এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কি ভাবছি আজ- ঃ বাঘ এবং পরিবেশের মধ্যে বন কর্মীদের জায়গাটা ঠিক কোথায়? এ নিয়ে আলোচনা।

    Somnath Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ | ২৭৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath Sengupta | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:১৭380811
  • কি ভাবছি আজ-৬১
    কয়েক মাস আগে ‘অবনী” ওরফে টি-১ নামের একটি বাঘ- হত্যাকে কেন্দ্র করে বেশ হৈচৈ হয়েছিল , আপনাদের মনে থাকতে পারে। ব্যাপারটা সুপ্রীম কোর্ট অব্ধি গড়ায়। পরিবেশবিদ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিশিষ্ট লোকজন এর জন্য স্থানীয় প্রশাসন, খনি মাফিয়া, এলাকার শিল্পপতিদের দায়ী করেছেন। অন্যদিকে, মানুষ-খেকো বাঘটিকে মেরে ফেলা কতখানি প্রয়োজনীয় ছিল, তানিয়ে পাল্টা বিতর্ক কম নয়। মুখপুথির দুনিয়াও এই ঘটনায় দুভাগে ভাগ হয়ে যেতে দেখেছি। এ নিয়ে বন- কর্মীদের পাল্টা দোষারোপ করেছন অনেকেই। তাদের অপদার্থতার জন্যই নাকি বাঘটিকে জীবিত অবস্থায় ধরা যায়নি।
    আমার এই লেখার প্রসঙ্গ অবশ্য বাঘ বা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নয়, সে বিষয়ে অনেক রিম ইতিমধ্যেই খরচ হয়ে গেছে। আমার বিষয় বন কর্মীরা। কয়েকটা ঘটনাক্রমে প্রথমে চোখ বোলালেই ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।
    প্রথম চরিত্র রবীন্দ্র সিং জাচপেলে। রবীন্দ্র নাগজিরা ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং কানহা ব্যাঘ্র প্রকল্পে কর্মরত একজন অফিসার। এই দুই অরণ্যের মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করিডর পাহারা দেওয়া তার কাজের মধ্যে ছিল। ২০১৭ সালের ২০শে মে রাতে এক রুটিন নৈশ পরিক্রমার সময় রবীন্দ্র লক্ষ্য করলেন, অন্ধকারের মধ্যে। দুজন লোক জঙ্গলের ভিতর অত্যন্ত মূল্যবান “টিক’ গাছ কেটে চলেছে নির্বিচারে। তিনি সাথে সাথে লোকদের গ্রেপ্তার করলেন, তাদের সাথে নিয়ে আসা মোটরসাইকেলটিও হেফাজতে নিলে্ন। কিনতু, তিনদিন পরে, ২৩শে মে রাত্রে যখন আবার তিনি ঐ রকম নৈশ পরিক্রমায় বেরোলেন, এবারে আর ফিরে এলেন না। পরের দিন সকালে একটা শুকনো নালার ধারে তার রক্তাক্ত মৃতদেহটা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। জঙ্গলে ছড়িয়ে থাকা যে ব্যাপক প্রাকৃতিক ও প্রাণীজ সম্পদ- তাদের লুটেরারা অনেক ভয়ংকর। বাঘ , অরণ্য বা প্রকৃতিকে আমরা সকলেই ভালোবাসি কিন্তু তাদের রক্ষা করতে যে পদাতিক সৈন্যরা তাদের জীবন বাজি রাখে – এই লেখায় তাদের কথাই সংক্ষেপে বলব।
    বালিখাদানের লড়াই নিয়ে বোধহয় অনেকেই অবহিত আছেন । নির্মাণ শিল্পের এই বাড়বাড়ন্তের মাঝে, ভারতে যে পরিমাণ কংক্রিট লাগে তার জন্য দেশের ৫০ কোটি মেট্রিক টন বালি প্রতি বছর খাদান থেকে তোলা হয়। এবং এটা যেটা বৈধ ভাবে (লাইসেন্স নিয়ে) খনন করা হয়। অবৈধ খননের ব্যবসাটা আরো বড়। একটু পুরোন মানে ২০১৫-১৬ সালের একটা হিসেব পাচ্ছি যেখানে ২০১৫-১৬ ঐ বছরে ১৯ হাজারেরও বেশী অবৈধ বালি খাদানের ঘটনা জানা গেছে।
    ৫ই মার্চ , ২০১৬। চম্বল বন্য প্রাণী সংরক্ষণ কেন্দ্রের কাছে চম্বল নদীর ধারে পুরানা চৌকি পুলিশ থানার কাছে কয়েকটা অবৈধ বালি খননের ট্রাক্টর দেখতে পায় মধ্যপ্রদেশ পুলিশ ও বন কর্মীদের একটা ছোট যৌথ বাহিনী। তাদের মধ্যে একটা ট্রাক্টরের চালক লালা গুজ্জর নামে একজন, ৩ নং জাতীয় সড়ক (আগ্রা- মুম্বাই) ধরে ট্রাক্টর নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন, ঐ দলের মধ্যে থাকা নরেন্দ্র কুমার নামের একজন বেপরোয়া রেঞ্জার ট্রাক্টরটির উপর উঠে পড়ে তাকে থামানোর চেষ্টা করে। মরিয়া হয়ে লালা তাকে ধাক্কা মেরে ট্রাক্টর থেকে নীচে ঠেলে ফেলে দেয় এবং ঐ ট্রাক্টরের নীচে নরেন্দ্রকে পিষে ফেলে। লালার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা আনা হয়েছে।
    দৌলতরাম লাদের নিজের স্ত্রীর পুষ্পর সাথে রাতের খাবার খাচ্ছিল। হঠাত দরজায় তীব্র করাঘাত। দৌলত দরজা খুলে আগন্তুকের সাথে কথা বলতে দরজার বাইরে পা দিল। ঘন্টাখানেক বাদে বাড়ি থেকে ঠিক ৪০ ফুট দূরে নলিকাটা অবস্থায় পাওয়া গেল দৌলতকে। ২০শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭র ঘটনা, স্থান ছত্রিশগড় রাজ্যের ধর্মজাইগড় ফরেস্ট ডিভিশনের লাইলুঙ্গা। যেখানে খুন করা হয়েছিল সেটা পুলিশ থানার সামনেই। দৌলতরামের অপরাধ ছিল পাথরের স্থানীয় অবৈধ খাদানগুলো বন্ধ করতে তৎপর হওয়া। এঁর কয়েকদিন আগেই কেলো নদীর ধারে পাথর বোঝাই একটা ট্র্যাক্ট্ররকে হাতে নাতে ধরে ফেলে সে। সরকারী নথি অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ১৭’র মধ্যে দৌলতের নজরদারী প্রায় ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার জিনিস বাজেয়াপ্ত করে, সরকারের কোষাগার ভরেছিল। ধর্মজাইগড় আর রায়গড়ের মধ্যে যেসব পাথরের ক্রাশার আছে সেগুলো সবই মাফিয়া সিণ্ডিকেটের আশ্রয়ে চলে। তাই , স্বাভাবিকভাবেই দৌলতকে সরিয়ে ফেলা খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
    আরো কিছুদিন আগে, ২০১৪-র ১৪ই জুলাই, নবি মুম্বাইয়ের কালোয়া ফরেস্ট এলাকায় অরণ্য এলাকায় অবৈধ নির্মাণের প্রতিবাদ করতে মৃত্যু হয় বুধাজী যাদবের। গঙ্গা প্রসাদ গুপ্তা নামের একটি লোক যে ঐ সংরক্ষিত এলাকায় ঘর ও মন্দির তৈরি করছিল, - তাকে বুধাজী বাধা দেয়। তখন তাকে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলে বুধাজীকে। তালিকাটা অনেক লম্বা করা যায়।
    আন্তর্জাতিক রেঞ্জার এসোসিয়েসেশনের তথ্য অনুযায়ী ভারত হচ্ছে বন- কর্মীদের পক্ষে সবথেকে বিপদজ্জনক জায়গা (সাথের চার্টটি দেখুন) (তথ্যসূত্রঃ https://www.internationalrangers.org/roll-of-honour/) । এই টেবিল অনুযায়ী ২০১২ থেকে ১৭ পর্যন্ত , এই ৫ বছরে, ৫২৬ জনের মধ্যে ৩১ শতাংশ বা ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে ভারতে, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশী । অনেক পিছনে ২য় ও ৩য় স্থানে রয়েছে কঙ্গো (৫১) ও থাইল্যান্ড (৩৭)। তাও, এটা শুধুই যারা সরকারী বন কর্মী , তাদের সংখ্যা। এছাড়াও, দৈনিক ভাতার ভিত্তিতে যে অসংখ্য পদাতিক বন-করমী তাদের মৃত্যুর সংখ্যা এখানে ধরা নেই (যেহেতু, তারা নিয়মিত সরকারী চাকুরে নন) - যদিও, ভারতে তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
    আসলে ,অর্থনৈতিক মানদণ্ডে অরণ্য- সম্পদের মূল্য অনেক এবং তা আহরণের জন্য খুব বেশী কিছু পুঁজি লাগে না। তাই, খনি মাফিয়া ও পশু পাচারকারীদের অত্যাচার দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। বন কর্মীদের হত্যা মূলত এদের হাতেই হয়। জঙ্গলের হিংস্র পশুদের থেকেও কি হয় না? হয়, কিন্তু আপনি যদি এই লেখার সাথে দেওয়া লিঙ্কটা খোলেন, তাহলে দেখতে পাবেন ভারতে, অধিকাংশ নামের পাশে মৃত্যুর কারণ “হোমিসাইড” লেখা আছে। পশু পাচারও বেশ লোভনীয় কারবার। “দেশ” পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে পড়ছিলাম, বাজারে বাঘের হাড়ের গুঁড়ো বিশেষত পায়ের হাড়ের গুঁড়ো প্রতি কিলোতে ৩২০০ ডলার দরে বিক্রি হয়। ৯২-৯৩ সালেই একটা বাঘের দেহ নাকি ৬ লক্ষ টাকা এনে দিত- কাজেই তার এখনকার বাজারদর সহজেই অনুমানসাপেক্ষ । অন্য পশুদের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সমানভাবে অর্থকরী। কাজেই, সংঘাত অনিবার্য।
    রেঞ্জার ফাউন্ডেশন এশিয়া , নামের একটি এন জি ও সংস্থা তাদের একটা সমীক্ষায় জানাচ্ছে যে ভারতে প্রায় ৬৩ শতাংশ রেঞ্জার প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। অন্তত , ৪৮ শতাংশ লোক যথেষ্ট ট্রেনিং ছাড়াই কাজে নেমে পড়তে বাধ্য হন। এবং এই ঝুঁকির সম্মুখীন হবার জন্যে যথেষ্ট পরিমাণ অস্ত্র- শস্ত্র থাকে না তাদের। অধিকাংশের কাছেই থাকে লাঠি শোটা গোছের কিছু , আর সশস্ত্র হলে সেই মান্ধাতা আমলের ০.১২ বোরের বন্দুক বা .৩০৩ রাইফেল। এর সাথে আছে লোকজনের অপ্রতুলতা। ফলত, এক একজনকে লম্বা সময় ধরে কাজ করে যেতে হয়। পাঠকদের কারো কারো মনে থাকতে পারে, বছর দেড়েক আগে , মার্চ ২০১৭তে, দক্ষিণবঙ্গের লালগড়ে, দুজন বন কর্মী বাঘের গতিবিধি লক্ষ্য করতে করতে গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েন এবং দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বদ্ধ গাড়িতে দমবন্ধ হয়ে মারা যান।
    তাই, প্রকৃতি, বাঘ, পরিযায়ী পাখি, অরণ্যের ব্যাপ্তি – সবই নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নিজেদের অস্ত্বিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরিবেশ- বান্ধব আমাদের হতেই হবে। কিন্তু, মানুষের জীবনও সমান দামী নয় কি? তাই ,অন্তত দু-চার ফোঁটা চোখের জল, ঐ হতভাগ্য বন কর্মীদের জন্যও তুলে রাখবেন আপনারা।
  • aranya | 3478.160.342312.238 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:৪৯380812
  • জরুরী লেখা। আরও অনেক বাজেট দরকার , বনকর্মী-দের ট্রেনিং, আধুনিক অস্ত্র যোগানের জন্য
  • aranya | 3478.160.342312.238 | ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:২৪380813
  • ৩০০০ কোটি না কত যেন টাকা খরচ হয় প্যাটেলের মূর্তি তৈরীতে, এদিকে লাঠি আর আদ্যিকালের ৩০৩ রাইফেল দিয়ে বনকর্মী-দে পাঠান হচ্ছে পোচার, মাফিয়া-দের হাতে খুন হওয়ার জন্য, ডিসগাস্টিং
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন