এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সিজারিয়ান ডেলিভারির "অপ্রয়োজনীয়তা"

    ডা: সমুদ্র সেনগুপ্ত লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১০৪৩ বার পঠিত
  • পটভূমি:

    সিজারিয়ান ডেলিভারি বা অপারেশনের "অপ্রয়োজনীয়তা" নিয়ে আলোচনার গোড়াতেই দু'একটি কথা পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO মেটাএনালাইসিস পদ্ধতি অনুসরণ করে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমীক্ষার ফলাফল দেখে এই সিদ্ধান্তগুলিতে পৌঁছনোর চেষ্টা করে:

    (১) মা ও শিশুর জীবন বাঁচাতে সিজার একটি কার্যকর পদ্ধতি যতক্ষণ অবধি সেটি মেডিক্যাল কারণের জন্য করা হচ্ছে।
    (২) জনসাধারণের স্তরে ১০% এর বেশি সিজারের হার কোনভাবেই মা ও শিশুর মৃত্যুহার হ্রাস পাওয়ার সাথে সম্পর্কিত নয়।
    (৩) সিজারের ফলে তাৎপর্যপূর্ণ এবং কিছু সময়ে চিরস্থায়ী ক্ষতি, প্রতিবন্ধকতা, অথবা মৃত্যু হতে পারে বিশেষ করে সেই সব পরিষেবা কেন্দ্রে, যেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই অপারেশনের কমপ্লিকেশন সামলানোর জন্য।
    (৪) যখন মেডিক্যালি প্রয়োজন তখনই কেবলমাত্র সিজার করাই আদর্শ।
    (৫) সিজারের হারের কোন নির্ধারিত মাত্রাপূরণকে লক্ষ্য না বানিয়ে যে মায়ের সিজার প্রয়োজন, সেই সব প্রতিটি মায়ের সিজারের সুবিধার ব্যবস্থা করাই লক্ষ্য হওয়া উচিত।

    ১৯৮৫ সালে প্রজনন স্বাস্থ্যের একদল বিশেষজ্ঞ ব্রাজিল এর ফোর্তালেজাতে WHO আয়োজিত এক বৈঠক এর শেষে বিবৃতি দেন: "সিজার ডেলিভারির আদর্শ হার হওয়া উচিত মোট ডেলিভারির ১০-১৫%"।

    [সূত্রঃ World health organization. appropriate technology for birth. lancet 1985]

    এই অপটিমাল সিজার রেট নিয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে আছে সমস্ত তথ্যাবলীকে বিশ্লেষণ করার সময়ে প্রয়োজনীয় একটি শ্রেণীবিভাগ, যা নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।

    শ্রেণীবিন্যাসের বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে ২০০১ সালে ডাঃ মাইকেল রবসনের আবিষ্কৃত বিন্যাসটি এখনো পর্যন্ত গবেষকদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ওই পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতিটি গর্ভবতী মাকে ১০টি শ্রেণীর কোন একটিতে ফেলা হয়, যাতে করে তার সিজারের মেডিক্যাল প্রয়োজনীয়তা মাপা যায়। [পরিশিষ্ট দ্রষ্টব্যঃ]

    ভারতের চলচিত্র:

    তথ্যমালা এক: রাজ্যের নাম ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার শতাংশে: কেরালা (99.9), মহারাষ্ট্র (90.3), তামিলনাড়ু (99.0) ও বাংলা (75.2)। এই কারণে বাকি আলোচনায় এই চারটি রাজ্যকে বেছে নেওয়া যাক।
    তথ্যমালা দুই: সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রসবের (নর্মাল ও সিজার দুটি সহযোগে) হার মোট প্রসবের শতাংশে: তামিলনাড়ু (66.7), বাংলা (56.6), মহারাষ্ট্র (48.9) ও কেরালা (38.4)। কেরালার তুলনায় বাংলার সরকারি ব্যবস্থাতে বেশি মানুষের প্রসব হচ্ছে।
    তথ্যমালা তিন: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মোট প্রসবের মধ্যে সিজারের হার শতাংশে: বাংলা (70.9), তামিলনাড়ু (51.3), কেরালা (38.6) ও মহারাষ্ট্র ( 33.1)। অৰ্থাৎ অন্য রাজ্যের তুলনায় বেসরকা্রি প্রতিষ্ঠানে সিজারের হারে বাংলা অনেকটাই এগিয়ে। ইন ফ্যাক্ট এই হারে গোটা ভারতে আর দুটি রাজ্য কেবল বাংলার কাছাকাছি আছে। তেলেঙ্গানা (74.9) এবং ত্রিপুরা (73.7)। গোটা ভারতে এই হার 40.9।
    তথ্যমালা চার: সরকারি প্রতিষ্ঠানে মোট প্রসবের মধ্যে সিজারের হার শতাংশে: কেরালা (31.4), তামিলনাড়ু (26.3), বাংলা (18.8) ও মহারাষ্ট্র (13.1)। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর বেঁধে দেওয়া উর্দ্ধ সীমার কাছাকাছি আছে বাংলা ও মহারাষ্ট্রের সরকারি হাসপাতালগুলি। গোটা ভারতে এই হার 11.9, যা WHO এর লিমিট এর মধ্যে। কিন্তু সব মিলিয়ে সিজারের হার অনেকটাই বেশি।

    [সূত্রঃ National Family Health Survey 2015-16]

    দুষ্টু ডাক্তার:

    সরকারি ব্যবস্থাপনার তুলনায় বেসরকারি ব্যবস্থায় সিজারের হার বেশি, এই তথ্যের তাৎপর্য খোঁজার আগে একটা কথা মনে রাখতে হবে। সরকারি প্রাথমিক স্তরের প্রতিষ্ঠান যেমন গ্রামীন হাসপাতাল, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা শয্যাযুক্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির অধিকাংশতে সিজারের ব্যবস্থাই নেই। গ্রামীন অঞ্চলের এই সিজারের চাদিহার বড় যোগান দিচ্ছে ছোট নার্সিং হোমগুলি।

    ২০১০ সাল অবধি সারা ভারতে এই হার ছিল ৮.৫%, কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সেটা বেড়েই চলেছে। শহরাঞ্চলে তো বটেই, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও। একটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে যে ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে গ্রামীণ হরিয়ানায় ওই হার ৩১% থেকে লাফিয়ে বেড়ে হয়েছে ৫১%।

    [সূত্রঃ The Internet Journal of Gynecology and Obstetrics, Volume 17, Number 2:Rising Incidence Of Caesarean Section In Rural Area In Haryana India: A Retrospective Analysis; G Singh, E D Gupta]

    ধরে নেওয়া যেতেই পারে যে এইসব সিজারের একটা অংশ মেডিক্যাল প্রয়োজন ছাড়াই ডাক্তার ও নার্সিং হোম বা বেসরকারী হাসপাতালগুলির পকেট ভরানোর জন্য হচ্ছে। অর্থাৎ WHO এর পরিভাষায় "অপ্রয়োজনীয় সিজার"। এর শতাংশ হিসেবে করে বলা মুশকিল কারণ আমাদের দেশে এই জাতীয় বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার অভাব।

    দুষ্টু রুগী:

    কিছু রুগী (গর্ভবতী মা বা তার বাড়ির লোক) যারা একটি নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ে ডেলিভারি করা পছন্দ করে থেকে নর্মাল ডেলিভারীর প্রসব বেদনা এড়াতে চাওয়া রুগী সহ বিভিন্ন রুগীর বিচিত্র সব বিশ্বাস ও বায়াস আছে, যা ডাক্তারকে বাধ্য করে সিজার করতে।

    এটি কেবলমাত্র ভারতীয়দের প্রবণতা ভাবলে ভুল হবে। চিনদেশে ৫০% সিজার করা হয় যার বড় একটা কারণ রুগীর ইচ্ছে।

    গবেষণায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হলেও বহু বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় এটা দেখা গেছে যে মা ও বাচ্চা, দুজনের স্বাস্থ্যের পরিণতি অনেক ভালো থাকে সিজারের তুলনায় নর্মাল ডেলিভারি হলে।

    [সূত্রঃ Cesarean versus Vaginal Delivery: Long term infant outcomes and the Hygiene Hypothesis; Josef Neu, MD and Jona Rushing, MD]

    সমীক্ষায় এটাও দেখা গেছে যে নিম্নতর থেকে উচ্চতর ওয়েলথ ইনডেক্স বা সম্পদ সূচকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সিজারের হার বাড়ছে। (p value< ০.০০১)

    [সূত্রঃ High prevalence of cs birth in private sector health facilities; Priyanka Singh, Gulam Hashmi, Prafulla kumar Swain]

    ধনবান পরিবার, আপার কাস্ট, উচ্চশিক্ষার হার এগুলি যত বেশী, সেই সব মায়েদের মধ্যে সিজারের হার তত বেশী। (p value< 0.001)।

    [সূত্রঃ Ronsmans C, Holtz S, Stanton C. Socioeconomic differentials in cesarean rates in developing countries: a retrospective analysis. Lancet. 2006;368(9546):1516–23]

    রুগী যদি মনে করেন যে সিজার করে বাচ্চা হওয়াটা একটা স্ট্যাটাস সিম্বল, তাহলে সেই রুগীকে নর্মাল ডেলিভারির সুফল বোঝানোর জন্য কাউন্সেলিং কতটা কাজে আসবে সেটাই প্রশ্নচিহ্নের সামনে।

    দুষ্টু সমাজ ও সভ্যতা:

    ডাক্তারদের বা রুগীদের "দুষ্টুমি" করার ইচ্ছেটাকে কোনওভাবে দমন করা গেলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কারণ বহুক্ষেত্রেই আমাদের স্বাস্থ্য ও জীবনশৈলীর পরিবর্তনের ফলে চিন্তাজনক এপিডমিওলজির ছবি সামনে আসছে ক্রমশঃ। বেশি বয়সে প্রথমবার মা হওয়া মহিলাদের অনুপাত বাড়ছে। বিখ্যাত মেয় ক্লিনিকের মতে ৩৫ ঊর্ধ্বে মহিলার গর্ভাবস্থা একটা ঝুঁকিপূর্ণ ঘটনা।

    খাদ্যাভ্যাস ও মেটাবলিক পরিবর্তন এর সাথে কায়িক পরিশ্রম হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা যুক্ত হওয়ার ফলে ডায়াবেটিস ও স্থূলতা রোগের প্রকোপ বাড়ছে ভীষণভাবে আমাদের দেশে। এদের একটি বড় অংশ মহিলা। গর্ভাবস্থা জনিত ডায়াবেটিস রোগের পরিমাণও বাড়ছে। এরা সবাই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, যাদের বড় অংশের সিজার ছাড়া গতি নেই।

    উপসংহার:

    নর্মাল ডেলিভারির সুফল অনেক বেশি। কিন্তু মেডিক্যালি প্রয়োজনীয় হলে সিজার করতে হবে। এর বাইরে ডাক্তারের "ইচ্ছে" বা মায়ের/বাড়ির লোকের "ইচ্ছে"কে আমরা যত বেশি মর্যাদা দেব, তত বেশি মা ও শিশুর স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপদ সিজার করার পরিকাঠামো ও মানবসম্পদ বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম। সেদিকে আশু নজর দেওয়া প্রয়োজন। বেসরকারি ক্ষেত্রে ও কিছু সময় সরকারি ক্ষেত্রেও সিজার সম্পর্কিত তথ্য বৈজ্ঞানিক ক্লিনিক্যাল অডিট করার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দিনের শেষে সিজার নামক এপ্রোপিয়েট টেকনোলজি বা যথোপযুক্ত প্রযুক্তিকে কাঠগড়ায় তুলে লাভ নেই। প্রযুক্তির ব্যবহার বা অপব্যবহার, সবটাই আমাদের হাতে। সচেতন হওয়ার সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। একটু পা চালিয়ে ভাই।

    পরিশিষ্ট:

    রবসন এর শ্রেণীবিন্যাস: সমস্ত গর্ভবতী মা:

    1. Nulliparous women with a single cephalic pregnancy, atgreater than or equal to 37 weeks gestation, in spontaneouslabor.
    2. A. Nulliparous women with a single cephalic pregnancy, atgreater than or equal to 37 weeks gestation, who haveinduction of labor.
    2. B. Nulliparous women with a single cephalic pregnancy, atgreater than or equal to 37 weeks gestation, who aredelivered by cesarean section prior to the onset of labor.
    3. Multiparous women without a previous uterine scar, with asingle cephalic pregnancy at greater than or equal to 37 weeks gestation in spontaneous labor.
    4. A. Multiparous women without a previous uterine scar, witha single cephalic pregnancy at greater than or equal to 37 weeks gestation, who have induction of labor.
    4. B. Multiparous women without a previous uterine scar, witha single cephalic pregnancy at greater than or equal to37 weeks gestation, who are delivered by cesarean sectionprior to the onset of labor.
    5. A. Multiparous women with one previous uterine scar and asingle cephalic pregnancy at greater than or equal to37 weeks gestation.
    5. B. Multiparous women with more than one previous uterinescar and a single cephalic pregnancy at greater than orequal to 37 weeks gestation.
    6. Nulliparous women with single breech pregnancy.
    7. A. Multiparous women with a single breech pregnancy,without previous uterine scar/s.
    7. B. Multiparous women with a single breech pregnancy, withprevious uterine scar/s.
    8. A. Women with multiple pregnancies without previous uterinescar/s.
    8. B. Women with multiple pregnancies with previous uterinescar/s.
    9. A. Women with a single pregnancy with a transverse oroblique lie, without previous uterine scar/s.
    9. B. Women with a single pregnancy with transverse or obliquelie with a previous uterine scar/s.
    10. A. Women with a single cephalic pregnancy at less than orequal to 36 weeks gestation, without previous uterine scar/s.
    10. B. Women with a single cephalic pregnancy at less than orequal to 36 weeks gestation, with previous uterine scar/s.

    সাফাই: আমি স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ নই, নেহাৎই জনস্বাস্থ্যের লোক। তত্ত্বগত কোনও ত্রুটি নিজগুণে ক্ষমা করে দেবেন।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১০৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • স্বাতী রায় | 781212.194.8978.145 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৭79302
  • এই লেখাগুলো ছড়িয়ে পড়ুক. আর শুধু সিজারিয়ান ও নর্মাল ডেলিভারি নয়, বিভিন্ন রকম ডেলিভারির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আরো বিষয়গুলি যেমন এপিসিওটমি, এপিডিউরাল অ্যানেসথেসিয়া, কৃত্রিম উপায়ে পেন তোলা, পোস্ট ডেলিভারি বেবি কেয়ার, কলস্ট্রামের প্রয়োজনীয়তা, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং ইত্যাদি যে সব জিনিস মেয়েদের জানা প্রয়োজন অথচ সাধারণ জ্ঞান প্রায় শূণ্য সেগুলো নিয়ে একটু সকলের জ্ঞান বাড়ুক. দরকার খুব.
  • স্বাতী রায় | 781212.194.8978.145 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৭79301
  • এই লেখাগুলো ছড়িয়ে পড়ুক. আর শুধু সিজারিয়ান ও নর্মাল ডেলিভারি নয়, বিভিন্ন রকম ডেলিভারির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আরো বিষয়গুলি যেমন এপিসিওটমি, এপিডিউরাল অ্যানেসথেসিয়া, কৃত্রিম উপায়ে পেন তোলা, পোস্ট ডেলিভারি বেবি কেয়ার, কলস্ট্রামের প্রয়োজনীয়তা, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং ইত্যাদি যে সব জিনিস মেয়েদের জানা প্রয়োজন অথচ সাধারণ জ্ঞান প্রায় শূণ্য সেগুলো নিয়ে একটু সকলের জ্ঞান বাড়ুক. দরকার খুব.
  • স্বাতী রায় | 781212.194.8978.145 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৬:৪৭79300
  • এই লেখাগুলো ছড়িয়ে পড়ুক. আর শুধু সিজারিয়ান ও নর্মাল ডেলিভারি নয়, বিভিন্ন রকম ডেলিভারির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আরো বিষয়গুলি যেমন এপিসিওটমি, এপিডিউরাল অ্যানেসথেসিয়া, কৃত্রিম উপায়ে পেন তোলা, পোস্ট ডেলিভারি বেবি কেয়ার, কলস্ট্রামের প্রয়োজনীয়তা, এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং ইত্যাদি যে সব জিনিস মেয়েদের জানা প্রয়োজন অথচ সাধারণ জ্ঞান প্রায় শূণ্য সেগুলো নিয়ে একটু সকলের জ্ঞান বাড়ুক. দরকার খুব.
  • sm | 2345.110.124512.154 (*) | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪২79303
  • একজন নারী চান না লেবার পেন এর কষ্ট নিতে।তিনি মনে করেন এই টি তাঁর শরীর ও তিনি যেরকম চাইবেন সে ভাবেই চিকিৎসা হবে।
    এক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে?
  • স্বাতী রায় | 781212.194.6734.219 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:৩৭79304
  • আমার তো মনে হয় একজন না চাইতেই পারেন। তবু বোঝা দরকার সেই না চাওয়াটা কতটা জেনে বুঝে না চাওয়া - বিভিন্নরকম ডেলিভারীর সুবিধা -অসুবিধাগুলো সহজবোধ্য ভাষায় তাঁর কাছে আভেইলেবল তো? সব জেনে বুঝে যদি তিনি না চান, তাহলে সে তার স্বাধীনতা। কিন্তু তাঁকে সেটা না জানাতেই পারাটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অপারগতা।
  • sm | 2345.110.344512.29 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:০২79305
  • মেডিকেল সায়েন্স এর একটা ব্যবহারিক দিক হলো বিভিন্ন অপশন তুলে ধরা।
    যেমন ধরুন এনজিওপ্লাষ্টি করাবো না খালি ওষুধ খাবো।
    দুটোৰৰ ই সুবিধে ও অসুবিধে রোগীকে বোঝানো উচিত।তারপর রোগী ঠিক করবেন কি চিকিৎসা নেবেন।
    শোনা যায় বিভিন্ন তিথি, যেমন ধরুন জন্মাষ্টমী ইত্যাদিতে বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান সেকশনের হিড়িক বেড়ে যায়।
    যদি স্টাডি অনুযায়ী দেখা যায়,নরমাল ডেলিভারির থেকে সিজারিয়ান সেকশনের পর মা ও শিশুর হেলথ রিস্ক অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে,তাহলে মা একা কি করে এই নরমাল ডেলিভারির বিপক্ষে ডিসিশন নিতে পারেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন