এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অর্জুন অভিষেক রায় | 55.124.4.113 | ২৪ মার্চ ২০১৮ ২০:০০375271
  • কোচবিহার লিটল ম্যাগাজিন মেলা শুরু হল আজ, চলবে কাল অবদি রাজবাড়ি পার্ক প্রাঙ্গণে। কোচবিহারের আমন্ত্রণ এসেছিল কলেজ স্কোয়ারে। আমার যাওয়া না হলেও, গেছেন প্রতিভা সরকার, পারমিতা দত্ত। প্রতিভাদির কথায় গুরুচন্ডা৯র ‘এবার ম্যালা মেলা’। ক্লাস নাইনে পড়েছিলাম মহারাণী সুনীতি দেবীর ‘অটোবায়গ্রাফি অফ অ্যান ইণ্ডিয়ান প্রিন্সেস’। ওই বইটি নাকি প্রথম কোনো ভারতীয় রমণীর ইংরেজিতে লেখা আত্মজীবনী। জেন অস্টেন স্টাইলে সুনীতি দেবী শুনিয়েছিলেন তাঁর জীবনকথা। লেখাটা অনেক কথা জানা গেলেও বেশ খাপছাড়া। সুনীতি- নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিবাহ ছিল সেই সময়ের বাংলার এক উত্তাল করা বিতর্ক। ব্রাহ্ম সমাজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল এই বিবাহের কারণে। কিছু ঐতিহাসিকদের মতে এই বিবাহ ছিল ব্রিটিশের সুচতুর ঔপনিবেশিকতার প্রভাব বিস্তার করা। ভুটানের পাদদেশে ট্রাইবেল কিংডোম কোচবিহার। রাজারাও ট্রাইবেল, তাদের ছিল পৃথক ভাষা, সংস্কৃতি হয়ত ধর্ম। তাদের ঔপনিবেশিকতার মূলস্রোতে নিয়ে যাওয়াই ছিল উদ্দেশ্য। দশ মাস বয়েসে পিতৃহীন হয়ে সিংহাসন পাওয়া নৃপেন্দ্রনারায়ণ তখন ছিলেন এই প্রভূদের কাছে একদম আইডিয়েল ক্যানডিডেট। এই ট্রাইবেল আইডেনন্টিটি মুছে ফেলতেই শুরু হয়েছিল নূতন উদ্যোগ। তারা চাইলেন কিশোর মহারাজের এমন একজন শিক্ষিত শহুরে সহধর্মিণী যিনি এই ঔপনিবেশিকতার ধারা বহন করে নিয়ে যাবেন। ব্রাহ্ম সমাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা তখন কেশবচন্দ্র সেন। তার বড়মেয়ে দ্বাদশ বর্ষীয়া সুনীতিকেই তারা নির্বাচন করলেন। বুদ্ধিমান, প্রগতিশীল কেশব সেনও দেখলেন, এই বিবাহের ফলে শুধু তার কন্যার রাজরাণী হওয়াই নয়, ব্রাহ্ম ধর্মের বিস্তারেও এ এক সুবর্ণ সুযোগ। এই বিবাহের হাজারো প্রতিবাদকে তিনি পাত্তাই দেননি। ব্রাহ্ম সমাজ দু ভাগে ভাগ হয়ে গেল এর ফলে। তবে ব্রাহ্ম ধর্ম আন্দোলন থেকে কেশব সেন ও তার নির্মিত নববিধান সমাজ অনেকটাই কিন্তু সরে গিয়েছিল এর পরে।

    তবে ব্রিটিশ প্রভুদের জয় হয়েছিল। কোচ রাজ্যে ঔপনিবেশিকতার পত্তন হয়েছিল কোচ রাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণের হাতেই। তিনি নিজেও নববিধান ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেন। কোচ রাজাদের ট্রাইবেল আইডেনন্টিটি যদিও এখন আর খুব পরিষ্কার নয়, তারা বহু শতাধিক বছর হিন্দু, গোঁড়া শাক্ত। কামরূপ কামাখ্যা ছিল কোচ রাজ্যের অংশ। নৃপেন্দ্রনারায়ণ আরেক নূতন ধর্ম নিয়ে এলেন। মানব সমাজে আইডেনন্টিটি এই ভাবেই পরিবর্তিত হতে থাকে। সাম্প্রতিক কালে কোচবিহার রাজ্যকে পৃথক কামতাপুরী’র দাবির আন্দোলন অনেকটাই এই ঔপনিবেশিকতা প্রতিবাদ এবং ট্রাইবেল আইডেনন্টিটিকে পুনরজ্জীবিত করা!

    তবে সুনীতি- নৃপেন্দ্রনারায়ণ ছিল তখনকার ভারতবর্ষে সবচেয়ে আধুনিক রয়্যাল জুটি। ভাবা যায় মাত্র সতেরো বছরে সুনীতি প্রতিষ্ঠা করলেন নিজের নামেই মেয়েদের স্কুল ‘সুনীতি একাডেমী’ এবং অচিরেই তা হয়েছিল একটি বিদগ্ধ প্রতিষ্ঠান। আজীবন অনেক কাজ করে গেছেন সুনীতি দেবী। ভারতবর্ষীয় রাণীদের মধ্যে যেমন প্রথম বিলেত গেছিলেন সম্রাজ্ঞী ভিক্টরিয়ার রাজ্যাভিষেকে যোগ দিতে, মিশেছেন লন্ডনের ভিক্টোরীয় সমাজের উচ্চবর্গীয়দের সঙ্গে, তেমনি দেশে নারী কল্যাণ ব্রতে কাজ করেছেন। খুলেছেন মেয়েদের স্কুল, কলেজ, লেডিস ক্লাব আবার লিখেছেন বই। আত্মজীবনী লিখলেন ইংরেজিতে, ভারতীয় রানীদের মধ্যে যেমন প্রথম বিলেত গেলেন, তেমনি সুনীতি ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে প্রথম আত্মজীবনী লিখলেন। ভারতীয় পুরাণ কথা ও উপকথা নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু বই।

    ভাবতে অবাক লাগে কলকাতা শহরে সবচেয়ে বিখ্যাত, অভিজাত ক্লাব, যাতে সদস্য পদ পেতে এক প্রজন্মও অপেক্ষা করতে রাজী কলকাতার এলিট সমাজ, সেই ‘ক্যালকাটা ক্লাব’ র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কোচ মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণ। ক্লাবের প্রথম প্রেসিডেন্ট। কলকাতার সবচেয়ে অভিজাত হসপিটাল ‘উডল্যান্ডস’ ও নৃপেন্দ্রনারায়ণের আলীপুর রোডস্থ জমিতে। হসপিটাল হবার আগে ‘উডল্যান্ডস’ ছিল কোচবিহার রাজবংশের কলকাতাস্থ ঠিকানা।
    ট্রাইবেল আইডেনন্টিটি ঝেড়ে ফেলে যে নব্য ঔপনিবেশিক বাঙালি সংস্কৃতির গ্রহণ করেছিলেন নৃপেন্দ্রনারায়ণ, তার সাত সন্তানরা কিন্তু নিজেদের মিশিয়ে দিয়েছিলেন এডওয়ার্ডিয়ান ইংরেজ সমাজে , বিলাস বহুল জীবনে, রূপ, সৌন্দর্য ও ফ্যাশন স্টেটমেন্টে এই বাড়ির মেয়ে, বউয়েরা হয়ে উঠেছিলেন আইকন। গায়েকওয়াড় কন্যা, কোচবিহার মহারাণী ইন্দিরা ছিলেন লন্ডন, কলকাতা ও মুম্বাইয়ের হাই সোসাইটির সবচেয়ে পরিচিত নারী মুখ। এর পরবর্তী প্রজন্ম হয়ে উঠেছিলেন ‘প্যান ইণ্ডিয়ান’। তাদের কথ্য ও চর্চার ভাষাও আর বাংলা ছিল কিনা জানিনা। পৌত্রী গায়ত্রী দেবী ছিলেন ‘দ্য মোস্ট সেলিব্র্বেটেড রয়্যাল ইণ্ডিয়ান ফেস’,পনের বছর ছিলেন সাংসদ।

    তবে বাংলা সাহিত্যে কোচবিহারের এক রানী বিন্ধেশ্বরী দেবীর কথা জানা যায়। ১৮ শতকে তিনি লিখেছিলেন পদ্য। সুনীতি দেবীর এক পুত্র ভিক্টর নীতিন্দ্র নারায়ণের স্ত্রী নিরুপমা দেবী ছিলেন প্রতিষ্ঠিত লেখিকা, সম্পাদক। কোচবিহার রাজ্যের সঙ্গে বিদগ্ধ দার্শনিক ব্রজেন শীলের নাম যুক্ত। শুধু ভিক্টোরিয়া কলেজের (বর্তমান তাঁর নামে এ বি এন শীল কলেজ) অধ্যক্ষ নই, দার্শনিক তত্ত্বের ওপর তার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখা তিনি কোচবিহারে লিখেছিলেন।
    বাংলা খুব বৈচিত্রময় রাজ্য, উৎসে হিমালয়, আর নিম্ন দেশে বঙ্গোপসাগর। বিভিন্ন জেলার বৈচিত্রময় সংস্কৃতি ও সাহিত্য। এই লিটল ম্যাগাজিন মেলায় এই বৈচিত্রময় সাহিত্য ভাণ্ডারের সন্ধান পাওয়া যায়। তাই এই মেলায় পরিচয় হয় আঞ্চলিক সাহিত্যিক, কবি ও সম্পাদকদের।

    দুদিনের এই মেলায় মিশবে বাংলা।
  • Aditi | 57.15.211.78 | ২৪ মার্চ ২০১৮ ২৩:২১375282
  • Besh bhalo lekha Arjun :) aro lekha chai....
  • Joy jit | 57.15.57.120 | ২৪ মার্চ ২০১৮ ২৩:৩০375288
  • দারুন অনবদ্য অপূর্ব সুষমামন্ডিত লেখনী! অনেক শুভেচ্ছা রইল
    গভীরতম সমৃদ্ধ নির্মাণ!... খুব সুন্দর সৃষ্টি...R onek notun ki6u janlam
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.230.186 | ২৪ মার্চ ২০১৮ ২৩:৩১375289
  • থ্যাঙ্ক ইউ অদিতি।

    তবে দুটো ভুল হয়েছে।

    ১। ১৮৮৭ তে সুনীতি দেবী ইংল্যান্ড গেছিলেন কুইন ভিক্টোরিয়ার রাজ্যাভিষেকের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে।

    ২। ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে সুনীতি দেবী প্রথম ইংরেজিতে আত্মজীবনী লেখেন।
  • রৌহিন | 37.63.135.246 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১০:০৬375290
  • চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। কোচ রাজাদের ট্রাইবাল অতীতের সঙ্গে দুর্গাবাড়ির ইতিহাস কিছুটা জড়িত - যদিও আমি এটা তেমন ভাল করে জানিনা। শুনেছি দুর্গাবাড়ির প্রতিপত্তি ক্ষয় করতেই গড়ে উঠেছিল মদনমোহনবাড়ি - যদিও এর সত্যমিথ্যা সেভাবে জানা নেই।
  • প্রতিভা | 233.191.44.13 | ২৫ মার্চ ২০১৮ ১০:২২375291
  • লেখাটা ভালো লাগল। ট্রাইব্যাল বলা যায় কিনা ধন্ধ আছে। কারণ তখন এই অর্থে এই কনসেপ্ট ছিল না। ভূমিপুত্র তো বটেই। পরে এসম্বন্ধে লিখব।
  • অর্জুন অভিষেক | 113.219.47.29 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০০:২৪375293
  • ধন্যবাদ @জয়, রৌহিন দা, প্রতিভাদি।

    ট্রাইব্যাল কনসেপ্টটা অনেকটাই গবেষণার ব্যাপার। কোচবিহারের দুর্গা পুজোটা বাংলার প্রথাগত পুজোর চেয়ে অনেকটা অন্যরকম, এবং সে প্রথাই চলে আসছে। দেবীর মূর্তি একদম ট্রাইব্যাল গডেসের মতন, এবং মূর্তি বিসর্জনের প্রথাটা অভিনব। মূর্তিটি কেটে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। এবং এখনো পশু বলি হয়।
  • অর্জুন অভিষেক | 113.219.47.29 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০০:২৪375292
  • ধন্যবাদ @জয়, রৌহিন দা, প্রতিভাদি।

    ট্রাইব্যাল কনসেপ্টটা অনেকটাই গবেষণার ব্যাপার। কোচবিহারের দুর্গা পুজোটা বাংলার প্রথাগত পুজোর চেয়ে অনেকটা অন্যরকম, এবং সে প্রথাই চলে আসছে। দেবীর মূর্তি একদম ট্রাইব্যাল গডেসের মতন, এবং মূর্তি বিসর্জনের প্রথাটা অভিনব। মূর্তিটি কেটে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। এবং এখনো পশু বলি হয়।
  • pi | 24.139.221.129 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৯:২০375294
  • কোচদের এই আইডেন্টিটি কতটা বিলুপ্ত হল, মানে গোঁড়া হিন্দু, শাক্ত আইডেন্টিটী, যেটা আগেই ছিল বলে লেখা? ব্রাহ্ম ছাপ কতটা পড়েছিল, প্রসারই বা কতটা হয়েছিল?

    তবে কোচ দের পুরানো আইডেন্টিটিকে কতটা হিন্দু বলা যায়? এই নিয়ে আরেকটু লেখা যাবে?

    কিন্তু উনি তো রাণী ছিলেন, প্রিন্সেস লিখলেন কেন?
  • অর্জুন অভিষেক | 37.131.213.189 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ২৩:২৬375272
  • কোচ নামে যে জনজাতি তাদের ট্রাইব্যাল ওরিজিনটা গবেষণা সাপেক্ষ। এই রাজবংশের আদি পুরুষের নাম বিশ্ব সিংহ। তার পুত্র নর নারায়ণ থেকেই 'নারায়ণ' এই পরিবারের 'ডিনেস্টিক নেম'।

    ইতিহাসবিদ যদুনাথ সরকারের মতে কোচ জনগোষ্ঠী হল মেস,গারো,থারু ও ড্রাবিয়ান গোষ্ঠীর সংহতি ও মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর সমষ্টি।

    আসলে নৃপেন্দ্রনারায়ণের পূর্বের শাসকদের নিয়ে বিশেষ চর্চা নেই।

    সুনীতি দেবী ও নৃপেন্দ্রনারায়ণের জন্যে নববিধান ব্রাহ্ম সমাজের প্রভাব যথেষ্টই পড়েছিল কোচবিহারে। ব্রাহ্ম উপাসনা মন্দির তৈরি হয়। 'সুনীতি একাডেমী'র অধিকাংশ শিক্ষিকা ছিলেন ব্রাহ্ম। তবে মদন মোহন বাড়ির পুজো এবং দুর্গা পুজো ইত্যাদি প্রাচীন প্রথা কোনোটাই বন্ধ হয়নি।

    এটা কিন্তু মনে রাখতে হবে যে উনিশ শতকে ব্রাহ্ম ধর্ম শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালী জীবনে প্রভাব ফেললেও, ব্রাহ্ম সমাজ ছিল খুবই উন্নাসিক এবং তাদের মধ্যে নব্য ঔপনিবেশিক প্রভাব ছিল তীব্র। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় 'অর্ধেক জীবন' এ লিখেছেন যে অনেক বড় বড় ব্রাহ্ম নেতৃবর্গ সারাজীবন ব্রাহ্ম ধর্মের প্রভাব বিস্তার ও অন্যদের ধর্মান্তরিত করলেও তা ছিল মধ্যবিত্তের মধ্যে সীমিত, কেউ কখনো তাদের বাড়ির পরিচারককে ধর্মান্তরিত করার কথা ভাবেননি। তাই সেই ধর্ম আপামর জনজাতীর ওপর কোনো এফেক্ট আনেনি।
  • অর্জুন অভিষেক | 37.131.213.189 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ২৩:৩৩375273
  • সুনীতি দেবীর আত্মজীবনীটি লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২১ সালে। ওনার টার্গেটেড রিডারশিপ ছিল ইংরেজ সমাজ। আমি সঠিক জানিনা তবে রাজ পরিবারের বাইরে থেকে এলেও, রাজপুত্রের সঙ্গে বিবাহ হলেই, সেই নারী ইংল্যান্ডের রীতি অনুযায়ী হয়ে যান 'প্রিন্সেস'।

    যেমন লেডি ডায়নাকে বলা হয় 'প্রিন্সেস অব ওয়েলস'।

    হয়ত সেই কারণেই 'প্রিন্সেস' শব্দটা ব্যবহার করেছেন।

    উনি রয়্যাল আইডেন্টিটির বাইরে যেতে চাননি।
  • b | 24.139.196.6 | ২৬ মার্চ ২০১৮ ২৩:৪৭375274
  • কোচ রাজ্য তার মধ্যগগনে অসমের কামরূপ থেকে পশ্চিমে করতোয়া নদী অবধি বিস্তৃত ছিলো। পরে ভেঙে যায়। পশ্চিম দিকের রাজ্যটি কোচবিহার নামে খ্যাত হয়। পূর্বদিকের, অর্থাৎ এখনকার নামনি অসমের জেলাগুলি ধীরে ধীরে স্বাতন্ত্র্য হারিয়ে ফেলে।
    অসমে বৈষ্ণব আন্দোলনের প্রাণপুরুষ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব অহোম রাজাদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে কোচ রাজ্যে আশ্রয় নেন। বর্তমান কুচবিহারের ভেলাগুড়িতে তাঁর দেহাবসান হয়।
  • pi | 57.29.236.121 | ২৭ মার্চ ২০১৮ ০৬:৫৭375275
  • প্রিন্সেস অব ওয়েলস তো প্রিন্স অব ওয়েলসের স্ত্রী বলে। উনি রাণীও ছিলেন না।
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.894512.173 | ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৪৭375276
  • @Atoz মার্চে লিখেছিলাম। এখানে কেশব সেনকে নিয়ে কিছু কথা আছে।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:২১375277
  • থ্যাংকু অর্জুন।
    আরে এইখানেই তো সেই বেয়ান উপস্থিত!!!! স্বর্ণকুমারী নির্ঘাৎ এই সুনীতির বেয়ান হবার পরে পরেই নিজের লেখার ইংরেজী অনুবাদ করাতে উদ্যোগিনী হন। ঃ-)
    বেয়ানে বেয়ানে কোলাকুলি । ঃ-)
  • অর্জুন অভিষেক | 342323.223.674512.117 | ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০২375278
  • না এ ক্ষেত্রে স্বর্ণকুমারী এগিয়ে। স্বর্ণকুমারীর ইংরেজি অনুবাদ বেরিয়েছিল ১৯১৪ সালে। 'কাহাকে' র অনুবাদ 'An unfinished song'। সুনীতির 'অটোবায়গ্রাফি' ১৯২১ সালে।

    এটা জানেন তো 'মণিহারা' র গল্পটা রবীন্দ্রনাথ , সুনীতি দেবীকে গল্পাকারে প্রথম শুনিয়েছিলেন। সুনীতি দেবী খুব ভূতের গল্প শুনতে ভালবাসতেন।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ২২:১২375279
  • স্বর্ণকুমারী রবীন্দ্রনাথের চেয়ে প্রায় বছর সাতেকের বড় দিদি। ১৯১৪ সালে অনুবাদের সময় তো ভদ্রমহিলা বছর ষাটেকের। ছেলেপিলের বে থা হয়ে গেছিল নির্ঘাত। বেয়ান টেয়ান রা ছিলেন, তাঁরা লিখুন আর নাই লিখুন। ঃ-)
  • tathya | 890112.171.123412.188 | ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৮:৩২375280
  • সুনীতি দেবীর দাম্পত্য জীবন সম্ভবতঃ ঘটনাবহুল। মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ন দেশি বিদেশি মহিলাদের পেছনে বিস্তর সময় দিতেন। তথ্যসূত্র - ইন্দিরা দেবী চৌধুরানী'র জীবনকথা
  • বই | 1256.15.560123.214 | ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৯:২৭375281
  • নৃপেন্দ্রনারায়ণের একটা বই আছে। একশো দেড়শো বছর আগে রাজারা কী পাইকারিভাবে শিকার করত ওফফ..

    Thirty-seven years of big game shooting in Cooch Behar, the Duars, and Assam. A rough diary

    https://archive.org/details/thirtysevenyear00bhgoog/page/n12
  • সৈকত | 340112.99.675612.98 | ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ১১:০২375283
  • ধৃতিকান্ত লাহিড়ী চৌধুরীর লেখায় মনে হয় নাম না করে এঁনারই কথা আছে; শিকার করে উত্তরবঙ্গের জঙ্গল সাফ করে দিয়েছিলেন।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.90067.87 | ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৩০375284
  • @তথ্য

    সুনীতি- নৃপেন্দ্রনারায়ণ খুব কমিটেড সুখী দম্পতি ছিলেন। ছোটবেলার বিবাহ। কিশোর নৃপেন্দ্রনারায়ণ যখন সুনীতিকে কলুটোলার বাড়িতে দেখতে আসেন তার ইংরেজ শিক্ষককে নিয়ে, সুনীতি পিয়ানো বাজিয়ে শুনিয়েছিলেন। বোধহয় মুন লাইট সোনাটা। সেই সুনীতি লন্ডনের ভিক্টরীয় রাজন্যবর্গদের সঙ্গে বলরুম ডান্স ও করেছেন। নৃপেন্দ্রনারায়ণ অনেকটা 'নিখিলেশ' টাইপ ছিলেন। কিন্তু সুনীতি 'বিমলা' ছিলেন না।

    Lucy Moore র 'Maharanis' বইতে আছে,নৃপেন্দ্রনারায়ণের বিনোদনের জন্যে ইংরেজ অফিসিয়াল নানা সঙ্গিনীর ব্যবস্থা করতেন, কিন্তু নৃপেন্দ্রনারায়ণ নাকচ করে দিতেন। ওরা একসাথে বিলেত যেতেন।

    সাত সন্তান- চার ছেলে, তিন মেয়ে। তার মধ্যে তিন জন খাসা বিয়ে করেছিল। বড়মেয়ে সুকৃতি বিয়ে করল জ্যোৎস্নানাথ ঘোষালকে। নামকরা আই সি এস আবার স্বর্ণকুমারীর পুত্র মানে রবি ঠাকুরের ভাগ্নে। মেজ ছেলে জিতেন্দ্রনারায়ণ (অকৃতদার দাদা মারা যাবার পরে মহারাজা হয়েছিল) বরোদার রাজকন্যা ইন্দিরাকে, তাও গোয়ালিয়রের রাজার থেকে ভাঙিয়ে নিয়ে (ইন্দিরা গোয়ালিয়র মহারাজার বাগদত্তা ছিলেন)। ইন্দিরার বাবা সওয়াজি রাও দেশের সবচেয়ে ধনী রাজা। ইংরেজরা সেলাম ঠুকত।

    আরেক মেয়ে প্রতিভা বিয়ে করেন Lionel Henry Mander (নাম নেন ইলেস অন্দের) নামে এক ইংরেজকে। ভদ্রলোক ছিলেন হলিউডের অভিনেতা, পরে প্রডিঊসর এবং ব্রডওয়ের নাট্যকার।
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.90067.87 | ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:৩৪375285
  • * নাম নেন Miles Mander

    নৃপেন্দ্রনারায়ণের শিকারের বইটা কলকাতা ব্রিটিশ কাউন্সিল একটা এক্সজিভিশনে ডিসপ্লে করেছিল (শেক্সপীয়ার সরণিতে যখন লাইব্রেরী ছিল)। দেখেছিলাম।
  • Atoz | 125612.141.5689.8 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০০:৩১375286
  • আচ্ছা, মহারাণী গায়ত্রী দেবী এদের কে হন? অপরূপ সুন্দরী ছিলেন নাকি। এদিকে ফেবুতে প্রায়ই তাঁর একটা বৃদ্ধবয়সের ছবি দেখিয়ে সুচিত্রা সেন বলে দাবী করে দেখি কেউ কেউ! কী সর্বনাশের কথা!
  • অর্জুন অভিষেক | 341212.21.90067.61 | ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:১১375287
  • গায়ত্রী হলেন, সুনীতি দেবীর পৌত্রী, জিতেন্দ্রনারায়ণ- ইন্দিরার কন্যা।

    বলেন কি? গায়ত্রীর ছবিকে সুচিত্রা সেনের ছবি বলে চালানো!

    গায়ত্রী, সুচিত্রাও সম্পর্কে বেয়ান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন