এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাণা আলম | 111.210.206.134 | ১৩ মে ২০১৩ ১৯:০৪605112
  • আমার স্কুল মুর্শিদাবাদ জেলার ওমরপুরে।আমার স্কুলে যারা পড়ে(মূলত ঘোড়শালা,ওমরপুর,মঙ্গলজোন আর বাঘা গ্রামের) তারা প্রায় সকলেই নিম্ন আর্থিক সঙ্গতিসম্পন পরিবারের।তাদের নিয়ে একটি সার্ভে করেছিলাম।কতগুলি আর্থ-সামাজিক ডাইমেনসনের উপর কোয়েশ্চেনিয়ার তৈরী করেছিলাম,তবে তা স্ট্যান্ডার্ডাইজড করা হয়নি।১০০টি স্যাম্পল নিয়েছিলাম।সার্ভে রিপোর্টের ডিটেলস এখানে দিচ্ছিনা,কারণ তা বোরিং মনে হবে।মূল দশটি প্রশ্ন ছিল,তার ভিত্তিতে শতাংশ অনুপাতে উত্তর ও তার ব্যখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
    প্রশ্ন ১- বাবা-মা কি বাংলায় লিখতে পড়তে পারেন?
    ৩৫% বলেছে হ্যাঁ।
    প্রশ্ন ২- বাড়িতে কি কেউ পড়া দেখিয়ে দেয়?
    ৩০% বলেছে হ্যাঁ।
    প্রশ্ন ৩- বাড়িতে কারেন্ট আছে?
    ৮৪% শতাংশ বাড়িতে কারেন্ট আছে(বৈধ বা অবৈধ)।
    প্রশ্ন ৪- বাড়িতে পায়খানা(কাঁচা/পাকা) আছে?
    ৬০% বাড়িতে কোনরকম পায়খানা নেই।
    প্রশ্ন ৫- বাড়িতে টিউবওয়েল বা কুয়োঁ আছে?
    ৮৫% বাড়িতে নিজস্ব টিউবওয়েল বা কুয়োঁ নেই।
    প্রশ্ন ৬- বাড়ি মাটির না পাকা?(উদ্দেশ্য পরিবারটি ইন্দিরা এবং রাজীব আবাস যোজনা’র সুবিধা পেয়েছে কিনা তা দেখা,সেক্ষেত্রে মাটির বাড়ি নেগেটিভ উত্তর)
    ৪০% বাড়ি পাকা।মানে,ইঁটের তৈরী,টিনের বা টালির চাল।
    প্রশ্ন ৭- প্রাইভেট পড়ো?
    ৫৫% ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট ট্যুইশন নিয়ে থাকে।
    প্রশ্ন ৮- বাড়িতে দুবেলা ভাত রান্না হয়?
    ৮৫% বাড়িতে দুবেলা ভাত রান্না হয় না।
    প্রশ্ন ৯- বাড়িতে কেউ কি বিঁড়ি বাঁধে বা প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করে?
    ৯০% বাড়িতেই কেউ না কেউ বিঁড়ি বাঁধে বা প্লাস্টিকের কারখানায় কাজ করে।
    প্রশ্ন ১০- বাড়ি থেকে কি স্কুলের মিড ডে মিল খেতে বলে?
    ৮০% বাড়ি থেকেই স্কুলের মিড ডে মিল খেতে বলা হয়।

    যেকোন সার্ভে রিপোর্টে ১০% ‘প্রবাবল এরর’ ধরা হয়।তা বিচার করলেও এ পরিসংখ্যান অতি সাংঘাতিক ।কতগুলো পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গেছে,তার হিসেব নেই,অথচ নিম্ন আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন মানুষের ৮৫% বাড়িতে দুবেলা হাঁড়ি চড়েনা।
    ৬০% বাড়িতে শৌচাগার নেই।
    ৮৫% বাড়িতে নিজস্ব জলের সোর্স নেই।
    আমার স্কুলের পাশে সরকারী স্ব্যাস্থকেন্দ্র,সেটা সপ্তাহে একদিন খোলা থাকে।

    কতগুলি কথা যোগ করছি।যে চারটি গ্রাম,আমার স্কুলের আওতায় পড়ে,তার মধ্যে বাঘা অতিদরিদ্র।তুলনায় ওমরপুর আর্থিকভাবে উন্নত।ঘোড়শালা এবং মঙ্গলজোন মিশ্র প্রকৃতি’র।আজ যখন সার্ভে করা হয়,তখন উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বেশীরভাগ ছিল বাঘা’র।এবং আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে এরা খুব গরীব।তার প্রভাব ফলাফলে পড়েছে।আর কারেন্টের কানেকশন বৈধ বা অবৈধ,দুরকমই আপনি গ্রামাঞ্চলে পাবেন,তার সাথে আর্থিক সঙ্গতি’র সম্পর্ক খুঁজতে যাওয়া ঠিক নয়।
    এর আগে,গতবছর,খোঁজ নেওয়া হয়েছিল,কতগুলি পরিবার পঞ্চায়েত দ্বারা সুলভ শৌচাগার নির্মাণের কথা জানে এবং তা গ্রহণ করেছে,সেক্ষেত্রেও খুব হতশ্রী চেহারা উঠে এসেছিল।গোটাবছরে মোট চারটে অভিভাবক সভাতে এ সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছিল।এ বছর যখন ফিডব্যাক নেওয়া হল,চিত্র একইরকম রয়ে গেছে।
    আর ওমরপুরে বেশীরভাগ লোকেদের সঙ্গতি থাকলেও্‌,বাড়িতে শৌচাগার নেই।
    সবশেষে একটা কথা বলি,যে তথ্যগুলো এখানে উঠে এসেছে,তা নিয়ে তর্ক উঠতেই পারে।আমি নিজে শহুরে মানুষ।চাকরি করতে এসে এত সরাসরি গ্রাম দেখছি।এডুকেশন নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার সময়,আমি প্রচুর কমিশন,প্রকল্প ইত্যাদি ও তার সাফল্যের কথা পড়েছিলাম।খালি চোখে তার ফলাফল খুব একটা চোখে পড়েনি।
    এখানে এখনও তেরো-চৌদ্দ’তে মেয়েদের বিয়ে হয়।প্লাস্টিকের কারখানা,গাড়ির গ্যারেজে দশ-বারো বছরের ছেলেরা কাজ করে।বাড়ির মেয়েরা কোন প্রোটেকশন ছাড়াই বিড়ি বাঁধে।বেশীরভাগ বাড়িতে শৌচাগার নেই।আর্সেনিক মুক্ত পরিষ্কার পানীয় জলের কল,আমি প্রায় দেখিনি বললেই চলে।মেয়েদের জন্য কোন স্বাস্থ্য-সচেতনতা ক্যাম্প আমি গত দুবছরে একটাও হতে দেখিনি।পরিবার পরিকল্পনার বালাই নেই।
    বাদবাকি সব আছে,চোলাই থেকে বিলিতি মদের যোগান আছে,ধর্মের নামে মারপিট আছে,রাজনীতি’র নামে হানাহানি আছে,পঞ্চায়েতের নামে চরম দুর্নীতি’র আখড়া আছে।
    নেই শুধু মানুষের জন্য ভাবনা।আমার স্কুল ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি’র নির্বাচনী কেন্দ্র ছিল।তার দৌলতে কিছু বিড়ি ব্যবসায়ী প্রচুর সাবসিডি সমেত কয়েকশো কোটি করে লোন পেয়েছে।নিন্দুকেরা বলে থাকেন,সোনাটিকুরীর কাছে রাষ্ট্রপতি’র বাড়ি নাকি এক বিড়ি ব্যবসায়ী কৃতজ্ঞতাস্বরূপ করে দিয়েছেন।সে বাড়ি দেখলে জয়পুর প্যালেসের কথা মনে পড়বে।
    তার গায়ে আলো পড়লে চোখ ঝলসে যায়।
    একপেশে উন্নয়নের মায়াবী আলোতে এই পরিসংখ্যানগুলোকে বিরোধী চক্রান্ত বলে ইগনোর করুন।
    আফটার অল,ইন্ডিয়া শাইনিং বস...
  • কৃশানু | 177.124.70.1 | ১৩ মে ২০১৩ ১৯:১৪605123
  • হুম।
  • pi | 78.48.231.217 | ১৬ মে ২০১৩ ০৭:৩৩605132
  • শ্রীরামপুরের কাছের কিছু গ্রামের সার্ভের ফলাফলও ওমরপুরের মতই। প্রায় একই ছবি।
  • siki | 132.177.155.19 | ১৬ মে ২০১৩ ০৮:০৬605133
  • এটা কি রঘুনাথগঞ্জের কাছের ওমরপুর গ্রাম?
  • রাণা আলম | 111.218.138.193 | ২৩ মে ২০১৩ ২২:৫৫605134
  • আজ ব্রিজেই জ্যামেয়াটকে গেছিলাম।অগত্যা ট্রেনে চেপে রওনা দিলাম।ফাঁকা ট্রেন,বাইরে মেঘলা আকাশ।দরজায় দাঁড়িয়েছিলাম।আমার এক পরিচিত হকার,কালী’র সাথে দেখা হল।কালী ওমরপুর বাস স্ট্যান্ডে পেয়ারা বিক্রি করে।বাড়ি জিয়াগঞ্জের দিকে।যদি আপনি জিজ্ঞেস করেন, ‘তোর বাড়ি কোথায়?’
    কালী মুখের ঘাম মুছে একগাল হেসে উত্তর দেবে, ‘আমার বাড়ি ছেলো ওপারে।বাড়িঘর,বাগান,সব ফেলি এইছি গো’
    কালী’রা এদেশে এসেছে বছর দশেক।ষোল বছর বয়সে যে দেশ ছেড়ে এসেছে,তার স্মৃতি টাটকা থাকাই সম্ভব।কালী’র বাবাও ফেরি করতেন,আপাতত শয্যাশয়ী।কালী’রা কোন একটা ঝুপড়িতে থাকে।সে ঝুপড়ি দু-একবার প্রশাসন রাস্তা চওড়া করার নামে ভেঙ্গেওছে।
    ট্রেনের রুটে থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট টা পড়ে,সেটা ছাড়িয়ে খানিক এগিয়ে খাস জমির উপর কতগুলো ত্রিপল আর কুটোকাটা দিয়ে অস্থায়ী ঝুপড়ি তৈরী হয়েছে,গোটা কয়েক বাচ্চা উদোম গায়ে খেলা করছে।
    তাদের দিকে আঙ্গুল তুলে কালী বললো,
    ‘দ্যাহেন মাস্টার’দা,এ্যদেরো ঘর নাই গো,পিঁপড়ার মত বেঁচি আছে।এই ঝুপড়ি কদিন বাদে আবার ভাঙ্গবে,আবার ফাঁকা জাগা খ্যুঁজে ঘর বসাবে,আবার সরকারের লোক ভেঙ্গি দিবে,গরীব কে কেউ দ্যাহেনা গো’।
    কালী’র কথার উত্তর আমার কাছে ছিল না।তাই চুপ করে রইলাম।আমরা উন্নয়ন বলতে কি বুঝি তা নিয়ে বিস্তর তর্ক আছে।
    আমার স্কুলে পাবলিক হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট থেকে একখানা আর্সেনিকমুক্ত কল বসিয়ে দিয়েছে।টিফিনে ছেলেরা এসে খবর দিল যে কলের পাইপ,যেটা ফিল্টারের সাথে লাগানো আছে,তা লিক করে জল বেরোচ্ছে।গিয়ে দেখলাম জল বেরিয়ে মাটিতে পড়ছে।কিছুটা মাটি উচু হয়েছিল,সেটা ধ্বসে যাচ্ছে ক্রমশঃ।
    আচমকা চোখ পড়লো,ধ্বসে যাওয়া মাটির পাশ দিয়ে সার দিয়ে বেরিয়ে আসছে একদল পিঁপড়ে,কিছু পিঁপড়ে জলে ভাসছে,বাকিরা নতুন আস্তানার খোঁজে রওনা দিয়েছে।
    অফিসরুমে ঢোকার সময় কালী’র কথা মনে পড়লো, ‘...পিঁপড়ার মত বেঁচি আছে’।
  • Zn | 161.141.84.239 | ২৪ মে ২০১৩ ০৩:৫৫605135
  • এই সার্ভেতে কি এই প্রশ্নটা ছিলো, "তোমরা ক'জন ভাইবোন?"
    যদি থেকে থাকে, তাহলে বেশীরভাগের উত্তর কী?
  • ladnohc | 37.62.42.123 | ২৪ মে ২০১৩ ০৯:৫৬605136
  • ৫৫% ছাত্র-ছাত্রী প্রাইভেট ট্যুইশন নিয়ে থাকে।

    ৮৫% বাড়িতে দুবেলা ভাত রান্না হয় না।

    সাংঘাতিক!
  • রাণা আলম | 111.210.49.121 | ২৪ মে ২০১৩ ১০:১৮605137
  • আমার স্কুলের বেশীরভাগ ছাত্র-ছাত্রী বাঘা গ্রামের।সেটি আদর্শ গ্রাম হিসেবে স্বীকৃত।সেখানে কয়েকটি অবস্থাপন্ন বাড়ি ছাড়া কারো নিজের বাড়িতে নলকূপ নেই।আর গোটা গ্রামে নাত্র দু-তিনটি নলকূপ চালু আছে।অসম্ভব দারিদ্র্য সেখানে।তেরো-চৌদ্দতে মেয়েদের বিয়ে হয়।এরা বেশীরভাগ তফসিলী জাতি ভুক্ত,অথচ প্রমাণপত্র নেই।
  • ladnohc | 116.215.34.91 | ২৪ মে ২০১৩ ১২:২৩605138
  • তাদের মধ্যে হ​য়তো দেখবেন অনেকে জানেনইনা যে তারা বিশেষ কোনো সুবিধা পেতে পারেন এসসি হওয়ার জন্য। প্রমাণপত্র বার করার জন্য যে পদ্ধতি তা জানা নেই, অথবা অফিসগুলোয় ঘুরে ঘুরে হাল ছেড়েছেন; অত সম​য়ই বা কই? ভাত জোটাতে দিন যায়!
  • pi | 78.48.231.217 | ২৪ মে ২০১৩ ১২:৫৭605113
  • রাণা, একটা তথ্য দিতে পারবে? এঁদের কতজনের বিপিএল আর স্বাস্থ্য বিমা যোজনা কার্ড ( RSBY) আছে ? আমাদের সার্ভেতে অনেকেই বলেছিলেন বিপিএল কার্ড পাচ্ছেন না আর বিপিএল রা দ্বিতীয়টার জন্যে যে এনটাইটেলড, তাই জানেন না।
  • sarkar chaandaan | 141.228.29.101 | ২৫ মে ২০১৩ ১০:২২605114
  • INDIA NOT SHINING. IPL DISMISS IT'S SHINING
  • Zn | 161.141.84.239 | ২৬ মে ২০১৩ ২২:২৩605115
  • সমস্যার মূলে না গেলে সমাধান পাওয়া খুব শক্ত।

    অনিশ্চয়তাভরা দরিদ্র জীবন বাপমার, এদিকে পাঁচ ছটি সন্তান, কারুর হয়তো সাত আটতি। এইসব বাচ্চাদের খাদ্য বস্ত্র আশ্রয় শিক্ষা চিকিৎসা কে দেবে? চিন্তামণি? এদিকটা কেন দেখা হয় না বা জোর দেওয়া হয় না? এই যুগে, যখন কিনা জন্মনিয়ন্ত্রণ টেকনোলজিসাধ্য, তখনও কেন জেনেশুনে এই বোঝা ও দায়িত্ব নেওয়া? তারপরে আবার নাম থাকে না, নম্বর থাকে বলে কাঁদুনি?

    সার্ভেয়াররা সব উপর উপর ঘুরে গেলেন কনসার্ন দেখালেন নানা জিনিস নিয়ে, আসল ব্যাপারে কোনো কথাই বললেন না?
  • pinaki | 56.17.190.22 | ২৬ মে ২০১৩ ২২:৩৬605116
  • প্রথমতঃ ৫ টা থেকে ৮ টা বাচ্চা আজকের দিনে খুব দরিদ্র পরিবারেও খুবই দুর্লভ। দ্বিতীয়তঃ খুব দরিদ্র পরিবারে অনেক সময় সন্তানকে 'কাজের জন্য বা আয়ের জন্য আরও দুটি হাত' - এভাবেও দেখা হয়ে থাকে। কাজেই সবসময়েই অসচেতনভাবে বাচ্চার জন্ম দেওয়া হয়েছে, বা জন্ম দেওয়ার জন্য অনুতাপ করা হচ্ছে - এমনটা নাও হতে পারে। আর বেশী সংখ্যক সন্তান তো কোনো অর্থেই সমস্যার 'মূল' কারণ নয়।
  • Zn | 161.141.84.239 | ২৬ মে ২০১৩ ২২:৪০605117
  • আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় এটা বিরাট ফ্যাকটর। এইমাত্র কালোমেয়ের গল্পে শুনলাম এক বাপমায়ের চারটি মেয়ে, একটি ছেলে। এক নং মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে, দুইনং মেয়েকে চোদ্দ বছরে পার করছেন সস্তা জামাই পেয়ে, কারণ আরো দুটিকে পার করতে হবে। সন্তানেরা নম্বর হয়ে গেছে।
  • Zn | 161.141.84.239 | ২৬ মে ২০১৩ ২২:৪৩605118
  • বাচ্চা জন্ম দেওয়া হচ্ছে "কাজের জন্য বা আয়ের জন্য আরো দুটি হাত", এটা যে কী আত্মঘাতী পলিসি, সেটা একটু ভাবলেই টের পাওয়া যায়। কারণ বাচ্চাদের পালন করতে হবে তো! এদিকে নিজেদের ই খাওয়া থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই, ওদিকে পাঁচটি ছটি সন্তান! এদের খাওয়াবে পরাবে কে?
  • Zn | 161.141.84.239 | ২৬ মে ২০১৩ ২২:৫০605119
  • আর এই উপর-উপর কনসার্ন দেখানো মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই দেখি "বেশী সংখ্যক সন্তান সমস্যা নয়", এই জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা কায়্দায় বলেন, এদিকে নিজেরাই জানেন এটা বিরাট সমস্যা। কিন্তু বলেন অন্যরকম? কেন? নিজেদের সেফটি ঠিক রাখতে? মানে ঐ বোকাসোকা গরীবগুর্বোরা অনেক বাচ্চা পয়দা করুক, জ্বলেপুড়ে মরুক, তারপরে সামলাতে না পেরে কাজে দিক, তাহলেই আমাদের চাকর সাপ্লাই স্মুদ থাকবে? এই ভেবে?
  • pinaki | 56.17.190.22 | ২৬ মে ২০১৩ ২২:৫৪605120
  • এই "উপর-উপর কনসার্ন দেখানো মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবী" শব্দগুচ্ছটা কি আপনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বল্লেন?
  • Zn | 161.141.84.239 | ২৬ মে ২০১৩ ২৩:০১605121
  • না না, আপনাকে না। ভুল বুঝবেন না।
    স্কুলবেলা থেকে শুনে আসছি এইসব বকবক। প্রগতিশীল সুশীলরা প্রায়ই নানা সার্ভে করতেন, আর এসব বলতেন, তখনও সুশীল কথাটা আসে নি। ঃ-)
    ভাবুন, প্রয় বিশ বচ্ছর হয়ে গেল, ফাটা রেকর্ড চলছে। সমস্যা সমস্যার মতন রইলো, সমাধানের কোনো দেখা নাই। বিরক্তিকর অবস্থা যাকে বলে। এখনো যখন একই জিনিস শুনি, কেমন যেন চিড়বিড় করে। ঃ-)
  • Deb | 212.142.121.19 | ২৬ মে ২০১৩ ২৩:১৪605122
  • Zn কে বিশাল করে ক ।
    "আর বেশী সংখ্যক সন্তান তো কোনো অর্থেই সমস্যার 'মূল' কারণ নয়।" - কি ভয়ানক !
  • রাণা আলম | 111.217.140.143 | ২৭ মে ২০১৩ ০০:১৭605124
  • বিপিএল তালিকায় নাম হয়তো অনেকেরই আছে,কিন্তু তা ঠিকঠাক ভাবে নেই।যৌথ পরিবার ভেঙ্গে সাত টুকরো হয়ে গেছে,অথচ সেই পরিবারের কর্তার নামটাই হয়তো রয়ে গেছে।স্বামী পরিত্যক্তা,বিধবা মহিলা,তারা হয়তো বাপের বাড়িতে থাকেন,অথচ ভোটার কার্ড অন্য গ্রামের,তাদের নাম নেই।তবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে,তফশিলী শংসাপত্রের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলি উদ্যোগী নয়।
  • aka | 79.73.10.10 | ২৭ মে ২০১৩ ০১:১০605125
  • দুবেলা ভাত রান্না হওয়ার প্রশ্নটা কি ঠিক এরকমই ছিল? এই প্রশ্নটা থেকে কি ভুল বোঝার সম্ভাবনা আছে? যিনি সার্ভে করেছেন তিনি নিশ্চয়ই ভালো জানেন প্রকৃত অবস্থা। আমার মনে হল রান্না না হওয়া আর খাবার না জোটা দুটো মনে হয় সমার্থক না।

    একটু কনফ্লিক্টিং লাগছে কারণ একটা বড় সেটের দুবেলা খাবার জোটে না কিন্তু প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে।

    একটু কনফার্ম করবেন।
  • রাণা আলম | 111.217.185.143 | ২৭ মে ২০১৩ ১০:২১605126
  • এ বিষয়টা নিয়ে আমার নিজেরও সন্দেহ আছে।বীরভূমের দিকের অনেক পরিবারে একবেলা রান্না'র রেওয়াজ আছে।আমি যেহেতু ডোর টু ডোর সার্ভে করিনি,সেহেতু আমাকে ছাত্র-ছাত্রী'দের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করতে হয়েছে।তবে টিউশন পড়ার ব্যাপারটা অদ্ভূত।আমি এমন পরিবারও দেখেছি এখানে,যাদের পায়ে চপ্পল নেই,কাঠফাটা রোদে খালি পায়ে হাঁটে,তাদের বাড়িতে গিয়ে অসহনীয় দারিদ্রের দেখেছি।ওষুধ কেনার পয়সা নেই,অথচ ছেলেকে 'পাইভেট' পড়াচ্ছেন।
  • pi | 172.129.44.87 | ২৩ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৪৪605127
  • ফেবু গ্রুপে রাণার একটা পোস্ট থেকে ঃ

    'আমি শহুরে লোক।চাকরি সূত্রে গ্রামে এসেছি।এখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ। বেশিরভাগ বাড়িতে পানীয় জলের সোর্স নেই বললেই চলে।অধিকাংশ বাড়িতে স্থায়ী শৌচাগার নেই।এখানকার ছেলেরা বাইরে খাটতে যায়।রাস্তার ধারে প্রকাশ্যে মদ বিক্রি হয়।ঘন জনবসতি এলাকায় স্বাস্থ্যনীতির তোয়াক্কা না করে গাদা গুচ্ছের প্লাস্টিক কারখানা গড়ে উঠেছে।লালটুসি এক অন্ধকার জগতে বাস করছে।আমার স্কুলে যে মেয়েরা পড়ে,তাদের ক্লাস সিক্স থেকেই বিয়ের কথা শুরু হয়।মাত্র দুটি ক্ষেত্রে আমি আটকাতে সফল হয়েছি।স্কুলে মিড ডে মিল রান্না হলে এদের অনেকের পেটে দুবেলা ভাত জোটেনা।কি পরিমাণ হতাশ লাগে তা বলে বোঝাতে পারবোনা। '
  • pi | 172.129.44.87 | ২৩ আগস্ট ২০১৩ ২৩:৪৬605128
  • name: রাণা আলম mail: country:

    IP Address : 125.253.116.3 (*) Date:23 Aug 2013 -- 10:54 PM

    লালটুসী খাতুন।বয়স বারো কি তেরো।আমার স্কুলে ক্লাস সিক্সে পড়ছে।গতবছর থেকে অত্যন্ত অনিয়মিত উপস্থিতি।সাধারণত আমরা প্রতি তিনমাস অন্তর অ্যাটেন্ডান্স চেক করি এবং দুর্বল উপস্থিতি থাকলে অভিভাবক কে ডেকে পাঠানো হয়।লালটুসী’র গার্জেন কল হল।মেয়েটির বাবা নেই।দাদা এলেন।তিনি জানালেন যে লালটুসী’কে জ্বিন বা পরীতে ধরেছে।তাই মৌলভী সাহেব জল পড়া খাইয়ে ঘরে আটকে রাখার নিদান দিয়েছেন।আমি জানতে চাইলাম যে কি হয়েছে?আর জ্বিন বা পরী’র কি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে লালটুসী’কে ধরতে আসবে?
    দাদা’র বক্তব্য অনুসারে লালটুসী’কে নাকি দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে জ্বিনে আক্রমণ করছে।হাত কেটে দিচ্ছে।চুল খুলে দিচ্ছে।ওর সামনে এসে খাবার খেয়ে নিচ্ছে।স্কুল থেকে ফেরার সময় পুকুরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।ইত্যাদি ইত্যাদি।উল্লেক্ষ্য যে সব কটি ঘটনা ঘটছে যখন লালটুসী একা থাকছে। অর্থাৎ অন্য কারো সামনে জ্বিন লালটুসী’কে আক্রমণ করছে না।
    বিজ্ঞানের প্রাথমিক স্তরের ছাত্র হিসেবে যে কেউ বলে দিতে পারে যে এটা আদতে একটি মানসিক সমস্যা।এমনিতেই বয়ঃসন্ধিতে ছেলে মেয়েরা আলাদা মনোযোগ দাবী করে কারণ তারা শারীরিক এবং মানসিক কিছু পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়।এবং রক্ষণশীল বাড়ির মেয়ে হিসেবে অন্য কোন ব্যক্তিগত সমস্যা তার হয়ে থাকতে পারে যা সে বলতে পারছেনা এবং এই ধরণের ঘটনার মধ্যে দিয়ে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
    আমি মেয়েটির দাদা’কে কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর সাথে পরামর্শ করতে বলেছিলাম।দাদা বললেন যে এটা নাকি ডাক্তারের কাজ নয়।পারলে ঐ মৌলভী সাহেবই পারবেন।লালটুসী’র স্কুলে আসা বন্ধ হয়ে গেল।মেয়েটি’র মামা আমার পরিচিত ছিলেন।তাকে ডেকে পাঠিয়ে আমি একই কথা বললাম।এও বললাম যে দরকার হলে ডাক্তারের খোঁজ আমি দিচ্ছি।আপনারা দেখান।কারণ এটা চলতে থাকলে মেয়েটি একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে সে যা বলছে তা সবই সত্যি।তখন কিন্তু সারানো মুশকিল হয়ে যাবে। মেয়েটির মামা আমার কথায় দৃশ্যত বিরক্ত হলেন এবং স্পষ্ট ভাষায় জানালেন যে যেটা আমি বুঝিনা সেটা নিয়ে না কথা বলাই ভালো।এসব জ্বিন পরীদের কারবার।দুপাতা ইংরেজি পড়ে আমি যেন নিজেকে হাফেজ সাহেবের থেকে বড় জ্ঞানী না ভাবি।
    গত তিনমাস লালটুসী আর স্কুলে আসেনি।আজ পরীক্ষা ছিল।দেখি লালটুসী আর তার মা।মেয়েটা আরও রোগা হয়ে গেছে।পরীক্ষা হলে লালটুসী যাওয়ার পর অফিসে ওর মা’কে ডাকলাম।মা জানালেন যে লালটুসী’কে জ্বিন এখনও ছাড়েনি।স্থানীয় মৌলভী সাহেব রণে ভঙ্গ দিয়েছেন।এখন কলকাতার এক মৌলভী সাহেব কে দেখানো হচ্ছে।আমি আবার অনুরোধ করলাম যে এভাবে মেয়েটাকে মেরে না ফেলে অন্তত একবার কোন ডাক্তার কে দেখান।আমার বারংবার অনুরোধে মেয়েটির মা মুখে বললেন যে ভেবে দেখবেন।আমি বুঝলাম যে তিনি আদৌ কাজটা করবেন না।আমি বললাম যে অন্তত মেয়েটাকে স্কুলে পাঠান।এখানে জ্বিন আক্রমণ করেনা।এ অনুরোধ আমি আগেও করেছিলাম।কোন কাজ হয়নি।
    আমি এরকম কোন দাবী করছিনা যে লালটুসী পড়াশোনা করলে দারূণ কিছু হয়ে যাবে।কিন্তু একটা পর্যায় অব্দি পড়াশোনা করাটা তার মৌলিক অধিকার।এই জ্বিন জাতীয় কুসংস্কারের ফলে তার সে অধিকার ব্যহত হচ্ছে।এবং এভাবে চলতে থাকলে মেয়েটি মানসিক রোগীতে পরিনত হবে,তখন সেরে ওঠা মুস্কিল হয়ে যাবে।আমি উপায়ান্তর না দেখে স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা’কে অনুরোধ করলাম ওই পরিবার কে বোঝানোর জন্য।তিনি খুব বিরক্ত হলেন এবং আমাকে উপহাস করে জানতে চাইলেন যে আমার অন্য কোন কাজ আছে কিনা।
    বর্তমানে স্কুলগুলো সোস্যাল ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার হিসেবে কাজ করে।বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ছাত্র ছাত্রীদের হাতে আসে।গার্জেনদের সচেতন করা হয়।লালটুসী’র বর্তমান যে অবস্থা তাতে সে খুব দ্রুত স্কুল ছুট হয়ে যাবে।মেয়েদের সামনের সারিতে তুলে আনার জন্য যেসব সরকারী অনুদান মূলক প্রকল্প আছে,তা থেকে সে বঞ্চিত হবে।তার স্বাভাবিক ভাবে বড় হওয়ার পথটা রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।তার সমস্ত বন্ধুরা স্কুলে আসছে,পড়ছে,খেলছে আর বারো-তেরো বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে ঘরে বন্দী হয়ে আস্তে আস্তে আরো মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে,এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছেনা।
    আমি শিক্ষক হিসেবে ব্যর্থ কারণ লালটুসী’কে তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারছিনা।কিন্তু এই অবস্থায় একটি গ্রামে দাঁড়িয়ে ঠিক কি করা যায়,তাও বুঝতে পারছিনা।আজ খুব খারাপ লাগছে তাই কথাগুলো লিখলাম।কোন উপায় থাকলে জানাবেন।
  • Shah Sekendar Shaikh | 192.66.37.210 | ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ১৯:৩৫605129
  • আমি ওমরপুর এর ঘোড়শালাই থাকি । বানিপুর স্কুলের পাশে আমেদ সেখ এর দোকানে আড়ড়া দেই ।
  • আমেদ সেখ | 192.66.39.53 | ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ২০:০৬605130
  • আমি আমেদ সেখ । আমি একটা ছো ট্ট ব্যবসা করি । বানিপুর এ আমার দোকান আছে। আমার দোকান এ জেরক্স ও ছবি তোলা হয়।
    জেরক্স ও ছবি করার জন্য যোগাযোগ করুণ । SAIDPUR U.N. HIGH SCHOOL এর কাছে । যোগাযোগ নং- ৮৫১৩৯৭৮৪০৫ / 8967041782.
  • আমেদ সেখ | 192.66.39.53 | ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ২০:০৬605131
  • আমি আমেদ সেখ । আমি একটা ছো ট্ট ব্যবসা করি । বানিপুর এ আমার দোকান আছে। আমার দোকান এ জেরক্স ও ছবি তোলা হয়।
    জেরক্স ও ছবি করার জন্য যোগাযোগ করুণ । SAIDPUR U.N. HIGH SCHOOL এর কাছে । যোগাযোগ নং- ৮৫১৩৯৭৮৪০৫ / 8967041782.
  • r2h | 172.68.167.39 | ১৫ মার্চ ২০২০ ১৭:০৯730031
  • এটা তুলে রাখি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন