এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ছোটবেলায় 'মাদ্রাসা' শব্দটা শুন | 125.118.219.163 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ১৭:৫৬367271
  • ছোটবেলায় 'মাদ্রাসা' শব্দটা শুনলেই মাথায় টুপি,সাদা পাঞ্জাবী লেবাসের ফাঁকে উঁকি মারা কিছু জুলুজুলু চোখ-মুখ মনে পড়তো। মাঝেমধ্যে একটা চেহারার তুলনায় প্রমাণ সাইজের থলি নিয়ে জোড়ায় জোড়ায় বাচ্চাগুলো বাড়ি বাড়ি ঘুরতো, দরজায় দরজায়। জোড়ার একজন হতো বেশ ছোট, গুলি মার্বেল সাইজের আর তাকে চৌহদ্দির বাইরে লক্ষণরেখা পার করা থেকে মানচিত্রের পয়েন্ট মিলিয়ে আবার গুমটি ঘরে ফেরানো অব্দি গাইড থাকতো লাট্টুঘোরানো বয়সের এক দাদা।
    নব্বই এর মাঝামাঝি। এদের হাতে তখনো কোন গোলাপী-হলুদ-সাদাটে কাগজ ওঠেনি। আম্মি জিজ্ঞেস করতো মাদ্রাসার ঠিকানা। তারপর দুপুরের রান্নায় দুটো খাইয়ে দাইয়ে গল্প করতো বেশ, ওদের সাথে।সাথে থলিতে ভরে দিত চাল, বেশ কিছু টাকা। বেশিরভাগই আসতো দেগঙ্গা- বেঁড়াচাপা, দেশের বাড়ির আশেপাশের জায়গা থেকে। তখনও চারিদিকে এত বর্ষার অগাছার মতো চারদেওয়াল আর টালির চালেই মাদ্রাসা গজিয়ে গুণিতক সিরিজ জমায়নি পসার খুলে। আস্তে আস্তে যখন ওয়াই টু কের আমোদে শুরু হয়েছে আমাদের প্রজন্মের হাই স্কুল লেভেল মগজযাপন, তখনই দেখতাম হাতে স্লিপ নিয়ে জোড়াদের আগমনরেট বেড়েছে অ্যান্টেনার কাকের মতো। স্লিপেই লেখা মাদ্রাসার নাম। আদায়কারীর নাম ও দানকর্মের খতিয়ান পূরণের জন্য বরাদ্দ দু'খানা শূন্য স্থান যোগে বেশ একখান কেতাদুরস্ত গেটআপ সেসব কাগজের। জোড়া বাচ্চাগুলোও সাইজে গুলতি থেকে বড়শি হয়েছে। এরা আর মাসের একটা শুক্রবার এসে করুণ চোখে তাকায়না খাবারের আশায়। কেমন যেন শিখিয়ে পড়িয়ে তোতাপাখি হয়ে ফেরিওয়ালার কাজ করতে বেরিয়েছে। বরাদ্দ সময়, বরাদ্দ টার্গেট...ওদের ইচ্ছা হলেও বুঝি গল্প করার সময়টুকু পালিয়ে গেছে, যেভাবে শেষ ট্রেন ছেড়ে যায় রাতের স্টেশন।

    ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারি, সাফা পর্বতের কাছে যায়েদ-বিন-আরকামের বাড়ি প্রথম মাদ্রাসার (আরবি শব্দ দারসূন থেকে আগত, অর্থ পাঠ) সূচনা হয় হজরত মোহাম্মদ ও তাঁর অনুগামী কয়েকজনকে নিয়ে। সেসময় কোরআন, হাদিস ছাড়াও শিক্ষা দেওয়া হতো শরীরচর্চা, প্রাথমিক চিকিৎসাপদ্ধতির মতো অনেক তৎকালীন রোজনামচার আনুষঙ্গিক বিদ্যাও। ছয় থেকে চোদ্দ বছর পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা (মক্তব) শেষে ছাত্রদের মাধ্যমিক শিক্ষাদানের যে উপায় বাতলেছেন ইসলামী পন্ডিত ইবনে সিনা, সেই অনুযায়ী এই স্তরে প্রত্যেককে নিজের ভালোলাগার ক্ষেত্রটাকে আবিষ্কার করা ও তাতে জ্ঞানলাভ- এই হলো মোক্ষ। এই ভালোলাগার বিষয় সাহিত্য, ব্যবসা, শিল্প যে কোনো কিছু হতে পারে, যে বিষয়ে সে জীবন গড়তে চায়।
    মোগল আমলে মাদ্রাসার জন্য যে লাখেরাজ জমি বরাদ্দ হতো, ইংরেজ শাসনকালে সেসব বহু জমি বাজেয়াপ্ত হয়ে অনেকটা থিতিয়ে যায় মাদ্রাসার বাড়বাড়ন্ত। কার্পেট থেকে ধূলো ঝাড়ার মতো আবার বহুদিন পর দরসে নিজামির প্রাচীন কাঠামো নিয়ে মাদ্রাসা চালু করেন মৌলানা কাসেম নানুতবী। এই পদ্ধতিতে আরবি ও ফার্সি ভাষায় নির্বাচিত নিরানব্বইটি বই এর অন্তত একটা পড়া ও অনুধাবনের যোগ্যতা অর্জন করলেই মাদ্রাসা শিক্ষালাভ সম্পূর্ণ হয় এবং ফলস্বরূপ তৈরী হন ইমাম বা মুয়াজ্জিন।ধর্মের নামে এই যে ইয়েজদাহম, দাহম, নাহম (ক্লাস ওয়ান, টু, থ্রি) পড়েই ধূ ধু অঁজ পাড়াগাঁয়ে 'মাদ্রাসা' খুলে ফেলার ছাড়পত্র যে পদ্ধতিতে, তাই হলো দুর্বল ভিতের অন্যতম এক, কওমী মাদ্রাসা।

    ছোটবেলার যে গল্পটা বললাম, দান যাকাতের টাকায় চলা মাদ্রাসা, সবকটাই হলো কওমী মাদ্রাসা। গরীব মানুষ খেটে খাওয়া, মিড ডে মিল আসার আগে যাদের ছেলেপুলেকে স্কুলে পাঠানোর কড়িটুকু ছিলনা, তাদের কাছে অক্ষর চিনছে পরের প্রজন্ম, সে যে ভাষারই হোক না কেন, সেটাই ছিল ভোরের স্তম্ভ।
    মাদ্রাসা যে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে তৈরী , তার থেকে যোজন ক্রোশ দূরে সরে এসে ধর্মচর্চার নামে বাকি শিক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যখন ইদানিং কালেও এই মাদ্রাসার ব্যবসায় ছাতিম ফুল ফোটে, তখন দুঃখ হয় বৈকি, নিজেদের উপর দুঃখ হয়। সেই কোন নবাবী আমলে রাজা গজারা প্রজাদের 'খুশি' করতে এই মাদ্রাসার ছাত্র- শিক্ষকদের ভাতা দিত। পাঁচশো বছর পর, হাল আমলে রাজা থেকে রানী, প্রজাতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র, পরিবর্তনের 'জোয়ার' এলো তবু কোমলমতি শিক্ষাখানা মাথা উঁচু করেই দাঁড়িয়ে রইলো, বহাল ফুর্তিতে।
    তারা সহজ পাঠ জানলো না, ব্রতচারী শিখলো না, রং তুলি নিয়ে 'একটি গ্রামের দৃশ্য' বলতে হিজাব পরিহিত কাল্পনিক কোনো নারীর ধান রোয়ার দৃশ্য ভাবতে বাধ্য হলো, আর মানবধর্ম ছেড়ে কখনো বা ধরর্মান্ধতাই ধর্মরক্ষা দায়ের সফল হাতিয়ার- এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। আমরা যারা তথাকথিত 'শিক্ষিত' ও 'মুসলিম' তারাও রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে বিকিয়ে যাওয়া এই অংশকে 'সংখ্যালঘু মুখ' হিসেবে দেখেও টেকো মাথায় আঙুলের খোলতাই তালজ্ঞান দেখিয়ে নিজেদের আখের গুছানোই ভালো মনে করলাম। প্রতিবাদের দরকার নেই, পরিবর্তনের দরকার নেই...দূর থেকে দেখে 'এই বেশ ভালো আছি'। আমরা পিছিয়ে পড়তে পড়তে ভুলে গেছি রবি ঠাকুরের সেই কথা-
    " মনের চর্চা যাদের কম গোঁড়ামি তাদের বেশি,
    সামান্য পরিমাণ নুতনত্বেও তাদের বাধে।"
  • প্রতিভা | 37.5.137.77 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ২২:০৩367278
  • বাঃ, খুব ভালো লাগলো।
  • জারিফা জাহান | 125.118.217.184 | ১৯ জুলাই ২০১৭ ২২:১০367279
  • ধন্যবাদ প্রতিভা দি।
  • pi | 57.29.194.180 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০০:১০367280
  • এগুলো অনেক কিছুই জানা ছিল না। কিন্তু এখানেই রাণা আলমের লেখায় বা লেখার মন্তব্য প্রসঙ্গে বোধহয় জেনেছিলাম, পবর বেশিরভাগ মাদ্রাসাতেই অন্যান্য স্কুলের মতই কারিকুলাম অনুসরণ করা হয়। সেটা কি তাহলে ভুল ?
  • aranya | 172.118.16.5 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০২:৪১367281
  • ভাল লাগল, জারিফা। খারেজি মাদ্রাসা নামে কি আর এক ধরণের মাদ্রাসা আছে? কত রকম মাদ্রাসা আছে - তা যদি একটু লেখেন।

    কিছু মাদ্রাসায় (বা হয়ত সব মাদ্রাসাতেই) ছাত্রদের থাকা, খাওয়ারও ব্যবস্থা থাকে বলে শুনেছি। ঠিক কি? সত্যি হলে, সেটা একটা বড় ব্যাপার, গরিব ঘরের ছাত্র-দের কাছে।
  • PP | 159.142.103.12 | ২০ জুলাই ২০১৭ ০৩:০০367282
  • "ইতিহাস ঘাঁটলে জানতে পারি" কোন ইতিহাস? তথ্যসূত্র দিলে ভাল হয়। না হলে নিছক গল্প কথাও ইতিহাস বলে চালানো হয়।
  • জারিফা জাহান | 125.118.216.136 | ২০ জুলাই ২০১৭ ১১:০৬367283
  • ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
    মাদ্রাসাকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করতে পারি।
    ১.দাখিল মাদ্রাসা
    ২.হাফিজিয়া মাদ্রাসা
    ৩.কওমী মাদ্রাসা
    এই দাখিল মাদ্রাসায় স্কুলের মতো পাঠ্যক্রম চালু আছে। সেকেন্ডারি পরীক্ষার পর হায়ার সেকেন্ডারির কনসেপ্ট ও বহাল।

    খারেজি মাদ্রাসা এই কওমী মাদ্রাসাকেই বলা হয়। বেসরকারি কমিটি থাকে এর পরিচালনার দায়িত্বে। এই মাদ্রাসাতেই গরীব বাচ্চাদের থাকা, খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়। যে বাচ্চাগুলোকে মাদ্রাসা চালানোর টাকা আদায় করানোর জন্য বাড়ি বাড়ি পাঠানো হয়, সেসবই এই মাদ্রাসার ছাত্র।

    হাফিজিয়া মাদ্রাসায় মূলত কোরআন শরীফ মুখস্থ করানোর একটা স্বল্প মেয়াদী পাঠক্রম থাকে। কোরআন মুখস্থ হলে তাদের হাফেজ বলা হয়।

    মাদ্রাসার ভাগ নিয়ে বিশদে জানতে লিংকটি রইলো:
    https://www.amrabondhu.com/mrinmoymizan/৬১০৫

    মাদ্রাসার ইতিহাস ও বিবর্তন কথা উইকিতেও পাবেন, এই লিঙ্কে :
    https://en.m.wikipedia.org/wiki/Madrasa
  • | 52.110.161.198 | ২০ জুলাই ২০১৭ ১১:৩৩367284
  • জারিফাকে প্রশ্ন-
    ১) মাদ্রাসায় অমুসলমান শিক্ষক এবং ছাত্রের উপস্থিতি ক্যামোন?
    ২) আধুনিক শিক্ষাক্রম যখন বর্তমান তখন মাদ্রাসার প্রাসঙ্গিকতা কতটা?
    ৩) মাদ্রাসার শিক্ষাপদ্ধতির ভালো দিক কী কী?
  • জারিফা | 125.118.217.139 | ২০ জুলাই ২০১৭ ১৩:০৭367285
  • ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে বলি, মাদ্রাসা বোর্ড বলতে আমরা যেটা বুঝি অর্থাৎ দাখিল মাদ্রাসা, সেখানে অবশ্যই অমুসলিম শিক্ষক-শিক্ষিকা অনেকেই আছেন তবে ছাত্রসংখ্যা যে এই ধর্মভিত্তিক বিভাজনের ক্ষেত্রে একেবারে তলানিতে তা বলাই বাহুল্য।
    ২ ও ৩ নম্বর প্রশ্ন প্রসঙ্গে প্রথম যে কথাটা আসে, চুলচেরা সংখ্যাতত্ত্বে না গেলেও এটা বাস্তব যে মাদ্রাসায় আসে প্রধানত দরিদ্র পরিবারের বাচ্চারা। সংখ্যায় খুবই কম থাকে কিছু অপেক্ষাকৃত ধর্মভীরু মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে। এ ক্ষেত্রে, একটা জিনিস অবশ্যই লক্ষণীয়, অপেক্ষাকৃত নিম্নবিত্ত এরথেকে অবস্থাসম্পন্ন পরিবারের যে বাচ্চারা মাদ্রাসা বোর্ডের শিক্ষার আলোয় আগ্রহী, তাদের অধিকাংশই মেয়ে। খবরের কাগজে প্রতি বছর মাদ্রাসা বোর্ডের ফলাফলে মেয়ে পরীক্ষার্থী ও পাশের সংখ্যাই বক্তব্যকে আরো জোরালো করে। এর পেছনের মনস্তাত্ত্বিক কারণটা অবশ্যই ধর্মীয়। পরিবারের মুরুব্বিরা চায় মেয়েকে শিক্ষিত করতে তথাপি ধর্মীয় আচার-অনুচার লাভও সুসম্পন্ন হোক। মাদ্রাসা বোর্ডের সিলেবাস আমাদের সময় অব্দি দেখেছি, প্রায় একই হলেও প্রশ্নের মান তুলনামূলকভাবে সহজ হতো। তবু এটাও ভাববার বিষয়, এই বোর্ডে পড়াশোনার পর বহু সফল ছাত্র ছাত্রী কারিগরি-ডাক্তার বা অন্য বিষয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। দরিদ্র অথচ মেধাবীদের খুঁজে পেয়ে ঘষে মেজে পালিশ করে ইঁদুর দৌড়ের মুলস্রোতে মেশার সংখ্যা একটু হলেও ভালো, আগের তুলনায়।
    তবে এসবই ঐ দাখিল মাদ্রাসার জন্যই বরাদ্দ।
    কওমী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা নিয়ে কিছু ভাববার সময় এসেছে আমাদের। যাতে শুধু আজান দেওয়া, ইমামগিরি বা বাড়ি বাড়ি কোরআন তেলাওয়াত করাই কারো জীবন চালানোর উপায় না হয়ে পড়ে।
  • Du | 57.184.8.117 | ২১ জুলাই ২০১৭ ০৬:৩৪367273
  • মাটির ময়নার রোকনের কথা মনে পড়ে। আর এটা যদিও প্রসঙ্গান্তর তাও বলি আমাদের ছোটবেলাতেও মিশনের হোস্টেল থেকে ছোট ছেলেরা আসতো রোব্বারে মুষ্টিভিক্ষা নিতে। আশা করি আজ পড়াশোনা করে তারা নিজের নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত আর সমাজেও কোন অবদান রেখেছে। ছোটবেলার সেই ভিক্ষার অভিজ্ঞতা খানিক সংযোগ ছাড়া আর কোন ছাপ রেখে যায় নি।
  • pi | 57.29.209.83 | ২১ জুলাই ২০১৭ ০৮:২১367274
  • অনেক ধন্যবাদ জারিফা।
    কোনগুলো সংখ্যায় কত আছে জানা যাবে?
  • aranya | 83.197.98.233 | ২১ জুলাই ২০১৭ ০৮:৫০367275
  • 'খারেজি মাদ্রাসা এই কওমী মাদ্রাসাকেই বলা হয়। বেসরকারি কমিটি থাকে এর পরিচালনার দায়িত্বে। এই মাদ্রাসাতেই গরীব বাচ্চাদের থাকা, খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়'

    - কওমী মাদ্রাসা-কে দাখিল মাদ্রাসা বা অন্য সরকারী স্কুল দিয়ে রিপ্লেস করতে হলে বাচ্চাদের থাকা খাওয়ার ভারও নিতে হবে, শুধু মিড ডে মিল দিলে হবে না
  • aranya | 83.197.98.233 | ২১ জুলাই ২০১৭ ০৮:৫২367276
  • বর্তমান পঃ বঙ্গ সরকার অনেক নতুন মাদ্রাসার লাইসেন্স দিয়েছে বলে কাগজে পড়েছিলাম - সেগুলো কোন ধরণের মাদ্রাসা?
  • জারিফা | 125.118.217.23 | ২১ জুলাই ২০১৭ ১৩:০১367277
  • সংখ্যাতত্ত্বের দিকে নজর দিতে হলে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা বোর্ডের ওয়েবসাইটই ভরসা। এগুলো সবই দাখিল মাদ্রাসা অর্থাৎ নির্দিষ্ট পাঠক্রম মেনে যেখানে পড়াশুনা হয়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি পরীক্ষারও ব্যবস্থা আছে। শেষ আপডেটেড যা পরিসংখ্যান আছে তা হলো এই -
    http://www.wbbme.org/recognisedMadrasahs.এসপিক্স

    খারিজ বা হাফিজিয়া মাদ্রাসার ক্ষেত্রে সঠিক সংখ্যা পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র জানা নেই।

    মাদ্রাসা শিক্ষকদের ভাতা অনুদান ও অনশনের চক্করে যে ২৩৭ এর পর হঠাৎ বেশ কিছু সংখ্যক মাদ্রাসার অনুমোদনের ঘটনা - সবই এই মাদ্রাসা বোর্ডের un-aided list এর অন্তর্ভুক্ত দাখিল মাদ্রাসা।সে তালিকাও বোর্ডের সাইটের হিসাব অনুযায়ী এই-
    http://www.wbbme.org/UnaidedMadrasahs.aspx
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন