এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শ্রী রামকৃষ্ণ : কিছু দ্বন্দ্ব

    Sumana Sanyal লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ | ৩৮০৫ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • ভাবছিলাম এ বিষয়ে আদৌ কিছু লিখবো কিনা, কারণ প্রবল গালমন্দ খাবার সম্ভাবনা আছে। আসলে, অনেকদিনই, মানে যখন থেকে ভারতবর্ষ এবং বাংলায় গুরুবাদী প্রকল্পের আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন থেকে মাঝেমাঝেই রামকৃষ্ণ দেব এর কথা মনে পড়ে। তাঁকে আমি কখনোই এইসব চমকপ্রদ বাবাদের সঙ্গে মেলাতে পারিনা। সত্যি বলতে কি, কথামৃত পুরোটা পড়িনি আজও। পড়বো নিশ্চয়ই কখনো। কিন্তু যতোটুকু পড়েছি, তাতে ওঁর মধ্যে অদ্ভুত কিছু পরষ্পরবিরোধি চলাচল দেখেছি। সেটা নারী বিষয়েই। বিনোদিনী কে তিনি পঙ্কতল থেকে "উদ্ধার" করেন। বলেন " তুই তো গায়ে হলুদ মেখেই বসে আছিস।" সেই বিনোদিনী কে দক্ষিণেশ্বরে আসতে হয়েছে সাহেবের ছদ্মবেশে, রামকৃষ্ণ যখন মৃত্যুশয্যায়। নিবেদিতা অসম্ভব আদর পেয়েছেন সারদার। কিন্তু সারদার "খুকি" র বেলুড় মঠে প্রবেশাধিকার ছিলোনা। দক্ষিণেশ্বরেও পূজো দিতে পারেন নি। বিবেকানন্দ তাঁকে কালীঘাটে নিয়ে গিয়ে পূজো দিইয়েছিলেন। সে হয়তো নিবেদিতা ম্লেচ্ছ বিদেশিনী বলেই। বিবেকানন্দ ক্ষুব্ধ হলেও প্রতিবাদ করেন নি। একবার সারদা বিরোধিতা করেছিলেন তাঁর স্বামীর। এক মহিলা ভক্ত রামকৃষ্ণ কে ভাতের থালা সামনে দেওয়ায় সেই অন্ন গ্রহণ করতে চাননি তিনি। কারণ তাঁর মতে মহিলাটি পতিতা। কেনো? কেননা, রামকৃষ্ণ "শুনেছেন" বিধবা মহিলাটি তার দেওরের প্রতি অনুরক্ত। তাই সে অশুচি। ঊনিশ শতক। দিনেরবেলা যে মহিলার স্বামীর সঙ্গে কথা বলারও অনুমতি ছিলোনা, সেই সারদা স্বামীকে বলেছিলেন এটা অন্যায়। হতে পারেনা। যে ভক্ত, সে শুধু ভক্ত। তার চরিত্র বিচারের ভার নিয়ে লাভ কী? পূর্ণযৌবনা স্ত্রীর "দেহবুদ্ধি" নষ্ট করার জন্যে তাঁকে মাতৃরূপে পূজো করেছেন রামকৃষ্ণ। এও কি এক নারীর পরম অপ্রাপ্তি নয়? এইভাবে কি কামবোধ নষ্ট করা যায়? ঋতুকাল, জরায়ুর সঙ্কোচন, এসব কীভাবে আটকাবে ওই পূজোর সমাহার? এক নারীর সমস্ত যৌনতা ঢাকা পড়ে গেলো বিসর্জনের বাজনায়। নারীর সেই আদি অন্তহীন আর্কেটাইপ, মাতৃরূপ প্রতিষ্ঠা করে নারীকেই ইরেজ করে দিলো একটা গোটা দশকের হিন্দুত্ববাদী এজেণ্ডা। ক্ষমা করবেন, আমি এর মধ্যে সুমহান কোনো উচ্চ ভাবাদর্শ খুঁজে পাইনি। নারী কি শুধুই মা? শুধু মঠের ছেলেদের মা ডাক শুনেই তাকে চাপা দিতে হবে যাবতীয় যৌন ইচ্ছে? এছাড়াও বিভিন্ন উক্তিতে নারীর আইডেন্টিটি কে ধ্বংস করেছেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ। কামিনীকাঞ্চন ত্যাগের কথা বলেছেন বারবার। তাঁর যৌন শৈথিল্যও কি অবচেতনে কাজ করেনি? রামকৃষ্ণ তাঁর ভেতরে নারীকে ধারণ করতেন। বহুসময় নিজেকে নারী সাজিয়েছেন। সে বাল্যকালে নারী সাজাই হোক, অথবা রানি রাসমণির বাড়িতে নারীবেশে প্রতিমাকে বাতাস করাই হোক। এ বিষয়ে কি অব্যক্ত কোনো যন্ত্রণাও ছিলো তাঁর? এ নিয়ে লিঙ্গান্তর বিষয়ক চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে কিনা সেটা আপনারা বলবেন। কিন্তু তাঁর সীমাবদ্ধতা অপর এক নারীর চিহ্নগুলো মুছে দিয়েছে। তাঁর প্রিয়তম শিষ্য নরেন কে দেখতে না পেলে যেভাবে অধীর হতেন, তাতে পদাবলীর রাধাকে মনে পড়ে।
    তাঁর নরেন ও বিভিন্ন সময় নারী বিষয়ে মতামত জানিয়েছেন, যা প্রবল পরস্পর বিরোধী। নিবেদিতাকে বলেছেন নারীই হোলো শক্তির আধার। আবার পরক্ষণেই মাংস খাওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন মাংস খেলে শরীর উত্তেজিত,মন আলোড়িত হয়। সেইকারণেই আমাদের বাংলার মেয়েরা মাংস খায় না। অথচ তিনি নিজে পাঁঠার মাংস খুব ভালোবাসতেন। গুরুর পথে হেঁটেই বিবেকানন্দ অস্বীকার করেন প্রেম কে। অমরনাথের গুহায় তাঁর সঙ্গী হতে চাওয়া নাছোড়বান্দা নিবেদিতা তাঁকে বলেন, রামকৃষ্ণ তো সারদা কে নিয়েই ধ্যান করতেন। বিবেকানন্দ নিশ্চল,বাকরহিত। নিজেকেই তাঁর ভয়। কিছু পরে ম্লান কন্ঠে তিনি বললেন " কিন্তু আমি তো রামকৃষ্ণ নই!"
    এর সমান্তরালে বাংলায় আরম্ভ হোলো বৈষ্ণব পুনরুত্থানবাদী আন্দোলন। ওই সময়েই। মহাত্মা শিশিরকুমার ঘোষের নেতৃত্বে। সে এক অন্য উন্মাদনা। এই ছবি রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন "চতুরঙ্গ" উপন্যাসের লীলানন্দস্বামীর মধ্যে। সে ছিলো রসের আগুন। যে আগুনে খাক হয়ে দামিনী লীলানন্দের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত বিদ্রোহ করেছে। এক শিষ্যের স্ত্রীর আত্মহত্যার পরে দামিনী মনে করিয়ে দিয়েছে রসের রাক্ষসীর কাছে নারীকে বলি দেবার কথা। নারীত্বকেই অস্বীকৃতির কথা।
    আমার কাছে অন্তত কোনো হিন্দুত্ব,কোনো আধ্যাত্মিকতাই নারীর স্বীকৃতি নিয়ে আসেনি।
    রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মঠ মিশনও নারীকে অবরোধবাসিনী করেই রেখেছেন নিজস্ব ধাঁচে।
    এইরকম চিন্তা কি আমারও প্রাকরুদ্ধি তবে?
    Ipsita Pal Rouhin Banerjee
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ | ৩৮০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anjan Banerjee | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৪১90991
  • আমার মতে আপনার প্রতিটি বক্তব্যই সঠিক। বিরোধিতা করার কারণ দেখি না।
    তবে একটা soothing স্পিরিচুয়াল embodiment হিসেবে ওনাকে গ্রহণ করে মানুষ যদি stress থেকে একটুও রিলিফ পায় সে USP টা নিয়ে নেওয়া যেতে পারে। অবতারবাদের কথা বাদই দিচ্ছি, অন্তত গুরুবাদের আশ্রয় ছাড়া সাধারণ মানুষ বাঁচে না। Rigid atheism -এ নিমগ্ন থেকে জীবন যাপন করার মতো মানসিক শক্তি পৃথিবীর খুব কম লোকেরই আছে।
  • রঞ্জন | 162.158.167.193 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২০:১০90993
  • আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত। চর্বিত চর্বণের বাইরে অন্যমাত্রার চিন্তা ভাল লাগল। পাঁচ খন্ডের কথামৃত এবং লীলাপ্রসঙ্গ পড়েই বলছি । গুরুর পাতাতেই এনিয়ে আগে গাল খেয়েছি, তাতে কি !

  • এলেবেলে | 141.101.98.9 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:২৩90994
  • ২০১৮ সালের লেখা দেখছি। সেই লেখায় মোটে দুটো মন্তব্য? আপনি প্রতিটি কথাই ঠিক বলেছেন। আর রামকৃষ্ণর মৃত্যুর পরেই কেবলমাত্র সারদাকে সংঘজননী বানানো হয় সম্ভবত গুরুবাদী ধারাটিকে টিকিয়ে রাখতেই। আপনাকে অনুরোধ, এই নিয়ে আরও বিস্তারিত লিখুন।

  • Anjan Banerjee | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২১:২৫90995
  • হ্যাঁ চর্বিত চর্বনের ছিবড়েগুলোকে এবার হোস পাইপ দিয়ে ধুয়ে দেবার সময় এসেছে। এখন সবকিছুই যখন utilitarian তখন ধর্মই বা একটেরে হয়ে থাকে কেন ?
    তবে ওনার কিছু গুণ তো অস্বীকার করার উপায় নেই। অমন সাঙ্গীতিক পারঙ্গমতা এবং অনবদ্য extempore কাব্যিক কথকতা ক্ষমতা সত্যিই দুর্লভ। আর রামকৃষ্ণদেবের সবচেয়ে বড় অবদান হল, তিনি জলের মতো সহজ করে বেদান্ত শিক্ষা দিয়েছিলেন। তার আগে সাধারণ লোক ওর মধ্যে ঢুকতে পারত না। এখন যদি বলেন, গুচ্চের ওসব জেনে আমার কোন পরমার্থ ( বা কাঁচা অর্থ ) লাভ হবে , ওসব ফালতু বাকবাসে আমার কোন দিল চসপি নেই, সেটা অন্য প্রসঙ্গ । ওগুলো পরে হবে —-
  • সুমনাসান্যাল | 162.158.166.56 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৭:১০91005
  • এ নিয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছে থাকলেও লিখতে পারছি না। অনেকদিন ফেসবুকেই ছিলাম না। গুরুর সাইটে লেখার নিয়ম, প্রণালী সব ভুলে গেছি
  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৩:০০98398
  • কোনো কিছু নিয়ে সামান্যতম পড়াশোনা না করেই  কিভাবে পণ্ডিতি ফলাতে হয়, তা এইসব লেখা পড়ে বোঝা যায়। 


    রামকৃষ্ণ বিনোদিনীকে বলেছিলেন "চৈতন্য হোক।" "তুই গায়ে হলুদ মেখে বসে আছিস" মেগাসিরিয়াল মার্কা ডায়লগ দেননি! তৎকালীন যুগে অভিনেত্রীদের সবাই ঘৃণা করত। সেই সময় রামকৃষ্ণ তাঁদের অভিনয় দেখতে গেছেন, "মা আনন্দময়ী " বলে সম্বোধন করেছেন। এ এক অসামান্য সমাজবিপ্লব। উৎপল দত্ত গিরিশমানস প্রবন্ধে এই নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। 


    আর লীলাপ্রসঙ্গ অত্যন্ত প্রামাণ্য গ্রন্থ। রামকৃষ্ণ ভক্তপরিমণ্ডলের বাইরে যাঁরা  রামকৃষ্ণ নিয়ে গবেষণা করেছেন, তাঁরাও এই ব‌ইয়ের সাহায্য নিয়েছেন। 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৩:১৬98399
  • আর গরু সর্বত্র‌ই গুরুবাদ দেখবে, এতে আর বিচিত্র কি? 


    লেখিকা বলেছেন,  নিবেদিতার বেলুড় মঠে প্রবেশাধিকার ছিলনা। কোথায় পেলেন এই অসামান্য তথ্য? ১৯০৪ সালে বিবেকানন্দের জন্মতিথি অনুুষ্ঠানে নিবেদিতা সভাপতিত্ব করেন। 


    Complete works of Swami Vivekananda  এর প্রথম খণ্ড নিবেদিতা সম্পাদনা করেন। 1908 সালে এটি প্রকাশিত হয়।


     নিবেদিতার লেখা " My Master as I saw Him" উদ্বোধন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়। সমস্ত আর্থিক খরচ মিশন কর্তৃপক্ষ বহন করে। 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৪০98401
  • নিবেদিতা মৃত্যুর ছদিন আগে তাঁর উইল করেন।  আচার্য জগদীশচন্দ্রের তত্ত্বাবধানে এই উইল হয়।  উঠলে নিবেদিতা বলেন, তাঁর সমস্ত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি তাঁর মেয়েদের স্কুলের জন্য ব্যবহৃত হবে। এবং এর দায়িত্বে থাকবে রামকৃষ্ণ মিশনের ট্রাস্ট বোর্ড। 


    নিবেদিতা মঠে প্রবেশাধিকার ছিলনা! 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৩:৫০98403
  • লেখিকা বলেছেন নিবেদিতাকে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, বিবেকানন্দ কোনো প্রতিবাদ করেননি!  লেখিকা বোধহয় জানেননা, বিদেশ প্রত্যাগত বিবেকানন্দকেও দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ ঢুকতে দেননি!  1897 সালে তিনি শেষবার মন্দিরে গিয়েছিলেন, এরপর কালাপানি ফেরত লোক ঢোকার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ মন্দির গঙ্গাজলে পরিষ্কার করা হয় ও লিখিত বিবৃতি দেওয়া হয় বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তির মন্দিরে প্রবেশ নিষিদ্ধ! 


    নিবেদিতা ভারতে আসেন ১৮৯৮ সালে! 


    মূল ব‌ই না পড়ে চোথা মুখস্থ করলে এইরকম লেখা বের হয়! 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৪:০৪98404
  • আর লেখিকা অমরনাথ গুহায় বিবেকানন্দ ও নিবেদিতার কথোপকথন বলে যেটা চালিয়েছেন, সেটা স্রেফ প্রথম আলো থেকে টুুুকলি! আর প্রথম আলো উপন্যাস, কোনো গবেষণাগ্রন্থ নয়!  এমনকি কথাটা ওখানেও ছিল না! না পড়ে টুুুকলে এইরকম হয়! 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৪:১২98405
  • আর রামকৃষ্ণ -বিবেকানন্দ কিভাবে নারীকে অবরোধবাসিনী করে রেখেছেন, তার কোনো প্রমাণ পেলাম না। বরং রামকৃষ্ণ তাঁর শিষ্যা গৌরী মা কে বলেছিলেন এদেশের মেয়েদের জন্য কাজ করতে। গৌরী মা সেই আদেশ মেনে "সারদেশ্বরী আশ্রম" প্রতিষ্ঠা করেন, ১৮৯৪ সালে! বেলুড় মঠ তখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি! 


    রামকৃষ্ণ নারীকে অবরোধে থাকতে বলেছিলেন! 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩০98407
  • আর যাঁরা আধ্যাত্মিক জীবন গ্রহণ করেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই যৌনজীবনকে পরিত্যাগ করেছেন। তাঁদের মতে যৌনজীবন ও সাধনা একসঙ্গে চলেনা। বুদ্ধ, খ্রিস্ট, চৈতন্য সবাই সাংসারিক জীবন পরিত্যাগ করেছিলেন। মীরাবাই স্বামী, সংসার সব ছেড়ে বেড়িয়ে পড়েছিলেন। যাঁরা আধ্যাত্মিক জীবন গ্রহণ করেছেন, সবাই এক কাজ‌ই করেছেন! 


    চৈতন্যের এক শিষ্য ছোটো হরিদাস মহিলার কাছে ভিক্ষা নিয়েছিলেন। এই অপরাধে চৈতন্য তাঁকে পরিত্যাগ করেন। অন্যান্য ভক্তদেরঅনুরোধেও তিনি সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন। অনুতপ্ত হরিদাস বৃন্দাবনে গিয়ে প্রাণ বিসর্জন করেন। অর্থাৎ রামকৃষ্ণের চেয়ে চৈতন্য আরো বেশি কঠোর!


    প্রসঙ্গত সন্ন্যাস গ্রহণের পরে চৈতন্য মা ছাড়া আর কোনো নারীর কাছে ভিক্ষা নেননি, বাক্যালাপ করেননি! 

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৩৯98408
  • প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারদা মিশনে পুরুষরা যখন খুশি তখন যেতে পারেন না। আর গেলেও তাঁদের যাতায়াত অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত। সব জায়গায় তাঁদের প্রবেশাধিকার নেই! 


    তা এটাকে কি বলবেন মহাশয়া? পুরুষবিদ্বেষ? Genderbias? 

  • :)) | 2a0b:f4c0:16c:6::1 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫২98409
  • আহা রামকেষ্টচাড্ডিটার আমাশা হয়ে গেছে গো।  ছিরিত ছিরিত করে হেগে যাচ্চে। পুরুষদের হারেমেও ঢোকার অধিকার থাকে না। হারেম তৈরী যে মন নিয়ে করে  তার থেকে এদের মন চিন্তা বিশেষ আলাদা নয়। মেয়ে মানে সংরক্ষিত  ভোগ্যবস্তু।

  • দীপ | 103.77.136.68 | ১৩ অক্টোবর ২০২০ ১৫:৫২98410
  • নেহেরু, ভূপেন্দ্রনাথ দত্ত, বিনয় সরকার, হীরেন্দ্রনাথ মুখার্জী, উৎপল দত্ত- এঁরা রামকৃষ্ণ -বিবেকানন্দ নিয়ে তথ্যনিষ্ঠভাবে আলোচনা করেছেন। কোনটাই ছুঁয়েছেন বলে মনে হয় না! 

  • লীলানন্দ স্বামী | 2409:4060:2e15:eef6::aecb:f0e | ১৬ এপ্রিল ২০২১ ১১:৫৭104793
  •  ওয়াক থুঃ। 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন