এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপঙ্কর বেরা | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:২৭371319
  • রাস্তায় একজন অতীব সুন্দরী মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি আমি তিনি তারা কেউ সে রকম তাকালই না। নিছক অন্যান্য সাধারণ কেউ দাঁড়িয়ে আছে এমনভাবে দেখে চলে যাচ্ছে।
    যদিও এমন সাধারণত হয় না। কিন্তু যদি হয় তাহলে তা আশ্চর্য ঘটনা হবে। মেয়েটি বাড়ি এসে ভাববে আমি কি এমনই খারাপ দেখতে? কোন কৌতূহলী ভাববে, বাপরে! দেশের হল কি? সুন্দরের কদর নেই?
    কিন্তু যদি কোন হ্যাণ্ডসাম ছেলে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে এরকম ভাবনা বা ভাবার কোন অবস্থান সমাজে তৈরি হয় না।
    মেয়ে এবং ছেলে, নারী এবং পুরুষ নিয়ে এই হল আমাদের অবস্থান। যুগ যুগ ধরে এভাবেই সমাজ ব্যবস্থা আমাদের মনের মধ্যে গেঁথে আছে। সে ছেলে মেয়ে সবার মধ্যে।
    প্রতি বছর বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ঈদে পূজোতে যে সব ফ্যাশন আসে তা কেবল মেয়েদের জন্য, মেয়েদের কথা ভেবে। ছেলেদের জন্য যদিও আসে তা খুবই যৎসামান্য। মেয়েদের সাজানোর জন্য পুরো ব্যবস্থা উঠে পড়ে লাগে। ভাবতে থাকে। ভাবাতে থাকে। কিভাবে আরো কত সুন্দর করা যায়, কিভাবে আরো কত মোহময় করা যায়।
    ধীরে ধীরে এই ফ্যাশন চিন্তাধারা মেয়েদের কিভাবে চিত্তাকর্ষক করা যায় সেই ভাবনা সুদূরপ্রসারী হচ্ছে।
    কিছুদিন আগে পর্যন্ত কিছু পোষাক ছিল শুধু সিনেমার জন্য। পারিপার্শ্বিকে সাধারণত দেখা যেত না। দেখা গেলেও তা কেবল ধনী ফ্যামিলিতে দেখা যেত। এখন প্রায় সমস্ত রকমের পোষাক সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।
    কোন পোষাক পরার পর তার ভেতর থেকে উঁকি মারা কোন দেহের অংশ দেখা গেলে জনমানসে সেটাই বেশি উত্তেজনা জাগায়। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে। যেমন সিনেমার নায়িকার একটু ঝুঁকে পড়া দৃশ্যে বেশ ভালই হাততালি পড়ে।
    কোন বিজ্ঞাপন বা সিনেমায় যৌন উত্তেজনার দৃশ্যে দেহের কিছু কিছু অংশ দেখা যাবে সে রকম পোশাকের সাহায্য নেওয়া হয়। কেন না, পুরো খুলে ফেলা সবসময় ভাল লাগে না। কিংবা অনেকেই দেখতে চায় না। কিছু বিশেষ অবস্থান ছাড়া।
    নগ্নতা একটা পর্যায়। যৌন উত্তেজনার জন্য নয়। এখন ফ্যাশানের ক্ষেত্রে যদি তা জন সমক্ষে চলে আসে তাহলে তার অবস্থানটা কি?
    ছেলেরা কিছুদিন আগে জামার একটা দুটো বোতাম খুলে রাখত। এখন তো সব বোতাম খোলা থাকে।
    এই ভাবনা নিয়ে যদি ফ্যাশন এগিয়ে চলে তাহলে উদ্দেশ্য কি থাকে? আর এই ফ্যাশানে যারা গা ভাসায় বিশেষ করে মেয়েরা তাদের উদ্দেশ্যও বা কি থাকে?
    কিন্তু একটু দেখা যাবে যাবে করছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে না এমন অবস্থান বেশি উত্তেজনাপূর্ণ। যারা দেখছে তারা না দেখতে পাওয়া অংশ দেখার মত করে মনে মনে চিত্র আঁকে। এই চিত্র মনের মধ্যে সুর ভাঁজতেই থাকে এবং উত্তেজনার পাহাড় রচনা করে। একসময় এই পাহাড়ে কারো কারো ক্ষেত্রে ধস নামে।
    এই ধস কিন্তু পাহাড়ের শক্ত অংশে নামে না। নামে নরম অংশে। অর্থাৎ যেখানে অল্প অল্প শরীর দেখতে পাওয়া দেখা দেখল সেখানে শক্ত ঘাঁটি (মলে, শহরের রাস্তায়, সিনেমা হলে, বিয়ে ইত্যাদি উৎসবে) তাই স্রোত থেকে গেল মনের মধ্যে। আর নরম অংশে (নির্জন রাস্তা, ফাঁকা বাড়ি, বড় মাঠ, ধান ক্ষেতে, গ্রামে) সেই ধস প্রবল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ল। অর্থাৎ যেখানে ধ্বস নামল সেখানকার স্রোতের উত্তেজনা পূর্ববর্তীর সাথে কিছুটা হলেও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে।
    যা সামাজিকতায় আমরা প্রায়ই ভুল বুঝে থাকি। যারা এইসব ফ্যাশন বহুল, অল্প অল্প দেখা যাওয়া, অন্তরবাস বাইরে করে (ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখবেন জামার ভেতর থেকে গেঞ্জি দেখা যাবেই না। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশ তিরিশ শতাংশের ব্রা দেখা যাবেই) আরো অঙ্গ প্রদর্শিত পোষাক পরে তারা বেশিরভাগই পাহাড়ের শক্ত পাথর প্রদেশে (বেশিরভাগ ধনী অভিজাত নিরাপদ বলয়যুক্ত) বাস করে। তাই তাদের দেখে অনেকের মনের অবচেতনে যৌন উত্তেজনার স্রোত/প্রবাহ/ধারা তৈরি হয়। আর যারা এসবে মধ্যে নেই তাদের (সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত সম্প্রদায়) কাছে এই উত্তেজনার ধ্বস নামে। যা নরম অংশ। যার জন্য শক্ত ঘাঁটি অনেকাংশে দায়ী থাকে।
    বর্তমানে পোষাকের যে উদ্দেশ্য তা আমরা অনেকদিন পেছনে ফেলে এসেছি। এখন আর শুধু লজ্জা নিবারনের জন্য পোশাক নয়। তার ছায়ায় দস্তুর ফ্যাশন আমাদের জীবন যাত্রায় চলে এসেছে। তাও অনেকটাই মেয়েদের আরো অপরূপ করার বাসনা নিয়ে।
    যে কোন ফ্যাশানে যৌথ ভাবনা (সুন্দর এবং সভ্য/ ছেলেদের ও মেয়েদের) মিশে থাকে ঠিকই, কিন্তু প্রথম পায়োরিটি মেয়েদের। তারপরে ছেলেদের। শাড়িই প্রায় একশ দু'শ রকমের তারপর আছে স্যালোয়ার কামিজ, কুর্তা, স্কার্ট ইত্যাদি প্রায় আরো পাঁচশ রকমের। সেখানে ছেলেদের প্যাণ্ট আর জামা পাঞ্জাবি ইত্যাদি দশ বিশ রকমের।
    এবং বর্তমানে পোশাকের ভেদটাও ধীরে ধীরে মুছে দেওয়া হচ্ছে। সব পোষাক সবাই পরছে পরতে চাইছে। যা খুবই আনন্দের ভাবনা।
    আগামীকে নিশ্চয় আরো মধুর দিশা দেখাবে। ছেলে মেয়ের ভেদাভেদ আর থাকবে না। নারী পুরুষ সমান সমান।
    সমাজে মানুষের অবস্থান কেমন হওয়া উচিত। প্রথমে তার চাই (শুদ্ধ) খাদ্য, তারপর (রুচিশীল) বস্ত্র এবং (সম্মানিত) বাসস্থান। খাদ্যের ক্ষেত্রে এখন নানান প্রকরণ এবং যে যার গলাধকরণ। বাসস্থানের ক্ষেত্রে নিজস্ব সুউচ্চতা। অন্য কারো এক্তিয়ার নেই। কিন্তু বস্ত্রের ক্ষেত্রে অন্যের কাছে নিজের বোধের সঠিক পরিচায়ক।
    সেজন্যই অনেকক্ষেত্রেই পোষাকবিধি চালু আছে। যেমন ডাক্তার, নার্স, পুলিশ, ছাত্রছাত্রী, সিকুরিটি ইত্যাদি। এসবই মর্যাদার ধারক বাহক। যদিও এসব ক্ষেত্রে কোন বিশেষ জনের কাছে নিজের মার্যাদা। যেমন রোগীর কাছে ডাক্তার, নার্সের ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর। আইনের কাছে পুলিশের, শিক্ষার কাছে ছাত্রছাত্রীর।
    কিন্তু যেখানে মানুষ বিন্দাস। মজা করা ঘোরাফেরা বা নিজস্ব কর্মপ্রবাহ, সে রকম ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষের নিজস্ব মর্যাদার পরিচায়ক হওয়া উচিত এই পোষাক।
    পোশাকের বিভিন্নতায় একই অভিনেতা/অভিনেত্রী বিভিন্ন ধরনের অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করে। কখনও রাজা, কখনও উজীর, কখনও মন্ত্রী এবং কখনও বা সাধারণ খেটে খাওয়া, ভিখারী। একটাই দেহ তাকে যেমনভাবে প্রোজেক্ট করে তেমনভাবে সে জন সমক্ষে চর্চার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রোজেক্টের জন্য অভিনেতা/অভিনেত্রী মেকাপের সাথে সাথে পোশাকের সহযোগিতা নেয়। তাহলে আমাদের জীবনে পোশাকের গুরুত্ব সেই অনুপাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    কেন না সমাজের বুকে অভিনয়ের মত আমারও কিছু সত্যিকারের ভূমিকা আছে। আমি যদি রাণী হই রাণীর মত পোষাক পরব। রাজা হলে রাজার মত। আমাকে যদি রাস্তায় দাঁড়িয়ে খদ্দের জোটাতে হয় তো সে রকম পোষাকের সহযোগিতা নেব। যদি আমি সাধারণ হই তো সেইভাবেই পোষাক পরব। রাজমিস্ত্রীর কাজে তো আর হ্যাট কোট বুট পরলে চলবে না।
    আবার এই পোশাকের হিসেবে ঘরের ড্রেস, রাতের ড্রেস, অফিস ড্রেস, বিয়ের ড্রেস, সুইমিং ড্রেস, পার্টি ড্রেস ইত্যাদি নিয়ন্ত্রিত। একই ব্যক্তি এই রকম নানান ড্রেসে নানানভাবে নিজে নিজেই নিজের কাছে উপস্থিত হয়।
    এখন কেউ যদি এই ড্রেস প্রকরণ উলোট পালোট করে দেয়। রাতকে দিনে, দিনকে রাতে নিয়ে আসে এবং বলে 'আমার মর্জি অনুযায়ী পোশাক ব্যবহার করব, কোন বিধি নিষেধ কেউ চাপাতে পারবে না'। তাহলে তা নিয়ে দুই পক্ষেরই ভাবা দরকার। যে পরছে আর যে/যারা দেখছে। ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি 'আপ রুচি খানা পর রুচি প্যাহ্যানা'।
    আমি যদি বলি সুইমিং কষ্টিউম পরে বিয়ে করব তাহলে কি হবে? শাড়ী বা ধুতি পরে অলিম্পিকে দৌড়ব তাহলে কি হবে?
    কেউ কাওকে কোন বিধি বিধান চাপাতে চায় না। যদি তার নিজস্ব বোধ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। তার দিক থেকে তার বোধ কতটা স্বচ্ছ, কতটা সামাজিক, কতটা সামাজিক না মানা পরোয়াভাব সেই সব ভেবেই বিধান তৈরি হয়।
    সামাজিকতার এই রকম বিধানে কিছুটা দমিয়ে রাখার একটা ভাবনা যেমন কাজ করে তেমনি কিছু ক্ষেত্রে একটা বাঁধন তো থাকা দরকার। আবার এই সামাজিক বিধানের নানান অপপ্রয়োগ কিছু আছে। কিন্তু তার জন্য পুরো সিস্টেম বা সামাজিকতাকে দোষ দেওয়া যায় না।
    এখন রাতের ড্রেস যদি দিনে বেরিয়ে পড়ে তাহলে পুরুষকে দেখে নারীদের ক্ষেত্রে মনে হয় পাগল ছাগল। কিন্তু এরকম কোন নারীকে দেখে পুরুষের যা হয় তাকে নিজস্ব বোধে অনেকে নিয়ন্ত্রিত করে বা করতে পারে। আবার যারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না তাদের জন্য কি ভাবনা? কেন না প্রাচ্য সংস্কৃতিতে নারী দেহগতভাবে পুরুষের কাছে বেশ আকর্ষিত কিন্তু পুরুষ দেহগতভাবে নারীর কাছে ততটা আকর্ষিত নয়।
    তবে প্রাচ্য হোক আর পাশ্চাত্য কিংবা এই বিশ্বে নারী দেহগতভাবে পুরুষের কাছে কোমল পেলব এবং সৌন্দর্য্যমাত্রায় আকর্ষিত। এই ভাবনায় পুরুষ তো বিশ্বাসী তেমনি আমাদের সমাজে নারীরাও বিশ্বাসী। এই ভাবনা জীবন যতদিন থাকবে, সৃষ্টির গূঢ় যতদিন আবর্তিত হবে ততদিন এই ভাবনা জনমানসে থাকবে।
    পাশ্চাত্য ভাবনায় অনেক বিস্তার আছে, প্রাকৃতিক, সামাজিক অবস্থান আছে যা প্রাচ্য ভাবনায় নেই।
  • pi | 57.15.8.198 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:২০371330
  • মোদ্দা বক্তব্যটা কী, ধ্বদ নেমে কেউ ধর্ষণ করলে সেই ভিক্টিমের কোড বহির্ভূত পোশা দায়ী, তাইতো?

    তো, আপনার ঠিক করা প্রাচ্য নারীর পোশাকবিধিটা শুনি? একমাত্র বোরখাই ধ্বস রেসিস্ট্যান্ট মনে হচ্ছে।তাতেও আআর চোখ এক্স্পোসড, যা কিনা খুবই উত্তেজক হতে পারে।

    কী সমস্যা!
    কিন্তু ধ্বস নামা মস্নেই কি ধর্ষণ করে ফেলা বোঝাচ্ছেন, নাহলে এত সমস্যা কী আর তাই নিয়ে এত কাব্যপ্রবন্ধেরই বা কী?
  • h | 212.142.75.198 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৩১371337
  • ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে আরেকটু উৎসাহ দেওয়া উচিত মাইরি ঃ-)))))))))))))))))))))))))))))))))))))
  • দীপঙ্কর বেরা | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৩৮371338
  • শালীনতা ও অবস্থান নিয়ে আরো ভাবুন।
  • aranya | 83.197.98.233 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:০৩371339
  • 'মোদ্দা বক্তব্যটা কী, ধ্বদ নেমে কেউ ধর্ষণ করলে সেই ভিক্টিমের কোড বহির্ভূত পোশা দায়ী, তাইতো?'

    - ভিক্টিমের কোড বহির্ভূত পোশাক দায়ী, দীপঙ্কর তা বলেন নি। উনি বলেছেন, কোন একজন নারীর, ধরা যাক ক, কোড বহির্ভূত খোলামেলা পোশাক দেখে কোন পুরুষের, ধরা যাক খ , মনে ধব্স নামছে।

    এবার ক যেহেতু পাহাড়ের শক্ত পাথর প্রদেশে (বেশিরভাগ ধনী অভিজাত নিরাপদ বলয়যুক্ত) বাস করে, তাই ক-এর ধারেকাছে খ ঘেঁষতে পারছে না। সে টার্গেট করছে এবং ধর্ষণ করছে গ-কে, যে নরম অংশে (নির্জন রাস্তা, ফাঁকা বাড়ি, বড় মাঠ, ধান ক্ষেতে, গ্রামে) রয়েছে এবং সাধারণ খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত সম্প্রদায় ভুক্ত।
  • de | 24.139.119.175 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:০৪371340
  • কিসের অবস্থান?
  • শক্ত পাহাড় | 233.186.125.127 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:২৯371341
  • “এই ধস কিন্তু পাহাড়ের শক্ত অংশে নামে না। নামে নরম অংশে।”

    কেমন যেন সন্দেহ্জনক রুপক।

    “ (ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখবেন জামার ভেতর থেকে গেঞ্জি দেখা যাবেই না। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশ তিরিশ শতাংশের ব্রা দেখা যাবেই)”

    পরিসংখ্যান ও পর্যবেক্ষন দুইই কোতুহলদ্দীপক।
  • avi | 57.11.8.160 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৬:৩৫371342
  • “ (ছেলেদের ক্ষেত্রে দেখবেন জামার ভেতর থেকে গেঞ্জি দেখা যাবেই না। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশ তিরিশ শতাংশের ব্রা দেখা যাবেই)”
    ছেলেদের কত শতাংশ উক্ত জামা ছাড়াই সেই না দেখা গেঞ্জি পরে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন, আর মেয়েদের ক্ষেত্রেই বা অনুরূপ শতাংশ কীরকম, সেই বিষয়েও আলোকপাত হৌক।
  • de | 69.185.236.54 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:৫৪371320
  • দাবীটা কি? ব্রা দেখা যাওয়া অশালীন? এটার সল্যুশন আচে একটা ভালো - ব্রা না পরা -
  • pi | 192.66.7.29 | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:৩৫371321
  • না, দাবি হল তাতে ধস নামে। শক্ত বা নরম। তাই পরা যাবেনা। কোনভাবে সুন্দরও হওয়া যাবেনা। একই সমস্যা।
    একমাত্র সনাধান বোরখা উইথ চোখে ঠুলি।
  • amit | 213.0.3.2 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:০০371322
  • যত ভাটের মরাল মাসিমা আর মেসোমশায়গিরি। এই সব আল ফাল বকে জাস্ট ধর্ষকদের জাস্টিফাই করার চেষ্টা। খ নীল ছবির পর্দায় ক কে দেখে উত্তেজিত হয়ে গ কে এটাক করলো, এতে গ এর দোষটা ঠিক কোথায় ? তাও ভাগ্য ভালো যে সোজাসুজি বলে বসে নি যে "গ" ব্রা দেখিয়ে ঘুরছিলো তাই খ এর উত্তেজনা মাথায় চড়ে গেছে।

    সুস্থ যৌনতা শেখানোর কোনো চেষ্টা নেই, স্কুল এ সেক্স এডুকেশন এর নাম আঁতকে ওঠেন সব, নিজের বাড়িতে সুস্থ ছেলে মেয়ের মেলামেশার পরিবেশ নেই, প্রেম করার নাম শুনলে হনার কিলিং এর প্ল্যান ভাজেন মনে মনে, আর এনারা আসেন সবাইকে বোরখা পরে ঘোড়ার উপদেশ দিতে।

    puberty এর পরে ছেলে মেয়েদের পারস্পরিক আকর্ষণ অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। সেই স্বাভাবিক ন্যাচারাল ব্যবহার কে আমরা আটকে রেখে দেব, আর বিকৃত যৌন শিক্ষা পাবে সব নীল ছবি দেখে। যৌনতা যে একটা ন্যাচারাল জিনিস আর দুজন লোকের পারস্পরিক ভালো লাগার ব্যাপার সেটাই তো আমরা শিখিনা। আর ধর্ষণ শুধু বিকৃত যৌনতা নয়, সেটা বিকৃত ক্ষমতার দম্ভ, সেটা গোদা মাথায় না ঢুকলে আলোচনা করাই অর্থহীন।

    1।৪ বিলিয়ন এর দেশে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এড্রেস করার প্রপার প্লাটফর্ম নেই, সোশ্যাল সাপোর্ট নেই, আর এদিকে কেও কেও আসেন টিপিকাল চাড্ডিগিরি ফলাতে।
  • পিনাকী | 93.250.170.158 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:৪০371323
  • তবে যে যাই বলুন, ‘ধ্বস নেমে যাওয়া’টা বোধহয় গুরুর ভোক্যাবে ঢুকে পড়ল। অনেকদিন পরে এতটা ইম্প্যাক্টফুল একটা লেখা এসেছে। যাঁরা এখনও যথাযথ মনোযোগ দেননি (এবং এর পোটেনশিয়ালকে খাটো করেছেন) তাঁদের অন্য সুতো ছেড়ে এখানে মন দিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
  • amit | 213.0.3.2 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:৫৪371324
  • হ্যা, মূল লেখকের অলরেডি ধস নেমে গেছে মনে হয়,, তাই এতো বিলাপ আর প্রলাপ। আদ্যন্ত সেক্সিস্ট লেখা একটা, একটু কাব্যি ককটেল করে। এতো ভাটের দরকার-ই ছিল না।
  • dc | 120.227.244.250 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৩371325
  • যতো ধ্বস কি পাহাড়েই নামে? গভীর উপত্যকাতেও কি ধ্বস নামে না?
  • | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৮:৪৪371326
  • কি বাজে লেখা! যাকে বলে রাবিশ আর কি
  • aka | 79.73.9.37 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:১২371327
  • ধ্বসে গেলাম তো, কিন্তু নরম না শক্ত কোনটায় তাই নিয়ে ধন্দ আছে।
  • avi | 57.11.8.160 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:৫০371328
  • শক্ত জায়গায় ধ্বস নামা মুশকিল। শক্ত জায়গা থেকে ধ্বস নামতে পারে অবিশ্যি সময়বিশেষে।
  • cm | 113.205.212.207 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১০:৫২371329
  • Female self-objectification:

    Ariel Levy contends that Western women who exploit their sexuality by, for example, wearing revealing clothing and engaging in lewd behavior, engage in female self-objectification, meaning they objectify themselves. While some women see such behaviour as a form of empowerment, Levy contends that it has led to greater emphasis on a physical criterion or sexualization for women's perceived self-worth, which Levy calls "raunch culture".[16]

    Levy discusses this phenomenon in Female Chauvinist Pigs: Women and the Rise of Raunch Culture. Levy followed the camera crew from the Girls Gone Wild video series, and argues that contemporary America's sexualized culture not only objectifies women, it encourages women to objectify themselves.[17] In today's culture, Levy writes, the idea of a woman participating in a wet T-shirt contest or being comfortable watching explicit pornography has become a symbol of feminist strength.

    Source: https://en.m.wikipedia.org/wiki/Sexual_objectification

    দীপঙ্করবাবু বোধহয় এরকম কিছু বলতে চেয়েছেন।
  • সমীর | 52.110.172.164 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:২৪371332
  • যাচ্চলে! ধস নামা মানে ধর্ষণেচ্ছা জাগা! আমি তো ভাবলুম অসাড়ে মাখামাখি হয়ে যাওয়া।
  • সমীর | 52.110.172.164 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১১:২৪371331
  • যাচ্চলে! ধস নামা মানে ধর্ষণেচ্ছা জাগা! আমি তো ভাবলুম অসাড়ে মাখামাখি হয়ে যাওয়া।
  • kaattik | 213.99.211.135 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৩:৫৯371333
  • এই যে লেপ্ট লিবেরেল রা, প্রাচ্যের দীর্ঘ উইসডম কে ঢেঁকি রুপে ছাঁটা করছে। যাহারা স্পিক করিতে পারে, স্পিভাক তাঁদের জন্য কিছু বলিয়াও যান নাই। অন্যদিকে যাহারা স্পিক টি নট, তাহারা নব নব উদ্যমে নরম সৌন্দর্য্য ধ্বসাইতেছে, পুলিশের সৌন্দর্য্য যথেষ্ট শক্ত না হওয়া অবধি তাহাদের মুক্তি নাই।
  • দীপঙ্কর বেরা | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৭:২৪371334
  • খুব সুন্দর আলোচনা। ভাল লাগল। কোথাও কিন্তু ধর্ষণের কথা বলা নেই। কিন্তু পোশাক তো সামাজিক শালীনতার অংশ।
  • উজবুক | 57.15.11.121 | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ২২:২৩371335
  • বাহঃ! ধ্বস টস নামিয়ে কেমন করে 'সুন্দর আলোচনা' ভাল লাগল? ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়িয়েচেন মনে হচ্চে!
    তা, শুধু 'পোশাক' কেন? কথা বার্তা মায় চিন্তা-ভাবনাও তো 'সামাজিক শালীনতা'র অংশ, তারা বাপু আপনার কোলে বসে কাঁদুনি গাইচে কেন, সমাজন্নোয়ন বাদ দিয়ে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন