এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গ্রেড প্রথা বা প্রতি বছর পরীক্ষা তুলে দেওয়া আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো গোল্লায় পাঠাবে।

    Arjit
    অন্যান্য | ১৪ নভেম্বর ২০০৬ | ৬৯৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arjit | 128.240.233.197, 128.240.229.67 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ১৬:০২694140
  • শুধু বডিশপ নয় - বড় বড় কোম্পানীও সিভি বদলাতে বলে। ACM (কম্পিউটার সায়েন্সের সবচেয়ে নামী টেকনিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)-এর একটা কোড অব এথিকস আছে - যা জানো না, সেটা সিভিতে লিখবে না - "A computer professional has a duty to be honest about his or her own qualifications, and about any circumstances that might lead to conflicts of interest' - তার তুলোধোনা হয় এই কোম্পানীগুলোতে (যতটুকু আমি দেখেছি) - ACM-এর এই কথাটা বলার জন্য কি হাসি সকলের, যেন চিড়িয়াখানায় এসেছে...
  • S | 61.95.167.91 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ১৬:৪৭694141
  • টিসিএস বা ইনফোসিসে আছে এই গল্প। দুটো প্রজেক্টের মাঝে হয় তো মাস তিনেকের জন্য বেঞ্চিতে ছিলাম। (তখন স্লোডাউনের মার্কেটে প্রচুর বেঞ্চি পাওয়া যেত), পরে ভিসা না কিসের অ্যাপ্লিকেশনের সময়ে এইচ আর সময়টাকে গুপি করে আগের প্রজেক্টের এন্ড ডেট তিন মাস এক্সটেন্ড করে দিল। মাঝে নাকি কোনও ফাঁক রাখা চলবে না।
  • J | 160.62.4.10 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ১৭:১১694142
  • জার্মান টিভিতে যেগুলো দেখাচ্ছিলো, তার মধ্যে কয়েকটা এইরকম :-
    ইন্টারভিউ হচ্ছে, (মুখ ঝাপসা করে রেখেছে, যাতে কেউ আসল লোকেদের রেকগনাইজ করতে না পারে, প্লাস, তারা বোধয় জানে না যে ক্যামেরায় সব উঠছে)।
    পরীক্ষক - আপনা সিভিতে তো দেখছি ইংরিজি আপনার মাতৃভাষার মতো সরগড়।
    প্রার্থী - হ্যাঁ, ইংরিজিতে আমি খুব ফ্লুয়েন্ট, ছোটোবেলা থেকেই.. ইত্যাদি।
    (এতক্ষণ অবধি সবই জার্মানে হচ্ছে.. এবার..)
    পরীক্ষক - বেশ, খুব ভালো হলো, আপনার চাকরী জায়গায় তো ইংরিজিতেই কথা বলতে, চিঠি লিখতে হবে, তাহলে আসুন এখন বাকে ইন্টারভিউটা ইংরিজিতে হোক?

    প্রার্থী - (আমতা আমতা করে, এবং একটা শব্দও ইংরিজিতে বলতে পারে না, অবশেষে জার্মানেই কন্টিনিউ করে..)
    ইয়ে মানে বহুকাল ওব্যেশ নেই তো..ইয়ে..ইত্যদি ইত্যাদি।
    (ভাগ্যিস মুখটা ঝাপসা করা ছিলো, নইলে ঐ ডাহা গুল মারার টাইমে মুখের অবস্থাটা যে কীরকম হয়েছিলো..)

    আরেকটা :-
    প্রার্থীর হাতে দিস্তা দিস্তা সার্টিফিকেট। দুনিয়ার হেন কোম্পানী আর ইন্সটিটিউট নেই যেখান থেকে সে কাগজ আনে নি। ইয়া লম্বা চওড়া সব ডিগ্রী।
    ওদের তো আর ভিসা টিসা লাগে না বড়লোক দেশে যেতে, তাই পাস্পোর্টেও কোনো প্রমাণ টমান নেই।
    তাহলে উপায়?
    ঐ ডিগ্রীগুলোতেই গ্যাঁড়াকল ধরা পড়ল।
    সেই জালি সার্টিফিকেট ধরবার স্পেশালিস্ট এসে সব কাগজ অন্য একটা ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আলো জ্বালিয়ে প্রতিটি সার্টিফিকেটের জলছাপ দেখা হলো। দেখেই সকলের কি হাসি।
    সব কটা কগজেই এক জলছাপ। সে ডিগ্রী নিউ ইয়র্ক হোক কি ম্যানিলা, প্যারিস হোক বা মাদ্রিদ, সর্বত্র প্রতিটি বিশবিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ একই বান্ডিলের কাগজ থেকে সব রঙীন রঙীন সার্টিফিকেট ছেপেছেন। সে এক দেখার মতো জিনিস।
    প্রার্থী অবশেষে দোষ স্বীকার করল, যে সে ইন্টারনেট থেকে নানান জায়গার লোগো ইত্যাদি, ম্যায় সার্টিফিকেটের ছবি এইসব ডাইনে্‌লাড করে, নিজের ঘরের কালার প্রিন্টারে খুব যত্ন নিয়ে এইসব কীর্তি করেছে।

  • Sh | 141.218.224.43 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২০:৫৯694143
  • কোডিং নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিল আইটিওয়ালাদের কাছে। আমি খুব সামান্য যা জানি এ বিষয়ে তা হল একটা কোড লেখার জন্য একশোটা অ্যালগরিদম থাকতে পারে। কেউ হাজার লাইন খরচ করে একটা কোড লেখে। কেউ সেই একই কাজ দশ লাইনে করে ফেলতে পারে। আর দশ লাইনে লেখা কোডটা হয়তো অনেক এফিসিয়েন্ট, হয়তো রানটাইম অনেক কম হচ্ছে। নি:সন্দেহে যে দশ লাইনের কোডটা লিখলো সে অনেক বেশি বুদ্ধিমান এবং সেটা স্পুনফিডিং থেকে আসেনা। আমার প্রশ্ন হল আইটিকোম্পানীগুলো এই জিনিসগুলো দেখে না প্রোমোশন দেওয়ার সময়?

    আরেকটা কথা বলি J কে। বি.ই বা বি.টেক এগুলো আমাদের দেশেও ব্যাচেলর ডিগ্রী। আমাদের দেশেও উচ্চশিক্ষার জন্য আগে মাস্টার্স করতে হয়। এদেশেও তাই হয়। আলাদা কিছু নয়।

    তবে জেনারেল লাইনে পড়লে আমাদের দেশে ব্যাচেলর ডিগ্রী দেওয়া হয় তিন বছরে। এখানে সেটা চারবছর। তাই আমাদের দেশে মাস্টার্স ডিগ্রী হচ্ছে পাঁচবছরে। এখানে যেটা ছয়বছর। তাই জেনারেললাইনে পড়ে এদেশে যদি কেউ পি.এইচ.ডি করতে আসে তাহলে তাকে এদেশে আরেকটা মাস্টার্স সমতুল্য কোর্স করতে হয়। সেটা করতে দেড়বছরের বেশি লাগে না। এই নয় যে আমাদের ডিগ্রী এরা স্বীকার করেনা। বরং অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রথমবছরের পারফরমেন্সে ভারতীয় ছাত্ররাই সবচেয়ে এগিয়ে আছে, বিশেষত যারা ISI, IIT বা IISC র মতো প্রতিষ্ঠান থেকে আসে।

    এখানে সেমিনার বা ইন্টার্নশিপের সুযোগ বেশি। বছরের শেষে একখানা বড় পরীক্ষার দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়না। সব সত্যি। কিন্তু শিক্ষার আত্মীকরন শিক্ষার্থীর ওপরেই সম্পুর্ন নির্ভর করে। সিস্টেম খুব একটা কাজ করেনা।
  • ® | 221.135.212.152 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২২:১৯694144
  • অনেক ক্ষেত্রেই তেল মেরে প্রমোশন হয়।যদিও নিয়মে লেখা থাকে পারফর্মেন্স আর কিছুটা ম্যানেজারিয়াল ও মার্কেটিং স্কিল বিবেচ্য।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২২:৩৪694145
  • Sh'র প্রশ্নের উত্তরে জানাই পিওর কোড লেখার কাজ কেরিয়ারের শুরুতেই আসে, তাও খুব পুণ্য করে থাকলে। পিওর ডেভেলপমেণ্ট ছাড়াও হাবিজাবি অনেক ধরণের কাজ হয়। সবচেয়ে বাজে হলো অন্যের দশহাজার লাইনের কোড বুঝে সেখানে এক লাইনের মেরামত করাম, যাকে গোদা বাংলায় সাপোর্ট বলে। তবে যত সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠবেন তত আপনার কাছে ম্যানেজারিয়াল ক্যাপার আশা করবে লোকে, মানে আপনি চাট্টি কোডার ও একটি বা একাধিক প্রোজেক্ট ম্যানেজ করবেন। নিট ফল চাট্টি কোডিং করে ম্যানেজারদের গালমন্দ করে সুখে কালাতিপাত করার দিন শেষ। এই স্টেজে একটা ব্যপার খুব ইম্পর্ট্যান্ট যে কত এফিসিয়েন্টলি আপনি অন্যের ঘাড়ে দোষের বোঝা চাপিয়ে নিজে পরমহংস সেজে থাকতে পারবেন।

    আর প্রমোশন দেওয়ার ব্যপার পুরোপুরি আপনার ইমিডিয়েট ম্যানেজারের হাতে। তাকে বশে রাখলে আপনি সারাবছর কিছু না করেও 'এ' গ্রেডে ঢুকে যেতে পারেন। আর তিনি যদি কুপিত হন তাহলে বাজারের সেরা কোডার হয়েও আপনি আটকে যাবেন স্রেফ আপনার ইঞ্জিরি ভালো নয় বলে বা আপনার অ্যাটিটুডে বড়সড় ছ্যাঁদা আছে এই ছুতোয়।

    তবে এগুলো সবই দেশি আইটি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বাইরে বোধহয় এরকম হয় না। অন্য কেউ লিখবেন এই বিষয়ে।
  • Blank | 59.93.192.175 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২৩:২২694146
  • ইয়ে মানে আই.টি র ব্যপারে আমিও দু-পয়সা দেয়ার অধিকার রাখি, তো আম্মো দিয়ে দি একটু।

    অন্য সব কম্পানি বা অন্য সব প্রফেসনের মতন এখানেই তেল মেরে অনেক কিছু করা যায় বেশ কিছু দুর অব্দি। তবে প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে, তার ওপোর কাজের চাপ ও বেড়ে চলেছে যত কম্পানি গুলো বড় হচ্ছে। তাই শুধু তেল মেরে একটা certain time পর আর ওঠা যায় না eligibility না থাকলে।

    আর কোড লেখার থেকেও performance বেশি matter কে better design করতে পারে তার ওপোর। কারন design বা algorithm নামিয়ে দিতে পারলে কোড যে কেউ নামিয়ে দিতে পারে। মাসে মাসে ছোট খাট প্রাইজ, appreciation এসব গুলো আসে এই level থেকেই।

    পাতি কথা আপনি যদি ভাল পারফর্ম করতে পারেন, আপনার প্রমোশন আটকাবে না।

    আর 'বাজারের সেরা কোডার' দের কেউ ঘাঁটায় না সত্যি করে। ম্যানেজার রাও নিজেদের ভাল বোঝে।

    Arpan কে একটা ছোট্ট কথা বলি,
    আপনার কি মনে হয় না, অন্যের লেখা ১০০০০ লাইনের কোড পড়ে বোঝা ব্যপারটা scratch থেকে coding করার চেয়ে কিছু কম শক্ত নয়? বরং scratch থেকে কোডিং করতে গেলে technical skill এর বাইরে অন্য skill কম ই লাগে। কিন্তু অন্যের লেখা কোড বুঝে সাপোর্ট দেয়ার সময় technical skill ছারাও business knowledge টা ভাল রাখতে হয়।

    তব এই তর্ক টা অর্থ হীন, আমরা মুল আলোচনা থেকে সরে যাচ্ছি।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২৩:৩৬694147
  • Blank, ডিটো দিলাম। আমি বলতে চেয়েছিলাম কোডিং আইটি'র সবকিছু নয় আর পারফর্ম্যান্স বুদ্ধির সমানুপাতিক হবেই এমন কোনো কথা নেই। যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে নেই তাদের জন্য বলা।
  • Blank | 59.93.192.175 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২৩:৪৬694148
  • আমরা থ্রেডের মূল আলোচনা থেকে দুরে সরে গেছি। আর থ্রেডের লেখা গুলো পড়ে একটা কথা মনে হচ্ছে (ঐ আই.টি কোম্পানির স্টাইলেই বলি),

    আমাদের দেশ যেন একটা কনসালটেন্সি এজেন্সী (আমাদের কোম্পানি গুলোর মতন), আর এখানে যারা শিক্ষা দীক্ষা নিয়ে লিখে চলেছেন তারা হলেন ক্লায়েন্ট। তারা শুধু requirement দিয়ে যাবেন (কেমন শিক্ষা চাই, কোনটা দরকার ব্যাস !)। কোম্পানির দায়িঙ্কÄ ইমপ্লিমেন্ট করা সেগুলোকে, যে ভাবেই হোক। ডিজাইন, কোডিং সব কিছু.....
  • Sh | 141.218.68.105 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২৩:৫১694032
  • অর্পণ, ব্ল্যাঙ্ক, র, অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ, মূল আলোচনা থেকে বেশ কিছুটা বেরিয়ে এসেছি। তবে এটা বোধহয় বোঝা গেল যে আইটি কোম্পানিতে কাজ করতে গেলেও কিছুটা বুদ্ধি লাগে আর সেটা শুধুমাত্র স্পুনফিডিং করে তৈরী করা যায়না। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক গলদ আছে স্বীকার করতে লজ্জা নেই। কিন্তু একেবারে কিছুই শেখানো হয়না, কেউ আমাদের স্বীকৃতি দেয়না এটা মানতে কষ্ট হচ্ছিল।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ২৩:৫৫694033
  • Blank আমি তো বলিনি সাপোর্ট খুব সোজা কাজ। অথচ অনেককে দেখেছি সাপোর্ট প্রোজেক্টে ঢুকতে চায় না, যদি না অনসাইটের লম্বা গল্প চলে আসে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যপারটা লম্বা সময়ের কমিটমেন্ট আর একটা সময়ের পরে গতানুগতিক কাজের বাইরে কিছু থাকে না।

    বাজে এই কারণেই বলা যে ব্যপারটা একদম দেখনদারি নয় আর মোর ইম্পর্ট্যান্টলি কন্টিনিউয়াস লার্নিং ব্যপারটা একদম ঝুলে যায়। (আমি শিওর অজ্জিত যখন এই পাতাটা পড়বেন উনি লিখবেন আইটি কোম্পানিগুলি কেন এসব তুশ্চু কাজ করে?)

    যাই হোক, প্রসঙ্গ থেকে দূরে চলে যাচ্ছি।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:০৩694034
  • কিন্তু Sh এটাও লিখুন তাহলে যে ইঞ্জিনীয়ারিং ডিগ্রী না থাকলেও আইটি তে কাজ করা যায় (হাইটেক কাজের কথা হচ্ছে না)। সামান্য আই কিউ থাকলে আর ইংরেজীতে বলিয়ে কইয়ে হলে।
  • Blank | 59.93.192.175 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:০৬694035
  • Sh,

    আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ হয়তো আছে অনেক, কিন্তু পাশ্চাত্য দেশ গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা যদি এতো টাই উন্নত হতো, তবে ইউরোপ আর আমেরিকা বিজ্ঞানি, দার্শনিক etc তে ভরে থাকতো।

    আর J কে একটা ছোট্ট কথা বলার আছে,
    আমাদের দেশে বছরে এই এত্ত যে 'স্পুন ফীড' করা ডাক্তার বেড়োয়, তারাই কিন্তু এই একশো কোটি মানুষের ভরসা। আর 'স্পুন ফীড' হওয়া সঙ্কেÄও তারা দেশের জন সংখ্যা মোটেই কমাতে পারেন না খুব একটা। প্রচুর লোক, রোগে পরে আবার ঐ ডাক্তার দের দেয়া ওষুধ খেয়েই বেঁচে ওঠে।
  • Arpan | 193.134.170.35 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:২২694036
  • আর মৌলিক গবেষণার ব্যপারটা?
  • Blank | 59.93.192.175 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:৩২694037
  • Arpan
    এই থ্রেডেই শুরুর দিকে মনে হয় ওটা নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। আপনি পুরনো লেখা গুলো দেখুন একটু। মোদ্দা কথা যা দাড়িয়েছিল তা হলো, যতদিন কলেজ শেষ করে চাকরির পেছনে দৌড়বার তাড়া থাকবে তদ্দিন গবেষনা ফুরুৎ
  • tan | 131.95.121.129 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:৩৭694038
  • কেন,যৌগিক গবেষণা কেন নয়?
  • Blank | 59.93.192.175 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:৪০694039
  • খান দুই মৌলিক পদার্থ জুড়েই তো যৌগিক পদার্থ হয়। মৌলিক গবেষনা না হলে যৌগিক কি গাছ থেকে পড়বে?
  • tan | 131.95.121.129 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:৪৩694040
  • মৌলিক কালেক্ট করে আনলেই হয়!
  • Arjit | 82.39.161.115 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০১:১৪694041
  • আইটি কোম্পানির কাজ - বা রিসার্চ - বা আউটলুক নিয়ে অন্য থ্রেড খোলো, সেখানে লিখবো। অনেক কথা আছে এই ব্যাপারে।
  • Arpan | 80.47.44.209 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০১:২২694043
  • একটা ছিলো না? সোনা বাঁধানো নর্দমা?
  • Sh | 141.218.68.105 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০১:৩৪694044
  • এক ডাক্তার বন্ধুর সাথে কথা হল। একেবারে গোড়া থেকে আবার পড়তে হয় এই তথ্যটা বোধহয় ঠিক নয়। দেশের MBBS ডিগ্রী এখানে (আমেরিকা) ব্যাচেলর ডিগ্রীর সমতুল্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তবে MD কে ডিগ্রী নয়, ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স হিসেবেই ধরা হয়। অবশ্য প্র্যাকটিস করতে হলে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করতে হবে এবং তার জন্য পরীক্ষা দিতে হবে। সেই পরীক্ষা খুবই কঠিন। কিন্তু সেই পরীক্ষা পাস করে যারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন শুরু করছে তারা তো দেশেরই ছেলেমেয়ে। দেশের মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা। এখানে অনেক কিছু শেখানো হচ্ছে নিশ্চয়ই, কিন্তু দেশে যা শিখে এসেছো তা সব ভুলে যাও এটা তো কেউ বলছে না।
  • Arjit | 82.39.161.115 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০১:৫৫694045
  • না - ওটা তো অন্য ইস্যু - মেধাবি ছেলেমেয়েরা সব অন্য বিষয় ছেড়ে আইটিতে যাচ্ছে সেই নিয়ে। এটা অন্য ইস্যু। এই নিয়ে অনেক তক্কো হতে পারে। আমি খুলছি নে - আমি এখন নিউক্যাসল আর অ্যাস্টন ভিলার খেলা শুনছি মন দিয়ে। নিউক্যাসল সাত মিনিটের মধ্যে দুটো দিয়ে দিয়েছে:-)
  • ® | 172.18.18.170, 203.197.96.50 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১১:০৯694046
  • সাপোর্ট প্রজেক্টের মেন্টেনেন্সের কাজে CR রিসলভ করার থেকে এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট বরং ভালো,কোডিং এর বেশি স্কোপ। আর স্ক্র্যাচ থেকে কোড করতেও কিন্তু বিজনেস নলেজ লাগে আর SRS তৈরি করা টায় সেটার ভূমিকা আছে,কারন তার ওপর বেস করেই ডিজাইন,কোড করা হবে।
    যাগ্গে ,অন্য কথায় না গিয়ে -
    পারফর্মেন্স,ম্যানেজারিয়াল ও কিছুটা মার্কেটিং স্কিলের ওপর বেস করে উন্নতি হওয়াটাই স্বাভাবিক কিন্তু সেটা বড় IT কোম্পানি (দেশী) গুলোতে অনেক সময় ই হয় না,আসে বসের সুনজরে থাকার ইকুয়েশন। বরং ছোট কোম্পানি তে প্রসেস টা অনেক স্ট্রীম-লাইন
  • J | 160.62.4.10 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৫:৩৫694047
  • Sh,
    প্রশ্ন। দেশ থেকে MBBS, MD ইত্যাদি করে ক্যানো অ্যামেরিকা যায় ছাত্রেরা? হায়ার সেকেন্ডারীর পরে মানে ইস্কুল শেষ করে গেলে ক্ষতিটা কী? তাহলে কিছু "বছর" অ্যাটলিস্ট কম "নষ্ট" হয়। পুরোপুরি স্বীকৃতি যখন ওরা দিছেই না, মাস্টারস্‌ ডিগ্রী না থাকলে ডাক্তারীর লাইসেন্স দেয় না যখন, তখন দেশে এক রাউন্ড পড়াশুনো করে আবার বিদেশে গিয়ে সেই সেম জিনিস কিছুটা এবং ধরে নিচ্ছি অতিরিক্ত জিনিস ও কিছুটা পড়তে হচ্ছে আবার করে, তাই নয় কী? কিন্তু কেন? শুধুই কি টাকার মোহে? নাকি জানবার মোহে ও?
    যে কারণেই হোক না কেন, প্রশ্ন হচ্ছে দুবার করে একই পড়া পড়তে হবে কেন? সময় নষ্ট হয় না এতে, মেধাবী মেধাবী সব ডাক্তারদের? সেই সময়টুকুতে কত রোগীর চিকিৎসা হতে পারত।
    আর ইয়ে, উচ্চশিক্ষা বলতে কিন্তু আমি রিসার্চ ওয়ার্ক মীন করিনি। ১২ ক্লাসের পরেরটাই আমি উচ্চশিক্ষা মীন করেছিলাম, গবেষণা টা আরো পরের। সেটা উচ্চশিক্ষা শেষ করার পরের স্টেপ।

    blank কে,
    দেশের পপুলেশান বাড়ার সঙ্গে দেশের ডাক্তারদের ডিরেক্ট সংযোগ ঠিক কীরকম সেটা বোধগম্য হল না। মৃত্যুর হার কমা, আর জন্মহার বাড়া, এগুলো কিন্তু খুব সহজ হিসেব নয়। মূলপ্রসঙ্গ থেকে বহুদূরে সরে যাওয়া সঙ্কেÄও বলছি, কন্যাভ্রূণহত্যা টত্যাও কিন্তু চলে। ডাক্তারীতে ঢোকা এবং পাশ করে বেরোনো নি:সন্দেহে খুব খুব টাফ, ভয়ানক প্রতিযোগিতা মুষ্ঠিমেয় সীটের জন্যে, খুব মেধাবী ও পড়ুয়া না হলে চান্স পাওয়া এবং পড়া চালিয়ে যাওয়া ও পাশ করা,অসম্ভ। এই মুষ্ঠিমেয় ডাক্তারদের আপ্রাণ চেষ্টা সঙ্কেÄও প্রচুর মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। তার সঙ্গে ইন্‌ফ্রাস্ট্রাকচারের সম্পর্ক নিবিড়। সমীকরণ অতো সরল নয়। আলোচনাটা হচ্ছিল দেশের ডাক্তারদের হ্যাটা করার জন্যেও নয় আবার মাথায় তুলে নাচার জন্যেও নয়। দেশের ডাক্তারী ডিগ্রী কেন বিদেশে সরাসরি স্বীকৃতি পায় না, বা কেন বিদেশে গিয়ে দেশের ডাক্তারদের আরো অতিরিক্ত কিছু পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়, সেই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। দেশ থেকে ডাক্তারীতে Ph.D হওয়া কোনো ডাক্তারকেও কি এসবের সম্মুখীন হতে হয়? এতে ক্লায়েন্ট হিসেবে নয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা বিদেশে ঠিক কীভাবে স্বীকৃত বা কেন /কীভাবে সেসব আঅলোচনার জন্যেই এই থ্রেড। এই লেখাটা শুরুই হয়েছিলো একটা খবরের ওপর ভিত্তি করে, যে পশ্চিমবঙ্গে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে গ্রেড প্রথার প্রবর্তন হচ্ছে - তার সুফল কুফল নিয়ে; পৃথিবীর প্রতিটি এগিয়ে থাকা বা অগ্রসর হতে থাকা দেশে শিক্ষাব্যবস্থা পরিকাঠামো নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা হয়ে থাকে, সেটাই স্বাস্থ্যকর। আলোচনার মাধ্যমেই মতের আদান প্রদান হয় এবং তার থেকে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গী এবং অনেক না জানা বিষয় জানা সম্ভব হয়। আত্মসমালোচনার প্রয়োজন আছে বৈকী! আত্মসমালোচনা ।
    সেটা প্রচার মাধ্যমে হবে কি রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে চেঁচাতে হবে নাকি নেটে বসে লিখতে হবে তা যার যেমন পছন্দ। আমি আমার পছন্দের পথে আলোচনা করে থাকি, তা নিয়ে আমার কোনো কুন্ঠাও নেই, লজ্জিত হবার ও কোনো কারণ দেখি না।
  • MM | 217.164.237.154, 213.42.21.81 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৮:১৮694048
  • Name: J Date:31 Jan 2007 -- 02:30 PM

    মেয়েরা কি আর করবে বলুন? বি এ এম এ পাস না করলে আপনাদের তো মনে ধরবে না, সে তার অন্য যতই গুণ থাকুক না কেনো?
  • J | 160.62.4.10 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ১৮:৪৬694049
  • MM কি আমারে কইলেন নাকি? বিএ এম এ পাশ করা বৌ নিয়ে আমি কী করবো?!?!
  • omnath | 210.214.29.55 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ২০:৩১694050
  • সইত্য কইসো। বৌমা ও বানাবার নাই । আমারেই দিয়া দিও বরম। ;-)

    ( বি. দ্র. এই থ্রেডটায় ফালতু খোরাক হচ্ছে কেন?? )
  • Sh | 141.218.68.105 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ২০:৩১694051
  • J, কোথাও একটা বোঝার ভুল থেকে যাচ্ছে। MBBS আমাদের দেশেও ব্যাচেলর ডিগ্রী। বিদেশেও সেটা ব্যাচেলর ডিগ্রীরই মর্যাদা পাচ্ছে। আমাদের দেশে ডাক্তারীর পোস্টডক্টরাল বিদেশে স্বীকৃত কিনা তা আমি জানি না। কেউ জানালে ভালো হয়।
    জেনারেল লাইনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের পি.এইচ.ডি বিদেশেও ডক্টরেট ডিগ্রীর সম্মান পায়। দেশ থেকে কেউ পি.এইচ.ডি করে এলে এদেশে সরাসরি পোস্ট ডক্টরেট করতে পারে। কোন অসুবিধে নেই।

    এবার লোকে বিদেশে কেন যাচ্ছে সে প্রসঙ্গে বলা যায় বিদেশে পরিকাঠামো নি:সন্দেহে অনেক ভালো। ভালো জার্নালে পাবলিশ করার সুযোগ বেশি। টাকা তো বেশি বটেই। দেশে কেন এই সুযোগগুলো নেই তা নিয়ে আলোচনা হোক না।
  • Blank | 59.93.243.132 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০০:১২694052
  • Sh কে ডিটো দিলাম। যাস্ট এই জিনিস টাই বলতে চাইছি আমি।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন