এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • নতুন সিনেমা - মানে, নিউ রিলিজ

    omnath
    সিনেমা | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ১৬৪১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৫০394187
  • না এটা নিউ রিলিজ নয়। টিভিতে যেসব সাউথের ডাব করা সিনেমা আসছে তারই একটার গল্প। আবেগের তোড়ে, কোথায় আর রাখবো, এখানেই ছাড়লাম।

    আপনারা এসব সিনেমা দ্যাখেন না জানি। কিন্তু কেন দ্যাখেন না জানিনা। ফাটাফাটি এমন সব সিনেমা, আমি তো না দেখে থাকতেই পারিনা। যেমন ধরুন কাল ই হচ্ছিল 'দ্য সুপার খিলাড়ি'। জুনিয়ার এন টি আরের।

    জুনিয়ার এন টি আর কে চেনেননা? সে এক দামাল দস্যি হিরো। ছাপ্পান্ন ইন্চি কোমর আর গাবলু গুবলু মোটাসোটা চেয়ারা তো কি হয়েছে। শত্রুর সাথে মোকাবিলায় তার দুই হাতে নেমে আসে বজ্রের শক্তি। খান খান হয়ে যায় ভিলেন। সিমপ্লি উড়ে যায়। একজন দুজন তিনজন নয়, একসাথে হাজার লোকের মহড়া নিতে পারে এই এন টি আর।

    সিনেমার গল্পটা খুব ইন্টারেস্টিং। মন দিয়ে পড়বেন।
    ক্রিশ(এন টি আর) হচ্ছে বড়লোকের ছেলে। ছোটখাটো বড়লোক না। বিশাল বড়লোক, টাটা বিড়লারা যেমন। এমনিতে খুব শান্তশিষ্ট, গোপাল টাইপের। কিন্তু বন্ধুদের জন্য জান লড়িয়ে দেয়। রেগে গেলে বিশাল ভয়ানক। কলেজে পড়ে। ম্যারিটাল স্ট্যাটাস-সিঙ্গল। তবে একটি প্রেমিকা আছে, নাম ইন্দু (সামান্থা)। খুব শিগ্গিরি, মানে মেয়ের বাপ মা রাজি হলেই ওরা বিয়ে করবে। ইন্দুর একজন বান্ধবী আছে নাম ভূমি (কাজল আগরওয়াল)। এমনিতে সব খুব সুন্দর চলছিলো। সিনেমা বানানোর কোন প্লট পাওয়া যাচ্ছিল না।

    কিন্তু ভূমি একদিন প্রড়লো ফ্যাসাদে। ভূমি খুব ব্রিলিয়ান্ট মেয়ে। রিসার্চ করবে বলে বাইরে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভূমির বাপ চায় মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। তাও একটা গুন্ডার সাথে। ভূমির বাপ আবার যে সে না, প্রকাশ রাজ। একটা পুউরো গ্রামের প্রায় মালিক গোছের। অনেক সম্পত্তি। বিশাল প্রতাপ। কেউ মুখের উপর কথা বলতে সাহস পায় না। ভূমি আর ভূমির দাদু মিলে যুক্তি করে প্রকাশ রাজ কে বোঝালো ভূমির তো প্রেমিক আছে, শহরে, আয়দ্রাবাদে। তাই এই বিয়ে নাকচ করা হোক। ভূমির বাপ এদিকে কথা দিয়ে ফেলেছে ছেলের বাপকে আর জানেই না যে ছেলেটা গুন্ডা। তাও মেয়ের মুখ চেয়ে ওর প্রেমিক কে গ্রামে ডেকে পাঠালো। আসল উদ্দেশ্য হল ভুমির প্রেমিক কে নরমে গরমে ভাগিয়ে দেওয়া। এদিকে ভূমির তো প্রেমিক ই নেই। কী হবে?

    এই বিপদে এগিয়ে এলোএন টি আর ক্রিশ। ঠিক স্বেচ্ছায় নয়। ইন্দুই অনুরোধ করলো ক্রিশ কে ভূমির এই বিপদের সময়ে তার প্রেমিক সেজে পাসে দাঁড়ানোর জন্য, গ্রামে যাবার জন্য।

    এই ফাঁকে ভূমি আর ভূমির ফ্যামিলি নিয়ে আর একটু বলে নি। সিনেমার শুরুতে দেখা যায় ভূমি সবসময় মুখ লটকে আছে। জীবনে খুব দুঃখে আছে। কারন ওর বাবা প্রকাশ রাজ ওকে সস্নেহে 'বেটি' বলে ডাকে না। প্রকাশ রাজের বৌ মারা যাবার পর থেকেই এমনতর চড়া মেজাজে থাকে। ভূমি আসলে ওর বাপের স্নেহের জন্য পাগল, তাই নাকি ওমন দুঃখু। প্রকাশ রাজের এক ভাই আছে, যাকে সে ভাই বলে স্বীকার করে না। ওর বাবার অবৈধ সন্তান। দু ভাইয়ে প্রবল বিরোধ। প্রকাশ রাজের ভাই, অন্য গ্রামের অধিপতি। কেউ কারুর মুখ দেখতে রাজি নয়। ভূমির বাড়িতে ভূমির দাদুই একমাত্র যে ভূমির খুব কাছের। দাদু চায় তার দুই ছেলের বিবাদ মিটে যাক। তা যে হবার নয় তাও সে জানে। প্রকাশ রাজের আর দুই মেয়ে আর নিকম্মা দুই ঘরজামাই আছে। সারাদিন বসে শুদু তাস দাবা এইসব খেলে। কেউ ওদের পোঁছেনা।

    কেমন প্লট। ইন্টারেস্টিং না?

    সিনেমাটা আপনারা দেখবেন না ধরে নিয়ে হাইলাইট গুলো বলছি।

    ক্রিশ ভূমির প্রেমিক সেজে প্রকাশ রাজের রাজ্যে এলো। ভূমি আর ভূমির দাদু ছাড়া কেউ ক্রিশের আসল পরিচয় জানেনা। সবাই ভেবেছিলো ক্রিশ কে ঝামেলায় ফেলে দেবে। কিন্তু শান্তশিষ্ট গোপাল ক্রিশ তার অপূর্ব সুন্দর ব্যবহারে ফটাফট প্রথমেই ভূমির দিদ্দের মন জয় করে নিলো। আর কুঁড়ের বাদশা দুই জামাইকে দিলো পি কে ব্যানার্জির ভোকাল টনিকে। টনিকে অস্থির হয়ে তারা তাস দাবা ছেড়ে মাঠে কাজ করতে দৌড়ালো। সবাই একেবার মোহিত। খুব টাচি সিন। বিশেষ করে সারাদিন মাঠে খেটে এসে এক জামাই হাতপা ধুতে ধুতে যখন বলবে- 'আপনার আলুর খেতে তো জল দিয়ে এসেছি পুরোটা, কিন্তু মূলোখেতটায় সবটা দিতে পারিনি। কাল দিয়ে দেবো'। আরেক জামাই তখন মুখ মুছতে মুছতে বলবে-'দাদা, আপনার গম ক্ষেতের মজুর দের মধ্যে দুজন আজকে আসেনি। ওদের মাইনে দেবার সময় ঠিক করে দিন গুনে দেবেন'। আনন্দে সবার চোখে জল। ভূমির দুই দিদি তখন জানলা ধরে অঝোরে কাঁদছে, আনন্দে।

    তো ক্রিশ এমনি করে একে একে প্রায় সবাইকে পটিয়ে ফেললো। বাকি রইলো কেবল ভূমির বাপ। সেও বা বাদ থাকে কেন। পট করে পটে গেলো। তখন যে গুন্ডাটার সাথে বে দেবে বলে বলেছিল সে রেগেমেগে এসে ভূমির বাপের কলার ধরে চ্যাঁচামেচি শুরু করতে ক্রিশ এসে তার পাছায় কসে এক লাথ মারলো। গুন্ডাটা গজরাতে গজরাতে বাড়ি চলে গেলো। আর ভূমির বাপ পুরোনো শত্রুতা ঝেড়ে ফেলে তার ভাইয়ের সাথে কোলাকুলি করতে চলে গেলো। সেও এক আবেগঘন দৃশ্য। প্রকাশ রাজ তার ভাইয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে হাঁক পাড়লো, 'ভাইইইইইই'। আর ভাই আনন্দে খুশীতে হাতের তরোয়াল ফেলে দিয়ে কেঁদে ককিয়ে একশা। ক্রিশ কৃষ্ণের মত বাঁশী দুলিয়ে নাচতে লাগলো, পিছনে বাহারী আবিরের ফোয়ারা। সে এক সুখের সংসার, খুশীর সমাহার।

    এমন সময় দুইখানা সর্বনাশ হয়ে গেলো।

    প্রথম সর্বনাশ
    ক্রিশের আসল প্রেমিকা, ইন্দু, ঘরে ফিরে দেখে তার বাবা আসলে ভুমির বাবার ভাই। মানে বাবাকে সে ঠিক ই চিনতো, কিন্তু ভুমির বাবা আর তার বাবা যে ভাই ভাই এইটা নাকি সে জানতো না। ক্ষি কান্ডো!! দুই পরিবার যখন মিলনের আনন্দে নাচানাচি করছে তার ই মাঝে সে চলে এসেছে। ইন্দুর বাবা এখন ইন্দুর বে দেবে বলে ব্যাস্ত্য। ভূমির বাপ ও ভূমির সাগাই করাবে বলে ক্রিশের বাপ মাকে আসতে বলেছে। এবার কী হবে?
    ক্রিশ তখন তার বাব মা ভাড়ায় নিয়ে এলো।
    আর ইন্দু মিথ্যেমিথ্যি বললো তার প্রেমিক তাকে ধোঁকা দিয়ে পালিয়েছে।

    এই রকম ই তালে গোলে সব ই মিটে যাচ্ছিলো ভালোয় ভালোয়।

    এমন সময় দুই নম্বর সর্বনাশ ঘটলো। ভূমিও ক্রিশের প্রেমে পড়ে গেলো। গভীর প্রেমে। না পারে কইতে, না পারে সইতে, সে এক জটিল পরিস্থিতি। কিন্তু চাপতে চাইলেই কি চাপা যায়। ইন্দু ঠিক বুঝতে পেরে গেছে। দুজনে মিলে গিফট অফ ম্যাজাই, গিফট অফ ম্যাজাই খেলতে লাগলো। ভূমি সাগাই এর আংটি খুলে ইন্দুকে দিয়ে বলে, 'এই নাও বোন, তোমার ক্রিশ আমি তোমায় দিলাম'। ইন্দু আবার ঐ আংটি ভূমিকে ফিরিয়ে দিয়ে বলে, 'না না বোন, তোমার ক্রিশ কে তুমিই রেখো'। ক্রিশ, তেরা কেয়া হোগা কালিয়া???

    এরপর গুন্ডাটা এসে সব ফাঁস করে দিলো এ আসলে সাজানো প্রেম প্রেম খেলা। শুনে রেগে গিয়ে ইন্দুর বাপ আর ভূমির বাপ দুজনে মিলে ক্রিশ কে একটু কেলিয়ে দিলো। আর ঐ বাপেদের বাপ এসে ক্রিশের আসল পরিচয় জানিয়ে দিতে দুজনে আবার খুশী। ক্রিশ ও উঠে গুন্ডাটাকে একটু আড়ং ধোলাই দিয়ে দিলো।

    প্রায় শেষ। শুধু ক্রিশের বিয়ে টা বাকি। কার সাথে হবে? ইন্দু আর ভূমি দুজনেই তো মনে প্রানে চায় ক্রিশ কে। ইন্দুর বাপ আর ভূমির বাপ দুজনেই ক্রিশকে জামাই হিসেবে দেখতে চায়? তাহলে কি.............. হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন। নিতান্তই পরিস্থিতির চাপে .............. বাধ্য হয়েই ..............ক্রিশ শেষ পর্যন্ত দুজনকেই..............

    সাউথের সিনেমায় সবই হয়।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৫:৫৯394188
  • 'সুপার খিলাড়ি'ই বটে। দুখান বিয়ে যখন করেই ফেলল
  • শ্রী সদা | 127.194.214.71 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৩১394189
  • নেতাইদাকে চার বোতল গ্লেনফিডিচ। এক বোতল এই লেখাটার জন্যে, আর বাকি গুলো এই সিনেমা শেষ অব্দি বসে দেখার জন্যে! কুডোস !
  • de | 190.149.51.69 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৩৬394190
  • দারুণ, নেতাই !! গিফ্ট অব ম্যাজাই(২) খেলে সেশে একজনকেই বে'!
  • Kaju | 131.242.160.180 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৩৮394191
  • গিফট অব দ্য ম্যাজাই
    বল্‌ কার মন ভেজাই
    ধড় মুড়ো ফেলে শেষে
    সাবাড় করি ল্যাজাই
    ------------------------------ অ-কবি অ-নেতাই
  • নেতাই | 131.241.98.225 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৫২394192
  • একজন কোথায় দেদি, দুজনকেই তো।
    সিনেমাটার আসল নাম বৃন্দাভনম
    http://en.wikipedia.org/wiki/Brindavanam_(film)

    সদা, সিনেমাটা ভালোই লেগেছিলো। আরো কিছু ডাব করা সিনেমার নাম বলছি যেগুলো ভালো লেগেছে,
    ১ ইন্দ্র দ্য টাইগার (নাগার্জুন)
    ২ ডন নম্বর ওয়ান (নাগার্জুন)
    ৩ জিগর কালিজা (মহেশ বাবু)
  • শ্রাবণী | 134.124.86.85 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৬:৫৮394193
  • এই গুলো রেগুলার দেখতে দেখতে একসময় হিন্দি সিনেমার রিভিউ লেখার জন্য দেখবি সিনেমা রিলিজ হওয়ারও দরকার হচ্ছেনা!:))
  • de | 190.149.51.69 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:০০394194
  • মেয়েদুটো তো একজনকে বে' কল্লো --

    এখনো এম্নি সিন্মা হয় ঃ)))
  • de | 190.149.51.69 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:০১394196
  • ঠিক শ্রাবণী -- কবে দেখবো নেতাইই সিনেমা বানাচ্চে ঃ))
  • শ্রাবণী | 127.239.15.101 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:১৭394197
  • হ্যাঁ, আর আমাদের ফিরিতে টিকিট দিচ্ছে ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শোর...........আর আমরা নিতাইয়ের ফোনের ঘন্টি অথবা দরজার নক শুনলেই খাটের তলায় লুকিয়ে পড়ছি!
    শুধু রুবিটা.....
  • siki | 96.96.163.11 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:২৩394198
  • নেতাই একঘর! এমন রিভিউ পএহে আমার সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।
  • kc | 204.126.37.78 | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ ১৭:৪৬394199
  • শিনিমাটা মাঝে মাঝেই স্টার গোল্ড দেখায়। নেতাই কথিত ওই তিনটে শিনিমাই স্টার গোল্ডে দেখায়। মাসে একবারতো বটেই।
  • তালাশ | 127.194.192.62 | ০২ ডিসেম্বর ২০১২ ০১:০৯394200
  • তালাশ নিয়ে বলার বিশেষ কিসুই নাই, কারণ কিছু বললেই সেটা স্পয়লার। তালাশ একজন পুলিশ ইন্স্পেক্টরের ছবি এবং একজন বাবার - একজন স্বামীর - যারা একে অন্যের সাথে মিলেমিশে, কারণ, প্রকৃতপ্রস্তাবে তারা একই লোক। অথচ তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব অনন্ত। মানুষটিকে অহর্নিশ ক্ষতবিক্ষত করে এই দ্বন্দ্ব। প্রভাব পড়ে তার স্ত্রীর জীবনে। যেভাবে স্ত্রীর মানসিক অসহায়তা ও অনুভূতির তাপ-উত্তাপের প্রভাব পড়ে তার উপরেও। এটাই সিনেমার মূল বিষয় হতে পারত। হল না। হলে অবশ্য নতুন কিছু হত না। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনে পুলিশের চাকরি করতে আসা মানুষেরা কীভাবে দীর্ণ থাকেন, তা বহু সিনেমায় এসেছে, মূল বিষয় হয়ে বা সেকেন্ডারি, টার্শিয়ারি লেভেলে। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে "শয়তান"। তো, এটা তালাশের একটা সাবস্টোরি, যে মিনিট-পনেরোর-গলিতে রাণী মুখার্জি রয়ে গেছেন।
    পুলিশ ইন্সপেক্টরের জন্যে আর কমার্শিয়াল সিনেমার দর্শকদের জন্য রয়েছে একটা মিস্ট্রি। অস্বাভাবিক মৃত্যু, তার অনুসন্ধান, পরতে পরতে খুলতে থাকা সমাধানসঙ্কেত আর অনপরিচিত স্ক্রিপ্টে সে ক্রমোদ্ঘাটন। অনপরিচিত যদিও, তবু বলতেই হয়, খুব কমনও নয়। কারণ, এ ধরণের স্ক্রিপ্টে সাসপেন্স অসহ্য নয়। কি হচ্ছে শুধুমাত্র সত্যানুসন্ধানীর চোখ দিয়ে দেখতে দেখতে একেবারে অপরিচিত পৃথিবীর শেষ করিডোর দিয়ে একের পর এক বিশাল বিশাল ভারি দরজা খুলতে খুলতে যাওয়ার অনুভূতি দর্শকের অভিজ্ঞতা হয় না। আবার মূল ঘটনা পুরোটা জেনে, পুলিশপুঙ্গবটির অসহায় অনুসন্ধানপ্রয়াস উপভোগ করার উঁচু টুলটিও এখানে অনুপস্থিত। কিছু জিনিস দর্শক আগে জানেন পরে পুলিশ। কিছু জিনিস জানতে পুলিশটির জানা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় দর্শকদের। এভাবে সাসপেন্স ও থ্রিলারের জঁরদুটিকে খল-নোড়ায় বেটে বানানো স্ক্রিপ্ট - একেবরে অপরিচিত নয় যদিও, তবু, যেমন বলেছি, খুব কমনও নয় অবশ্যি। তো, এই থ্রিলার জমানোর মিনিট-পনেরোর-গলিতে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি আর কিছু তত-পরিচিত-নয় মুখ দাঁড় করিয়ে সাসপেন্স ভাঙাগড়ার রাজপথে ঘন্টাখানেক আমির খান দাপিয়ে বেড়ালেন তাঁর অনম্য কুঁচকে থাকা ভ্রুযুগলে, তাঁর চকোলেট মুখের বেয়াড়া গোঁফস্থাপত্যে, তাঁর সযত্ননির্মাণ রাফনেসে, যদিও মাসল ফোলানো একটি থাপ্পর ছাড়া ভক্তরঞ্জনে উচ্চকিত হিরোইজম দেখানোর প্রোভোকেশনে পা দেননি শেষ পর্যন্ত।
    বাকি পঁয়তাল্লিশ মিনিটের আধঘন্টা করিনা নিয়েছেন যৌবনে, আবেদনে, ডায়লগে, থ্রিলার সাসপেন্সের ফাঁক সেলাই করতে, পরিচালক নিয়েছেন রিক্যাপিচুলেশন-রিমাইন্ডারে দর্শককে কি থেকে কি হইয়া গেল বোঝাতে।

    তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি শেষ পনেরো মিনিট অসহ্য। যেভাবে গুটিয়ে আনা হল পুরো ঘটনা পরম্পরা আমার দৃঢ় বিশ্বাস ফারহান আখতারের ওভার ক্রিয়েটিভ পাকামোর সাবোটাজ ছাড়া এ আর কিছু নয়। এর বেশি কিছু বললে আবার স্পয়লার অ্যালার্ট দিতে হবে, তাই ক্যামেরা এডিটিংয়ের প্রশংসা করেই থামি। লিখিত থাক, সামগ্রিক কাস্টিংয়ের হেভিওয়েটের তুলনায় তালাশের সিনেম্যাটিক ইম্প্যাক্ট খুব সাংঘাতিক কিছু লাগল না। বিগত তিন-চারটে আমীরি মুভির তুলনায় বেশ কম। ব্যবসার সংখ্যাতত্বে গেলে বলতেই হয় রিলিজ ডেটের কালেকশন অসামান্য কিছু নয়। দিন এগোতে এগোতে গল্পের স্পয়লার মুখে মুখে ছড়াতে থাকলে এ ছবি ক্যালকুলেটেড মানি রিটার্ন ও নির্ধারিত লাভের বাইরে পয়সা করবে মনে হচ্ছে না।
  • ব্যাং | 132.178.243.59 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:৩৯394201
  • অ্যাই, আবার তুমি আমাকে ঠকালে? ডিটেকটিভ সিনেমা বলে লোভ দেখিয়ে ভূতের সিনেমা দেখাতে আনলে!
    মোমবাতি জ্বলছে। এবার ছেলেটার ভূতটাকেও আনবে মনে হচ্ছে। উফ, বাঁচলাম। ছেলেটার ভূতটা নিজে আসে নি। লেডিটাকে দিয়ে ডিকটেশন লেখাচ্ছে নিজে ইনভিজিবল থেকে।
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    ও ও ও ! এবার বুঝেছি। ওটা পেত্নি ছিল! মানুষের থেকেও বেশি রিয়াল!!! পেত্নিটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভয় পাইয়ে মেরে ফেলত। কিন্তু পেত্নিটা গুড অ্যাট হার্ট। দেখেছ? ও কিন্তু যারা ওকে মরে যেতে দিয়েছিল শুধু তাদেরকেই মারছে। অন্যদেরকে চান্স পেলেও মারছে না। দেখেছ কেমন জলের নীচে গিয়েও হেল্প করে বার করে আনল। কিন্তু খারাপ লোকটাকে বার করল না। মরে যেতে দিল। ঐ দ্যাখো, ও পেত্নি বলে জলের নীচে ওর মুখ দিয়ে বাবল বেরোতে দেখাচ্ছে না। কিন্তু এ মানুষ বলে ব্রিদ করছে, তাই ওর মুখ দিয়ে জলের তলায় আছে বলে বাবল বেরোতে দেখাচ্ছে। কী সিনেমা! পেত্নি দেখিয়ে সায়েন্স বোঝাচ্ছে!!!
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    আচ্ছা, একটা কথা বলো? ঐ যে পেত্নিটা রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়িগুলো জলে ফেলিয়ে দিত, কিন্তু কেউ বুঝত না যে গাড়িগুলো কেন নিজে থেকেই জলে পড়ে যায় ঐ রাস্তাটা দিয়ে গেলেই, এটা কি বারমুডা ট্র্যাঙ্গলের মিস্ট্রিটা কপি করেছে?
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    .
    খুব বাজে সিনেমা এটা। ভূতে চিঠি লেখে। ভূতে খুন করে। ভূতে বাঁচায়। মানুষে ভূতের আংটি চুরি করে!! পুলিশ হয়েও!!! কী সিনেমা!!!

    (আপনারা এতক্ষণ পড়লেন তলাশ সিনেমার রিভ্যু। এক সাড়ে নয়বছরের দর্শকের মুখ থেকে শোনা এই রিভ্যু।)
  • SPOILER ALERT | 127.194.203.190 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:৪৭394202
  • মিষ্টি রিভিউ ও দারুণ স্পয়লার। সিনেমা রিলিজের এক সপ্তাহ পরে এল, এই যা। এখনও কেউ না দেখে থাকলে এই স্পয়লার পড়ে নিলেই আর দেখার প্রয়োজন পড়বে না।
    আমি যেমন কোনো রকম মিস্ট্রি বইয়ের গন্ধ পেলেই আগে শেষ পাতাটা পড়ি।
  • kc | 188.61.96.29 | ০৭ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:৫০394203
  • কালকে দেখব ভেবেছিলাম। পয়সা বেঁচে গেল।
  • মিষ্টি রিভিউয়ারের মা | 132.178.243.59 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:০৬394204
  • মোটেও না। খুবই ইন্টারেস্টিং সিনেমা। শেষটা না দেখলে রহস্যটা বোঝাই যায় না। সব্বাই খুব ভালো অভিনয় করেছে। বিশেষ করে করিনা কাপুর আর নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি। গল্পটাও খুব ইন্টারেস্টিং। দলে দলে গিয়ে দেখে আসুন। পয়সা মোটেও নষ্ট হবে না। আমি ওনার মা হয়ে অভয় দিচ্ছি, দেখে আসুন, নয়তো একটা ভালো সিনেমা মিস করবেন।
  • Ishan | 214.54.36.245 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০০:২০394205
  • তলাশ আম্মো দেখেছি, হ্যাঁ। শেষটা না দেখলেই ভালো হত।
  • rivu | 78.232.113.69 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০৭:১২394207
  • সবকটা রিভিউ ই অনবদ্য। নেতাই এর ভ্রিন্দাবনম এর রিভিউ পড়ে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গেছে।
  • aranya | 154.160.5.25 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০৭:৩৪394208
  • তালাশ আমার দিব্য লেগেছে, ডেফিনিটলি পয়্সা উশুল। এ ছবির বেশ ভাল ব্যবসা করা উচিত।
  • একক | 24.96.9.240 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১২ ০৭:৪২394209
  • এক বয়স্যের পিড়াপিড়ি তে "স্থানীয় সংবাদ " এর ৬ মিনিট দেখলুম । জঘন্য ।
  • pi | 78.48.231.217 | ১৬ মে ২০১৩ ১৭:৫০394210
  • মৈ ভৌ এর আমি ও আমার গার্লফ্রেন্ড্সের রিভ্যু। ইন্টারেস্টিং লাগলো। রিভ্যুটা। সিনেমাটা দেখিনি, তবে রিভ্যুর কিছু মতামত বেশ বিতর্কযোগ্য মনে হল।
    http://zeenews.india.com/bengali/entertainment/ami-aar-amar-girlfriends-preview_13365.html
  • AR | 30.139.67.50 | ১৬ মে ২০১৩ ১৮:২৯394211
  • আমি recently কান্চিভারাম দেখেছি ইউটুবে - অসাধারণ সিনেমা। পারলে দেখুন ভালো লাগবে।
  • cb | 99.231.125.36 | ১৬ মে ২০১৩ ২৩:৩৪394212
  • কেউ অর্জুন দেখলেন?
  • sch | 125.242.214.115 | ২২ মে ২০১৩ ০২:৪৯394213
  • হ্যাঁ, মাল্টীপ্লেক্সে দেখবেন না --এমনি হলে দেখুন - মালিপ্লেখে দেখলে গায়ে লাগবে
  • pi | 118.22.237.164 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ০৪:৪১394214
  • avik | 127.194.231.164 | ২৪ আগস্ট ২০১৩ ২২:২৬394215
  • সিনেমা তাসের দেশ
    পরিচালক - কিউ

    “ছক্কা। অর্থ? অর্থের কী দরকার। চাই নিয়ম। এটা বুঝতে পার না? পাগল নাক তোমরা!
    রাজপুত্র। খাঁটি পাগল তো চেনা সহজ নয়। চিনলে কী করে।“

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকের নিজস্ব একটি ঘরানা আছে। সিনেমাতে ধরা পড়েছে। ন্যরেটিভ নেই। বুনটের মধ্যে ন্যরেটিভ না থাকাটাই প্রাসঙ্গিক। বুনটি বলব না, হলে গিয়ে দেখে আসুন। রবীন্দ্রনাথ যতবার এসেছে, রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথই থেকেছেন, তা সে সংলাপ হোক, কিম্বা গানে। অনুব্রত ছাড়া সকলের অভিনয় সিনেমার “ঘরানা” সাথে যায়। ক্যামেরা এবং এডিটিং অসাধারণ। এডিটিং ধরন সা রে গা, রে গা মা, গা মা পা,...... বুনটের কৃতিত্ব ১০০ ভাগ পরিচালকের। আবার বলব, বুনটি বলব না, হলে গিয়ে দেখে আসুন। ভালো লাগা ভালবাসা সম্পর্ক “সুন্দর” সিনেমা দেখতে, দেখতে যদি হেজে গিয়ে থাকেন, তাহলে সোজা হলে গিয়ে সিনেমা দেখে আসুন।
    সিনেমাটি অসাধারণ, আমি মুগ্ধ, বলছিনা, কিন্তু হল থেকে বেরিয়ে আমার প্রথমেই মনে হল, বিশ্বভারতী থাবা সরানোর সুফল, দেরীতে হলে পেতে শুরু করেছি। সিনেমাটি অসাধারণ না হলেও, সাধারণ তা বলতে পারছিনা। তাসের দেশ বাঙলা, সিনেমার স্ট্রাকচারাল ব্রেক পয়েন্ট বলা যায়।
    “পঞ্জা। চালচলন দেখে।
    রাজপুত্র। কীরকম দেখলে।
    ছক্কা। দেখলেম, কেবল চলনটাই আছে তোমাদের, চালটা নেই।
    সদাগর। আর, তোমাদের বুঝি চালটাই আছে, চলনটা নেই? ...

    সদাগর। দেখছ ব্যাপারটা! লাল উর্দি, কালো উর্দি, উঠছে পড়ছে, শুচ্ছে বসছে, একেবারে অকারণে— ভারি অদ্ভুত। হা হা হা হা।“ (পরিচালক কিউ'র আগের সিনেমাতি(গান্ডু) আমার ভালো লাগেনি।)
  • indranil | 24.139.82.6 | ৩১ আগস্ট ২০১৩ ১১:৩৪394218
  • Taser Desh (Movie): Rabindra nath niye experimentation pochondo kori, kintu sukomolota ba quality baranor prochesta kothay........... jata bhabe loke ghas khay
    ei experimentation ar debabrata biswaser experimaentation ki ek............ puro ghete geche. Muktodhara artistically kom holeo tabu ami bolbo, ei cinema aro bigger domain e lokkhogun bhalo ekta positive phenomenon society te choray. Tasher desh baniye jadi pather panchali, 35 shots of rhum, talk to her er moto manobikota mukhi cinema banato tahole bujtam koljer dom ache. satti katha ebar ja rag hochee na...........ki je gayism ar lesbianism bojhe ........alk to her dekhuk age.................ekta lok sudhu ei bhabe somajke dekbe keno..... jore kore tag gulo anbe keno..... ja naturally ase..... tachara ekta global effecter katha bhabte hobe na. cannibal holcust cinema dekhe bolechilo ki guts kintu kota lok mone rekheche sudhu guts diye sob kichu hoyna
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন