এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • শত্রু যুদ্ধে জয়লাভ করলেও লড়তে হবে

    Sakyajit Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১০ এপ্রিল ২০১৭ | ১১১৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মালদা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে পুকুরিয়া থানার অন্তগর্ত গোবরজনা এলাকায় অবস্থিত গোবরজনার প্রাচীন কালী মন্দির। অষ্টাদশ শতকে ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির বিরুদ্ধে লড়বার সময়ে এক রাতে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরাণী কালিন্দ্রী নদী দিয়ে নৌকা করে ডাকাতি করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় হঠাৎ এক বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে তাঁদের নৌকো আটকায়। অস্থায়ী শিবির করে আস্তানা নেয় ডাকাতদল। সেখানে স্বপ্নাদেশ পান ভবানী পাঠক। স্বপ্নে তাঁকে মা কালী কালিন্দ্রী নদীর ধারে জঙ্গলের মধ্যে পূজো করতে আদেশ দিয়েছিলেন। সেই থেকে শুরু হয়েছিল কালীপুজো, যেটি ভবানী পাঠকের পুজো নামে খ্যাত। শোনা যায়, পরবর্তী বছরগুলিতে কম্পানির বিরুদ্ধে বড় কোনও অপারেশনের আগে ভবানী পাঠক নাকি এখানে পুজো দিয়ে আসতেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে এখানে পুজো দিয়ে এসেছিলেন মজনু শাহও।

    আমাদের পাড়া, মানে সিরিটি মুচিপাড়া অঞ্চলের এক ছোট্ট নির্জন কালী মন্দির আছে, যার পুরোহিত গণেশ ভটচাজ এককালে নক্সাল করতেন। পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীয়া থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেন। পাকেচক্রে কালী মন্দিরের পুরুত হয়ে যান। সন্ধেবেলা বিড়ি জ্বালিয়ে দরদভরা কণ্ঠে গান ধরতেন, আমার সাধ না মিটিল আশা না পুরিল। মন্দিরের পাশের ঝুপড়িতে থাকতেন। খাওয়া দাওয়া পাশের হোটেলেই। কিন্তু যেটা বলার, গণেশ ভট্চাজের সেই সাধের কালী মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে শিবঠাকুরের ছবির গা ঘেঁসে আরেকটা ছবি ঝুলত। এক রংজ্বলা বিবর্ণ কিন্তু অম্লান হাসির যুবকের ফটো। যুবকের নাম চে গুয়েভারা।

    নক্সাল কিংবদন্তী এখানেই শেষ নয়। সিরিটি শ্মশানের পাশে আছে এক বড় ঝিল। টালিগঞ্জ ফাঁড়ি হয়ে মহাবীরতলা থেকে কলাবাগান আসার আগে বাঁদিকে মোষ রাখার বিশাল খাটাল যা বহুদিন পরিত্যক্ত হয়ে আছে। সত্তরের দশকে খাটালে কয়েকটি ছেলে লুকিয়ে ছিল । গোয়ালারা পুলিশে খবর দিয়ে দেয়। খাটাল থেকে বার করে এনে ঝিলের পাশে নিয়ে গিয়ে পুলিশ বলেছিল “যা”। পালাতে শুরু করলেই পেছন থেকে গুলি। ঝিলেই ডুবিয়ে দিয়েছিল বডি। শোনা যায়, সেই ঝিলে নাকি এক লুকনো কালীমুর্তিও আছে যা বিশেষ বিশেষ অমাবস্যার রাতে জলের উপর উঠে আসে। আর বাকি সময়টুকুতে জলের নিচে সেই নক্সাল ছেলেদের লাশ বুক দিয়ে আগলে রাখেন করাল কালী।

    অনেক বছর আগে কর্মসূত্রে একবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়েছিল। কাজের শেষে বন্ধু, যে তখন সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেছে, সে অনুরোধ করল পরের দিন তার গ্রামের বাড়ি ঘুরে যেতে। বাড়িতে ঢোকার সময়ে দেখেছিলাম, পাড়ার ধার ঘেঁসে যে মাজার চলে গেছে, তার পাশের এক তেঁতুলগাছের তলায় বসে স্থানীয় কালিমন্দিরের পুরোহিত আর মাজারের পিরের প্রবল তর্ক (পরিচয় পরে জেনেছিলাম) । বাড়ির মধ্যেও সেই উত্তেজিত চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ ভেসে আসছিল। একটু বাদে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করাতে বন্ধুর বাবা বললেন "তর্ক বেঁধেছে মা কালী কবিরাজী না কি হাকিমী কোন উপায়ে ভক্তের রোগ সারান ।" মাজারের পির কেন এই নিয়ে মাথা ঘামাবেন সে বিষয়ে ঈষৎ বিস্ময় প্রকাশ করাতে ভদ্রলোক হেসে উত্তর দিলেন "প্রতি পূর্ণিমাতে এই মাজারে অঞ্চলের গরীব মানুষ এসে মোমবাতি জ্বালিয়ে যায়। হিন্দুরাও আসে, কারোর চাকরির জন্যে সুতো বেঁধে যায়, কেউ রোগ নিরাময়ের প্রার্থনা, আবার কারোর সন্তানকামনা। মাজারের পেছনেই কালিমন্দির। যারা মাজারে মাথা ঠোকে, ফেরবার সময়ে কালিমন্দিরেও মানত করে যায়। এবার যাদের রোগ সেরে যায়, তাদের কেউ ভাবে মাজারে মাথা ঠোকার জন্য সেরেছে, আর কেউ ভাবে মা কালীর আশির্বাদে। সেই কারণে কেউ মাজারে নতুন চাদর দেয়, কেউ আবার পুজো দেয় মন্দিরে। কার দাবী যে আসল সেই তর্কের আর মীমাংসা হয় না। পুরোহিতের দাবি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি কবিরাজি শিখেছেন। আর পিরের দাবী, তাঁর পরদাদা বলে গিয়েছিলেন যে মায়ের মুর্তি বহু বছর আগে এই ডিহি মসজিদপুরের পাশের যে খালবিল জলা, সেখানে ভেসে উঠেছিল। এক হাকিম রাত্রিবেলা শৌচকর্ম করতে গিয়ে মা-কে তুলে আনেন, নিজের কাছে রাখেন, এবং মৃত্যুর আগে মাজারের পাশে মন্দির বানিয়ে মা-কে সেখানে প্রতিষ্ঠা করে যান। সেই কারণে রোগ নিরাময়ের কৃতিত্বটা হেকিমি দাওয়াইয়ের প্রাপ্য"।

    সন্ধ্যে হয়ে আসছিল। শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসছিল এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে। তুলসিতলায় প্রদীপ জ্বালাচ্ছিল বাড়ির একটি বৌ। আশেপাশের জংলী ফুল, গাছ্পালা, মৃদুমন্দ হাওয়া আর ঘেঁটু আকন্দ বুনো লেবুর গন্ধে মাটির রাস্তা ম ম করছিল। ফিরে আসবার সময়ে দেখলাম, কালীমন্দিরের টিমটিমে হলুদ বাল্বের আলোতে বসে বসে পুরোহিতমশাই ঝিমোচ্ছেন, আর ঘসঘসে গলাতে আকাশবাণী চলছে পাশের রেডিও থেকে। পিরসাহেব মাজার ঘিরে মোমবাতি বসাচ্ছিলেন, একটা এসে মন্দিরের সিঁড়িতে জ্বালিয়ে রেখে গেলেন। পুরুতমশায় ফিরে তাকালেন কী না খেয়াল করলাম না, গাড়ির ড্রাইভার বারে বারে যাত্রা শুরুর তাগাদা দিচ্ছিল।

    না, আমাদের এখানে আলাদা করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা চেঁচিয়ে বলতে হয় না। এখানে কালী মুর্তির পাশে চে গুয়েভারার ফটো ঝুলিয়ে রাখে নক্সাল পুরুত। এখানে কম্পানির বিরুদ্ধে লড়তে যাবার আগে মজনু শাহ কালিমন্দিরে পুজো দিয়ে আসেন । কবিরাজ আর হাকিমের ভূতের দিনভর ঝগড়ার শেষে মাজারের একটা বাড়তি মোমবাতি অপেক্ষা করে থাকে, মন্দিরের সিঁড়িতে বসবে বলে। এখানে, মানে এই বাংলায়। এই বাংলা মনে রাখে ভবানী পাঠকের কালীর কথা। মুনশী বরকতউল্লার গল্প। দেবী গৃহবাসিনী হয়ে যান কিন্তু ভবানী পাঠক মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। ভবানী পাঠক মরে যান কিন্তু মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে মজনু শাহ উঠে দাঁড়ান। মজনু শাহ ফিরবেন , লড়বেন এবং মরবেন । কিন্তু তাতেই তাঁর অবসান নয়। তাঁর ভূত তবুও দাপিয়ে বেড়াবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্দরে অন্দরে। তাঁর আরাধ্যা করাল কালী হৃৎকম্প তুলে দেবে হেস্টিংস কর্নওয়ালিশ আর তাঁদের তল্পিবাহক জগৎচাঁদ শেঠ বিড়লাদের বুকে। এবং ভবানী পাঠক, মজনু শাহ আর গণেশ ভটচাজরা লড়েই যাবেন শেষ অবধি। এমনকি শত্রু যদি উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব মণিপুর দিয়ে ঘিরে ধরে, তার পরেও।

    ১৯৪২ সালে জার্মান নাট্যকার বেরটল্ট ব্রেশট একটা নাটক লিখেছিলেন, দ্য ভিশন অফ সিমন মাসার। মজনু শাহকে যেরকম কালিমূর্তি স্বপ্নাদেশ দিয়েছিল যুদ্ধে যাবার, নাৎসি পদানত গ্রামের অতি সরল বালিকা সিমোন মাসারকে তেমনই মাঝে মাঝে দেবদূত এসে খোয়াব দেখিয়ে যেত। জোয়ান অফ আর্কের মত। তাকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করত।

    সিমোনঃ শত্রু যুদ্ধে জয়লাভ করলেও কি লড়তে হবে?
    দেবদূতঃ আজ রাত্রে কি বাতাস বইবে?
    সিমোনঃ হ্যাঁ।
    দেবদূতঃ আঙিনায় একটা গাছ আছে না?
    সিমোনঃ হ্যাঁ, পপলার গাছ।
    দেবদূতঃ বাতাসের ঝাপটায় তার পত্রমর্মর শোনা যায়?
    সিমোনঃ হ্যাঁ, স্পষ্ট শোনা যায়।
    দেবদূতঃ তাহলে শত্রু যুদ্ধ জয় করলেও লড়ে যেতে হবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১০ এপ্রিল ২০১৭ | ১১১৭৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রবঞ্চক পানকৌড়ি | 37.63.137.120 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০১59567
  • টু থামস আপ
  • Sakyajit Bhattacharya | 113.192.119.253 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪২59568
  • বেশ কিছু বানান ভুল, সরি :(
  • . | 132.163.105.68 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৫:২৬59569
  • baarhir bou tulasitalaay pradeep "jbaalaachchhil. "
    purohit mashaa"i jhimochchhen"
    peerasaahebmaajaar ghire momabaati
    "basaachchhilen"
    gaarhir Draaibhaar Jaatraa shurur taagaadaa" dichchhil"

    rakter doshh balaa Jaay eke?
  • অভিষেক | 127.194.196.173 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৬:১১59570
  • কী অসাধারণ লেখা শাক্যদা! বাংলার গাঙে বিশ্বভুবনের নাও - কতশত হরির লুট- কতশত ফজরের গন্ধ মাখা!!
    ভাবুন দেখি এখানে বৈষ্ণব অন্নোৎসবের নিতান্ত চিনির মঠেও দেখি গির্জার আদল..
  • Happy Mirror Day | 127.194.196.191 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৭:০২59571
  • এত এমন কিছু ভাল হয়নি। খুবই ক্লিশে আর বহু ব্যবহৃত দৃশ্যকল্প আর গল্প। টিপিকাল সিপিএমি লেখা। মুসলিম মৌলবাদের গন্ধবিহীন আহা শান্তিকল্যান হয়ে আছে বিজেপিবিরোধী রূপকথা। মুশকিল হল, এই সব ঢপের কেত্তন দিয়ে ক্যডারদের ছাড়া আর কাউকেই ইমপ্রেস করা যায় না আজকাল। আহা কি দিনকাল ছিল - এই ঘিয়ের গন্ধে - যে দিনকাল পড়েছে তার সমস্যা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বালিতে মুখ গুঁজেই থাকা যায় শুধু।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৩৭59572
  • রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ বা নিবেদিতা - এনাদের কোনো ঐতিহাসিক প্রমান বা তথ্য ছাড়া গালাগালি দেওয়া বা অশ্লীল রচনা লেখা তা কি সেই তথাকথিত লড়াই এর সাথে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে আছে -? অবশ্য কাদায় পড়লে তখন আর একটা আপলোজিস্ট লেখা দিয়ে সেটা কাউন্টার করলেও হবে। যাতে কেও আবার রাষ্ট্রকে লেলিয়ে না দেয়।
  • রোবু | 213.132.214.86 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৩৯59565
  • ভাসিয়ে দিলাম।
  • T | 229.75.11.86 (*) | ১০ এপ্রিল ২০১৭ ১২:৫০59566
  • খুব ভালো লেগেছে। মানে মারাত্মক রকম ভালো লেগেছে। মানে এত ভালো লেগেছে, মানে...
  • PT | 213.110.242.23 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৯59576
  • "এখানে কালী মুর্তির পাশে চে গুয়েভারার ফটো ঝুলিয়ে রাখে নক্সাল পুরুত। "
    যিনি এমন একটি বাক্য সম্বলিত লেখা পড়ে "ভালো" লাগার কথা বলেন তিনি কি করে হর্কিষেণের পাগড়ীর সঙ্গে মার্ক্সীয় অবস্থানকে তীব্র সমালোচনা করে বাইটের পর বাইট লিখে তক্ক করেন? সে কি শুধুই একটি দলকে গাল দেওয়ার পুরাতন অভ্যেসবশতঃ?
  • Sakyajit Bhattacharya | 125.112.74.130 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:১৬59573
  • যাক, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ নিয়ে খোঁচা দিলে সো কলড প্রগ্রেসিভ বাঙালীর যাবতীয় উদারতার মুখোশ যে কী নগ্নভাবে ফর্দাফাঁই হয়ে যেতে পারে, শুধু এটুকু দেখিয়ে দেবার জন্য আমার নাম ইতিহাসে উঠবে আগামি ভবিষ্যতে ঃ)
  • কল্লোল | 233.186.85.4 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ০৮:৫৪59574
  • খুব ভালো লাগলো। আমাদের এই উপমহাদেশের প্রতিরোধের লড়াই আর ধর্ম নিয়ে আরও আরও কাজ হওয়া উচিত। শাক্য, তুই হয়তো গৌতম ভদ্রের ইমান ও নিশান পড়েছিস। না পড়ে থাকলে পড়ে নিস। শাহিদ আমিনের চৌরিচেরা নিয়ে লেখাগুলো-ও। অসাধারণ। একটা পাবি আনন্দ পাবলিশার্সের নিম্নবর্গের ইতিহাসে। ওখানে রণজিৎ গুহের দেবী আন্দোলন নিয়ে লেখাটাও ফাটাফাটি।
  • amit | 213.0.3.2 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:১৯59577
  • সে তো নিশ্চয়। কোনো তথ্য ছাড়া, কোনো ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ ছাড়া, জাস্ট শুধু খোঁচা মারার জন্য অথবা অন্য কোনো (মহৎ-??) উদ্দেশ্যে যারা একটা আদ্যন্ত অশ্লীল লেখা লিখতে পারে এবং পরে পাল্টা খোঁচা বা গালাগলি খেলে তখন ডিসক্লেইমার এর আড়াল খোঁজে বা রাষ্ট্র লেলিয়ে দেওয়া নিয়ে কান্নাকাটি করে, সে রকম লেখকদের নাম বটতলার ইতিহাসে নিশ্চয় লেখা থাকবে।

    শুভেচ্ছা রইলো।

    পুনঃ:
    যারা হয়তো এখনো বুঝতে পারছেন না এ সব কিছুর কোরিলেশন, তারা চাইলে ঐতিহাসিক লেখকের লেখার কিছু লিংক তুলে দেওয়া যেতে পারে।
  • T | 229.75.11.86 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১১:৩১59578
  • ইতিহাসকেই ঠিক করতে দিন কে কোথায় থাকবে, আপনি এত চাপ নেবেন না।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 113.218.238.19 (*) | ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১২:১৯59575
  • শাক্যজিতবাবু,

    আপনার লেখাগুলো তো এমনিতেই খুবই তথ্যপূর্ণ হয় ! - বেশ কিছু তথ্য আমরা পাই আপনার লেখার মাধ্যমে ! - ধন্যবাদ !

    আমার একটা বদভ্যাস অনেকদিন যাবত ছিল ও এখনও আছে ! সেটা হল - ভারতে ও পশ্চিমবঙ্গে নানান যায়গায় ঘোরা - নানাভাবে ! - বিশ্বাস করুন - কত যায়গায় যে আমাকে আমাদের ধর্মীয় চাঁদা আদায়ের জন্যে অন্যায় আবদার পোহাতে হয়েছে !

    আমাদের মত অনুকরনপ্রিয় জাতি শুধু অন্য প্রদেশের অনুকরন করে করে নিজেদের কৃষ্টিও ভুলে - যত রাম-চালিশা পালন করতে বাধ্য হচ্ছি ! - আমরা জানি না শেষ পর্যন্ত আমাদের কতটা পেছনে গিয়ে দাড়াতে হবে !

    আমার মনে হয় - আপনাদের মত মানুষের লেখার মধ্যে দিয়ে এগুল প্রকাশ পেলে - কিছুটা হলেও সামাজিক দায় খানিকটা পালন করা হবে !

    মনোজ
  • ব্রাভো | 52.110.168.104 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:০৮59579
  • লেনিনের নিতম্ব নিয়ে খোঁচা দিলে সো কলড প্রোগ্রেসিভ বামপন্থীদের উদারতার মুখোশ যে কি নগ্নভাবে ফর্দাফাঁই হতে পারে, বা মহম্মদ নিয়ে খোঁচা দিলে সো কলড প্রোগ্রেসিভ মুসলিমদের উদারতার মুখোশ যে কি নগ্নভাবে ফর্দাফাঁই হতে পারে, সেগুলো দেখানোর জন্য অলরেডি লোকেদের নাম যখন ইতিহাসে উঠেইছে, এমনকি কল্লাও কাটা পড়েছে, শাক্যর জন্য শুধু এই সুযোগটুকুই পড়েছিল ইতিহাসে নাম তোলার। তাও গত শতাব্দীব্যপী অসংখ্যবার ট্রায়েড এবং টেস্টেড টার্গেটেদের জন্য।
  • PT | 213.110.242.22 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৩59600
  • কেষ্টাকে লাঠিটা হাতে নিয়ে একটু অপেক্ষা করতে বলুন।
    কেননা আলোচনা হলে শুধু হিন্দু বা শিখ নয়, অন্যান্য ধর্মের কমরেডদের পোশাক, সামাজিক সংস্কার ইত্যাদিকেও আলোচনার অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তখন যেন যথেষ্ট দম থাকে।
  • কল্লোল | 233.186.242.156 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:১৪59601
  • পিটি। তর্কটা তুমি আমান্ত্রন করেছো, তাই এই তর্কের ফাঁক গলে যদি হনুমানে এসে তোমাদের নৈবদ্যের কলাটি খেয়ে যায় তার দায় আমার নয়।
    হিন্দু ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী ব্রাহ্মণের পৈতে ধারণ আবশ্যিক, ঠিক যেমন শিখ ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চ ক আবশ্যিক। ওগুলো মানা মানে ধর্মকেই মেনে চলা।

    আর হ্যাঁ, আমি যতদূর জানি এই লেখাটির লেখক শাক্য ছাত্রকাল থেকে মার্ক্সবাদী কমিউনিষ্ট পার্টির সমর্থক। শাক্যও পৈতে ধারণ করেনা। সেই অবস্থানে দাঁড়িয়ে এই লেখা আমায় আশাবাদী করে তোলে। এখনো শাক্যদের মতো মানুষজন ঐ দলটার সাথে আছে। আশা মরিয়াও মরে না।
    ওর বইটাতেই এই নক্সাল শহীদদের আত্মা আর ঝিলের তলায় থাকা কালিমন্দিরের অতিকথাটি পড়েছিলাম। এমন অতিকথা তাদের নিয়েই তৈরী হয় যাদের মানুষ জীবনের থেকে বড় বলে ভাবেন, যেমন কংসারী হালদার, মণি সিং, সূর্য সেন, ক্ষুদিরাম, বিনয় কোঙ্গার, আশু মজুমদার, ইলা মিত্র, গান্ধী, বাঘা সিদ্দিকি, কানু সান্যাল, জঙ্গল সাঁওতাল................ এই উপমাহাদেশের মানুষ এদের উপর দেবত্ব আরোপ করে।
    কিছুদিন আগেই ফেসবুকে ঈপ্সিতার একটা ত্রিপুরার অভিজ্ঞতার কথা পড়লাম, যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক স্বপ্নে লাল ঝান্ডা পায়, ২৬ ফুটের লাল ঝান্ডা।
    সাধারণ মানুষের এই মননকে না বুঝলে ভারতবর্ষে কোন কিছুই করে ওঠা যাবে না।
  • সিকি | 116.222.43.127 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২৯59580
  • সত্যি, ক্ষীই জ্বালা রে ভাই :)
  • dc | 181.49.215.7 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৫59581
  • কি অদ্ভুত, অনেকে লেখা ছেড়ে লেখককে নিয়ে পড়লেন কেন?

    আমার এই লেখাটা ভালোই লাগলো। আর নানান সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে মেলামেশা, সদ্ভাব তো আগে ছিলই, বহু জায়গায় এখনো আছে। শুধু বাংলাতেই না, ভারতবর্ষের অনেক জায়্গাতে এখনও আছে। এ নিয়ে লিখতে অসুবিধে কি?
  • PT | 213.110.242.4 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪০59602
  • কল্লোলদা
    শাক্যর লেখাটি আমার চমৎকার লেগেছে।
    আমি শুধু কোন কাল্পনিক নক্সাল পুরুত নয়, পাগড়িধারী শিখ বাম নেতা, কাছাধারী হিন্দু বাম নেতা ও পুত্রসন্তানের সুন্নৎ করানো মুসলমান বাম নেতার ওপরে বিপুল আস্থা রাখি ঐ মননের কারণেই। তাই ঐ ধরণের নেতাদের "ভন্ড" বলে দেগে দেওয়াটাকে অযৌক্তিক ও অপমানজনক বলে মনে করি। সম্ভব্তঃ ঐ সব দাগাদেওয়া পন্ডিতেরা ভারতীয় মনন থেকে সহস্র যোজন দূরে ছিল বলেই নকশাল অন্দোলনটাকে স্বল্প সময়ের জন্যেও ভারতীয় সমাজের সঙ্গে মিশ খাওয়াতে পারেনি। আর কালে কালে তারা কেউ কংশালরূপে অথবা সাম্প্রতিক অতীতে তিনোপন্থী হয়ে লাল ঝান্ডাকে ভূলুন্ঠিত করতে সাহায্য করেছে।
  • ব্রাভো | 52.110.168.104 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪৮59582
  • দক্ষিণের বিজ্ঞানীরা কপালে ভস্ম মাখে বলে তাদের নির্বোধ মনে করা লোক যে কিভাবে নাস্তিকতার প্রাকটিশনারদের পাগড়ি পৈতে কালীবাড়ি সাপোর্ট করে বাইটের পর বাইট তক্কো করেন! সেকি লেটেস্ট পার্টিলাইনের নমনীয়তার প্রতি অন্ধ আনুগত্য? নাকি দুদশক আগের পার্টিলাইনের অনমনীয়তার ঐতিহাসিক ভুলের প্রতি দ্বেষ?
  • dc | 181.49.203.139 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৪59603
  • ইশ বেচারা বাম্পন্থিরা লালঝান্ডাকে ভূলুন্ঠিত হওয়ার থেকে আটকাতে পারল না, ওরা সবাই মিলে ষড়যন্ত্র করে ভূলুন্ঠিত করে দিল।
  • কল্লোল | 37.63.135.79 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৪৬59604
  • কাছধারী কথাটার মানে বুঝলাম না। কাছা দিয়ে ধুতি পরা একটি বাঙালি উচ্চ জাতের অভ্যাস। এর সাথে ধৰ্মীয় নিয়মের সম্পক্ক নাই। পুত্রকে সুন্নত দেওয়া বা পৈতে ধারণ করা১ মার্কসবাদী নেতা বা কর্মীকে ভন্ডই মনে করি। তাবিজ মাদুলিওয়ালা বিজ্ঞানীকে তুমিও ভণ্ডই মনে করো। তাই না?
  • PT | 213.110.242.4 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৫২59605
  • "কাছা দিয়ে ধুতি পরা একটি বাঙালি উচ্চ জাতের অভ্যাস। এর সাথে ধৰ্মীয় নিয়মের সম্পক্ক নাই।"
    আছে। বাঙালী মুসলমানদের জিগিয়ে দেখো। (আব্দুল মান্নান আমার দেখা এক্সেপশন।)
    ওঃ কাকাবাবু কাছা দিয়ে ধুতি পরতেন কিনা জানার ইচ্ছে রইল....
    আর তোমার ভন্ড মনে করায় কারো কিস্যু আসে যায় না। এত এত পন্ডিতের সমাহারেও নকশাল আন্দোলন কেন ভারতীয় মননের কাছে যেতে পারেনি ভেবে দেখ।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:০৩59583
  • শাক্যজিৎবাবু স্ট্যাটিসটিক্সের পেপার লিখলেও লোকে ছাড়বে না। তুই ক্র্যামার-রাও লোয়ার বাউন্ড এইভাবে এস্টিমেট করেছিস? তাহলে ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • PT | 213.110.242.21 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:০৫59584
  • যারা বিজ্ঞান আর রাজনীতির ফারাক বোঝেনা তারা কেনই বা তক্কের আসরে নামে?
  • ব্রাভো | 52.110.168.104 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩১59585
  • একটা থ্রেটনিং রাজনৈতিক বক্তব্য এই মুহূর্তে হিন্দুদের আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে হবে। অহিন্দুদের প্রদেয় বাড়তি সুযোগ সুবিধা ফিরিয়ে নিতে হবে। দেশে, স্বভাবতই রাজ্যেও, হিন্দু প্রাধান্য, হিন্দু কর্তৃত্ব ও একাধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
    এই দাবির মধ্যে কিন্তু এটা অস্বীকার করা নেই যে দেশে ও রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল বা আছে। দাবির মধ্যে আহ্বান আছে আপারহ্যান্ড নেওয়ার। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে ঐতিহাসিক হিন্দু প্রাধান্য, গৌরব ও কর্তৃত্বের কথা। বলা হচ্ছে অহিন্দু আক্রমন, আধিপত্য স্থাপন, শোষন, লুন্ঠন, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা ও প্রাধান্য অর্জনের কথা। ভয় দেখানো হচ্ছে মুসলিম মৌলবাদ, সন্ত্রাস, নাশকতা, বংশবিস্তারের মাধ্যমে গরিষ্ঠতা অর্জন, আক্রমণাত্মক গোঁড়ামো, পাকিস্তানের প্রতি প্রকট ও প্রচ্ছন্ন ইনক্লিনেশনের। এসবের অধিকাংশই ম্যানুফ্যাকচার্ড, ভুয়ো, তথ্যবিকৃতি ও মনগড়া কল্পবিবৃতির আ্যকসেপ্টেন্স দেওয়ার চেষ্টা। পরবর্তীতে বর্ণাশ্রম ও জাতপাত ভিত্তিক উচ্চবর্ণএর প্রাধান্য স্থাপনের স্পষ্ট ইঙ্গিত।

    কিন্তু বিরোধী বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশ পাঞ্জাব মণিপুর দিয়ে ঘিরে ধরার পরেও, মিথ ও আ্যনেকডোটনির্ভর - সম্প্রীতি ছিল বা আছে-র প্রমান দাখিল, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যর পাঠ্যবুলিতে গিয়ে থেমে যাচ্ছে।

    একটা মূল কারণ মনে হয় আ্যকসেপ্টেন্সের, আ্যড্রেসের। মুসলিম বা ক্রীষ্টান ধর্মের ব্যানারে হিন্দুধর্মাবলম্বীরা বা বড় ক্যানভাসে ভারতের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা বা সার্বভৌমত্ব কোনো স্তরে কোথাও অন্তত যে থ্রেটেড এটা আ্যকসেপ্ট করাই হচ্ছে না সংখ্যালঘু ভাবাবেগে আঘাত লাগার ভয়ে। আ্যকসেপ্ট না করলে যা হয়, কোনো সমাধানপ্রচেষ্টাই সম্ভব হচ্ছে না। যেটা হচ্ছে, মূল সমস্যা থেকে মুখ ঘুরিয়ে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির দাবিদাওয়ার কাউন্টার করার জন্য অদ্ভুত সব পন্থাসন্ধান। মিথ শোনাকথা আ্যনেকডোটের পাহাড়। কি করা উচিত- এর জ্ঞানবাণী আর জ্যানাগ্যান ছাগল- এই কনক্লুশন। অথচ সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কেন আর কিভাবে সাধারন মানুষকে প্রভাবিত করতে পারছে তার কোনো সমীক্ষা বা আ্যনালিসিস নেই। কিছু তেতো সত্যিকে আ্যকসেপ্ট করলেই কিন্তু অনেক সহজে জনমানসের ফল্গু বিরাগ আ্যড্রেস করা যেত, সলুশন খোঁজা যেত।
  • ব্রাভো | 52.110.168.104 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৪59586
  • সেকি! আমরা তো জানি মার্কসবাদ সর্বশক্তিমান কারন উহা বিজ্ঞান। তা, মার্কসবাদ বাদ দিয়েই আজকাল রাজনীতি হচ্ছে নাকি?
  • PT | 213.110.242.21 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:০১59587
  • অতিব প্রত্যাশিত প্রশ্ন।
    এটা যে বা যারা বলেছে তাদেরকে প্রশ্ন করুন।
  • modi | 97.118.122.51 (*) | ১২ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:৩৩59588
  • বাজারচলতি কথায় বিশ্বাস করবেন না ব্রাভো। এতদিনে আচ্ছে দিনের এসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আচ্ছে দিন কথা রাখল না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন