এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.343412.177 | ১৯ জানুয়ারি ২০১৯ ১৬:১৮380578
  • জন সাধারণের কাছে ছবি অর্থাৎ পেন্টিং পৌঁছে দেবার এক অভিনব পরিকল্পনা থেকেই ১৯৮২ সালে অচিন পটুয়ার যাত্রা শুরু। এই পরিকল্পনার জনক হলেন চিত্রশিল্পী আশীষ গুপ্ত। সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখার মধ্যে চিত্রকলার স্থানটা বরাবরই একটু অন্যরকম। শিল্পীরা ছবি আঁকেন এবং সেসব ছবি সংগ্রহ করেন অর্থবান কিছু মানুষ যারা অনেকেই উচ্চকোটি সমাজভুক্ত। চিত্র শিল্পের প্রদর্শনীতে অনেক সমঝদার মানুষ যান, ছবি তারিফ করেন কিন্তু একজন বইপ্রেমী যেমন মনের মত বইটি নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন একজন চিত্রকলা প্রেমীর পক্ষে তার মনের মত ছবিটি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না। ভাল লাগাটা ঐ প্রদর্শনী কক্ষেই ফেলে আসতে হয়। এর কারণ আমরা সকলেই জানি, ছবির অতুল দাম। তাই পেন্টিং সাধারণের মধ্যে ঠিক ভাবে কখনোই পৌঁছতে পারেনি। বেশ কিছু পরে ছবির প্রিন্টের যুগে সেই প্রিন্টগুলো পৌঁছেছিল। একজন শিল্পীর স্বহস্তে তৈরি পেন্টিং নয়। পেন্টিং মানেই সেটা খুব দামী একটা ব্যাপার সেই ধারণার জন্যে পেন্টিং সংগ্রহ সম্পর্কে মানুষের মনে একটা অনীহা কাজ করে। তাই পেন্টিং সাধারণের কেনা বস্তুর মধ্যে পড়ত না। এখনো বা কতটা পড়ে ?

    প্রখ্যাত শিল্পী যামিনী রায় পঞ্চাশের দশকে তার নিজের ছবি মধ্যবিত্তের আওতার মধ্যে আনবার জন্যে প্রয়াস নিয়েছিলেন তার ছবির দাম তুলনামূলক ভাবে কম রেখে কিন্তু সেসব ছিল তার স্টুডিয়োর মধ্যেই । ছবিকে একদম রাস্তায় প্রদর্শনী করে, সবার মাঝে মেলে ধরার এই নূতন সম্ভাবনা বাস্তবে এল আশীষ গুপ্তের অচিন পটুয়ার মাধ্যমে। আশীষ গুপ্তের কথায় ‘আমরা চেয়েছিলাম ছবি ও তার সমঝদারের মাধ্যমে একটা সেতু গড়ে উঠুক।‘

    একদম প্রথম পর্যায়ে তার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রবীর চক্রবর্তী, মানস রায়চৌধুরী, বরুণ সিমলাই, তড়িৎ চৌধুরী, বিজন চৌধুরী এবং গাইডিং স্পিরিট হিসেবে শুরে থেকেই জুড়ে ছিলেন সুনীল দাস ও শ্যামল দত্ত রায়।

    ১৯৮২ সালে অচিন পটুয়া তৈরি হলেও প্রদর্শনী দিয়ে এর যাত্রা শুরু হল ১৯৮৬ তে বিড়লা অ্যাকাডেমীকে। সে বছর সেই দলে যুক্ত হলেন গোপাল দাস, অরিন্দম দত্ত, মলয় কর্মকার ও অন্যান্যরা । এর পরে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত চিত্র প্রদর্শনী হল দিল্লী, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদে এবং অবশ্যই কলকাতায়। ১৯৮৮ তে মুম্বইয়ের এক চিত্র প্রদর্শনীতে আশীস গুপ্তের কবি নীরেন চক্রবর্তীর ‘কলকাতার যীশু’ কবিতা অবলম্বনে আঁকা ছবিটি বিশেষ প্রশংসিত হল। মুম্বইয়ের টাইমস অব ইণ্ডিয়ায় ‘A Talented artist from Bengal’ নামে তার রিভিউ বেরিয়েছিল।

    অচিন পটুয়া সরাসরি রাস্তায় প্রদর্শনী করল ১৯৯৪ সালে। রাসবিহারীর মোড়ে, কালীঘাট মেট্রোর স্টেশনের দুই বিপরীত দিকের দেওয়ালে এই প্রদর্শনী হয়। সেই থেকে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে আসছে এই প্রদর্শনী।

    অংশ নেয় অনেক তরুণ, তরুণী চিত্রকর। এই প্রদর্শনীর কোনো সময়সীমা থাকে না । প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই চলে এই প্রদর্শনী। রাত বারোটা ও ভোর চারটের সময়েও দর্শক আসেন, থাকেন শিল্পীরা , ছবি নিয়ে আলোচনা চলে এবং চলে বিক্রি। এখানে বর্তমানে ছবির দাম থাকে পাঁচ হাজার থেকে ১৪ হাজারের মধ্যে।

    গত বছর অচিন পটুয়া ২৫ বছর পূর্ণ করল। ২০ জানুয়ারী উদ্বোধন হচ্ছে এবারের বাৎসরিক প্রদর্শনীর। উদ্বোধন করবেন প্রয়াত শিল্পী সুনীল দাসের সহধর্মিণী গীতা দাস, আসবেন আরো অনেক বিশিষ্ট জন। চলবে ২৩ তারিখ অবধি।

    আপনাদের সুবিধে মত চলে আসুন রাসবিহারীর মোড়ে, সঙ্গে আনুন অন্যান্যদের।

    অচিন পটুয়ার দল থাকবে আপনার অপেক্ষায়।
  • কল্লোল | 342323.191.7812.123 | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৭:৫১380579
  • আজ হয়তো যাওয়া হবে না। কাল যাবো সন্ধ্যে বেলা।
  • অর্জুন অভিষেক | 561212.96.455612.236 | ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৮:৫৫380580
  • নিশ্চয় এসো @কল্লোল-দা

    আমারও আজ হবেনা। কাল যাব।
  • | 453412.159.896712.72 | ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১০:২৬380581
  • এটা বেশ ইন্টারেস্টিং তো!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন