এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • টুকরোটাকরা ১

    Arijit Guha লেখকের গ্রাহক হোন
    সিনেমা | ১৩ মার্চ ২০১৭ | ২১৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit Guha | ১৩ মার্চ ২০১৭ ১০:১০365220
  • #টুকরোটাকরা_১

    বম্বে টকিজের ব্যানারে হিমাংশু রায়ের অনেক ছবির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার ছিলেন লাল বাল পালের বিপিনচন্দ্র পালের ছেলে নিরঞ্জন পাল।শিক্ষিত এবং নাট্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন উনি।পরের দিকে স্বাস্থ্যের কারনে আর সেভাবে কাজ করতে পারছিলেন না।অথচ হিমাংশু রায় জানতেন ভালো ছবির জন্য ভালো গল্প চাই।এই জন্য কোনো প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিককে নিয়োগ করতে চাইলেন।প্রথমে নাকি তিনি তারাশঙ্কর বাবুকে অনুরোধ করেন।তারাশঙ্কর বন্ধ্যোপাধ্যায় লাভপুর ছেড়ে কোথাও যাওয়ার জন্য রাজি ছিলেন না।সেই সময় শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ও সাহিত্য জগতে বেশ প্রতিষ্ঠিত।তার বেশ কিছু গল্প ইতিমধ্যেই সাহিত্য জগতে সাড়া ফেলে দিয়েছে।আবার সেই সময়েই শরদিন্দু বাবুর একটু বেশি রোজগার করার খেয়াল চাপল।হিমাংশু রায় যে তার ছবির জন্য চিত্রনাট্যকার খুঁজছেন সে কথাও ওনার কানে গেছিল।দুজনের যোগাযোগ হল এবং শরদিন্দু বাবু বম্বে টকিজে চিত্রনাট্যকার হিসেবে যোগ দিলেন এবং বম্বের মালাডে থাকতে শুরু করলেন।বম্বে টকিজের ব্যানারে প্রচুর সিনেমার চিত্রনাট্য লিখলেন এবং সেগুলোকেই আবার গল্পে রূপ দিলেন।বম্বে টকিজে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ওনার একটা ছোট গল্পও রয়েছে।তো যাই হোক,দশ বছর টানা বম্বে টকিজে কাজ করার পর যেদিন ওনার বড় ছেলে টোডিংটন কোম্পানিতে চিফ কেমিস্টের পদে পার্মানেন্ট হলেন,সেদিনই বড় ছেলেকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুই এবার থেকে আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে পারবি তো?’
    ছেলে অবাক হয়ে বলল, নিশ্চয়ই নেব।কিন্তু হঠাৎ এরকম প্রশ্ন করার কারন কি?
    শরদিন্দু বাবু তখন যে জবাবটা দিলেন তা একজন সাহিত্যিকের পক্ষেই বলা সম্ভব।উনি বললেন 'বম্বে টকিজের কাজের জন্য ফরমায়েশি লেখা লিখতে হচ্ছে।আমার আর ভালো লাগছে না।তুই যদি আমার খাওয়া পরার দায়িত্ব নিস তাহলে বম্বে টকিজের কাজ ছেড়ে আমার নিজের মনের মত সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারি।'
    ছেলে বলল তুমি আজই কাজ ছেড়ে দাও।তোমার সাহিত্য সেবাতে আমার জীবনও ধন্য হবে।
    সত্যি সত্যিই পরদিন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময়কার ভারতবর্ষের নামী ও প্রতিষ্ঠিত স্টুডিওর কাজ ছেড়ে পুরোপুরিভাবে সাহিত্য চর্চায় মনোযোগ দিলেন।
  • pi | 57.29.129.194 | ১৩ মার্চ ২০১৭ ১২:১৩365221
  • বেশ লাগছে। আরো অসুক এরকম। বম্বে টকিজ নিয়ে কোন গল্পটা ?

    আর শরদিন্দুর লেখা চিত্রনাট্যের একটা লিস্টি পাওয়া যাবে ?
  • শঙ্খ | 57.15.4.165 | ১৩ মার্চ ২০১৭ ১২:১৮365222
  • বাহ, দারুন তো।
  • Arijit Guha | ১৫ মার্চ ২০১৭ ১৯:২৬365223
  • #টুকরোটাকরা_২

    ভাগলপুরের 'রাজা' উপাধিধারী উকিল শিবচন্দ্র ব্যানার্জির ছেলে উকিল সতীশচন্দ্র ব্যানার্জির কণ্যা গৌরীরানি ছিল জন্মাবধি ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী।প্রায়ই অসুখে ভুগতেন।এই জন্য সতীশচন্দ্র সব সময়েই দুঃশ্চিন্তায় থাকতেন।তার লক্ষ্য ছিল মেয়ের জন্য একটা বলবান জামাতা যাতে পাওয়া যায়।কারন দুর্বল মেয়েকে একমাত্র বলবান জামাতাই পারবে ম্যানেজ করতে আর তার ধারনা অনুযায়ী সেটা একদম রাজযোটক হবে।
    যথাসময়ে গৌরীরানির বিবাহের বয়স হল এবং সতীশচন্দ্র পাত্র খুঁজতে কলকাতায় এলেন।যখন ল কলেজের পাশ দিয়ে যাচ্ছেন তখন দেখলেন একজন হাট্টাকাট্টা জোয়ান ছেলে ল কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসছে।দৃপ্ত চলার ভঙ্গি ও পালোয়ানের মত চেহারা অচিরেই সতীশচন্দ্রকে ছেলেটির প্রতি আকৃষ্ট করল।সতীশচন্দ্র তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বন্ধু রামবাবুকে বললেন 'রাম যাও তো,ছেলেটি আগে ব্রাহ্মণ কিনা জেনে এসো তো,যদি ব্রাহ্মণ হয় তাহলে কোথায় থাকে সব জেনে আসবে'।
    রামবাবু সব জেনে এসে বললেন 'ছোকরা বামুন,নাম হচ্ছে কুঞ্জ আর থাকে হচ্ছে ____'
    সতীশচন্দ্র তো খুব খুশি।পরদিনই রেলযাত্রা করে চললেন মালদার পান্ডুয়াতে,যেখানে কুঞ্জর বাড়ি।পান্ডুয়া ঐতিহাসিক জায়গা, কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কুঞ্জকে আর পান্ডুয়াতে পাওয়া গেল না।হতাশ হয়ে কি করবেন ভাবছেন, এমন সময় হঠাত তার মনে পরল আরে রামবাবু তো পান্ডুয়া বলেন নি,বলেছিলেন খান্ডুয়া।কিন্তু সেটাই বা কোথায়!এরপর কয়েকজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানলেন মধ্যপ্রদেশে খান্ডুয়া বলে একটা জায়গা আছে।তো এরপর সেখানেই তিনি হানা দিলেন।ওখানে অবশ্য কুঞ্জকে খুঁজে পাওয়া গেল।স্থানীয়দের থেকে খোঁজখবর নিয়ে জানলেন ছেলে স্বভাবচরিত্রে খুবই ভালো।আর সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে ছেলে নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকে।এমনকি জগদ্বিখ্যাত ব্যায়ামবীর 'স্যান্ডো' কুঞ্জকে নিয়ে ইউরোপ সফরে যেতে চেয়েছিল,কিন্তু বাড়ির অনুমতি না থাকায় আর যাওয়া হয়নি। কিন্তু সমস্যা যেটা হল সেটা হচ্ছে কুঞ্জদের পারিবারিক অবস্থা নিয়ে।সেটা খুব একটা আহামরি কিছু নয়।চিন্তায় পরলেন সতীশচন্দ্র।অনেক ভেবে চিন্তে দেখলেন গৌরীর ভাগ্যে কুঞ্জই রয়েছে।সতীশচন্দ্র কুঞ্জকেই পাত্র হিসেবে মনস্থ করলেন। যৌতুক হিসেবে নগদ ২৭০০০ হাজার টাকা বলবান জামাতাকে দিয়ে বললেন, 'যাও বাবাজীবন,এবার তুমি স্বাধীনভাবে ওকালতি শুরু করো।'১৯০২ সালে বিয়ে হয়ে গেল গৌরীরানির সাথে কুঞ্জলাল গাঙ্গুলির কুঞ্জদের জন্মভিটে মধ্যপ্রদেশের খান্ডুয়া বা খান্ডোয়া তে।এই গৌরীরানিই হচ্ছেন রত্নগর্ভা অশোক কুমার অনুপ কুমার এবং কিশোর কুমারের মাতা।
  • AS | 125.187.46.82 | ১৫ মার্চ ২০১৭ ২০:২৪365224
  • বাঃ বেশ লাগছে !!!!
  • Arijit Guha | ১৬ মার্চ ২০১৭ ১৮:৪১365225
  • @pi ওনার বম্বে টকিজে কাজ করার সময় যে অভিজ্ঞতা হয় তাই নিয়ে একটা ছোট গল্প লিখেছিলেন।সেই গল্পের কথাই বলেছি।আর আনন্দ থেকে একটা বই বের করা হয়েছে যেখানে ওনার চিত্রনাট্যগুলো একত্রিত করা হয়েছে।ওখানে পেয়ে যাবেন সব কটাই।
  • Arijit Guha | ১৬ মার্চ ২০১৭ ১৮:৪২365226
  • #টুকরোটাকরা_৩

    আগেরদিন গৌরীদেবি আর কুঞ্জলাল গাঙ্গুলির গল্প বলেছি।আজ তাদের ছেলে কিশোরকুমারের গল্প। কিশোরকুমারকে নিয়ে কিছু লিখতে বসা মানে পাতার পর পাতা শেষ হয়ে যাওয়া অথচ লেখা শেষ না হওয়া।এমনই বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন কিশোরকুমার যে তা লিখে বর্ণনা করা সম্ভব নয়।বলিউডে যারা ওনার সাথে কাজ করেছেন তারা একটা কথা বলেন, কিশোরকুমারের নাকি খুব টাকার খাই ছিল।এই কথাটা এক সাংবাদিক ওনাকে জিজ্ঞাসা করাতে উনি উত্তরে বলেন আসলে এত লোক আমাকে ঠকিয়েছে যে আপনি ভাবতেও পারবেন না।এরপর থেকেই আমি টাকা পয়সা নিয়ে একটু বেশি মাত্রায় সচেতন।তো যাই হোক,অন্য একটা ঘটনার কথা বলি।বাংলা ছবির পরিচালক সুখেন দাসের অমরকন্টক ছবিতে গান গাইবেন কিশোরকুমার।এই সুখেন দাসের সাথে তার পরিচয়টাও হয় অদ্ভুত ভাবে।তার প্রতিশোধ ছবিতে কিশোরকুমারকে দিয়ে প্লে ব্যাক করাবেন বলে ঠিক করেন সুখেন দাস।দাদা অজয় দাস গানের সুরও করে রেখেছেন। কিশোরকুমারের সাথে পরিচয় নেই।কি ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করা যায় ভাবতে ভাবতেই একটা উড়ো খবর শুনলেন ওনার ড্রাইভার আবদুলকে গিয়ে ধরলেই নাকি কিশোরকুমারের ডেট পাওয়া যায়।সেই খবরের ওপর ভিত্তি করে উনি আর ওনার প্রোডিউসার বম্বে পাড়ি দিলেন।গিয়ে ধরলেন আবদুলকে।আবদুল আশ্বাস দিল, কোন চিন্তা নেই ডেট পাওয়া যাবে।তো চার দিন ধরে আবদুল প্রোডিউসারের পয়সায় মদ খেয়ে চলে যায় আর আশ্বাস দিয়ে যায় ডেট নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।কয়েকদিন যাওয়ার পর যখন সুখেন দাস বললেন আর তো অপেক্ষা করা যাচ্ছে না,ডেট না পেলে এবার আমাদের ফিরে যেতে হবে।অনেক খরচ হয়ে যাচ্ছে।শুনে সাথে সাথে আবদুল বলে আপনি পরশু দিন মেহবুব স্টুডিও বুক করে দিন।দাদা এসে যাবেন।
    মেহবুব স্টুডিও তখনকার দিনের নামকরা স্টুডিও।রেটও অনেক বেশি।তাও বুক করলেন।সকাল থেকে অপেক্ষা করাই সার হল।কিশোরকুমার আর এলেন না।সুখেন দাস রেগে অস্থির হয়ে উঠলেন।পরদিন সকালবেলা ইচ্ছে করেই দু পেগ হুইস্কি মেরে কিশোরকুমারের বাড়ি গৌরিকুঞ্জে গিয়ে ঝামেলা শুরু করলেন।গেটকিপার দেখল রাস্তায় ভিড় জমে যাচ্ছে।গেট খুলে সুখেন দাসকে ভেতরে ঢুকতে দিলেন।প্রথমেই দেখা হল ছেলে অমিতকুমারের সাথে।নমষ্কার প্রতি নমষ্কারের পর সুখেন দাস বললেন আমি বাংলা ছবির পরিচালক সুখেন দাস।অমিত কুমার বলল হ্যা আপনাকে চিনি।কিন্তু কি ব্যাপার বলুন তো? সুখেন দাস তখন বললেন তোমার বাবাকে ডেকে দাও একটু।কিশোরকুমার আসতেই সুখেন দাস গলায় উষ্মা নিয়ে বললেন, ‘দেখুন আমি বাংলা ছবি করি।রিজিওনাল ছবি।বাজেট বেশি নয় বুঝতেই পারছেন।আপনি অনেক নামী লোক জানি,কিন্তু আমাকে এভাবে ডোবাচ্ছেন কেন?’
    কিশোরকুমার অবাক হয়ে তাকালেন ওনার দিকে।আপনি কি বলছেন আমি বুঝতে পারছি না!
    সুখেন দাস গেলেন আরো রেগে।বললেন আপনি ডেট দিয়ে পরপর ফেল করছেন।স্টুডিও সারাদিন বুক করে রাখলাম আপনি এলেন না।আপনি কি ইয়ার্কি করছেন আমার সাথে?
    কিশোরকুমার তাও কিছু বুঝতে পারেন না।জিজ্ঞাসা করল আমি আপনাকে ডেট দিয়েছি?আপনি আমার সাথে কথা বলেছেন?
    সুখেন দাস বুঝলেন কোনো একটা গন্ডগোল হয়েছে।সব খুলে বলতে কিশড় কুমার রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে বললেন আবদুল যদি এসব করে থাকে ও আজকে আসলেই আমি ওকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেব।আপনি মেহবুব স্টুডিও বুক করুন আর গানগুলো আমাকে ক্যাসেট করে পাঠিয়ে দিন।
    প্রতিশোধে দুটো গান গাইলেন, ‘আজ মিলন তিথির পুর্ণিমা চাঁদ’ আর ‘হয়ত আমাকে কারো মনে নেই’।দুটো গানই হিট।সুখেন দাসকে বলে দিলেন এরপর যখনই ইচ্ছে করবেন সোজা আমার কাছে চলে আসবেন।তখন সম্পর্কটা হয়ে গেছে বড় ভাই আর ছোট ভাইয়ের মত।কিশোরকুমার ততদিনে হয়ে গেছে সুখেন দাসের কাছে কিশোরদা।আর কিশোরকুমার সুখেন দাসকে ডাকেন টেনশনদা বলে।সুখেন দাসের একটুতেই টেনশনে ভোগার অভ্যাসের জন্য।

    অমরকন্টক ছবির কথায় ফিরে আসি।‘এই তো জীবন/হিংসা বিবাদ লোভ ক্ষোভ বিদ্বেষ/চিতাতেই সব শেষ’ গানের রিহার্সাল চলছে।কথা গৌরিপ্রসন্ন মজুমদারের আর সুর অজয় দাসের।রিহার্সালে গান গাইছেন কিশোরকুমার আর তার চোখ দিয়ে টসটস করে জল বেরোচ্ছে।ফাইনাল রেকর্ডিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর সুখেন দাসকে জিজ্ঞাসা করলেন ছবির প্রোডিউসার কে?প্রোডিউসারের নাম বলতে কিশোরকুমার বললেন ‘ওদেরকে বলে দিন আমি এই গানের জন্য কোনো পারিশ্রমিক নিতে পারব না।এত দিন জীবনের গান গাইতাম।আজ মৃত্যুর গান গাইলাম।এই গান শুধু আমার কেন,যে কারো চোখে জল নিয়ে আসবে।নাহ,এই গানের জন্য আমি টাকা নিতে পারব না’।

    সেই সময় একেকটা গানের জন্য কিশোরকুমারের পারিশ্রমিক ছিল পনেরো হাজার টাকা।

    আরেকটি তথ্য, এই গানটি গৌরিপ্রসন্ন মজুমদার যখন লিখছেন তখন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী।
  • dd | 59.207.61.100 | ১৬ মার্চ ২০১৭ ২২:৪২365227
  • ইন্টেরেস্টিং লাগছে।
  • সিকি | ১৬ মার্চ ২০১৭ ২৩:২০365228
  • পড়ছি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন