এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • সিনেমা রিভিউ - বাঘবন্দি খেলা - রেটিং ৩ /৫

    Tollywood reporter
    সিনেমা | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ | ১৭৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tollywood rReporter | 340112.44.785612.59 | ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ১২:১৬379950
  • এই জিনিস বাংলা ছবিতেও নতুন নয়, হিন্দিতে হয়ত " দশ কাহানিয়া " দেখেছেন, দশটা ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে গোটা একটা ছবি হয়ে গেছে । বাংলাতেও হয়েছে , যেমন ধরুন "এক মুঠো ছবি " বা " তিন কাহন " , " রং বেরঙের কড়ি " কিংবা " চার " ।
    "বাঘবন্দি খেলা" কিন্তু তার চেয়ে অনেক আলাদা ।
    তিনটি গল্প, তিন জন আলাদা আলাদা পরিচালক, এ তো নতুন কথা নয়, আসলে মজাটা অন্য জায়গায় । ছবির নামকরণে রয়েছে এর রহস্য। তিনটি গল্প এখানে , " বাঘ " ( পরিচালক রাজা চন্দ ) , "বন্দি" ( পরিচালক সুজিত মণ্ডল ) , " খেলা " ( পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী ) । আর তিন পরিচালকের গল্প যখন এক জায়গায় ফেলে একটা গোটা ছবির আকার দিয়েছেন মনে হবে যেন একটাই ছবি দেখছি । একটা গল্প যেখানে শেষ হয়েছে সেখানের সূত্র ধরে শুরু হয়েছে নতুন গল্প ।
    আরেকটা মজার, পুরো তিনটি গল্পের স্রষ্ঠা একজন , এন কে সলিল, যিনি বাংলা ছবিতে তামিল তেলেগু ছবির রিমেকের বীজ বপণ করেছেন । যার দরুন তার নাম হয়ে যায়ে " সলিল কুমার তস্কর " (উনার পদবী " নস্কর " )।
    এ ছবির কোন গল্পেই কোন তামিল বা তেলেগু ছবির খুঁজে পাওয়া গেল না ।

    বাঘ
    নামভূমিকায় জিৎ । মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র । পুলিশের লোক । মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়, সেই পরিকল্পনা কি ভাবে ভেস্তে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জীবন বাঁচিয়ে শত্রুনিধন করে সেটাই গল্প, খুব সাধারন গল্প, আর যথারীতি একটা ছুতোয় নায়ক ( বৌ সমেত ) ব্যংকক পাড়ি । জাস্ট জিৎ এর Action ইমেজটাকে কাজে লাগানো । এর বাইরে কিছু করার নেই, ফাইট আছে ,নাচ আছে । খারাপ লাগলো নায়িকা চরিত্রে সায়ন্তিকাকে দেখে, এত রোগা হয়ে গেছে প্রথমে দেখে ভূত বলে ভয় পেতে পারেন ।

    বন্দি
    হীরক ( সোহম ) জয়ন্তী ( শ্রাবন্তী ) ইভেন্ট ব্যবসার দুই অংশীদার, এক বিয়েবাড়ীর কাজের জন্য দুজনে একসাথে, আর প্রতি পদে তাদের মতবিরোধ আর সেই নিয়ে ঝগড়া । বেশ মজার মোড়কে মোড়া এই গল্প, দুজনের কমেডি দেখেও মজা লাগে ।
    সেই বিয়েবাড়ীতে ঘটে যায় একটা খুন, হীরক যার প্রত্যক্ষদর্শী । শুধু তাই নয় ঘটনাচক্রে তার ক্যমেরায় রেকর্ড হয়ে যায় সেই দৃশ্য । পুলিশের কাছে গেলে কোনো সাহায্য পায় না , আর এই নিয়ে শুধু তারা পালিয়ে বেড়াছে, কিন্তু পুলিশ, খুনীর লোকেদের মুরগী বানিয়ে যে ভাবে পালিয়ে এলো, সেটা নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে পুরো ব্যপারটাই বেশ মজার, পালাতে পালাতে তার ঢুকে পড়ে বেনারস , দুটি চরিত্রে সোহম আর শ্রবন্তী কে কিন্তু খুব কিউট লাগবে । আর কমেডির মোড়কে বলে বেশ লাগে ।

    খেলা
    প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামকারা ক্রিমিনাল লইয়ার । তুঁড়ি মেরে যে কোন কেস জিতে নিতে পারে । ৩ মাস ধরে চলা একটা ধর্ষণের মামলা এক লহমায় জিতে যায় । প্রভাবশালী বাবার ছেলেরা বেকসুর খালাস পেয়ে যায় । এখানে একটা প্রশ্ন আছে যে উকিল তুঁড়ি মেরে কেস জিতিয়ে দিতে পারে , যে উকিল কোর্টে বসে মোবাইলে দাবা খেলে তার কাছে এই তিন মাস সময়টা একটু বেশী না ?
    এর পর বলি, উকিল তো কেস জিতে যায় । কিন্তু ভরা কোর্ট চত্বরে ধর্ষিতা মেয়েটা মুখে থুথু ছিটিয়ে যায় । ছবি ভাইরাল হয়। এতে উকিলবাবুর সংসারে অশান্তি শুরু হয়, উকিলবাবুর স্ত্রী ( অঞ্জনা বসু ) মেনে নিতে পারে না এবং গৃহত্যাগ করে, কিন্তু মেয়ে ( ঋত্তিকা ) বাবাকে সমর্থন করে ।
    এর পর সেই তিন যুবক বেকসুর খালাস পেয়ে আরেকটি মেয়েকে শিকার করে আর সে হলো গিয়ে তার মেয়ের বান্ধবী ।
    ভালো জমছিল, টান টান কোর্ট রুম ড্রামা । যে মেয়ে বাবাকে সমর্থন করছিল সেই মেয়ে কিনা বাবাকে বলছে প্রভাবশালী বাবা বলে তাদের যেন ছেড়ে না দেওয়া হয় , উকিলবাবু এবার কোন পথে যাবে, নিজের পেষাকেই বড় করে দেখবেন, টাকা নিচ্ছে মক্কেলদের বাঁচানোর জন্যই তো ? তা না হল যে ধর্ষিতা হয় সে তার কেউ না, যে ধর্ষণ করে সে তার কেউ নয় ?
    এবারো সেই একই অভিযুক্ত তিন যুবক বেকসুর খালাস পেয়ে যায়,
    এর পর ? স্ত্রী চলে গেছে , তবে মেয়েও কি চলে যাবে ? বিবেক দংশনে ভোগে,
    সব ভালো, শেষে গিয়ে মনে হল সেই যেন পুরোনো কিছু ছবির রিপিট । তাদের আইন শাস্তি দিতে না পারলে নিজের হাতে শাস্তি দাও ।

    তবে কি দাড়ালো? কে বেশি নম্বর পেল ? বন্দিকেই সবার আগে রাখবো।
    খেলা মন্দ নয়, শেষে গিয়ে " আখরী রাস্তা " টাইপের প্রসেনজিৎকে অমিতাভ বচ্চন বানানোটা জমলো না ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন