এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মালতী, নীতা আর আমি

    Kallol Lahiri লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৮ | ১২৫৮ বার পঠিত
  • দাদা এসে ঘুম ভাঙালো। বিকেল শেষের পড়ন্ত রোদটা সবে আমাদের বাড়ির উঁচু পাঁচিলটা ছেড়ে এবার কন্টিদের ছাদে মিলিয়ে যাবে। “এখোনও ঘুমোচ্ছিস ভাই? বিশালদের বাড়িতে টিভি এসেছে।” দাদার সাথে আমি ছুটি। কিন্তু ঢুকবো কী করে? সামনে যেন সিনেমা হলের মতো ভিড়। তবুও সবাইকে ঠেলে ঠুলে আমি আর দাদা ঢুকে পড়ি বিশালদের বাড়িতে কোনমতে। এককোণে জায়গাও হয়ে যায়। এই প্রথম পাড়ার লোকের সাথে আমি দেখি টিভি। উত্তেজনার পারদ আরো চড়ে যখন একটা সিনেমা শুরু হয়। জানলা থেকে বাদুড় ঝোলা লোক, ঘরের মধ্যে ঠাসা ভিড়, রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেছে পথ চলতি মানুষ। সবাই তাকিয়ে আছে চৌকো একটা কাঠের বাক্সের দিকে। আর সেই কাঠের বাক্সে একটা মেয়ে তার স্বামীকে ভাত বেড়ে দিচ্ছে। স্বামী সেই নিদারুন ক্ষিদের দিনেও তার বউকে কিচ্ছুটি না দিয়ে খেয়ে নিচ্ছে সবটা। “কেমন হিংসুটে দেখ”। পাশ থেকে বলেছিলো জগাই। কিন্তু বউটা কিছু বলেনি। ঠায় চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকেছে। বাড়ি ফিরে লোকটা দেখেছে বউটা মরে গেছে গলায় দড়ি দিয়ে। পাশের বাগদি পাড়ার কমলের মা আঁতকে উঠেছে। মুখে কাপড় চাপা দিয়ে বলেছে “অমন পুরুষের মুখে আগুন”। চোখ বন্ধ করলে বিকেলটা আমি দেখতে পাই। ‘বাইশে শ্রাবণের’ মাধবী, মালতী সেজে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। তার আলতা ফেরি করা বর প্রিয়নাথ আলতা দিয়ে লেখে যখন বাইশে শ্রাবণ, কোনও এক ছটফটে ছোটবেলার সন্ধ্যেতে মাথার মধ্যে ঢোকে না কিছু। কিন্তু কোথাও মনে থেকে যায় মালতীকে। তার মৃত্যুকে। কমলের মায়ের আঁতকে ওঠাকে। “অমন পুরুষের মুখে আগুন।”

    অনেক রাতে বালীর বাসায় একসাথে পাত পেড়ে খায় বারোজন মানুষ। এপার- ওপার বাংলা মিলিয়ে বাবার কথায় “সংসার তরণী ভরপুর”। খেতে বসে ঠাট্টা করে বলে, “একটু তুফান এলেই উলটে যায় বুঝি!” উল্টোয়নি কোনদিন আমাদের সংসারটা। দুহাতে আগলে রেখেছিলো আমার মা। হ্যাঁ এপারের মেয়ে। ওপার থেকে ছেড়ে আসা মানুষগুলোর সামনে একের পর এক পদ জুটতো না ঠিকই। কিন্তু রুটি আর ডাল শেষ হয়ে যেত চকিতে। লুকিয়ে দেখতাম রুটির ডেকচি খালি। জল খেয়ে শুয়ে পড়ছে আমার দিদার বড় আদরের, আর মৈত্র বাড়ির একমাত্র মেয়ে আমার মা। “মা, তুমি খেলে না?” মা হাসে। “কখন খাওয়া হয়ে গেছে”। এই রকম চলতো প্রায়ই। বাবার ছাত্ররা আসতো। হঠাৎই। কোনও আগাম খবর না দিয়ে। দূর দূরান্ত থেকে। মায়ের অন্নপূর্ণার ভাঁড়ার কোনদিন শেষ হয়নি। অথচ নিজের খাওয়ার জন্যে প্রায় বেশির ভাগ দিনই মজুত ছিলো জল। যতদিন না সেই আশির দশকের শুরুতে নতুন সরকার এসে শিক্ষকদের মাইনে বাড়ালো ততদিন মার খাওয়া চলতে থাকলো এমনি করেই। কোথাও মালতী আমার মা মিশে গেলো দুই প্রেক্ষিতের অন্তরালে। শুধু মালতীর প্রতিবাদটা থাকলো; আর আমার মা চেয়ে রইলো আমাদের বড় হবার প্রতীক্ষায়।

    মালতীকে তো গলায় দড়ি দিতে হয়েছিলো আর নীতাকে?

    “প্যান্ডেল রেডি টুকনু...এবার বালিতে চলচ্চিত্র উৎসব।” খুব তাড়াতাড়ি সাইকেল চালিয়ে চলে গেলো ঝুলিদি। চিরুনী ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। ছোট ছোট ভাইরা ওর টাকাতেই পড়ে, বড় হয়ে ওঠে। ঝুলিদি আমাকে মাঝে মাঝে ডেকে খাওয়ায় তেঁতুলের আচার। আমের কাসুন্দি। ঝুলিদির বাবাও মণির মতো দেশের কথা বলে। রাতকানা বলে কোনও কাজও করতে পারেন না। ঝুলিদিকেই সামলাতে হয় সব কিছু। কাশীর দোকান থেকে ফিরতি পথে দেখি বড় বড় পোষ্টার পড়েছে সব রাস্তায়। একটা মেয়ে গলা উঁচু করে তাকিয়ে। চোখটা কি খুব জলজলে? কাঁদছে না তাকিয়ে আছে? বানান করে পড়ার চেষ্টা করি। অনেকক্ষণের চেষ্টায় উদ্ধার হয় একটা নাম। ‘মেঘে ঢাকা তারা’। উরিব্বাস। সেটা আবার কী? পাশের টিকিট কাউন্টারে হলদে, সবু্‌জ, লাল রঙের টিকিট। এর আগে দোল উৎসব শুনেছি, বসন্ত উৎসবে হেড স্যার গান গাইতেন। দুর্গোৎসবের রচনা লিখতে হতো। কিন্তু চলচ্চিত্র উৎসব? বাবা ফিরলেন টিকিট নিয়ে। আর অনেক রাতে ঘুম ধরা চোখে আমার কান্না পেলো। নীতার জন্যে নয়। ঝুলিদির জন্য। কিছুক্ষণ আগে ঝুলিদির ঝলসানো দেহটাকে পুলিশ ভ্যানে করে নিয়ে গেছে। আমাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। আগাগোড়া মা আমার চোখ বন্ধ করে রেখেছে। এর অনেক পরে যাদবপুরের চলচ্চিত্রবিদ্যা বিভাগে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম ঝুলিদিকে। বসন্তের এক পড়ন্ত দুপুরে আমার হাতে এসে পড়লো একটা লেখার টুকরো অংশ। প্রবন্ধকার, পরিচালক ঋত্ত্বিক বললেন, “ ট্রাম বাসের স্টপে সারাদিনের কর্মক্লান্ত, হাতে গুচ্ছেক কাগজপত্র ব্যাগ নিয়ে একটি মেয়ে, নিতান্তই সাধারণ একটি মেয়ে আমার বাড়ির কাছে দাঁড়ায়। তার চূর্ণকুন্তল মুখ এবং মাথার চারপাশ ঘিরে জ্যোর্তিমন্ডল তৈরী করেছে। কিছু বা ঘামে লেপটে গেছে। তার মুখের পাশে সূক্ষ্ম ব্যাথার দাগ গুলোতে ইতিহাস খুঁজে পাই।” ঋত্ত্বিক নীতাকে খুঁজে পেয়েছিলেন। হারিয়ে দিয়েছিলেন অসীমতার মধ্যে। কারণ নীতাও তো মালতীর মতো কোনও প্রতিবাদ করেনি। সব কিছু মেনে নিয়েছিলো মাথা পেতে। চূড়ান্ত বিশ্বাস যে করেছিলো, অবিশ্বাসের ছুরি তার পিঠেই তো এসে বসবে। যতবার ফিরে যাই নীতার কাছে ততবার ঝুলিদি তার বাঁচার আকূতি, ভাইদের বড় করা নিয়ে হাজির হয় সামনে। অনেক না বলা কথা বলতে থাকে এক অন্য প্রেক্ষাপটে যার সূত্র আমার জীবনে জুগিয়ে যায় সাদা পর্দা।

    শেষ করবো যাকে দিয়ে সে বড় মন কেমনের। বড় অসহায় মা। এক পুরুত স্বামীর সংসার গোছাতে যাকে তাড়াতে হয় প্রায় মৃতপ্রায় ননদ ইন্দির ঠাকরুনকে। যখনই ফিরে আসে তার স্বামী তখনই বাড়ি সারানোর, সংসারটা মেরামত করার কথা ওঠে। অপুকে একটা ভালো স্কুলে দেওয়ার আর দুর্গার একটা ভালো পাত্রের সাথে বিয়ের ব্যবস্থার স্বপ্ন হরিহর সর্বজয়াকে দেখিয়ে যায়। কিন্তু আমরা জানতে পারি সেই স্বপ্ন, সেই আশা কোনদিনও পূরণ হয় না। মেয়েকে বাঁচাতে পারে না সর্বজয়া। তার স্বামীর আর মেরামত করা হয় না সংসার। গ্রাম ছেড়ে...স্বামী হারিয়ে সে আবার যখন অপুকে নিয়ে ফিরে আসে, সেই অপুও আসতে আসতে দূরে সরে যায়। এক নির্বান্ধব পুরীতে অপুর প্রতীক্ষা করতে করতে সর্বজয়া মারা যান। দেশ পালানো, ঘর হারানো মানুষ গুলো সেই ছবি হাঁ করে দেখে। কাঁদে। শোকে উথাল পাতাল হয়। আর কোথাও যেন আমার জীবনে সাদা পর্দা মনে গেঁথে দেয় সেইসব নারীদের যাদের কাছে বারবার ফিরতে চাই। মন কেমনের রাতে। কিম্বা জীবনের হেরে যাওয়ার দিন গুলোতে। বিজয়ের উৎসবেও...।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৮ মার্চ ২০১৮ | ১২৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kihobejene | 117.77.75.89 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৫:৩৩64060
  • Khub bhalo laglo. Gora nokshal er por aar ekta boro lekha ki expect Kora Jai? :-)
  • Anamitra Roy | 125.187.48.4 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪৯64061
  • ভালো লাগলো।
  • Kakali Sinha Roy. | 116.210.39.65 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৬:৫৪64062
  • ভালো লাগল খুব।
  • অর্জুন অভিষেক | 113.219.45.209 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৮:২৫64058
  • আমার বাড়িতে টিভি আসে আমার ছ মাস বয়েসে ১৯৮১ সালে। কাজেই সে স্মৃতি নেই। তবে টিভি দেখার নিয়মিত অনুমতি পেয়েছি পাঁচ- ছ বছর বয়েসে। মনে আছে আমাদের বাড়িতে কাজ করত নন্দরাণীদি, সে আমাকে আর আমার পিসতুতো দিদিকে জিজ্ঞেস করেছিল 'ওমা! ওই লোকগুলো ঐ বাক্সটার ভিতরে ঢুকল কি করে?' তার সন্দেহ যায়নি। সে টিভির পিছনে গিয়ে দেখেছিল কেউ ঢুকেছে কিনা। এর প্রায় একুশ বছর বাদে আমার ঠাকুমাকে দেখা শোনা করতে যখন সুন্দরবন থেকে লতিকা এল আর আমি ওকে রিমোর্টে বোঝাবার চেষ্টা করলাম ঠাকুমার পছন্দের চ্যানেলগুলোর নম্বর, সে আমার হাত থেকে রিমোর্ট কেড়ে নিয়ে বলছিল ' আমি সব জানি।'
  • সিকি | 158.168.40.123 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১০:০২64059
  • রিমোর্ট জানত? আমি আজ অবধি জানি না :(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন