এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বিবিধ

  •  নগ্নতা ও বর্ষা 

    মোহাম্মদ কাজী মামুন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৫ আগস্ট ২০২৩ | ৫৪৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একদা লিখেছিলেন,
     
    ‘আমি অনেকবার ভেবে দেখেছি, প্রকৃতির মধ্যে যে এমন একটি গুঢ় গভীর আনন্দ পাওয়া যায়, সে কেবল তার সঙ্গে একটি সুবৃহৎ আত্মীয়তার সাদৃশ্য অনুভব করে।…সমস্ত বিশ্বচরাচরের সঙ্গে আমরা একই ছন্দে বসানো।’
     
    অনেক আগে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখেছিলাম; বাংলাদেশের গহীন পার্বত্য অরণ্যে বাস করা একটি আদিবাসী জাতিকে ‘প্রকৃতির সন্তান’ বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছিল - মানুষগুলো এমনকি কাপড় পরতে শেখেনি! তাহলে এই যে দিগন্তজোড়া আকাশ-সাগর, পাহাড়-পর্বত, বনরাজি-পশু-পাখির দল, তারাও তো প্রকৃতির সন্তান, কারন তাদেরও নেই পোশাক! সেক্ষেত্রে বাদ রইল শুধু ‘মানুষ’, মানে, আধুনিক মানুষ, যে সভ্যতার পোশাকে মুড়ে রেখেছে আদ্যোপ্যান্ত নিজেকে। দলছুট এই প্রাণীটি ধরণীতে এখন ভীষণ একা, যারপরনাই নিঃসঙ্গ। অথচ ব্রম্মান্ডের শুরুতে সেও ছিল প্রকৃতির গর্ভেই, ঐ আদিবাসীদের মতই। কিন্তু যতই বয়স বেড়েছে গ্রহটার, শেকড়বাকড়ের সাম্রাজ্য আড়াল করে দিয়েছে মানুষ নামের আদিম বৃক্ষটিকে। মাকড়সার জালের মত তারা তীব্র করে টেনে ধরছে তাকে চারপাশ থেকে, ফলে প্রকৃতিবায়ু বেরিয়ে গিয়ে মানবমস্তিষ্ককে পরিণত করেছে এক গ্যাসচেম্বারে! আত্মপরিচয়ের তীব্র এক বাসনায় সে ভুলে যেতে বসেছে, প্রকৃতি কিছু একটা ছিল তার! এমনই এক পৃথিবীতে কবি কুমার চক্রবর্তীর ‘বৃষ্টি শাসিত বর্ষা’ কবিতাদেবীর আগমন যেন এই মনে করিয়ে দিতে যে, প্রকৃতি শুধু কিছু একটা না, সবটুকুই ছিল মানুষের।
     
    ‘মনে হয় আবরণহীন হই
    জলে ও ছায়ায়, অন্তরীক্ষ বৃষ্টির নগর
    এই মোহকাল, পরাজিত ও গোপন
    আমাকে তাদের কাছে নিয়ে যায় ইচ্ছাপ্রত্যাশায়
    দেহ থেকে বের হওয়া শিকড়বাকড়
    জড়িয়ে রেখেছে এই অদৃশ্যতা, গূঢ় অভীপ্সায়
    যেন আমি ত্বকহীন হই
    যেন আমি হই পরিচয়হীন
    বৃষ্টিশাসিত বরষায়।।’
     
     
    সর্বত্র শেকড়বাকড়ের জাল, ঘন মেঘে ঢাকা পড়েছে আমাদের সকল মোহ, আনন্দ মন্ত্র। কিন্তু এরও যেন রয়েছে এক নিগূঢ় অভিপ্রায়! যখন নব বর্ষার মন্দ্রধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে ধরণীতল, একটু একটু করে খুলবে ঘোমটা, লুটিয়ে পড়বে লাল বেনারসি, গলে গলে পড়বে মেকাপ, ধ্বসে যাবে অলংকার-হার, তখন শুধুই মিলন, বিলীন হবে কালো আর ধলো। মুক্তির এই নির্লজ্জ লগ্নে থাকবে না কোন পরিচয়, যেমন প্রকৃতিরাজ্যে নেই কোন নাম, জাতি, দেশ …আছে শুধু এক রিমঝিম সুরলহরী অষ্টপ্রহর, বাঁধভাঙা নৃত্যের এক রমণীয় স্রোত।
     
    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,
     
    ‘আজ (ঘনবর্ষার শ্রাবণসন্ধ্যায়) বোবা সন্ধ্যা-প্রকৃতির এই যে হঠাৎ কণ্ঠ খুলে গিয়েছে এবং আশ্চর্য হয়ে স্তব্ধ হয়ে সে যেন ক্রমাগত নিজের কথা নিজের কানেই শুনছে। আমাদের মনেও এর একটা সাড়া জেগে উঠেছে – সেও কিছু একটা বলতে চাচ্ছে।’
     
    আর এই সাড়া থেকেই যখন শিশুর দল ন্যাংটো হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুকুরে নতুন বর্ষার তান কানে আসা মাত্রই, তখন বড়রাও মনে হয় চাইতে থাকে সভ্যতার কাপড়চোপড় খুলে ঝাঁপিয়ে পড়তে! তাদের মনের সুকুমার বৃত্তিগুলো - পুষ্পদামের এক গুচ্ছ কেশর; তারা ছিল পরাজিত লৌকিকতার কাছে। বৈষয়িকতার বেড়ি পরে তারা ছিল বন্দী গোপন বাক্সে, তার কঠিন দেয়ালে মরছিল মাথা খুঁটে - এখন এদ্দিন পরে বর্ষা যেন এসেছে হাতে নিয়ে তার জীয়নকাঠি। এক ইচ্ছেঘুড়িতে চেপে বর্ষা নিয়ে যায় তাকে জলের মুক্তোয় বাঁধানো এক প্রাসাদপুরীতে, আকাশ-নগরে যার ভিত্তিপ্রস্তর, যেখানে বৃষ্টির উদার শাসন, সেখানে জল-ছায়ার নগ্ন আহবান - সেই জল যার মধ্যে পোশাক ভারি বোধ হয়, আর সেই ছায়া অদৃশ্যতার চিরন্তন সংকেতে যা বোনা।
     
    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ‘নববর্ষা’ কবিতায় আমরা পাই,
     
    ‘ওগো নবঘন-নীল বাসখানি
    বুকের উপর কে লয়েছে টানি?
    তড়িৎ শিখার চকিত আলোকে
    ওগো কে ফিরিছে খেলায়ে?’
     
     
    যখন বর্ষার জল প্লাবিত করতে থাকে রোমকুপগুলিকে, তখন টলটল করে পড়তে থাকে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেয়ে বেয়ে, আচ্ছাদনগুলি তখন ফুলে-ফেঁপে উঠে, ছেড়েছুঁড়ে নগ্ন হতে চায় ভেতরটা! বুকের উপর চেপে থাকা কাপড়খানি তখন কই হারিয়ে যায়, কারো খেয়ালই থাকে না! কারণ একটু আগেই যে বিদ্যুত শিখায় শিহরিত হয়েছে প্রকৃতির দেহ-মন, ইশারা মিলেছে অনিন্দ্যসুন্দর এক শক্তিদেবতার, ডাক পড়েছে এক সার্বজনীন পুজোর!
     
    বর্ষায় মাটির কঠিন আবরণও ভেঙে পড়ে, জলে সিঞ্চিত হয়ে আকার নেয় টুকরো টুকরো কণায়। মানুষের মন তেমনি ভেঙ্গেচুরে নরম মাটির শাঁস হয়ে উঠে; স্বার্থ, ইর্ষা, লোভ-লালসার রিপুরা ছিন্নভিন্ন হয়ে প্রাণ নিয়ে উড়তে থাকে ধুলোর সাগরে। তখন না দিন, না রাত্রি, তখন সময় যেন হয়ে পড়ে সংজ্ঞাহীন।
     
    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,
     
    ‘পুঞ্জ পুঞ্জ ভারে নিবিড় নীল অন্ধকারে
    জড়ালো যে অঙ্গ জড়ালো আমার প্রাণে।
    পাগল হাওয়ার নৃত্যে মাতি হলো আমার সাথের সাথী
    অট্রহাসে যায় কোথা সে, বারণ না মানে।’
     
    সংসারের বেষ্টন থেকে মুক্তি পেতেই যেন বর্ষার সাথে মানুষের নিবিড় সখ্য! মুক্তির সে ইঙ্গিত নিরুদ্দেশের যাত্রী মুক্ত মেঘের দলে পতপত করে উড়তে থাকে! কবি নিজেই অন্যত্র লিখেছেন, ‘মুক্তির উদ্বেগ আছেন শ্রাবণে’।  ‘আয়নাবাজি’ নামে একটি সিনেমা ছিল, তাতে দেখা যায়, কেন্দ্রীয় চরিত্র বিভিন্ন আসামীর নকল সেজে তাদের হয়ে জেল খাটে আর জেলমুক্তি হলে পরেই পুরো শরীরটা পেতে দেয় বাথরুমের ঝরণাতলে। ‘বৃষ্টিশাসিত বর্ষা’ আমাদের যেন এমনি এক পরিশুদ্ধির দিকে আহবান করে। সারাটা বছর পৃথিবীর প্রভূত চাপ-তাপ- বায়ু-ঘাম সয়ে আমরা যখন হাঁপিয়ে উঠি, তখন আমাদের দরকার বর্ষার ঝরণা, সভ্যতার জেলখানাগুলো ভেঙে ধরা দিতে চায় অন্তর বৃষ্টির পূর্ণ শাসনে, বৃষ্টির তীরে রক্তাক্ত করতে ইচ্ছে হয় নিজেকে!
      
    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন,
    ‘এইটেই বড় আশ্চর্য ঠেকে, একই কালে প্রকৃতির এই দুই চেহারা, বন্ধনের ও মুক্তির, একই রূপ-রস-গন্ধ-শব্দের মধ্যে এই দুই সুর, প্রয়োজন ও আনন্দের, বাহিরের দিকে তার চঞ্চলতা, অন্তরের দিকে তার শান্তি।’
     
    প্রায় একই সুরে বর্ষাকে নিয়ে অন্যত্র লিখেছেন, ‘যেই তাদের শিকলের শব্দ আমাদের হৃদয়ের ভেতরে গিয়ে প্রবেশ করে, অমনি দেখতে পাই, এ যে মিলনেরও আহবান সংগীত।’ 
     
    আসলে শেকড়ের শেকল থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে মানুষের আকাঙ্ক্ষা যেন আরেক পেষণের, আরেক শেকলের; ধরণীতলের কঠিন শেকল যা মানুষকে করেছিল গুহাবন্দী, তাকে ছিন্ন করে উপরের জলে গড়া নরম শেকলে সে স্বপ্ন দেখে মুক্তির। নিয়ম আর আচারের শেকড়-বাকড় উপড়ে ফেলে বর্ষা নগ্ন মানুষকে মুখোমুখি করে প্রকৃতিদেবীর, যার জন্য সে কতদিন পথ চেয়ে ছিল! বৃষ্টির কোলে শায়িত অবস্থায় এক তীব্র পেষণে যখন ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে আদিম সব গুহা থেকে, এক নতুন পৃথিবীর জন্ম হয় তখন! বৃষ্টির পরম শাসনে সভ্যতার মুখোশ খোলার অব্যর্থ সব বাণ নিক্ষিপ্ত হতে শুরু করে সেখানে; তার পিঠের উপর পড়তে থাকে বৃষ্টির তীব্র চাবুক!  বর্ষা তাই পৃথিবীর আরেক রেঁনেসা। নগ্নতার অমোঘ আহবানে পরিচয়-যুদ্ধের মাতাল মাঠ ছেড়ে মানুষ পাড়ি জমায় অকুলের অনন্ত নৌকোয়।
     
    বর্ষা কাঁদায়, আর সে জলে মাটির পৃথিবী কাদায় কাদায় সয়লাপ হয়ে যায়, তখন নোনা গন্ধে ভরে উঠে প্রকৃতি, এক চিমটে নোনা স্বাদ পেতে রুদ্ধশ্বাসে ছোটে প্রাণের নীহারিকা! জল ও মাটি এভাবে একাকার হয়ে যায়, খসে পড়ে পৃথিবীর এবড়েথেবড়ো পিঠ গভীর সমুদ্রে, বহুদিন পর তা থেকে বের হয় নতুন কোন পিঠ, নরম, তুলতুলে, আর সমান।
     
    কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ শ্রাবণসন্ধ্যাকে নিয়ে এক জায়গায় লিখেছেন,
    ‘আমাদের অন্তরের সন্ধ্যাকাশেও এই শ্রাবণ অত্যন্ত ঘন হয়ে নেমেছে, কিন্তু সেখানে তার আপিসের বেশ নেই, সেখানে কেবল গানের আসর জমাতে, কেবল লীলার আয়োজন করতে তার আগমন।’
     
    আবার অন্যত্র একই সুরে লিখেছেন, ‘আজ এই ঘনবর্ষার সন্ধ্যায় প্রকৃতির শ্রাবণ অন্ধকারের ভাষা আমাদের ভাষার সঙ্গে মিলতে চাচ্ছে। অব্যক্ত আজ ব্যক্তের সঙ্গে লীলা করবে বলে আমাদের দ্বারে এসে আঘাত করছে। আজ যুক্তি তর্ক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ খাটবে না।’
     
    বর্ষার ছন্দ যেন সেই লীলার আয়োজনকে মনে করাতেই! প্রকৃতি নগ্ন। তাই মানুষের আর প্রেয়সীর সামনে ভিন্ন বসনে থাকার জো নেই! বস্তুত নগ্নতার নেশা মানুষকে কুরে কুরে খায়, বসন-ভূষণ-অলংকারের ঘায়ে কঠিন সব ফোস্কা উঠেছিল তার গা জুড়ে! নব বর্ষা কোন এক যাদুর বীন বাজিয়ে বের করে আনে তাকে দৈনন্দিনতা থেকে, শিরা উপশিরায় তখন তার আগুনের নিরাময় নৃত্য, প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয় সে সজল হাওয়ায়। মানুষ প্রকৃতি হতে চায়, যেমন ছিল আদিতে; বর্ষা মানুষ ও প্রকৃতিকে করে আবার অভিন্ন এক সত্তা, তাদের এক বেশ, এক বর্ণ, এক গন্ধ! পৃথিবী থেকে ‘মানুষ’ হারিয়ে যায়, পৃথিবীটা আবার ‘পৃথিবী’ হয়!
     
    (সমাপ্ত)
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ০৫ আগস্ট ২০২৩ | ৫৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৭ আগস্ট ২০২৩ ১৫:০৫522209
  • এ এক অন্যরকম বিশ্লেষণ! Sensual!
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ২৯ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৫523066
  • @হীরেনদা,
    আমার কলম আপনার স্নেহধন্য। তাই সে যদি লিখেই থাকে কিছু ভাল তা আপনার কলমের স্নেহধারা থেকেই বহে!
    @রঞ্জনদা 
    অশেষ ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য। 
  • Kuntala | ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:০৬523081
  • সুন্দর লিখেছেন। 
    খালি আমার মাস্টারের চোখে গূঢ় টা চোখে খোঁচা দিল। বললাম বলে অপরাধ নেবেন না ভাই। 
  • F | 49.207.197.206 | ৩০ আগস্ট ২০২৩ ১৭:৪৩523082
  • "রেনেঁসা"ও।
  • মোহাম্মদ কাজী মামুন | ৩০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:৩৬523093
  • @কুন্তলা দিদি,
    মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্যও ধন্যবাদ। শুধরে নিচ্ছি অবশ্যই। 
  • ইয়াসমিনা পারভীন | 2409:40e0:0:350e:8000:: | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০০:৩৮523429
  • খুব সুন্দর লিখেছ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন