তোমার গরু-ছাগল মারলে খারাপ লাগে, কিন্তু গাছ কাটলে কেন লাগে না? মানুষের জন্য যদি হিউম্যান রাইটস থাকে, তবে বাকি প্রাণীরা কী করল? মানুষ আত্মহত্যা করলেও দোষী ঠাউরানো হয়, তবে পিঁপড়ে, মশা, আরশোলা খুন করার জন্য যে বিজ্ঞাপণ ... ...
আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। তিনি নমস্য, শ্রদ্ধা এবং সম্মানের দাবিদার। আর তাকে তা না দেওয়ার কোনো কারণ নেই। কেন না তিনি বাঙালী তথা ভারতীয়দের যা দিয়েছেন তার জন্য চিরকৃতজ্ঞ থাকা উচিত। সবচেয়ে বড় যা দিয়েছেন তা হলো আত্মনিরীক্ষণ ও আত্মসমালোচনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা তাকে এত বেশি শ্রেয় দিয়ে ফেলি, যে অন্যরা ব্রাত্য হয়ে যান। তিনিই একমাত্র চিরন্তন ... ...
সব যখন ছেড়ে গেল, শুধু আমি বসে রইলুম, আমার অবশিষ্ট শরীর আর মুক্তি উন্মুখ আত্মা নিয়ে, যে কটা কাক বসে ছিল, তারাও চলে গেল, আবার কালকে আসবে বলে গেল - যদি মরি! কিন্তু আমি আর একটু বাঁচতে চেষ্টা ... ...
এভাবে বহুদূর চলে যাওয়া যায়,সীমানাগুলো সব পেরিয়ে,দিগন্তের কাছাকাছি।কেন যাব জানি না,এতদূর যে এসেছি,এটাও তো হিসেব না করেই এসেছি,ভালো লেগেছে বলে,কিংবা আমার চারিদিক,(যেটা আছে আর কি!)ভালো লাগেনি বলে।এক কথায় পালিয়ে এসেছি আমি।তবে আমার খোঁজ পড়েনি এজন্য।পড়ে না।কারণ পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে ওরা জানে,আমি আবার ফিরে যাব।যদি এখন উধাও হয়ে যাওয়া যায়!খুব একটা খারাপ হবে না কিন্তু!কিন্তু আমার কোমরে অদৃশ্য শিকলে বাঁধা আছে -মায়া, মোহ, ভালোবাসা, দায়িত্ব, কর্তব্য.....এসব লোহা।চুম্বক আছে একখানা,আমার গন্ডির মধ্যে,বিভিন্ন জায়গায়,প্রয়োজনমতো চালু করে,তড়িৎচুম্বক তো!আমি ফিরতি পথ ধরি,কেউ সুইচ দিয়েছে চুম্বকে। ... ...
এই কদিন যখনই হাত চলে যায় পেছনদিকে,প্যান্টের ভেতর, আমি পরিষ্কার একটা বাড়তি প্রবর্ধকের অস্তিত্ব বুঝতে পারি। প্রথম যেদিন আবিষ্কার করি,বেশ চমকে উঠেছিলাম। অনুভূতির যে ধারা বয়ে গিয়েছিল,তাতে ভয়ের অনুপাত ছিল সবচেয়ে বেশি। তারপর থেকে ধীরে ধীরে ... ...
আমি আগে কোনোদিন পাকা রাস্তা দেখিনি, আজ যখন গ্রাম ছেড়ে এলাম, বর্ষার কাদায় আমার পা দুখানা হাঁটু পর্যন্ত বুট দিয়ে ঢাকা, রাস্তার ধারে লয়ানে পা ধুয়ে যখন রাস্তায় উঠলাম- মনে যে কি বিশাল স্বস্তি পেলাম সে বলে বোঝানোর নয়। আমি বুঝতে পারলাম আমি কত ... ...
আমার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি হয়ে যাওয়ার পরেও, যখন আমি ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম প্রকাশ্য রাজপথে, ওদের কয়েকজন আমায় চিনতে পেরেছিল, কিন্তু বিশ্বাস করতে পারেনি। কি করে এমন দুর্বল জাতির এত বড়ো বুকের পাটা হতে পারে! কিন্তু ওরা আমাদের ইতিহাস জানে না। ওরা তো ক্লাস ফাঁকি ... ...
সভ্য মানুষের সবচেয়ে বড় অহংকার আইন। তা নাকি সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। কিন্তু আইন হল মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় প্রসহন। যা প্রতিদিন অভিনীত হয়। পৃথিবীর প্রতিটা প্রান্তে, প্রতি মুহূর্তে। প্রতিটা মানুষ এর অভিনেতা-অভিনেত্রী। এখানে শুধু দুধরনের চরিত্র আছে। কিন্তু তারা কেউ নায়ক-নায়িকা বা খলনায়ক-খলনায়িকা নয় ... ...
হয়তো আর কয়েক দশক বাদে,চারিদিক ছেয়ে যাবে বিজ্ঞাপনে,এখনের থেকেও বেশি,অনেক অনেক বেশি,প্রতিটা ঘরের দেওয়াল, রাস্তার পিচ,কংক্রিট বা মাটি কেউ বাদ যাবে না,বইয়ের পাতায় ফাঁকা অংশ,টাঁকলার টাঁক, লোমহীন বুক হাত পা,জামার কাপড় বিজ্ঞাপনে ভর্তি হবে,সাদা জামার দাম হবে বেশি,আর বিক্রির জিনিস,সে তো ইজ্জত থেকে শুরু করে আলপিন-চিনির দানা,সওওব বিক্রি হবে,মানুষের বিবেক,দয়া, মায়া এসবের দাম সবচেয়ে কম হবে,মরার পরে লাশও বিক্রি করবে আত্মীয়,দুটো টাকা বেশি পেলে,না কেনা গ্যাজেটটা কিনে নেবে হয়তো,লাশ তো সেই পচেই যাবে! ... ...