“আপনার নির্বাচনী কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী যার জয়ের সম্ভাবনা বেশি তাকে ভোট দিন”—এই স্লোগানের কার্যকারিতা নিয়েও আমাদের সন্দেহ আছে, সাধারণ মানুষ সেফোলজিস্ট নন জ্যোতিষও নন। তাহলে তাঁরা কীভাবে জানবেন কে জিতবে? গত লোক সভা নির্বাচনে ভাবা গিয়েছিল কংগ্রেস ফিরছে, কিন্তু বিজেপি আরও শক্তি নিয়েই ফিরেছে। ... ...
No Vote to BJP - এই স্লোগানের মধ্যে চমক আছে। ভাবনার গভীরতা নেই। বাস্তববুদ্ধি নেই। No Vote to BJP'র উদ্যোক্তারা আবেগের স্রোতে ভেসে গিয়েছেন। কোনও কিছুই তলিয়ে ভাবেন নি। তাই "বিজেপিকে ভোট নয়"- এই স্লোগান বিজেপি বিরোধী শিবিরে একরাশ বিভ্রান্তির জন্ম দিয়েছে। ... ...
ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাস্ত করতে গণআন্দোলনই একমাত্র পথ—একথা ঠিক। কিন্তু ৯৫ বছর ধরে চাষ করে যে ফসল আজ তারা তুলছে এবং যখন দেশের সংসদীয় বামপন্থী দলগুলোর এরকম দুর্বল অবস্থা, তখন কিছু প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ ও প্রতিবাদী মানুষ একজোট হয়ে মাত্র তিনমাসের প্রচার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আরএসএস–বিজেপির অগ্রগতির রথ আটকে দেবেন, এমন চিন্তা অবাস্তব বলেই মনে হয়। নির্বাচন যেখানে দরজায় কড়া নাড়ছে, সেখানে আশু কর্তব্য হওয়া উচিত সেই পথের খোঁজ করা কীভাবে আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করা যায়। ... ...
সমস্যা সম্ভবত সিপিএমের দৃষ্টিভঙ্গিতেই লুকিয়ে আছে। কদিন আগে একটা মিম, সিপিএমের লোকজন হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে ছড়িয়েছে, কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে কোনও এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, কেরালার কোনও এক জায়গায় বিজেপি মিউনিসিপালিটির এক আধটা আসন জিতেছে, কী ভাবছেন বিজয়ন? তিনি নাকি বলেছেন, ঐ এলাকার মানুষের শিক্ষাগত মান বাড়ানোর ব্যাপারটা আমরা চিন্তা করছি। বিজেপির মত এক ফ্যাসিস্ত দল, কেরালায় সামান্য হলেও সংগঠন বাড়াচ্ছে কারণ মানুষ অশিক্ষিত, মানুষের বোধ বুদ্ধি নেই, মানুষ ভুল করছেন। এই ঔদ্ধত্য কোথা থেকে আসে? ... ...