এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • চাপাতিতন্ত্রের ভেতর

    বিপ্লব রহমান লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ১১ আগস্ট ২০১৫ | ৯৯১ বার পঠিত
  • ০১.

    হুমায়ুন আজাদ, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ, নিলয় নীল এবং ....

    সেদিন শুক্রবার কাজের চাপ কম বলে আমার বর্তমান কর্মস্থল নিউজনেক্সটবিডি ডটকম নামক নিউজ পোর্টালে সকল থেকেই কাটছিল খানিকটা আলস্যময় সময়।  লাঞ্চের পর ঝুম বৃষ্টি ভেতর অফিস ঘরের ঝুল বারান্দায় চেয়ার পেতে বসে গরম চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার মজাই আলাদা। নিম গাছটি বর্ষার নতুন পানিতে হেসে উঠছে বলে মনে হয়। ...বারান্দায় এসে একজন সহকর্মী উঁকি দেন, টিভিতে একটি ব্রেকিং নিউজের স্ক্রল দিচ্ছে, দেখবেন?

    আমি বিরক্ত মুখে নিউজ রুমের টিভি সেটের সামনে দাঁড়াই। লাল মোটা হরফে ব্লগার নিলয় নীল খুন হওয়ার খবর আমার চোখের সামনে বিপ করতে থাকে। আমি তখনই তাকে মুক্তমনার সহব্লগার বলে চিনতে পারি। পরিচয়টি অন্তরজালিক হলেও আমার খানিকটা অস্থির ও বিরামহীন মনে হয়।

    এরই মধ্যে সহকর্মী একজন ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানায়  টেলিফোন করে ‘আবারো ব্লগার খুন’ এরকম একটি ছোট্ট সংবাদ ব্রডকাস্ট করেন। আমার ওপর দায়িত্ব বর্তায় সংবাদটির আপডেট দেয়ার।

    আমি আবার বারান্দায় ফেরত যাই। মোবাইল ফোন থেকে মুক্তমনার কয়েকজনকে টেলিফোনে ধরার চেষ্টা করি। দু-একজনের ফোন বন্ধ, বাকিরা বিজি। এখন অবশ্য এরকমটাই স্বাভাবিক। অনলাইন নিউজ পোর্টাল বলে দ্রুততার সঙ্গে একাধিক আপডেট দেয়ার চাপ বোধ করি।

    অফলাইনের বদলে আমি আশ্রয় নেই অনলাইনের। প্রথমেই ফেসবুকে খুঁজে পাই নিলয়ের প্রোফাইল। সেখানে যুক্তিবাদী সমিতির সূত্র ধরে ওই সংগঠনের পরিচিত একজন লেখককে টেলিফোন করে নিহত নিলয় সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য চাই। তিনি আমাকে খানিকটা তথ্য দেন। তার কাজ থেকে নম্বর নিয়ে যুক্তিবাদী সমিতির আরো কয়েকজনকে ফোন করে নিলয় সর্ম্পকে জানার চেষ্টা করি। অনলাইনে পেয়ে যাই মুক্তমনার সুব্রত শুভকে। ফেসবুক চ্যাটিয়ে শুভ বেশ খানিকটা তথ্য দেন। আরেক সহব্লগার ইনবক্সে পাঠান নিহত নিলয়ের হাস্যোজ্জ্বল দুটি দুর্লভ ফটো।

    সব টুকরো সংবাদ জোড়া দিয়ে কসাইয়ের মতো নির্লিপ্ততায় আমি প্রথম আপডেট দেই। ‘এবার বাসায় ঢুকে ব্লগার খুন’। আবারো নেট ঘেঁটে নিলয়ের সব ব্লগ পোষ্টগুলোর শিরোনামে চোখ বুলাই। বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র নিয়ে মুক্তমনায় তার একটি ধারাবাহিকে চোখ আটকে যায়। আমার মনে পড়ে এই নিয়ে তার সঙ্গে খানিকটা বাহাস হয়েছিল। বৌদ্ধ ধর্মশাস্ত্র নিয়ে আপ্তজ্ঞানে খানিকটা বিরক্ত হয়েই তার লেখা পড়া ছেড়েছিলাম।

    আমি বিভিন্ন ব্লগ সাইটে খুঁজে পাই ধর্ম বিষয়ক তার নানা যুক্তিতর্ক, মতামত, বিশ্লেষণ। টেলিভিশনের পর্দায় নিলয়ের স্ত্রীর আহাজারি আমার চোখে জ্ঝালা ধরায়। একের পর এক আপটেড দিতে দিতে ‘ব্যাঙ ব্যাঙ ক্লাব’র উন্মত্তায় আমি ভেতরে ভেতরে বিপন্ন হই। ওই রাতে ঘুমের ঘোরে অভিজিৎ রায়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে চমকে চমকে উঠি। আমি জেগে উঠি, ঢকঢক করে অনেকটা পানি খাই, ঘুমিয়ে পড়ি, আবারো জেগে উঠি...

     

    ০২.

    শেষ রাতে আমার অস্পষ্টভাবে মনে পড়ে সহব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ খুন হওয়ার দিনটি।  সেদিন খবরটি  সাত সকলেই শুনি। মুক্তমনের মাহফুজ ভাই ফোন করে খোঁজ নিতে বললেন। আমি সাংবাদিক, তাই হয়তো আমার পক্ষে জানা সহজ। আমি পাগলের মতো সিলেটের সাংবাদিকদের টেলিফোন করতে থাকি। আরেক হাতে টিভি চ্যানেলের রিমোট চিপে একের পর এক সংবাদের স্ক্রলগুলো দেখতে থাকি।

    ...আমাকে কেউ বলুন, প্লিজ আমাকে বলুন, ব্লগার অনন্তর কি হয়েছে? তিনি এখন কোথায়?...

    এইসময় সিলেটের একজন সাংবাদিক আমাকে অনন্ত খুন হওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেন। একটি ২৪/৭ ঘন্টার টিভি নিউজের স্ক্রলে একটু পরেই ব্রেকিং নিউজের স্ক্রল চলে আসে। লাল হরফের এক বাক্যের সংবাদে আমার চোখ আটকে যায়।

    আমি পাল্টা কয়েকটি ফোন করে সহব্লগার কয়েকজনকে অনন্ত খুন হওয়ার খবরটি জানাই। অনেকেই এরই মধ্যে ঘটনাটি জেনেছেন বললেন। কয়েকজন বললেন, ফেসবুকে নাকি পোস্টও পড়ছে। আমি মুক্তমনায় ব্লগ পোস্ট দেওয়ার কথা বলি। নিরাপত্তার প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ।

    আমার মনে পড়ে, ব্লগ বারান্দার বাইরে আজকাল শুনতে পাই, কেউ কেউ বলেছেন, এতো লেখালেখির কি দরকার? দেখলা তো, লেইখ্যা কিছু হয় না। বরং জান নিয়ে টানাটানি। মুর্খের দেশে এসব বিজ্ঞান চেতনা, হেনতেন লেখার কোনো দাম আছে? আর ব্লগাররাই বা আল্লা-রসুল নিয়া এতো বাড়াবাড়ি করে ক্যা? যতোসব নাস্তিকের দল!

    তো, আমারো কি এখন থেকে পরিবারের কথা মেনে সাবধান হওয়া উচিৎ? আমাকে কতল কাল কখন, কোথায় হবে? ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার সময় রাতের বেলা গলির মুখে কি ঘাপটি মেরে থাকবে কোনো মৌলবাদের নাতি? নাকি সকাল, সকালই নূরানী লেবাসের চাপাতিতন্ত্র বাসার সামনে ঝাপিয়েঁ পড়বে আমার ওপর? অথবা তারা আমার শোবার ঘরেই সদলবলে ঢুকে কুপিয়ে জিহাদ কায়েম করে গেল, এমনো তো হতে পারে? তারা আমার গলা কাটার আগে আমি কি তাদের মুখগুলো একনজর দেখার সময় পাবো? আর অনিবার্য প্রশ্ন এই, তখন কি হবে আমার অনুভূতি?

     

    ০৩.

    এইসব ভাবতে ভাবতে আমার মনে পড়ে অভি দা'র কথা।

    অভি দা খুন হওয়ার দিনেও সহ ব্লগাররা একের পর এক টেলিফোন করে ঘটনার আদ্যপান্ত জানতে চাইছিলেন। আমি পাথুরে মুখ করে টিভি সেটের সামনে বসেছিলাম। লাইভ দেখাচ্ছিল। আমি ইচ্ছে করেই ওই রাতে ঢাকা মেডিকেলে যাইনি। বন্যা'দির রক্তাক্ত চেহারা, অভি দা'র মরদেহ, ইত্যাদি আমার পক্ষে সহ্য করা কঠিন। আমার চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করছিলো। তবু পণ করে কাঁদিনি।

    অফিস থেকে লেট নাইটে যারা ডিউটি করেন, তারা ফোন করে তথ্য চান। আমি অভিজিৎ রায় সর্ম্পকে, মুক্তমনা সর্ম্পকে একের পর এক মুখস্থ সব তথ্য দিতে থাকি। ব্লগার কয়েকজনের ফোন নম্বর দেই। খুব অস্থিরতার ভেতর ছটছট করে সেই রাত কাটে।

     আমার মনে পড়ে, পরদিন আমি আবার টিভির সামনে বসেছিলাম। কম্পিউটার খুলে অনলাইনে আপডেট জানতে চেষ্টা করি। এরপর টিএসসি'তে যাই। অভি দা' খুন হওয়ার জায়গাটি দেখি। সেখানে তখনো কালো চাপচাপ রক্ত। কোরবানী ঈদের সময় গরু জবাইয়ের পর রক্ত জমে যেমন হয়, তেমন। জমাট রক্তে কালচে ফুটপাথের টাইলস। কারা যেনো সেখানেই গুচ্ছ গুচ্ছ তাজা ফুল দিয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের একটি চওড়া ব্যানার দেখি। লিখেছে, অভিজিৎরা হারলে বাংলাদেশ হারবে... এরকম। খানিক দূরে গাছের ছায়ায় বেঞ্চ পেতে পুলিশের কয়েকজন হাই তুলছেন।

    সেদিন আরো এগিয়ে রাজু ভাস্কর্যর সামনে যাই। ফেসবুক ইভেন্টের সূত্রে সেখানে কয়েকজন অভিজিৎ হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যানার ধরেছেন। আমি কিছুক্ষণ ছাত্র-শিক্ষকদের বক্তৃতা শুনি। কয়েকজন ব্লগারকে দেখি শুকনো মুখে ঘুরছেন। পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করি। শিল্পী সব্যসাচি দা'কে দেখি স্বপরিবারে এসেছেন। অনেকেই বন্যাদি'র খবর জানতে চান। খবরের লোক হলেও আমি তাদের বাড়তি খবর দিতে পারি না। শুধু এইটুকু জানাই, বন্যাদি'কে স্কোয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তার জ্ঞান ফিরেছে। বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

     খুব বেশী বিচ্ছিন্নতা বোধ নিয়ে আমি যন্ত্রের মতো গিয়েছিলাম ফেব্রুয়ারির শেষে সময়ের বইমেলায়। আমার বই ‘পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ’ (সংহতি প্রকাশন) কেমন চলছে, সে খবর নেই। আমার খুব একলা লাগে। বইমেলাটিকে মনে হয় প্রাণহীন, ভাঙা হাট। অফিসে গিয়ে অভিজিৎ হত্যার ওপর একটি ফলোআপ নিউজের তথ্য সংগ্রহ করি। নেট ঘেঁটে বিভিন্ন ব্লগে অভিজিৎ খুন হওয়ার প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাইড স্টোরি করি।

     

     ০৪.

    অভিজিৎ বধের কালে মুক্তমনের আফরোজা আপা ফোন করে প্রায় কেঁদে ফেলেন। টিভিতে তখন আবারো লাইভ দেখাচ্ছিল। অভি দা'র মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে আনা হবে। কালো রঙের মঞ্চটিকে ঘিরে প্রস্তুতি পর্ব চলছে। আমার ইচ্ছে হয়, একবার সেখানে ছুটে যাই। অজয় স্যারকে সাহস দেই। অভি দা'র কফিনটি ছুয়ে দেখি। আমার ভাবলাম, নাহ, থাক। এই সবে কি লাভ? তাছাড়া অভি দা কি আর মৃত দেহটিতে আছেন? অজয় স্যার আমাদের চেয়েও অনেক শক্ত।

    আমি নোটবুক খুলে একটানে লিখতে থাকি। মুক্তমনে আমার পদার্পন। অভি দা'র সঙ্গে আমার পরিচয়। আমার ভাবনার শিক্ষকের সঙ্গে অবিরাম আলাপচারিতা, অসংখ্য টুকরো কথা দ্রুত অভ্যস্ত হাতে টাইপ করতে থাকি।

    চুমুক দেয়ার আগেই চা জুড়িয়ে যায়। আমি ফ্লাক্স খুলে আবার চা ঢালি। আবার লিখি, নেট ঘেঁটে বেশকিছু লিংক জড়ো করি। আমাকে থামলে চলবে না। আমাকে আরো শত শত সংবাদ, নেপথ্য সংবাদ, তৎসংলগ্ন রিপোর্টারের ডায়েরি বাদেও এই সব নোটপত্র লিখতে হবে। সব লেখার কিবোর্ড/কলম চলবে...

    পরে অফিসে গিয়ে অভি দ’র কন্যা তৃষার ফেসবুক নোট নিয়ে একটি হিউম্যান স্টোরি করি। গুগল করলে সেটি বোধহয় পাওয়া যাবে। ‘আমার বাবা বরাবরই সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় সোচ্চার ছিলেন। আমি তোমাকে ভালবাসি বাবা। তুমি আমার বন্ধু, আমার হিরো। মুক্তমনার সংগ্রাম চলবেই।’

     ...ওই রাতে আবারো ঘুমের ভেতর আবারো অভি দা হানা দেন। আমার ঘুম আসে না। খুব মশা কামড়ায়। বার বার মনে পড়ে আমার ছাত্র জীবনের কথা। প্রচণ্ড বিদ্রোহের কাল।

     আমি মোবাইল থেকে সেলিম রেজা নিউটন ভাইকে ইনবক্স করি। ভাই কি জেগে আছেন? অভি দা খুন হওয়া পর মন ভালো না... ইত্যাদি। তখুনি কোনো জবাব পাই না। নিউটন ভাই ছাত্র জীবন থেকেই আমাদের ভাবনা জগতের নায়ক। এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

     তিনি জবার দেন আরো পরে। অভি দা'র বইগুলো ঢাকা থেকে কিভাবে কেনা যায়, নিউটন ভাই জানতে চান। আমি পড়ুয়া ডটকম ডটবিডি-এর কথা বলি।

    পরে আবারো নোটবুক খুলে আমি লিথতে থাকি। অবিরাম লিখতে থাকি আমার চারপাশ। আমি লিখতে থাকি, আমরা লিখতে থাকি। এরই মাঝে খুন হন ব্লগার বাবু। তারপর সীমান্ত পেরুনোর প্রস্তুতির ভেতরেই খুন হন অনন্ত। বাবা পক্ষাঘাতের রোগি। অনন্ত টের পেয়েছিলেন, তিনি যখন-তখন খুন হবেন। এস্পার, কি ওস্পার অনিবার্য। তবু বাবাকে ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে তার কেবলই দেরী হয়ে যায়। ...

    আর নিহত অনন্তর বন্ধু নিলয় ব্লগার খুনের প্রতিবাদ সভা থেকে ফিরে স্ত্রী আশামনিকে বলেছিলেন, ওই সভা থেকে বাড়ি পর্যন্ত চাপাতিতন্ত্র তাকে অনুসরণ করেছে। গ্রামের বাড়িতে আত্নগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি নিলয় নীলের। জুম্মাবারে নামাজ শেষে ‘আল্লাহু আকবর’ বলে মোল্লাতন্ত্র গলায় কোপ বসিয়ে কোরবানী হাসিল করেছে।...   

     

    ০৫.

    এই সব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে রাত শেষ হয়ে আসে। ভোরের সুবেহ সাদিকে ঢাকা শহর মুখরিত হয় আজানের কোলাহলে। দুধ-সাদা আলোর ভেতরে আমি অনলাইনে স্থির হই আইজিপির ভাষণে। তিনি ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ না দেয়ার জন্য পুলিশ প্রধান ব্লগারদের প্রতি আহ্বান জানান। মোল্লাতন্ত্রের চাপাতি সংযত করার জন্য তার অবশ্য কোনো আহ্বান নেই।

    আমার মনে পড়ে ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বর। বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞকাল। এই কি সেই ব্লাসফেমাসের প্রত্যাবর্তন নয়? কপ্টার শফি যখন বলেন, নাস্তিক হত্যা ওয়াজিব, বোধকরি আইজিপি’র ধর্মানুভূতি তখনো চাঙ্গা হয়, বড়কর্তার আদেশ মেনে তিনিও হেফাজত ইসলামকে আওয়ামী ভোটের কৌশলে নিজ হেফাজতেই রাখতে চান। ‘চোখ বুজে চড়ুই ধরা’র কায়দায় হত্যার মতো ফৌজদারী অপরাধে খুব বেশী বিচলিত হন না,  মাথা কাটাই যখন তার কাছে সহজ সমাধান!   

    তো ভেতরে ভেতরে আমি নিজেকে সব খুনের খবরে সংহত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাই। গুরুচণ্ডালির স্মিতা ঘোষের সঙ্গে সহমত পোষণ করি। প্রতিবাদী এবং চিন্তাশীল মানুষের এমন মৃত্যুই তো প্রাপ্য, নাকি? দেশকাল ভেদে শাস্তিটা কিন্তু বদলায় না। আর কলম চলছেই...


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ১১ আগস্ট ২০১৫ | ৯৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৫৪86713
  • অবশ্যই শেয়ার করতে পারেন।
  • জয়ন্ত | 127.194.17.48 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৫৪86712
  • এই লেখাটার লিঙ্ক আমি একটা ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করেছি, এইমাত্র। সেটা গুরুচণ্ডালীর নিয়মে আটকায় না তো? আটকালে বলবেন। আমি লিঙ্কটা ডিলিট করে দেব।
    ধন্যবাদ।
  • 0 | 123.21.65.105 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৫:০৪86714
  • অহিংস মসি'র যুক্তি সার্বিক ভাবে ব্যর্থ, পরাজিত, নিঃশেষিত হলেই অসহায় মরিয়া অপমানিতের সহিংস যুক্তিমেরুদণ্ডহীন অসি ঝলসিয়ে ওঠে
  • কাশ কা বেড | 127.203.221.224 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৪86715
  • ""আমার মনে পড়ে, ব্লগ বারান্দার বাইরে আজকাল শুনতে পাই, কেউ কেউ বলেছেন, এতো লেখালেখির কি দরকার? দেখলা তো, লেইখ্যা কিছু হয় না। বরং জান নিয়ে টানাটানি। মুর্খের দেশে এসব বিজ্ঞান চেতনা, হেনতেন লেখার কোনো দাম আছে? আর ব্লগাররাই বা আল্লা-রসুল নিয়া এতো বাড়াবাড়ি করে ক্যা? যতোসব নাস্তিকের দল!""... ধর্ম ও ঈশ্বরের নাম করে জল্লাদ একাট্টা করা যত সহজ , যুক্তিবাদীদের সংহত করে প্রতিরোধ গড়ে তোলা তত নয়, অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি খরচ সাপেক্ষও বটে।
  • 0 | 123.21.65.105 (*) | ১২ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩৬86716
  • ভাটিয়া৯তে দ-এর দেওয়া (12 Aug 2015 - 10:25 PM) লিংকের ( http://www.sachalayatan.com/ranameher/54928 ) রানা মেহের লেখা থেকে লাস্ট্‌ লাইন্‌ -

    "কলম চলতে হবে, কণ্ঠ জোরে ছাড়তে হবে। আর কেউ না এলে পাগলের মতো একা একাই চেঁচিয়ে যেতে হবে। হতাশা আমাদের বাঁচাতে পারবে না, মুক্তবুদ্ধির চর্চার পক্ষে আন্দোলন পারবে।"
  • কাশকাবেড | 127.203.253.45 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৩:৫৭86721
  • হ্যাঁ বাংলাদেশের জন্য লড়াইয়ের এ্যাপ্রপ্রিয়েট স্ট্রাটেজি দরকার। সেখানে 'কমনর'দের (যারা পৃথিবীর সর্বত্রই একরকম, চিন্তা করতে ভালবাসে না, ফলো করতে ভালবাসে) মগজ বেশ কয়েক জেনারেশনের ধোলাইতে চাপাতি চাষের উপযুক্ত হয়ে আছে।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৪:৫৮86717
  • এখনো পবতে কেউ নিজেকে নাস্তিক বলে জাহির করলে খুন হতে হয় না। কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টি একেবারেই সেরকম নয়। ফলে আমার একটা কথা বারবারই মনে হচ্ছে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে ভাবা দরকার।
    একটা ব্যাপার জলের মতো পরিষ্কার - ব্লগার খুন আটকানো যচ্ছে না। সরকার গা করছে না। সেখানে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে ভাবা দরকার। নইলে একের পর এক এমন খুন হতেই থাকবে, আর আমরা কিছুই করতে পারবো না।
  • | 24.99.216.53 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৫:৩২86718
  • পশ্চিমবঙ্গ আর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাস ও বর্তমান রাজনীতিতে অনেকটা ফারাক আছে তো।

    আর আলাদাভাবে বলার কথায় একমত নই। হুমায়ুন আজাদের ঘাড়ে কোপ পড়ে 'পাকসারজমিন ' লেখার পরে। 'আমার অবিশ্বাস' কিন্তু উনি তার অনেক আগেই লিখেছিলেন।
  • কল্লোল | 230.226.209.2 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৬:৪৩86719
  • তাহলে, আত্মরক্ষার জন্য পিস্তল টিস্তল রাখুক। তাতে খুনের দায়ে জেলে গেলেও আদালতে কিছু বলার সুযোগ পাবে।
  • prithwis yuktibadi | 47.228.107.102 (*) | ১৩ আগস্ট ২০১৫ ০৭:২৮86720
  • tibro ninda o dhikkar moulobader opor.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন