এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম শতবর্ষ

    কল্লোল
    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০১৯ | ৮৬৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন | 236712.158.786712.23 | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১৪384387
  • কল্লোল'দার নিমন্ত্রণ উপেক্ষা করি সাধ্যিই কি। সেদিন অদ্ভুত ভাবে নানা কাজ পড়েছিল। তবুও গিয়েছিলাম। মিনিট ৫০ মত ছিলাম। সুমিত চট্টোপাধ্যায়, গৌতম বসু ও বিনয় চক্রবর্তী, শুভেন্দু দাশগুপ্তের কথা শুনলাম। পুরো অনুষ্ঠানে থাকা সম্ভব হয়নি। আজ ফেসবুকে দেখলাম। গান, কবিতা পাঠ হয়েছিল।

    জয়াদি'র কবিতা শোনা হল না। বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার সঙ্গে পরিচয় নেই। ওঁকে নিয়ে লেখা, আলোচনা হলে জানতে পারব।
  • PT | 236712.158.895612.118 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৩৬384388
  • সিএস | 236712.158.782323.11 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:০২384389
  • এটা আপতিক নয় যে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে দুজন কবিকে নিজের কবিতার ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় মনে করেছিলেন তাঁদের একজন একজন ছিলেন জীবনানন্দ আর একজন নজরুল। আলোক সরকারের লেখাতেই আছে মনে হয়, যে কবিতার জন্য জীবনানন্দের বাড়ীতে গেছিলেন, সাথে বীরেন্দ্রবাবু, তো তাঁকে দেখে জীবনানন্দ প্রভূত রেগে গেছেন (এই সাক্ষাৎটিতেই ছিল মনে হয়, যে জীবনানন্দ গামছা পরে দু'হাতে বালতিতে জল টেনে নিয়ে যাচ্ছেন ) কারণ ক'দিন আগে বীরেনবাবু একটি লেখায় জীবনানন্দের নামে কটু মন্তব্য করেছেন ! বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অনেক বুঝিয়ে জীবনানন্দকে শান্ত করেন যে, না উনি জীবনানন্দকে এবং তাঁর লেখাকে পছন্দই করেন !

    এই ঘটনাটিকে ইনস্ট্রাকটিভ মনে করি, কারণ পঞ্চাশের দশকে তরুণ কবিরা যখন জীবনানন্দকে খুঁজে নিচ্ছেন - তাদের আগের প্রজন্ম যারা, ধরা যাক কমলকুমারদের প্রজন্ম, তাঁরা অনেকেই জীবনানন্দকে বিশেষ পাত্তা দিচ্ছেন না, সুধীন দত্ত বা বিষ্ণু দে-র কবিতাই তাঁদের কাছে বেশী মূল্য পাচ্ছে - সেই সময়ে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, যিনি ঐ তরুণদের দলে পড়েন না, তিনি কিন্তু জীব্নানন্দকেই পছন্দ করছেন, যদিও বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রধাণ কবিতাগুলি, অন্তত ষাট দশক পরবর্তী কবিতাগুলি পড়ে মনে হতে পারে তিনি হয়ত জীবনানন্দের থেকে দূরের কবিই হবেন। কিন্তু আমার ধারণা দু'জনের মধ্যে সখ্যতা ছিলই যেটা ব্যাখ্যা করা যায়, কবিতায় সূর্য আর তপতী - এই দুটি বিষয়কে নিয়ে দ্বন্দের প্রেক্ষিতে। জীবনানন্দের লেখায় সূর্য আর তপতীর যে দ্বন্দ (এখন তপতীকে নিয়েই কবিতা লিখছেন, পরে কোনদিন সূর্যাশ্রায়ী হবেন ব'লে, চল্লিশের দশকের কোনো একটি লেখা বা চিঠিতে জীবনানন্দের এরকম একটি মন্তব্য ছিল), তো সেই দ্বন্দ কাটিয়ে উঠে সূর্যাশ্রয়ী হওয়ার ব্যাপারটি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় ঢের বেশী করে এসেছিল। অবচেতনা থেকে সুচেতনার দিকে যাওয়া (জীবনানন্দের কবিতাতেও সুচেতনা নামটি বা ধারণাটি একাধিক বার এসেছে, আর উল্টোদিকের 'অন্ধকার' কবিতাটি তো আছেই), এই যাত্রাটিকে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখার সাথে মিলিয়ে পড়ে ফেলা যায়, প্রথম দিকের প্রায় স্বপ্নপ্রতিম কবিতাগুলি থেকে পরবর্তী কালের প্রতিবাদী কবিতাগুলিতে পৌছতে উপায় হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন সমসময়ের বাস্তব পরিস্থিতি, অসাম্য, পীড়নের আতঙ্ক আর রাজনীতি। আধুনিক কালের একজন কবির দ্বন্দকে তিনি হয়ত মেলাতে চেয়েছিলেন সমসময়কেই কবিতায় ব্যবহার করে, এড়িয়ে না গিয়ে, ক্রমশঃ কবিতায় প্রতিবাদী চরণের ব্যবহার করে (নজরুল হয়ত এই জন্যই ওনার আর একজন কাছের কবি), ফলে যদিও কিছু কবিতা শ্লোগান হয়েছে কিন্তু 'অন্ন' নামের কবিতাটিতে ঐ প্রতিবাদই প্রায় স্তোত্র হয়ে ঊঠেছে ! সব মিলিয়ে মনে হয়, বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আর মণিভূষণ ভটাচার্য , এই দুজনেই ষাট-সত্তরের দুই প্রধান কবি যাঁরা প্রতিবাদ আর রাজনীতির সাথে কাব্যকে কিছুটা হলেও সার্থকভাবে মেলাতে পেরেছিলেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন