এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Dipankar | 116.203.138.164 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৪:৩৪371984
  • কাল পৌষ সংক্রান্তি। সেই উপলক্ষে আজ এক FM চ্যানেলে দেখি বাউল টুসু ইত্যাদী গান শোনানো হচ্ছে। এবং সব গান গুলিই প্রায় বিভিন্ন বাংলা ব্যান্ডের পরিবেশন। ধুম-ধাম প্যাঁ-পোঁ বিবিধ বাদ্যযন্ত্র সহযোগে লোকগানের গুষ্টির ষষ্ঠীপূজা হচ্ছে। সেদিনই হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে নিয়ে এক লেখায় পড়লাম আব্বাসউদ্দিনের গাওয়া ভাটিয়ালি গান শুনে খুব রেগে গিয়েছিলেন উনি। অভিযোগ ছিল ভাটিয়ালি গানের মর্মের সাথে সুবিচার করেননি আব্বাসউদ্দিন। আরেক প্রবাদপ্রতিম শিল্পী নির্মলেন্দু চৌধুরীর ওপরের ক্ষোভ চেপে রাখেননি কারন হেমাঙ্গ বিশ্বাসের মতে নির্মলেন্দু লোকগান নিয়ে আপোষ করেছিলেন শহুরে শ্রোতার মন যোগানোর তাগিদে। ভাগ্যিস এই ঝুঁটিওয়ালা ব্যান্ডগায়কদের বাউল গানের নামে উৎকট চেঁচামেচি ওনাকে দেখে যেতে হয়নি! এই সব বাংলা ব্যান্ড দলকে নিয়ে খুব যে মাথা ঘামানোর দরকার তা মনে করিনা। কারন কালের নিয়মেই এই সব তামাশা হারিয়ে যাবে। একটা জিনিষ বোঝার যে বাংলার লোকগান মানুষের সুখ-দু:খ-ভালবাসা-যন্ত্রণার সাথে মিশে রয়েছে বাঙালী এবং বাংলা ভাষার শুরু থেকেই। সব জাতি বা জনগোষ্ঠীরই এমন থাকে এবং এই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্যে শহুরে মানুষের কোন অবদান রাখার কোন দরকারই নেই। শহরের মানুষ যদি একান্তই আগ্রহী হয় লোকগান নিয়ে তবে যেটা করতে পারে তা হল এই সব গান সংগ্রহ করে রাখা, স্বরলিপি বানানো ইত্যাদী। যদিও লোকগানের স্বরলিপি অতি দুরূহ ব্যাপার। কারন স্থান এবং কাল ভেদে লোকগানের সুর এবং পরিবেশন পদ্ধতিও বদলাতে থাকে। গ্রাম বা জেলা থেকে যারা শহরে আসেন তাদের মধ্যে অনেক প্রতিভাবান শিল্পী থাকেন, যেমন ছিলেন কালিকাপ্রসাদ। কালিকাপ্রসাদ যে পরিবেশে মানুষ হয়েছিলেন সেই পরিবেশই তাঁকে বাংলা লোকগানের প্রতি দায়িত্বশীলতা এনে দিয়েছিল, শ্রদ্ধা এনে দিয়েছিল। এই ব্যান্ড-গায়ক বা বাদকদের মধ্যে কালিকা'র এই ভালবাসা এবং দায়িত্বশীলতার ছিঁটেফোঁটাও নেই। এদের বোঝা উচিৎ যে বাংলা লোকগানের এই ধরনের ব্যান্ড-গায়কদের দরকার নেই, ব্যান্ড-গায়কেরা নিজেদের দৈন্যদশার জন্যে লোকগানের আশ্রয় নেয় বারবার। এবং তাও নির্দিষ্ট কিছু গানের, যেগুলি কোন বিখ্যাত গায়ক বা সিনেমার মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়েছে। " তোমায় হৃদমাঝারে রাখবো" বা "গোলেমালে পিরিতি কোরো না" এই ধরনের কিছু গানের ঝমরঝম দমাদ্দম বাজনার সাথে পরিবেশন শুনতে শুনতে ইদানিং মাথা ঠিক রাখা দায় হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে আজ একটি টুসু গানের পরিবেশন শুনলাম যেখানে দেখি গায়ক গানের শেষ করছে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ভাবে "বটে" বলে। নির্ঘাৎ এই গায়ককে কেউ বলেছে টুসু গান বাঁকুড়ার গ্রামে গাওয়া হয় এবং বাঁকুড়ার লোকে কথায় কথায় "বটে" বলে। এই ধরনের হাস্যকর পরিবেশন হয়তো কলকাতার শপিং মলের জনতার সামনে গাইলে হাততালি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু বাঁকুড়ার গ্রামে গিয়ে গাইলে "নোনাও হাস্যি দিবে"।
  • avi | 57.11.10.17 | ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৫৮371985
  • বাঁকুড়া বা পুরুলিয়ার ডায়লেক্ট কলকাতার বেশিরভাগ জায়গায় যা শুনি, হাস্যকর বললে কম বলা হয়। খিচুড়ি একটা পরিবেশন হয়। আর কোনো জায়গায় ভুলে গেলেই সেখানে পূর্ববাংলার উচ্চারণ নামিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা। এমনকি রুদ্রপ্রসাদের নাচনী দেখতে গিয়েও দেখেছিলাম এক-দুজন ছাড়া প্রায় সবার ভুল উচ্চারণ।
  • dd | 193.82.16.46 | ১৪ জানুয়ারি ২০১৮ ২২:০৬371986
  • নারান গাংগুলি - লিখেছিলেন সে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে। কেমোনে পল্লিগীতি গাইতে হয়। উনি লিখলেন প্রতিটি কথার মধ্যেই একটা "হ" লাগায়ে দ্যান -ব্যাস অটোমেটিকেলি সেটা পল্লিগীতি হায়ে যাবে। উদা ঃ ছাতিম গাছের ডালে/ফিঙা পালে পালে - এটাকে কনভার্ট করুন - ছাহাতিম গাহাছের ডালহে/ ফিংহা পালহে পালহে। ব্যাস, হয়েগ্যালো। পল্লিগীতি। আর একটা দুটো "ভাইরে" অ্যাড করলে তো কথাই নেই।

    "শুকনো লংকা" দেখেছিলেন ? মিঠুন চক্কোত্তি। উনার চরিত্র একটি বাঙালের। পেটে বোমা মেরেও এক লাইন বাঙাল ডায়ালেক্ট বলতে পারলেন না। সো মাচ সো - শেষ দৃশ্যে -যেখানে একটা জ্বালাময়ী বক্তৃতা - সেটা আর বাঙাল কথার চেষ্টাও করলেন না। স্রেফ শ্যামবাজারী বলে গ্যালেন।

    এই ত্তো দেশের অবস্থা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন