এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ক্রিকেট ক্রিকেট

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৬৩৮ বার পঠিত
  • আমি না ক্রিকেটে ওপেন করতাম আর উইকেট-কিপিং করতাম। এবং স্কুল-পাড়া লেভেলে খুব খারাপ করতাম না। সিএবির ইন্টার-স্কুল ক্রিকেট - যাকে সামার ক্রিকেট বলা হত - সেই টুর্নামেন্টে একবছর শুধু খেলিইনি, একটি গুরুত্বপূর্ন ম্যাচে ক্রিটিকাল টাইমে মিড-অনে দাঁড়িয়ে একটি হাই-ক্যাচ ফেলে টিমকে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দেবার কৃতিত্বও অর্জন করেছিলাম। যদিও তার বদলে সিএবি আমাদের বিনি-পয়সায় কি অতি-অল্পমূল্যে টেস্ট ক্রিকেটের টিকিট দিয়েছিল। সেই একবারই রঞ্জি স্টেডিয়ামে বলে খেলা দেখেছি। কিন্তু বাবারও বাবা থাকে। পাড়ার ক্রিকেটে পিকলুর ট্যালেন্ট ছিল আমার অন্ততঃ দ্বিগুণ। কিন্তু পিকলু ফাঁকিবাজ। আমার আজও ধারণা, সিরিয়াসলি নিলে পিকলু স্টেট লেভেলে অব্দি খেলতে পারত। কিন্তু সেই পিকলুই একবার কলেজ থেকে সামারে ফিরে বলল, "বুঝলি, খেলে বুঝলাম, আমার ওই স্ট্যান্ডার্ড নেই।" আমার মনে হল, পিকলুই যদি এ কথা বলে তাহলে আমি কোথায়!

    কলেজে সিরিয়াস ক্রিকেট খেলিনি, কিন্তু সেই সময়ে মুস্তাফির নেটে আমি আর প্রান্তিক খেলতে যেতাম। আর সেখানেই আমিও প্রথম বুঝতে পারি আমার ক্রিকেটের ট্যালেন্ট পাড়া-স্কুল অব্দিই ঠিক আছে, হয়ত সেকেন্ড কি থার্ড ডিভিশন ক্লাব ক্রিকেট খেলেও ফেলতে পারি, কিন্তু ব্যাস ওই অব্দি।

    এরপরে খেলা টাটায় চাকরি করতে গিয়ে। একবার দোর্দন্ডপ্রতাপ সিপিয়েম বন্ধ ডাকল। টাটায় সাধারণতঃ ম্যানেজমেন্ট-ইউনিয়ন সম্পর্ক ভাল। তো হাল্কা করে কথা হল বন্ধের দিন অফিসার্স বনাম নন-অফিসার্স খেলা হবে। ওই কথা অব্দিই হয়েছিল। আমরা ছেলেছোকরা অফিসার্সের দল রাত তিনটে অব্দি মাল-সহযোগে প্রচুর আড্ডা-টাড্ডা মেরে তো নির্বিঘ্নে শুতে গেছি - কাল ডিউটি নেই - সকাল নটার সময়ে মূর্তিমান যমদূতের মতন সমন। মাঠে জিএম সপার্ষদ অপেক্ষা করছেন আমাদের জন্যে। খেলা নটায় শুরু হবার কথা। তো সে যাক খেলা-টেলা হল। খেলার পরে গিইয়ে অল্প শুয়েছি বিশ্রাম নেব বলে। আবার তলব। এবার ক্লাবে। জিএম মাল খাওয়াবে সব প্লেয়ারদের। শুধু অফিসারদের অবশ্য। কারণ ওটা অফিসার্স ক্লাব। এখন শ্রেণী-বৈষম্য-টৈষম্যের আলোচনা থাক। সেই মাল খেতে খেতে গান-টান হল। আমার পালা এলে আমি গাইলাম, "যব চাহা ইয়ারা তুমনে"। শুনে জিএম না কে একটা বলল, "ইয়ে গানা হ্যায় ইয়া রিসাইটেশন হ্যায় ইয়ার!" তো সে যাক, সেদিন খেলার থেকে ঠিক হল জামশেদপুরে কারা গিয়ে ইন্ট্রা-টাটা টুর্নামেন্টে খেলবে।

    তো গেলাম জামশেদপুর। প্রথম খেলা কাদের সঙ্গে যেন। তারা দলই নাবাল না। আমরা ওয়াক-ওভার পেলাম। পরের খেলা ফার্নেস না ওরকম কোন ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে। আমি ওপেন করব। সবাই বলল, ওদের বোলিং যে ওপেন করে সে বিহার রঞ্জি টিমের চোদ্দজনে আছে। হাতে দারুণ কিছু কাজ না থাকলেও বল করে গাঁক গাঁক করে। অন্তরাত্মা স্লাইট শুকিয়ে গেলেও মুখে হাসি হারাতে দিইনি। অন্তরাত্মার শুকিয়ে জাবার কারণ উইকেটগুলো ভাল করে তৈরি নয়। আনইভেন বাউন্স। ওপেন করতে গিয়েও ঠিক তাই হল। প্রথম বল থেকেই মিডল করছিলাম। একটা শর্ট আউটসাইড অফ স্কোয়ার কাট করলাম। কভার পয়েন্ট কোন চান্সই পেলনা। তৈরি ছিলাম পরেরটা শর্ট পড়বে। পড়লও তাই। পুল করলাম। কিন্তু বলটা যতটা ওঠার উঠলনা। ইনসাইড এজ হয়ে উইকেটে। আউট হলাম বতে, কিন্তু এর ফলে যেটা হল, আমার কনফিডেন্স ফিরে এল। মনে হল এই যদি বিহার রঞ্জি হয়, আমার লেভেল হয়ত তত খারাপ। হায় রে, কত না ভুল দৃশ্যের জন্ম হয়!

    ফাস্ট ফরোয়ার্ড সাত বছর। আমি ক্যালিফোর্নিয়ায়। নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটা ক্রিকেট লিগ চলে। বেশ ভাল তার স্ট্যান্ডার্ড। তার একটা টিমে দাখিল হয়ে গেলাম। মূলতঃ ভারতীয়রাই। তবে কিছু পাকিস্তানি, অস্ট্রেলিয়ান আর ক্যারিবিয়ান জুটে খেলে। তো আমি তো গাভাস্কার-স্কুল। ঠুকুর-ঠুকুর পাবলিক। কিন্তু তদ্দিনে কালুভিতারনে ক্রিকেটে ওপেনিং-এ পিঞ্চ-হিটিং চালু করে দিয়েছে। কাজেই আমার ঠুকুর-ঠুকুর ব্যাটিং দিয়ে ওপেনিং আর চলবে না বুঝতে পারছিলাম। মনোনিবেশ করলাম উইকেট কিপিং-এ। এমনকি রেগুলার উইকেট কিপারকে রিপ্লেসই করে দিলাম। কিন্তু ঘাপলা হল টুর্নামেন্টে ছ-নম্বর না সাত-নম্বর খেলায়। টিমের পজিশন ঢিলে। নক-আউট রাউন্ডে তো উঠবই না, রেলিগেশন না হয়ে যায়। এমতাবস্থায় ক্লাবের এক স্টার প্লেয়ারকে ডেকে আনা হল। তিনি আজকাল আর বিশেষ সময় পাননা। একসময়ে রাজস্থান রঞ্জি টিমে নিয়মিত খেলতেন। লেগ স্পিনার। টিমের দুর্দিনে কাজ-টাজ ফেলে ছুটে এলেন। খেলা শুরু হল। অব্লিগেটরি তিনজন পেসারের পরে এল বাচ্ছা অস্ট্রেলিয়ান লেগি। তাকে কীপ করতে বিশেষ বেগ পেতে হল না। একটা প্রায় স্টাম্পও করে ফেলেছিলাম আর কি!

    থার্ড চেঞ্জে এলেন সেই রাজস্থান রঞ্জি। বললে বিশ্বাস করবেন না, এনার একটা বলও আমি রিড করতে পারলাম না। লেগ স্পিনে এমনিতেই কীপ করা শক্ত। বলের ফ্লাইটের শেষ অংশটা দেখা যায়না, ব্যাটসম্যানের শরীরে ঢাকা পরে যায়। তাই অনেকটাই হাত থেকে রিড করে কীপ করতে হয়। তারাই বড় কীপার যারা বোলারের হাত থেকে বল রিড করতে পারে। আমার সেদিন ল্যাজে গোবরে অবস্থা। একটা বলও রিড করতে পারছি না। প্রথমে একজন শর্ট ফাইন লেগ আর শর্ট থার্ড ম্যান রাখল ক্যাপ্টেন। যাতে বাই বেশি না হয়। তারপরে আমি নিজে পিছিয়ে দাঁড়ালাম। যাতে আরেকটু বেশি সময় পাওয়া যায় বল দেখার। ভেবে দেখুন স্পিনারের বল কীপ করছি মিডিয়াম পেসারের ডিস্ট্যান্সে। আমার কান লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, কিন্তু সেটা লজ্জা পাবার সময় নয়। জাস্ট স্কিলে পারছি না। শেষ পর্যন্ত বোলারই বলল, আমি যদি বল করার আগে বাঁ-কানে হাত দিই, তাহলে লেগ স্পিন করব; নাকে হাত দিলে টপ স্পিন আর ডান-কানে হাত দিলে গুগলি। এই করে সেদিন রেলিগেশন আটকান গেছিল।

    আর সেদিনই স্পষ্ট বুঝেছিলাম, ভাল করেছি সিরিয়াস ক্রিকেট না খেলে। আমার সেই স্কিলের আর্ধেকও নেই। তবে একটা জিনিস হয়েছে এর ফলে। টিভিতে দেখে আমি কোন প্লেয়ারের সমালোচনা করি না। ওদের লেভেলই আলাদা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | ৬৩৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১১:১৬65372
  • দারুণ :-)
  • সুকি | 90045.205.012323.215 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২২65378
  • দারুণ হয়েছে. ওই গুগলি বোলারের ব্যাপারটা আগে কোথায় পড়েছিলাম মনে হচ্ছে.
  • Tim | 89900.253.8956.205 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:২৫65373
  • এই লেখাটা এতদিন কোথায় ছিলো? আরো হোক, এতো সোনার খনি ঃ-)
  • Kihobejene | 676712.216.785612.98 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৪65374
  • Darun. Last line ta aro jomiye dilo.
  • dd | 670112.51.6712.239 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৪65375
  • আমার মাসতুতো ভাই জয় ছিলো পাড়ার সবথেকে সাকসেসফুল ব্যাটসম্যান।

    সেই সত্তরের দশকে পাড়ায় ক্রিকেট তাত্ত্বিক ছিলো অগুন্তি। দু একজন ফার্স্ট ডিভিসনের কোনো ক্লাবের রিসারভেও থাকতো। তাদের তত্ত্বকথার আর শেষ হতো না। বলের লাইন পা, পায়ের লাইনে ব্যাট,ব্যাটের লাইনের চোখ - এইসব কতো কথা শুনতাম। কিন্তু পাড়ার ম্যাচে কেউ রান করতে পরতো না। অতো থিউরী বৃথাই যেতো।

    আর জয়কে দেখুন। যেনো মাছ ধরতে গেছে ছিপ হাতে এইরকমএর স্ট্যান্স নিয়ে দাঁড়াতো। উইকেটে বল পড়লে কোনোরকমে আটকে দিতো। কিন্তু একটুও বাইরে দিয়ে বল গেলেই বিশুদ্ধ খোঁচা। কোনো রকম পুল,ফ্লিক,কাট - ওসবের বালাইই নেই। খ্যাঁচ করে ব্যাটটা বাড়িয়ে একটা খোঁচা। সে ব্যাটের যে কোনো অংশ দিয়ে, সাইড,ব্যাক মায় হ্যান্ডেল। সব চলতো।

    ওর পরিক্ষিত থিউরী ছিলো, দ্যাখ, ক্যাচ কেউ ধরতে পারে না। স্লিপে ফালতু দাঁড়িয়ে থাকে ফিল্ডারেরা।সত্যি তাই। সকলের হাতের হাঁক দিয়ে ,হাঁটুর মাঝখান দিয়ে হু হা বল চলে যেতো।

    দিনের শেষে তাত্ত্বিকের দল জিরো বা সামান্য রান করে জয়ের খেলা দেখে ক্রিকেটের বিশুদ্ধ অপমানে শুধু দাঁত কিড়মিড় করে যেতো। জয়, সব সময়েই হায়েস্ট স্কোরার।
  • aka | 236712.44.564523.32 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০২65379
  • স্পিন দুইভাবে রিড করা যায়, হাত দেখে, বা এয়ারে বলের স্পিন দেখে। হাত দেখে পারতাম না, আমার মাইনাস পাওয়ার বরাবর। কিন্তু বাতাসে একটু বল ভাসলে ঠিকই রিড করতে পারতাম। অসুবিধা হত জেনুইন সুইং বোলিংয়ে, তার ওপর যদি পিচে বেশি জল দিত। একে তো বল তেড়ে বেঁকে আসছে, তারপর পিচে পড়ে থমকে যেত। পুরো নাচানাচি কেস।

    ভালো লেখা।
  • কুশান | 561212.187.1256.218 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৬65380
  • ন্যাড়া, আপনার এই লেখা অনেক স্মৃতি উসকে দিল। মিডিয়াম পেসে গতি, সুইং ও ইয়র্কার আনতে ব্যর্থ হয়ে স্পিন ধরি। উইকেট না পেলেও মেডেন পেতাম। গুড লেংথ স্পট চিনতাম। খেলতে গিয়ে বুঝেছি যে গুড লেংথ স্পট আসলে একটা মিথ। কোন প্লেয়ার ফ্রন্টফুটে খেলে, কে অফে দুর্বল, এটা চিনতে গেলে মাঠে নামতে হয়। শর্ট পিচ কারুর দুর্বলতা।
    তবে, কিপিং নিয়ে যা বলেছেন সেটা একেবারে মোক্ষম।

    এই লেখার ভাষা ও প্রকাশ ভঙ্গিও অপূর্ব।
    আপনি গাভাস্কার স্কুলের। কোন সালে hs বলবেন? বাকিটা মিলিয়ে বুঝে নেবো।
    আরো লিখুন। লুপ্ত সময়কে লেখায় ফেরান, স্মৃতির মিড অফ আর গালি হয়ে। শব্দেই ধরুন ইয়র্কার।
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:০২65376
  • হা হা হা হা
  • শঙ্খ | 2345.110.674512.89 (*) | ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩০65377
  • ন্যাড়াদার বাকি সব লেখার মতই এটাও দুর্দান্ত হয়েছে
  • ন্যাড়া | 2312.53.45.66 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৩65381
  • কুশাণ, এইভাবে বলি - আমি যখন হায়ার সেকেন্ডারি দিলাম তখনও রাজারা দিগবিজয়ে বেরোতেন, পথেঘাটে মুচকুন্দ ফুল ফুটত, রাজকুমারীরা পদ্মরেণু দিয়ে প্রসাধন করতেন। ১৯৮৭।
  • avi | 7845.11.238912.58 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:০৫65382
  • প্রচণ্ড অসুবিধাজনক ছিল কাটার ঠিকঠাক ঢুকলে। বাপরে।
    ক্রিকেট একবার হাসপাতালে ঢুকেছিল। মেডিক্যাল কলেজের বাচ্চাদের বিভাগে হাউসস্টাফ হয়ে রাত কাটছে। কিছু একটা দরকার পড়েছিল, ফিরে আবার ডিউটি রুমে যাব, সিস্টারকে একটু জল দিতে বললাম। জলের বোতল ফ্রিজ থেকে নিয়ে ছিপি তুলতে গিয়ে সেটা বাঁ হাত ফসকে পড়ে গেল। অমনি দেখি বেশ একটা স্বচ্ছন্দ আর্ক বানিয়ে বাঁ হাতটাই আবার হাঁটুর কাছে ছিপিটা ধরে নিয়েছে। দিদি গোলগোল চোখ করলেন। আমি একটু হাবার মতো বললাম, আসলে অনেকদিনের স্লিপের অভিজ্ঞতা।
  • দ্রি | 9000123.95.1256.11 (*) | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৬:৪১65383
  • ন্যাড়াদা এক রাজস্থানী রঞ্জি প্লেয়ারের স্পিন বোলিং বুঝতে না পেরে খেলার সমালোচনা ছেড়ে দিলেন?

    এহ্‌, সমালোচনা ইন্ডাস্ট্রিতে এ যে কত বড় লস ... যাগ্গে গানে আবার এরকম করবেন না যেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন