এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে ৯ : রাজস্থান

    Samik
    অন্যান্য | ১৩ অক্টোবর ২০০৮ | ৪৭৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:১১406684
  • ঐ তো দুটোতেই স্পেশাল ট্রেন আছে তো। স্পেশাল ট্রেন চলেছিল শুটিং এ।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:২৬406685
  • ওরে বাবা, যে কোনও সিনেমার শুটিংয়েই রেগুলার ট্রেন নেওয়া হয় না। স্পেশাল ট্রেন ভাড়া করেই শুটিং হয়। সোনার কেল্লাতেও তাইই হবে তাতে আর আশ্চর্য কী?

    প্রশ্নটা হল ট্রেনের ভেতর থেকে সোনার কেল্লা দেখালো কী করে? কারণ লজিকালি জোধপুর / রামদেওরা থেকে জয়সলমের আসার পথে ট্রেনে কোনওভাবেই সোনার কেল্লা দেখতে পাওয়া যায় না। আর রাজস্থানের ট্রেনের ম্যাপ বলছে জয়সলমেরেই ট্রেন লাইন টার্মিনেট হয়ে গেছে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৩৪406686
  • মিটারগেজ লাইন ওটা?
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৫২406688
  • না। ব্রডগেজ।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৫২406687
  • বেশিক্ষণ বসবেন না। একটু রেস্ট নিয়ে ছটার আগেই পারলে বেরিয়ে পড়ুন। অটো ধরে বলুন ত্রিপোলিয়া মার্কেট যাব। সেটাই এখানে শপিংয়ের মেন এলাকা। বার্গেইন টার্গেইন হয়। রাত আটটায় বন্ধ হয়ে যায় এই মার্কেট। যাবার পথে এক ঝলক ক্লক টাওয়ার দেখে নিতে ভুলবেন না।

    আর যদি ল্যাদ কাটিয়ে বেরোতে দেরি হয়ে গিয়ে থাকে, বেরোতে বেরোতেই সাড়ে সাতটা (যেটা আমাদের হয়েছিল), সোজা চলে যান প্রিয়া হোটেল চকে। রাস্তার দুধারে এম্পোরিয়াম। দরদস্তুর হবে না, কিন্তু মোটামুটি ঠিক দামে সঠিক জিনিসগুলো পাবেন। এম্পোরিয়ামগুলো, আর দোকানগুলোও, রাত দশটা সাড়ে দশটা পর্যন্ত আরামসে খোলা থাকে। প্রিয়া হোটেল চক অনেক রাত পর্যন্ত গমগম করে ট্র্যাফিকে আর দোকানে। পেট ভরে শপিং করে প্রিয়া হোটেলে রাতের খাওয়া খেয়ে নিন। ঐ রেস্টুরেন্টেই দেখবেন টেবিল পেতে বসে আছে মারোয়াড় ট্র্যাভেল্‌স। পরদিন উদয়পুর যাবার জন্য একটা ট্যাক্সি বুক করে ফেলুন। বাসও যায়, তবে বাস সকাল আটটায়, আর সেটা আপনাকে বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে ধরতে হবে। বাসের কোয়ালিটিও হয় তো আপনার মনোমত না-হতে পারে। আর সামনের সীট বলে ঢপ দিয়ে পেছনের সীট দেবার টেনডেন্সি তো সব বাস অপারেটরদেরই থাকে। তাচ্চেয়ে একটু খচ্চা করে ট্যাক্সি বুক করে নিন। ২২০০-২৪০০ টাকা নেবে। আপনার হোটেলের সামনে চলে আসবে আপনাকে পিকআপ করতে। অবশ্যই বলবেন যাবার পথে যেন রানকপুরের মন্দির দেখায়।

    পরদিন জোধপুরকে গুডবাই জানিয়ে সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ুন। সুন্দর রাস্তা জোধপুর ছাড়িয়ে পালি জেলার ভেতর দিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে উদয়পুরের দিকে। মাঝে আরাবল্লীর বুক চিরেও রাস্তা আছে খানিক, পাহাড়ী, তবে এমন কিছু উঁচু পাহাড় নয়। পাহাড়ের মধ্যেই পড়বে রানকপুরের জৈন মন্দির, উফ্‌ফ্‌, এরা স্রেফ ভেজ খেয়ে যে কী করে এমন সুন্দর সুন্দর মন্দির তৈরি করত!

    জোধপুর ছাড়াবার মুখে একটা জায়গায় মন্দিরে-পুজো-দিতে-যাওয়া টাইপের জমায়েত দেখে ড্রাইভারকে জিগ্যেস করলাম, কীসের মন্দির! তা ড্রাইভার জানাল, এটা ওম ঠাকুরের মন্দির। কী গল্প? না, ওম সিং এক পাব্লিক ছিলেন। কী ছিলেন, কেমন ছিলেন, জানা গেল না, তবে তিনি মোটরসাইকেল চালিয়ে জোধপুর থেকে পালি যেতেন এবং আসতেন, নিজের কাজেই হয় তো। এক রাতে পালি থেকে জোধপুর ফেরার পথে এক ট্রাকের সাথে কলিশন হয় এবং ওম সিং অ্যাক্সিডেন্টে মারা যান।

    এই পর্যন্ত সব ঠিক আছে। কহানি মে টুইস্ট আসে এর পর। পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে তাঁর ডেডবডির সৎকার করে আর তার মোটরসাইকেলটা বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন্তু পরদিন সকালে দেখা যায় মোটরসাইকেল তো বাড়িতে নেই! খোঁজ খোঁজ। খুঁজে দেখা গেল, কোন এক অলৌকিক উপায়ে মোটরসাইকেল পৌঁছে গেছে সেই অ্যাক্সিডেন্টের জায়গায়। নিজে নিজে। সেটাকে আবার জোধপুরের বাড়িতে নিয়ে আসা হল। এবং সেই রাত্তিরেও সেই এক কান্ড। পরদিন সকালে মোটরসাইকেল আবার পাওয়া গেল ঐ অ্যাক্সিডেন্টের জায়গায়।

    এইভাবে পর পর তিনরাত হবার পরে ওম সিংয়ের বাড়ির লোকজন রাত জেগে মোটরসাইকেল পাহারা দিতে লাগলেন। চতুর্থ রাতেই দেখা গেল সেই দৃশ্য। মোটরসাইকেল নাকি কোনও সওয়ারি ছাড়াই নিজে নিজে চলতে শুরু করল আর সেই অ্যাক্সিডেন্টের জায়গায় এসে নিজে নিজেই দাঁড়িয়ে গেল।

    এই বয়েসেও ভূতের গল্প শুনতে একটুও মন্দ লাগে না, তায় আবার রাজস্থানী ভূত। তো, এর পরেই ওম সিংয়ের বাড়ির লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা একবাক্যে মেনে নেন যে ওম সিং কোনও অলৌকিক শক্তির অধিকারী ছিলেন, তিনি ভগবানের রূপ। অতএব অ্যাক্সিডেন্ট স্থলে তাঁর মন্দির প্রতিষ্ঠা হল, লোকে এখনো সেখানে তাঁর মোটরসাইকেলে পুজো চড়ায়।

    দুপুর দুটোর মধ্যে যদি পৌঁছে যান তবে সেদিনই উদয়পুর ঘুরে দেখার প্ল্যান করতে পারেন। নয় তো সেদিন রেস্ট নেওয়াই ভালো। প্রায় ৫ ঘন্টার রাস্তা। রানকপুর মন্দির নিয়ে ছ'ঘন্টা। বেটার রেস্ট নিয়ে নিন। সন্ধ্যের দিকে শপিংটা সেরে রাখতে পারেন। অটোকে বলবেন, হাথিপোল বাজার। বাজার কিন্তু সাড়ে আটটায় বন্ধ হয়ে যায়।
  • Ananda | 57.67.164.37 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:০১406689
  • ছবি কই?
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:০৪406690
  • তবেই দেখো, তখনকার আর এখনকার অনেক তফাৎ। পড়ে দেখো, ওটা ছিল মিটারগেজ লাইন। ঐ ট্রেনটা বন্ধ ও হয়ে গেছিলো। ট্রেন কোম্পানি কে কয়লার দাম দেওয়াতে ওরা আলাদা করে ট্রেন দেয় শুটিং এর জন্য।
    সে সব রেল লাইন ও হয়তো এখন নেই।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:১২406691
  • না, সেখানে আর মিটারগেজ কোনও লাইন নেই।

    আনন্দ, সুতোর শুরুতেই ছবির লিংক দিয়ে দিয়েছি।
  • Blank | 203.99.212.224 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:১৫406692
  • সত্যজিতের লেখাটা পড়েই দেখো না। ঐ ট্রেন, ঐ লাইন কিছুই আর নেই এখন।
  • Ananda | 57.67.164.37 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৪৩406694
  • এ হে হে হে :P ছবির সুতোটা মিস করে গেছি। দেখলাম, বেড়ে জায়গা! ছবিগুলো দেখে পুরো মন ভরলো না, রাজস্থানে আরেকটু খেটেখুটে ছবি তুল্লেই পারতেন!
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:১২406695
  • গিয়ে নিজের হাতে ছবি না তুললে মন ভরবেও না, একে ফোটোগ্রাফিতে আমি ক-অক্ষর গোমাংস, অ্যাপার্চার আর এক্সপোজারের মধ্যে কী তফাৎ তাইই জানি না, তায় সাথে কেবল ঐ আট হাজারের ক্যামেরাই ছিল, হটশট টাইপ, তাতে ফোকাস নিয়েও খেলা যায় না, সাথে কোনও ট্রাইপডও নেই। এত শস্তায় এচ্চেয়ে ভাল ছবি হবে কী করে?

    বউ-বাচ্চা সাথে নিয়ে এত খাটাখাটনি পোষাতও না। মেয়ে তো জয়সলমেরেই এমন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, ওখান থেকেই ফিরে আসার প্ল্যান করছিলাম।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:২২406696
  • গুগল বলছে মিটার গেজ এখনও আছে। আমি দেখি নি। যাক গে। বাদ্দে।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:২৯406697
  • সত্যি কথা বলেই ফেলি। জয়সলমের আর জোধপুর দেখার পরে আমার উদয়পুর আর একেবারে ভালো লাগে নি। উদয়পুর নাকি লেক সিটি। তা, লেক পিচোলা তো লাগল পানাপুকুর, কী শ্যাওলা! ফতেসাগর লেকটা বরং বেশ পরিষ্কার। জাইয়ে, বোটিং কা মজা উঠাইয়ে।

    পিচোলা লেক উদয়পুর প্যালেসের পাশেই। লেকের মধ্যে এক সাদা রংয়ের প্রাসাদ, বোটে করে যেতে আসতে হয়। সেটা এখন তাজ হোটেল। লেকের মধ্যে একটা মন্দিরও আছে, জগ মন্দির, বুকে ভক্তি থাকলে সেখানে যেতেও পারেন। আদারওয়াইজ, টুরিস্টের চোখ দিয়ে দেখলে ওটা একটা পাতিস্য পাতি মন্দির বই আর কিছু নয়। এমনকি ছবিও তুলবেন না। বেকার স্পেস নষ্ট করে কী লাভ!

    লেকের অন্য প্রান্তে দূরে ঐ যে হলদে রংয়ের প্রাসাদ মত দেখতে বিশাল বাড়িটা দেখছেন, ওটা ওবেরয় গ্র্যান্ড। আর দূরে ঐ যে পাহাড়টা দেখছেন, পাহাড়ের মাথায় ওটা মেওয়ার ফোর্ট।

    রাণা প্রতাপের বাবা ছিলেন মহারাণা উদয়সিংহ। তিনি একবার এইখানে আরাবল্লীর জঙ্গলে শিকার করতে এসেছিলেন, জঙ্গলের মধ্যে এক জায়গায় ধোঁয়া উঠতে দেখে গিয়ে দেখেন এক সাধু। তা, সেই সাধু তাঁকে বলেন এইখানে আরাবল্লীর কোলে এই ভ্যালিতে মেবারের নতুন রাজধানী বানাতে। লেক, পাহাড় আর জঙ্গল দিয়ে ঘেরা এই ভ্যালি তাঁকে মুঘলদের আক্রমণ থেকে বাঁচাবে। উদয়সিংহ সেই সাধুর কথা শুনে উদয়পুরের প্রতিষ্ঠা করেন। সত্যিই মুঘলরা কোনওদিনই উদয়পুর জয় করতে পারে নি।

    উদয়পুর ঢোকার একটু আগেই সেই ঐতিহাসিক জায়গা, হলদিঘাটি, যেখানে হয়েছিল রাণা প্রতাপের সাথে মুঘল সেনাপতি বৈরাম খাঁর যুদ্ধ। এই যুদ্ধের মূল নায়ক কিন্তু প্রতাপ নন, মূল নায়ক তাঁর ঘোড়া চেতক। স্রেফ এই চেতকের জন্যেই এই যুদ্ধ অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে হাতির পায়ের চাপে চেতকের একটা পা নষ্ট হয়ে গেছিল। তিন পায়ে সতেরো কিলোমিটার দৌড়ে রক্তাক্ত রাণাপ্রতাপকে সে পৌঁছে দিয়েছিল তাঁর ভাইয়ের শিবিরে, পথে একটা একুশ ফিট লম্বা নালাও সে লাফিয়ে পেরিয়েছিল তিন পায়ে। ভাইয়ের ক্যাম্পে পৌঁছে রাণাপ্রতাপ চিকিৎসা পেয়ে বেঁচে যান, আর চেতক সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে, প্রভুকে পিঠ থেকে নামানোমাত্র। পুরো উদয়পুরে চেতক আজও কিংবদন্তী। যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাবার আগে প্রতাপের এক সেনা প্রতাপের বর্ম শিরস্ত্রাণ চেয়ে নেন, তিনিই প্রতাপের ছদ্মবেশ ধরে যুদ্ধ চালান এবং মারা যান। মুঘলরা ভাবল, রাণাপ্রতাপকে মেরেছি, যুদ্ধ শেষ। ওদিকে প্রতাপ তখন ভাইয়ের শিবিরে আস্তে আস্তে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই কনফিউশনেই যুদ্ধ কোনও ফয়সালা ছাড়াই শেষ হয়, আর মুঘলরা উদয়পুর দখলের চেষ্টাও করে নি।

    ফিরে আসি উদয়পুরে। প্যালেসের লেকের দিকের এϾট্রতে একটা ক্রিস্টাল প্যালেস আছে, আমাদের দেখা হয়ে ওঠে নি। পরে যদি কেউ দেখে আসেন, দু লাইন লিখে দেবেন তো! প্যালেসের এϾট্র পুরো উল্টোদিকে। অটো নিয়ে চলে যান। উদয়পুরের নামকরা মন্দির জগদীশ টেম্পল, তার পাশেই প্যালেসের এϾট্র। এϾট্র ফি দেখে মাথা ঘুরে গেল। মানুষের পঞ্চাশ টাকা, যে কোনও ক্যামেরা দুশো টাকা। স্টিল হোক বা ভিডিও। অথচ জয়সলমের বা জোধপুরের তুলনায় এই প্যালেস নিতান্তই খাজা। পাথরের নয়, ইঁট সিমেন্টের বানানো। আর বেলি্‌জয়ান কাচের কারুকাজ। তেমন মনোহর নয়। এখানে চেতকের সাজপোষাক, রাণাপ্রতাপের বর্ম শিরস্ত্রাণ বন্দুক বর্শা ঢাল তরোয়াল সব রাখা আছে। যথারীতি প্যালেসের একটা দিক প্রাইভেট প্রপার্টি, রাজবংশের বর্তমান মেম্বাররা থাকেন। এখন তো আর প্রজারা খাজনা দেয় না, তাই ঐ এϾট্র ফি দিয়েই তাদের রাজকীয় জীবন যাপন হয়। একটা চাতাল আছে প্যালেসের মধ্যে, সেখানে বিয়েশাদীতে ভাড়া দেওয়া হয়। শুনলাম রভিনা ট্যান্ডনের বিয়ে এখানে হয়েছিল। তাতে আমার কী, আমাকে তো তখন নেমন্তন্ন করে নি!

    মোদ্দা কথা প্যালেস তেমন ইমপ্রেসিভ লাগল না। সো-সো। জগদীশ টেম্পলে আর ঢুকলাম না, বাইরে থেকে দেখেই বুঝলাম অ্যাজ সাচ কিছু দেখার নেই, এমনিতেই আমার ঠাকুর ফাকুরে অ্যালার্জি আছে, অতএব কাটিয়ে দিলাম।

    প্যালেসের চাদ্দিকে কী গলি রে ভাই! বেনারসের গলির সাথে তুলনীয়। সেইখানেই হাঁইহাঁই করে অটো ছুটছে। কী করে যে ছুটছে, কে জানে! ও দেখলে আপনি ড্রাইভিং ভুলে যাবেন। চোখ বন্ধ করে বসে থাকুন। ফতেসাগর লেকটা দেখে নিয়ে চলে আসুন চেতক সার্কেলে। আধুনিক শহরের মাঝে।

    খেয়ে নিন এখানে। তবে সাবধান। উদয়পুরে নুডলস চাউমিন খাবার চেষ্টা করবেন না। এদের হাক্কা নুডলসের ভার্সন বড় ভয়ঙ্কর। দেখলে ভয় লাগে, এত্তো লাল রং! খেলে জীবনে আর চাউমিন খেতে চাইবেন না। অন্য কিছু ট্রাই করুন।

    পেট ভরেছে? আরও বেড়াবেন? চলে যান সহেলিয়োঁ কি বাড়িতে। চেতক সার্কেল থেকে হাঁটা দূরত্ব, হাফ কিমি। নয় তো অটোই নিয়ে নিন। তবে যাচ্ছেন নিজের ইচ্ছেয়, গিয়ে হতাশ হলে আমায় খিস্তি মারবেন না। একটা বাগানবাড়ি, রাণীর বান্ধবীরা এখানে গ্যাঁজাতে আসতেন। এখন কিছু গাছ আর একটা ফোয়ারা আছে, মেনটেন করে পিডব্লুডি। এর কাছাকাছিই কিছু এম্পোরিয়াম আছে, সেখানে গিয়ে উদয়পুরের বিভিন্ন স্পেশালিটি শাড়ি, রূপোর সেট আর জুয়েলারি নাড়াঘাঁটা করুন, শপিং করুন। রূপোর সেটগুলো পুরো রূপো নয়, দস্তার মিশ্রণ আছে, চমকায় ঠিক রূপোর মতই, কিন্তু কোনওদিন কালো হয় না, হাওয়ার এক্সপোজারেও নয়। টি-সেট, গ্লাস সেট, মশলাদানির সেট, লক্ষ্মী গণেশ যা পছন্দ হয় কিনুন। পেলকে শপিং কিজিয়ে। সুটকেসে না ধরলে এরা পার্সেল করে আপনাকে বাড়িতে পাঠিয়েও দেবে।
  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:৫৪406698
  • আমি জোধপুর জয়সলমের আর বিকানীর ছাড়া রাজস্থানের বাকী সব জায়গাতেই গেছি (এর মধ্যে জয়পুর একাধিকবার, উদয়পুর চিতোর ইত্যাদি দুইবার করে) তবে শপিং এর মজা সবথেকে বেশী উদয়পুরে। দরদাম করে সুন্দর সুন্দর জিনিষ শাড়ী গয়না এখান থেকে কিনে যা আরাম তা আর কোথাও নেই, জয়পুরের থেকে সস্তাও।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:২৬406699
  • শপিংয়ের হদিসগুলো ঠিকঠাক দিচ্ছি তো? আরও কিছু থাকলে এখানেই জানিয়ে দাও।
  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৩৯406700
  • রাজস্থানে শপিং করতে কক্ষনো বড় দোকানে ঢুকতে নেই, পুরনো মার্কেট গলি ঘুঁজি, পুরনো আমলের শাড়ীর দোকান ফরাসে বসে বৃদ্ধ মালিক আপ্যায়ন করে ডাকছে আর ছেলেরা একের পর এক শাড়ী দেখিয়ে যাচ্ছে....
    উদয়্‌পুরে সিটী প্যালেসের কাছেই এরকম একটা মার্কেট আছে, বেশ ভালো।

  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৪১406701
  • এই এক বাআআআআজে অব্যেস। বেড়াতে গিয়েও শপিং। তাপ্পর যখন একচল্লিশটা বাক্স হবে তখন ঠেলা বুঝবে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৪৯406702
  • শপিং তো বেড়াতে গেলেই করবে। দোকানবাজার না ঘুরলে কোনো জায়গার বেশিটাই অজানা থেকে যায়। ইস্তাম্বুলে যদি গ্র্যান্ড বাজার না ঘুরলে, লন্ডনে ক্যামডেন লক বা পোর্টোবেলো মার্কেটে না গেলে, টরন্টোতে সেন্ট লরেন্স মার্কেট বা নিদেনপক্ষে দিল্লিতে করোলবাগ মার্কেটে না ঘুরলে, তাহলে তো অর্ধেকটাই অদেখা রয়ে গেল।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৫২406703
  • ধুর্‌র্‌র্‌র বাজারে ঘোরা আর শপিং এক হল? সে তো রিয়ালটো না দেখলে ভেনিসের কিছুই দেখা হল না, তার মানে কি রিয়ালটোতে চার ঘন্টা ধরে খান বিশেক কাঁচের পুতুল কিনতে হবে?
  • r | 198.96.180.245 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৫৬406705
  • কিভাবে এক একটা বাজার ও সেই বাজারে বিক্রি হওয়া জিনিষ সেই এলাকা বা দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে চিনিয়ে দেয়- এই নিয়ে একটা পোবোন্দো লিখতে হবে, ওনলি ফর অজ্জিত। ;-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:৫৭406706
  • দেখা আর কেনাও এক নয়:-(
  • r | 198.96.180.245 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ১৮:০২406707
  • তাইলে উইন্ডো শপিং করো।
  • siki | 122.162.83.231 | ১৫ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:৪১406708
  • হুঁ, দেখাশোনা তো ফিরি, কেনাকাটি ব্যক্তিগত ব্যাপার :-)
  • Shuchismita | 98.228.118.141 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ০৩:২৬406709
  • বহুচর্চিত বই বা সিনেমা কিভাবে স্মৃতিকে প্রতারিত করে তার প্রমান পাওয়া গেল। আমার সত্যিই এতদিন ধারনা ছিল যে ট্রেন থেকে সোনার কেল্লা আমি দেখেছি। দেখাই যাচ্ছে সেটা ভুল। সিনেমাতে দেখে নিজেকে সেই জায়গায় বসিয়েছি।

    তবে রাজস্থান ট্যুর নি:সন্দেহে আমার কৈশোরের সবচেয়ে সেরা ট্যুর। পুজোর ছুটির গোটা মাসটা রাজস্থানে ঘোরা হয়েছিল। আমাদের ট্র্যাভেল প্ল্যান ছিল এইরকম : দিল্লী -- ভরতপুর -- জয়পুর -- আজমেঢ় -- চিতোর -- উদয়পুর -- রণকপুর (এখানে একটি অসাধারন জৈন মন্দির আছে। দিলওয়াড়ার বড়ভাই বলা যেতে পারে।) -- মাউন্ট আবু -- যোধপুর -- জয়সলমের -- বিকানের -- কোটা (ওভারনাইট বাসে) -- বুঁদি -- জয়পুর -- দিল্লী। যারা দিল্লীর কাছেই আছেন, কিন্তু রণকপুর বা বুঁদিগড় এখনো দেখা হয়নি, একবার অবশ্যই ঘুরে আসুন। ঠকবেন না।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ১০:২৪406710
  • উদয়পুর প্যালেসের কাছের সেই বাজারটাই তো হাতিপোল।
  • shrabani | 124.30.233.105 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ১১:০৭406711
  • হবে, নাম মনে নেই। আমি প্রায় তিন চারটে চক্কর দিয়েছিলাম ঐ বাজারে শেষ যখন গেছি। সার সার শাড়ীর দোকান একটু উঁচুমত জায়গায়, চার বছর আগে ওখান থেকে কেনা একটা সিল্কের বাঁধনি শাড়ী আজও আমার অন্যতম প্রিয়, কি তার রং, জেল্লা কতবার ধোয়ার পরেও, আর দাম নিয়েছিল মাত্র ছশ। আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েও ছিল বাঁধনি সম্বন্ধে এখন ভুলে গেছি।
    এছাড়া মীনাকারির জিনিস, গালার গয়না। কাঠের মিউজিশিয়ান সেট গুলো তো এখানের অর্ধেকএরো কম দামে পাওয়া যাচ্ছিল। ওখান থেকেই জানলাম ট্রেড ফেয়ারে কি পরিমাণ গলা কাটা হয়!
  • siki | 203.122.26.2 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:২২406712
  • হে হে ... ট্রেড ফেয়ারে তো ফি বছরই যাই, রাজস্থানে অতি অবশ্যই ঢুকি, আর পাঁপড় কিনে ফেরৎ আসি।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৬ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৩৯406713
  • উদয়পুরে অ্যাজ সাচ কিছু দেখার না থাকলেও আশেপাশে কিছু দেখার জিনিস আছে, এগুলো উদয়পুর থেকে একটু দূরে দূরে, যেমন রানকপুরের জৈন মন্দিরের কথা তো আগেই বললাম। জোধপুর হয়ে এলে ওটা পথেই দেখে নিতে পারেন, উদয়পুর থেকে নব্বই কিমি দূরে। এ ছাড়া বুঁদির দূর্গ, চিত্তোরগড় দূর্গ (আমরা যাকে চিতোর বলি) এসবও দেখে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে উদয়পুরে স্টে আরেকদিন বাড়িয়ে নিন।

    উদয়পুর থেকে মাউন্ট আবু প্রায় পাঁচ ঘন্টার রাস্তা, বাসে টিকিট দেড়শো টাকা, ট্যাক্সি বুক করলে দেড় হাজার টাকা। ট্যাক্সি অবশ্যই আপনাকে তাড়াতাড়ি পৌঁছে দেবে। চার ঘন্টায়। সক্কাল সক্কাল বেরিয়ে পড়ুন। আটটার মধ্যে। রাস্তায় হলদিঘাটির পরেই রাস্তা আলাদা হয়ে যাবে, ওদিকে জোধপুর, এদিকে আবু রোড। হলদিঘাটিতে ঢোকার মুখে একটা ছোট্ট গ্রাম দেখতে পাবেন, গোগুন্দা নাম। এখানে রাণাপ্রতাপের রাজতিলক (অভিষেক) হয়েছিল।

    সমতল এলাকা তথা রেলস্টেশনটার নাম আবু রোড, আর পাহাড়টার নাম মাউন্ট আবু। আরাবল্লীর সর্বোচ্চ অঞ্চল। একতার মধ্যে পৌঁছে যাবেন। বাসে গেলে দুটো আড়াইটে। বাসস্ট্যান্ড থেকেই ট্যাক্সি নিয়ে নিন, আর ট্যাক্সি স্ট্যান্ডেই ক্লোক রুম আছে, সেখানে আপনার লাগেজ জমা করে দিন। আর যদি মাউন্ট আবুতে স্টে করতে চান, তো হোটেলে লাগেজ রেখে ল্যাদ খেয়ে নিন, বিকেলে মার্কেট ঘুরে নিন। বাঁধনীর কালেকশন এখানেও কম নেই।

    গুচ্ছ গুচ্ছ পয়েন্ট আছে দেখার লিস্টিতে, যেমন সব পাহাড়েই থেকে থাকে আর কি, আপনি যদি বিশুদ্ধ টুরিস্ট হন, আপনি কেবল দেখবেন দিলওয়াড়া মন্দির আর নাক্কি লেক। এর পর হানিমুন পয়েন্ট শিবমন্দির এটসেট্রা সে তো আপনাকে দেখাবেই, দেখে নিন, এসেছেন যখন।

    ও হ্যাঁ, বলা হয় নি, মাউন্ট আবু খ্যাত কোন সিনিমার জন্য, জানেন? কিউএসকিউটি। কয়ামত সে কয়ামত তক। জুহি চাওলা কোথাকার ঘরানার রাজপুত ছিল? রানকপুর। সেই আমীর খান পাহাড়ের ওপর জুহি চাওলাকে নিয়ে যেখানটাতে ঘর বেঁধেছিল, সেই ঝুপ্‌সটা নাকি আজও রেখে দেওয়া আছে, টুরিস্টলোগ দেখতে যায়।

    দিলওয়াড়ার গল্প তো আগেই বলেছি, জয়সলমেরের জৈন মন্দিরের অনুকরণে তৈরি, কিন্তু পুউরো শ্বেতপাথরের। কারুকাজ দেখলে স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়। মনে হয়, এতদূর আসা সার্থক। হ্যাঁ, আসতেই হবে দিলওয়াড়া টেম্পল দেখতে হলে। কারণ এখানে ফোটোগ্রাফি একেবারে নিষিদ্ধ। ক্যামেরা মোবাইল জমা রেখে ঢুকতে হয়। কেন, কে জানে! বাইরে থেকে মন্দিরের কোনও ফোটোই ওঠে না। আমার অ্যালবাম দেখলেই বুঝতে পারবেন।

    তাপ্পর ঘুরুন ফিরুন। বিকেলের দিকে যান নাক্কি লেকে। একটা বোট ভাড়া করে জলে ভাসুন ঠিক সূর্যাস্তের সময়টাতে, আর ফটো তুলুন সানসেটের। আপনার যত প্রতিভা, উগড়ে দিন শেষবারের মত।

    ক্লোক রুম / হোটেল থেকে মালপত্র তুলে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার মধ্যে বেরিয়ে পড়ুন আবু রোড স্টেশনের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে আপনার ফেরার রিজার্ভেশন আছে রাত সোয়া নটায়। দিল্লি ফেরার দুটো ট্রেন পরপর। আমেদাবাদ রাজধানী আপনাকে পৌঁছে দেবে নিউ দিল্লি স্টেশনে, আর আমেদাবাদ দিল্লি আশ্রম এক্সপ্রেস আপনাকে পৌঁছে দেবে দিল্লি স্টেশনে।

    অবিশ্যি আপনার যদি এর পরেও অন্য কোনও প্ল্যান থাকে, সে অন্য কথা ...
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন