এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বুড়ো হয়ে যাচ্ছি

    Ayaon Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ | ৫৫৭৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • kiki | 185.100.20.222 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২১:৩২369914
  • দে,
    এখন চন্ডিমেলা চলছে।ঃ)

    আর তোমাদের স্কুলের গেটে বাঁধিয়ে খুব সম্ভবতঃ পার্থবাবুর নাম খোদাই করা হয়েছে। এই প্রথম স্কুলে মন্ত্রী সান্ত্রীদের নাম দেখলুম বাংলায়। আগেও হত হয়ত, কিন্তু আমি কখন দেখিনাই।

    বি,
    ঃ)
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২১:৩৭369916
  • লাস্ট লাইনে আমাদের সাইট ছাড়া হবে।
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২১:৩৭369915
  • দু নয়া খেয়াল পড়ছেনা। ৫ পয়সা খুবই চলত। ডালিম হজমি পাওয়া যেত। এখন তো দেখিইনা, হজমোলার দৌরাত্ম্যেই হারালো বোধহয়। অথচ খেতে ছিল হজমোলার থেকে ঢের ভাল। কী দিয়ে বানাত কে জানে। শুধু তেঁতুল হবেনা। একটা সবুজ সবুজ কী থাকত। ডালিম নাম কেন তাই বা কে জানে।

    আর ছিল কুড়ি পয়সার টিকিট। বনহুগলী থেকে সিঁথি। আমার বাস বাস খেলার কন্ডাক্টর ব্যাগে কত তাড়া কুড়ির টিকিট যে ছিল ! সিকি তো হারাল এই সেদিন। কিন্তু এদ্দিন অব্দি সিকি যে চলত, কীসে চলত ভাবছি।
  • dd | 59.207.60.229 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:১০369917
  • অ্যাক্চুয়ালি আমি যদি কখুনো ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট হই, বা সত্যি বলতে কি যখন হবো, সেই ফার্স্ট দিনেই কিছু আইন করে দোবো।

    যেমতি (১) ইলিশ মাছে কুমড়ো, বেগুন ইত্যাদি ছাইপাঁশ দিয়ে রান্না করা চলবে না আর (২) পঞ্চাশের নীচের কোনো ছেলে ছোকরা কোথাও নস্টালজি করতে পারবে না।

    আর নস্টালজির তো একটা সাময়সীমা থাকবে, না কি? এরপর তো দেখবো ইষ্কুলের বাচ্চারাও "আমাদের ছোটোব্যালায় হাপ পেন্টুলে zip থাকতো না, বোতাম থাকতো....." এইসব স্মৃতিচারণ শুরু করে দিয়েছে।
  • avi | 57.11.6.160 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:২২369918
  • আমাদের ছোটবেলায় জানেন শচীন তেন্ডুলকর ক্রিকেট খেলত। সে এক সময় ছিল। তারপর এল রাহুল দ্রাবিড় থেকে বিরাট কোহলি। উফফ, সে কি নষ্টলজি মশাই, ইডেনে বসে দেখছি ঋদ্ধিমান সাহার অসামান্য হাফ সেঞ্চুরি, দাঁতে দাঁত চেপে সেরকম লড়াই আজকাল ভাবাই যায় না। এদিকে আবার রাজনীতির আকাশে নরেন্দ্র মোদির উত্থান। অচ্ছে দিনের সে কি ক্রেজ! এখনকার ছানাপোনারা জাস্ট ভাবতেই পারবে না। বাংলায় মামাটিমানুষ এল, মা আবার ফ্লাইওভার হয়ে পার্ক সার্কাসে উড়ে এল, উড়তে উড়তে গুরুর ভাটিয়ালির পাতায় ডানা ঝাপটাতে লাগলো। কি শিহরণ জাগানিয়া সব দিন ছিল। তখন ময়দান ভরা ঘাস ছিল, প্রিয়রঞ্জন দাশ ছিল, ইত্যাদি।
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৩৫369919
  • লিটল ম্যাগ মেলা নন্দন থেকে সরিয়ে দিল, ফিরিয়ে আনার জন্য কত লড়াই কত লড়াই। আজকাল সেসব কে ভাবে? সেই ঋতব্রত, সেই রামরহিম, সেই পতঞ্জলি--- কত কান্ডই না ঘটল! কে আজকাল আর মনে রাখে সেইসব? ঃ-)
  • avi | 57.11.2.30 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৩৮369920
  • সকলি ফুরায়, ফুচকার প্রায়, পড়ে থাকে শালপাতা। :(
  • | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৪৩369921
  • বোঝো কান্ড! কোকোকোলার ফিরে আসা নিয়ে সবাই লড়ে যাচ্ছে। কোলাদার থাকা ব্যান খাওয়া ও ফেরা, আইবিএমের থাকা, ভাগ হওয়া বিদায় ও প্রত্যাবর্তন এ সবই তো ড্যাবড্যাব করে দেখলাম হে!
    ফুঃ
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৪৫369922
  • হায় শালপাতা! সে কবেকার কথা! আজকাল আর নেই তারা। এখন বায়োডিগ্রেডেবল পাতলা বাটিতে করে ফুচকা সার্ভ করে সিন্থেটিক তেঁতুলজল দিয়ে। ঃ-)
  • ঈশান | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২২:৫৪369924
  • ড্যাব জানি। কিন্তু করতে পারিনা। কিন্তু সেদিন ফেসবুকের কথা পুত্রকে বলতে সে মুখ কুঁচকে বলল, ফেসবুক? ও তো এনশিয়েন্ট। :-)
  • শাহিদ আফ্রিদি | 140.184.252.79 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:০০369925
  • কি মুশকিল, সুতোটার নাম তো বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, বুড়ো হয়েই গেছি হলে না হয় দেদার তাড়া করতেন ... আমরাও হাফপ্যান্টে বোতাম আটকে হজমি আর বিগ বাবুল খেতে চলে যেতাম ...
    কিন্তু মাঝ-তিরিশের বার্ধক্যবিলাসিতা আর নষ্ট্যালজিয়ার অধিকার এভাবে কেড়ে নেবেন না ! আর কিছুই তো নেই বললেই চলে, কিছু যে আর হওয়ার নেই সেও দিব্যদৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে ... তারপর চল্লিশ পেরোলেই চালশে !
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:১৮369926
  • চালশে হলেই বা কী? তখন দিব্যদৃষ্টিতেই নাহয় কাজ চালিয়ে ---
  • Atoz | 161.141.85.8 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:১৯369927
  • পালকিতে কেউ চড়েছেন? এখন আর পালকি দেখা যায় না। হুম না হুহুম না --- পালকি চলে রে---
  • pi | 24.139.221.129 | ২৯ নভেম্বর ২০১৭ ২৩:২৭369928
  • ডিডিদা, অভি , ঃ))
  • PT | 213.110.242.4 | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৪৯369929
  • ছু-স-গু-লি-জি-স-স-হা-স-দ-গা-আ.......
    ....ভোর বেলা....বোতামের সাদা হাফপ্যন্ট.....সাদা গেঞ্জী.....হাতে তালি দিয়ে সমস্বরে মন্ত্রোচ্চারণের মত...কে কে করেছে....?
    ...দ আর গা-র পুরোটা মনে আসছে না...
  • i | 147.157.8.253 | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৫৪369930
  • ব্রতচারীর প্রতিজ্ঞা, তাই না?
    ছু-স-গু-লি-জী-স-স-হা-স-দ-গা-আ- জ এ দীর্ঘ ই হবে না? জীব তো।
    দ এ দলের হয়ে লড়ব
    গা এ গায়ে খেটে বাঁচব।
    আমি করেছি, বুঝতেই পারছেন।
  • PT | 213.110.242.4 | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:০৬369931
  • ধন্যবাদ...ধন্যবাদ....একজন ব্রতচারীকে পেলাম অন্ততঃ......
  • aranya | 83.197.98.233 | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:২৩369932
  • 'আমারও তো বয়স হচ্ছে, রাত বিরেতে কাশি
    কাশির দমক থামলে কিন্তু বাঁচতে ভালবাসি
    বন্ধু আমার ভালবাসার স্বপ্নটাকে রেখ
    ...'

    - বুড়ো হতে না চাইলে কি আর কেউ বুড়ো হয়, বয়স বাড়তে পারে, সেটা অন্য কথা। ডিডি-দা যেমন চিরতরুণ, সে এখানে যাই লিখুন না কেন
  • বিপ্লব রহমান | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৯369933
  • আগেই জানাইয়াছি, আমি ১৮+। তাই বিগত জন্মের কথা:
    ~~~~~~~~~~~~~

    আম পাতা জোড়া জোড়া

    তৎকালে লোকে প্রেমকে লাইন বলিতো। আমাদিগকে বলা হইয়াছিলো, ইহা ভালো নয়। ভাবেসাবে আমরা বুঝিয়াছিলাম, লাইন একটি বখাটেপনা, সামাজিক অপরাধ বিশেষ। …

    এই ঢাকা তখন সেই ঢাকা ছিলো না। ফুলবাড়িয়াতে ছিলো রেল স্টেশন। রিকশাই ছিলো সর্বত্র জনপ্রিয় বাহন। ইপিআরটিসি’র (ইস্ট পাকিস্তান রোড এন্ড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) লাল দোতলা বাস বিআরটিসি ( বাংলাদেশ রোড এন্ড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন) হইয়াছে মাত্র। বাবার হাত ধরিয়া সেই দোতলা বাসে চাপিয়া মিরপুর-ফুলবাড়িয়া ভ্রমন করিয়া জীবনকে মনে হইয়াছিলো সার্থক। রমনা পার্কের দোলনায় আবার কবে চড়িবো, সেই ভাবনায় ছোট্ট শিশু মন কতই না রঙিন স্বপ্ন আঁকিয়াছিলো। …

    কিন্তু ‘ছেলেধরা’ নামক আতঙ্কে আমাদের ঘরে বন্দি থাকিতে হইতো। গ্রাম হইতে আসা ‘কামলা’ অমুক ভাইয়ের হাত ধরিয়া ইস্কুল-বাসা-দোতলা বাসার ছাদ অবধি ছিলো আমাদের দৌরাত্ন।

    আমরা শিশু পাঠ্যে পড়িয়াছিলাম:

    “আম-পাতা জোড়া জোড়া
    মারবো চাবুক চলবে ঘোড়া
    ওরে বুবু সরে দাঁড়া
    আসছে আমার পাগলা ঘোড়া…”

    এবং

    “হাতেম ভাই হাতি চড়ে,
    বাঘ-ভাল্লুক শিকার করে …”

    এবং

    “আমাদের ছোট নদী
    চলে বাঁকে বাঁকে…”

    আর ‘সিলভার বেলস-এর রাইম:

    “টুইঙ্কেল টুইঙ্কেল লিটল স্টার…”
  • সেন্টি | 82.204.42.99 | ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৯:০৭369935
  • ছড়া শুনে নিজের ছোটোবেলায় পড়া একটা হেব্বি ট্যান ছড়া মনে পড়লো -

    "একটি মাসি, দুইটি মাসি, তিনটি মাসি কইতো,
    তাদের দেশের চিনাং নদী দুকূল ছেপে বইতো
    বইতো বলেই রইতো কি আর তাদের দেশের মধ্যে?
    থাকলে আমি বসিয়ে দিতাম রুল টানা এই পদ্যে"

    --- কার লেখা ভুলে গেছি, বাল্যকালে বেশী গাঁজা খেলে যা হয়।
  • বিপ্লব রহমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৭:১৩369936
  • আবারো বিগত জন্ম হইতে, সাতের দশকের কথা, যেন হিপি জেনারেশন:
    ~~~~~~~~~~

    ফ্রাস্টেশন! ফ্রাস্টেশন!
    তৎকালে রাজ্জাক-শাবানা, ববিতা-জাফর ইকবাল হিট করিতে শুরু করিয়াছে। বড় ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ ‘সিনেমা’ , ‘চিত্রালী’ , ‘বিচিত্রা’ পড়িবার জন্য হা-পিত্যেশ করিতেন।

    তাহাদের বিনোদনের জন্য বলাকা, মধুমিতা, গুলিস্তান সিনেমা হল ছিলো আদর্শ। বায়না ধরিয়া, তাহাদের হাত ধরিয়া হাফ টিকিটে দু-একটা সিনেমা দেখিতে গিয়া জানিয়াছি, সাদা-কালো চলচ্চিত্র তখন ‘বই’ হইয়া উঠিয়াছিলো। ইহাতে লাইনের গুনগান থাকিলেও নায়ক-নায়িকার জাপ্ট-জাপ্টির বাইরে ঘনিষ্টতা বুঝানো হইতো দুইটি পাখি উড়িয়া যাইবার অথবা হংস-মিথুন জলকেলি দৃশ্য দ্বারা। এইসব বইতে অবশ্য ‘উজ্জত লুটিয়া লইবার’ দৃশ্য শাড়ির আঁচল টানিয়া ব্লাউজ ছেঁড়া অবধি গড়াইতো!

    তখন কি আর জানিতাম ছাই, লাইন ছাড়া গাড়ি চলে না। অথবা কবি যেমন বলেন, ভালবাসা কৃষিকাজ নহে, ইহাতেও রহিয়াছে যুদ্ধরীতি, ইহারও কুটনীতি, হিসাব-কিতাব আছে।…

    লম্বা চুল রাখিয়া, বেল-বটম প্যান্ট পড়িয়া, ‘মোর’ সিগারেট ফুঁকিতে ফুঁকিতে প্লাস্টিকের লং প্লে রেকর্ডারে বড় ভ্রাতা শুনিতেন আজম খান:

    “ফ্রাস্টেশন! ফ্রাস্টেশন!
    জ্বালা, জ্বালা, জ্বালা শুধু মনেরই,
    জ্বালা, জ্বালা, জ্বালা শুধু প্রাণেরই।…”

    সে সময় নূরা পাগলা হাইকোর্টের মাজারে নাকি আস্তানা গাড়িয়া তরুণ প্রজন্মের ভেতর গাঁজার মজা ছড়াইয়াছিলেন। তাহার ছালাটি নাকি নিলামে বিকিয়াছিলো ১০০ টাকায়! আজাম খান আবার গাহিয়াছিলেন:

    ”হাইকোর্টের মাজারে
    কতো ফকির ঘোরে
    কয়জনা আসলও ফকির?
    প্রেমেরও বাজারে
    কতো প্রেমিক ঘোরে
    কয়জনা আসলও প্রেমিক?…”

    এসো লড়বে যদি
    সে যাহাই হোক। এই সবই ব্লগর ব্লগর, মূল কথনের বাই-লাইন মাত্র।

    পাঠকের হয়তো মনে পড়িবে, তৎকালে আমাদের কচিকাঁচাদের প্রায় হাতের নাগালের বাইরে ছিলো গল্প-উপন্যাস। পাঠ্য বইয়ের বাইরে ইহাদের বলা হইতো ‘আউট বই’। তো নাটক-নভেল বা আউট বই আমাদের জন্য ছিলো দুস্প্রাপ্য। ইহারা সবই মা, খালা, মাসি-পিসিরাই দখল করিয়া রাখিতো। মলাট দিয়া পড়া হইতো নিহার রঞ্জন, আশুতোষ, ফাল্গুনী, নিমাই ভট্টাচার্য…।

    অন্যান্য পত্র-পত্রিকার সহিত বাবা নিয়মিত রাখিতেন ‘উল্টোরথ’। রবিবার ছুটির দিনের দুপুরে আকাশবানী কলিকাতার নাটক শোনা হইতো পান-দোক্তা মুখে লইয়া। রেডিও টিউনিং-এ আমার বিশেষ দক্ষতা ছিলো।

    সেই সময় আমরা যাহারা ইঁচড়ে পাকা, অক্ষর চিনিবামাত্র বই গিলিতে শুরু করি, তারা শিশুপাঠ্য তেমন কিছু না পাইয়া শুরু করিয়াছিলাম বড়-ভাইবোনোর পাঠ্যবই পাঠ। বিজ্ঞানের বইয়ে ফিতা কৃমি, জবা ফুলের পরাগায়ন, ব্যাঙ ও আরশোলার শরীর ব্যবচ্ছেদ — ইত্যাদি ছবি দেখিয়া, লেখা পড়িয়া, খানিকটা অস্পষ্ট বুঝিয়া ও বেশীরভাগই না বুঝিয়া নানান প্রশ্নবানে বড়দের উত্যাক্ত করিতাম এবং ‘গোবেট’ এর মতো উপাধীতে অহরহই চিহ্নিত হইতাম।

    মনে পড়িবে নিশ্চয়ই, বড়দের ওই পাঠ্য বইয়ে শরৎবাবুর ‘নতুনদা’র গল্পখানি বেশ লাগিয়াছিলো। তাহাতে একটা লাইন ছিলো অনেকটা এই রকম:

    ”আমি ডাকিলাম, নতুন দা! নতুন দা এক গলা পানিতে হইতে জবাব দিলেন, এই যে। তাহারপর নৌকায় উঠিয়া তিনি হাহাকার করিয়া উঠিলেন, আমার ড়্যাপার? পাম্প শ্যু?…”

    তাহার এই দুরাবস্থার কথা কল্পনা করিয়া মনে মনে খুশী হইয়াছিলাম। এখন বোঝ ব্যাটা অহেতুক পাওয়ার দেখাইবার ফল!

    তৎকালে বিশ্ববিখ্যাত মুষ্ঠিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলি এই পোড়া শহরে পদধূলি রাখিয়াছিলেন। ঢাকা স্টেডিয়ামে মোহাম্মাদ আলির প্রদর্শনী দেখিয়া বড় ভ্রাতা বাড়ির উঠানে ( জ্বি মশাই, উঠান। তখনও ঢাকার এক তলা – দোতলা বাড়িতে এই উঠান ও চৌবাচ্চা বস্তুটি একেবারে বিরল ছিলো না।) বালুর বস্তা ঝুলাইয়া, ঘুষোঘুষি প্র্যাকটিস করিয়া দুই হাতে ফোস্কা ফেলিয়াছিলেন। মোহাম্মাদ আলির মুসলমান হইবার কাহিনী লোকমুখে ফিরিতো। তখন মাস দুই ধরিয়া রেডিও গান বাজিয়াছিলো:

    “সে মোহাম্মাদ,
    সে মোহাম্মাদ আলি.
    এসো লড়বে যদি।…”
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন