এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শ্রম আইন, সুপ্রিম কোর্ট এবং ডিয়ারনেস এল্যাউন্স

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ মার্চ ২০২৩ | ৪১০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৪ জন)
  • বর্তমান সময়ের অতি আলোচিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করার আগে আমাদের উচিত কাজ হবে ভারতবর্ষের শ্রম আইন নিয়ে একটু জেনে নেওয়া। কারণ রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা যেমন একদিকে ডিয়ারনেস এল্যাউন্সকে তাদের ন্যায্য দাবী বা অধিকার বলে প্রচার করছে তেমনি রাজ্য সরকার ডিয়ারনেস এল্যাউন্সকে সরকারের অনুদান বলে প্রচার করছে। অর্থাৎ সরকারের এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে তার কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে ডিয়ারনেস এল্যাউন্স দিতে হবে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন মুখপাত্ররা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়কে তাদের যুক্তির স্বপক্ষে ঢাল করছে। সরকারী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে যদি ভাবনা শুরু করা যায় তাহলে বলতে হয়, সরকারী কর্মচারীরা যেমন সরকারের অধীনে কর্মরত এবং তাদের বেতন, ভাতা ইত্যাদি প্রদান করা সরকারের দ্বায়িত্বের মধ্যে পড়ে তেমনি রাজ্যের প্রতিটি কর্মচারী বা শ্রমিকের বেতন, ভাতা ইত্যাদি নির্ধারণ করাও সরকারের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এবার প্রশ্ন হলো, সরকারী কর্মচারীদের দ্বায়িত্ব না হয় সরকার গ্রহণ করতে বাধ্য কারণ তারা সরকারের সরাসরি অধীনে কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীরা তো সরকারের অধীনে নয়, তাহলে তাদের বেতন, ভাতা নির্ধারণের দ্বায়িত্ব সরকার কেনো গ্রহণ করবে? কারণ একটাই, রাজ্যের জনসাধারণের ভালো, মন্দের দ্বায়িত্ব রাজ্য সরকারের। যাতে বেসরকারি ক্ষেত্রের মালিকেরা নিজ নিজ ক্ষেত্রের কর্মচারীদের বঞ্চিত না করতে পারে এবং সর্বোপরি সকল বেসরকারি ক্ষেত্রের কর্মচারীদের মধ্যে ন্যূনতম সাযুজ্য থাকে সেই কারণেই সরকারের দায়িত্বের প্রশ্ন আসে। সরকারী কর্মচারী এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের পদস্থ কর্মচারীর সংখ্যা খুব বেশী না হলেও অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীর সংখ্যা অনেক এবং মূলতঃ অসংঘঠিত ক্ষেত্রের কর্মচারীদের জন্য সর্বাধিক প্রয়োজন ন্যূনতম মজুরীর নিশ্চয়তা প্রদান করা। ভারতীয় সংবিধানেও 'ন্যায্য মজুরী'র বা 'লিভিং ওয়েজ'এর কথা বলা আছে। ন্যায্য মজুরী হলো সেই মজুরী যা সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়, কর্মসংস্থানে অসুবিধা ঘটায় না আবার মালিকের প্রদানের ক্ষমতাকেও স্বীকার করতে হয়। অর্থাৎ মালিকপক্ষ এবং কর্মচারীপক্ষ প্রত্যেকের অনুমতি সাপেক্ষে তৈরী হয় এই ন্যায্য মজুরীর সীমারেখা। এখানেই সরকারপক্ষের ভূমিকা বিশেষ করে প্রয়োজন হয়।
     
    এই উদ্দেশ্যেই ১৯৪৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ন্যায্য মজুরির জন্য একটি ত্রিপাক্ষিক কমিটি নিযুক্ত করে। এই কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী Minimum Wages Act, 1948 চালু হয় ভারতবর্ষে। কমিটি তাদের রিপোর্টে ন্যূনতম মজুরীর সংজ্ঞা নিরূপিত করেছিল এইভাবে, "ন্যূনতম মজুরি কেবলমাত্র জীবন নির্বাহের জন্য নয়, শিক্ষা, চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা এবং সুযোগ-সুবিধার কিছু ব্যবস্থা করে শ্রমিকদের দক্ষতা সংরক্ষণের জন্যও প্রদান করতে হবে"। এই ন্যূনতম মজুরি আইন মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারকে ক্ষমতা প্রদান করে। আইনটি আইনত বাধ্যতামূলক নয়, তবে বিধিবদ্ধ। এই আইনের অধীনে জীবনযাত্রার খরচ, আঞ্চলিক শিল্পের অর্থ প্রদানের ক্ষমতা, ভোগের ধরণ ইত্যাদি মাথায় রেখে তৈরী করা হয় দক্ষ, অদক্ষ এবং বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়। ফলে রাজ্য, সেক্টর, দক্ষতা, অঞ্চল এবং পেশা অনুযায়ী নির্ধারিত কর্মসংস্থানের মজুরির হার পৃথক হয়৷ ন্যূনতম মজুরি হার অনুযায়ী মজুরি প্রদান করা সরকার এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের বাধ্যতামূলক। রাজ্যে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ এবং সারা রাজ্যে তা অনুসৃত হচ্ছে কিনা দেখার দ্বায়িত্ব রাজ্যের শ্রম মন্ত্রকের।
     
    ১৯৫৭ সালে ১৫ তম শ্রম সম্মেলনে Minimum Wages Act, 1948 এ ন্যূনতম মজুরির হার সংশোধন এবং নির্ধারণ বিষয়ে কিছু নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে যেমন:
     
    ১. একজন উপার্জনকারীর জন্য স্বামী, স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জন্য তিনটি ইউনিটের খরচ ধরতে হবে এবং সেই সংসারের নারী ও শিশুদের আয় উপেক্ষা করতে হবে।
    ২. জনপ্রতি ২৭০০ ক্যালোরির ন্যূনতম খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে হবে।
    ৩. একটি পরিবারের জন্য বার্ষিক ৭২ গজের পোশাকের প্রয়োজন ধরতে হবে।
    ৪. সরকারের শিল্প হাউজিং স্কিম দ্বারা নির্দিষ্ট করা ন্যূনতম এলাকার ভাড়া হিসেবের মধ্যে আনতে হবে।
    ৫. ন্যূনতম মজুরির ২০ শতাংশ হতে হবে জ্বালানি খরচ এবং বিবিধ আইটেম খরচ।
     
    অর্থাৎ, কোনো শ্রমিকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র তার কথা চিন্তা করলেই হবে না, তার পরিবারের কথাও চিন্তা করতে হবে এবং সেই শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরী সেই হিসেবেই নির্ধারণ করতে হবে। আবার সময়ে সময়ে ন্যূনতম মজুরীর বৃদ্ধির যে আদেশ সরকার বের করে সেখানে দেখা যায় সেখানে VDA বলে একটি কথা আছে। VDA অর্থাৎ, variable dearness allowance। বাজারের মূল্য বৃদ্ধির কারণেই ন্যূনতম মজুরীর বৃদ্ধি হয় এবং আদেশে এই VDA র মাধ্যমে যার প্রতিফলন দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শ্রম মন্ত্রকের বিগত ২৭.১২.২০২২ তারিখের আদেশনামা অনুযায়ী ০১.০১.২০২৩ থেকে ৩০.০৬.২০২৩ তারিখ পর্য্যন্ত কৃষিক্ষেত্রে অদক্ষ শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরী হবে মাসিক ৭৬৫১ টাকা আর দৈনিক খাদ্য ছাড়া মজুরী হবে ২৯৪ টাকা এবং খাদ্যসহ মজুরী হবে ২৭৩ টাকা। কৃষিক্ষেত্রে আধা দক্ষ শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরী হবে মাসিক ৮৪১৭ টাকা আর দৈনিক খাদ্য ছাড়া মজুরী হবে ৩২৪ টাকা এবং খাদ্যসহ মজুরী হবে ৩০৩ টাকা। কৃষিক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরী হবে মাসিক ৯২৬২ টাকা আর দৈনিক খাদ্য ছাড়া মজুরী হবে ৩৫৬ টাকা এবং খাদ্য সহ মজুরী হবে ৩৩৫ টাকা। আদেশনামায় অদক্ষ, আধা দক্ষ এবং দক্ষ শ্রমিকের সংজ্ঞা দেওয়া আছে। আবার কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রকের বিগত ২৮.০৯.২০২২ তারিখের আদেশনামায় দেখা যায় variable dearness allowance নির্ধারণ করা হয়েছে প্রথমে এবং তার ওপরে ভিত্তি করে মহানগর, শহর এবং শহরাঞ্চল ভিত্তিতে অদক্ষ, আধা দক্ষ, দক্ষ এবং অতীব দক্ষ শ্রমিকের দৈনিক ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ করা হয়েছে। সুতরাং বাজার মূল্যের বৃদ্ধির সাথে সাথে ন্যূনতম মজুরীর বৃদ্ধি ঘটে, সেটা রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, সব সরকারই করে থাকে।
     
    এরপরে আসি যারা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আলোচনায় মেতে আছেন তাদের কথায়। এই রায়ের কথা বলতে গেলে আগে জানতে হবে ডিয়ারনেস এলাউন্সের উৎপত্তি সম্পর্কে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যখন বাজার মূল্যের আকাশছোঁয়া বৃদ্ধির সাথে শ্রমিক এবং কর্মচারীকুল মানিয়ে নিতে পারছিলো না তখন ব্রিটিশ সরকার ১৯৪০ সালে এই ব্যবস্থার প্রচলন করেন। পরবর্তীতে ভারত সরকার এবং আরও পরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রথম পে কমিশন বেসিক পের ধাপ অনুযায়ী ডিয়ারনেস এলাউন্সের অনেক কয়টি ধাপ তৈরী করে। নিম্নস্তরের কর্মচারীদের অনেক বেশী হারে ডিয়ারনেস এলাউন্স দেওয়া হতো এবং উচ্চস্তরের কর্মচারীদের অনেক কম হারে ডিয়ারনেস এলাউন্স দেওয়া হতো। এই পদ্ধতি variable dearness allowance র ক্ষেত্রেও প্রচলিত ছিল এবং কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে চতুর্থ বেতন কমিশন পর্য্যন্ত চালু ছিল। পঞ্চম বেতন কমিশন থেকে এই ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সকল স্তরের কর্মচারীদের জন্য একই হারে ডিয়ারনেস এলাউন্সের প্রবর্তন করা হয়। যদিও variable dearness allowance এর ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা এখনও চলছে। স্বাধীনতার পর থেকেই ডিয়ারনেস এলাউনস নিয়ে সংগ্রাম এবং আইন আদালতের কারণ এটাই, সকলের জন্য সমান হারে ডিয়ারনেস এলাউনস প্রদান করা। ১৯৫৪ এবং ১৯৫৮ সালের মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের যে দুটি রায়ের কথা নিয়ে বর্তমানে সারাদিন চর্চা করা হচ্ছে, সেই কোর্ট কেসগুলির সূত্রপাত কিন্তু আজকের আধারে মেলে না। আর মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কি আদৌ নির্দেশ দিয়েছে যে, ডিয়ারনেস এলাউনস সরকারী কর্মচারীদের অধিকার নয়, সরকার প্রদত্ত অনুদান মাত্র? এই কথাগুলো বাজারে ছাড়া হয়েছে নির্দিষ্ট উদ্দ্যেশ্য নিয়েই। অনেক আইনজীবীদের দিয়ে এই কথাগুলো বলানো হচ্ছে যাতে জনগন খুব সহজেই কথাগুলো বিশ্বাস করে। সরকারী কর্মচারীদের দাবীকে জনমানসে হেয় প্রতিপন্ন করাটাই এখন মুখ্য কাজ। যদি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের এই ধরনের নির্দেশ থাকতো তাহলে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিতে পারতো কি যে, ডিয়ারনেস এলাউনস সরকারী কর্মচারীদের অধিকারের মধ্যে পরে? প্রেক্ষিত বিচার না করেই অথবা ইচ্ছাকৃত উহ্য রেখেই বলা হচ্ছে যে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে। ১৯৫৪ সালে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ৪৪ নম্বর ফান্ডামেন্টাল রুল উল্লেখ করে যা বলেছিল, তা নীচে দেওয়া হলো:
     
    Rule 44 of the Fundamental Rules runs as follow: "Subject to any restrictions which the Secretary of State in Council may by order impose upon the powers of the Governor-General in Council or the Governor in Council, as the case may be, and to the general rule that the amount of a compensatory allowance should be so regulated that the allowance is not on the whole a source of profit to the recipient, a Local Government may grant such allowance to any Government servant under its control and may make rules prescribing their amounts and the conditions under which they may be drawn."
     
    Under this provision, it is a matter of discretion with the local Government whether it will grant dearness allowance and if so, how much. That being so, the prayer for mandamus is clearly misconceived, as that could be granted only when there is in the applicant a right to compel the performance of some duty cast on the opponent. Rule 44 of the Fundamental Rules confers no right on the Government servants to the grant of dearness allowance; it imposes no duty on the State to grant it. It merely confers a power on the State to grant compassionate allowance at its own discretion, and no mandamus can issue to compel the exercise of such a power. Nor, indeed, could any other writ or direction be issued in respect of it, as there is no right in the applicant which is capable of being protected or enforced.
     
    মুল মামলাটি ছিল কিন্তু বিভিন্ন স্তরের জন্য বিভিন্ন রকমের ডিয়ারনেস এলাউনস প্রদানকে কেন্দ্র করে। উচ্চ স্তরের বেতনের ক্ষেত্রে সমহারে ডিয়ারনেস এলাউনস প্রদানকে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট অগ্রাহ্য করেছিল ফান্ডামেন্টাল রুল ৪৪ উল্লেখ করে। এরপরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। রাজ্য সরকারের সাত সাতটা পে কমিশন বেরিয়েছে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের জন্য। সরকারী কর্মচারীদের পে কমিশন মানে সরকার এবং কর্মচারীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি। সেইসব চুক্তিতে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছে বারবার যে ডিয়ারনেস এলাউনস বলে একটি পদার্থ আছে যা বাজারদরের (consumer price index বা CPI) সাথে নিয়ন্ত্রিত হয় এবং সরকার বিভিন্ন পে কমিশনের সাথে সাথে সেই consumer price index এর base year পরিবর্তন করে থাকে। যেমন বর্তমানে ২০১২ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরে হিসেব করা হয় CPI কতটা বাড়লো। এই CPI নির্ধারণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটি মন্ত্রক খুলে রেখেছে, Ministry of Statistics and Programme Implementation। এই মন্ত্রকের অধীনে National Statistical Office বা NSO সারা বছর ধরে বাজারদর বিশ্লেষণ করে থাকে যা থেকে ডিয়ারনেস এলাউনস কতটা বাড়বে সেটা নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ, সরকার চুক্তি করে রেখেছে কর্মচারীদের সাথে যে বাজারদর বৃদ্ধির সাথে তাদের ডিয়ারনেস এলাউনস বৃদ্ধি করবে, ডিয়ারনেস এলাউনস হিসেব করার জন্য সরকার একটা মন্ত্রক তৈরী করে রেখেছে এবং কোটি কোটি টাকা খরচ হয় তার জন্য। এরপরে বলা হচ্ছে ডিয়ারনেস এলাউনস সরকারী কর্মচারীদের অধিকার নয়। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট এবং স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে রাজ্য সরকারের পরাজিত হওয়াকে কার্পেটের নীচে ঢুকিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়কে সামনে এনে জনমানসে কর্মচারীদের হেও প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। ফান্ডামেন্টাল রুল ৪৪ সেই ১৯৫৪ সালেও ছিল, এখনও আছে। তাহলে সেই রুলকে উপেক্ষা করে সরকার কি ভাবে পে কমিশনে ডিয়ারনেস এলাউনসের কথা লেখে এবং বিধানসভায় সেটা গৃহীত হয়? মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট কিভাবে সংবিধানের ২১ ধারা উল্লেখ করে ডিয়ারনেস এলাউনসকে মৌলিক অধিকার বলে রায় দান করে? আসলে সরকার যখন চুক্তিবদ্ধ তখন তা দিতে বাধ্য এবং সেই চুক্তির মাধ্যমে সরকারই ডিয়ারনেস এলাউনসকে কর্মচারীদের মৌলিক অধিকারের মর্যাদা প্রদান করেছে। সুতরাং ১৯৫৪ সাল এবং এখনকার প্রেক্ষিত কোনোভাবেই এক নয়। এখন রাজ্য সরকার তাকিয়ে আছে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে তাদের দাখিল করা মামলার গতি প্রকৃতির ওপরে। আর যতদিন সেই রায় না বেরোচ্ছে ততদিন এটা ট্র্যাক টু রাজনীতি হিসেবে থাকবে, সরকারী কর্মচারীদের আন্দোলনকে ছত্রখান করার জন্য।
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন