিবার আমি দিব। ভবিষ্যতের রাণী হইবার যোগ্যতা অর্জন করিতে হইবে না? আমার যা শরীরের অবস্থা! আমার উত্তরসুরীকে আমি স্বহস্তে লালন করিব'।

    চার্লস বলিলেন "মা, দেখ ডায়নাকে কেমন ধরিয়াছিলাম! কেমন দীর্ঘকায় হইয়াছে আমার উইলিয়াম, বেশ মানাইয়াছে তাকে দীর্ঘাঙ্গী কেটের পার্শ্বে'।

    এলিজাবেথ বলিলেন "বাহ্‌, তুই না হয় নাতিদীর্ঘকায়, ভুলিয়া গেলি তুই কাহার পুত্র? তোর পিতার উচ্চতার জিনটি পাইয়াছে আমার নাতি'।

    কলহের অবসান হইল। রাজরক্ষী আসিয়া রাণিকে গাড়িতে উঠিতে বলিলেন। দুধে আলতা পায়ে নতুন বধূ লাল কার্পেটের উপর দিয়া চলিয়া চার্চের বাহিরে আসিল এবং ১৯০২ সালের প্রাচীন ঘোড়ার গাড়ি করিয়া বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ অভিমুখে যাত্রা করিলেন।

    রাজবাড়ির বারান্দায়, পোর্টিকোয়, অলিন্দে চিলেকোঠার ছাদে এয়োস্ত্রীরা গল্পে, আলাপে আলোচনায় কত রঙ্গতামাশা করিতেছে।

    একজন বলিল "মডেলিং করা মেয়ে, দেখ আবার এ কেমন তর হয়!'

    কেউ বলিল "উইলিয়ামের কপালটা তার বাবার মত না হইলেই হয়, বিয়ের তারিখ দুজনেরই ঊনতিরিশ'।

    একজন স্মিত হাসিয়া বলিল "ইহারা নতুন প্রজন্মের বরকনে। দশ বছর ধরিয়া বাজাইয়া লইয়াছে'।

    অন্য একজন খলখল করিয়া বলিয়া উঠিল "থামো থামো, মাঝে তো একবার ছাড়াছাড়িও তো হইয়া গেছিল'।

    আরেকজন তো বলিয়া বসিল "কেনিয়ার গহন অরণ্যে তো সব হইয়া গেছে আজকের অনুষ্ঠান তো প্রহসন মাত্র।

    এক রাজদাসী আসিয়া সংবাদ দিল "আসুন আপনারা বরকনে আসিয়া গেল্‌, উলু দিন, শঙ্খ বাজান'।

    শ্যাম্পেন্‌-বৃষ্টি-ফোয়ারায়, হৃদয় বেলুন আকাশে উড্ডীয়মান। লন্ডনের বসন্তে ড্য্‌যাফোডিল ফুটুক না ফুটুক শুভ পরিণয় সমাপ্ত হইল নিরাপদে। রাজ বারান্দা তখন চুম্বনময়!
    চিত্রাঙ্কন ; সায়ন করভৌমিক

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • কূটকচালি | ০৩ মে ২০১১ | ৯৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন