এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • #মারখা_মেমারিজ (পর্ব ৮)

    Biswajit Hazra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১৯৮৭ বার পঠিত
  • কাং ইয়াৎজে বেসক্যাম্প (০৮.০৯.২০১৮)
    ___________________________

    কলকাতায় সারাবছর চারদেওয়ালের মধ্যে বসে পরিচিত মুখগুলোর সাথে বক্‌বকম করতে করতে খালি মনে হয়, ধুস্‌, পুরো হেজে গেলাম। কবে পাহাড়ে যাবো! সারাদিন হাঁটবো! বসে বসে গায়ে-গতরে তো জং ধরে গেলো! আর পাহাড়ে এসে চার-পাঁচ দিন একটানা চড়াই ভাঙ্গার পর-পরই মনে হয়, লাইফে রেস্ট বলে কি কোনও জিনিস নেই রে! কোথায় টেন্টে বসে শান্তিতে দু-দন্ড জিরোবো, স্লিপিং ব্যাগ থেকে আলগোছে মুখ বের করে আশেপাশের পাহাড়-চুড়োগুলোর দিকে পিট পিট করে তাকিয়ে আবার পাশ ফিরে শোবো, তা না, সারাদিন কুত্তার মতো হেঁটে চলেছি! বাঁ পায়ে ফোস্কা। ডান কাঁধটা ব্যাথা-ব্যাথা। উফ্‌! ল্যাদ খাওয়া না পাহাড় ভাঙ্গা, কোনটা যে চাই, ঠাওর করতে করতেই অর্ধেক জীবন চলে গেলো। এ হলো বাঙ্গালী বীরপুরুষের চিরন্তন দোটানা। ঝোল-ভাত আর বিরিয়ানির মধ্যে। লুঙ্গি আর জিন্সের মধ্যে। স্ত্রী আর পরস্ত্রীর মধ্যে।

    টানা চারদিনে ৬,৫০০ ফুট মতো অল্টিটিউড গেইনের পর আজ ট্রেকিং-এর পঞ্চম দিন। ৮ই সেপ্টেম্বর। আজ আমাদের রেস্ট-ডে। একদম পাক্কা। আগে থেকেই এটা সেটেলড্‌ ছিলো। কারন, আমাদের ক্লাইম্বিং গাইড আজই এখানে এসে পৌঁছাবে। দুপুর-বিকেলের মধ্যে। তার সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হবে। প্ল্যান-প্রোগ্রাম হবে। তাপ্পর সেই অনুযায়ী আমরা আগামীকাল কাং-ইয়াৎজে-২ পিক্‌টা ট্রাই করবো। যতক্ষণ সে মক্কেল এসে না পৌঁছাচ্ছে, বিশুদ্ধ ল্যাদ। টেন্টে বসে দফায় দফায় চা-কফি আর খিল্লি। আমাদের টেন্টের সামনে সরু নদীটায় কাল বিকেলেও বেশ জল ছিলো। ওমা! আজ সকালে দেখি প্রায় শুকনো। নদীর ওপারে উঁচু একটা হাম্প। সেটার ওপর দিয়ে রাস্তা গেছে নিমালিং হয়ে কোংমারু লা-এর দিকে। কাং-ইয়াৎজে পিক্‌টা যেদিকে, তার অপোজিটে। গুছিয়ে ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পর টিম-ম্যানেজার সুমন প্রস্তাব দিয়েছিলো, ওপারের হাম্পটায় সবাই মিলে ওঠা যাক। অ্যাক্লেমাটাইজেশন হবে। বাকীদের প্রবল ধ্বনিভোটে পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেলো। চারদিন ধরে চড়াই ভেঙে ১১,০০০ ফিট থেকে ১৬,৫০০ ফিটে উঠেও যদি তোর অ্যাক্লেমাটাইজেশন না হয়ে থাকে তাহলে তুই নিপাত যা! তোর ম্যানেজারিও নিপাত যাক! ধমক খাওয়ার পর থতমত সুমন আর বেশী কথা বাড়ায়নি।

    আমাদের ক্লাইম্বিং গাইড কিরন কাপুর বেসক্যাম্পে এসে পৌঁছালো দুপুর দুটো নাগাদ। কম বয়সী, চনমনে ছেলে। ভোরবেলা চোকদো থেকে হাঁটতে শুরু করে ১২,৫০০ ফুট থেকে ১৬,৫০০ ফুটে উঠে এসেছে দুপুরের মধ্যে। তাও নাকি নিমালিং-এ খাবার খেতে গিয়ে ঘন্টাখানেক বসেছিলো। এদের লাং & ঠ্যাং যে কি ধাতু দিয়ে তৈরি কে জানে! লাঞ্চের পর কিরনের সামনে আমাদের পাহাড়ে চড়ার সরঞ্জামের বস্তা খোলা হলো। আইস অ্যাক্স আছে চারটে। কিরনেরটা ধরলে পাঁচটা। দু-কয়েল রোপ। আর সবার জন্যে স্পাইক। ক্র্যাম্পন কি লাগবে, নাকি স্পাইকেই কাজ চলে যাবে? জিজ্ঞেস করাতে কিরন বললো, চলে যাবে। আসলে আমাদের স্পাইকের দাঁতগুলো নর্মালের চেয়ে বেশ খানিকটা বড়। নেট থেকে অর্ডার দিয়ে লটে কিনলেও রজত জিনিসটা ভালোই যোগাড় করেছে। দামেও সস্তা। একদিনের হার্ড-আইস ভাঙ্গার জন্য কলকাতা থেকে ঘাড়ে করে দেড়মনি ক্র্যাম্পন বয়ে আনাটা চাপের। তাছাড়া বাজেটের ব্যাপারটাও রয়েছে। কলকাতা থেকে নিলে যাতায়াত মিলিয়ে পনেরো দিনের জন্য ভাড়া গুনতে হবে। লে থেকে নিলেও মিনিমাম সাতদিনের। অথচ ইউজ হবে সাকুল্যে একটা দিন। তাই ক্র্যাম্পন আর স্পাইকের মধ্যে প্রথমটা বেশী রিলায়েবল হলেও খানিকটা হেজিটেশন সহ আমরা স্পাইকই চুজ করেছিলাম। বোঝা গেলো, ডিসিশনটা খুব খারাপ হয়নি।

    ওয়েদার খুব একটা ভালো না। কাং-ইয়াৎজে-২ এর চূড়োটা মেঘের আড়ালে। তবু বেসক্যাম্প থেকে অ্যাপ্রোচটা বোঝা যাচ্ছে। সামিটের অল্টিটিউড ২০,৫০০ ফুটের মতো। তার মানে ৪,০০০ ফুটের চড়াই। মাঝে একটা অ্যাডভান্স ক্যাম্প করলে ভালো হতো। কিন্তু কিরন বললো ওপরে কোথাও জল পাওয়ার চান্স খুব কম। একবারেই বেসক্যাম্প থেকে সামিট অ্যাটেম্পট করা ভালো। তার হিসেব অনুযায়ী যেখান থেকে হার্ড-আইস শুরু, মোরেনের সেই শেষ প্রান্ত পর্যন্ত উঠতে ঘন্টা তিনেক সময় লাগবে। তারপর স্পাইক/ক্র্যাম্পন লাগিয়ে পাঁচ ঘন্টার বরফ ভাঙলে সামিট। তার মানে মোট আট ঘন্টা ওঠা। ছবি-টবি তুলে নামার সময় যদি চার ঘন্টাও লাগে, তাহলেও ওঠা-নামা মিলিয়ে বারো ঘন্টার ধাক্কা। দুপুর বারোটার মধ্যে যদি নেমে আসতে হয়, তাহলে ওঠা শুরু করতে হবে আগের দিন রাত এগারোটা নাগাদ। “হাম তো আজ রাতকো-হি নিকাল সাকতে হ্যায় স্যার। আগর আপ্‌ চাহে তো। লেকিন ছোড় দিজিয়ে। মৌসম থোড়া সাফ্‌ হোনে দিজিয়ে। কাল রাত ট্রাই করেঙ্গে।” কিরন প্রস্তাব করার সাথে সাথে আমরাও দেড়-হাত ঘাড় কাৎ করে তৎক্ষণাৎ সম্মতি জ্ঞাপন করেছি। ঠিক ঠিক। আজ তো আমাদের রেস্ট-ডে হ্যায়। মেন্টালিও সবাই ল্যাদ মোড-মে হ্যায়। আজ থাক। কাল ট্রাই করেঙ্গে।

    একটু একটু রোদ, আলো আর বেশীরভাগটাই কুয়াশা, ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা মেঘের ছায়া সারা গায়ে বেশ করে মেখে, শুয়ে বসে, গড়াতে গড়াতে একটা গোটা দিন কেমন হুস্‌ করে কেটে গেলো। পিক্‌টা কিন্তু সারাদিনে একবারের জন্যেও ক্লিয়ার হলো না। এক রাশ ঘন মেঘ কাং-ইয়াৎজের চূড়োয় যেন ফেভিকল দিয়ে সাঁটানো আছে। পিক-এর উল্টো দিকের আকাশটা মেঘ কেটে কখনও কখনও ক্লিয়ার হয়েছে। রোদ বেরিয়েছে। কিন্তু যেদিকে যাবো, সেদিকটাই সারাদিন মেঘলা হয়ে থাকলো। অ্যাক্লেমাটাইজেশন-অ্যাক্লেমাটাইজেশন করে সুমন সকাল থেকে মাথা খারাপ করে দিচ্ছিলো। কাঁহাতক্‌ আর সহ্য করা যায়! বিকেলে কয়েকজন মিলে পিক্‌-এর দিকের প্রথম হাম্পটায় টুক টুক করে ওঠা হলো। ওপর থেকে খাসা লাগছে বেসক্যাম্পটা। খানিক্ষন বসলে হতো। কিন্তু মেঘ করছে যে! যদি বৃষ্টি-টৃষ্টি নামে! এই ঠাণ্ডায় ভিজে-টিজে যাওয়াটা মোটেও সুখকর অভিজ্ঞতা হবে না। সুতরাং নামো নীচের দিকে। ঝটপট। কিন্তু দেখা গেলো মেঘেদের ওপরে ওঠার স্পিড আমাদের নীচে নামার চেয়ে বেশী। টেন্ট পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু। উরি বাবারে! কি ঠাণ্ডা! সুমনের পাল্লায় পড়ে অ্যাক্লেটাইজড্‌ হতে গিয়ে নির্ঘাৎ নিউমোনিয়া বাঁধবে। গাম্বাট ম্যানেজার নিপাত যাক! বৃষ্টিতে ভিজে হি-হি করে কাঁপতে কাঁপতে স্লিপিং ব্যাগে ঢোকার সময় মনে মনে অভিশাপ দিলুম ... ওঠ্‌ ব্যাটা তুই রাত্তিরে হিসু করতে ... তোকে আজ ইয়েতিতে খাবে! বুদ্ধ-বাবা কি কসম। খাবেই খাবে!

    (সঙ্গের ছবিটা বেসক্যাম্পে কিচেন-টেন্টের পাশে আমাদের টিম। মেঘলা আকাশকে ব্যাকড্রপে রেখে সামনে কাং-ইয়াৎজে-২ পিক্‌।)


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ১৯৮৭ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dd | 90045.207.5656.182 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২২49978
  • এবারের কিস্তিটা একটু ছোটো হোলো।

    সে যাগ্গে, এক আদটু টীকা থাকলেও ভালো হয়। মানে স্পাইক/ক্র্যাম্পন - এইসব নিয়ে।
  • Biswajit Hazra | 781212.194.7878.114 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৮49979
  • একটা অ্যাডজাস্টেবল্‌ মেটালিক ফ্রেমে অনেকগুলো বড় বড় মেটালের দাঁত লাগানো থাকে। দাঁত সমেত ফ্রেমটা জুতোয় লাগাতে হয় শক্ত বরফে হাঁটার জন্যে। ওটা ক্র্যাম্পন। বহুত ভারী। ক্র্যাম্পনেরই মিনি সংস্করণ হলো স্পাইক। দাঁতগুলো ছোটো। ফ্রেমটা মেটালের নয়, শক্ত রাবারের। হার্ড আইস অনেক জায়গাতেই প্রায় ফ্রিকশন-লেস্‌ হয়। নর্মাল ট্রেকিং জুতো পরে হাঁটা যায় না। সেখানে ওই ক্র্যাম্পন/স্পাইক-ই ভরসা।
  • | 670112.210.457812.138 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৮:০৯49980
  • জীয়োহ জ্জীয়ো!
    পরেরটা পরেরটা তাড়াতাড়ি প্লীজ।
  • aranya | 3478.160.342312.238 (*) | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:৩৯49981
  • দারুণ হচ্ছে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন