এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অপার বাংলা

  • “সালাফী সেক্যুলার” ও “সুফি সেক্যুলার” দ্বন্দ্বঃ ইসলামকে উদারভাবে প্রচার করে মৌলবাদ-জঙ্গিবাদকে ঠেকানো যাবে?

    সুষুপ্তু পাঠক লেখকের গ্রাহক হোন
    অপার বাংলা | ২১ মে ২০১৫ | ২৪৬৭ বার পঠিত
  • আজকের বিশ্বে ইসলাম ধর্ম নিয়ে যত লেখালেখি হয়, যতখানি ভাবতে হচ্ছে, সেমিনার, সম্মেলন, গবেষণা করে জানতে চাওয়া হচ্ছে ইসলামকে কিভাবে উগ্রতা থেকে উদার ও সহনশীল করে তরুণ-যুবাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়- তার এক পার্সেন্টও অন্য কোন ধর্মকে নিয়ে করার প্রয়োজন পড়েনি। ইসলাম ধর্মের উদারপন্থি যেমন আছে তেমনি কট্টরপন্থিও আছে। অন্য ধর্মেও এরকম বিভক্তি দেখা যায়। তবে তারা একে অপরকে “অখ্রিস্টান” বা “অহিন্দু” টাইপ কিছু ঘোষণা করেন না। একে অপরকে হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত করেন না। ইসলামে এটা নিত্য সহা এক সত্য। রোজ এক দল নিজেদেরকে প্রকৃত ইসলাম অনুসারী ও বিপক্ষকে ইসলাম থেকে খারিজ বলে দাবী করেন। ইসলামের হাজারো পন্থির  সকলের একই কুরআন, একজনই নবী মুহাম্মদ, প্রত্যেক পন্থিদেরই আল্লামা, শাইখুল হাদিস আছেন। তারা আপনাকে কুরআন থেকে দেখিয়ে দিবেন একমাত্র তারাই প্রকৃত মুসলমান ও ইসলাম অনুসারী। নবী মুহাম্মদকে তারাই অক্ষরে অক্ষেরে পালন করেন। আপনার আমার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য যে আপনি আমি একজন মুসলমান হিসেবে কাদের খপ্পরে পড়বো সেটা নির্ভর করে সেই অঞ্চলে কারা ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন তাদের উপর। বলা হয় বাংলাদেশের বাঙালী মুসলমানরা উদারপন্থিদের হাতে ইসলাম গ্রহণ করায় তারা চরিত্রে ছিল উদারভাবাপন্ন। সময়ের ফেরে উগ্রবাদীদের ব্যাপক প্রচার ও তাদের সংস্পর্শের আসার কারণে গত ৩০-৪০ বছরে বাংলাদেশের উদারপন্থি মুসলিমরা দিনকে দিন উগ্রপন্থি মুসলিমে পরিণতি হচ্ছে। যদিও ভারতবর্ষের উদারপন্থি বলে পরিচিত সুফিদের (যারা এই অঞ্চলের মানুষকে ধর্মান্তকরণ করেছিল) সম্পর্কে যে ইতিহাস আমরা জানি-তারা উদার ইসলামের অনুসারী ছিলেন- তা সঠিক নয়। যাই হোক, সুফিদের ইতিহাস বলার জন্য এই লেখা নয়, এমন কি ইসলামের কোন পন্থিকেই ইসলামের একমাত্র আসল পক্ষ বলা বা কোন একটা পক্ষকে ধরে নিয়ে ইসলামের সমালোচনা করারও উদ্দেশ্য এই লেখার নেই। এই লেখায় আসলে বলার চেষ্টা করা হবে- কেমন করে ইসলামের জিহাদী, আনসারুল্লাহ বাংলাটিম টাইপ চাপাতি ইসলামকে মোকাবেলা করা সম্ভব। আদৌ সম্ভব কিনা? কেমন করে জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলা জিহাদী ইসলামের প্রসার ঠেকানো যায়।…

    সারা দুনিয়াতেই এই সমস্যার একটি সমাধান খোঁজার জন্য প্রাণন্ত চেষ্টা চলছে। নানা মুণির নানা মত। অতিতে খ্রিস্টান চার্চের এইরকম উগ্র ও জিহাদী চেহারা বিশ্ব দেখেছে। কিন্তু সেসব সরাসরি খ্রিস্টের বাণী ছিল না। বাইবেলকে অবমাননা, একই বিষয়ে বাইবেলের ব্যাখ্যা ব্যতিত ভিন্ন ব্যাখ্যা (যেমন- মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে-সূর্য কেন্দ্রিক সৌরজগত নিয়ে), বিধর্মীদের প্রতি বিদ্বেষ থেকে এসব চালানো হয়েছিল। এটা ছিল মহান খ্রিস্টান ধর্মের অবমাননাকারীদের বিচার করা একজন খ্রিস্ট প্রেমি হিসেবে। যীশুর কোন নির্দেশকে মান্য করতে নয়। কিন্তু ইসলামী জিহাদীদের হাতে আছে নবী মুহাম্মদের বাণীর দলিল। তাদের জিহাদ, কোপাকুপি, গণিমতের মাল লুটপাট, বিধর্মী নিধন বিষয়ে মহান আল্লাহ ও তার রাসূলের বাণীর স্পষ্ট দলিল! এখন এই “স্পষ্ট বাণীর দলিল” নিয়ে মতান্তর আছে। এই মতান্তর বাণীর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে। একদল বলেন কুরআনের সব কিছু আক্ষরিক অর্থে নেয়া যাবে না। এসব রূপক হিসেবে এসেছে। কোথাও ভিন্ন অর্থ করা হয়েছে । এই ব্যাখ্যাগুলোর উদার ও উগ্রতা নির্ভর করে একজন আলেমের ইসলামী বিশ্বাসের উপর। এটি কিন্তু খুবই ভয়ংকর কথা! ইসলাম ধর্ম একটি ছুরি যেটাকে দিয়ে আপনি সবজি কাটার কাজে ব্যবহার করতে পারেন আবার মানুষ মারার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন! দুনিয়ার অন্য ধর্মের বাণীকে নিয়েও এরকম উদার ও উগ্র ব্যাখ্যার নজির থাকতে পারে কিন্তু সেটা কখনোই মানুষ খুন করার বিষয়ে গিয়ে পড়ে না। এর মানে হচ্ছে ইসলামী জিহাদী তথা রাজনৈতিক যে ধারা ইসলামে আছে সেটি অন্য ধর্মে ঈশ্বর ও পয়গম্বরের সরাসরি বাণী হিসেবে নেই। এজন্য “খ্রিস্টান রাষ্ট্র” বা “রামরাজ্য” মোটেই ঐ ধর্মগুলোর সঙ্গে জড়িত নয়। যীশুর বাণী বলে যা আমরা জানি সেখানে কোথাও রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। যীশু বলছেন না তোমরা ঈশ্বরের রাজ্য গঠন করে খ্রিস্টিয় বিধিবিধান কায়েম করো। কাজেই খ্রিস্টান মৌলবাদী দল বা সংগঠন প্রধানত সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে উসকে দিয়ে, অন্য জাতি বা সম্প্রদায়কে নিজেদের জন্য হুমকি স্বরূপ এরকম উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচারই তাদের সার - সরাসরি প্রভু যীশুর নির্দেশ বলে কিছু চালানোর সুযোগ নেই। ইউরোপের পাত্তাহীন কিছু খ্রিস্টান মৌলবাদী দলগুলোকে মূলত ক্রমশ বর্ধিত অভিবাসী এশিয়ান ও মুসলিমদের দেখিয়ে নিজেদের জাতীতাবাদী রাজনীতি চালাতে হয়। ভারতের “হিন্দুত্ববাদী” মূলত পাকিস্তানকে ঘিরে। অধুনা বাংলাদেশে ইসলামীকরণ ও মুসলিম মৌলবাদী উত্থান ব্যাপকভাবে বেড়ে চলেছে। হিন্দু মৌলবাদীরা প্রতিবেশী উগ্র মুসলিম পাকিস্তান ও আস্থাহীন মুসলিম বাংলাদেশীদের দেখিয়ে ভারতীয় জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হয়- ভারতকে তার নিজস্বতা ও আদি পরিচয় নিয়ই টিকে থাকতে হবে। খোদ ভারতের মুসলিম মৌলবাদের যে উত্থান ঘটেছে তাকে প্রটেস্ট করতে পারবে একমাত্র হিন্দুত্ববাদী দলই। অর্থ্যাৎ পুরো ব্যাপারটাই রাজনৈতিক। ধর্মীয় কোন প্রত্যাদেশ, আদিষ্ট, অবতার বাণী, ঈশ্বরের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস বাণী জাতীয় কোন শক্ত ভিত্তি নেই। এই ধরণের মৌলবাদকে ধর্মের মধ্যে থেকেই মোকাবেলা করা খুব সহজ। নিজেকে ধার্মীক সাজিয়ে, ধর্মের বিরুদ্ধে একটি কথাও না বলে এই মৌলবাদকে মোকাবেল করা সম্ভব। কারণ এসবের কোন ধর্মগ্রন্থীয় দলিলি প্রমাণ নেই। কিন্তু একজন বিশ্বাসী ইহুদীর “ইহুদী রাষ্ট্র” তার ধর্মীয় বিশ্বাস! এই রাষ্ট্রের “জাতির পিতা” স্বয়ং ঈশ্বরই হওয়া উচিত। ইতিহাসের ঈশ্বরের রাজনীতিতে নাক গলানো সম্ভবত এটাই প্রথম। এই ধারায় ইসলামও সর্বশেষ রাজনৈতিক একটি ধর্ম। ইসলামের একেশ্বরবাদীর অনুপ্রেরণা হচ্ছে ইহুদী ধর্ম। এ জন্যই ইসলামকে ইহুদী ধর্মের কপি-পেস্ট ধর্ম বললে অতিক্তি হবে না। নবী মুহাম্মদ ইহুদী ধর্ম থেকে দুহাতে গ্রহণ করেছেন। আরব প্যাগন ধর্ম ও ইহুদী ধর্মের মিশেল হচ্ছে ইসলাম। যেকারণে ইসলামেও আমরা দেখতে পাই ইসলামের নবী “ইসলামী রাষ্ট্র গঠন করছেন। মক্কা বিজয়ের পর মুসলিমরা যে রাষ্ট্র গঠন করেন সেটা ইসলামী রাষ্ট্র। নবীর এই রাষ্ট্র গঠন করা ও সেই রাষ্ট্রের প্রিন্স হওয়ার নিয়েও কিন্তু ইসলামের উগ্র ও উদার গ্রুপের ভাষ্য ভিন্ন রকম। উদারবাদীরা ইসলামের এই রাষ্ট্রকে রীতিমত “ধর্মনিরপেক্ষ-সেক্যুলার রাষ্ট্র” ব্যবস্থা বলতেও দ্বিধা করেন না! যদিও এই দাবী সত্যি নয়। ইসলামের ইতিহাসকে নির্মোহভাবে পাঠ করলে সেটা স্পষ্ট বুঝতে সক্ষম হবেন যে কেউ।…

    আমরা এখন মূল আলোচনায় চলে এসেছি। অভিযোগ করা হচ্ছে, আমরা সেক্যুলাররা কেন ইসলামের উদার ব্যাখ্যাকে গ্রহণ না করে উগ্রবাদী সালাফীপন্থিদের ইসলামকেই ইসলামের একমাত্র সহি তরিকা হিসেবে ধরে নিয়ে ইসলামকে সমালোচনা করে যাচ্ছি? আমরাও কি তাহলে মৌলবাদীদের মত ইসলামকে প্রচার করছি না? তার বদলে ইসলামে সাম্য ও উদার হিসেবে চিহিৃত করে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক ইসলামকে মোকাবেল করা উচিত না? ইসলামের নিন্দা করে কোন মুসলমানের সমর্থন পাওয়া যাবে কি? বাংলাদেশের সেক্যুলাররা (যাদেরকে আজকাল বামপন্থিরা “নাস্তিক লেখক/ব্লগার” বলে এক ধরণের সম্প্রদায় ভুক্ত করতে চাচ্ছেন!) ইসলাম ধর্মের সালাফী ব্যাখ্যাকে একমাত্র সহি ইসলাম হিসেবে গণ্য করে এর সমালোচনা করে দেশের সাম্প্রাদায়িক-মৌলবাদী শক্তির এতটুকু নড়চড় করতে পারছে কি? 

    অভিযাগ কিন্তু খুব গুরুতর!...প্রথমে যেটা বলা উচিত এ বিষয়ে, ইসলামের ওহাবী মতবাদের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান রাস্তাই মুসলিমদের হজ পালনের উদ্দেশ্যেই মক্কা শরীফে গমন। আমাদের দেশে “হাজি সাহেব” চরিত্রটি অনেক প্রাচীনকাল থেকেই গোঁড়া রক্ষণশীল, যিনি নারীর পর্দার বিষয়ে বাড়াবাড়ি করেন,  যিনি একধরণের ব্রাহ্মণ্যবাদীদের মত ছুৎমার্গ বেছে চলেন- এইরকম একটি ইমেজ হাজী সাহেবে চরিত্রটি জনমানসে গড়ে উঠেছে। এসবই ওহাবী সংস্পর্শের কারণ। প্রতি বছর যে হারে মুসলিমদের হজ পালনের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ইসলামের ওহাবী মতবাদ জনপ্রিয়তা কমানো  কোন সম্ভাবনাই নেই। যদি ভুল না করে থাকি ইসলামের জন্মভূমি সৌদি আরবে কোনকালেই সুফিবাদী বা এই ঘরনার কোন মতবাদ দানা বাধতে পারেনি। আমাদের মত দেশে আশির দশক থেকে নিম্নবিত্ত মানুষ পেটের দায়ে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে চাকরি করতে স্রোতের মত ঢল নামায়। দেশের বেকার সমস্যা কাটানো সহ রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে যেমন এই শ্রমজীবী মানুষের বিড়াট ভূমিকা তেমনি গ্রাম-গঞ্জে  ওহাবী ইসলামের তড়িকা অনুযায়ী ব্যক্তি জীবনের ইসলাম চর্চার ভূমিকায়ও তাদের বিড়াট অবদান! গ্রাম-বাংলার চিরচেনা ইসলামের জায়গায় দখল নিতে থাকে আরবী ইসলাম! যারা একদিন বয়াতী গান আর কবির লড়াই শীতের রাত জেগে শুনতো- তারাই একদিন এসবকে ত্যাগ করেছে “প্রকৃত ইসলামকে” জানতে পেরে। ইসলামে এইসব নফরামী-বেদাতীর স্থান নেই! বয়াতীদের বর্ণনা করা ইসলাম শিরকি!... গ্রামের যখন এই হাল তখন শহুরে মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তের খবর কি? সত্যি বলতে কি, শহুরে উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তের জিহাদী ইসলামে সংম্পৃক্ততা  আবিষ্কার না হলে সম্ভবত জঙ্গিবাদ-জিহাদী ইসলাম নিয়ে আমাদের মধ্যে অতখানি চৈতন্য এখনো হতো না। এই উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্ত ওহাবী সালাফী ইসলামের গ্রাসের শিকার হন মূলত ৯০-এর দশকে আফগান ফেরত মুজাহিদদের দেশে ফেরার পর। মুজাহিদরা এক সময় বুঝতে সক্ষম হন শুধু মাদ্রাসা ছাত্রদের দিয়ে ফয়দা হাসিল হবে না। এর সঙ্গে জুড়তে হবে মূলধারার যুবক-তরুণদের। মেধাবী ও আধুনিকমনা ছেলেদেরকে ইসলামের ছায়ার নিচে আনতে হবে। মাত্র কয়েকটা দশকেই তাদের সেই মিশন এতটাই সফল যে আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে এদেশের ইসলামী জঙ্গিবাদ নিয়ে!  খুবই বিস্ময়কর যে,  এতসব কিছু বাদ দিয়ে বামপন্থি, সুশীল বুদ্ধিজীবী থেকে আওয়ামী লীগ, বিএনপির মত মূলধারার রাজনৈতিক মতালম্বিরা দেশের উগ্রবাদী ইসলাম প্রসারের জন্য অনলাইন সেক্যুলার লেখক-ব্লগারদেরকেই দায়ী করা শুরু করলেন! অথচ শাহবাগ মুভমেন্ট না হলে এদের অনেকেই অনলাইন লেখালেখির কোন খোঁজ-খবরই হয়ত পেতেন না।  গোটা দেশে এই যে ওহাবী ইসলামীকরণের ইতিহাস সেটাকে আমলে না এনে অনলাইনে ব্লগে লেখা গুটি কয়েক সেক্যুলার লেখকরা উগ্রবাদী মৌলবাদীদের উত্থানে বিড়াট ভূমিকা রাখছে’ বলার পর কোন কোন মহলকে নিয়েই সন্দেহটা বেড়ে যাচ্ছে! “সালাফী সেক্যুলাররা” কারুর বাড়া ভাতে ছাই ঢেলে দিচ্ছে না তো …।  

    পশ্চিমাদের মধ্যপ্রাচ্য নীতির কারণে ইসলামী জিহাদীরা আমেরিকা ও তার মিত্রদের শত্রু মনে করে। বামপন্থিদেরও অভিন্ন শত্রু তারা। বামরা তাই জিহাদীদের চলমান যুদ্ধকে সামাজ্যবাদী বিরোধী যুদ্ধ হিসেবেই দেখতে রাজি। ইউরোপে ইসলামী মৌলবাদীদের সঙ্গে বামপন্থিদের আঁতাতের গল্প অনলাইনে অত্যন্ত যৌক্তিক ও উচিত ও অনুকরণীয় কর্ম বলে বামপন্থিদেরকেই পরামর্শ দিলেন এক স্বঘোষিত বামপন্থি। উদাহরণ দিলেন ইউরোপীয়ান বামপন্থিদের। আজকাল গণহারে বাম ঘরানার বুদ্ধিবীজী-লেখক-তাত্ত্বিক নেতাদের মুখের বুলি শুনলে কিন্তু অভিযোগের সত্যতাকে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করে না। এই জন্যই কি ইসলামের নরমশরম চেহারাটিকে প্রচারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছ তারা? তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে আমি আমল দিতে রাজি নই। যদি সত্যিই এর মাঝে সমাধান থাকে ইসলামী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিনাশের তাহলে সেই পথকে মেনে নিতে কোন সৎ ও সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদ বিরোধী সেক্যুলার মানুষেরই দ্বিমত হবার কথা নয়। এখন তাহলে দেখি উদার ইসলামকে সমর্থন জানিয়ে একজন সেক্যুলার হিসেবে প্রকারন্তে একটি ধর্মকে সমর্থন জানিয়ে দেশের সেক্যুলার ও অসাম্প্রদায়িক সমাজের স্বপ্নকে কিভাবে অসুস্থ হলদেটে করে ফেলতে পারি। ইসলামের নবীকে যদি একজন অসাম্প্রদায়িক এবং মক্কা বিজয়ের পর তার উদারতার গল্পকে মিথ্যা জেনেও সমর্থন করি এবং প্রচার করি, উনার প্রতিষ্ঠা করা  ইসলামী রাষ্ট্রকে যদি সত্যিকারের সেক্যুলার-ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবী করি সমস্ত সিরাত-হাদিস গ্রন্থকে চেপে গিয়ে তার ফল কি হবে?  যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন তিনি মদিনা সনদের অধিনে দেশ চালাবেন- সেটা কি আমাদের কানে অসাম্প্রদায়িক-মৌলবাদ বিরোধী কোন ধ্বনি হয়ে ধরা দেয়? যারা দেশে ১৪০০ বছর আগের খেলাফত অনুকরণে ইসলামী খেলাফতের দাবী করছেন তাহলে একজন সেক্যুলার হিসেবে তো আমাকে সেটাকেই মেনে নিতে হয়? যদি আমি তথাকথিত উদার ইসলামকে সমর্থন জানাই, সালাফী ইসলামিস্টদের মত আক্ষরিক ইসলামকে না প্রচার করে এইরকম টক-মিষ্টি-ঝাল টাইপ ইসলামকে প্রচার করি- তাদের সঙ্গে দ্বিমত করার কোন পথ আছে কি? একজন বিধর্মী ইসলামী রাষ্ট্রে দুধে ভাতে থাকুক- কিন্তু রাষ্ট্রটিকে ধর্মীয় ছায়াতলে গিয়ে দাঁড়াতে হলো। সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় পরিচয়ে নামতে হলো। আমরা জানি ইসলামের ইতিহাস, খলিফাদের শাসনকাল থেকে খিলাফতের শেষদিন পর্যন্ত। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে সংখ্যালঘুদের দেশ ত্যাগের পরিমাণ নিয়ে সম্ভবত কারুরই কিছু যায় আসে না। অনলাইনের সেক্যুলার লেখকরা কাল থেকেই লেখালেখি বন্ধ করে দিলেই কি উগ্র মৌলবাদীদের উত্থান বন্ধ হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা “সালাফী সেক্যুলার” বলে নিজেদেরকে যারা “সুফিঘরানার সেক্যুলার” সাজছেন, তারা কি ওহাবী ইসলামকে উদার ইসলাম দিয়ে মোকাবিল করতে পারবেন? সেক্যুলার লেখকদের দোষারোপ করা ছাড়া তারা কিন্তু কোন পথ দেখাতে পারেননি। মানলাম, ইসলামের কোন একক সহি পন্থা  নেই, কিন্তু এই অমৃতবচনে তো “চাপাতি ইসলামের” কোন সুরাহ হবে না। আমরা যারা একটা পথকে বেছে নিয়েছি সমাধানের লক্ষ্য হিসেবে- নির্মোহভাবে ইসলামকে বর্ণনা করা ও বিশ্লেষণ করা। অবশ্যই তার ভিত্তি হবে কুরআন, সর্বজন স্বীকৃত তাফসিরকারকদের তাফসির, সহি হাদিস বর্ণনাকারী হাদিস গ্রন্থ। এই পন্থাটি পুরোপুরি লেখালেখি উপর নির্ভর। অনলাইনে যাদেরকে “নাস্তিক ব্লগার” ট্যাগ মেরছেন তারা শুধুই লেখক- বিপ্লবী কেউ নয়। আমাদের মধ্যে বিপ্লবী ধারার কেউ থাকলে লেখালেখির বাইরে কিছু করার থাকলে তারা সেটা করবেন। কিন্তু অনলাইনের “বিপ্লবীরা” যখন বলেন ইসলামী জিহাদীদের সঙ্গে মার্জ হয়ে সামাজ্যবাদীদের সঙ্গে লড়তে- তখন দেশের অসাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদ নিয়ে আর বড় কিছু আশা করা যায় না। উদার ইসলামের প্রচার ইচ্ছুক কথিত সেক্যুলাররাও যখন সমস্ত দোষ “সালাফী সেক্যুলারদের” উপর চাপায় তখন মৌলবাদেরই জয়ধ্বনিই শুনতে পাই! ধর্ম সে উদারই হোক আর উগ্র- তাকে প্রশ্রয় দিলেই সে সেক্যুলার- মুক্তচিন্তার বুক বরাবর ছুরি চালাবেই! আজ যারা একদল সেক্যুলার মুক্তচিন্তক লেখককে “সালাফী সেক্যুলার” ট্যাগ মারছেন তারা ধর্মের হাতে ধরা (হোক উদার বা উগ্র) তরোয়ালের ধারটাকেই বাড়িয়ে দিচ্ছেন শুধু…।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অপার বাংলা | ২১ মে ২০১৫ | ২৪৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • h | 127.194.230.220 (*) | ২৯ মে ২০১৫ ০৪:০৯86545
  • ভাম বললে আজকাল আর আমার খারাপ লাগে না। ভীমরতি ওয়ালা ভাম বললেও খারাপ লাগে নাঃ-)) সকলেই বলে। বাড়িতে ও বাইরে ;-)

    সু. পা. র যুক্তি ধোঁপে টেঁকে না যদিও।

    মেন কারণ হল, ব্রাদারহুডের ধারণা বা খিলাফৎ আন্দোলন এর ঐতিহ্য। কলোনিয়ালিজম এবং দুটো যুদ্ধ যে এখনকার স্টেট ফর্মেশন এর জন্ম দিয়েছে, গত দেড়শো বছরে, তার আগে অটোমান আর পার্সিয়া কে কেন্দ্র করে আরেক ধরণের ফর্মেশন ছিল। এবং ইংরেজ বা ফরাসী কলোনীর স্বাধীন হওয়ার যে প্যাটার্ন, এই দেশ গুলিতে ইতিহাসের সঞ্চার সে ভাবে হয় নি। ইজিপ্ট আর আলজিরিয়া এই দুই ঘরণার ঠিক মাঝে।

    ভারতীয় দল যখন ক্রিকেট খেলতে যায় তার সমর্থন অনেকটাই হিন্দু আইকোনোগ্রাফি কে ইউজ করে হয়, জেনেরালি ভারতীয় বলতে যা বোঝায়, তা অনেকটাই ন্যাশনালিজম এর আড়ালে হিন্দু আইকনোগ্রাফি বা সিম্বলিজম। সরকারী অনুষ্ঠানে নারকোল ভাঙা প্রদীপ জ্বালানো। এখন মেজরিটির উপরে ডিপেন্ড করে কোনটাকে ন্যাচারাল মনে হবে।

    হ্যাঁ অশিক্ষিত জনতা পাগ্লা শাঁড়ের মত ব্যবহার করলে, মুশলমানের ঘরে জন্মানো শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের এম্ব্যারাসিং লাগবেই, ঠিক যেমন রামকে ন্যাশনাল আইকন বল্লে শুধু না, তার নামে সরকারী সাহায্যে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হলে হিন্দু শিক্ষিত লিবেরেল দের লাগবে। মহায়ন বলে একজন কয়েকটি দামী কথা বলে গেছেন। তবে বই পড়ার বিরুদ্ধে কেন খচে গেছেন সেটা বুঝি নি।

    কেস হল ভারতবর্ষে যেখানে লেফ্ট বা কংগ্রেসে র চিহ্ঞ নেই, সেখানেই সবচেয়ে বেশি রায়ট হয়েছে। ব্যতিক্রম মুজফ্ফর নগর। এটা অনেকটা ওয়ার্ল্ড জিউয়ারি ক্নস্পিরেসি থিয়োরি র মত, যেত বিংশ শতকের প্রথম দিকে হয়েছিল।

    বিষয় হল, বামাতি দের পজিশন সমর্থন্যোগ্য নয়, কিন্তু জাতি সত্ত্বা সংক্রান্ত পোকো ধারণার সংগে কনসিস্টেন্ট, কিন্তু এই সব যুবা র হত্যা যারা কিনা দেশের বেস্ট ছেলে মেয়ে, এ মানে মানা যায় না। এ মানে কঠোর শাস্তি চাই। অবশয়ি, আওয়ামী লিগের গুন্ডা রা বোমা ফাটালে বা খুন করলে বা পুলিশ অত্যাচার করলে তার বিচার ও চাইতে হবে। আইন আর জাতি সত্ত্বা যত বিরুদ্ধ পক্ষ ই হোক না কেন, চ্যাংড়ামো নাকি? তবে ব্লগার দের শুধু আসুন আপনার উপকার করি ছেড়ে মানুষ কে সংগে নিয়ে আউগাইতে হবে বলে মনে হয়।

    (পুঃ - আমাকে কেউ সংগে না নিলেই হল ;-))
  • | 24.97.190.192 (*) | ২৯ মে ২০১৫ ০৪:৫১86549
  • সেইটা হল প্রোজেক্ট ২০২০ বাংলাস্তান। তাতে আসাম ইত্যাদিও ধরে রেখেছে জামাতীরা।
  • Arpan | 125.118.213.8 (*) | ২৯ মে ২০১৫ ০৫:২৮86550
  • তারপরে তো মার্জিন থেকে দিল্লি নাচাবে।
  • শাক্যজিৎ | 116.51.232.108 (*) | ২৯ মে ২০১৫ ০৬:৪০86546
  • সুষুপ্ত বাবু , রেগেমেগে ভুলভাল অ্যালিগেশন দেবেন না। ভারতে হিন্দু মৌলবাদ তার দাঁতনখ অলরেডি বার করে ফেলেছে। আপনাদের চোখে তা ধরা পড়বে না কারণ চরিত্রে মুসলিম মৌলবাদের থেকে তা আলাদা। সব ধর্মের মৌলবাদের চরিত্র এক হতে হবে? হিন্দুরা মানববোমা হয়ে ফেটে পড়ছে না তাহলে মুসলিমরা কেন পড়ছে এ আবার কোন দেশী বোকা বোকা প্রশ্ন? মৌলবাদীদের রিঅ্যাকশন আপনার কাস্টমাইজড পথে হবে না। আপনি ডিসাইড করে দিতে পারেন না কার রিঅ্যাকশন কেমন হবে। ভারতে হিন্দু মৌলবাদীদের বাড়বাড়ন্ত বুঝতে গেলে মুম্বাই-এর বস্তিগুলো বা গুজরাতের মুসলিমদের ঘেটো থেকে ঘুরে আসুন। সাংস্কৃতিক আধিপত্য বুঝতে গেলে বলিউড বা ক্রিকেটের দিকে চোখ রাখুন। ভারতে মুসলিম মৌলবাদের বিপদ হিন্দু মৌলবাদের তুলনায় কিস্যু নয়।

    আর বর্ণবাদী আচরণ খত্না দেখে করার দরকার নেই। টুপি দাড়ি হিজাব বোরখাই তার জন্য যথেষ্ট। নামটাই যথেষ্ট। মার্কিন এয়ারপোর্টে মুসলিমদের কেমনভাবে আলাদা সিকিওরিটিতে ঢুকিয়ে চেক আপ করা হয় সেসব গল্প তো অলরেডি অনেকেই শুনেছি। আপনার কি ধারণা পোস্ট ৯/১১ পৃথিবীতে হিন্দু আর মুসলিম দুজনকে পশ্চিম-বিশ্ব এক চোখে দেখে? রিয়েলি? ইস্লামোফোবিয়া টার্মটা কিন্তু ২০০১ এর পরেই সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হতে শুরু করেছে, এবং ম্যাক্সিম্মাম ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডে।

    খুন কেউ সমর্থন করছে না। কিন্তু সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেঁড়ে ব্যাটাকে ধর সব দোষের জন্য, এটা সমস্যার সমাধান করবে? এ প্রায় কোল্ড ওয়ার জমানায় কমিউনিস্টদের যেভাবে ট্রিট করা হত সেরকম হয়ে যাচ্ছে। যা ক্কিছু ঘটবে সব কমিদের দোষ। তাদের স্পট করে লিস্ট করে রিপোর্ট করতে হবে। উই অলয়েজ গো অন সার্চিং দ্য আদার, যা বুঝলাম :)
  • সুষুপ্ত পাঠক | 190.149.19.105 (*) | ২৯ মে ২০১৫ ১১:৪৬86547
  • দেখুন আপনার যদি মনে হয় ভারতবর্ষে মুসলিম মৌলবাদী থেকে হিন্দু মৌলবাদী বেশি ভয়ংকর তাহলে সেটাকে নিয়েই ফাইট করুন না, কে মানা করেছে? কিন্তু ঐ যে “ইসলামোফোবিয়া”টা কি জিনিস ভাই? “দারুল ইসলাম” কি জিনিস জানেন? ওটা ইসলামের অন্যতম একটা লক্ষ্য যা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য কিয়ামতের পর্যন্ত ফরজ। ইসলামের এই মূল ভাষ্যকে এখন শিক্ষিত জনগোষ্ঠির মধ্যে ব্যাপক হাড়ে প্রচার করা যাচ্ছে। একে মোকাবেলার করার মত কোন উপায় নেই! বাংলাদেশের সেক্যুলার-অসাম্প্রদায়িক বুদ্ধিজীবী, চিন্তক, রাজনৈতিক কর্মী সবাই পথ খুঁজছে কিন্তু সমাধান নেই। কারণ কি জানেন? হাদিস! হাদিস থেকে দেখিয়ে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া কি্শোর-যুবাদের বয়ানের নামে এরকমই শেখানো হচ্ছে। একে মোকাবেলা করা যাবে কিভাবে? বলবে হাদিস ভুয়া? কল্লা থাকবে? একজন বিশ্বাসী মুসলমান সে হয়ত সেভাবে ধার্মীক নয়, নিজের প্রফেসন নিয়ে থাকেন, ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামান না, তাকেও জিজ্ঞেস করে দেখবেন- দারুল ইসলাম অর্থাৎ “মুসলিমদের বিশ্ব” চান কিনা- উত্তর জেনে এসে তারপর ভমপন্থি দর্শন দিয়ে এসবকে খন্ডন করবেন। আমরা বিপদে আছি হাদিস আর কুরআনকে নিয়ে। এখানে এত খোলামেলাভাবে বিদ্বেষ আর সাম্প্রদায়িকতা আছে যে একজন বিশ্বাসী মুসলমান এ থেকে অবিশ্বাস করবে কিভাবে? ৯০-এর দশকে আফগান যুদ্ধ ফেরত বাংলাদেশী মুজাহিদরা দেশে ফিরে আফগান তালেবানদের দেখে আশান্বিত হয়ে উঠে যে তারাও বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব কায়েম করতে পারবে। শুরু হয় হরকাতুল জিহাদ যুগ। প্রথম টার্গেট হন “সুধাংশুরা পালাবে না” কবিতার কবি শামসুর রাহমান।… তারপর যে ধারাবাহিকতা যদি বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্যিই খোঁজখবর রাখেন অজানা থাকার কথা নয়। আমি বার বার একটা কথা বলি, ইসলামী মৌলবাদীকে ঠেকানো খুব কঠিন। কারণটা হচ্ছে ইসলাম নিজেই রাজনীতি করেছে। ইসলামের নবী রাষ্ট্র গঠন করেছিলেন, তিনি রাজনীতি করেছেন। তিনি তার রাষ্ট্রের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এসব হাদিস, সিরাত গ্রন্থে বিস্তারিত আছে। ইউরোপে খিস্টান-ইহুদী ধর্মের নখ-দাঁত ভোঁতা হয়ে গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পর চুড়ান্তভাবে। হিন্দু মৌলবাদীদের খুব সহজেই ধর্ম দিয়েই রোখা যাবে, তার জন্য ধর্মের বিরোধী কথা বলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ইসলামী মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে আমাকে ইসলামের বিরুদ্ধেই বলতে হবে যা আপনাদের কাছে “ইসলামোফোবিয়া” হয়ে যাবে। আপরারা হয়ত জানেন না, মাওলানাদের মধ্যে যারা তুলনামূলকভাবে উদার মতবাদ প্রচার করে তারাও বাংলা ব্লগের মুক্তচিন্তক লেখকদের মতই মৃত্যু ঝঁকিুতে আছেন! মাওলানা ফারুকীর নাম শুনেছেন? তার কল্লা কাটা হয়েছে! কতটুকু জানেন বাংলাদেশ সম্পর্কে? ইসলাম সম্পর্কে?
  • h | 127.194.227.109 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০১:১৩86561
  • আরে ইংরেজি তে লিখুন না , আমার অন্তত কোনো আপত্তি নেই। সুন্দর ইংরেজি লেখেন তো। যদিও একেবারেই সহমত নই। বাংলা ছাড়া লেখা যাবে না সেটা কোথাও ল্যাখা নাই।

    যা কলা ভুল টই তে বলেছি। হ্যাঁ জামাতি দের সংগে অ্যালায়েন্সে যাওয়ার কোনো মানে নেই বাংলাদেশে এবং তার কারণ টা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সিভিল ওয়ার। এবং এর স্কার কোনোদিন ঘোচা মুশকিল। তিন চার জেনেরেশন লাগবে। আয়ারল্যান্ডে এদ্দিনে হয়েছে খানিকটা। স্পেন, সাউথ আফ্রিকা তে কিছুট মিটলেও, প্যালেস্টাইনে হয়তো কোনোদিন মিটবে না।

    কিন্তু তার মানে এই নয় পোলিটিকাল ইসলামের কোনো বাস্তব অভিজ্ঞতার ভিত্তি নেই। তার মানে এই ও নয় পোলিটিকাল ইসলাম আর রেজিস্টান্স ইস্লাম এ পার্থক্য নাই। তার মানে এই ও নয়, ইসলামে একটাই টেক্স্ট আছে, যার সর্বইব বিরোধিতা না করতে পারলে সেকুলার হওয়া যাবে না। আর অভিজিত রায় সত্যি ই সংখ্যালঘু ছিলেন, সেকুলার দের মধ্যেও ছিলেন, অনেক জায়্গাতেই একমত নই, কিন্তু তিনি অন্য অনেক নব্য সেকুলারিস্ট দের থেকে বেশি লেখাপড়া করেছিলেন, মানুষের কাছে বিজ্ঞান নিয়ে পৌছনোর একটা ইচ্ছে ছিল, প্রচেষ্টাও ছিল, প্রাণ দিলেন, কিন্তু ধর্মের পুরোহিত দের অ্যাটাক করতে দিয়ে স্ক্রিপচার এবং অসংখ্য স্কুল অফ থট এর খেয়াল রাখেন নি।

    ঐটই তেও ছেপে দিলাম।
  • h | 127.194.227.109 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:০১86551
  • রঞ্জন দা, এই প্ল্যান টা শরৎ বসু ও করেছিলেন। তো নামাতে পারেন নি। তবে ওনাকে হিন্দু সাম্প্রদায়িক বলে গাল খেতে হয় নি। অ্যাব্সেন্টী ল্যান্ড লর্ড এর প্রতিভূ বলেও গাল খেতে হয় নি। বরঞ্চ রাখীবন্ধনের উত্তরসূরী হিসেবে সম্মান পেয়েছেন হিন্দু স্মৃতিতে।

    আসামে মাইগ্রান্ট লেবার রা মুসলমান চাষী। দীর্ঘকাল ধরে। ফকরুদ্দিন আহমেদ এর কন্ট্রোভার্সিয়াল আহ্বানে অনুপ্রবেশের ঢল নেমেছে একথা বলা হয়ে থাকে, তার বহু আগে থেকে প্লেন্স এ চাষ করার স্কিল এবং লো ওয়েজ এর কারণে তারা এসেছে গেছে। এখন মহারাষ্ট্রের মত বাংলা ভাষায় কথা বল্লেই বোডোল্যান্ডে লোকে ভাবছে অনুপ্রবেশ কারী, এবং বোডো দের মধ্যে উগ্র অংশ রেগুলার আদিবাসী এবং মুসলমান বসতি ও গ্রামে আক্রমণ করছে। এই খবর কে পোলিটিকাল প্রচারের কাজে ব্যবহার করেছে জামাতি রা। কারণ তাদের কাছে সারা পৃথিবীর ফান্ডামেন্টালিস্ট দের মতই, ডিস্কন্টেন্ট ই সোশাল ক্যাপিটাল।

    মুসলমান দের সম্পর্কে ভারতীয় বামপন্থী দের ঐতিহাসিক অবস্থানের সংগে মমতা ব্যানার্জির ভোটের জন্য সংরক্ষনশীলতা কে সমর্থন দেওয়ার কোনো মিল নেই। ন্যুনতম খবর রাখলে এটা বোঝা যাবে।

    দমুর রিসেন্ট পোস্ট ও পাতি স্কেয়ার মংগারিং। এই কাজ তরুণ গোগৈ যথেষ্ট করছেন, ইন্টেলেকচুয়াল দের তাতে তাল দেওয়ার কিসু হয় নি।

    ডিটেলে যাছি না, মানে যতটা ডিটেল লাগবে বলবেন।

    অর্গানাইজ্ড এবং পার্সোনাল ক্রাইম দুটৈ দুপার বাংলা যাতায়াত করেছে, তার জন্য সকারকে দায়ী করা যায়। বা রাজনইতিক-ক্রাইম নেক্শাস কে দায়ী করা যায়। জেনেরালি। হ্যাঁ ধরুণ জামাতিরা চায় বাংলা দখল করতে, তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনী কি উৎপাটন করছে। বর্ডারে গরু চোর আর গরীব মানুষ কে গুলি করা ছাড়া বি এস ফ কোন উপকারে এসেছে। জামাতি রা প্রচার করে, র এবং হিন্দু ভারতের সরকার বাংলা দেশ গভরনমেন্ট কে পাপেট সরকার বানিয়ে রাখতে চায়, রিজিওনাল ডমিনেশন এর ডক্ট্রিন কোন ডেশের ডক্ট্রিনে নেই, তাও জামাতের প্রচার অমূলক এবং আপনার প্রচার ও ভিত্তিহীন।

    এই জাতীয় ভাবনা থেকেই তিস্তা চুক্তি তে মমতা বাগড়া দেওয়ায় জামাতী দের ভারতের বিগ ব্রাদার আচরণ প্রমাণ করতে সুবিধে হয়েছিল।

    চীন বহুদিন যাবৎ অরুণাচল টার্গেটে রেখেছে, কন্টিনিউআস লাদাখে ইনকারশন করছে খবর পাওয়া যায়। তো তার সংগে মোদী সেল্ফি তুলেছেন শুধু তাই না, আবার বলে এসেছেন, রিজিওনাল ডমিনেশন অ্যাম্বিশন ইজ লেজিটিমেট।

    তো স্টেট পলিসি, অর্গানাইজ্ড পলিটিক্স এর বোগাস অয়্ম্বিশন এর দ্বারা নিজেদের অ্যানালিসিস প্রভাবিত হলে কিছু বলার নেই। কম্প্লিট লোড অফ রাবিশ।
  • h | 127.194.227.109 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:০৫86552
  • বিষয়ে বাংঅলাদেশ পাকিস্তান এলেই সব ভারতীয় অবজেক্টিভিটি লোপ পায় মাইরি। তখন আর স্টেট ন্যারেটিভ এর বাইরে কিসু দ্যাখা যায় না। এটা থেকে বেরোনো দরকার।
  • | 24.97.43.163 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:১২86553
  • ভুল টইতে গালি দিলে। আমি এইখানে মমব্যানকে নিয়ে কিস্যু বলি নি। এইটা সম্ভবত ঐ শাক্যবাবুর লোড অফ রাবিশের নীচে যাওয়া উচিৎ ছিল।

    আর হ্যাঁ আমি মনে করি জামাতীদের সাথে কোনোরকম কম্প্রোমাইজে যায়া সম্ভবও নয় উচিৎও নয়।
  • Nayana | 176.137.242.75 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:৩০86554
  • The comments from H has a condescending tone, acts as an auhtority of the subject, uses reading references as a tool for snobbery. Very unfortunate. The theoretical and factual knowledge in the posts can be phrased in a less aggressive and satirical manner.
  • | 24.97.43.163 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:৪১86555
  • অফ টপিঃ নয়না আপনি বাংলায় লিখলে একটু বেশী পঠনযোগ্য হত আমার পক্ষে। বাংলায় লেখার কোনও সমস্যা আছে কি সফটওয়ার বা লে-আউট ইত্যাদির? তাহলে সাহায্য করার চেষ্টা করতে পারি।
  • | 24.97.43.163 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:৪২86556
  • *অফ টপিক
  • শ্রী সদা | 116.51.135.196 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:৫৬86557
  • "হ্যাঁ ধরুণ জামাতিরা চায় বাংলা দখল করতে, তাহলে ভারতীয় সেনাবাহিনী কি উৎপাটন করছে।"
    ~ কিন্তু আর্মি টেররিস্ট ক্যালালে তো আবার মানবাধিকার হ্যান ত্যান নিয়ে রাস্তায় নামা হবে। কেন টেররিস্টদের মারা হলে, কেন বিচার করে আগে প্রমাণ করা হল না যে তারা সহি টেররিস্ট ইঃ। শাঁখের করাত কেস।
  • Nayana | 176.137.242.75 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৬:৫৭86558
  • D,
    Sorry! I should probably try to type in Bengali. I never wrote much in Bengali, even simple conversational sentences. I grew up and spent a long part of my life in Kolkata, Dhaka and Yangon. I am little ashamed of my Bengali writing skills, specially the spelling. My mother was a Bengali and she was the inspiration behind reding Bengali books and listening to Bengali songs.. My father is not a Bengali speaking person.
    A friend of mine referred me to this site about an year ago. It intrigued me as the discussions relate to both West Bengal and Bangladesh.
    I will try to type in Bengali. Hope you understand my limitations.
  • | 24.97.43.163 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৭:০০86559
  • আপনার বেড়ে ওঠার জায়গাগুলো খুব ইন্টারেস্টিং নয়না। কখনও স্মৃতি থেকে কিছু লিখলে খুব ভাল লাগবে। আপনি তো বাংলা পরিস্কার পড়তে পারেন দেখছি।
    বেশ তো আপনি চেষ্টা করুন না, আমরা পাঁচজন আছি তো সাহায্য করতে।

    তবে চাপ নেই। বক্তব্য রাখা থামাবেন না।
  • নির | 212.78.26.26 (*) | ৩০ মে ২০১৫ ০৮:৫০86560
  • নয়না যে শরত্চন্দ্রের আমলের দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিলেন !
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন