এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ওই মালতীলতা দোলে

    Samim Ahmed লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৮ জুলাই ২০১৮ | ১৭২১ বার পঠিত

  • আহাদে আহমদ হইল
    মানুষে সাঁই জন্ম নিল
    লালন মহা ফ্যারে পড়ল
    সিরাজ সাঁইজির অন্ত না পাওয়ায়।

    এক মনে জমিতে লাঙল দিচ্ছিল আলিম সেখ। দুটি জবরজঙ্গী কালো মোষ আর লোহার লাঙল। অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। আজকাল আর কেউ কাঠের লাঙল ব্যবহার করে না। তার অনেক দাম। একটু দূরে আলিম সেখের খালাতো ভাই কদর সেখ বসে আছে বটগাছের ছাউনিতে। বৃষ্টি কমলে সে এসে লাঙল ধরবে। কাঠের লাঙলের বড় বেশি খরচ। নষ্টও হয় তাড়াতাড়ি। ভীষণ জোরে মেঘ ডাকছে। আজকাল এই এক হয়েছে। অঝোরে পানি নেমে দরিয়া ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলে যাক, কিন্তু এই দুমদাম বাজ পড়া কিছুতেই সহ্য হয় না আলিম সেখের। গেল হপ্তায় ভরতপুরের তিন জন বাজ পড়ে মারা গেল। তার আগের হপ্তায় খড়গাঁয়ে। পুকুরে মাঝ ধরছিল লক্ষ্মণ বাগদি। পানিকেও ছাড়লো না ওই খতরনক বাজ। তলিয়ে গেল লক্ষ্মণ। তাঁকে ভাসিয়ে দেওয়া হল উদ্ধারণপুরের ঘাটে। আলিমের আব্বা বলেছিল, কাঠের লাঙল ভারি নিরাপদ, যেমন কাঠের ছাতা। কিন্তু আজকাল সবেতেই লোহা। আলিম শুনেছে, কিছুদিনের মধ্যে প্লাস্টিকের লাঙল আসবে, যেমন এসেছে কলের পাইপ। কড় কড় করে একখানা বাজ পড়ল শ্রীগ্রামের পাশে। কার উপর পড়ল খোদাতালা জানে।
    কদরের আজ ভারি আহ্লাদ। এমন পানির দিনে তার মনে আনন্দ আর ধরে না। সে বটগাছের নীচে বসে বিড়ি খায় আর গুনগুন করে গান করে। বটগাছটা ভারি অদ্ভুত। তার ঠিকঠাক দিক বুঝে বসলে গায়ে এক ফোঁটা পানি লাগে না। আলিম সেখ পানিতে ভিজে লাঙল দিতে বড় ভালবাসে। মোষদের সঙ্গে সে নানা প্রকার বাৎচিত করে। কিন্তু আলিমের বা মোষ দুটোর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না কেন! কদর সেখ গাছের আড়াল থেকে যা দেখল, তাতে তার চক্ষু চড়কগাছ। মোষ দুটোর আটটা পা মাটিতে জমিতে নেই। এক পা তুলে হাতে পাচন নিয়ে আলিম সেখ স্থাণুবৎ দাঁড়িয়ে। একটু আগে বিদ্যুতের ঝলসানি এসেছিল বটে, আওয়াজে সামান্য হলেও কদর সেখের কানে তালা ধরে গিয়েছিল, এ কথা সত্যি। কিন্তু তার খালাতো ভাই আলিম সেখ ও মোষ দুটোর এমন চিত্র সে দেখবে, এ কথা কল্পনা করতে পারেনি! তবে কি আলিম সেখ বাজ পড়ে মারা গেল! মোষ দুটোও? কিন্তু মরে গেলে তো মাটিতে পড়ে যাওয়া নিয়ম। ওরা কীভাবে দাঁড়িয়ে আছে! কদর সেখের যুক্তিবুদ্ধি সব লোপ পায়।
    প্রায় ঘন্টাখানেক কেটে গেল। কদর সেখের বেশ ভয় করছে। সে জানে, আলিম আর দুটো মোষের উপর বাজ পড়েছে। সে কোথাও শুনেছে, এমন অবস্থায় ওদের গায়ে হাত দিতে নেই। দিলে সেও ওই রকম স্থাণুবৎ হয়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ-র কী শান। আবার একটা বাজ অদূরে পড়তে না পড়তেই আলিম সেখ ও মোষ দুটো নড়ে উঠল।
    কদর সেখ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। তার মনে পড়ল আলিম সেখ তার খালাতো ভাই নয়, খালাতো বোন। সে গল্প অনেক। কদরও জানতো না সে কথা যদি না আলিমের সঙ্গে তালতীলমার শাদি হত!
    সে অনেক কাল আগের কথা। কদর সেখের খালুজান আকবর কশাইয়ের স্ত্রী ছিলেন নিঃসন্তান। মিঞা-বিবি মিলে অনেক থানে হত্যে দিয়েছে, মানত করেছে বহু দরগায়। কিন্তু বাচ্চাকাচ্চা আর হয় না। অবশেষে পাথরচাপুড়ির পির দাতা বাবা মখদুম শাহের মাজারে গিয়ে ফল হল। একদিন আকবর কশাই খোয়াব দেখল, তার স্ত্রীর পেটে এসেছে এক পুত্রসন্তান। তাদের আর আনন্দ ধরে না। মিষ্টি বিলি করল সারা পাড়ায়। দাইমা এসে বলল, আরও কয়েক দিন গেলে বোঝা যাবে, বউবিবি আদৌ পোয়াতি কিনা। পরের মাসে যখন জানা গেল যে আকবর কশাইয়ের বিবি সত্যি-সত্যি গর্ভবতী, তখন পাড়ায় আবার জিলিপি বিলি করল আকবর কশাই। ছোলার বেসনের জিলিপি নয়, এ হল মুগ ডালের জিলিপি—একটি খেলে সারা হপ্তা মুখে স্বাদ লেগে থাকে।
    নয় মাস নয় দিন পর আঁতুড়ঘর আলো করে আকবর কশাইয়ের বিবি একটি সন্তানের জন্ম দিলেন। দাইমা আতুড়ঘর থেকে বেরিয়ে বললেন, খুকি হয়েছে।
    আকবর কশাইয়ের মাথায় বজ্রাঘাত হল। খুকি? কোনও দিন তা হতে পারে না। স্বয়ং পির বাবা খোয়াবে তাকে বলেছেন, তার পুত্রসন্তান জন্মাবে, আর এই দাইমা বলে কিনা খুকি! হতেই পারে না।
    আকবর কশাই প্রবেশ করল আঁতুড়ঘরে। যদিও তার আঁতুড়ে ঢোকার কথা নয়। সে সন্তানের দিকে ভাল করে তাকিয়ে থাকল অনেক ক্ষণ। বিবি তখন কাঠের আগুনের সামনে। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙের অঙ্গার। আকবর কশাই সে দিকে বেশি ক্ষণ তাকাতে পারল না। সে বেরিয়ে এল আঁতুড়শাল থেকে। দাইমাকে ডেকে তাঁর হাতে তুলে দিল একটি রুপোর মুদ্রা। এই সেই মুদ্রা যা সে পেয়েছিল নিজের দাদিজানের কাছ থেকে। তার পর গোটা পাড়ায় ঘোষণা করে দিল, আকবর কশাইয়ের একটি পুত্রসন্তান হয়েছে।
    গাঁ-গেরামে খবর চাউর হয়ে গেল। সন্তানের নাম রাখা হল আলিম সেখ। মৌলবি এসে নবজাতকের কানে আজান ফুঁকে দিলেন। আকবর কশাইয়ের বিবি পড়লেন মহা ফাঁপরে।
    কন্যাটি পুত্রের মতো বড় হতে লাগল। তাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেওয়া হয় না। আকবর কশাইয়ের বিবিকে কশাই কী বুঝিয়েছে কে জানে, তিনিও ভাবতে লাগলেন, এই সন্তান পুত্র। সন্তানকে ইস্কুলে পাঠানো হল না, বাড়িতেই সে বন্দি থাকে। লোকে ভাবে, একমাত্র পুত্র, তাই আকবর কশাই আর তার বিবি তাকে বাইরে বেরোতে দেয় না। বাড়ির চার দেওয়ালে সে নানা রকমের কাজ করে। গবাদি পশুর জন্য খড় কাটে, জাবনা দেয়। এই ভাবে ধীরে ধীরে বড় হয়ে যায় আলিম সেখ। তার বাড়ির বাইরে বেরনোর অনুমতি মেলে।
    ধীরে ধীরে সে মাঠে গিয়ে কাজকম্ম করে। তার ভিতরে মেয়েলি ভাব আছে বটে, কিন্তু গাঁ গেরামে তো মেয়েলি ছেলে অনেক। ওদিকে আলিম সেখের দাড়ি গোঁফ বের হয় না। আকবর কশাই বলে, হেকিম বলেছে তার ছেলে মাকুন্দ। কী হবে দাড়ি গোঁফের! আলিম সেখ টের পায়, কিছু একটা গোলমাল তার সঙ্গে হয়েছে।
    ওদিকে আকবর কশাই আলিমের বিয়ে দেবে বলে নানা জায়গায় মেয়ে দেখতে শুরু করে। তার পর একদিন তালতীলমা বানুর সন্ধান পায় সে। গরিব ঘরের মেয়ে কিন্তু বড় লক্ষীমন্ত তার চেহারা। ওই বিয়েই কাল হল। বাসর রাতেই তালতীলমা বিবি ধরে ফেলে তার স্বামী পুরুষ মানুষ নয়, তার বিয়ে হয়েছে একজন স্ত্রীলোকের সঙ্গে। আলিম সেখের বক্ষদেশ থেকে নিম্নাঙ্গ সর্বত্র মেয়েমানুষের চিহ্ন স্পষ্ট। কিন্তু তালতীলমা বিবি কী করবে! তার কীই বা করার আছে!
    মাস খানেক পরে একদিন রাতের অন্ধকারে তালতীলমা বিবি চলে যায় নুর আলম কলবলির ডেরায়। তাকেই খুলে বলে সব কথা। নুর বাবা ডেকে পাঠায় আলিম সেখ আর আকবর কশাইকে। তার পর বলে, থানা পুলিশ করে কোনও লাভ নেই। তালতীলমা বিবি আমার ডেরাতেই থাক। তুমি পাড়ায় বোলো, খোয়াবে তেমন আদেশ পেয়েছো তুমি। আলিম সেখ ভাবল, এই জীবন সে রেখে কী করবে! তালতীলমাকে সে যে ভালবেসে ফেলেছে। ওই মেয়ে ছাড়া তার জীবন সে রাখবে না। অনেক বুঝিয়ে তাকে শান্ত করে নুর আলম কলবলি। আলিম সেখ সারা গাঁয়ে বলে বেড়ায়, সে মেয়েমানুষ; তার বাবা এত দিন সবাইকে ভুল বুঝিয়েছে। কেউ কেউ তার লুঙ্গি তুলে দেখল, আলিম সেখের শিশ্ন নেই। লোকে বলতে লাগল, পুংলিঙ্গ না থাকলে কীভাবে সে কর্ষণ করবে স্ত্রীক্ষেত্র!
    আলিম সেখ লাঙল তুলে ফেলল ক্ষেত থেকে। কদর সেখ বলল, ভাইজান! মোষগুলাকে ছেড়ে দাও। আজ আর চাষবাষে কাম নাই। চলো, এমন ডাউরির দিনে মুড়ি তেলেভাজা কিনে নুর বাবার আখড়ায় যায়। কতদিন তালতীলমা ভাবিজানকে দেখি নাই।
    আলিম সেখের প্রাণে কেমন একটা পুলক লাগে। সে বলে, তাই চল কদর ভাই! তুর ভাবিজানকে আজ দেখতে যাই।
    বৃষ্টির মধ্যে আলিম সেখ ও কদর সেখ বাড়ির পথে হাঁটা দেয়। তখনও মেঘ ডেকে চলেছে কড়াম কড়াম শব্দে। ভিজেনেয়ে যখন বাড়ি আসে তারা তখন বিকেলবেলা। বাড়ি ঢুকে জামাকাপড় ছেড়ে চাট্টি ভাত ডাল খেয়ে তারা দুজনে এগিয়ে যায় নুর আলম কলবলির আখড়ার দিকে।
    আখড়া এত ফাঁকা কেন! মহরম মাসে তো তোড়জোড় থাকার কথা। কুটিরের ভিতরে মেয়েলি গলা শোনা যায়। তালতীলমার কন্ঠস্বর ভাল মতো চেনে আলিম সেখ। সঙ্গে তাহলে তানীবন হবে নিশ্চয়। কিন্তু নুর বাবা কোথায়! কোন খানে গেল তার শাগরেদরা! আলিম শেখ আর কদর শেখ বিপদের ঘ্রাণ পায়। দূরে কুকুরটি চুপচাপ বসে আছে। তখন বৃষ্টি ধরেছে। আলিম শেখ হাঁক দেয়, কই গো, কেউ ভিতরে আছো?
    তানীবন জবাব দেয়, ভিতরে আসো। সঙ্গে মরদ মানুষ থাকলে তারে আনিও না। কদর শেখ দাওয়ায় বসে পড়ে। আলিম শেখ অন্দরে ঢোকে।
    তালতীলমা বিবি বলে, তুমি আইসো! বসো। শোনো নাই, কাল নুর বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেসে। সব কটা মরদ মানুষকে তুলে নিয়ে গেসে ওরা। সকালে আমি আর তানীবন মা থানায় গিয়েসিলাম। অনেক ক্ষণ অপিক্ষা কইরা বড় বাবুর সাথে দেখা হইল। তিনি বলেন, এরম তো কাউকে এখানে আনা হই নাই। আমরা জিগ্যাস করি, দাঙ্গা লাগসে নাকি! বড় বাবু হাইস্যা উড়িয়া দিল সব কতা। সামান্য মারামারি গা-গেরামে হয়, তাকে দাঙ্গা বলে না। আমরা জিগ্যাস করি, তবে কলবলি বাবাকে কারা নিয়ে গেল?
    বড় বাবু বলেন, নিশিতে লইয়া গ্যাসে। চিন্তা কইরো না। চব্বিশ ঘন্টা বাদ আবার ফেরত দিয়া যাইবে। আমরা ইন্তেজার করছি।
    আলিম শেখ বলে, দাঙ্গা হইলে শুনতে পাইতাম। বড় বাবু ওই কতাটা ঠিক বলেসেন। কিন্তু নুর বাবাদের কারা লইয়া গেল? নিশির কথাটা আমার পেত্যয় হয় না।
    এমন সময় কুটিরের বাইরে থেকে আওয়াজ পাওয়া যায়, তানীবন বিবি আসো নাকি?
    আলিম শেখ বেরিয়ে দেখে একজন বেগানা লোক দাঁড়িয়ে। হাতে তার তেল চুকচুকে লাঠি। সে জিজ্ঞেস করে, নুর বাবার পরিবার কই গেল?
    কদর শেখ দাওয়া থেকে নেমে দৌড়ে পালায়।
    আলিম শেখ বলে, কিন্তু আপনাকে তো চিনত্যা পারলাম না। আপনি কে গা?
    আমি আইজুনি গ্রামের নিশিকান্ত জমিদারের লেঠেল। নুর বাবার পরিবারকে একটা খপর দিব।
    “কী খপর?”
    --সে তাকেই বলব। তুমি কে হে বাপু?
    তানীবন বিবি ঘর থেকে বেরিয়ে এসে লোকটাকে দেখে একটু ঘাবড়ে যায়। এই লোক তো তার চেনা, কী যেন নাম!
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৮ জুলাই ২০১৮ | ১৭২১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন