এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  বই পছন্দসই

  • উত্তরের আলোয় অচেনা ইউরোপ এবং পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি

    কিশোর ঘোষাল
    পড়াবই | বই পছন্দসই | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০২৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৮ (৪ জন)

  • গ্রন্থ পরিচয় – উত্তরের আলোয় অচেনা ইউরোপ এবং পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি

    দীর্ঘদিন আমরা ইংরেজদের দাসত্বে থাকলেও, আমাদের বাল্যে বিলেত অর্থাৎ ইংল্যাণ্ড সম্বন্ধে বেশ সমীহ জাগানো একটা ধারণা তৈরি করেছিলেন, আমাদের বিলেত-ফেরত ডাক্তার ও ব্যারিষ্টাররা। তাছাড়া ইউরোপের যে কটি দেশ সম্পর্কে আমাদের কৌতূহল ছিল, সেগুলি হল, ফ্রান্স, ইটালি, জার্মানি, স্পেন, গ্রীস ইত্যাদি। আরও কিছু দেশ যেমন, পোল্যাণ্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, চেকোশ্লোভাকিয়াকে চিনতাম সে দেশের ডাকটিকিট সংগ্রহের সুবাদে। এখনও মনে আছে, পোল্যাণ্ড, হাঙ্গেরি এবং চেকোশ্লোভাকিয়ার স্ট্যাম্পগুলি, ইংল্যাণ্ডের “মহারাণি” মার্কা একঘেয়ে স্ট্যাম্পগুলির তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং চিত্তাকর্ষক ছিল। আরেকটা দেশের নামও মনে আছে - “নিশীথ সূর্যের দেশ” নরওয়ে!

    আলোচ্য গ্রন্থদুটি পড়া শেষ করে মনে হল, লেখকের হাত ধরে ইউরোপের ওই অচেনা-অজানা-অস্পষ্ট দেশগুলি থেকে এইমাত্র যেন ঘুরে এলাম।

    প্রথম গ্রন্থঃ উত্তরের আলোয় অচেনা ইউরোপ
    লেখকঃ হীরেন সিংহ রায়
    প্রকাশকঃ দে পাবলিকেশন্‌স
    প্রাপ্তিস্থানঃ আদি দে বুক স্টোর, দে বুক স্টোর, দে’জ পাবলিশিং, ১৩ বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০৭৩

    এই গ্রন্থে তিনি নর্ডিক দেশগুলি - ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, আইসল্যাণ্ড, ফিনল্যাণ্ড এবং বাল্টিক দেশসমূহ এস্টোনিয়া, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    দ্বিতীয় গ্রন্থঃ পূর্ব ইউরোপের ডায়েরি (প্রথম খণ্ড)
    লেখকঃ হীরেন সিংহরায়
    প্রকাশকঃ গুরুচণ্ডা৯ প্রকাশন
    প্রাপ্তিস্থানঃ

    এই গ্রন্থে পূর্ব ইউরোপের যে কটি দেশের কথা তিনি শুনিয়েছেন, সেগুলি হল, পোল্যাণ্ড, পূর্ব জার্মানি, রাশিয়া।

    * * *



    লেখকের ইউরোপের প্রবাস-জীবন শুরু হয়েছিল স্টেট ব্যাংক অফ ইণ্ডিয়ার ফ্রাঙ্কফুর্ট অফিসে। সেখানে বছর তিনেক থাকার পর, যখন এসবিআই থেকে ঘরে ফেরার ডাকের প্রতীক্ষায় তিনি দিন গুনছেন। সেই সময়ে তাঁর জেগে উঠল মধ্যবিত্ত বাঙালীর চিরন্তন আশঙ্কা – পরে আবার ইউরোপ আসা হয় কি না হয়, এই দেশগুলি কী অচেনা অজানাই রয়ে যাবে চিরকাল? অতএব অনতিবিলম্বে ছোট একটি ব্যাগ, দিনগত পাপক্ষয় করার মতো কিছু মার্ক আর সুলভে উত্তর ইউরোপ ভ্রমণের “নর্ডিক পাস” পকেটে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়লেন। সেই নর্ডিক পাস দেখিয়ে ট্রেন, জাহাজ, নৌকা কিংবা বাসে যথেচ্ছা চড়া যেত। তদুপরি ওই দেশগুলিতে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্যে ছিল ভিসাহীন অবারিত দ্বার। সালটা ১৯৮০। আজকের দিনে সেসব স্বপ্নবৎ।
    এই ভ্রমণ বৃত্তান্ত আধুনিক ট্যুর প্যাকেজ “একুশ দিনে ইউরোপ ভ্রমণ”-এর সঙ্গে একেবারেই মিলবে না। কারণ লেখক কোপেনহেগেন ঘুরেছেন সাইকেলে – যে সাইকেলে সে সময় ব্রেক থাকত না। তিনি ট্রেনে ফিনল্যাণ্ড থেকে কেমি হয়ে সুইডেন যাওয়ার পথে, হোটেলের খরচ বাঁচিয়ে রাত্রে নিখরচায় শান্তিতে ঘুমোনর জন্যে কেমি-কক্কলা-কক্কলা-কেমি জার্নি করেছিলেন। এবং কক্কলা স্টেশনের বন্ধ ওয়েটিং রুমে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছিলেন, স্টেশন মাস্টারের অনুমতি নিয়ে। দরিদ্র ভারতীয় সেই ছোকরা অভিযাত্রীর এমন আবদার স্টেশন মাস্টাররা মেনে নিয়েছিলেন সানন্দে, এবং বলেছিলেন, বিরল এই আবদারের কথা আজীবন তাঁরা শোনাবেন তাঁদের বন্ধু-বান্ধব ও পরিজনের কাছে!

    এই ভ্রমণের বেশ কয়েক বছর পরে লেখক এই দেশগুলিতে বারবার ফিরে গিয়েছেন, তাঁর ব্যাঙ্কের কর্মসূত্রে। সেই সব যাত্রায় তিনি উড়োজাহাজে উড়েছেন, থেকেছেন বিলাসী হোটেলে, যত্রতত্র ঘুরেছেন বহুমূল্য বাহনে। তাঁর সঙ্গী হয়েছেন কর্মসূত্রে পরিচিত ঘনিষ্ঠ বিদেশী বন্ধুরা। যদিচ তাঁর মনে আর দৃষ্টিতে রয়ে গিয়েছিল সেই ছোকরা অভিযাত্রীর মতোই অকুণ্ঠ কৌতূহল ও সংবেদন।

    কর্মসূত্রে এইধরনের ভ্রমণকে বাংলায় “রথদেখা-কলাবেচা” বলে। তিনি রথও যেমন দেখেছেন, তেমনি কলাও বেচেছেন অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে। ব্যবসায়িক কর্মের নানান অভিজ্ঞতার সঙ্গে তিনি বর্ণনা করেছেন প্রত্যেকটি দেশের অর্থনৈতিক উত্থান-পতনের কথা এবং বিশ্লেষণ করেছেন তার পিছনে নানান অসঙ্গতি অথবা দুর্নীতির কথা। ব্যাংকিং ব্যবসা এবং অর্থনীতিতে আমাদের বিন্দুমাত্র জ্ঞানগম্যি না থাকলেও, কিছু আসে যায় না, তিনি অনায়াসে আমাদের পৌঁছে দিতে পারেন আপাত-অগম্য ধারণার কাছাকাছি।

    ভলভো কারখানায় তিনি “ভলভো ৯৬০” মডেলের কার, টেস্ট ড্রাইভ করেছেন, সে কোম্পানির জনৈক বড়ো সায়েব ক্লাউসের সঙ্গে। বরফ ঢাকা পশ্চিম সুইডেনের নির্জন রাস্তায় ১০০ কিমি/ ঘণ্টা গতিবেগে চলতে থাকা গাড়িতে আচমকা ব্রেক কষেছেন, গাড়ির এবিএস - নিরাপত্তা চেক করার জন্যে। বিশ্বে সেই প্রথম এবিএস (এন্টি ব্রেকিং সিস্টেম) চালু করেছিল ভলভো। এরপর ওই কারখানাতেই তিনি ভলভো ট্রাক চালিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন, টেস্ট ট্র্যাকের সর্বেসর্বা স্টিগ। আশ্চর্য এই মানুষ স্টিগের সঙ্গে পরিচয়ে মুগ্ধ হয়েছেন লেখক এবং তাঁর সঙ্গে আমরাও।

    হেলসিঙ্কির সরকারি অফিসে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পিরকো হলাপ্পার। তাঁর গ্রামের বাড়ি উত্তর ফিনল্যাণ্ডে, গ্রামের নাম পুওলাঙ্কা। পিরকো তাঁকে চিনিয়েছিলেন গ্রামীণ ফিনল্যাণ্ডের সংস্কৃতি আর পরিবেশ। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠ আর গাছের সারিতে সাজানো শান্ত নিরিবিলি পুওলাঙ্কা গ্রাম। ফিনরা বাইরে জুতো ছেড়ে নিজেদের ঘরে ঢোকে! আপাত-তুচ্ছ এক সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়ে তিনি একাত্ম হয়ে পড়েন – কারণ এটি সনাতনী ভারতীয় সংস্কৃতিও বটে! অতি সভ্য ফরাসী, ইংরেজ, জার্মানদের সঙ্গে যা একেবারেই মেলে না।

    পরে আরেকবার তিনি পিরকোর সঙ্গেই বেরিয়ে পড়লেন ফিনল্যাণ্ডের উত্তর প্রান্তের দিকে – যেখানে আরও দুটি দেশের সঙ্গে তার মিলন ঘটেছে – রাশিয়া আর নরওয়ে। পৃথিবীর উত্তরতম বন্দর শহর রাশিয়ার মুরমানস্ক যাওয়ার পথে দেখা হয়ে যায় নরওয়ের দক্ষিণ সীমান্তের শেষ গ্রাম নাইডেন, আর উত্তর ফিনল্যাণ্ডের শেষ গ্রাম নাতামো। জনবিরল সেই যাত্রাপথের দুধারে তাঁদের সঙ্গী ছিল, অজস্র হ্রদ এবং নিরবচ্ছিন্ন সবুজ গাছের মিছিল...।

    তাঁর সঙ্গে ঘুরতে ঘুরতে আমরা এমনই অজস্র অভিজ্ঞতায় যেমন আশ্চর্য হই, ঋদ্ধ হই, তেমনই তিনি পরিচয় করিয়ে দেন প্রত্যেকটি দেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। দুর্বল দেশগুলির উপর সবল দেশগুলির, সহস্রাধিক বছরের অহংকারী আধিপত্য, সনাতন সংস্কৃতি ও সুপ্রাচীন ধর্মের বিলুপ্তি সাধন, প্রশাসনিক শোষণ...।

    যাঁরা ইউরোপকে কাছ থেকে দেখেছেন এবং আমার মতো যাঁরা ইউরোপের সান্নিধ্যে কোনদিন না গিয়েও ইউরোপ সম্বন্ধে সবিশেষ কৌতূহলী, উভয়ের পক্ষেই এই গ্রন্থদুটি অবশ্যপাঠ্য। নিছক দেশ ভ্রমণ নয়, বরং প্রতিটি দেশের সঙ্গে আমাদের সার্বিক পরিচয় গড়ে তুলতে হীরেনবাবুর জাদু লেখনীর কোন বিকল্প নেই।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৪৬526818
  • অসাধারণ রিভিউ। হীরেনদার বই দুটো আমার সংগ্রহে আছে।   নিরেট ইতিহাস নয়। জানা ইতিহাসকেও খোঁড়া হয়েছে। দেশে-বিদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়। সেইরকম একটা রম্য ঢংবর্তমান যা পাঠককে নিবিষ্ট করে রাখে। 
  • Kishore Ghosal | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৫526824
  • অনেক ধন্যবাদ মামুনবাবু। 
    বইদুটি আপনি পড়েছেন, আপনি বুঝবেন এমন বইয়ের এমন সংক্ষিপ্ত রিভিউ লিখে কিছুই বোঝাতে পারিনি।   
  • শিবাংশু | ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩১526846
  • কিশোরবাবু, 
    খুব সংক্ষিপ্ত হলেও হীরেনস্যারের মতো রমতা যোগীর মাধুকরীর সঙ্গে পাঠক সাধারণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তাঁর সঙ্গে আমার এখনও চাক্ষুষ পরিচয় হয়নি। তবে হয়ে যাবে আশা করি। তিনি আমার সতীর্থ অগ্রজ। যে সপ্রেম আবেগ নিয়ে সাহেবদের অচেনা যাপনের সঙ্গে তিনি আমাদের প্রতি নিয়ত পরিচয় করিয়ে দেন আমি তার প্রতিফলন পাই আমার নিজের অভিজ্ঞতায়। তিনি দেশের সরহদ পার করে মানুষ আর প্রকৃতিকে খুঁজেছেন। আমিও একই ধরনের চাকরি সূত্রে ঊনচল্লিশ বছর ধরে ভারতবর্ষের দশদিশা তোলপাড় করেছি। বলতে গেলে হয়তো টাকা-আনা-পাইয়ের যক্ষবৃত্তি, কিন্তু এই দেশ যেভাবে আমাকে তার অপার মহিমায় ঋদ্ধতর করে গেছে তার জন্য হীরেনস্যারের মতো আমিও আমাদের আলমা ম্যাটারের কাছে আশীর্ষ অবনত থাকি। ভারতবর্ষ, তার ইতিহাস-ভূগোল-মানুষ নিয়ে আমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে গত দু-তিন দশক। হীরেনস্যারের মধ্যে দিয়ে আমি সেই ভারতবর্ষকে আবিষ্কার করি ট্রান্সিলভ্যানিয়া থেকে সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া, কার্পেথিয়ায়। 
     
    তাঁর কাছে প্রত্যাশা বেড়েই যায়, 
  • Kishore Ghosal | ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:২১526927
  • অনেক ধন্যবাদ শিবাংশুবাবু। 
    আপনার মতো আমাকেও  প্রায় চল্লিশ বছর ভারতের বহু প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস করতে হয়েছে। লোহা, সিমেন্ট কংক্রিট ছিল আমার নিত্যসঙ্গী।  আর সঙ্গী ছিলেন অজস্র দেহাতি মানুষ - না শহুরে মার্জিত লোকজন নয়।    
     
  • Debasish Sengupta | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৫৭526962
  • হীরেনবাবুর লেখা পড়ে, ইউরোপ না গিয়েও মনে হয় যেন আমিও ইউরোপের আানাচে কানাচে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এত সুন্দর লেখনশৈলী। 
  • Kishore Ghosal | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০০527631
  • একদম খাঁটি কথা। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন