এই লেখাটি কোনও ভাবেই আমার অতি প্রিয় এবং একটি অসামান্য কবিতাকে নষ্ট করার জন্য নয়। কারও তেমনটা মনে হতেই পারে। তাঁদের কাছে নতশিরে ক্ষমা চাই। আসলে আজকের চৈত্র সেলের বাজারের মধ্যে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় দেখছিলাম ক্রেতা এবং বিক্রেতার 'জীবনের আনন্দ'। এই লাইনগুলো মাথায় ঘুরছিল। ক্ষমা করবেন জীবনানন্দ দাশ। আপনার অতীব সুন্দর একটি কবিতাকে আশ্রয় করে এই অর্থহীন চ্যাংড়ামোর জন্য।
আবার আসিব ফিরে, চৈত্র সেলের ভীড়ে, গড়িয়াহাটায়
হয়তো ক্রেতা নয়, হয়তো বা দোকানের মালিকের বেশে
হয়তো পণ্যের ঝাঁক হয়ে এই চৈ ... ...
ইতিমধ্যেই অনেকেই বিষয়টা জেনে গিয়েছেন। অনেক চর্চাও চলছে। একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা তথা এ বারের লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবের একটি মন্তব্য রীতিমতো আলোড়ন তুলেছে সর্বত্র। কি সেই মন্তব্য? সাক্ষাৎকারের সেই অংশটি তুলে দেওয়া যাক। প্রশ্ন - তার মানে আপনি বিষয়টা(সংবাদমাধ্যমের নজর এখন আরও বেশি করে তাঁর উপরে) এনজয় করছেন? দেব- এনজয়....! ইটস জাস্ট লাইক বিয়িং রেপড ইয়ার! ইউ ক্যান সাউট অর ইউ ক্যান এনজয়(হাসি...)! ব্যস, এর বেশি আর কী! এমন মন্তব্য ঘৃণ্য নিঃসন্দেহে। এ নিয়ে কোনও ... ...
কলেজ লাইফ (এবং এখনও) অসম্ভব প্রিয় চন্দ্রবিন্দুর 'বন্ধু তোমায়' গানটা। কলেজ লাইফ আর নেই। বন্ধুরা প্রায় সকলেই এখন কর্পোরেট, এবং অখুশি, কিছুটা হতাশও বটে। আজকাল তাদের সঙ্গে দেখা হলে পুরনো প্রিয় গানটা নতুন করে শুনতে পাই। তাদের মতো করে। এবং তুমুল বিরক্ত হই মনে মনে তাদের ওই একঘেয়ে গল্প শুনে শুনে। কি সেই গল্প? প্রিয় গানটির প্যারোডি করে বলি-
বড় ভুড়ি, রঙিন জল,
এইটুকুই সম্বল।
আর আছে boss-এর গালি,
যে কোনও বেলায়।
বাজে বকা রাত্রি-দিন,
অফিস পলিটিক্স, ঘিনঘিন,
এলোমেলো ট্যাক ... ...
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ- এই লেখা কেবলমাত্র খিল্লিবাজ আঁতেলদের জন্য।
আপনার জন্য নয়, অন্য পাঠকদের জ্ঞাতার্থে প্রথমেই জানিয়ে রাখি ‘পান’ শব্দটি তিনটি অর্থে ব্যবহার করেছি। প্রথমত, জ্ঞান পিপাসু হয়ে তত্ত্ব পান করা, দ্বিতীয়ত, পাওয়া অর্থে পান এবং তৃতীয়ত, ইহা ইংরেজি PUN। এ বার মোদ্দা কথায় আসি। আমরা যারা পড়াশোনার গভীরে ঢুকি না, কিছু শুষ্ক তাত্ত্বিক শব্দ জানি এবং সুযোগ পেলেই সেই শব্দসমূহ প্রয়োগ করে আপ্লুত হই, তাদের কাছে এই তাত্ত্বিক শব্দগুলো বিভিন্ন রূপে ধরা দেয়। প্রতৃত অর্থ না বুঝলেও মাঝে মাঝে এমন ... ...
ঘটি-বাঙাল, মাচা-লোটা, চিঙড়ি-ইলিশ। আজকের বিশ্বায়িত ভুবন-ডাঙায় এই বাইনারি অপোজিসন ঠিক কতোটা প্রাসঙ্গিক তা জানা নেই। বাইনারি শব্দটি মনে এলেই কেমন যেন মনে হয় ‘নারী কর্তৃক’। মানে ‘BY নারী’। সে যাই হোক, না হেঁজিয়ে মূল কথায় আসি। ওই তিনটি বাইনারি অপোজিসন বছরের বাকি দিনগুলোতে কতোটা প্রাসঙ্গিক তা জানা নেই। তবে বছরের তিন চারটে দিন এবং তার আশেপাশের দিনগুলিতে ওই শব্দগুলোই হয়ে ওঠে বাঙালির প্রধান পরিচিতি। ঠিকই ধরেছেন। ফুটবল ডার্বি ম্যাচ কিংবা বড় ম্যাচের দিনগুলোর কথাই বলছি। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ মান ... ...