এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • BanglarBagh | 87.185.255.35 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:০৯75435
  • Ramkrishna Mission a amake kono Beton diye porte hoyni, ta hole CHRISTIAN School gulo te Taka diye porte hoy keno? Dhormo ke Use kore ora ki Bidya niye business kore? aar school ar naam ar purbe Dhormer naam lagay keno?

    KON LAW ar karone Secular deshe ,akta dhormiyo school onyo dhormer student der, tader dhormiyo prayer korte badhyo kore? aar onyo ra seta mene ney keno?

    christian school Sorkari help ney na keno? Kono Dhormiyo protisthan ki Laav Jonok Protisthan hote paare?

    Ajkal parary paray dekhi Private school ar naam ar purbe kono Christian sadhu r nam lagiye jaate othgar chesta kore!

    Besorkei ba Dhormiyo ShikhyaProtisthan ar Shikhya jokhon akta PONYO,mulyo diye kroy korte hoy, Tokhon sekhane to CONSUMER ACT karjokari hobar kotha, Seta hoy ki?

    Dhormiyo school ar teacher der ki SSC exam ( teacher hobar exam) paash korte hoy?

    Amar anuman school je type ar hok na keno, akta nirdisto niyom naujayi, je niyom sobar jonyo projojyo, chalate hoy.

    School a teacher ar sathe Student der problem hote paare, students der sathe students der. Aar ai problem somadhan korar jonyo dorkar niropekhyo akjon komri. Kono monobid se kaj ta korte paare. at least 5 ta school ar jonyo 1 jon monobid niyog kora jaay, je paala kore ak ak din ak ak school a bosbe. pore proti 2 school ar jonyo ak jon monobid. je 3 hrs kore ak ak school a daily bosbe.

    Amar school a life kono din shunini, je europe ar moto proti 2 maas por por school a studnets-Teacher-Obhibhabok der regular 2-3 hrs school ar shehse Meeting hoy, sob kichu alochona hoy. Temni kono din dekhni, je clss teacher at least bochore ak bar protiti Obhibhabok ar sathe alada bose, chatro ke niye.

    Temni kono school a dekhini, je karo naame porichoy gopon kore kono ghotona janabar jonyo kono letterbox aache.

    Asole BisMillah tei golod.

    Somoy nosto kore amra keno faltu alochona korchi- je jaane!
  • tuhin | 69.160.205.19 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:০৫75430
  • যে বিষয় টিকে সুকৌশলে চেপে দেওয়া হল
    গত ১২ সেপ্টেম্বর দমদমের ক্রাইস্ট চার্চ গার্লস হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ঐন্দ্রিলার মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রক্ষিতে ঐ স্কুলের প্রায় সব অভিভাবক ও ছাত্রীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন। কিছু অভিভাবক তাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ক্ষোভে ঐ স্কুলের বেশকিছু জিনিষপত্র ভাঙচুর করেন। বৈদ্যুতিন মাধ্যমে দেখা গেছে, অধ্যক্ষা ক্ষমা চাইলেও, অভিভাবক ও ছাত্রীরা ছিলেন অনড়। তাঁদের দাবী ছিল, অধ্যক্ষাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং গ্রেপ্তার করতে হবে। ।এমন কি ক্ষোভে কেউ কেউ অধ্যক্ষাকে জুতোও দেখিয়েছেন। এরপর অধ্যক্ষাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ও তিনদিন পর তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। স্কুল ভাঙচুরের অপরাধে ইতিমধ্যে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর ওয়েস্ট বেঙ্গল এসোসিয়েশন অফ ক্রিশ্চিয়ান স্কুলের পক্ষে আর্চবিশপ ঘোষণা করেন, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ক্রিশ্চিয়ান স্কুল, কলেজ এবং সমস্ত আই.সি.এস.ই স্কুল (প্রায় ১৫০০ স্কুল প্রতিষ্ঠান) এই ভাঙচুর ও পুলিশি নিষ্কৃয়তার প্রতিবাদে আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর বন্ধ থাকবে – তাঁরা ঐ দিন কালা দিবস পালন করবেন। এই পর্যন্ত খবরটি প্রায় সমস্ত মানুষই ইতিমধ্যে বৈদ্যুতিন ও সংবাদ মাধ্যমে জেনেছেন।
    কিন্তু যে বিষয়টি এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে সামনে আসতে পারতো, তাকে অত্যন্ত সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হল। বিষয়টি কি ? তাহ’ল, এই বেসরকারী স্কুলগুলির যথেচ্চাচার। স্কুলের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে, শিক্ষকদের বেতন কাঠামো, ছাত্র/ছাত্রীদের প্রদেয় বিপুল বেতন সহ আরোপিত শৃঙ্খলার মধ্যদিয়ে এক তুঘলকি ব্যবস্থা যা দেশের প্রতিষ্ঠিত আইনকে মর্যাদাতো দেয়ইনা, বিপরীতে এদের তৈরী আইনকে মান্যতা দেওয়ার বাতাবরণ তৈরী করেছে দীর্ঘ সময় ধরে। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে না সরকার পক্ষ, না স্কুল কর্তৃপক্ষ টু শব্দটি করেনি। বিপরীতে ভাঙচুরের ঘটনাটিকে প্রাধান্য দিয়ে, প্রচার মাধ্যমে চাউড় করিয়ে দেওয়া হল অমোঘ এক বার্তা – ‘ভাঙচুরকে কোন ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা, একে শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’ অথচ অভিভাবক ও ছাত্রীরা তীব্র ক্ষোভে কেন ফুঁসে উঠলেন, কেন বিক্ষোভ দেখালেন, তার মূলটি কোথায় প্রোথিত – এই গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রশ্নটিকে সুচতুর কৌশলে আপাতত ঠান্ডাঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হল।
    ঘটনার দিন বৈদ্যুতিন ও সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে ঐ স্কুলের কয়েকজন অভিভাবক ও ছাত্রীদের স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহি:প্রকাশ ঘটেছিল। তা ছিল, কর্তৃপক্ষের দুর্ব্যবহার ও যেকোন অজুহাতে অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা আদায় করা নিয়ে। আগেই বলেছি, ‘অভিভাবক ও ছাত্রীরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তাঁদের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন’। হ্যাঁ, ঠিক এটাই এখানে ঘটেছিল বলেই মনে হয়। ঐন্দ্রিলার মর্মান্তিক মৃত্যু একটি উপলক্ষ মাত্র, যা অনুঘটক হিসেবে কাজ ক’রে, দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ ও ঘৃণাকে উস্কে দিয়ে প্রায় প্রলয়ের আকার ধারণ করেছিল। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এটি ছিল একটি স্বত:স্ফুর্ত আন্দোলন। অভিভাবক ও ছাত্রীদের কোন সংগঠন না থাকার কারণে তাৎক্ষনিক বিচারে যে যেমন ভেবেছেন, তেমনই ভূমিকা রেখেছিলেন।
    বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে সরকারী পে-কমিশন লাগু করার প্রেক্ষিতে এইসব স্কুলগুলি গোটা দেশ জুড়ে স্কুল-ফি বাড়িয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০ শতাংশ। অথচ নিয়ম অনুযায়ী, পে-কমিশন লাগু করার প্রেক্ষিতে সর্ব্বোচ্চ ৫০ শতাংশ স্কুল-ফি একটি মাত্র বছরে বাড়ান যেতে পারে। এই আইনকে কলা দেখিয়ে প্রায় সব স্কুলই এই সুযোগে প্রতি বছর উচ্চ হারে স্কুল-ফি বাড়িয়ে অভিভাবকদের ঘারে চাপ বাড়াচ্ছে ক্রমাগত।
    বিভিন্ন অজুহাতে অভিভাবকদের পকেট কাটা এই স্কুলগুলি একটা নিয়মে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যেমন, এডমিশন ফি, সিকিউরিটি ডিপোসিট, বিল্ডিং ফান্ড, স্কুল এসেনশিয়ালস, এক্টিভিটি এন্ড হবি ফিস, মেনটেনেন্স চার্জ, অডিও-ভিসুয়াল ফিস, কম্পিউটার ল্যাব ফিস, সায়েন্স ল্যাব ফিস, স্কুল ফান্ড, এন্যুয়াল ডে চার্জ, ম্যাগাজিন ফিস, এন্যুয়াল কনসার্ট ফিস, স্পোর্টস ফিস, চিলড্রেন ডে সেলিব্রেশন ফিস, টিচার্স ডে সেলিব্রেশন ফিস, পিকনিক, ট্রান্সপোর্ট ফিস ইত্যাদির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিবছর এইসব নামী-বেনামী বদ স্কুলগুলি অভিবাবকদের কাছ থেকে আঁখ-মাড়াই কলের মত নিংড়ে নিচ্ছে । আমি জানি কোন কোন স্কুল নার্সারী লেভেলে নিচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। শুধু কি তাই, এরা অভিবাবকদের কাছে বাধ্যতামূলক করেছে বই, খাতা, খাতা-বইয়ের মলাট, ইউনিফর্ম(গরম ও শীতের ভিন্ন), সব ধরণের স্টেশনারি স্কুল থেকেই কিনতে হবে যা বাজার থেকে অন্তত তিনগুণ বেশী দাম ।স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান হবে, তারজন্য ঝাঁ-চকচকে পোষাক লাগবে, কে দেবে ? কেন বলির পাঁঠা অভিভাবক। স্পোর্টসে কালার ফুল টি সার্ট পড়তে হবে, কে দেবে? কেন ছাত্র/ছাত্রীর বাপ। এসবই ঘটছে সরকারের নাকের ডগায়।
    আমার এক ছাত্র এক সময় আমাকে বলেছিল, “স্যার, একটা স্কুল চালানো মানে সমান্তরাল ভাবে একই সাথে ৫-৬টি ব্যবসা চালানো। যেমন, বাস থাকলে ট্রান্সপোর্ট বিসনেস, ক্যান্টিন থাকলে রেস্টুরেন্ট বিসনেস, বই-খাতার ব্যবসা, ব্যাগের ব্যবসা, ম্যাগাজিন ব্যবসা, বছরের প্রথমে ঢপ্ দিয়ে তোলাবাজীর ব্যবসা – আরো কত কি!” ওর আরো একটি বিষয়ে ক্ষোভ ছিল তাহল, প্রতিদিন স্কুল শুরুর সময়ে খ্রীষ্টিয় ধর্মীয় সঙ্গীত প্রার্থনা করতে সবাইকে বাধ্য করা এবং বছরে কয়েকবার খ্রীষ্টিয় ধর্মগুরু পরিচালিত ‘মাস’-এ আবশ্যক অংশগ্রহণের যৌক্তিকতা নিয়ে। বেসরকারীকরণ, উদারীকরণ ও বিশ্বায়ণের পুঁজিবাদী নীতির ফলে সব কিছুর মত শিক্ষাকেও পণ্য করা হয়েছে। আর ক্রিশ্চিয়ান/ বেসরকারী স্কুলের মালিকরা বেপরোয়া ভাবে লুট করছে অসংগঠিত জনতার রক্ত জল করা সম্পদ।
    বিভিন্ন ক্রিশ্চিয়ান/ বেসরকারী স্কুলে শিক্ষকতার সূত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষকে কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এদের ঔদ্ধত্য, দম্ভ ও সবাইকে দমিয়ে রাখার প্রয়াসকে ঘৃণার চোখে দেখেছি। কখনো এদেরকে হিটলারের ছানা বলে মনে হয়েছিল।সরকারী অনুদান বহু স্কুলই পেয়ে থাকে, তা সত্বেও এদের খাই মেটেনা। বহু স্কুলে শিক্ষকদের আইন অনুযায়ী বেতন দেওয়া হয়না। কন্ট্রাক্ট প্রথায় শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। চাকরী চলে যাবার ভয়ে বেশীরভাগ শিক্ষকরা সঙ্কুচিত। প্রায় সবাই প্রাইভেট টিউশন পড়ান। প্রাইভেট টিউশন করতে কিছু শিক্ষকদের লালায়িত হতে দেখেছি। এসব সত্বেও তাঁদের ভিতরে ক্ষোভ দানা বাঁধছে, লক্ষ করা যায়। এই সামগ্রিক অব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের জোট বেঁধে লড়াই গড়ে তোলা ছাড়া অন্য কোন রাস্তা খোলা আছে বলে মনে হয়না। কিভাবে সংগঠিত হবেন, তা ছাত্র/ছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষকরাই ঠিক করবেন। এদিকে, এই বে-নিয়ম টিঁকিয়ে রাখার তাগিদে ও ক্ষোভের আগুনে জল ঢেলে দিতে এরা যে কতটা পারঙ্গম এবং কি ভিষণভাবে এরা সংগঠিত, তা তাদের ধর্মঘট ডাকার মধ্যদিয়ে প্রমানিত। এই অচলায়তন ভাঙ্গার তাগিদ যাঁরা অনুভব করবেন, সঙ্গত কারণেই তাঁদের দিকে দৃষ্টিপথ খোলা রাখব।

    Courtesy:
    Sanjoy Pathak
  • asmitaa | 162.79.255.200 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:০০75436
  • মিশনারী স্কুল সম্বন্ধে অনেক কথাই শুনছি- কিন্তু যে স্কুল গুলি সরকারী DA নেয় তারা কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকা দের সরকারী স্কেলেই মাইনে দিয়ে থাকে। যেহেতু সরকার শুধুমাত্র subsidize করেন বাকি খর্চা বহন করে চার্চ এবং মাইনে। যে অভিভাবকেরা এই সব স্কুলে বাচ্চাদের পড়ান তাঁরা অনেক কিছু বেশি আশা করেন সরকারি স্কুলের চাইতে যেমন পরিস্কার টয়লেট, বেটার বসার ব্যবস্থা ইত্যাদি। এই সবের জন্যেই কিন্তু পয়সা লাগে।
    কোথাও বা শুনলাম টিচার্স ডে'র জন্যে ১০০ টাকা তোলা হচ্ছিল - আমি তো জানি সেই ৭৭-৭৮ সাল থেকেই ছাত্র ছাত্রীরা টিচার্স ডে পালন করে - ৮০-র দশকেও আমরা ৫/১০ টাকা করে দিয়েছি। এখনকার সময় ভেবে ১০০ টাকা এত মারাত্মক বলে মনে হচ্ছে না যাতে ভাঙ্চুর হতে পারে।

    ধর্মীয় স্কুলে পড়লে যে ধর্মের স্কুল সেই ধর্মের কিছু নিয়ম পালনের মধ্যে এত হিটলারি ছায়া দেখলে চলবে কেন? রামকৃষ্ণ মিশনের স্কুলে মুসলমান বা খ্রীস্টান ছেলেদেরও কিন্তু খন্ডন ভব বন্ধন গাইতে হয়। এমনকি কোনো সরকারি স্কুলেই কি সরস্বতী পুজোর চাঁদা দেব না বললে চলে?
  • siki | 127.192.21.84 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:২৮75437
  • আমার বামি মিশনারি স্কুলে হে প্রভু হে দয়াময় করে যীশুসঙ্গীত গাইতে হত, হাত জোড় করে। অবশ্য জনগণমন-র পরে।

    ওদিকে সরস্বতী পুজো হত ধূমধাম সহকারে। আর সব স্কুলে যখন খিচুড়ি খাওয়াত, আমরা খেতাম লুচি আলুদ্দম অমৃতি।

    কখনও পয়সা দিতে হয় নি। ফাদাররা স্পনসর করত।

    ঐ স্কুল ছাড়াও আরও পাঁচটা স্কুলে পড়েছি, কোত্থাও সরস্বতী পুজোর জন্য বা টিচার্স ডে-র জন্য টাকাপয়সা দিতে হয় নি।
  • Arunabha De | 24.96.30.69 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:২৮75438
  • ওপরের লেখা গুলো পড়ে আমার দু পইসা -
    ১। যারা সব সাংঘাতিক ক্ষোভ এর কথা বলছেন তাদের কাছে একটা চত প্রশ্ন - ওই প্রিন্সিপাল যখন কারো সঙ্গে দেখা করতেন না, যা খুসি তাই করতেন, তখন ওই ক্ষুব্ধ অভিমানাহত অভিভাবক রা কি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন ? তারা কি পরিচালন সমিতি কে জানিয়েছিলেন ? স্কুল এ চিঠি দিয়েছিলেন? না কি অপেক্ষা করে বসে ছিলেন যে কবে এরকম একটা ঘটনা ঘটবে আর স্কুল ভাংচুর করা যাবে? যারা সব স্কুল এর অনিয়ম এ ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রী দের সুভাকান্খে অদা জল খেয়ে ভাংচুর এ লেগে পড়লেন তারা শেষ পর্যন্ত কাদের কত তা উপকার করলেন সেটা একটু বিসদে লেখা যাবে কি?

    ২। একজন লিখে দিয়েছেন, তা ও আরো একবার লিখে যাই, কলকাতা র স্কুল দিয়ে সারা বাংলা কে দ্যাখা র চেষ্টা বেশ হাস্যকর। জেলা র সরকারী বা বেসরকারী বাংলা মাধ্যম স্কুল গুলো তে ভর্তি র সময় কি হয়, সেটা একটু দেখে, জেনে বুঝে নিতে অনুরোধ করছি।অবশ্য গুরু র জ্ঞানী গুনি দের কাছ থেকে এত কষ্ট আশা করা একটু বেশি হয়ে গেল আর কি।

    ৩। মিশনারি স্কুল এ কেন খ্রিস্টান গান বা প্রার্থনা গাইতে হয় বলে যিনি রাগ করেছেন, তিনি দেখলাম রামকৃষ্ণ মিশন এর স্কুল এ পড়েছেন, তা তিনি নিশ্চই ভালো বলতে পারবেন যে তাদের স্কুল এর প্রার্থনা সঙ্গীত, যেগুলো অবশ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, নিশ্চয়ে অন্য ধর্মের ছাত্রদের গাইতে হত না। কিংবা এই বাংলা র যাবতীয় সরকারি বেসরকারী স্কুল এ যে সরস্বতী পুজো হই, তার চাঁদা ও নিশ্কয়ে অন্য ধর্মাবলম্বী ছাত্র দের কাছ থেকে নেওব হযে না। আমার সরকারি স্কুল এ ১২ বছর পড়ার অভিজ্ঞতা অন্য কথা বলে। তবে আমি তো গুরু র লেখক দের মত ঠিক টপ ক্লাস ইন্টেলেকচুয়াল নই, তাই আমার অভিজ্ঞতা এ ক্ষেত্রে তুচ্ছ করা যেতে পারে।

    ৪। অনেকেই দেখলাম খুব "কাছ" থেকে নানা রকম স্কুল কলেজ দেখেছেন আর তাই নিয়ে অসাধারণ সব গল্প লিখেছেন। আমি বেশ "দূর" থেকে কিছু স্কুল কলেজ দেখেছি। তার মধ্যে গোটা দুএক সরকারি (অশোক স্তম্ভের ছাপ ওলা) স্কুল কলেজ আছে, আরও দু একটা মিশনারি (চার্চ এর দ্বারা পরিচালিত) স্কুল কলেজ আছে এবং আরও দু একটা বেসরকারী বিভিন্ন ফাউন্ডেশন এর পরিচালিত স্কুল কলেজ আছে। সেগুলো দেখে আমার মতামত -
    - অভিভাবক দের মাথায়ে ক্নাথল ভাঙ্গে ওই তথাকথিত "ফাউন্ডেশন" এর বা বীয়সায়ী গোষ্ঠী র পরিচালিত স্কুল কলেজ গুলি। মিশনারি স্কুল গুলো র অধিকাংশ যে ফিস ন্যায় তা বেশ ন্যায্য। ব্যতিক্রম যে একেবারে নেই তা নই কিন্তু সেগুলো নগন্য। এই প্রসঙ্গে খ্রীষ্ট চার্চ স্কুল এর ফিস সম্পর্কে কেউ জানালে বাধিত হব। তাই ওই অমুক পাবলিক স্কুল বা অমুক বিরলা স্কুল এর সঙ্গে মিশনারি স্কুল গুলো কে এক গোত্রে ফেললে সেটা সত্যের অপলাপ হবে
    - মিশনারি স্কুল গুলো কেন সরকারের অনুদান ন্যায় না সেটা নিয়ে অভিমান করা যেতেই পারে কিন্তু সেটা যে কোনো বেসরকারী স্কুল এর অধিকার এর মধ্যে পড়ে। রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত একটি বালিকা বিদ্যালয় এ মেয়েদের জুত খুলে স্কুল এ ঢুকতে হই এবং সারাদিন ক্লাস করতে হযে। অনেকের মতেই কিন্তু এটি চরম অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এ ব্যাপারে সুধী জনের মতামত জানতে পারলে ভালো লাগত। আর প্রত্যেক টি মিশনারি স্কুল তাদের নিয়ম কানুন খুব স্পষ্ট করে বছর এর সুরু তে জানিয়ে দ্যায়, এর পড়ে যারা ওখানে তাদের ছেলে মেয়ে দের পাঠাবেন, তারা যদি একটু কষ্ট করে ওগুলো প্রথমে পড়ে ন্যান, তাহলে পড়ে অনেক অসুবিধা র হাত থেকে বাচতে পারেন, ফে বু বা গু ছ র অনেক পাঠক ও বাচতে পারে। আর যেহেতু বেশির ভাগ মিশনারি স্কুল গুলো সরকারি অনুদান ন্যায় না, তাই যে টাকা ন্যায় ফিস হিসাবে, সেই টাকা তাদের স্কুল চালানোর জন্যে লাগে। আবার বলছি ব্যতিক্রম আছে, কিন্তু সেগুলো নগন্য। কেউ অন্য রকম কিছু দেখাতে পারলে বাধিত হব।
    - বেশির ভাগ মিশনারি স্কুল এ নিয়মানুবর্তিতা বা সময়ানুবর্তিতা একটু কঠোর ভাবে মানা হই, এটা তে অনেকের অসুবিধে হতেই পারে, বিসেসত এখন যখন "ছোট ছোট বাচ্চা দের ভুল" করে ফেলা টা বেশ অভ্যাস এ দাড়িয়ে গ্যাছে আর সেগুলো কে ক্ষমা র দৃষ্টি তে দেখতে হবে বলে ফতওয়া জারি হয়েছে, তখন এরকম নিয়মানুবর্তিতা একটু দৃষ্টিকটু তো বটেই, কিন্তু তার জন্যে এদের দাড়ি উপরে নিতে হবে, ইটা কত টা ঠিক সেটা ভেবে দেখলে ভালো হযে
    - সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুল এ ও কিন্তু এখনো বেশ ভালো রকম নিয়মানুবর্তিতা নজায়ে আছে এবং সেই নিয়ে ও কিন্তু মাঝে মাঝে ই খটাখটি লাগে। পুলিশ কে লাঠি চালাতে হই না বলে হই তো রোজ খবরের কাগজে আসে না। উত্সাহী রা সরকারি স্কুল এর ছাত্র দের অভিভাবক দের কাছ থেকে খবর নিয়ে দেখ্ত্রে পারেন। আসলে আমরা জাতি হিসাবে অত্যন্ত ন্যানিষ্ঠ, বিবেকবান, সচ্চরিত্র , নীতিবাগিশ, নিয়মানুবর্তী এবং সময়ানুবর্তী বলে এই অসুবিধা গুলো ভোগ করতে হই আর কি।
    - যে মেয়েটি খ্রীষ্ট চার্চ এর ঘটনা তে মারা গিয়েছে, তার মৃত্যু র কারণ কি জানা গিয়েছে? যারা গোপন সুত্রে খবর পেয়েছেন যে স্কুল কর্তৃপক্ষ তথা প্রিন্সিপাল এই ঘটনা র জন্যে দায়ী, তারা যদি দয়া করে সেই খবর এর সুত্র প্রকাশ করেন তো চির ঋণী থাকব।
    অনেক বকে ফেললাম, যারা এত তা পড়লেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটা ছোট ডিসক্লেইমার দিয়ে যাই - শিক্ষা ব্যবস্থা তে সরকারি দেখভাল এর বা বিনিয়োগ এর অভাবে কত তা ক্ষতি হয়েছে বা শিক্ষক দের কত তা নৈতিক অদপতন হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো আলোচনা করলাম না। কারণ - ১। সেগুলো আলোচনা করার জন্যে অনেক জ্ঞানী গুনি বিদগ্ধ ব্যক্তি রা আছেন এবং তারা তাদের কাজ সুরু করে দিয়েছেন। ২। আমার মতে খ্রীষ্ট চার্চ স্কুল এর ঘটনা একটি দুর্ঘটনা র সুত্র ধরে ঘটানো একটি সু পরিকল্পিত গুন্ডামি। ওসব বড় বড় অর্থ সামাজিক কোনো ব্যবস্থা বা তার পর্যালোচনা র আওতা তেই আসে না এই ঘটনা। তবে ওই আর কি, আমি তো আবার ঠিক যাকে বলে সার্টিফাইড ইন্টেলেকচুয়াল নই বা দেশবাসী র ট্যাক্স এর টাকা এ পড়াশোনা করা প্রবাসী বুদ্ধিজীবি নই, তাই আমার কথা বাদ দিলে ও চলে।
  • SR | 69.93.215.193 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৮:৪৭75431
  • 'ক্রিশ্চিয়ান মিশনারি' বা অন্য কোনো 'মিশন' স্কুল - তাদের স্বাধিকার চর্চার নামে অনেক কিছুই করে থাকে। কিন্তু তবুও সন্তানদের স্কুলে পাঠাবার সময়- সরকারী নয়, একমাত্র এইসব বেসরকারী স্কুলের কথাই মধ্যবিত্তের মনে আসে। সরকারী স্কুলকে অনাবশ্যক বোঝা মনে করে সরকার বহুকাল ধরে ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছে বলেই হয়ত...
    কিন্তু বেসরকারী স্কুলের উপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ শুরু হলে- সমাজের অভিভাবকারাই হয়ত রাগ ক'রে বসবেন - তাতে 'ভালো' স্কুল 'সরকারী' স্কুলের মত 'সাবস্ট্যান্ডারড' হয়ে পড়ে যদি ... বাড়ির কাজের দিদির মেয়ের পাশে আমার মেয়েকে বসতে হয় যদি... শিক্ষকদের নির্ধারিত মাইনে দিলে- সরকারী টাকার অপচয় হয় যদি...
    জনান্তিকে আর একটি কথা- ক্রিশ্চিয়ান মিশনারী স্কুলের উপর তো সরকারী নিয়ন্ত্রণ জরুরী- কিন্তু অন্য সব পবিত্র 'মিশন' স্কুলেও সরকারী নিয়িন্ত্রণ থাকবে তো?
  • blank | 180.153.65.102 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:০৮75432
  • এগুলো কি কোলকাতা নিয়ে কথা হচ্ছে ? কোলকাতার বাইরে সরকারী স্কুলের বেশ ভাল বাজার। আমার পরিচিত অনেকে, আমার নিজের কাজিন র সবাই সরকারি স্কুলে পড়ে।
    আশে পাশের বেশ কয়েকটা নামী সরকারী স্কুলের অ্যাডমিশানের সময় পুরো ভয়ানক হাল হয় - এত ভীড়
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৪৭75433
  • "বিভিন্ন অজুহাতে অভিভাবকদের পকেট কাটা এই স্কুলগুলি একটা নিয়মে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।"

    সেটা কি এই পার্টিকুলার স্কুল সম্পর্কেও প্রযোজ্য ? জাস্ট এমনি-ই জানতে চাইছি।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১১:০৯75434
  • এটা কোয়ার্ক লিখেছেন ভাটিয়ালিতে। এখানে কপি-পোস্ট করলাম। বিশেষ করে তুহিন এর পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে।

    (এটা যদি কোয়ার্ক অপছন্দ করেন, তার জন্যে আগাম ক্ষমাপ্রার্থী )

    name: quark mail: country:

    IP Address : 24.139.199.12 (*) Date:19 Sep 2013 -- 04:12 PM

    কাল ক্রাইস্ট চার্চের এক অভিভাবকের সাথে কথা হ'ল। তাঁর মেয়ে আট বছর ধরে ঐ স্কুলে পড়ছে। তাঁর কথা অনুযায়ী এই আট বছরে তাঁর স্কুলের সঙ্গে এমন কোন সমস্যা হয় নি যাতে এমন কোন ঘটনা ঘটানো যায়। এও বললেন যে এই প্রিন্সিপালের সঙ্গে যখন তখন স্কুলে ঢুকে দেখা করা যায় না, এটা যেমন সত্যি, তেমনি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট সময়ে ওনার সাথে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দেখা করা যায়, এটাও সত্যি।

    বললাম যে এত লোকের এত রাগ ওনার ওপর, কোন কারণ থাকতে পারে?

    তাতে জানলাম, উনি আসার পরে, মেয়েরা সকাল ১০ টা ০৫ এর পরে স্কুলে ঢুকতে পারে না ( আগে সাড়ে দশটার পরেও ঢোকা যেত), ইউনিফর্ম না পরে এলে শাস্তি হয়, পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নাকি চোখে পড়ার মত নিয়মনিষ্ঠা দেখা যাচ্ছিল।

    কারও ওকালতি নয়, শুধু জানিয়ে গেলাম। তবে আমার নিজের মনে হ'ল আজকের সমাজে যে কোন জায়গায় কেউ নিয়মানুবর্তিতা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে, তার চেয়ে বড় শত্রু কেউ হয় না, এটা অনেকাংশেই ঠিক।
  • pi | 118.22.231.245 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৫৭75439
  • এই লেখাটার সাথে কিছু জায়গায় দ্বিমত আছে। কিন্তু এই যে বলা হয়েছে, লটারি প্রথা প্রচলনের পর থেকে অভিভাবকেরা সরকারি স্কুল থেকে আরো মুখ সরিয়ে নেন, জাতে তাঁদের ছেলেমেয়েদের নিম্ন আর্থ সামাজিক অবস্থানের ছেলেমেয়েদের সাথে একসাথে পড়তে না হয়, একথাটা কতটা ঠিক ?
    http://www.bartamanpatrika.com/content/spl3.htm
  • b | 135.20.82.164 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৩:৪৩75440
  • "তবে ওই আর কি, আমি তো আবার ঠিক যাকে বলে সার্টিফাইড ইন্টেলেকচুয়াল নই বা দেশবাসী র ট্যাক্স এর টাকা এ পড়াশোনা করা প্রবাসী বুদ্ধিজীবি নই, তাই আমার কথা বাদ দিলে ও চলে। "
    অরুণাভ, এখানে অনেকেই বক্তব্য রাখেন। তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড আমরা জানিও না সব সময়। তাই এগুলো একটু অবান্তর লাগলো আমার কাছে।
  • xyz | 131.241.218.132 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:৪৯75441
  • খ্রীষ্টান ও রামকৃষ্ণ মিশন যখন উঠলো তখন তথ্যের সামগ্রিকতার খাতিরে অন্য আরেক মিশন এর কথাও থাক। নৈলে একপেশে হয়ে যাবে।
    আল আমিন মিশনে ইসলামিক দর্শন বাণী পড়ানো হয় , সরকারি মাদ্রাসা তেও পড়ানো হয় । খালসা মডেলে গুরুবাণী পড়ানো হয়। এবার যেকোনো মিশনের, মাইনরিটি হলে তো কথায় নেই, ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেই গেল গেল রব ওঠে ।
  • siki | 131.243.33.212 (*) | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:২২75442
  • এইগুলো কাইন্ড অফ নেসেসারি ইভিল। স্কুলের ভালো ট্র্যাক রেকর্ড, ভালো ইনফ্রাস্ট্রাকচার এসবের অ্যাক্সেস পেতে হলে ঐ সব ভাটের জিনিস সহ্য করতেই হবে।
  • rivu | 140.203.154.17 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৪৫75443
  • প্রাইভেট স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে সমৃদ্ধ বাবু যে অভিযোগ গুলো তুলেছেন সেগুলো সরকারী স্কুলের ক্ষেত্রে ভ্যালিড নয় নাকি? আর রামকৃষ্ণ মিশনের জন্যে তো আরোই ভ্যালিড। দুটো সরকারী স্কুলে প্রাইমারি পড়েছি, সেকেন্ডারী রামকৃষ্ণ মিশনে। প্যারেন্ট টিচার মিটিং কোনদিন হয়নি, ইস্কুলের টিচারদের সাথে অভিভাবকদের দেখাশোনা কোনদিনই হয়নি (ওই ভিজিটিং ডে তে দেখা হয়ে গেলে নমস্কার করা ছাড়া) আর অভিভাবকরা মোটেই ইস্কুলে এসে হেডমাস্টার মশাই এর সঙ্গে খেজুর করে যাওয়ার সুযোগ পেতেন না।

    সরকারী স্কুলে এত কোনো কিছু নিয়েই গার্জিয়ানরা মাথা ঘামান না, কারণ টাকা পয়সা দিতে হয়না বেশি। রামকৃষ্ণ মিশনের কথা তো ছেড়েই দিন, অধিকাংশ লোকের ধারণা ওখানে ঢুকলেই ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যত তৈরি। প্রাইভেট স্কুলে তুলনায় টিচারদের accountability অনেক বেশি।
  • SR | 69.93.244.80 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:২৬75446
  • সরকারী স্কুল নিয়ে কিছু আশার কথা শুনে বড় ভালো লাগল। কলকাতা আর তার আশপাশে আজকাল কারোর ছেলেমেয়ে (অবশ্যই মধ্যবিত্ত মহলে) সরকারী স্কুলে পড়ে- এমন শুনতে পাইনা। অথচ সরকারী স্কুল সমাজের নানা-স্তরের মধ্যে একধরণের মেলবন্ধন- আদান-প্রদানের জন্ম দিত বা দেয়। এখন... মোটামুটি একই আর্থিক-সামাজিক কাঠামো থেকে আসা বাচ্চারা স্কুলে একধরণের 'কোকুন'এর মধ্যে বড় হচ্ছে - বাইরের পৃথিবী দেখছে স্কুল-বাস আর নিজেদের গাড়ির জানলা দিয়ে- এই রুটিনের মধ্যে- চারপাশের সমাজ, তার বৈচিত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ অসচেতন ভাবেই বেড়ে উঠছে ... এর খুব দুর্ভাগ্যজনক পরিণতিই হয়ত ভবিষ্যতে দেখতে হবে আমাদের।

    সরকার যত বেশী শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে হাত তুলে নেবে, যত বেশী করে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাবে এ'সব মৌলিক বিষয়- ততই আমরা স্কুলের মাইনে, স্কুলের নিজের নিয়ম, শিক্ষকদের মাইনে যথাযথ কিনা- এইসব বিবিধ বিষয়ে তর্জায় নামব। উত্তর পাব না - কারণ বেসরকারী প্রতিষ্ঠান আমাদের কাছে দায়বদ্ধ নয়- সরকারও নিজের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলার বিনিময়ে তাদের খুব একটা ঘাঁটাতে রাজি নয়। ফলে- সব 'ভালোভাবে চলুক'- এমন একটা নির্বোধ আশা করা ছাড়া আর কিছু হাতে থাকে না।
  • sm | 122.79.36.236 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:১৫75444
  • \"তবে ওই আর কি, আমি তো আবার ঠিক যাকে বলে সার্টিফাইড ইন্টেলেকচুয়াল নই বা দেশবাসী র ট্যাক্স এর টাকা এ পড়াশোনা করা প্রবাসী বুদ্ধিজীবি নই, তাই আমার কথা বাদ দিলে ও চলে। "
    অরুনাভ বাবু ঠিক কোন জায়গায় আপনার আপত্তি। যদি আমি ধরে নেই আপনি কোনো দেশবাসী বুদ্ধিজীবী, আপনি কোনো সরকারি/বেসরকারী কাজ করেন এবং তার বিনিময়ে সালারী পান। ঠিক কি ভাবে দেশের উপকার করেন। কারণ আপনার বেতন, দেশবাসীর ট্যাক্স এর টাকায় হয়। বরঞ্চ প্রবাসী বুদ্ধিজীবী জন দেশের ট্যাক্স এর টাকায় বেতন পান না ,দেশে ডলার/পাউনড পাঠিয়ে দেশের উপকার করেন। কারণ দেশের এখন বৈদেশিক মুদ্রার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
  • sm | 122.79.36.236 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৬:৩০75445
  • @রিভু, প্রাইভেট স্কুল এর টিচার দের accountability বেশি এই ধারণা হবার পিছনে আপনার যুক্তি টা কি? এটা কি অনুমান না আপনার অভিজ্ঞতা ? বেসরকারী স্কুল গুলি যে পরিমান টাকা নেয়, তার তুলনায় আউটপুট কি খুব ভালো? আমার মনে হয় বেসরকারী স্কুল এর চাহিদা বেশি অধিকাংশই ইংলিশ মিডিয়াম বলে। সরকারের উচিত, বেশী সংখ্যাক, সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুল গুলো কে ইংলিশ মিডিয়াম করা কারণ এটাই জনগনের চাহিদা। লটারি সিস্টেম করে আখেরে সরকারি স্কুল এর ক্ষতি ই হয়েছে, কারণ কোয়ালিটি কমে যাবার ভয়ে , উত্সাহী পেরেন্টস রা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যদি সরকারী স্কুল এর অন্তত ৫০ শতাংশ ইংলিশ মিডিয়াম হয়, এবং স্টুডেন্ট দের ভিক্টোরিয়ান ইংলিশ এর পরিবর্তে স্পোকেন ইংলিশ ও ব্যাভহারিক ইংলিশ এর প্রতি নজর বেশি দেওয়া হয়।
  • Arunabha De | 125.242.198.192 (*) | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৩২75447
  • স ম বাবু র দেখলাম আমার আগের পোস্ট এর কেবল মাত্র প্রবাসী বুদ্ধিজীবি অংশ তা সম্পর্কে আপত্তি। সে ব্যাপারে পরে লিখছি। তার আগে একটা প্রশ্ন - আমার আগের পোস্ট এর বাকি কথা গুলো র সঙ্গে কি তার মানে স ম একমত? যদি হন তাহলে কি আমার প্রশ্ন গুলোর উত্তর পাব ?

    আর আমি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি, আমার কাজের জন্যে আরো কাজ তৈরী হই আর তার জন্যে আরো কিছু লোক চাকরি পায়ে। আশা করি বুঝলেন যে আমার কাজে কি ভাবে দেশের লোকের উপকার হযে। আর হ্যা, আমার মেইন ট্যাক্স এর টাকা থেকে আসে না, আমার কোম্পানি র প্রফিট থেকে আসে। এর পরে ও যদি না বোঝেন তাহলে এমন কোনো লোকের সঙ্গে দয়া করে যোগাযোগ করুন যিনি কোম্পানি ল এবং ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানেন, আপনাকে বুঝিয়ে দেবেন। দ্বিতীয়ত, যারা দেশে সরকারি চাকরি ও করেন, তারা যেমন ট্যাক্স এর তাকায়ে বেতন নেন সেরকম দেশের লোক কে কাজ ফেরত দেন। আর যারা দেশবাসী র ট্যাক্স এর টাকায়ে পরাসনা করে এখন দেদার কমানোর জন্যে বিদেশে বসে থাকেন আর দেশের হালচাল নিয়ে জ্ঞান বিতরণ করেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি, "ওই কত ডলার পাউনড দেশে না পাঠিয়ে (জ দি ও পাঠানো হই নিজের বৃদ্ধ বয়েসের পারানি র করি হিসাবে, অন্য কোনো কারণে নই) ক্ষমতা থাকলে দেশে এসে কিছু করে দেখানোর চেষ্টা করুন" অবশ্য না করলেও ক্ষতি নেই, আপনাদের পোস্ট যথেষ্ট হাস্যরস বিতরণ করে আমাদের চিত্ত বিনোদন করে থাকে
  • sm | 122.79.36.78 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৫75448
  • অরুনাভ বাবু আবার আপনার কথা বুঝতে পারলাম না। আপনি লিখেছেন আপনার কাজের জন্য আরো কিছু লোক কাজ পায়, তাই দেশের ও দশের উপকার হয় । আপনার জায়গায় XYZ যে কেউ বসলেও এক ই রেসাল্ট হতে পারত মানেন তো ?
    আমার অনুমান,আপনি নিশ্চয়, কোনো চারিটি ওয়ার্ক করেন না, আপনি কাজ করেন ও বেতন পান।
    এবার বলি, suppose XYZ , কোনো কাজের জন্য ১ লাখ টাকা বেতন পান, যদি অন্য কোনো দেশ যথা বাংলাদেশ, ভুটান , নেপাল বা শ্রীলংকা থেকে কোনো ব্যক্তি same জব করে, অর্দ্ধেখ বেতন নেন , তখন XYZ দেশের সার্থে, সেটা মেনে নিয়ে সরে যাবেন তো ? কারণ এটা বিশ্বায়নের যুগ ।
    যে কোনো ব্যক্তি র টাকা কোম্পানি র প্রফিট থেকে আসলেও, টাকা তা দেশবাসী র পকেট থেকেই আসে, কারণ উপভোক্তা সেই দেশ বাসী ই।

    অনাবাসী দেশ বাসী, ডলার/পাউনড ইনভেস্টমেন্ট পারপাস এ পাঠালেও, তাতে দেশের উপকার ই হয়। করুন দেশে র সরকার ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট এর জন্য হন্যে হয়ে আছে। এটা ফ্যাক্ট। আপনি কিভাবে অস্বীকার করবেন। এতেও দেশের CAD কমে, আর্থিক সমৃদ্ধি হয় ও নতুন জব জেনারেট হয়। না হলে যেকোনো দিন , গুগল সার্চ করে, মোট NRI দের পাঠানো টাকার পরিমান জেনে নিন। ধারণা তা পাল্টে যাবে। কেরালা সরকার এর জিডিপি র বড় অংশ আসে NRI দের কাছ থেকেই।
  • sm | 122.79.36.78 (*) | ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৪:২৯75449
  • @ SR আপনার পোস্ট ta কে লাইক করলাম । অনেক গুলো ক।
  • Amitava Gupta | 220.18.60.65 (*) | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:০৯75450
  • অধিকাংশ কমেন্ট-ই দেখলাম লেখাপড়া-র বালাই ছাড়াই। একটু খেটেখুটে দেখুন না, অনেক প্রশ্নের উত্তর নিজেরাই পেয়ে যাবেন। সরকারি না বেসরকারী, কোন স্কুল জবাবদিহি করতে বেশি বাধ্য, সেটা নিয়ে সাম্প্রতিক ভারতে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। কার্তিক মুরালিধরন দিয়ে গুগল সার্চ করে দেখুন।
  • ranjan roy | 24.96.53.233 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১৪75451
  • অরুণাভবাবুর অনেক বক্তব্যের মধ্যে সারবত্তা আছে, কিছু কিছু নিয়ে দ্বিমত।
    কিন্তু ধান ভানতে শিবের গীত কেন?
    কথা হচ্ছে মিশনারি স্কুলের অভিজ্ঞতা নিয়ে। সবাই নিজের নিজের নানারকম অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছেন। আলোচনাটি বহুমাত্রিক হচ্ছে, সমস্যাটির নানা দিকে আলো ফেলছে।
    সেখানে উনি অপ্রাসংগিক ভাবে" গুরুর লেখকদের মত টপ ক্লাস ইন্টেলেকচুয়াল ", " গুরুর জ্ঞানীগুণীদের থেকে একটু বেশি আশা করা হয়ে গেল" ইত্যাদি বাক্যবন্ধ ব্যবহার করেছেন।
    এই ব্যংগের বা রাগের কারণটা বুঝলাম না।
    এটা তো খোলা পাতা। এখানে সবাই লিখছেন, কাউকে লিখতে আটকানো হচ্ছে না।
    তাহলে গুরুর বা তার "লেখক"দের নিয়ে এইসব বলার মানে কি? যদি একটু বুঝিয়ে বলেন।
    আর কে এন আর আই, কে নয়, কার কাজ কার উবগারে আসছে-- এ নিয়ে অনেকেই বলেছেন।
    কিন্তু অরুণাভবাবু কী চান? এন আর আইদের এখানে লিখতে না দেওয়া হোক?
    আমি যদ্দূর জানি গুরু যাদের উদ্যোগে শুরু হয়, তাদের অধিকাংশই তখন দেশের বাইরে ছিলেন।
  • ranjan roy | 24.96.53.233 (*) | ০২ অক্টোবর ২০১৩ ০৩:১৭75452
  • আর এই যুক্তি পরম্পরায় তো অমর্ত্য সেন মশাইকে ভারত নিয়ে কথা বলতে মানা করা উচিত!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন