এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শীতের গপ্প---পৌষের সেই অন্যরকম দিন গুলো

    shrabani
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৯৬৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • M | 59.93.209.176 | ২৫ এপ্রিল ২০১১ ২২:৪৭432511
  • তাই বলি একই রকম গন্ধ কেন?............:P
  • til | 114.198.46.214 | ২৬ এপ্রিল ২০১১ ১০:৫০432512
  • রহস্যসন্ধানী বড়ম,
    আমারও তাই কেমন যেন মনে হতো। মেলায় আমুও গিছি কিন্তু তিতিরের লেখায় সেডা ক্যামন পদ্যর মতন লাগে! আর চিনা চিনা লাগে।
  • Nina | 68.84.239.41 | ২৭ এপ্রিল ২০১১ ০৫:৪৮432513
  • হা হা কিন্তু সবার আগে চিনেছি আমি!! জিগাও তিতিরে :-))
  • | 137.157.8.253 | ২২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:৩২432514
  • শীত আসছে-
  • | 75.76.118.96 | ২২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:৪৬432515
  • Bratin | 122.248.183.1 | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১৪:৪৪432516
  • আহা কি সুন্দর ই ছিল সেই দিন গুলো। আর বেলা থেকে ঘুম থেকে ওঠা ( বরাবরই আমি আর্লি রাইজার!!) ।তারপরে রাতের বেঁচে যাওয়া সরু চাকলি, কুলি পিঠে বা দুধ কুলি সাঁটানো।

    বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। সকাল সন্ধ্যে পড়তে বসার জন্যে মায়ের তাড়া নেই। বাড়ীর পাশের মাঠে সকাল বিকেল ক্রিকেট খেলা। মাঝে মাঝে বেপাড়ায় গিয়ে ম্যাচ। তবে আমার এই ক্রিকেট খেলাটা ছিল মায়ের দু চক্ষের বিষ। রেগে গিয়ে বলতো 'ক্রি-রি কেট' খেলা হচ্ছে।

    দুপুর টা বেশ মধুর। ভাত খেয়ে রোদে দেওয়া লেপের ওপর হালকা করে গড়িয়ে নেওয়া। বেষ একট ঝিম ঝিম ভাব। মাঝে মাঝে টুক টাক কমলা লেবু আর আখ। এই সময় আরেক টা ফেভ কাজ হল রেডিও তে বিভিন্ন যাত্রা পালার প্রোমো শোনা আর বিখ্যাত দাবা প্লেয়ার দের খেলা গুলো চেলে দেখা।

    মাঝে মাঝে ন কাকা কে পটিয়ে চিড়িয়া খানা বা সার্কাস। আর পাঁচ টা দিনের থেকে একটু আলাদা। পৌষ র মার করা পুলি পিঠে আর গাজরের হালুয়া শীত কে ভালো লাগার আরো দুটো কারন।
  • jhumjhumi | 117.194.239.144 | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১৬:১১432517
  • শ্রাবণী আর তিতিরের লেখা পড়ে আমিও আমার ছোটোবেলায় ফিরে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িতে ধান সেদ্ধও করা হত। উঠোন গোবর দিয়ে ভালো করে নিকিয়ে খামার বাঁধা হোত।সেখানে ধান ঝাড়া,পতিল মাড়া হোত।খামারের একধারে বড় বড় উনুন তৈরি করা হোত।আমদের বাড়িতে একটা বিশাল চৌবাচ্চা ছিল যেটাতে ধান ভেজানো থাকতো। ভোর রাতে ধান সেদ্ধ করা শুরু হোত।আমরা যখন ঘুম থেকে উঠতাম তখন উনুন নিভে যেতো প্রায়, শুধু হালকা একটা আঁচ বা তাপ পাওয়া যেতো। আমরা তার চারপাশে গোল করে দাঁড়িয়ে আগুন পোহাতাম। আমাদের দিকে শীতের আরেকটা পরব ছিল টুসু পূজা। সারা পৌষমাস জুড়ে প্রতিদিন সন্ধে বেলায় টুসুপূজার আসর বসতো।সাধারনত: কুমারী মেয়েরাই এই পূজা করতো।কোনো একজনের বাড়িতে টুসু পাতা হয়,চৌডল হল টুসুর প্রতীক।চৌডল তৈরি হয় চারটে পাট কাঠি,রঙ্গিন কাগজ ও কাগজের ফুল দিয়ে। এটা অনেকটা মন্দিরের মতো দেখতে হয়। এই চৌডলের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে একটা থালায় অথবা প্লেটে নকুলদানা থেকে মিষ্টি,যার যেমন সামর্থ্য,ভোগ দেওয়া হত। এরপর শুরু হয় গান। হরেক রকমের গান ছিলো,যেমন - ""আমার টুসু জলকে যাবেক সোনার কলসী কাঁখে গো'' ,""উঠ উঠ টুসুমণি,আর ঘুমায়ে থেকো না'', বা কারোর সঙ্গে ঝগড়া থাকলে তার টুসু কে নিয়ে গাওয়া হোতো,""আমার টুসু মুড়ি ভাজে চুড়ি ঝলমল করে গো,উয়ার টুসু হ্যাংলা বুড়ি চেয়ে বসে থাকে লো''ইত্যাদি। টুসুর চৌডল মকর সংক্রান্তির দিন নদীতে,নদী না থাকলে পুকুরে ভাসানো হয়।
  • jhumjhumi | 117.194.239.144 | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১৭:০৫432518
  • আমরা যেখানে থাকতাম সেখানে নদী ছিলো। দামোদরেরই কোনো এক শাখা বা উপনদী,যাকে দামোদরই বলা হত। আমরা থাকতাম ব্লক কোয়ার্টারে। নিজেদের গ্রামের বাড়িতে গেলে দিদিদের সঙ্গে আমিও টুসু পূজা করতাম। পরে উঁচু ক্লাসে ওঠার সময় আর ছুটি পাওয়া যেতো না। তো ব্লকে আমাদের বাড়ির পিছনে ছিল একটা বড় মাঠ আর তার পরেই বড় রাস্তা। সেই রাস্তা চলে গিয়েছে নদী পর্যন্ত। সংক্রান্তির দিন নদীর ধারে মেলা বসতো।মকরের আগের দিন রাত্রি বেলায় জাগরণ হত,সারারাত গান গাওয়া হত। ভোর থেকে একের পর এক দল যেতো চৌডল ভাসাতে গান গাইতে গাইতে,""মকর পরবে,টুসুর পা পড়ে নাই গরবে''। সে এক অদ্ভুত সুন্দর শোভাযাত্রা। আদিবাসীদের সঙ্গে ধাম্‌সা মাদল থাকত ,সেই ধাম্‌সার তালে তালে নচতে নাচতে যেতো ওরা। নদীতে টুসু কে বিসর্জন দিয়ে মকর স্নান সেরে উঠে খাওয়াদাওয়া। জাগরনের রাত টা উপোস থাকত।মকর স্নানের পর মেলায় ঘোরঘুরি। মেলার বর্ণনা দিচ্ছি না,আর পাঁচটা মেলার মতই,শুধু মনে আছে সেখান থেকে প্রায় প্রত্যেক বছরই কাঠের এক চাকার গাড়ি আর ফিরফিরি(এই রে ,কোলকাতার ভাষায় একে কি বলে,চরকি কি?) কেনা হত।আমরা নতুন গুড় দিয়ে পিঠে খেয়ে বাবার সাথে মেলা দেখতে যেতাম।
  • jhumjhumi | 117.194.239.144 | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১৭:৩৯432519
  • পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন আর সংক্রান্তির দিন দুটো সত্যিই উৎসবের দিন ছিলো আমাদের কাছে। এখন টুসুপূজা অনেক কমে গিয়েছে। আধুনিকতা গ্রাস করে নিচ্ছে এসব গ্রামীণ পার্বন।আমি নিজে খুব বেশীদিন টুসু পূজা করিনি,কিন্তু ঐ স্পেশাল সুর টা আর ধাম্‌সা মাদলের বাজনাটা আমার বড্ড ভালো লাগে।অনেক দিন পৌষ সংক্রান্তির সময় বড়ি যাওয়া হয় নি,টুসুর গান ও শুনিনা। তবু এখনো মকরের দিনে মাঝে মাঝে গুনগুনিয়ে উঠি ""মকর পরবে, টুসুর পা পড়ে নাই গরবে''।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.101 | ০৭ জানুয়ারি ২০১৩ ১৭:১৩432521
  • হাড় কাঁপানো শীত এই কথাটা এতদিন শুনে বলে এসেছি কতবার কতসময়ে কতভাবে, কিন্তু সত্যি করে বোধহয় হাড় কাঁপাচ্ছে এমন শীত এই প্রথম টের পাচ্ছি হাড়ে হাড়ে। এখন তা উত্তুরে শীতের দাপট না হাড়ের ক্রমশ কমজোরী হয়ে আসা বয়স অথবা দুইই, কে বলতে পারে!
    মানুষের মত আবহাওয়ারও এক আমূল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে আজকাল, স্বভাবের নরমসরম ব্যাপারগুলো চলে গিয়ে ভীষণ প্রকৃতি বড়ই প্রকট হচ্ছে সব ঋতুতে। ঝড় ঝঞ্ঝা তুফান সুনামি ভূমিকম্প ইত্যাদি লেগেই আছে, তার সাথে আছে প্রবল শীত গ্রীষ্ম বর্ষা। মরুভূমিতেও আজকাল বন্যা হচ্ছে, সমুদ্রতটে ঠান্ডা পড়ছে (কোনোদিন হয়ত বরফও পড়বে), মোটকথা যা খুশী যেখানে খুশী হতে পারে, কিছুতেই অবাক হওয়ার কিছু নেই। পন্ডিতেরা তাদের তথ্যাদি নিয়ে কম্পিউটারের সামনে বসে মাউস কামড়ে, চুল ছিঁড়ে, রোজ যত খুশী নতুন নতুন থিওরি বিশ্লেষণ দিয়ে যাক এই পরিবর্তনাদি সম্পর্কে, সাধারণের হাতে শুধু একই পেন্সিল থাকে, মানিয়ে নেওয়া সইয়ে নেওয়া। আমাদের কাছে সর্বরোগহর এক দাওয়াই, এক উপায়, যে সয় সেই রয়, সারভাইভ্যাল অফ দ্য ফিটেস্ট!

    বাইরে রাস্তায় প্রায় শূণ্য তাপমাত্রায় একটিমাত্র কম্বল কী শুধু ছেঁড়া কাপড় জড়িয়ে, কেউ আবার ঘরের মধ্যে দরজা জানালা এঁটে তিন চার স্তরে গরম কাপড় চাপিয়ে,কাঁপুনি দুজনেরই প্রায় এক, কে কত সয় তার ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা। প্রতি বছর শোনা যায় শহরে শীতে হোমলেস বা গৃহহীনদের জন্যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা,শেলটার নেই। হিসেব করলে দুমাসের কঠিন শীত,বাকি দশমাস ধরে একটু উদ্যোগ নিলে কী কয়েকটা খুঁটি একটু দেওয়াল ছাদের ব্যবস্থা করা যেতনা?

    শীত ঠিক কতটা পড়ত মনে নেই, এখনের থেকে বেশী না কম সেই প্রসঙ্গে বলছি আর কী, তবে পড়ত জবর এবং আমাদের শহরে শীত ছিল দিল্লীর থেকে বেশী, দেরাদুনের প্রায় সমান ও মুসৌরীর থেকে কম। যে সকালে উঠে অন্য দিনের থেকে একটু বেশী ঠান্ডা মালুম হত সেদিন এক দৌড়ে বাড়ির পেছনের খালি জায়গাটায় ছুটে গিয়ে দেখতাম, মুসৌরী পাহাড় দেখা যাচ্ছে কিনা ও তার গায়ে বরফ ঢাকা কিনা। তবে দেখিনি কোনোকালেই অথচ কোনো কোনো পরিস্কার শীতের সকালে সেরকমটা নাকি দেখার কথা ছিল অন্তত বিশ্বাসটা তখন তেমনই ছিল।

    তাপমাত্রার হিসেবে ঠান্ডা যতই হোক, সেই শীতের স্বভাব ছিল ভারী কোমল, আসত সুভদ্র অতিথি রূপে, যতদিন থাকত একটু একটু করে জড়িয়ে নিত চারিপাশকে আপনজন হয়ে, যখন যাবার সময় হত তার, তাই মনখারাপের ধুলো উড়ত, গোধূলি হত বিষন্ন।
    আকাশ থাকত নীল (হয়ত এখনো থাকে), রোজ সকালের কুয়াশার চাদর সরিয়ে একটু একটু করে রোদ ছড়াত গঙ্গা নহরের পারে, দুরে রেল লাইনের ধারে।
    কিছুদিন আগে ক্রিসমাস হয়ে গেছে, সারা শীতজুড়ে স্কুলের এখানে ওখানে চিহ্ন দেখা যেত সেই সাজের, উৎসবের সাজ। পড়াও থাকত, সিলেবাস শেষ করার তাড়া, শীতের শেষে অ্যানুয়াল পরীক্ষা। প্রতি ক্লাসে টীচারদের ধরা হত ক্লাসটা বাইরে রোদে নেওয়ার জন্যে। বেশীরভাগই রাজী হতনা, কেউ কেউ কোনো কোনো দিন মেজাজ ভালো থাকলে ক্লাস নিয়ে যেত মাঠে, রোদে। রাজী না হওয়ারও কারণ ছিল, এতগুলি কচি কাঁচাদের খোলা মাঠে আকাশের নীচে নিয়ে এসে বদ্ধ ক্লাসরুমের নিয়মের বাঁধনে বাঁধা মুশকিল নয় শুধু নামুমকিন ছিল। দুচারজন ভালো গুডি গুডিরা বই খুলে সামনে বসত (টীচার বসতেন মাঠের মাঝে পাকা স্টেজের সিঁড়ির ধাপে), বাকীদের কারুর ব্লেজারের পকেট থেকে বেরোতো গল্পের বই, কেউ কেউ একেবারে পেছনে বসে ফিসফিস গল্পে মাতত, কিছুদের আবার ঐ ব্লেজার ঢাকা হয়ে লুকোনো থাকত টিফিন বাক্স, সেখান থেকে আসা আচার আর রকমারী পুরের ঘিয়ের পরোটার গন্ধে মাতোয়ারা চারধার। তা টীচাররাও তো সবাই আর তেমন কিছু বড় বুড়ো গম্ভীর ছিল না, এরকম খোলা হাওয়ায় শীতের নরম রোদ মেখে গাঁদা আর চন্দ্রমল্লিকার বনে তাদেরও মন কী আর আকুল হত না!
    তখন গল্প হত, অথবা পরীক্ষাটা চোখ বুজে পেরিয়ে গেলে ওপারে বসে আছে শীত বসন্তের সন্ধিক্ষণে স্কুলের ফেটে বা মেলার তোড়জোড় এবং ফেটে সবার প্রিয় টপিক, তাই তা নিয়ে আলোচনা।

    হাতে সবসময় মিষ্টি কমলা গন্ধ, খাওয়ার আগে, খাওয়ার পরে, খেলতে খেলতে পড়তে পড়তে, সবসময় কমলালেবু খাওয়া। যেখানেই যাও, সে যেটুকু অবকাশেই হোক, কচি দেখলে লোকে হাতে একটা কমলা ধরিয়ে দেবে। মিষ্টি টক ওসব দেখার বালাই নেই, পেলেই খাওয়া আর সারা শীত ঐ গন্ধ মেখে থাকা। পাঞ্জাবী বন্ধুদের বাড়িতে একটু বেশী বেশী যাওয়া। আলু, মূলী, গোবি পরোটার তাওয়া সেখানে দিবারাত্রি বসানো, ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ ডিনার সময় অসময়, পরোটার ওপর একদলা সাদা মাখন আর সঙ্গে একবাটি দই, পাতের পাশে একটু লেবুর আচার, আঃ স্বর্গ!

    এছাড়া এইসময় প্রত্যেক বাড়িতে দাদী, চাচী, তাই, ফুফী, গোটা গুষ্ঠিসুদ্ধু লোক রোদে বাড়ির উঠোনের খাটিয়ায় নেমে আসে সকাল থেকে বিকেল অবধি, কেউ কড়াই ছাড়াচ্ছে তো কেউ গরম মুঙ্গফলী বা চিনাবাদাম, কারুর কাছে গজক আর তক্তির ভাঁড়ার তো কেউ কাটছে পেয়ারা, ওপরে ছড়াচ্ছে চাট মশালা, সেসবের মাঝে যে যাকে দেখতে পাচ্ছে জোর করে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে খাদ্যবস্তু। শীতকাল ছাড়া এমনটা আর কোথায় দেখা যাবে?
    শীত ঘন হলে,এল সংক্রান্তি, এল লোহরি বা লোরি। উৎসব একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হলেও বাকী অনেক খুশীর উৎসবের মত এও সর্বজনের হয়ে দাঁড়ায়। প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় লোরি জ্বালানো হয়, রাতে সবাই এসে দাঁড়ায় সেই পবিত্র আগুন ঘিরে, ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলা হয় মিষ্টি তিলকুট তক্তি খই ও আরো কত কী, গান মিষ্টি লাড্ডু খাওয়া হই হই। ছোটরা খুশী রাতের পড়ার ছুটি ও সঙ্গীদের সঙ্গে অনেক সময় কাটাতে পাওয়া মজা করার জন্যে, বড়দের মুখে হাসি কারণ হিসেবমত পরদিন থেকে কমতে শুরু করবে শীত আসবে বসন্ত।
    মটরের দাম কমলে প্রবাসী বাঙালী বাড়িতে শুরু হয় মটরশুঁটির কচুরি আর ছোট আলুর দমের ঘরোয়া পার্টি। পিঠে পুলির হাঙ্গামা দুর প্রবাসে অত সম্ভব হয়না, সব জিনিস সহজলভ্য ছিলনা তখন এত, তবু নিয়মরক্ষে যা পাওয়া যেত তাই দিয়ে সুইট ডিশে বাড়ির গৃহিণী হাতের কেরামতি দেখায় রাঙালুর পুলি, পাটিসাপটা, চিঁড়ের মুগের পুলি ইত্যাদিতে। অতিথিরা খেয়েদেয়ে ধন্য ধন্য করে যেত কত্তাগিন্নী ও অবশ্যই শীত মহারাজকে।
  • ranjan roy | 24.99.196.180 | ০৮ জানুয়ারি ২০১৩ ০১:০৭432522
  • আহা! বহুদিন পরে কেউ গজকের আর তক্তির কথা বলল। আর লোরির পরে পাঞ্জাবীদের বাড়িতে তিলি-গুড় খা অউর মিঠা-মিঠা বোল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন