এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কাগজ আমরা লুকাবো না

    X
    অন্যান্য | ১৪ জানুয়ারি ২০২০ | ৪৮৮৭ বার পঠিত
  • CAA, NRC, NPR ইত্যাদি প্রভৃতি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • ABP | 162.158.167.181 | ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ২১:৫১729509
  • মোদী কেন বিজেপির আসামে ঢুকতে পারে না দুই দুইবার পালাতে হয় তার কারণ
    -->
    ‘কেন নিজেকে বাংলাদেশি বলব?’— ঠাকুরদার রিফিউজি কার্ড, জমির দলিল হাতে উত্তর খোঁজেন কাছাড় জেলার রংপুরের অজিত রায়। তিন ভাই, তিন বোন। ঠাকুরদা যখন পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে আসেন, তখন কারও জন্ম হয়নি। জন্ম হয়নি বাংলাদেশেরও। ভারত সরকার উদ্বাস্তু হিসেবে ঠাকুরদাকে গ্রহণ করে। ১৯৭০ সালে দিয়েছিল এক টুকরো জমি পান। এনআরসি-র আবেদন করতে ঢুকতে পারে না গিয়ে তাই রিফিউজি কার্ডের সঙ্গে জমির দলিলও জুড়ে দিয়েছিলেন অজিতবাবু। জেঠু, কাকু এবং তাঁদের ছেলেমেয়েরাও একই নথিতে আবেদন করেন। কিন্তু হায়! অজিতবাবুর বড়দা ও তিন বোনকে সরকার ভারতীয় বলে মেনে নিলেও রাষ্ট্রহীনের তালিকায় অজিতবাবু ও তাঁর অনুজ, সঙ্গে তাঁদের সন্তানেরাও।মধুরার কাহিনি আরও চমকপ্রদ। ছোট থেকে সে শুনেছে, ‘তুই তো ইতিহাসের নাতি!’ ‘ঐতিহাসিক’ শব্দটা বন্ধুদের কঠিন মনে হত বলে ‘ইতিহাসের নাতি’। বরাক উপত্যকায় অনেক লেখাতেই ইতিহাসবিদ দেবব্রত দত্তকে উদ্ধৃত করা হয়। তিনি যা লিখে গিয়েছেন, তা-ই প্রামাণ্য নথি। তাঁর তৈরি ‘কাছাড় ডিস্ট্রিক্ট রেকর্ডস’ এশিয়াটিক সোসাইটি পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশ করে। তাঁরই নাতনি অ-নাগরিকের খাতায়, তখন শহরের অনেকে বাক্যহীন। হাসে শুধু মধুরা। এনআরসি-তে দাদুকে সে জোড়েনি, কিন্তু মা-বাবা দুজনকেই রাষ্ট্র ভারতীয় বলে মেনে নিয়েছে! মধুরার বাবা মনোজ দেব আকাশবাণী শিলচর কেন্দ্রের অবসরপ্রাপ্ত ঘোষক। মা দেবশ্রী দত্ত শিলচর মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ান। তাঁদের বক্তব্য, নাগরিকত্ব আইনেই তো বলা হয়েছে যে মা-বাবা ভারতীয় হলে সন্তানরাও ভারতীয়। তবে কি নাগরিকপঞ্জি তৈরি করতে গিয়ে নাগরিকত্ব আইনকেও অস্বীকার করা হচ্ছে? উত্তর নেই। কার কাছে প্রশ্নগুলো করা, তা-ও স্পষ্ট নয়।

    https://www.anandabazar.com/editorial/bengalis-of-assam-are-anxious-about-nrc-and-caa-1.1100351
  • FB | 162.158.155.163 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ০৭:৩৫729511
  • এখানে PT এই কথাগুলি অনেক আগে অনেকবার করে বলে এসেছেন। You can easily connect the dots

    ------+--+------+++++++---------
    দীপ্তাস্য যশ লিখলেন ফেসবুকে! অসাধারণ বিশ্লেষণধর্মী লেখা !

    পয়সা বোলতা হ্যায়

    আচ্ছা আমরা অনেকেই নিশ্চয় জানি দীপিকা পাড়ুকোনের পরবর্তী সিনেমা ৮৩। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে এই সিনেমা। বিগ বাজেট ফিল্ম।

    আমরা নিশ্চয় এও জানি যে এই সিনেমায় অন্যতম লগ্নীকারী রিলায়্যেন্স এন্টারটেইনমেন্ট।

    এবার একটা আপাত অপ্রাসঙ্গিক কথা বলি। জর্জ সোরোস সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছেন। তিনি দাভোস সম্মেলনে জানিয়েছেন ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের উত্থ্বানকে তিনি ভালো চোখে দেখছেননা। একে প্রতিহত করতে তিনি এক বিলিয়ান ডলার বিনিয়োগ করবেন।

    সব কাগজেই প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছে গতকাল দাভোস সম্মেলনে বিলিওনেয়ার জর্জ সোরোসের বক্তব্য। তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধ করেছেন। তবে বাংলা কাগজগুলো যথারীতি এই এক বিলিয়ন ডলারের অংশটি চেপে গেছে। তবে খবরের পেছনেও কিছু খবর থাকে এবং মূল খবর জানতে গেলে এই খবরের পেছনের খবরগুলিকে একটু বিশ্লেষন করতে হয়। তেমনিই জর্জ সোরোস কাল দাভোস সম্মেলনে যা বলেছেন তার পেছনেও কিছু কারন আছে এবং সেটি অবশ্যই “সংবিধানের লঙ্ঘন” নয়। কারন সোরোসদের সংবিধান একটাই। তা হোল ব্যবসা। আখির পয়সা বোলতা হ্যায়। এই কারনগুলি একটু খতিয়ে দেখলেই মূল উদ্দেশ্যটি প্রকাশ হয়ে পরে।

    বিশ্লেষনের শুরুটা বরং করা যাক একটি স্থানীয় খবর দিয়ে। তাহলে হয়ত বুঝতে কিছুটা সুবিধা হবে জর্জ সোরোসকে এবং তার উদ্দেশ্যটি। কারন কর্পোরেট এফেয়ার্স কখনই সোজা বিষয় নয়। খুবই জটিল।

    সাল ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে পরাজিত করে ক্ষমতায় এলেন মমতা ব্যানার্জী। ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পরেই একটি সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তা হোল হলদিয়া পেট্রোকেমে রাজ্য সরকারের শেয়ার ছেড়ে দেন এবং হলদিয়া পেট্রোকেমের পরিচালন ক্ষমতা পুরোপুরি চ্যাটার্জী গ্রুপের হাতে চলে যায়। আপাতভাবে এতে কোন অসুবিধা নেই। থাকার কথাও নয়। কারন সরকারের কাজ ব্যবসা করা নয়। সরকারের কাজ নীতি নির্ধারন করা। দেশের মানুষকে পরিষেবা দেওয়া। কিন্তু তাও এই ঘটনার পেছনে কিছু ঘটনা আছে যা নিয়ে একটু তলিয়ে ভাবা দরকার।

    আচ্ছা বলুন তো কোন ঘটনায় বামেদের পতনের শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে? ১০০ জনে ৯০ জন উত্তর দেবেন নন্দীগ্রামের গুলি চালনার ঘটনাই বামেদের পতনের মূল কারন। ঠিকই বলবেন। এবার বলুন তো এই নন্দীগ্রামের ঘটনা কেন ঘটেছিল? সবারই মনে আছে নন্দীগ্রামে পেট্রোকেমিক্যাল হাব তৈরি করার জন্য জমি অধিগ্রহন করাকে কেন্দ্র করে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সূচনা এবং পরবর্তীকালে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনীর নন্দীগ্রামের নিরীহ সাধারন মানুষদের উপরে নৃশংস, নির্লজ্জ আক্রমণ। যার তুলনা হতে পারে মরিচঝাঁপীর সাথে। এরপর সমস্ত বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। আন্দোলন নন্দীগ্রাম থেকে ছড়িয়ে পরে পুরো পশ্চিম বাংলায়।

    আচ্ছা এবার একটু ভাবুন তো যে বুদ্ধিজীবীরা সামান্য কিছু সাম্মানিক আর কোন একটা পদলাভের আশায় মুখ্যমন্ত্রীর পেছনে দাঁড়িয়ে তালি বাজিয়ে কা কা ছি ছি গাইতে পারেন, যে বুদ্ধিজীবীদের সিংহভাগ বাম সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে এসেছেন ৩৪ বছর ধরে এবং তার দ্বারা নিজেদের সমাজে বুদ্ধিজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কোন জাদুবলে হটাত তাদের মেরুদন্ড গজিয়েছিল নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরের সময়ে?

    উত্তর একটাই, তা হোল “আখির পয়সা বোলতা হ্যায়”। এবার একটু মনে করুন গতকাল জর্জ সোরোস কি বলেছেন। তিনি বলেছেন এক বিলিয়ান ডলার তিনি ইনভেস্ট করবেন ভারতে জাতীয়তাবাদের উত্থ্বানকে প্রতিহত করার জন্য। তার একটা বড় অংশ ব্যয় করা হবে এই বুদ্ধিজীবীদের ব্যাকিং দেওয়ার জন্য। কিভাবে ব্যাকিং দেওয়া হবে? কখনও সরাসরি টাকা দেওয়া হবে। আবার কখনও ম্যাগসাইসাই বা বুকার পাইয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের সমাজে বুদ্ধিজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং তারা হবেন আমাদের লোকাল গার্জেন। তারা আমাদের বোঝাবেন জাতীয়তাবাদ কতো খারাপ। একই ভাবে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়েও তাদের নানা ভাবে পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং তার পরিবর্তেই তারা নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন। না হলে স্কচসেবনকারী এই “সর্বহারাদের” কোথায় কোন গাঁয়ে কটা গরীব চাষা গুলি খেয়ে মরল না বাচল তাতে তাদের কিছু যায় আসেনা।

    নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বুদ্ধিজীবীদের সাথে সাথেই লক্ষ্য করার মতো উপস্থিতি ছিল বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলির। এবার আবার প্রথম প্যারাগ্রাফের শেষ লাইনগুলো পড়ুন। জর্জ সোরোস বিশ্বের সব থেকে বড় ফিলানট্রপিস্টদের মধ্যে একজন। সারা পৃথিবী জুড়ে বেশীরভাগ বড় বড় এনজিও যেমন গ্রীন পীস বা পেটা এনার অর্থানুকুল্য পেয়ে থাকে। এবার চেইনটা বোঝা গেল? জর্জ সোরোস পয়সা ঢালবেন গ্রীন পীস বা পেটার মতো বড় বড় সংস্থাগুলোতে। যেগুলো নামেই এনজিও। আদতে এরা সবাই বিশাল কর্পোরেট সংস্থা। এরা আবার সেই পয়সা নানাভাবে ডিস্ট্রিবিউট করে দেবে মাঝারি এবং ছোট এনজিওগুলোর মধ্যে এবং গড়ে উঠবে একটা নেটওয়ার্ক। যে নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে সামাজিক আন্দোলনের নামে কখনও বন্ধ করে দেওয়া হবে কল কারখানা আবার কখনও গরীব চাষিকে ঠকিয়ে গড়ে উঠবে কলকারখানা। অর্থাৎ ইনভেস্টরের স্বার্থ বজায় রাখতে যা যা করা দরকার তা এরা করবে।

    মনে হতেই পারে ধান ভানতে শিবের গীত গাইছি। কোথায় হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল আর কোথায় জর্জ সোরোস আর কোথায় নন্দীগ্রাম। যতসব আবোল তাবোল কথা। আপাতভাবে দেখলে তাই মনে হবে। কিন্তু ঐ যে শুরুতেই বলেছি খবরের পেছনেও খবর থাকে। এবার আসি সেই পেছনের খবরের কথায়। হোলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালের অন্যতম অংশীদার ছিল চ্যাটার্জী গ্রুপ। চ্যাটার্জী গ্রুপের অন্যতম ইনভেস্টার বা বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের সোরোস গ্রুপ। চ্যাটার্জী গ্রুপের মূল শর্ত ছিল যদি এই প্রকল্পের কোন পার্টনার কখনও তার শেয়ার ছেড়ে দিতে হয় তাহলে প্রথমে বাকী অংশীদারদের কাছে প্রস্তাব দিতে হবে। তারা যদি কিনতে অপারগ হয় তবেই এক মাত্র বাইরের কাউকে এই শেয়ার বিক্রি করা যেতে পারে।

    এই নির্দিষ্ট শর্তটি নিয়েই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের জমানায় চ্যাটার্জী গ্রুপের সাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের টালবাহানা শুরু হয়। একদিকে চ্যাটার্জী গ্রুপ তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য সংস্থার পুরো নিয়ন্ত্রন নিতে চায়। কারন ভারতে এবং বিশ্বের বাজারে প্লাস্টিক প্যাকেজিং-এর চাহিদা তখন বাড়ছে দ্রুতহারে। কিন্তু নিয়ন্ত্রনের নানা জটিলতার কারনে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল তাদের ব্যবসা সেই অনুপাতে বাড়াতে পারছেনা। অপরদিকে তাদের প্রতিদ্বন্দী রিলায়েন্স গ্রুপ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি বর্তমানে রিল্যায়েন্স যদিও প্লাস্টিক প্যাকেজিং কাঁচামালের সব থেকে বড় উৎপাদক কিন্তু তাদের ব্যবসার বেশীরভাগটাই ভারতের বাইরে। ভারতে এই মার্কেটে সব থেকে বেশী ব্যবসা করে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যাল। তাই সেই সময়ে একদিকে নিয়ন্ত্রন নিয়ে নানা জটিলতা। তার উপরে আবার শিল্পের জন্য বুদ্ধবাবু নন্দীগ্রামে জমি দিতে চাইছেন সেলিম গ্রুপকে পেট্রোকেমিক্যাল হাব খোলার জন্য। যার বিনিয়োগ হলদিয়ার থেকে অনেকটাই বেশী। মিতসুবিশি যদিও আগে থেকেই ছিল কিন্তু তাদের ব্যবসা অনেকটাই কম ভারতবর্ষে।

    এই সময় তাই ব্যবসায়িক স্বার্থেই চ্যাটার্জী গ্রুপের হলদিয়া পেট্রোকেমকে সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে নেওয়া দরকার ছিল এবং তারা চাইছিলনা সেলিম গ্রুপ তাদের পেট্রোকেম হাব স্থাপন করুক। কারন তার মানেই কম্পিটিশান। সেই কারনেই প্রথমে নানা এনজিও সংস্থাগুলির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করানো হয়। তারপরে সিপিএমের “ঐতিহাসিক ভুলের” পরে (যথেষ্ট সন্দেহ আছে মিডিয়াবুম না হলে হার্মাদ বাহিনীর এই কীর্তিকলাপ আদেও এভাবে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পরত কিনা) স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জী ঝাঁপিয়ে পরেন ময়দানে। সেই মমতা আজও আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয়। তখনও তিনি ভাইপোর ভবিষ্যৎ চিন্তায় এতোটা ব্যাকুল হননি।

    এই সময়েই চ্যাটার্জী গ্রুপ এই আন্দোলনকে অক্সিজেন দিতে মমতার সমর্থনে বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী এবং এনজিওগুলোকে প্রভাবিত করে আন্দোলনে নামায়। যার ফলশ্রুতিতে বাম সরকারের পতন এবং মমতা ব্যানার্জীর “অষ্টম বাম” সরকার গঠন। এই পালা বদলের পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার হলদিয়া পেট্রোকেমে তাদের অংশীদারীত্ব চ্যাটার্জীগ্রুপকে বিক্রি করে দেয় এবং চ্যাটার্জীগ্রুপ হলদিয়া পেট্রোকেমের নিয়ন্ত্রন নেয়। বলা বাহুল্য এতে অবশ্যই সোরোস গ্রুপ যারা কিনা চ্যাটার্জী গ্রুপে অন্যতম বিনিয়োগকারী ছিল তাদেরও স্বার্থ রক্ষা হয়। অবশ্যই এই স্বার্থরক্ষার্থে বর্তমান সরকার পশ্চিমবঙ্গের পাট শিল্পকে ধীরে ধীরে শেষ করে যথাসাধ্য সহায়তা করেছে।

    তবে এতো গেল একটা দিক। আরও একটা দিক আছে। তা হোল মনমোহন সিং-এর সেই সময় করা আমেরিকার সাথে নিউক্লিয়ার ডিল। এই ডিলটি অবশ্যই চায়নার স্বার্থের পরিপন্থী ছিল এবং সেই কারনে ভারতে চীনের সেই সময়ের সব থেকে বড় বন্ধু কমিউনিস্টরা চায়নার স্বার্থরক্ষার্থে বিরোধ শুরু করে। এই বিরোধেও অবশ্য জর্জ সোরোসের স্বার্থহানির কারন ঘটেছিল। কারন জর্জ সোরোসের বিনিয়োগের একটা বড় অংশ আছে ইউরেনিয়াম মাইনিং-এ। আর ভারতে বিভিন্ন পরমানু প্রকল্পে ব্যবহৃত ইউরেনিয়ামের একটা বড় অংশ বাইরে থেকে। কারন ভারতের ইউরেনিয়াম সঞ্চয়ের দ্বারা এই বিপুল চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়।

    জর্জ সোরোসের বিনিয়োগের একটা বড় অংশ যায় ইউরেনিয়াম ট্রেডিং-এ। ক্যামেকো কর্পোরেশান, যা কিনা বিশ্বের সব থেকে বড় যোগানদার ইউরেনিয়ামের তাতে সোরোস গ্রুপের একটা মোটা বিনিয়োগ আছে। স্বাভাবিক ভাবেই ভারত আমেরিকার মধ্যে নিউক্লিয়ার ডিল হলে ক্যামেকো কর্পোরেশান সেখান থেকে বেশ মোটা টাকার ব্যবসা পাবে। এমতবস্থায় বামেরা এই নিউক্লিয়ার ডীলের বিরোধ শুরু করলে তা সোরোস গ্রুপের ব্যবসার পক্ষে ভালো নয়। কারন বামেরা যদি তাদের এই আন্দোলন জারি রাখতে পারে তাহলে ইউরেনিয়াম ট্রেডিং-এর এক বিশাল ব্যবসা চায়না মারফত হয় তা বজায় থাকবে। ফলে সোরোসের লোকসান। তাই এই সমস্যা দূরীকরণে বামেদের শক্তিহীন করাটা জরুরী ছিল সেই সময়ে। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গে বামেদের পতন ঘটানো জরুরী ছিল।

    সেই সময়ে সংসদে বামেদের যে ৬১টি আসন ছিল তার বেশীরভাগটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রাপ্ত। কেরালাতেও বামেরা শক্তিশালী কিন্তু সেখানে তাদের পশ্চিমবঙ্গের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য নেই। সেই কারনেই পশ্চিমবঙ্গে বামেদের পতন জরুরী ছিল। তাই নন্দীগ্রাম থেকে যা শুরু হয়েছিল তা ক্রমশ ছড়িয়ে পরে সিঙ্গুর এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশে। জায়গায় জায়গায় গড়ে ওঠে জমিরক্ষা কমিটি। ধাক্কা খায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যের যাবতীয় শিল্পোদ্যোগ। এই পরিকল্পনা সফল করতে বিশেষ বেগও পেতে হয়নি সোরোসদের। অনিল বিশ্বাস পরবর্তীকালে সিপিএমের নিয়ন্ত্রন তখন বিমান, বিনয়দের হাতে। তারা ভাবলেন মরিচঝাঁপী, বিজন সেতু ট্রিটমেন্ট দিয়েই তারা সব ঠাণ্ডা করে দেবেন। মন্দাক্রান্তার মতো কিছু ঝড়তি পড়তি বুদ্ধিজীবী তখনও তাদের ক্যাম্পে আছে। তাদের দিয়ে ভিডিও বানিয়ে ধর্ষিতা মেয়ের বাবাকেই দোষী সাব্যস্ত করা হোল। কিন্তু তারা এটা বুঝলেন মানুষ অনেকদিন আগে থেকেই সিপিএমের ঔদ্ধত্য, লোকাল কমিটির অত্যাচারে বিরক্ত, ক্রুদ্ধ। এমতবস্থায় তারা একটি বিকল্প শক্তির সন্ধানে আছে। সেই বিকল্প শক্তির সন্ধান দেওয়া হোল মানুষকে মমতা ব্যানার্জীর উত্থ্বান ঘটিয়ে। অনেকে হয়ত বলবেন মমতা ব্যানার্জীর বিরোধিতার ইতিহাস অনেক পুরনো। সেটি অবশ্যই ঠিক কথা। কিন্তু একথাও অনস্বীকার্য সেই সময়ে এক বিশাল সংখ্যক বুদ্ধিজীবী, এনজিও এবং অতিবাম সংগঠনগুলির সমর্থন না পেলে মমতা ব্যানার্জীর পক্ষে সিপিএমকে সরানো সম্ভব হতোনা। ২০০১-এর বিধানসভা ভোট তার সাক্ষী।

    সোরোসের এই এনজিও নেটওয়ার্কের মোদী জমানায় কিভাবে ধাক্কা খেয়েছে তা বোঝানোর জন্য একটি উদাহরন দেব। ভারতবর্ষের অন্যতম বড় এনজিও ছিল কম্প্যাশন ইন্টারন্যাশানাল। আমেরিকার কোলারাডোর এই খৃষ্টান চ্যারিটি সংস্থাটির অন্যতম ডোনার জর্জ সোরোস। নরেন্দ্র মোদী সরকার এনজিওগুলিতে বিদেশী অর্থ বিনিয়োগ নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করার পর এই সংস্থাটি ভারতে তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করে। এরকম আরও বহু আছে।

    ভারতে সোরোসদের ব্যবসা কি? উত্তর হোল কোন একটি নয়। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বিনিয়োগ আছে। অনিল আম্বানীর এন্টারটেইনমেন্ট সংস্থা রিলায়েন্স এন্টারটেইনমেন্টে তারা প্রায় ১০০ মিলিয়ান ডলার বিনিয়োগ করেছে ২০০৮ সালে। এবার তাহলে বোঝা গেল প্রথম লাইনে দীপিকা পাড়ুকোনের উল্লেখ করা হয়েছে আর কেনই বা দীপিকা পাড়ুকোন জেএনইউ-তে গেছিলেন।

    ওয়াশিংটন পোস্ট, নিউইয়র্ক টাইমসের মতো কাগজেও সোরোসের বিনিয়োগ আছে। আশা করি আপনাদের সবারই মনে আছে এই সেই বিখ্যাত হেডিং, “ডিভাইডার ইন চীফ”। যাতে কিনা নরেন্দ্র মোদী একটি গণতান্ত্রিক দেশের গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করার প্রবল প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। জর্জ সোরোস সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ টি প্রথম সারির মিডিয়া হাউসে বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়াও ভারতে রিয়াল এস্টেট, লিজিস্টিকস ক্ষেত্রেও সোরোস গ্রুপের বিনিয়োগ আছে। একটা মোটা অংকের বিনিয়োগ আছে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে। রাজনীতিতে নাক গলানোর অভ্যেসটি অবশ্য সোরোসের নতুন নয়। এর আগে ২০০৪ সালে জর্জ বুশকে হারানোর জন্য লিবেড়ালপন্থী এই ব্যবসায়ী প্রায় ২৭ মিলিয়ান ডলার লাগিয়েছিলেন। সোমালিয়া, কসোভোতে জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি তার নিজের দেশ হাঙ্গেরি থেকেও তিনি এইসব কারনে বিতাড়িত। সেখানে তার ইউনিভার্সিটি, ব্যবসা সব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    এই মহামান্য ব্যক্তিটি হটাত ভারতবর্ষের জাতীয়তাবাদের উত্থান নিয়ে এতো ভাবিত কেন। অবশ্যই তিনি ক্যা বা এনআরসি নিয়ে ভাবিত নন। কারন সে সব ভাবনা থেকে পয়সা আসেনা। তিনি চিন্তিত তার ব্যবসায়িক ক্ষেত্র নিয়ে। একটা কারন হোল এম্যাজন। এম্যাজনে সোরোস ফান্ড ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের একটা বড় বিনিয়োগ আছে। নতুন ই কমার্স আইনের ফলে এম্যাজনের একচেটিয়া ব্যবসার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই জর্জ সোরোস ভারতবর্ষে জাতীয়তাবাদের উত্থান নিয়ে চিন্তায় পরেছেন। আফটার অল বিপ্লব নয় পয়সা বোলতা হ্যায়।

    বামেরা জর্জ সোরোসকে নিয়ে এই মূহুর্তে উদ্বেলিত তার মোদী বিরোধী অবস্থানের কারনে। কিন্তু যেহেতু তাদের নন্দীগ্রাম আন্দোলনের এই পেছনের খবরগুলি নিয়ে সঠিক ধারণা নেই তাই তারা জানেননা যে জর্জ সোরোস যে মোদী বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছেন সেখানে কানহাইয়া বা ঐশীদের জায়গা বিশেষ নেই। জায়গা আছে শরজিল ইমামদের। যাদের মুখ হিসাবে তুলে ধরার জন্য ১২০ কোটি টাকা খরচা করা হয়। কারন সেই ইনভেস্টমেন্ট আবার তাকে ডিভিডেন্ড দেবে আরব দুনিয়ার পেট্রো মার্কেটে। ফলে তিনি সুবিধা পাবেন তার বাকী প্রতিদ্বন্দীদের থেকে। মনে করা হয়ে পেট্রো প্রোডাক্টে প্রায় ১০০০ বিলিয়ান ডলার নানাভাবে বিনিয়োগ করেছেন জর্জ সোরোস।

    আপাতত বামেরা জর্জ সোরোস নিয়ে উদ্বেলিত হলেও তাদের এ থেকেও লাভের সম্ভাবনা বিশেষ নেই। কারন জর্জ সোরোস বামেদের বিশেষ অক্সিজেন জোগাবেননা। কারন তিনি জানেন সেটা ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট। তিনি তাই ভরসা রাখছেন শরজিল ইমামদের উপরে। যারা ক্রমাগত সংখ্যা বাড়িয়ে এই দেশের রাজনীতি, সমাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করতে চায় এবং জর্জ সোরোস চান রাজনৈতিক ক্ষমতাকে হাতে রেখে ভারতের মতো একটি বৃহৎ বাজারের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রন।
  • quark | 162.158.158.254 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:১৩729512
  • সবই বুঝ্লাম, কিন্তু "যারা ক্রমাগত সংখ্যা বাড়িয়ে এই দেশের রাজনীতি, সমাজনীতিকে নিয়ন্ত্রন করতে চায়" এইখেনে এসে লেখকের "অসাধারণ বিশ্লেষণ"ক্ষমতায় কিঞ্চিৎ সন্দেহ জাগল।
  • o | 172.69.34.61 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২৪729513
  • মাইরি যে পাবলিক এই লেভেলের লজিক বুঝতে পারে, সে বিজেপি-আরেসেস কেন হারামির হাতবাক্স সেটা বুঝতে পারেনা? পিটিবাবুর ছাগল তত্ত্বে সাবস্ক্রাইব করতে লোভ জাগে। :-)

  • o | 172.68.211.213 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৫:২৬729514
  • পাবলিক বলতে ভারতের জ্যানাগ্যান।

  • | 162.158.159.51 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:০৮729516
  • | 162.158.159.33 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:১৬729517
  • কিছুদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি NRC CAAর সমর্থনে অনেকে বলছেন , লিখছেন যে দেশটা কি লঙ্গরখানা হয়ে যাবে। সত্যি কি বহু বাঙালি অনুপ্রবেশকারী?? Census কি বলে?? যদি পশ্চিমবঙ্গে গত ৩-৪দশক ধরে কোটি কোটি লোকজন ঢুকে কার্ড পেয়ে বসবাস শুরু করে থাকেন তাহলে এই রাজ্যের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (population growth rate) সারা দেশের তুলনায় বেশি হত, তাই তো? চলুন দেখা যাকঃ-
    পশ্চিম বঙ্গ জনসংখ্যা:
    1981: 54580647.
    1991: 68077965
    2001: 80176197
    2011: 91276115
    বৃদ্ধির হার:
    (1981-91) : 24.7%; (1991-2001) :17.8%; (2001-2011) :13.8%.
    হার দিব্বি কমছে গত তিন দশক ধরে...
    আচ্ছা , বাঙালি হিন্দুরা? তাদের জনসংখ্যা কেমন?
    1981: 42005266
    1991: 50866624
    2001:58104835
    2011: 64385546
    বাঙালি হিন্দুর বৃদ্ধির হার কেমন?
    (1981-91) 21.1%;
    (1991-2001) 14.2% ; (2001-2011) 10.8 %.
    আবার দেখুন। কমছে গত তিন দশক ধরে....
    মুসলমানগুলোর দেখি। জনসংখ্যা
    1981: 11740297
    1991: 16075836
    2001: 20240543
    2011: 24654825
    বাঙালি মুসলমানের বৃদ্ধির হার?
    (1981-91) 36.9%;
    (1991-2001) 25.9% ; (2001-2011) 21.8 %.
    এও কমছে! 36 থেকে 21শে নেমেছে।
    এবার এর পাশে সারা দেশের হিসেব ফেলুন। জাতীয় স্তরে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার।
    1981 (24.1%), 1991 (22.7%), 2001 (19.9%), 2011 (16.8%)
    মুসলমানের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার।
    1981 (30.9%), 1991 (32.9%), 2001 (29.5%), 2011 (22.6%)
    কি দাঁড়াল ব্যাপারটা? ওরা যতই বলুক,
    ১. গত ৩০-৪০ বছরে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিশ্চিতভাবে কমছে। কোন সন্দেহ নেই।
    ২. গত ৩০-৪০ বছরে পশ্চিমবঙ্গ'র জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বভারতীয় গড়ের থেকেও বেশি কমেছে।
    ৩. বাঙালি হিন্দু আর বাঙালি মুসলমান দুজনেই জাতীয় গড়ের থেকে কম। উত্তর ভারতের অনেক লোকের থেকে বাঙালি ঘরে কম ছেলেমেয়ে হয়।
    ৪. কোটি কোটি লোক বর্ডার পার করে এলে ফলাফল যে অন্য রকম হত বুঝতেই পারছেন।
    ৫. পশ্চিমবঙ্গের গড় মহিলার total fertility rate (TFR) গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম।
    পাশাপাশি পঃবঃ, কেরলা আর উত্তর প্রদেশ দেখুন।
    হিন্দু TFR: wb (1.64), up (2.67), kerala (1.42), India (2.13)
    মুসলমান: wb (2.08), up (3.10), kerala ( 1.86), India (2.61)।
    দেখুন, বাঙালি মুসলমান মহিলার চেয়ে বেশি বাচ্ছা হয় UP হিন্দু মহিলার !!
    ৭. তাহলে ব্যাপারটা ধর্মভিত্তিক নয়। রাজ্য ভিত্তিক।
    ৮. তার মানে কি এই যে কেউ আসেনি? নিশ্চয়ই এসেছেন। পেটের দায়ে এসেছেন । আত্মীয়স্বজন ডেকেছেন চলে এসেছেন। আর বাঙালি তো দুবার দেশভাগ-ভোগা জাত, এই কষ্ট আর কে বুঝবে?? কিন্তু, যাবতীয় সমীক্ষা পরিষ্কার দেখিয়ে দিচ্ছে যে এমন বিশাল সংখ্যায় কেউ আসেননি যে পশ্চিমবঙ্গের জনমানচিত্র আমূল পাল্টে যাবে। ওটা ভোটের জন্যে ঢপ!

    Source: INDIAN CENSUS Report 2011

    লিখছেন প্রফেসর Silanjan Bhattacharyya... প্রফেসর ভট্টাচার্য ইকলজি এবং পপুলেশন জেনেটিক্সের বিশেষজ্ঞ...
  • রঞ্জন | 162.158.159.33 | ২৮ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৩৩729518
  • উপরের বক্তব্যে একটু যোগ করি ?

    টিফআর বা সারাজীবনে গড় গর্ভধারণের হার গোটা দেশে ২*২৩, যেখানে সেটা ২.২২ হলেই জনসংখ্যা স্থির হয়ে যাবে ; অর্থাৎ একবছরে বা একদশকে বদলাবে না । এখানে বঙ্গের ডেটা হচ্ছে ১*৬। মুসলমান প্রধান কাশ্মীরে? ১*৬। হিন্দু প্রধান ইউপিতে? ৩+। মোদীজির গুজরাতে? ২*৬। ভারতের গড়ের বেশি। 

    তথ্যসূত্রঃ নীতি আয়োগ, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ১৫ অগাস্টে প্রধানমন্ত্রীর জনসংখ্যা -বিস্ফোরণ তত্ত্বের পর প্রকাশিত প্রবন্ধ।

  • | 172.68.146.253 | ২৯ জানুয়ারি ২০২০ ১৩:৫৩729521
  • অজিত সিং বিষ্ঠার রাজ্যে বাচ্চা বাঁচেই না, তাই বোধহয় সমানে বাচ্চা পাড়ে ওখানে।
  • রঞ্জন | 162.158.158.192 | ৩০ জানুয়ারি ২০২০ ২২:৩৫729523
  • পালোয়ানের চেলারা সব যেদিন ওঠে খেপে,
    ফোঁসে সর্প হিংসাদর্প সকল পৃথ্বী ব্যেপে,
    বীভৎস তার ক্ষুধার জ্বালায় জাগে দানব ভায়া
    গর্জি বলে ‘আমিই সত্য --- দেবতা মিথ্যা মায়া’,
    সেদিন যেন কৃপা আমায় করেন ভগবান---
    মেশিন-গানের সম্মুখে গাই জুঁই ফুলের এই গান।  (রবীন্দ্রনাথ)

    "হম কাগজ নহীঁ দিখায়েঙ্গে"

                                                   বরুণ গ্রোভার

           আমি কাগজ দেখাব না , তোমায় কাগজ দেখাব না ।

              তুঘলকেরা আসবে-যাবে চিরটাকাল থাকবে না;

               আমি কাগজ দেখাব না , তোমায় কাগজ দেখাব না ।

                      

               টিয়ার-গ্যাসের ধোঁয়ায় যতই ভীড় তাড়াতে যাও,

               চায়ের পাত্রে টগবগিয়ে বিষ মিশিয়ে দাও,     

              সেটা ভালবাসার চিনি দিয়ে এক চুমুকে খাব,

               ভুলেও ভেবো না তোমায় কাগজটা দেখাব।

               আমি কাগজ দেখাব না , তোমায় কাগজ দেখাব না ।

            

                 দেশটা আমার বড্ড আপন, রঙেতে ঝিলমিল,      

                কোবতে লিখে রামপ্রসাদও হলেন যে ‘বিসমিল’।              

                 মাটি করবে ভাগাভাগি? মিশছে সবার খুন,

               ব্যর্থ হবে পদে পদে একুশে কানুন।

               তোমার পুলিশ এসে আমায় করবে লাঠিপেটা,

                 বন্ধ করবে মেট্রোরেল? আগেই জানি সেটা ।         

                  নামব পথে দলে দলে , চলব পায়ে পায়ে,      

                  ঠিকানাটি আছে জানা  মিলব সকল ভায়ে।           

                    গাইব জনগণমন,  ভাত চাইব, ছাড়ব না,

             আমি কাগজ দেখাব না , তোমায় কাগজ দেখাব না ।।

    [ অক্ষম অনুবাদে হিন্দি কবিতাটির 'মিজাজ'  অধরা রয়ে গেল।]

  • অরিন | 198.41.238.123 | ৩১ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪১729524
  • দারুণ ভাল ট্রান্সলেশন হয়েছে, রঞ্জনবাবু , আমি তো বলব আপনার বাংলা অনুবাদটা হিন্দির থেকে অনেক সাবলীল, অন্তত সাহিত্যগুণে। সুভাষ মুখুয্যেকে মনে পড়িয়ে দেয়!

  • Mridha | 172.69.34.173 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০৮729525
  • আজ ভারতীয় রাজনীতি এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষনে দাঁড়িয়ে। এইখান থেকে সেটা কোন দিকে অগ্রসর হবে তা তো সময়ই বলবে। কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত সমাজ আজকের মত দিকবিদিক শূন্য আগে কখনো হয় নি. স্বাধীনতার পর থেকেই ভারতের শিক্ষিত মানসিকতা এক সরল সেকুলার মানসিকতা অবলম্বন করেই চলেছে , তার মধ্যেই দেশের দিশা খুঁজে পেয়েছে আর নিজেরও ইন্টেলেক্চুয়াল স্যাটিসফেকশন খুঁজেছে।  সেইখান থেকেই যে কোন সংকীর্ণ আদর্শ কে আঘাত হেনেছে। এই মানসিকতার একটা অবস্থান হল , আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ঈশ্বর মানি বা নাই মানি যে যেই ঈশ্বর ই মানুক আমি সবাইকে সমান চোখেই  দেখবো। এই অবস্থান যে কোন ধর্মের শিক্ষিত মানুষকেই একটা আদর্শগত কমফোর্ট জোন দিয়েছে। আর রাজনীতির public face টা এটাই রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু রাজনীতির ব্যবহারিক দিক কোন দিনই এইটা ছিল না , সেই সত্য টাকে অস্বীকার করেই এত দিন রাজনীতি হয়ে এসেছে ভারতে। অতি বাম ,অতি ডান এর মত এই সিউডো সেকুলারশিম ও আঁকড়ে থাকার জিনিস নয়।  আমার আশা আমার দেশ এর বাইরে গিয়েও ধ্রুবতারা হীন হবে না।

    বিশ্বে খুব কম প্রচলিত ভাবধারাই আছে যে নিজের বিশ্বাসে অটল থেকে বলতে পারে যে আমার বিশ্বাস যেমন ঠিক সব জীব জগতের সবার বিশ্বাসও ঠিক , না বাজারের প্রচারিত সেকুলার বা atheist মতবাদও নয় ,সব ধর্মের অসারতা প্রচার করতে করতে আমরা নিজের অজান্তে ধৰ্ম না মানার ও একটা ধৰ্ম আর তার থেকে প্রসূত আরেকটা দল বানিয়ে ফেলি। ইচ্ছে করে নাস্তিকঃ বললাম না।

    In Indian spiritualism Nastik never considered as sinner how may other places we do, in the contrary Nastik has its own place of honor in Indian spiritualism. Nastik philosophy is not truly western atheisms , in atheist school of thought one will go against anything in name of god, but Nastik philosophy one try to justify what people are celebrating as God, He cannot be there! That’s of course true because very few can comprehend god or divinity at every single moment of one’s life, and its not possible to express true nature of God by literature or any other mean, so quite possible our personal god, can be a distorted form of god…so advocating and prescribing it for everybody cannot be acceptable…… so what true Nastik tries to express, is also a kind of seeking…so should have a place of respect in this spirituality. I intentionally did not use the word Hinduism, because this terminology saw the sunlight only after and by other religions to classify their identity.

    এখানেই ভারতীয় অধ্যাত্বিকতার উৎকর্ষতা , where highest value has been given in seeking or self realization not practicing or adopting or preaching or converting.....যেটা অন্য ধর্মের মানুষকে টেনে নিজের ভাবনার ( ধর্ম বা পন্থা ) দল বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করে না ……..বা আমার রাস্তা আমার জন্য ঠিক তোমার রাস্তা তোমার জন্য বলে বিতর্ক থামিয়ে দেয় না..…...পরন্তু যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারে তুমি তোমার বিশ্বাস বা অবিশ্বাস আর প্রকৃতি নিয়ে চলে যেই লক্ষে পৌঁছবে...আমারও পথের অন্তিম লক্ষ্য সেই একই। যদি তোমার পথের ও সত্যিকারের লক্ষ্য তাকে বোঝা বা জানা অন্যথায় নিজেকে জানা ই হয়..অন্য কিছু নয়……...আমাদের পথের শেষ ও অভিন্ন। "তু না জানে আস পাস হ্যাঁয় খুদা " আর "আছো অনিল আনলে চির নভ নীল " এ ভাষায় ভিন্নতা আছে ভাবে নেই। সেই আধারেই বিবেকানন্দ বলতে পেরেছিলেন মানুষ সত্য থেকে সত্য তর্ তে যায় , অসত্য থেকে সত্যে নয়.

    আর এটা শুধু রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ তেই শেষ নয় এই ভাবধারার আলকাজ্জিত অগুন্তি নামের মধ্যে গুরু নানক আছেন : কোই বোলে রাম কোই খুদায়ই … সান্টা ( google এটাই করে দিলো :) কবীর আছেন…..আছেন সাই বাবা ….ঘরের কাছেই আছেন লালন ফকির ……….

    এই সর্ব ধৰ্ম সম্বনয় একান্ত ভারতীয় একে না জেনে বুঝে গুরুত্ব না দিয়ে সমস্ত সর্ব ধৰ্ম এক করার প্রচেষ্টা হয় অন্তস্বার শূন্য শিশুসুলভ অপরিণাম দর্শী নয়তো কোন উদ্দেশ্য প্রণীত আন্দোলন………..
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন