এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আবার ভারতীয় ছাত্রের হত্যা আমেরিকার মাটিতে

    Shuchismita
    অন্যান্য | ২১ জানুয়ারি ২০০৮ | ১৬১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Shuchismita | 141.218.225.160 | ২১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:০১395643
  • এক মাসও হয়নি লুইসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির দুই ভারতীয় ছাত্র একই রকম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তাদের মৃত্যুর তদন্ত চলছে। এখনো পর্যন্ত কোন মোটিভ পাওয়া যায়নি।

    আমেরিকা কি দিন দিন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ভারতীয় ছাত্রদের জন্য? আমরা চাই অভিজিতের মৃত্যুর পুর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। সেই সাথে সুনিশ্চিত হোক দক্ষিন এশিয় ছাত্রদের নিরাপত্তা।

    জানি না অনলাইন পিটিশনে কতটা কাজ হয়। তবে একটা পিটিশন লেখা হয়েছে। যদি মনে করেন সই করতে পারেন। ওখানে অভিজিতের জায়গায় আমরা যে কেউ থাকতে পারতাম।

    http://www.petitiononline.com/abhijit8/petition.html
  • Jay | 90.209.106.252 | ২১ জানুয়ারি ২০০৮ ০৩:৪১395648
  • সই করলুম। কি ওয়েস্ট (ঠিক বাংলাটা কি- চুলোয় যাক) খুব খারাপ লাগছে? তার থেকেও বেশী, কেন জানিনা রাগ হচ্ছে। কার উপর জানিনা। আগের বার ঘটনার পরে ইউনির কোনো একটা কেউকেটা বলছিল- ভারতীয় ছাত্ররা খরচ কমাবার জন্য যে অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে থাকে সেগুলোর সিকিউরিটি নাকি ভালো না! রাগ হয়েছিল। ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারছিনা। টিভিতে দেখাচ্ছিল ভারতীয় মা/বাবাদের- তাঁরা বলছিলেন , বিচ্ছিন্ন ঘটনা- তাঁরা আদৌ চিন্তিত নন!? চিন্তিত নন? নিশ্চিত চিন্তিত। চিন্তিত আম্রিগার ডিগ্রী না অইলে অইলটা কি? রাগ তখনও হয়েছিল। পরে হয়ত গুছিয়ে প্রশ্নগুলো করতে পারব কতটা ভালো এই কোর্সগুলো। কতটা জরুরী? কি জিনিস টানে? আমি জানি আমার এক ভাই গেছে ফিজিওথেরাপী পড়তে। কেন জানিনা। চিন্তা হচ্ছে ওর জন্যে, সবার জন্যে, যারা স্বপ্ন বা বিভ্রম দেখছে। যারা দু:স্বপ্নটাকে দেখতে চাইছে না, নাকি আমারই বয়স হচ্ছে?
  • a x | 192.35.79.70 | ২২ জানুয়ারি ২০০৮ ১৯:৫২395650
  • ইয়ে আমার ধারণা এটা একটু বেশি stretch করা হচ্ছে। academicsএ এখন চীনদেশের জনগণের আধিক্যই বেশি, ছাত্র স্তরে এবং ফ্যাকাল্টি স্তরেও। টার্গেট করলে তাদের করত না কি? আর সফল ভারতীয়কে টার্গেট করলে তো সিলিকন ভ্যালিতে খুনোখুনি শুরু হত।
    জয়কে একটা কথা বলি। আমি গ্র্যাজুয়েট স্কুলে থাকাকালীন রেগুলার রাত ২-২:৩০ টেয় বাড়ি ফিরতাম। নির্জন রেলরাস্তা পার করে। কোনোদিন কিছু হয়তো নিই, বরঞ্চ বেশ মজা লাগত। কোলকাতায় ভাবতে পারব? এই দুটো ঘটনায় যেটা মনে হয় সেটা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের বেছে বেছে মারা হচ্ছে তাই তারা মায়ের আঁচলের তলায় বসে থাকুক এমন আমার মনে হয়না। যেটা মনে হয় সেটা - ঘটনা গুলো হবার পর স্কুল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পুলিশ ইত্যাদির follow-upএর ধরণটা। যেটা ডেফিনিটলি কোনো সাদা অ্যামেরিকান মারা গেলে অন্যরকম হত।
  • arjo | 168.26.215.54 | ২২ জানুয়ারি ২০০৮ ২০:২৫395651
  • এই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই বলার সময় আসে নি। তবে ব্যটন রুজ সম্বন্ধে যারা জানেন তারা মানবেন যে ওখানে থাকতে গেলে নিজেদের একটু বেশি সজাগ থাকতে হয়। জায়গা টা মোটেও সেফ নয়। আমার নিজস্ব ধারনা যে লুইসিয়ানায় যা হয়েছে তা opportunity crime.

    সব কটা ঘটনাই নি:সন্দেহে দূর্ভাগ্যজনক। সব কটা ঘটনার দ্রুত পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করি কিন্তু এখনি মানতে নারাজ যে বেছে বেছে ভারতীয়দের মারা হচ্ছে।

    অমেরিকার বহু জায়গাই আছে যেখানে নিজেদের একটু বেশিই সজাগ থাকতে হয়। এই ঘটনা গুলো থেকে আমাদের উচিত সজাগ থাকতে শেখা। অক্ষ আপনি ভাগ্যবান আপনার কিছু হয় নি।

    আমাদের অনকেরই হয়ত প্রতক্ষ্য অভিগ্নতা নেই কিন্তু অমেরিকা তেও সমস্ত জায়গা যে খুব সেফ, আসলে তা নয়। সেটা জেনে নেওয়া টা খুব দরকার। আর সেটা সাদা, কালো, বাদামী সবার জন্যই সমান ভাবে সত্য।

    আর আমার এটাও মনে হয় না যে সাদা নয় বলে দ্রুত তদন্ত হচ্ছে না। লুইসিয়ানার ঘটনায় দুই দিনের মধ্যে অপরাধীর স্কেচ বার করা হয়েছে। আমি জানি এর আগে বছর কয়েক আগে একই জায়গায় একটি সিরিয়াল কিলার এর ঘটনাতেই তদন্ত এর থেকে অনেক স্লো মুভ করেছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য যে ঐ ঘটনায় যে কজন মারা গিয়েছিল সবাই অমেরিকান সিটিজেন। কজন সাদা কজন কালো।

    জয় এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই যে আমেরিকা উচ্চশিক্ষায় সবার উপরে।
  • shyamal | 64.47.121.98 | ২৩ জানুয়ারি ২০০৮ ০৪:৩৬395652
  • টেলিগ্রাফের লেখাটা পড়লাম এবং একমত হতে পারলাম না। লেখক হেট ক্রাইমের কথা বলেছেন। আশির দশকে বোধহয় ডিট্রয়েটে একটি বারে দুজন লে অফ হয়ে যাওয়া লোক একজন চীনেকে মেরে ফেলেছিল। কারণ তারা গাড়ির কোম্পানীতে কাজ করত আর চীনে ছেলেটিকে জাপানী ভেবে তাদের রাগ হয়েছিল। কারণ তখন জাপানী গাড়ি আস্তে আস্তে এদেশের বাজার কব্জা করছে।
    কিন্তু এখনও পর্যন্ত ভারতীয়দের প্রতি এরকম বিদ্বেষ নজরে পড়েনি। প্রথমত: ভারতীয়রা যাদের সঙ্গে কম্পিট করে তারা অধিকাংশই উচ্চমধ্যবিত্ত হোয়াইট কলার কর্মি। চাকরি গেলেও তাদের পক্ষে হেট ক্রাইম অসম্ভব। দ্বিতীয়ত: লোকেদের প্রধান রাগ সস্তা ইম্পোর্টের ফলে ব্লু কলার কর্মিদের চাকরী যাচ্ছে বলে। সেজন্য চীনের প্রতি রাগটা ভারতের চেয়ে অনেক বেশী হওয়া স্বাভাবিক।
    লুইসিয়ানা আর ডিউকে যা হয়েছে তা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে হয়। এদেশে বহু শহর আছে যেখানে কোন কোন পাড়া ক্রাইমের জন্য বিখ্যাত।
    এটা ঠিকই যে ভারতীয় ছাত্ররা খরচ কমাবার জন্য সস্তা, খারাপ জায়গায় থাকে। এর কোন সমাধান নেই। আমরা গ্র্যাজুয়েট স্কুলে থাকার সময়ও তাই করেছি। তার একটা নামও আছে : PIGS (poor Indian graduate students)
    জয় জিজ্ঞেস করেছেন , কি জিনিস টানে ? পরে বলছি।
  • Jay | 90.208.19.199 | ২৩ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:৫৮395653
  • অক্ষ,
    আমি আপনাদের/তোমাদের কাছে একটু বড় করে জানতে চাইব- একজন ছাত্রের কেমন খর্চা লাগে সাধারন ভাবে? ভালো সিকিউরিটি নিতে হলে কতটা এক্সট্রা গচ্চা দিতে হয়? টাকাটা কি ভাবে আসে? বাবা/মা- স্কলারশিপ/ লোন/ অফটাইমে চাকরী?
    স্বাভাবিক জীবন যাত্রা কেমন? আমি এক্সপেক্ট করছি না নবাবপুত্তুর হয়ে থাকার কথা। আমাদের পরে পরে যারা ইউকেতে ডাক্তারী করতে এসেছে, জব না পাওয়া পর্যন্ত (ইঞ্জিনিয়ার/আইটির লোকজনদের মত চাকরী নিয়ে আসে না) ৯৮%ই ৬মাস থেকে একবছর খুব কষ্ট করে থাকে, মন্দিরে/গুরুদ্বারে ফ্রি মিল, ছোট চোট খুপরীর মত ঘরে ৪-৫জন গাদাগাদি হয়ে থাকা, হীটিংএর ব্যবস্থা নেই। কত জন চাকরী না পেয়ে ৩-৪লাখ টাকা ক্ষতি করে দেশে ফির গেছে। আমি এই খবরগুলো জানতে চাইছি? কতটা কম্প্রমাইজ করে কতটা পাচ্ছি?

    আর্য,
    আম্রিগা উচ্চশিক্ষায় সবার উপরে শুধু বল্লে হবে না- একটু খচ্চা করে লিখুন/ লেখ না প্লীজ, বিস্তারিত, যখন আপনার /তোমার সময় হবে।

    শ্যামল,
    আপনার/ তোমার পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম।

    অন্যেরাও লিখুন প্লীজ। আমাদের দেশে উচ্চ শিক্ষার হালও আসুক- চাকরীর বাজারও। কিভাবে বিদেশী ইউনিগুলো আজকাল জপাতে আসে- এইসব।
  • mita | 24.211.173.47 | ২৩ জানুয়ারি ২০০৮ ২১:০১395654
  • A memorial service will be held at the Hindu temple in Morrisville in honor of Abhijit Mahato, this Sunday.
    We would like to have as many people attend as possible to not only pay respects to Abhijit's memory but also address the issue of student safety.
    The attendees will include close friends of Abhijit from across the US, the President of Duke University- Dr. Brodhead, representatives from the NC Attorney General's office, The Associate Dean of Engineering at Duke Dr Laursen who Abhijit worked with closely, Mr. Swadesh Chatterjee and representative from the Durham Police Department etc.
    Please circulate this information to as many of your friends as possible and let us gather for an hour and make a statement -
    ' We want justice for Abhijit and we want educational campuses to be safer.'
    The Date
    January 27 th Sunday 2008
    Time 10:30 - 11:30 A.M.
    The Venue
    The Hindu temple of North Carolina
    309 AVIATION PARKWAY. MORRISVILLE, NC 27560. Phone: (919) 481-2574


  • mita | 24.211.173.47 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ০৭:২৩395633
  • অভিজিতের কেস এ একজনকে পুলিস first degree murder chargearrest করেছে আজ সন্ধ্যায়। লোকটার নাম Steven Oater Jr. এখোনো মোটিভ বা অন্য কোনো ডিটেল রিলিজ করেনি।

  • a x | 4.159.128.38 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ০৯:৪৭395634
  • জয়,
    এই প্রশ্নটার উত্তর দেওয়া খুব শক্ত। বড়ই সাব্জেক্টিভ। আমি কেন এসেছিলাম? আমি অতি মেডিওকর এবং ভয়ংকর ফাঁকিবাজ। আমাকে দেশে কোথাও পিএইচডি করার সুযোগ দেয়নি, তাই এসেছি। দিলে দিব্বি বলছি আসতাম না। খুবই ব্যক্তিগত ভাবে নিজে, এখানে এসে কি পেয়েছি? এইমুহূর্তে ব্রডলি যা মনে পড়ে:
    ১) জানলাম টাকার জন্য রিসার্চ খুব একটা আটকায় না। যেটা এখানে একদিনে খরচ হয় ল্যাবে, সেটা বছর খানেকের বরাদ্দ দেশে, তাই অনেকসময় অনেক এক্সপেরিমেন্ট স্যাক্রিফাইস করতে হত।
    ২) একটা জানলা স্রেফ খুলে যাওয়া, টেকনিক, এক্‌স্‌পার্টাইস, ইন্ট্যারক্‌শনের সুযোগ, ইন্ট্যার্নশাল কনফারেন্সে অবাধ গতি। এবং এটা ভারতের প্রিমিয়ার ইনস্টিট্যুটে পাওয়া সুযোগ সুবিধেগুলোকে মাথায় রেখেই বলা।
    ৩) পড়ানোর সুযোগ - এতে আমি এই অল্পবয়সী অ্যামেরিকাকে খুব কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি - এটা একটা বিশাল পাওয়া আমার কাছে
    ৪) একটা রিলেটিভলি সোশ্যালি লেস রিপ্রেসিভ দেশে থাকার - স্বাধীনতা ভোগ। সোশ্যালি রিপ্রেসিভ বলতে আমি কার সাথে শুলাম কটায় বাড়ি ফিরলাম তাই দিয়ে আমার বাড়ি ভাড়া পেতে এদেশে অসুবিধে হবেনা - গোদা করে বললে।
    ৫) সবচেয়ে বড় পাওয়া - পৃথিবীটা যেন খুব ছোট হয়ে গেল। যেদিন প্রথম নেমেছিলাম, ইন্ট্যার্নাশনাল স্টুডেন্ট অফিসের তরফ থেকে একটি ছেলে এয়ারপোর্টে নিতে এসেছিল - একম্‌ ওর নাম। ইথিওপিয়ান ছেলে। ওর সাথে ফাঁকা ধূ ধূ মাঠের মাঝদিয়ে হাইওয়ে ধরে আসার সময় দুটো জিনিসই মনে হয়েছিল - এদের কত কত জায়গা আর কি অদ্ভূত, এদ্দিন স্রেফ বই-এ পড়া, টিভিতে দেখা একটা দেশের লোকের সাথে আমি কথা বলছি। তারপর আরো কত দেশের লোকের সাথে আলাপ, বন্ধুত্ব, গভীর বন্ধুত্ব হয়েছে, এটা একটা বিশাল পাওয়া আমার কাছে।

    কি হারিয়েছি?
    ১) বন্ধু। ছোটবেলা বন্ধু, কলেজের বন্ধু, যেমন বন্ধুত্ব একটা বয়সের পর আর হয়না।
    ২) ক্যান্টিনের আড্ডা।
    ৩) কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় হাঁটা।
    ৪) ঘটে যাওয়া বাঙ্গালী সংস্কৃতির পাল্‌স্‌টাকে ছুঁয়ে না থাকতে পারা - অ্যাকাডেমির সামনে বসে কাপের পর কাপ চা আর সিগারেটের কাউন্টার ওড়াতে না পারা। বাসের ভীড়ে মানুষের ধাক্কা আর ঘামের গন্ধর মধ্যের কালেক্টিভ বিরক্তির ভাগীদার না হওয়া।
    ৫) অতি প্রিয়, অতি শ্রদ্ধার বেশ কিছু মানুষকে আর কোনোদিন দেখতে/কথা বলতে না পাওয়া।
    এই লিস্টটা চলতেই থাকবে...সবই নস্টালিজিক রোম্যান্টিসিসম
    daylight
    n
    ) এবং একটা পলিটিক্যালি সচেতন, চার্জড সমাজে না থাকতে পারা।

    ঠিক এই উত্তরগুলো চেয়েছিলেন কিনা জানিনা অবশ্য আর তাড়াহুড়ো করে লিখলাম, অনেক কিছু পরে হয়ত মনে হবে বাদ যাওয়া দরকার আরো অনেক কিছু হয়ত দুটো লিস্টেই যোগ হওয়া দরকার।

    এবার আপনার বাকি প্রশ্নগুলোতে আসি, যেগুলোর উত্তর দেওয়া সোজা।
    ১) কত খরচা - নির্ভর করছে কোন শহরে সে আছে। এখানে খাওয়া দাওয়া তুলনামূলক ভাবে সস্তা এবং মোটামুটি এক সব জায়গায়। যেটা আয়ের সিংহভাগ নেয়, সেটা বাড়ি ভাড়া। এবার টেক্সাসের কোনো শহরে এক কামারা বাড়ি ৩৫০-৪০০ ডলারে পাওয়া যাবে, নিউ-ইয়র্কে সেটা ১৫০০-২০০০। শহরে মানে বড় শহরে সাধারণত ডাউনটাউন ভালো জায়গা নয়। গরীবেরা থাকে। ক্রাইম প্রোন। ধরুন আপনি বোস্টনের কোথাও পড়াশোনা করেন। ভালো সিকিওরিটি চাইলে আপনাকে ইউনিভার্সিটি হাইউসিং নিতে হবে বা একটু দূরে থাকতে হবে এবং গাড়ি লাগবে, এই দুটোতেই খরচ বেশ কিছুতা বেশি হবে। আবার আমি থেকেছি একটা ইউনিভার্সিটি টাউনে সেখানে বাড়িভাড়া সস্তা। আমি পুরোটাই একা থেকেছি, এক্বছর খালি রুমমেট ছিল, এবং ডিপারে্‌ট্‌মন্ট দশ মিনিটের হাঁটা। কাজেই জায়গার ওপর অনেক কিছুই ম্যাটার করে।
  • a x | 207.69.137.40 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১০:০১395635
  • ২) টাকাটা কিভাবে আসে? আপনি যা যা বললেন সবগুলোই। অনেক ইউনিতে ভর্তি মানেই স্কলারশিপ। একটা চাঙ্ক আসে অ্যাসিস্টান্টশিপে - RA বা TATA হলে পড়াতে হয়। বাবা-মা'র পয়সায় খুব একটা বিশাল সংখ্যক আসেনা। আজকাল লোনের সুবিধের জন্য অনেকেই লোন নিয়ে আসে। এটাও কি সাবজেক্ট তার ওপর নির্ভর করে। সায়েন্সে টাকা বেশি, আর্টসে জেনেরালি কম। মানে both in amount and number of such assistantships

    ৩) স্বাভাবিক জীবনযাত্রা- আমি তো ভালোই ছিলাম। খুব যে কৃচ্ছসাধন করতে হয়েছে একেবারেই না। আমাদের আগেকার জেনেরশনে পড়াশোনার সময় এর চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট করেছে। কিন্তু again এটা ডিপেন্ড করে - ক) প্রাওরিটি, খ) কোথায় আছে এবং গ) কত টাকা পাচ্ছে তার ওপোর। প্রচুর শয়তান মাস্টারমশাই আছে, এবং আমার চেনা সবকটাই বাঙ্গালী - যারা যাদবপুর/শিবপুর থেকে কম্পু সায়েন্সের ছেলেপুলেদের এনে নাম মাত্র অ্যাসিস্টান্টশিপ দিয়ে রাখে, তাদের বাধ্য হয়ে চারজনকে একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে হয়। এইজন্য ডিপার্টমেন্টাল বা ইউনি'র নিজের অ্যাসিসট্যান্টশিপ অনেক বেটার, তাতে ওরম ছিঁচকেপনা করতে পারেনা।
    আবার অনেকেই থাকে two-bedroom বাড়িতে ৬ জন থাকে এবং দই ভাত খেয়ে টাকা জমায়। প্রাওরিটি এগেন।
    কিন্তু আপনি যা বল্লেন সেরকম শুনিনি খুব একটা, যে পয়সা পাচ্ছেনা বলে সুপ কিচেন ইত্যাদিতে খেতে হচ্ছে। আর এখানে বাড়ি ভাড়া দিলে হিট দিতে লিগ্যালি বাধ্য।

    ৪) এই প্রশ্নটাও করেছিলেন বোধহয় - অফটাইমে চাকরি। ইন্ট্যার্ন্যাশনাল স্টুডেন্টদের অফ-ক্যাম্পাস চাকরি করা বারণ, কিন্তু লোকে করে থাকে - ইল্লিগ্যালি।
  • Jay | 90.200.160.252 | ২৪ জানুয়ারি ২০০৮ ১৪:১২395636
  • অক্ষ, চমৎকার লিখেছেন। অভিজিতের ঘটনাটা নিদারুন দু:খের- তবু ঐ সূত্রে (এই সুতোয়) কিছু নতুন জিনিস জানলাম।

    অভিজিতের ব্যাপারে ৪জনকে পুলিশ কাস্টডিতে নিয়েছে। ওদের বয়স ২০/১৯/১৪ এবং ১৪। বেশ নাটকীয় ভাবে (আজকের আজকালে)। তদন্ত দ্রুতগতিতে চলছে! এটা লেখার পড়ে কেমন হর্তা-কর্তাদের ফাটা কাঁসরের মত শোনাল। যে প্রানটা গেল সে তো গেলই।

    লিউসিয়ানা আর ডিউকের ঘটনা নিশ্চই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমি অন্য ট্রেন্ডটা জানতে চাইছিলাম- ভারতীয় ছাত্রদের আসার, আরও বেশী সংখ্যায় আসা- তাদের আশা/ আকাঙ্খা ইত্যাদি ইত্যাদি। সবটাই পিকচার পোস্টকার্ড কিনা। অক্ষ, আবারও ধন্যবাদ। অন্যরাও লিখুন, যাদের কাছের লোকেরা এসেছেন,কিন্তু নিজেরা নন- তাঁরাও-আপনাদের চোখে।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:৩১395637
  • অভিজিতের ব্যাপারটায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রচুর গোঁজামিল আর গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। তবে যেহেতু ঘটনাটা এখন ধামাচাপা পড়ে গেছে, তাই হইচই হচ্ছে না।
  • Shuchismita | 141.218.214.156 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৫:১২395638
  • পুলিশ কিছু করেনি এটা কিন্তু একটা রিউমার। পাঁচদিনের মধ্যে অপরাধী ধরা পড়েছে। ইন্ডিয়ান এমব্যাসির লোকেরাও খুবই সাহায্য করেছে সব ব্যাপারে।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৬:০৯395639
  • গুজব না, শুরু থেকেই দৌড়োদৌড়ি করছে এরকম একজনের কাছ থেকেই শুনলাম (এই ছেলেটি অভিজিতের অন্যতম ঘনিষ্ট বন্ধু, মৃত্যুসংবাদও ওর মারফতই অভিজিতের পরিবারে পৌঁছায়)।
    এইসব ব্যাপারে খবরের কাগজগুলো অনেক আজেবাজে ও ভুল খবর দেয়। গুজব ছড়ানো খুব সহজ। তাই সেগুলো বাদ দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে এমন লোকজনের কথাই শোনার চেষ্টা করছি।
    মিতাদি এই ব্যাপারে আরো ভালো বলতে পারবে। পুলিশের রিপোর্টে অনেক অসঙ্গতি ছিলো, অনেক বিতর্কও হয়েছে শুনলাম। পুরো ব্যাপারটা ভালো করে জানতে পারলে তবেই লিখবো।
  • Shuchismita | 141.218.214.156 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:০১395640
  • আমিও কিন্তু প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থেকে সবার সাথে কথা বলে সব কিছু ব্যবস্থাপনা করেছে এমন একজনের থেকেই শুনেছি যে পুলিশ যথেষ্ট সাহায্য করেছে। অবশ্য কোনটা যথেষ্ট আর কোনটা যথেষ্ট নয় তা নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে।
  • Tim | 204.111.134.55 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৮:১৮395641
  • সাহায্য নিয়ে কিন্তু অভিযোগ আমিও শুনিনি, তদন্তে গাফিলতির কথা আর বিতর্কিত স্টেটমেন্টের কথাই বেশি করে শোনা গেল। এমব্যাসি অনেক সাহায্য করেছে, এটাও ঠিক। তবে সবই শোনা কথা।
  • Du | 67.111.229.98 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০০:১১395644
  • অক্ষর লেখায় একটা ইম্পর্ট্যান্ট পয়েন্ট - সিনেমায় দেখা । সিনেমা, আমার মতে যে কোন অন্য উন্নত দেশের থেকে আমেরিকাকে বেশি হেল্প করেছে , মানুষকে আকর্ষণ করতে।
  • a x | 192.35.79.70 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:১০395645
  • এইয্‌যাহ আমি সিনেমায় দেখা কি লিখেছিলাম এই থ্রেডে?
  • Du | 67.111.229.98 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০৩:০৫395646
  • সরি অক্ষ গুলিয়েছি, তুমি ইথিয়োপিয়ান ছেলের কথায় টিভির কথা লিখেছিলে আসলে। তাড়াতাড়িতে পড়ে অন্য মানে করেছি।
  • Suvajit | 58.168.42.141 | ০৮ মে ২০০৮ ১৯:২৭395647
  • এই খবর দুটো এই টইতে থাক। http://www.anandabazar.com/8bdesh3.htm
    আর http://www.anandabazar.com/8bdesh5.htm
    ব্রিটেনের ব্যাপারটা সম্পর্কে অরিজিত বলতে পারবে, তবে মেলবোর্নে গত কয়েকমাস ধরেই এরকম ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগে একজন ভারতীয় ছাত্র কাম ট্যাক্সিচালককে মৃতপ্রায় অবস্থায় পাওয়া গেছিলো। তাই নিয়ে ট্যাক্সিচালকেরা রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করেছিলো। স্থানীয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এই নিয়ে যথেষ্ট সোচ্চার হচ্ছে না এমন অভিযোগও উঠেছে। বলা হচ্ছে যে এরকম যদি কোনো চীনা সম্প্রদায়ের ব্যক্তির সংগে ঘটত, অস্ট্রেলিয়ার চীনা সংবাদমাধ্যমগুলো সরকারের ওপর এমন চাপ সৃষ্টি করত যে সরকার ইমিডিয়েট অ্যাকশন নিতে বাধ্য হত। কিন্তু ভারতীয় কম্যুনিটি, সংবাদমাধ্যম, এমব্যাসি সবই ল্যাদখাওয়া। তাই এই 'বর্ণবিদ্বেষমূলক' ঘটনাগুলো লাগাতার ঘটেই চলছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন