এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিজের টাইম লাইনে খেয়ালে লিখি।

    Tapas Das লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১১ মার্চ ২০১৮ | ২০০৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tapas Das | ১১ মার্চ ২০১৮ ১৪:২২373090
  • কিষান সভা লঙ মার্চ
    তাপস দাস

    ঠিক এই সময় খবর হলো। রাষ্ট্র হলো। দেশে বামপন্থা লুপ্তপ্রায়। লেফ্ট বেসিন ত্রিপুরায় বাম দুর্গ ভেঙ্গে পড়েছে। এবার আর কোন বাধা নেই। বিকাশ পাগল হোগা। ডিজিটাল ইন্ডিয়া। বিজয় মাল্য আগেই গেছে, লিখতে লিখেত ভালো বাসতে বাসতে দেশ লুটে নিল রোটোম্যাক কোম্পানি। নীরব মোদী নরেন্দ্র মোদীর মুখে সেলো টেপ লাগিয়ে চলে গেছে। ''না খানে দুঙ্গা না খায়ুঙ্গা" বলতে থাকলেন "চৌকিদার" মোদী। আর বেনুগোপাল দূত? লাস্ট প্যাসেঞ্জার ধরে টোপলা বেঁধে চলে গেলে দেশের বাইরে। দেশ না হারামের মাল? যে যেমন ভাবে পারে লুটে নিচ্ছে।

    ২০১৭, ১লা জানুয়ারী থেকে ৩১ শে অক্টোবর দুহাজার চারশো চৌদ্দজন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। মহারাষ্ট্রে। সবচেয়ে বেশি অমরাবতী ডিভিশনে ৯০৭ জন। কেন মরছে? উপায় নেই বলে। বেঁচে থাকাটা কঠিন। রাষ্ট্র চায় নাগরিকের রক্ত। গত বছরের তুলনায় প্রতি কুইন্টাল কার্পাস বেঁচেছে এক হাজার টাকা কম দামে। নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সারা ভারত জুড়ে কৃষকদের এম এস পি প্রদান করা হবে, কৃষকেরা লাভ করবে। মোদী কথা রাখেননি। মহাজনী ফাঁদ, ব্যাঙ্ক ঋণ, কার্পাসে গোলাপি পোকা মোদীর মতই হাসতে হাসতে ঠেলে দিয়েছে মৃত্যুর দিকে।

    যে নদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে আদিবাসী গ্রাম নেই। খরার সময় নদীতে জল থাকে না। মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যায়। আদিবাসী আবার মানুষ নাকি? মনুবাদীরা মনে করে? মনে নেই কি বলেছিল? দলিত গৃহবধূ প্রথম কার ভোগ্য? মহারাষ্ট্র উন্নতির শিখরে উঠবে। চাষিদের লাশের ওপরে ইমারত। সুউচ্চ অট্টালিকা। নায়িকাদের বাথ টাব। জোর করে আদিবাসীদের জমিতে নগরায়ন। স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট। আর মোদীর স্বপ্নের প্রজেক্ট আঙ্গুলের টুসকিতে আলপিন নড়বে না। মোদী বুলেট ট্রেনে করে চলে যাবেন থানে টু আমেদাবাদ। চাকার নীচে চাপা পড়ে থাকবে হাজার হাজার একর পোয়াতি জমি। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ নেই। আদিবাসীদের আবার ক্ষতিপূরণ? যে অরণ্য জমিতে কয়েক পুরুষ মিশে আছে তারও দখল নিতে হবে বেনিয়া সরকারকে। তবেই না গৌতম আদানী মোদীর সাথে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন। অরণ্যচারী বনবাসী মানুষেরা কোথায় যাবে? দেশ প্রেমের বন্যা। সিয়াচেনে জওয়ান মরছে, এখানে কৃষক বিদ্রোহ? ওরা কি জানে না জওয়ান আসে কৃষক পরিবার থেকে? জোয়ানের বাপ চাষা।

    সারা ভারত কৃষক সভা বলেছে
    ১)কৃষকদের সম্পূর্ণ ঋণ মকুব। ২) ফসলের নূন্যতম দাম হবে চাষের পুরো খরচের দেড় গুণ। ৩) অরণ্য অধিকার আইন। ৪) নদী সংযুক্তি প্রকল্প পরিকল্পনা বাতিল করে পুনরায় আদিবাসী স্বার্থ সুনিশ্চিত করতে হবে। ৫) লাঙল যার জমি তার। ৬) গরিব কৃষক ও ক্ষেত মজুরদের জন্য পেনশন। ৭) প্রাকৃতিক কারণে ফসল নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ।

    কৃষক সভা বলেছে আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। সমাধান লড়াই। পাশে আছে লাল ঝাণ্ডা। প্রায় দুশো কিলোমিটার পথ শেষ হয়ে এসেছে। নগ্নপদ এক দীর্ঘ পরিক্রমা। ক্ষত বিক্ষত হয়েছে। পায়ের রক্তে আলতা মতন সেজেছে। নববধূর পায়ের মত না বিদ্রূপের মত। অভাব পায়ের দুই অঙ্গুল গোড়ালিতে ছুরি চালিয়েছে। ছুরি চালিয়েছে পুরুষের কঠিন আস্তরণে। মেয়েদের নরম উপত্যকায়।

    ওরা এখন পঞ্চাশ হাজার। ওরা এক লক্ষ? ওরা একবিংশ শতাব্দীর ভারত বর্ষ। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মুখোমুখি। মুম্বাই শহরের বাইরে। আগামী কাল আছড়ে পড়বে।মহারাষ্ট্র সরকার বলেছে। মোদী সরকার বলেছে। ওদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। আটকে দেওয়া হবে। যেমন বলেছিল বসুন্ধরা রাজে সরকার। তাহলে কী হবে? একটা যুদ্ধ হবে। একদিকে সশস্ত্র রাষ্ট্র শক্তি। অন্য দিকে ভুখা পেটের পঞ্চাশ হাজার, এক লক্ষ আম আদমি। গুলি চলবে। মরবে। মরুক। আত্মহত্যা করার চেয়ে শাসকের গুলির সামনে মরা ভালো।

    ওরা মানে কে? কাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ফড়নবিসের প্রমোদ নগরীতে? মোদীজীর চারণ ভূমিতে? ওরা মানে দেশের কোটি কোটি শোষিত কৃষক। ওরা মানে লাল ঝাণ্ডা।

    জনপদ; চক; ধূসর ক্ষেত
    সারি সারি লাশের ঢিপি ডিঙ্গিয়ে এসেছে।
    নদীও বেইমান
    ঠিকাদারের কথা মত পানি দেয়নি।

    কার্পাসে পোকা যতটা কেটেছে
    তার চেয়ে বেশি গোলাপি ফাঁদ
    মহাজনী ঋণ নালি টিপে ধরে খতম করেছে
    আত্মহননের শেষে অগত্যা আবার হাঁটছে।

    একবার মরচে পড়া পায়ের দিকে তাকান
    ভারতবর্ষ লেগে আছে
    আঙ্গুলে ফাঁকে সমৃদ্ধ নগর
    গোড়ালির কাছে বুলেট ট্রেন
    ওপরের আস্তরণ মন্ত্রী মহোদয়ের কার্পেট।
    একবার মোদীর সাদা পোশাকে দেখুন
    নাসিকের রক্ত লেগে আছে।
  • | 52.110.143.53 | ১১ মার্চ ২০১৮ ১৪:২৪373091
  • পৃথিবীর শেষ কমিউনিস্ট গল্পে ২০২০তে দিন পাল্টানোর কথা বলেছিলেন নবারুণ। হয়ত স্বপ্নই। হয়ত না..
  • pi | 57.29.193.241 | ১১ মার্চ ২০১৮ ১৫:২৯373092
  • মামুর গ্রুপের লেখাটা থাক।

    ---

    "বামদের অনেক গাল দিয়েছি, কিন্তু এই মহারাষ্ট্রের কৃষকদের লং মার্চের জন্য তাদেরই অকুণ্ঠ অভিনন্দন। বিজেপির কল্যাণে এতদিন রাজনীতির মুখ্য আলোচ্য বিষয় ছিল গরু আর হনুমান। ২০১৭ সালে তাজমহলটা আসলে তাজমহলই কিনা, বৈদিক যুগে অ্যাটম বোম, কেবল টিভি আবিশ্কার হয়েছিল কিনা, গণেশের উপর হাতির মুন্ডু প্লাস্টিক সার্জারি কিনা, এইসব ছিল জ্বলন্ত ইস্যু। এসব নিয়েই দিন যাচ্ছিল। পক্ষে-বিপক্ষে। সে শুনতে যতই হাস্যকর লাগুক না কেন। অবশেষে, অবশেষে, এই লং মার্চের হাত ধরে একটা সত্যিকারের সমস্যা এল ফোকাসে। হিন্দু-মুসলমান, গরু, হনুমান, রামমন্দির, এসব সভ্য মানুষের দুনিয়ায় রাজনীতির আলোচ্য বিষয় হতে পারেনা, বিশেষ করে যেখানে কৃষকদের সমস্যা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, উন্নয়নের অভিমুখ, এইসব জরুরি জিনিস গুলো অনালোচিত হয়ে পড়ে আছে। ন-মোর কৃতিত্ব এই, যে, এই জ্বলন্ত জিনিস গুলো থেকে নজর সরিয়ে মানুষকে, গরু আর ভেড়া, হিন্দু আর মুসলমান, বিফ আর পর্কের আলোচনায় নামিয়ে দিয়েছিলেন। মানুষ মানে তথাকথিত সাধারণ মানুষ নয়, আমরা সব্বাই পক্ষে আর বিপক্ষে এইসব জিনিসে জড়িয়ে পড়েছিলাম। বিজেপি যেমন চাইছিল। এই লং মার্চ খেলার মাঠটা বদলে দিল। গরু নয়, শুয়োর নয়, রামজনমভূমি নয়, মথুরার মন্দির নয়। রাজনীতিটা হবে কৃষকের সমস্যা নিয়ে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে। বিজেপি যা নিয়ে কিছুই বলার ক্ষমতা রাখেনা। এই নয়, যে, মহারাষ্ট্রে বামরা রাতারাতি গদী উল্টে দেবে। তার দরকারও নেই। স্রেফ রাজনীতিকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য বামদের অভিনন্দন। বিজেপি শ্যামাপ্রসাদ নিয়ে চিল্লিয়ে যাক, গো-হত্যা নিবারণী সমিতি খুলুক, কাশী-মথুরা-বৃন্দাবনে তীর্থযাত্রায় যাক, যা খুশি করুক, রাজনীতি যদি রাজনীতির ইস্যুতে ফিরে আসে, তাহলে ওরা এমনিই কুপোকাত্ হবে। অতএব অভিনন্দন। বাকি ইস্যু গুলো নিয়ে বামরা একই ভাবে নামলে ওদের পতন আরও দ্রুত হবে।"
    - Saikat Bandyopadhyay
  • সিকি | ১১ মার্চ ২০১৮ ১৬:০২373093
  • মামুর লেখা এত শেয়ার হচ্ছে, একবারও কেউ আবিষ্কার বানানটা ঠিক করল না এখনও।
  • Tapas Das | ১২ মার্চ ২০১৮ ২৩:২৮373094
  • তাদেরকে বলে দিও মুম্বাই
    তাপস দাস

    মমতা ব্যানার্জী সদ্য রায়গঞ্জে এসেছিলেন। শহরের প্রধান তিনটি স্কুলে তিন দিনের ছুটি। নরেন্দ্র মোদী আগরতলায় বিপ্লব দেবের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ত্রিপুরা বোর্ডের মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়। মুম্বাইয়ে অধিকাংশ ট্রেন আজ দেরী করে ঢুকবে। অবরুদ্ধ স্বপ্ন নগরী। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী অচল হওয়ার সম্ভাবনা। গতকাল মিছিল জনস্রোত, লাল সুনামি শহরে প্রবেশ করেছে সন্ধে নামার কাছে। রাস্তার দু'ধারে স্কুল পড়ুয়া জল তুলে দিয়েছে, অন্নদাতার মুখে । স্কুল পড়ুয়া ছেলেটি দেখেছে ময়লা নোংরা কাপড়ে আন্ধেরি লোকালে করে যে বাঈ তাঁদের ফ্ল্যাটে কাজ করতে আসে ঠিক তার মত, হয়ত বা তিনি। হাত উঁচু করে সে বলেছে লাল সেলাম কমরেড। বলার সময় তার চোখ চিক চিক করে উঠেছে। এই জীবন ছবি সে ব্যস্ত নগরীতে দেখেনি। আমচি মুম্বাইয়ে দেখেনি। গুরুদুয়ারা ঈশ্বর থেকে নেমে এসেছে অন্নদাতা কৃষকের কাছে। তুলে দিয়েছে পরমান্ন।

    নবান্ন অভিযানে মমতার পুলিশ রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছিল। আদতে জসীম শেখ মানুষ। আদতে ধনেখালির জসীম শেখের আক্ষেপ ছিল সংসদীয় ব্যবস্থায় পরাজিত সময়ে সে বামপন্থায় বিশ্বাস রেখেছে। ত্রিপুরা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন সে জানিয়েছিল-" আমার বাড়ি ঘর আক্রান্ত হয়েছে। আমি কখনও হার মানি নি। জীবনে কোন নির্বাচনে জয় দেখিনি। আমি খুব করে চাইছি এইবার অন্তত জিততে।" জসীম শেখ জিততে পারেনি। জসীম শেখ পদযাত্রীদের সাথে মিছিলের অংশ।
    লঙ মার্চের পুরো পথটাই সে হেঁটেছে। লাইভ করে জানিয়েছে। আমরা তার চোখে দেখেছি স্বপ্ন সম্ভবা আগামী দিনের অসম যুদ্ধের চিত্রপট। গতকাল রাতে জসীম শেখ পোস্ট করেছে।" এই মাত্র আমরা হাঁটতে আরম্ভ করবো।" তখন রাত একটার কাছাকাছি। জসীম লিখেছে - "বাংলার কমরেডদের কাছে অনুরোধ, আজকের রাত জেগে থাকুন। আমরা হাঁটছি। আমাদের পাশে থাকুন।"

    জাগতে জাগতে আমি মধ্যবিত্ত কেতাবি বিপ্লবী ঘুমিয়ে পড়লাম রাত দুটোর দিকে। জসীম হাঁটা আরম্ভ করেছে। সুনসান রাজপথ। স্ট্রিট লাইট জেগে আছে। আরব সাগরের কোলাহল নেই। নৌ বিদ্রোহের শহর, শেয়ার মার্কেটের পরিচিত শহর অপরিচিত । আলোর নিচে হাত পা ছড়িয়ে হাজার কমরেড। কমরেড অশোক দাভলে বললেন-" আমরা শহরের সাধারণ মানুষ এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কোনরকম সমস্যায় ফেলবো না। আমরা আরো কষ্ট করতে রাজি আছি। কিন্তু আমরা আমাদের সন্তান পরীক্ষার্থীদের কষ্ট দিতে পারি না। লঙ মার্চ আজ রাতেই দুটোর সময় বিধানসভা ভবনের দিকে যাত্রা করবে। শহর ছেড়ে যাবে।" তখন এক পৃথিবী জিতে নেয় কমরেড লং মার্চ।

    হুইশেল বেজেছে। আবার চলা আরম্ভ। অরণ্যবাসী কৃষক জানে টাকার অভাবে তার সন্তান বই ফেলে দিয়েছে। ঋণের দায়ে যে কিশোরী স্কুলে যেতে পারেনি, তার মা জানেন পরীক্ষার সময় লাল ফিতেয় চুল বেঁধে মেয়েকে স্কুল পাঠানোর অপূর্ণ সাধ। তাই আত্মকেন্দ্রীক শহরের বুকে ভারতবর্ষ হেঁটে চলেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার দিকে। শহরের বস্তি, শ্রমিক মহল্লা কপালে হাত ঠুকে বলেছে রেড স্যালুট স্যালুট কমরেড। উঁচু ইমারত থেকে বাইনাকুলার দিয়ে কোন না কোন আম্বানী আদানী দেখছে নীচে লাল পিঁপড়ের সারি। আর কী জিততে চাও জসীম সেখ?

    আমি একজন সাধারণ কলমচি। কখনই ভাবিনি অবশিষ্ট জীবনে এমন ছবি আঁকার সুযোগ হবে। কিবোর্ড প্রেস করছি আর শরীর শিরশির করে উঠছে। বুঝতে পারি প্রাণ আছে। জুতো ছেঁড়া ফাটা চামড়া। ময়লা মুখ বিবর দেখে আমার চোখ সজল হতে চেয়েছে। বুঝতে পারি প্রাণ আছে। আমি যেন বলতে চাইছি বিহানে চিকন হাওয়ায়-" কে কাঁপছে ঠাণ্ডায়? /আমি উড়িতেছি লাল ঝাণ্ডায়/ আমার মন ভোমরা বসেছে সেখানে...."

    আজ সে সন্তান বিকেলে বাড়ি ফিরবে। সে দেখবে অপরিচিত মানুষেরা তার দিকে তাকিয়ে হাসছেন। যে কিশোরী আরব সাগরের তীর ঘেঁষে বাড়ি ফিরবে সে দেখবে তাকে দেখে কমলাবাঈ হাসছেন। হাত নাড়ছেন। তাদের কানের মধ্যে অনুরণন চলবে-" তাদেরকে বলে দিও/ তাদের সুদিনের জন্য/ আমরা আমাদের বর্তমানের সাথে লড়ছি।/ তাদেরকে বলে দিও/"
  • aranya | 83.160.123.238 | ১৬ মার্চ ২০১৮ ০৭:৩২373095
  • খুবই ছুঁয়ে যাওয়া, তাপসের লেখাগুলো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন