এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • দ্য ব্রীজ অন দ্য রিভার কাওয়াই ( The bridge on the river Kwai ) : অস্ত্র নয় ব্যাক্তিত্বের লড়াই

    AR Barki লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ এপ্রিল ২০২৩ | ৫০৮ বার পঠিত
  • ফরাসি ঔপন্যাসিক পিয়েরে বুলের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপর লেখা বই এর উপর ভিত্তি করে বিখ্যাত ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক ডেভিড লীন ১৯৫৭ সালে এই ছবিটি তৈরি করেন। ছবিটি ওই সময়ে সাতটি অস্কার পেয়েছিল। ছবিটির শুটিং হয়েছিল শ্রীলঙ্কায়।
    .
    কাহিনী : পার্ল হারবারের সাফল্যে উদ্দীপ্ত জাপানি বাহিনী দ্রুত এশিয়ার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে এসে সিঙ্গাপুর জয় করে বার্মা পর্যন্ত এসে পড়ে । চূড়ান্ত লক্ষ্য তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারত আক্রমণ করা। সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত প্রেরণের লক্ষ্যে বার্মা থাইল্যান্ড সীমান্তে কাওয়াই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজন পড়ে।
    .
    জাপান থেকে বার্মা পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের অংশ হিসেবে বার্মার দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত কাওয়াই নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের দায়িত্ব পালন করছেন জাপানি সেনা কমান্ডার কর্নেল সাইতো।
    .
    স্বল্প সময়ের মাঝে ব্রিজটি নির্মানের তাগিদ থেকে তিনি যুদ্ধে বন্দী সাধারণ সেনা থেকে শুরু করে অফিসার সবাইকে দিয়ে লেবারের কাজ করাচ্ছেন। এরই মাঝে তার কাজে সহযোগিতা করার জন্য কাওয়াই নদীর তীরে আসে আরও এক ব্যাটালিয়ান বন্দী সেনা , যাদের কমান্ডিং অফিসার হচ্ছেন ব্রিটিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিকলসন।
    .
    কর্নেল সাইতো নিকলসনের সকল অফিসার আর সেনাদের লেবারের কাজ করতে আদেশ দিলে , ঘৃণাভরে তা প্রত্যাখান করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিকলসন। তিনি জেনেভা কনভেনশনের দলিল দেখিয়ে তার অফিসারদের লেবারের কাজ করতে দিতে অসম্মতি জানান।
    .
    নিকলসনের আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে নিকলসন সহ সকল অফিসারকে শারীরিক নির্যাতন ও আটকে রাখার হুকুম দেন কর্নেল সাইতো। তাতেও নিকলসন রাজি হন না। অপরদিকে অফিসারদের আটকে রাখার ক্ষোভ থেকে সৈন্যরা কাজ করার গতি কমিয়ে দেয় ও নানারকম স্যাবোটাজ করতে থাকে যাতে সময় বেশি লাগে।
    .
    দুই মিলিটারি কমান্ডার ও দুই সভ্যতার ব্যক্তিত্বের লড়াইয়ে এক সময় সাইতো বুঝতে পারেন নিকলসনের সহযোগিতা ছাড়া তিনি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারবেন না। তাই তিনি নিকলসনের দাবি মেনে নেন এই শর্তে যে নিকলসন নির্ধারিত সময়ে ব্রিজটি বানিয়ে দিবেন।
    .
    মুক্ত নিকলসন তার অফিসারদের এমন একটি ব্রিজ বানাতে বলেন যা জাপানিরা কল্পনাও করতে পারে না। নিকলসন চেয়েছিলেন এর মাধ্যমে ব্রিটিশ জাতির শ্রেষ্ঠত্ব জাপানিদের কাছে তুলে ধরতে।
    .
    গোয়েন্দাদের মারফত খবর পেয়ে ব্রিটিশ আর্মি হেডকোয়ার্টার খুবই চিন্তায় পড়ে যায়। এই ব্রিজ নির্মিত হলে তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপনিবেশ ভারত বর্ষ হুমকির মুখে পড়বে। তারা কমান্ডো পাঠিয়ে ব্রীজ ধ্বংসের পরিকল্পনা নেয়।
    .
    নিকলসন যখন তাদের সর্বোচ্চ দক্ষতা ও শিল্পশৈলী সমৃদ্ধ ব্রিজ বানানোর কাজে মগ্ন , তখন ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ফন্দি আটছে ব্রিজটি বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়ে জাপানী সেনা রসদ আটকে দেবার।
    .
    নিকলসন কি পারবেন তার স্বপ্নের ব্রিজটি সঠিক সময়ে তৈরি করতে? ব্রিটিশ কমান্ডোরা কি পারবেন উদ্বোধনের আগেই ব্রীজটি ধ্বংস করতে ? এমন একটি গল্প নিয়েই বানানো হয়েছে দ্যা ব্রিজ অন দ্যা রিভার কাওয়াই সিনেমাটি।
    .
    যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ভিত্তিক পুরনো ছবি দেখতে পছন্দ করেন তারা ছবিটি দেখে নিতে পারেন বা বইটি পড়তে পারেন। বাংলা বই খুব সম্ভবত সেবা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 2401:4900:1f2a:7124:611f:626f:d9f0:bf5d | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১০:২৭518625
  • এবাবা এতো পুরনো গল্প নিয়ে এতো টেনশান করার কি আছে? ব্রিজটা উদ্বোধনের সময়ে নিকলসন ধ্বংস করে দিয়েছিল, তখন ব্রিজটার ওপর দিয়ে একটা ট্রেনও যাচ্ছিল। বিশ্বাস না হলে নিজের চোখেই দেখে নিনঃ 
     
  • dc | 2401:4900:1f2a:7124:611f:626f:d9f0:bf5d | ১৪ এপ্রিল ২০২৩ ১১:২৩518626
  • আর ব্রিজ অন দ্য রিভার কোয়াই দেখলেনই যখন, তখন দেখে নিন ব্যাটল অফ মিডওয়ে - প্যাসিফিক ক্যাম্পেনের মোড় ঘোড়ানো যুদ্ধঃ 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন