এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গল্প হোল কি?

    kanti
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯২০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kanti | 125.20.14.89 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৪432617
  • একটি গল্প গুরুর আম দরবারে পেশ কোরতে চাই।অনুরোধ, আপনারা পোড়ে খোলা মনে মতামত দিন বা আলোচনা কোরুন। উপকৃত হব।
    গল্পের বিষয়টি স্পস্ট হোয়েছে কি?
  • kanti | 125.20.14.88 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৬432625
  • দেবতা বিষয়ক

    জটাজুট বিস্তার করা তিনটে বটগাছের একটা জটলা । মূল গাছটির মগডালে একটা লম্বা বাঁশের ধ্বজা উঁচু করে বাঁধা। তার চূড়ায় একটা রঙীন পতাকা উড়ছে। পাশে একটা ত্রিশুল বাঁধা। রোদে-জলে সেটা বেশ জোলুষ হারিয়ে ফেলেছে। পতাকাটা সম্ভবত কয়েকবার বদল হয়েছে। তাই বেশ জেল্লা আছে। দূর থেকে নজর কাড়ে। একপাশে মজা ঝিলটা এক বুক শুখা নিয়ে পড়ে রয়েছে। তার মাঝে মাঝে সবুজ আগাছার ছোপ। অন্য পাশে ন হর্ম-প্রকল্পের মহা কর্ম-কান্ড চলেছে।

    প্রিয়তোষ বাবু কিছু দূরে বাঁধানো সড়কের উপর দাঁড়িয়ে সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন। এদিকে প্রায়ই সদলে প্রাত:ভ্রমনে আসেন। তবে দলবল নিয়ে ওমুখো পা বাড়াতে ইচ্ছে করেনা। আজ একাই বেরিয়েছেন। তাই ওদিকে যাবার একটা তাগিদ ভিতর থেকে অনুভব করছিলেন। পুরোন স্মৃতির এলবামে প্রায় চার দশক আগের ছবিটা আজও বেশ স্পষ্ট।
    .........তখন তাজা যৌবন। সদ্য কারখানায় শিক্ষানবীশ হয়ে যোগ দিয়েছেন। .........চার দিকে বিশাল জঙ্গল। শাল,সেগুন, বেল,বয়ড়া আর পলাশ। মাঝখানে কারখানা আর পাশে তার উপনগরী। নতুন পাওয়া বন্ধুদের সংগে প্রায়ই এডভেঞ্চারের নেশায় ঐ জঙ্গলে ঢুকে পড়তেন যখন তখন। জনশ্রুতি কানে এসেছিল , ঐ জঙ্গলের ভিতর ডাকাত কালীর মন্দির আছে। জি টি রোডকে পিছনে ফেলে , একদিন ঝোপ-ঝাড় ঠেলে ,সুড়ি পথ ধরে বেশ কিছুটা ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন। অবশেষে জটাজুট ধারী বটগাছের এক জটলার ভিতর সেই কালী মন্দিরের খোঁজ মিললো। ভর দুপুরেও বড়বড় গাছের ডালপালার নীচে জায়গাটায় আধোঅন্ধকার। খুব ভালো কোরে নজর করলে বটগাছের থাবার আড়ালে ,প্রায় অদৃশ্য , শেওলা ধরা মন্দিরটা চোখে পড়ে। তবে ভিতরে, আরো অন্ধকারে কোন দেবী মূর্তি নজরে আসেনা। গা ছম ছম করছিল। সামনে একটা হাঁড়ি-কাঠ। তাতে একটা জবা ফুলের মালা চড়ানো। পাশেই একটা নিভন্ত ধূনী। কয়েকটা কল্কে বা ছিলিম মাটিতে ছড়ানো। সম্ভবত: গাঁজার। আশেপাশে কোন জনপ্রানী নেই। ধূনী থেকে কিন্তু তখনো ধোঁয়া উঠছে।

    আজ সে বিশাল জঙ্গল অদৃশ্য। এ পাশে মজা ঝিল আর ওপাশে ন বসত গড়ার এলাহী কর্মকান্ড। বড়বড় জ্যামিতিক রেখার মত তৈরী আর আধা-তৈরী রাস্তাগুলো চারদিকে ছড়িয়ে গিয়েছে। এর মাঝখানে যেন একটা সবুজের ছোপ। কৌতূহলী মন নিয়ে , পায়ে পায়ে সে দিকে এগিয়ে চল্লেন প্রিয়তোষ বাবু। প্রথমেই নজরে পড়লো, বাঁশের বেড়া দিয়ে গাছ-গাছালি ভরা চত্বরটাকে ঘেরা হয়েছে। এক পাশে একটা গেট। তাতে একটা নোটিশ লটকানো,- জুতা খুলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিবেন। ......আদেশ পালন করলেন প্রিয়তোষ বাবু। মূল বটগাছ তিনটে প্রায় সেই রকমই আছে। আশেপাশের অঞ্চলে এখনও বেশ কিছু বেল, বয়ড়া,শাল আর অর্জুন গাছ। ফাঁকে ফাঁকে নতুন লাগাণো কয়েকটি আম কাঁঠালের গাছও বেড়ে উঠেছে। গাছের তলাগুলো বেশ পরিষ্কার। একেবারে সামনে , বাঁদিকে নতুন তৈরী একটা শিবালয়।অছাদ আছে কিন্তু এখনও চূড়া নেই। ডান দিকে একটা বাঁধানো কূয়ো। তাতে কপিকল লাগানো। তার পিছনে একটা বাঁধানো চাতাল। উপরে এই সাত-সকালেই , খালি গায়ে এক দাড়িওয়ালা গেরুয়াধারী সামনে পুঁথি ধরে , বিশুদ্ধ বাংলায় কথকতা করছেন। ঈশ্বর বিষয়ক। বেশ উঁচু স্বরে...........তোমার কাছে খাঁটি সোনার মোহর আছে, এ বিশ্বাসে যদি স্থির থাকো তবে আন্যরা তাকে গিলটি করা নকল সোনা বললে তুমি কি তা ফেলে দেবে? তাই বিশ্বাসে স্থির থাকো। ...কথক একটু থামলেন। তার পর আবার শুরু করলেন। .........ভক্তি ভরে তাঁর কাছে নত হও। তোমার দেহ-মন্দিরেই তাঁর লীলা-খেলা শুরু হবে। তিনি নিজেই তাঁর প্রকাশ ঘটাবেন। ............কথকের প্রকাশ ভংগী এবং উচ্চারণ বেশ ভালো। কিন্তু কেউ শুনছে বলে মনে হয়না।

    বটগাছের কোল ঘেঁসে ইঁটের দেওয়াল এবং টালির চালা দেওয়া একটি বড়সড় ঘর উঠেছে। সামনে বেশ উঁচু , মস্ত দাওয়া। চালা ধরে রাখা চৌকো স্তম্ভের গায়ে রং দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এবং মংগল ঘটের ছবি আঁকা। ঘরের বাইরের দেওয়ালে বেশ বড় বড় করে এই মন্দিরের বিবরণী লেখা যার সংগে ভবানী পাঠক আর দেবী চৌধুরানীর নাম জড়িয়ে আছে। ঘরের ভিতরে কিন্তু ইলেক্ট্রিকের বাতি জ্বলছে , এই সাত সকাল বেলাতেও। তাই প্রমান সাইজের, নতুন স্থাপিত কালী মূর্তিটি বেশ ঝল মল করছেন। প্রিয়তোষের মনে পড়ল , সন্ধেবেলায় , অনেক দিনই এখান থেকে ভেসে আসা , মাইকে বাজানো শ্যামা সংগীত তাঁর কানে এসেছে। ব্যবস্থা বেশ ভালৈ তাহলে। কিন্তু সেই প্রাচীন , জংগলী-ডাকাত কালী কি তবে উধাও হয়ে গিয়েছেন? পায়ে পায়ে, প্রিয়তোষ সেই বটের গুঁড়িকে প্রদক্ষিণ করে পিছনে পৌঁছে গেলেন। না, তিনি আছেন। তবে প্রায় উহ্য হোয়ে। জরাজীর্ণ সেই মন্দিরের প্রাচীন ,ইঁটের দেওয়াল বটের ঝুরির থাবার ভিতরে এখনো বিরাজমান। এখান থেকে বেশ ভালৈ বোঝা যায়। পাশে কপাটহীন একটি দরজা। ভিতরে অন্ধকার। প্রিয়তোষ আবার ঘুরে সামনে এসে দাওয়ার মুখোমুখী, চূপ কোরে দাঁড়ালেন।
    এই সকাল বেলাতেই দাওয়ার উপর, বাঁদিকে, খালি গায়ে , পেন্টুল পরা দুটি বালক বসেছিল। ডানদিকে , ধুতি শার্ট পরা একজন মধ্যবয়সী। কাঁচা-পাকা দাড়িতে ছোপ ছোপ ,অযত্নের মেহেন্দী। ছোখ দুটি কোল-বসা , কিন্তু তীক্‌ষ্‌ঞ-নজরদারী। হাতে ধরা ইদানীং বাজারে খুব চালু একটা খবরের কাগজ। অনেকেই দাওয়ার সামনে এসে করজোড়ে প্রণাম নিবেদন কোরে চলে যাচ্ছিল। কেউ কেউ নতজানু হয়ে বসেও পড়ছিল। প্রিয়তোষকে ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে দাড়িওয়ালা প্রশ্ন ছুড়ে দিল।
    -------কোথায় থাকা হয়?
    ------এই কাছে পিঠেই।
    ------কেমন দেখছেন?
    ------ভালৈতো। আপনি কি এখানকার পূজারী?
    ------না, তবে, এই আসি যাই। ----ঐ ওদের দাদু এখানকার পূজারী ছিল। লাথ মেরে বার কোরে দিয়েছে। দুবেলা পূজো দেবার ব্যবস্থা অবশ্য আছে। মিউনিসিপ্যালিটি থেকেই ব্যবস্থা হয়েছে।
    প্রিয়তোষের মনে পড়লো , শুনেছেন যে মিউনিসিপ্যালিটি এই প্রাচীন মন্দিরের দায়-দায়িত্ব হাতে নিয়েছে। -----হাতের কাগজে এবার মন দিয়েছিল লোকটি। প্রিয়তোষ বুঝে উঠতে পারলেন না, এখানে এই লোকটির ভূমিকা কি। তাই তাঁর চোখে জিঞ্জাসা জেগেই রইল। একটু পরে লোকটি আবার মুখ তুলে তাকালো।
    --------বুঝলেন না? গোলমাল আছে। পার্টির ব্যাপার। ---অনেক কিছুইতো হবার কথা ছিল। হোচ্ছিলও। কিন্তু আঁটকে গেল। ----এখন ফিফটি ফিফটি। -----চান্স ফিফটি ফিফটি। ---মুখে এক বিচিত্র হাসি নিয়ে , হাতের মুদ্রায় সে বাকীটা বিশদ করার চেষ্টা করলো।
    --------তা আপনি?
    --------আমি? ------লোকটি আবার হাসলো। -----দেখি, যদি কিছু হয়ে যায়। নেতাদের খোঁজে আছি।---চোখের কোনে একটি ইংগিত কোরে সে আবার হেসে উঠলো।

    প্রিয়তোষ নিশ:ব্দে বেরিয়ে আসছিলেন। হঠাত নজরে পড়ল, ইতস্তত: কয়েকটি গাছের তলায় কি যেন সব রয়েছে। একটি বেল গাছের দিকে এগিয়ে গেলেন। তলায় একটি সাময়ীক , কাঁচা মাটির বেদী। তার উপর কয়েকটি বাঁকুড়ার ঘোড়া ও পুতুল। পাশে একটি ত্রিশুল পোঁতা। অন্য দিকে , আর একটি গাছের তলায় নানা মাপের কয়েকটি নুড়ি। গায়ে সিঁন্দুর মাখানো। আরো ছিল। প্রিয়তোষ দেখার আগ্রহ বোধ করলেন না। বুঝলেন , পিছনে প্রাচীনা কালী এখন শুধু চালচিত্র। ইতস্তত: অলক্ষ্যে অপেক্ষমান নানা উপ বা অপ দেবতারা।

    ------- চোখের সামনেটা হঠাত কেমন যেন কুয়াশাময় হোয়ে উঠতে লাগলো । -----

    ------ঘোলাটে, ছেঁড়া ছেঁড়া অন্ধকার। চার দিকে বড় বড় গাছ, ভৌতিক চেহারায়, আকাশের দিকে খাড়া উঠে গিয়ে ডালপালা মেলেছে। নীচে এদিক ওদিক ছড়ানো ঝোপঝাড়। সেই অস্বচ্ছ অন্ধকারে, গাছের গুঁড়িগুলোর আড়ালে কিছু প্রাণী উঁকি ঝুঁকি মারছিলো। ঝোপের পিছনেও ছিল কেউ কেউ । প্রাণীগুলো কোন জাতীয় সঠিক বোঝা যায় না। কিন্তু সকলেই মুখোশধারী। নানা বিচিত্র গড়নের সব মুখোশ। মুখোশের আড়াল থেকে চক চক কোরছিল শুধু জোড়া জোড়া সন্ধানী চোখ। প্রাণীগুলো ডান থেকে বাঁয়ে, কখন বা বাঁ থেকে ডানে অথবা পিছন থেকে সামনে দ্রুত জায়গা বদল করছিল, হঠাত হঠাত। বেশ উত্তেজিত ভাব। কোন কিছু যেন ঘটতে চলেছে। সকলেই অস্থির ভাবে অপেক্ষমান।

    মাথা নীচু করে ভাবতে ভাবতে কিছুটা পথ পেরিয়ে এসেছিলেন প্রিয়তোষ। হঠাত পিছন ফিরে ঘুরে দাঁড়ালেন। অদূরেই সেই সবুজ ঝোঁপের উপর , ধ্বজার চূড়ায় পতাকা উড়ছে। মাঝে মাঝে জড়িয়েও যাচ্ছে ধ্বজার গায়। পাক খুলে আবার উড্ডীন হচ্ছে। পিছনে , ধীরে ধীরে উপরে উঠতে থাকা হর্ম-প্রকল্পের জলাধারের বিশাল কংকাল। তারও পিছনে , নির্মেঘ আকাশের গায়ে, দিগন্ত ছেড়ে সদ্য উঠে আসা , রক্তিম ভাঁটার মত প্রভাত-সূর্য। তার ঈষত লালচে , তরতাজা কিরণে পতাকাটা জেল্লা দিচ্ছিল। কিন্তু ওর সঠিক রংটা কী? সকাল বেলার তাজা রোদ্দুরে কখনো মনে হচ্ছিল গৈরিক, কখনো বা লাল।

    **************

    কয়েক বছর পরে। প্রিয়তোষ বাহাত্তরের সাঁকোটা সদ্য পেরিয়ে এসেছেন। বাইরের দুনিয়ায় ও অনেক বদল ঘটেছে। আবার একা একা, সকাল বেলায়, প্রাচীন চোখ-জোড়া নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছেন সেই পথের ধারে। চোখ তুলে তাকালেন সামনের দিকে।অওপাশের সেই হর্ম-উপনিবেশ বেশ রম রম করে বেড়ে উঠেছে আকাশ-মুখী হয়ে। আর সেই জংগলে কালী? ----
    ঠাহর কোরে তাকালেন আবার। সেই প্রাচীন ত্রয়ী বট-বৃক্ষ আজও ডালপালা মেলে দাঁড়িয়ে। তার ঠিক পাশেই সগর্বে দাঁড়িয়ে এক মর্মরে গড়া বিশাল মন্দির। হ্যাঁ, কালী মন্দির। শোনা যায়, শহর কলকাতার জনৈকা ভক্তিময়ী প্রাচীনার অনুদানে নির্মিত। চারপাশটিও যথাযথ প্রসাধিত। বটের চূড়ার দিকে এবার চোখ তুল্লেন প্রিয়তোষ। অনেকক্ষন ঠাহর করার পর নজরে এলো বিবর্ন হোয়ে যাওয়া ধ্বজাটা আজও আছে। তার গায়ে জড়িয়ে , ভোরের বাতাসে অল্প অল্প কম্পমান , ছিন্ন, বিবর্ন, অর্ধনমিত সেই পতাকা। দূরে দিগন্ত-রেখায় দাঁড়িয়ে রক্তিম ভাঁটার মত কুয়াশ-মুক্ত প্রভাত সূর্য। মন্দিরে তখন সাড়ম্বরে ধ্বনিত হচ্ছে মন্ত্র ও ঘন্টা। ----ধীর পায়ে ফিরে চল্লেন প্রিয়তোষ পিছনের চেনা পথ ধরে ।

    **********
    *****
  • M | 59.93.207.249 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৭432626
  • গপ্পটা খুব চেনা লাগলো তো, একটু ঘেঁটে গেলুম, আবার পড়ে দেখবানে।
  • kanti | 125.20.14.59 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৫৭432627
  • দম আঁটকে গিয়েছিল। শ্বাস পড়ল। তবু কেউ একজন পড়েছেন। না, লেখকের জ্ঞানত: এ লেখা আগে কোথাও প্রকাশিত নয়। কেন ঘেঁটে গেল যদি জানান।
  • M | 59.93.176.246 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:৩৬432628
  • আসলে এখানে সেখানে বেশ কিছু গপ্প পড়েছি যেখানে কিছু লোক সুন্দরবন বা লালমাটির দেশে এরকম কিছু কাজ করছেন বাচ্চাদের নিয়ে, আরেট্টু ভালো করে পড়ে বলছি, খুব তাড়াহুড়োয় পড়েছিলাম।
  • Manish | 117.241.228.173 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:০২432629
  • কান্তিভাই, চাপ নিয়োনা, টইয়ে লেখা অনেকে পড়ে কিন্তু আলুচানা থেকে বিরত থাকে।
  • kanti | 125.20.14.63 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:২৩432630
  • আশা কোরি আপনি তাদের দলে নন। সুতরাং লেখাটি পড়ে কিছু লিখবেন।
  • M | 59.93.203.197 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৩৮432631
  • আরে ভুল বুঝবেন না, আমি কপি করা বলতে চাই নি, এইরে,আর সব গল্প ই তো সে অর্থে কপি, রোজ তো আর নতুন কান্ড ঘটতে পারে না।

    স্যরি, রেফারেন্স মনে থাকলেই এরম বলবো।
    একটু ও আঘাত করতে চাইনি।

    আবারো স্যরি।
  • M | 59.93.203.197 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৫২432632
  • ও হ্যাঁ, ভালো করে পড়লাম, আমার প্রথম বার ঠিক করে পুরো পড়া হয়নি আর তাতেই বলে ফেলা খুব অন্যায় হয়েছে, আসলে দুটো লেখা মনে পড়ছিলো, একটা লালমাটির দেশে আদিবাসীদের স্কুল সংক্রান্ত আর একটা সুন্দরবনে এক ডাক্তারের সেবা মুলক কাজ নিয়ে।

    ভালো করে পড়ে দেখলাম না, এটা অন্যরকম।

    আপনি কি পুজার চেয়ে উপলক্ষ্য বেশী বা বিভিন্ন মানুষের পুজার ধরন ও কারন নিয়ে লিখলেন?আসলে আমি বুঝি কম। যা বুঝলাম,ডাকাতে কালি যখন ছিলো তখন পরিত্যক্ত, মানে এটা অনেক সময় ইচ্ছে করে ও করা হয়।কারন ঠিক কাজ সেখানে হয় না বা মানুষের আনাগোনা চাওয়া হয় না।

    তারপর ঘেঁটে গেলো, পাপী মনে কেমন রাজনৈতিক গন্ধ পেলো.......

    সত্যি জানতে চাইলাম।
  • kanti | 125.20.14.90 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২২432618
  • আবার পড়ার জন্য বড় মকে ধন্যবাদ। আমি যা বলতে চেয়েছি হয়ে্‌তা স্পষ্ট হয়নি। তবু যা বলতে চেয়েছি একটু বলি। ডাকাত কালী যখন জংগলের ভিতরে একটা জনশ্রুতির আড়ালে অধরা হয়েছিল তখন সে জনতার কাছে মূল্য হীন। আগ্রাসী জনারন্যের ঢেউ লেগে যখন সে প্রকাশিত হোল নানা স্বার্থ তাকে ঘিরে পাক খেতে শুরু কোরল। সেখানে একই সংগে ধর্ম ব্যবসায়ী এবং রাজনীতি ব্যবসায়ীরা দখল নেবার চেষ্টা চালালো। পতাকার রংএ তার একটা ইংগিত আছে। ---গল্প যে লেখে তার ব্যাখ্যা দিতে যাওয়াটা নেহাতই বাতুলতা। তাই বেশি কথা বাড়ালাম না।শুধু বলি, যদি কেউ পড়েন তবে শেষ প্যারাগ্রাফটা একটু ধীরে পড়বেন। তবে আমি যা বলতে চেয়েছি হয়তো কিছুই স্পষ্ট হয়নি। সেটা অবশ্যই আমার ব্যর্থতা।
  • kanti | 125.20.14.14 | ০১ মার্চ ২০১০ ১৪:২৬432619
  • এই টইটা বড় অবহেলায় গড়াগড়ি যাচ্ছিল। প্রাণে সইলো না।আবার তুলে আনলাম।আবার ধাক্কাদিয়ে নীচে নামাও।
    টই পড়তো। পড়লে না-টই মান যাবেকি ?
    পড় । গাল দাও । চুপ কেন, সব । সব্বাইকে হোলির শুভেচ্ছা জানাই ।
    কান্তি
  • Nina | 66.240.33.46 | ০১ মার্চ ২০১০ ২৩:৪০432620
  • পড়লুম তো ! খারাপ, ভাল কোনওটাই লাগলনা :(( অস্পষ্ট যেন।

  • Tim | 198.82.21.127 | ০২ মার্চ ২০১০ ০১:২৪432621
  • ভালো লাগলো। ছোত ছোট বাক্যে ইমেজারি তৈরী, একটু নৈর্ব্যক্তিক লেখার স্টাইল এইসব মিলিয়ে গল্পটা বেশ সুখপাঠ্য হয়েছে। লিখতে থাকুন।
  • Du | 65.124.26.7 | ০২ মার্চ ২০১০ ০১:৪২432622
  • লেখার স্টাইলটা ভালো লেগেছে। কি হল সেটা খানিক আবছা, তাতে অবশ্য লেখাটা মাথার মধ্যে রয়ে গেছে।
  • Manish | 117.241.228.184 | ০৬ মার্চ ২০১০ ১০:১৯432623
  • কান্তিভাই নতুন কিছু আবার লেখো এই টইতেই।
  • kanti | 125.20.14.73 | ০৬ মার্চ ২০১০ ১৫:২৮432624
  • লেখাটা পড়ে আরও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি যা বলতে চেয়েছি নিশ্চয় পষ্ট হয়নি। সেটা আমার ত্রুটি। তবে যা বলতে চেয়েছিলাম সেটাই বলি।
    ঈশ্বর বিষয়ক যে আদিম অসহায়তা-বোধ সাবেকী মানুষের মনে তলে তলে কাজ করে চলে তাকে নানা স্থানে/কালে একই সংগে ধর্ম-ব্যবসায়ী এবং রাজনীতি-ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে লাগাবার লড়াই শুরু করে। সেটা জংগলে-কালী বা মোড়ের মাথায় গজিয়ে ওঠা শীতলা/শিবকে কেন্দ্র করেই জমে ওঠে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত শেষ লড়াইয়ে ধর্মের ধ্বজাধারীদের শেষ জয়টাই ঘটে যাচ্ছে। এই জায়গাটাই ভাবিয়ে তলে।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন