গ্রীষ্মের এই অসহনীয় বেলায় নিচে তেজী বৌদি তাঁর এই সময়কার কাজটা করছেন আমাদের ব্লকের বাইরে এসে। তা করুন। এই সময় আমার মনে পড়ছে বৌদির চাঁদের মতো খোকার কথা। সে খোকা অবশ্য এখন এক পরিণত ও গম্ভীর যুবক। এই মুহূর্তে দেরাদূনে আছে। সে খোকাকে নিয়ে আমি চাঁদের খোকা বলে একটি ছড়া এবং অনেক ছড়াকবিতা লিখেছি।চাঁদের প্রসঙ্গে আমাদের প্রাক্তন অফিসের এক ভদ্রলোকের কথা ... ...
ধরা যাক, নাম তার বিন্দিয়া তবে সে মোটেই ভারতীয় নয়। খাস সাদা সাহেব আমেরিকান বাবা ও ব্রিটিশ মায়ের সন্তান। সে নেহাৎ বেবীও নয় এখন। তার বাবা-মায়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের এপ্রিলে তার জন্ম। তার সৎ দাদা, বাবার আগের পক্ষের বড় ছেলে তার থেকে পনেরো বছরের বড়। বাবা, মা ও সৎ দাদার সঙ্গে সে ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকার দক্ষিণ দিকের একটি রাজ্যে থাকে। তবে সম্ভবত এখন তার সৎ ... ...
বয়স বাড়ে। কমে না। এটা একটা বাস্তব। তবে বয়সের এই স্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। অনেকেই যতটা পারে নিজের বয়স ততটা কমায়। বয়সের বাড় চাপা দেওয়ার জন্য তাদের বাড়াবাড়ি কখনোই বাড়ন্ত হয় না। বয়স কমানো নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে বর্ণনা করব। হয়তো মজার কথা তবে এই সব মারাত্মক চিজের ওপর দয়াও হয়। একটি ছেলে আমার সমবয়সী, তার চারটে দিদি। এক সময় ছেলেটি ... ...
মাস্টারমশাইদের নিয়ে অনেকেরই অনেক স্মৃতি। আমারও বেশ কিছু স্মৃতি আছে। তার ওপর অনেককেই টিউশনি করতে দেখেছি। নিজেও করেছি তবে খুব বেশি নয়। সব মিলিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা এখানে লিখছি। আর হ্যাঁ, শব্দটার যথাযথ ইংরিজি উচ্চারণ টিউশন না বলে এই লেখায় আটপৌরে টিউশনিই বলব আমি। একটা সময় আমরা টবিন রোডের কাছাকাছি সরকারি কোয়ার্টারে থাকতাম। অনেক পরে বুঝেছি, আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ওই সাড়ে এগারো বছর। তখন অবশ্য এই বোধ আসেনি। যাক গে, প্রসঙ্গে ঢুকি। "কোয়ার্টার বাস" এর সময় ... ...
একেক দিন সে ডাক দেয়। "সে" বলছি, সর্বনাম ব্যবহার করছি বটে তবে তার নাম জানি না। কে সে জানি না, জানতে চাই। অনেক দূর থেকে সে আসে হয়তো অথবা কাছাকাছি কোথাও তার বসবাস। সে আসে, ডাক দেয়। সেই ডাক আমার কানে পৌঁছয়, সাড়াও দিই কিন্তু সাড়া পাই না। মাস তিনেক আগে শীতকাল। ভোর চারটে নাগাৎ সে ডাক দিল। আমাদের ব্লকে নিচের গেটে সবসময় তালা বলে কলিংবেলগুলো একদম বাইরের লোকেদের হাতের কাছাকাছি থাকে। চারতলায় ফ্ল্যাট আমাদের। কলিং বেল শুনে ঘুম ভেঙে গেল আমার। তারপরে চোখে অনেক ঘুম নিয়ে মোবাইলটা নিয়ে সময় দেখলাম। ভোর চারটে বাজে। ভাবলাম, এই সময় কে বেল ... ...
কয়েকটা ঘটনা বলি। প্রথমটা মজার হলেও সচরাচর এমন হয় না বলে লিখেই ফেললাম। বাকিগুলো অজানা একটা জগতের আভাস দেয় তা ঠিক। ব্যাখ্যা দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।ব্যাপার হল, এক সন্ধ্যায় শ্যামবাজারের চশমা গলির একটি চশমার দোকান থেকে আমাদের বাড়িতে চশমা ডেলিভারি দিতে একটা লোক এসেছিল। তখন সবে মোবাইলের চল হয়েছে। আমাদের পরিবারে কারোরই তখন মোবাইল ছিল না তবে ল্যান্ডফোন ছিল।লোকটা চশমা দেওয়ার পর টাকা নিয়ে বাবাকে বলল, একটা ফোন করা যাবে? বাবা বলল, করুন। তখন লোকটা ফোন করল এবং সেটা হল ভুল নম্বর। এবার লোকটা বাবাকে বলল, আরেকটি করি? বাবার অনুমতি পেয়ে লোকটা একজনকে ফোন করে ঠিক নম্বরটা নিয়ে নিল। ... ...
সারা দিন পরিশ্রমের শেষে সবারই রাত ভর্তি ঘুম দরকার হয়। তাছাড়া ক্লান্ত হলে মানুষ সকাল, বিকেল, দুপুর যে কোনো সময় ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ক্লান্তি হরণ করে, শক্তি যোগায়, স্বপ্ন দেখায়। আবার অসময়ে গভীর ঘুম অনেক সময় সমস্যাও ডেকে আনে। ধরুন বাড়িতে আপনি একা এবং ঘুমিয়ে পড়েছেন, গভীর নিদ্রায় ডুবে গেছেন, সেই সময় বাইরে থেকে কেউ এসে কলিং বেল টিপল। বেল টিপে সাড়া না পেয়ে ... ...
খাওয়াদাওয়া নিয়ে আরো কয়েকটা কথা বলব আজ। কিছু অন্যের মুখে শোনা, কিছু নিজের চোখে দেখা ও শোনা। খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে মানুষের আর্থিক সামর্থ্য জড়িয়ে থাকে। তার ওপর পরিবারের গিন্নি বাপের বাড়িতে যে ঘরানার রান্না শিখেছেন, তাঁর সংসারে সে ধরণের রান্নাই বেশি চলে। কে না জানে, বাঙাল ও ঘটি রান্নায় যথেষ্ট পার্থক্য তবে এটা খুবই হাল্কা করে বলা হল। তথাকথিত ঘটি রান্নারও ... ...
ভালোর বাসা এ দেশে, "ভালোবাসছি" মানে যেন তার ওপর চিরকালীন স্বত্ব জন্মে যায়। অথচ মানুষ জমি বা বাড়ী নয় যে তার ওপর চিরস্থায়ী স্বত্ব পাওয়া যাবে। এমন কী একতরফা ভালোবেসেও অনেকে চিরস্থায়ী স্বত্ব দাবি করেন। অবশ্য দু' তরফা ভালোবাসাতেও কেউ কারোর সম্পত্তি হয়ে যায় না। ভালোবাসা শব্দটির মানে হ'ল ভালোর মধ্যে বাস করা, মনের মানুষকে শাসন বা শোষণ করা তো নয়। কারোর ভালোর মধ্যে বাস করলে ... ...
কাজু কিশমিশ এবং হাহুতাশ শৌখিন খাওয়াদাওয়া ও স্বপ্নভঙ্গ নিয়ে এই সামান্য লেখা। তাও খুব বেশি ঘটনার কথা বলব না। আমার বোন মামনের বন্ধু, ধরা যাক তার নাম টুয়া। এই টুয়া বাবা মায়ের একটি মাত্র সন্তান। বেলঘড়িয়ায় তাদের বাড়ি। টুয়ার মায়ের লিভারে ক্যানসার হয়েছিল। সেই সময় মামন ও টুয়া দুজনেই এম এ পড়ছে। এক জন কলেজ স্ট্রিট, আরেক জন হাজরা ক্যাম্পাসে। টুয়ার বাবা স্ত্রীকে নিয়ে খুব বেশি দৌড়োদৌড়ি করতে পারতেন ... ...