টিকটিকি দেখলো। মেয়েটা ল্যাপটপের সামনে।ওর দিকে তাকাচ্ছে না একবারও। অভিমান হল টিকটিকির।মানুষ বড় স্বার্থপর। ভেবে নিল। ডে ওয়ান। সকাল। উওলগ্যাংগ প্যাটেরসনের ছবি। আউটব্রেক। মেডিক্যাল থ্রিলার। জাস্টিন হফম্যান। মর্গান ফ্রিম্যান। রেঁনে রুশো। ইবোলার ধরনের ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকার কোনো অন্চলে আর তারপর ইউ এস এর একটি ছোটো শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেটা। উনিশশো পঁচানব্বুই। ... ...
ইটারসি থেকে দলটা একটু ছোট হয়েছে। ভাগ হয়েছে। প্রায় কুড়ি জনের একটা দল চলে গেছে দক্ষিণের দিকে। সুখনলালরা এখন আটজন। আটজন চলেছে নাগপুর স্টেশনের দিকে।দুই পায়ে দপদপে ব্যথা। দিনে নয়ঘন্টা হাঁটছে এখন ওরা। ভোর তিনটের সময় চলা শুরু। দিনে পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার হাঁটতেই হবে। বাড়ি যেতে হবে। বাড়ি। এক একেক দিন পেটে ব্যথা ওঠে। এত ব্যথা করে যে পেটে গামছা বেঁধে শুয়ে পড়ে। সুখনলালের একদিন খুব ব্যথা উঠেছিল। মনে হয়েছিল আর বাঁচবে না। ... ...
অনেকদিন বাদে আজ ছাতে উঠেছে ও। ছাতে এত সুন্দর বাগান করেছে মা! দেখে অবাক হয়ে গেছিল। আইআইটি জয়েন করেছে পরের থেকে খুব কম বাড়িতে আসে। এলেও ছাতে ওঠা হয়না। ওর গৃহবন্দিত্ব না। ঘরবন্দিত্ব চলছে। স্বেচ্ছানির্বাসন। সারা পৃথিবী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিতে হয় মাঝে মাঝে। একেবারে একটা দ্বীপের মধ্যে। খুব বেশিই ছুটছিল যেন! একটার পর একটা সেমেস্টার।টপ করে যাওয়া। না করতে পারলেই ফ্রাস্ট্রেশন। বাড়িতে এখন আর কিছু বলে না। কিন্তু ছোটবেলা থেকে ও একটা অদৃশ্য চাপ অনুভব করে। দাদা ফার্স্ট হয়েছে।তোমাকেও হতে হবে। দাদা এটা পারে। তোমাকেও পারতে হবে। ... ...
ত্বরিতগতিতে ছুটে যাচ্ছিল সারমেয়কুল। এদের একটা স্বভাব আছে। খাদ্যের সামান্য আভাস এবং আদরের সামান্যতম আভাস পেলেও এরা লেজ নাড়াতে নাড়াতে দৌড়ে আসে।যেন বহুদিনের পরিচয়। একেক জনের একেক রকম স্বভাব ।কেউ এসেই হামলে পড়ে খায়।কেউ কেউ এসে সলজ্জভাবে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে।পেটে খিদে।অথচ আসে না।দূরে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়াতে থাকে। ... ...
করোনাসময়ের প্রেক্ষিতে একটি উপন্যাস - - বিকেলে কখন সে ঘুমিয়ে পড়েছিল।যখন ঘুম ভাঙল তখন সন্ধে নেমে গেছে। একটা বিশ্রী গুমোট।পাশের ঘর থেকে টিভির শব্দ আসছিল।কোনো হিন্দি ছবি চলছে। সে কোনোমতে পা দিয়ে চটিজোড়া টেনে নিয়ে হাউসকোটের ফিতে আঁটল। ... ...
রাণী ছিল গাঁয়ের মেয়ে। ছোট্ট। লক্ষ্মী। শান্ত। যেমনটি মেয়েদের হতে হয় আর কি। মানে যেমন হলে লোকে লক্ষ্মী মেয়ে বলে। ধরা যাক তাকে নিয়ে একটা গান বাঁধা হল। ... ...
ঋতুবৃত্তান্ত এক কিস্তিতে শেষ হবার নয়। এতো বহুমাত্রিক তাঁর কাজ যে বারবার দেখি। ফিরে ফিরে দেখি। হয়তো একটু বেশিই সাজানো গোছানো। একটু বেশি মাত্রায় নান্দনিক। সাজের টেবিলে ঠিক যে ফুল থাকলে মানায় তাই থাকে। ঠিকঠাক থাকে পর্দার রং। দেওয়ালে রবীন্দ্রনাথের ছবি চোখ দিয়ে কথা বলে। অধিকাংশ চরিত্র কথা বলেন নিচু স্বরে। পরিশীলিত। মৃদু।সোফিস্টিকেশনের চূড়ান্ত। খাবার টেবিলের আলো থেকে শুরু করে ল্যাম্প শেড, পোশাক ,গয়না, কোথাও এতটুকু খুঁত নেই। ঋতুপর্ণর ছবিতে অন্দরসজ্জা। এই নিয়ে একটা প্রবন্ধ হয়। লেখার সুপ্ত ইচ্ছেও আছে। কারণ ওঁর ছবিত ... ...
আপনাকে কিছু কথা বলার আছে। এটা সেই সময় যখন "গণশত্রু" পাঁচবার দেখা হয়ে গেছে। কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে দেখে। হাঁসফাঁস লাগছে। সত্যজিত তখন স্বাস্থ্যজনিত কারনে আউটডোর শুটিং বন্ধ করে দিয়েছেন। বাড়িতে অতিথি আসামাত্র ডাক্তার গৃহিণী বলছেন,"আপনি চা খাবেন তো?" অতিথি তখনও দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। খবরের কাগজের সম্পাদককে আনন্দিত চিত্তে বলছেন, "আমার মেয়ে একটা স্কুলে চাকরি করে।রমেশের সঙ্গে বিয়েটা হয়ে গেলে অবশ্য চাকরিটা ছেড়ে দেবে।" এতে কারুর কোনো ভাবান্তর দেখা যাচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস ... ...