এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জীবন শৈলী -- (অ)শিক্ষা

    Binary
    অন্যান্য | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ | ২৭৯৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • sayan | 160.83.72.211 | ১৯ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:৩৬404986
  • কত সহজে সব কিছু বদলে যায়! কুমীরডাঙা-রান্নাবাটি-পুতুলের বিয়ের সময়েও তো নির্মল খুনসুটীর কিচ্ছু বদলায়নি। ঝুলন'এর খেলনা খেলাঘর একসাথে সাজাতাম সারাটা সকাল ধরে, প্রতিবার। রোগা রোগা মেয়েলি হাতে পায়ে সারা পাড়া মাথায় ছুটে দৌড়ে হাঁটু ছড়ে দুপুরে ঘরে ফেরার আগে অস্থির শুধোনো "বিকেলে কখন খেলতে আসবি?'। প্রতিভা কিন্ডারগার্টেন'এর শ্যামলী মিস কত যত্নে হারমোনিয়ামে তুলে দিয়েছিলেন "তুমি নির্মল কর' - গুরুনানকের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গেয়ে শোনানোর পরে কাকিমা-আন্টিদের প্রশংসার আতিশয্য, কাছে ডেকে আদর করে গাল টিপে দেওয়া। তখন নিষ্পাপ ছোট ছিলাম।

    "বড়দের' স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় এলো। টিফিন পিরিয়ডে "রাবার ডিউস বল' (অদ্ভুত নাম তবে এটাই প্রচলিত ছিল ঐ ভারী রাবারের বলগুলোর) তুমুল পিটিয়ে হাঁটু পর্যন্ত ধূলো করে আমাদের "ফুটবল' খেলা। কিন্তু ক্লাসে সবসময় "ফার্স্টবেঞ্চ'এ বসতে হবে বিচ্ছিরি বিচ্ছিরি "স্যার'গুলোর একেবারে সামনে, নাহলেই বাড়িতে রিপোর্ট - "অমুকবাবু আপনার ছেলে ...' ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রতিদিন হোমটাস্ক পেরে বুঝি ক্লাসের মেয়েদের সাথে কথা বলার পাসপোর্ট পাওয়া যায়। অবহেলায়। অনেক "বন্ধু'দের ঠেস দিয়ে বলা অনেক কথায় এরই সুর বাজত - তখন বুঝতামও না কি, কেন, কোন ধারা এটসেটরা। টিফিনের সময় যেদিন এক বন্ধুনীর সাথে খাবার ভাগ করে খাচ্ছিলাম আর হঠাৎ পিছন থেকে সবাই এসে হোওওও করে চীলচীৎকারে বলল "প্রেম করছে, প্রেম করছে' - অনেক বন্ধুত্বে আড়ষ্টতার শুরু সেখান থেকেই।

    ভাগ্যিস এই সব ছেলেমানুষী আড়ষ্টতা কেটে যায়, অনেক দেরী হলেও কখনও কোথাও দেখা হলে, এক দমকা হাসিতে, ফিরে দেখা হওয়ার খুশীতে। এতোগুলো বছর পেরিয়ে এসেও ইউটিউবে খুঁজে চলি যদি সেই সব দিনগুলোর "জনি সোকো অ্যান্ড হিজ ফ্লাইং রোবো' এর কোনো এপিসোড পাই।
  • Partho | 202.177.144.18 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:৪৯404987
  • মুনমুন সেন BGHS এ এসেছিলেন ১৯৭৫তে - আমি তখন ক্লাস ফাইভ-এ। Binary যদি তখন ক্লাস ফোর-এ তাইলে ১৯৮০ তে ওর ক্লাস নাইন-ই হবে। ১৯৮০ তেই Blue Lagoon রিলিজ করে। Binary র লেখাটা আমার শৈশবের কথা দারুন ভাবে মনে পড়িয়ে দিল।
  • kd | 59.93.167.136 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৮:০৩404988
  • আরে, আমার ভাগনে অংশুমানও তো ঐ ব্যাচ!
  • kS | 122.169.78.8 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ১৯:৩৯404989
  • বাইনারির লেখা পড়ে খুব ভালো লাগল। সহজ, সুন্দর। খুঁজে দেখলে, ঐ ছোটবেলা, ঐ আনকোরা মনে অচেনা রং লাগার স্মৃতি, ঐ দীর্ঘশ্বাস প্রায় সব প্রাপ্তবয়স্ক হৃদয়েই পাওয়া যাবে কোথাও।
  • pi | 69.251.184.3 | ২০ নভেম্বর ২০০৮ ২৩:৫৩404990
  • না:, স্যান, যা বুঝছি আমরা বেরুবার পর ইস্কুলটা গোল্লায় গেসলো। :) প্রেমের আলোচনা 'খারাপ মেয়েরা' ছাড়া করতো না, উত্তম -সুচিত্রার গান গাইলে দিদিমণিরা বকে দিতেন ... এতো ভাবতেই পারছিনা !

    হ্যাঁ ,জীবনে সেসব ধারণার দিনকালো ছিলো বটে একসময়, কিন্তু সেতো সেই কবে, কিশোরীবেলাও যখন দূর অস্ত। তিন-চার কি বড়জোর পাঁচ কেলাসের কথা। শনিবার বিকেলে দূরদর্শনে বাংলা সিনেমা দেখে প্রেম, ভালোবাসা শব্দ সব মানে সুদ্ধ জেনে গেছি, কিন্তু এও জেনেছি ওগুলো বড়দের কথা। আমার বয়সে বল্লে বলে পাকা মেয়ে। আর ভালো মেয়েরা তো পাকেনা।
    আমার কিছু 'খারাপ' বন্ধু ঐ বয়সেই চিঠি-চাপাটির আদানপ্রদানের স্টেপ পেরিয়ে কিম্বা জাম্প করে ঘোরাঘুরি শুরু করেছে পাড়া-বেপাড়ার তিন চার ক্লাস উঁচু দাদাদের সাথে। আমি ও আমার বান্ধবীরা, যারা তখনো সু(অ?)বোধ বালিকাগোত্রভুক্ত, এই নিয়ে চোখ বড়বড় করে ফিসফিস করে মুখে আঙ্গুল দিয়ে বলতাম , শ্‌স্‌স্‌স, জানিস তো , জানিস তো, মুনাইটা না ঐ বি ব্লকের পাপাদার সাথে , ঐ , ঐ চার অক্ষরের জিনিষটা করছে ! মানে ঐ ভা*** টাইপের ব্যাপার আর কি। :)

    কিন্তু সে আর কদিন ই বা ... তারপরি তো শুরু হয়ে গেল আনন্দমেলার তলায় লুকিয়ে দেশের আনাগোনা। হাউসিং এর লাইব্রেরীতে বাবা মার কার্ডের বইগুলো নিয়ে একলা থাকা ছুটির দুপুর কাটানো।
    ইস্কুলের লাইব্রেরীর ক্লাসে শৈলেন ঘোষ, ঋজুদা, ঋভু , ফেলুদার ফাঁকে সেবার ভুল করে চলে এলো উঁচু ক্লাসের জন্য নির্ধারিত শীর্ষেন্দু র সেই বই, বিকেলের মৃত্যু। দিদিমণি টের পাননি .. কাড়াকাড়ি করে ঐ বই নিজেদের মধ্যে সার্কুলেট করার সেকি ঘটা !
    আশ্চর্য হল, বইটা র সিরিফ প্রথম পাতার একটা লাইন এখন মনে আছে,একটা সুইসাইড নোট। লাইফ ইস ফান, ডেথ ইস ফানিয়ার .. এইরকম কিছু। বইটার চার্ম নিশ্চয় তখন এই লাইনটা ছিলো না। কিন্তু কি যে ছিলো তা এখন পুরো ধোঁয়া। অনেকবার ভেবেছি , বইটা কিনে ফেলি আবার। বইএর দোকানে গিয়ে আর মনে থাকেনি। বাড়িতে যখন মনে পড়েছে, তখন আবার এটার জন্য দোকান যেতে ল্যাদ খেয়েছি আর ল্যাদের একটা অজুহাত ও বের করেছি। যদি কিনে এখন পড়ে বইটাতে সেই কাড়াকাড়ি করে পড়ার মত চার্মিং আর কিছু খুঁজে না পাই ( না পাবার সম্ভাবনাই কি বেশি নয়) , সেটা নেহাত ই খারাপ একটা ব্যাপার হবে। স্মৃতির সতত সুখী সুখী ইমেজটা নষ্ট হতে দিতে নেই।

    যাইহোক, তারপর তো , চেয়ার নিয়ে উঁচু বুকশেল্ফের নাগাল পাওয়ার মতন লম্বাও একদিন হয়ে গেলাম। তখন আর পায় কে ! পুরো খনি।
    আর ইস্কুলের পথে আসতে যেতে শুরু হয়ে গেছে ঝারি বিনিময়। মুনাইয়ের সাথে পাপাদার সেই চার অক্ষর বেশিদিন টেঁকেনি। কোনো এক বসন্ত দিনে লাল ফিতে সাদা মোজা ইস্কুল ইউনিফর্ম পরা আমার বেণী দোলানো মাথা গেলো রাস্তার পাশের প্ল্যাটের চারর্তলায়, সেখেনে রেলিং এ ঝুঁকে থাকা ঐ পাপাদার সাথে হল চারচক্ষুমিলন গোছের ব্যাপার। ঝারি মারা কথাটা কানে কেমন অসব্য অসব্য ঠেকছিলো, ঐ ভালো , খারপের ডিমর্কেশনটা তখন অনেক ফেডেদ হলেও পুরো যায়নি আরকি । অথচ পষ্ট দেখছি যে আমি ঝারি মারছি । কি আর করা। অভিধান খুঁজেপেতে একটা জুতসই নাম ও বের করে ফেল্লাম, তারামৈত্রী।
    তো ঐ তারামৈত্রী চলতে চলতেই বব ছাঁট চুল কবে হয়ে গেছে দুটো বেণী, টের ই পাইনি।

    এই যেমন, টের ই পাইনি, ঐভাবে ওদের বাড়ির গলি এলেই মাথাটা স্প্রিং লাগানো পুতুলের মত ওপরে উঠে যায়, এক্কেরে ইনভলান্টারি রিফ্লেক্স অ্যাকশন (আর সেটা আজ ও আছে, এবারে পুজোতে গিয়েও ওদের বাড়ির সামনে সেই এক ই ব্যাপার, আর তাকাতেই ওদের বারান্দা থেকে দেখি একটা বাচ্চা ঝুঁকে, পাপাদার ছেলে হবে, সে আমার দিকে হেসে হাত নেড়ে দিলো :( )

  • san | 123.201.53.144 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০০:৩৫404991
  • যা:, খারাপ মেয়ে, খারাপ বন্ধু এইভাবে কোটেশন মার্কে ঢুকিয়ে দিলে পাইদি ? আমি তো শুধু খারাপ চোখে দেখা হত বলেছিলাম, মেয়ে কিম্বা বন্ধুর বিশেষণে ? না: :-(

  • pi | 69.251.184.3 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০০:৪৫404992
  • এরপর তো জীবনে এসে ই গ্যালো কোএড কোচিং ক্লাসের মতন বাঁধা গরুর ছাড়া পেয়ে ঘোরার মতন মুক্ত বিচরণক্ষেত্র।
    যা ঘটে থাকে, নোটসের সাথে সথে চিঠি আর মন দেওয়া নেওয়াও হতে থাকলো, আর এগুলোর ফেয়ারীটেইল সম পরিণতির রেটটাও নেহাত মন্দ ছিলো না।

    সে যাই হোক, স্যানকে যা বলছিলাম, এই সব গপ্পো তো আমরা ইস্কুলেই করতাম। যখনি একটু ফাঁক-ফোঁকর পাওয়া যায়, ফিসফাস।
    এইজন্য ই তো তখন টিফিনবেলায় একটু একটু করে কমছে খো-খো , কাবাডি র ফ্রিকোয়েন্সি আর বাড়ছে তিনচারজনের ক্লোজ গ্রুপের আড্ডা। দুটো পিরিয়ডের ফাঁকে দিদিমণির আসতে দেরি হলে কি অফ পিরিয়ড হলে তখন আর গল্পের বই নিয়ে বসে থাকি না কি সেই আগের মতন ওয়াটার বটল কাঁধে ইস্কুল পরিভ্রমণে বেরিয়ে পড়ি না। দোতলার লাল বারান্দার রোদ্দুরে রেলিং এর ছায়ার সাথে নিজের ছায়া মেশানোর একদা ফেভারিট খেলাটাও তখন ব্যাক সীটে।
    নইলে এতো গল্প শেষ করবো ক্যামনে !
    শুধুই কি আর ঐ ঝারিবাজির কেস, একতরফা ক্রাশ বা ছুটকো একটা আধটা অফিসিয়াল রোম্যান্স ও তো তখন এসে গেছে কারুর কারুর জীবনে ... , ঐ স্কুল থেকে পাঠানো সামার ক্যাম্প গুলোর সৌজন্যে। এছাড়াও গরমে বা পুজোর ছুটিতে তিন চারটে পরিবারের একসাথে কৌসানী কি রাজস্থান নয়তো নিদেনপক্ষে সুন্দরবন ভ্রমণ বাবদ পিতৃবন্ধু কি মায়ের আপিস কলিগের পুত্রদের সাথে কিছু খুচরো প্রেমের গল্পের প্রাপ্তি তো হত ই। ছুটি খুল্লে কখন বন্ধুদের, না না সবার সাথে নয়, প্রিয় বন্ধু বলে সেই ক্লাস ফাইভের রচনা লেখার সময় যাকে সিলেক্ট করেছি তাকে, আর হয়তো আর কেউ কেউ। কিন্তু কখন তাদের সাথে ভাগাভাগি করা হবে ঐ দীপ্তাঞ্জনদার সাথে হাতে হাত ঠেকে যাওয়ার গল্প কি পাহাড়ে ওঠার সময় ইছে করে পিছিয়ে পড়ার পর কি হল সেই গল্প !
    ফোন টোন তখনো আসেনি, পোস্ট-কার্ডের বে-আব্রুতায় বিজয়ার শুভেচ্ছাটুকুর বাইরে আর কি বা লেখা যায়। বন্ধ খামে চিঠি আসছে দেখলে তো বাড়িতে মায়ের ভ্রূ কোঁচকাবে । অগত্যা কি করা। ঐ স্কুল খোলার দিনটার প্রতীক্ষা করা ছাড়া !
    এখন মনে হয় রোম্যান্সের রোমাঞ্চের থেকে আরো বেশি সুখানুভূতি বোধহয় ছিল বন্ধুদের সেগুলো বলায়। গ্রুপের মধ্যে প্রেম করা মেয়ে হিসেবে আলাদা ট্রীটমেণ্ট পাবার সুখ কিম্বা অন্যদের মধ্যে সুক্ষ্ম অসূয়া উৎপাদনের আনন্দ ও কি একদম ই থাকতো না তার মধ্যে? হয়তো থাকতো। অল্প। ভাগ করে নেবার সুখটা আরো বেশি ছিলো।
    সব গল্প ও কি আর অবিকৃত ফর্মে ভাগ হত ! উঁহু। পুরো ঝারিপর্ব জুড়ে আমি একটিবারো বলিনি এই ঝারির কথা। আমার কথাও কিচ্ছুটি বলিনি। অরং এদিক সেদিক নানা প্রসঙ্গ অবতারণা করে ঐ পার্টিকুলার ব্যক্তিটিকে নিয়ে আলোচনা করে যেতেই তখন সুখ। ভাগ্যে বন্ধুরা তখন কেউ ফ্রয়েড পড়েনি ! :)

  • pi | 69.251.184.3 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ০১:২৫404993
  • তবে মজা হত সবচেয়ে বেশি, স্কুলের পাড়ার মোড়ে দাঁড়ানো ঐ ক্যারাম খেলুড়েদের পাশ দিয়ে যেতে যেতে, দলবেঁধে, ছুটির পর। সদ্য গোঁফ ওঠা কোন কিশোরকে কার ভাল লেগে গ্যালো, কোন একজন যেন আমাদের কার দিকে একটু বেশি বেশি তাকায় রোজ, এই নিয়ে হা হা হি হি করতে করতে ওদের হতভভম্ব করে দিয়ে চলে যাওয়া।
    এইসব কত কি করতে করতে বড় হয়ে যাচ্ছিলাম।
    এটাও কিন্তু ঠিক, এই বড় হওয়ার মধ্যে একটা জিনিষ ছিলো লক্ষণীয় ভাবে অনুপস্থিত। শরীর। হ্যাঁ, শরীরের নিয়ে আলোচনা পুরো ট্যাবু টাইপের না হলেও
    তার পার্সেন্টেজ, ফ্রিকোয়েন্সি সব ই হত কম। যারা আলোচনা সব সময় এই নিয়ে ঘুরতো কি সব কথাতেই যারা ‘খারাপ খারাপ’ আদিরসাত্মক মানে খুঁজে বের করতো, তারাও একটি গ্রুপ বেঁধেই থাকতো বতে। কিন্তু অমন গ্রুপের সংখ্যা , আর তাতে সদস্য
    সংখ্যা দুই ই ছিল হাতে গোণা। আর তারা ছিল এক্টু ‘অসভ্য’ টাইপের মেয়ে। ভালো মেয়েরা প্রেম নিয়ে গপ্পো করতো, নিকষিত হেমের ন্যায় প্রেম যাতে বেশ কাম-গন্ধ হীন পূজার ধূপ ধুনোর গন্ধ আছে।
    আর এখানেই বোধহয় ঐ ‘বনাম’ ব্যাপারটা এসেই যায়। পরে বেশিরভাগ ছেলে বন্ধুদের কাছ থেকে যা জেনেছি, আমাদের মধ্যে যা ছিলো মাইনোরিটির আলোচনা, সেটাই ছিলো ওদের মধ্যে ভীষণরকমের স্বাভাবিক।
    জানিনা আমারটা টিপিক্যাল বাংলা মিডিয়াম মেয়েদের ইস্কুলের অভিজ্ঞতা কিনা, তবে ইংরাজী মিডিয়াম মেয়েদের স্কুলে স্কুলে স্পেসিফিক মহায়নের ভার্শন ছিল, এমনটিতো এখনো শুনি নাই। :)

    আর জেনেরেশান গ্যাপ ? সেটাও এবার বুঝলাম।
    আমার ক্লাস ফোরের সেই চার অক্ষরের শব্দ প্রসংগে আমার ক্লাস ওয়ানে পড়া কো-এড স্কুলের ভাইঝির তার বন্ধুদের সাথে কথোপকথন বৌদির ওভার-হিয়ারিং বাবদ জানতে পারলুম।
    সেইটি নিম্নরূপ ।
    ভাইঝি : আমি পরের বার পুজোয় মিষ্টুদি র মতন ঘাগরা পড়ে জোজোদার সাথে বাইকে চড়বো।
    বন্ধু : ওরা তো দুজনে লভ করে।
    বান্ধবী : আমার মাম্মি ও আমাকে খুব লভ করে
    ভাইঝি : এই লভ ঐ লভ নয় রে বাবা।
    বান্ধবী : লভ খালি ছেলে মেয়েদের মধ্যে হয়
    বন্ধু : আমার বাবা ও তো আমাকে শোবার সময় লভ ইউ সোনা বলে হাম্পি দ্যায়।
    বন্ধু : দুর বোকা, মা-বাবার মধ্যে যেটা সেইটা লভ।
    ভাইঝি : কহো না প্যার হ্যায় দেখিসনি ? ওখানে রিতিক ঐ মেয়েটাকে সমুদ্রের ধারে জড়িয়ে ধরে কি করছিলো না ! ঐটাই লভ। লভ করতে হলে জড়িয়ে ধরতে হয়।
    বান্ধবী : বুঝেছি, জোজোদা মিষ্টিদিও জড়িয়ে ধরে বাইকে যাচ্চিলো। তাই ঐটাও লভ।
    …
  • siki | 203.122.26.2 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৪৮404994
  • যা-তা! একঘর! উইথ অ্যাটাচ্‌ড বাথ! অসা!
  • Blank | 203.99.212.224 | ২১ নভেম্বর ২০০৮ ১০:৫০404996
  • হ্যা হ্যা হ্যা হ্যা হি হি হি
  • পাই | 82.83.85.246 | ১৬ জুন ২০১২ ২০:২১404997
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৭ জুন ২০১২ ০৫:৫৮404998
  • taappar paai?? thaamisanaa---phayaari Tel enDing tak ;-)))
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৭ জুন ২০১২ ০৫:৫৯404999
  • ধ্যেত্তেরি----এডা আবার কেমনে হইল?
    ইনজিরি কেন?
  • Nina | 78.34.167.250 | ১৭ জুন ২০১২ ০৬:০০405000
  • তাপ্পর পাই? থামিসনা --ফেয়ারি টেল এন্ডিঙ্গ তক -------
  • pi | 24.139.209.3 | ১১ মার্চ ২০১৬ ১৮:২৮405001
  • এই যে। মহায়ন জনিত জেণ্ডার গ্যাপ।
    তবে এই গ্যাপটা জেণ্ডারের না বাংলা ইংলিশ মিডিয়ম বা কো এডের, নাকি আমাদের সময়ের নাকি আরো অন্য কিছু ফ্যাক্টরের , সে নিয়ে তর্কের অবকাশ আছে। ফেবুতে সেদিন আরো অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা লিখছিল, আরো কিছু ফ্যাক্টর ছিল মনে হয়। তবে এখনো খুব কিছু বদলায়নি মনে হল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন