এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • লেখক ও পাঠক সরাসরি একই প্ল্যাটফর্মে আছেন দাঁড়িয়ে 

    Kajal Sen লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ মার্চ ২০২৩ | ৭২৯ বার পঠিত
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে আজকের প্রজন্ম যেসব অভূতপূর্ব সুযোগ ও সুবিধে অনায়াসে আয়ত্ত্ব করে তার ব্যবহার করতে পারছে, আমাদের কৈশোর, প্রথম যৌবন, এমনকি উত্তর যৌবনেও তা ছিল না। সেই সময় আমাদের অনেক  কিছুই ছিল না – যেমন টিভি ছিল না, ডিভিডি ছিল না, মোবাইল ফোন ছিল না, কমপিউটার ছিল না। এবং আরও অনেক অনেক কিছুই ছিল না। তবে রেডিও ছিল, তাতেই আমরা খবর শুনতাম, গান শুনতাম, নাটক শুনতাম, খেলার ধারাবিবরণী শুনতাম। দূরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য চিঠি লিখতাম। সিনেমা দেখার জন্য যেতাম সিনেমাহলে, খেলা দেখার জন্য মাঠে ময়দানে। বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীদের গান শোনার সুযোগ ঘটত বিভিন্ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত জলসায়। আর ঘরে গ্রামাফোনে ‘রেকর্ড’ বাজিয়ে প্রিয় শিল্পীদের গান শুনতে শুনতে বুঁদ হয়ে থাকতাম। আমাদের মধ্যে যাদের সাহিত্যচর্চার উৎসাহ ছিল, নিজেদের তাগিদেই বিভিন্ন লেখকের বই সংগ্রহ করে পড়তাম, সাহিত্যের আড্ডায় ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতাম, নিজস্ব লেখার তাগিদে লিখতাম। কিছু একটা লিখলেই লেখাটা অন্যকে পড়ে শোনানোর জন্য মুখিয়ে থাকতাম, আর প্রকাশ করার উপযুক্ত হয়েছে মনে করলে পাঠিয়ে দিতাম বিভিন্ন মুদ্রিত পত্র পত্রিকার সম্পাদকীয় দপ্তরে। এবার অপেক্ষা, শুধুই অপেক্ষা, কবে আসবে সেই লেখাটির মনোনয়ন অথবা অমনোনয়ন সংবাদ। অমনোনীত হলে ভীষণ মনখারাপ, আর মনোনীত হলে ছাপার অক্ষরে নিজের নাম ও লেখাটি দেখার জন্য আকুলতা। আজকের প্রজন্মের কাছে অবশ্য এসবই নেহাৎই অকল্পনীয় ব্যাপার-স্যাপার। যদিও  একথা ঠিক যে, এখনও  কোনো মুদ্রিত বা অনলাইন পত্রিকায় লেখা প্রকাশের জন্য  ‘সম্পাদক’ জাতীয় এক ধরনের জীবের ভালোলাগা বা না লাগার ওপর লেখককে হা পিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়; বিশেষত সেই ‘সম্পাদক’ জাতীয়  জীবটির আদৌ কোনো বিচারযোগ্যতা আছে কিনা, এই ভাবনাটাও সমানেই মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায়। কিন্তু শুরুতেই যে কথাটা বলেছিলাম, আজকের উন্নততর প্রযুক্তির কারণে বর্তমান প্রজন্ম এই  সমস্যা ও পরমুখাপেক্ষিতা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। কেননা এখন মুদ্রণব্যবস্থা এতটাই সহজসাধ্য হয়ে উঠেছে, যে কোনো সাহিত্যযশঃপ্রার্থী কোনো পত্র পত্রিকায় লেখা পাঠানোর ঝামেলায় না গিয়ে নিজেই একটি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা যথেচ্ছ প্রকাশ করতে সক্ষম হচ্ছেন। আবার আন্তর্জালের ব্যাপক সুবিধের ফলে নিজেরাই অনলাইন পত্রিকা ‘লঞ্চ’ করে নিজেদের লেখা ‘আপলোড’ করে দিতে পারছেন। আবার যাঁরা প্রযুক্তির  এত সুযোগ সুবিধে থাকা সত্ত্বে নিজেরা ঝাড়া হাত-পা থাকতে চান, তাঁদের জন্যও সাজানো আছে ‘রেডিমেড’ ব্যবস্থা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেমন  ফেসবুক, নিজের ‘ওয়ালে’ নিজের লেখা অনায়াসে পোস্ট করা যায়, যা সেই মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে সহজেই পৌঁছে যায়। লেখা মনোনয়নের জন্য কোনো সম্পাদকীয় বাধাও থাকে না। আগ্রহী বন্ধুরা সেই লেখা পড়ে তাঁদের অভিমত জানান বা জানানো প্রয়োজন মনে করেন না। সে যাইহোক, মোদ্দা কথা হচ্ছে, এখন একান্তে কিছু লেখার পর তা নিজের কাছে লুকিয়ে রাখার কোনো জোরালো যুক্তি নেই;  বিশেষত লেখক স্বয়ং যদি মনে করেন তা পাতে দেবার যোগ্য, তা তিনি দিতেই পারেন। যারা পাত পেতে বসে আছেন তারা নিজেদের রুচি অনুযায়ী তা গ্রহণ করতে পারেন, সমালোচনা করতে পারেন, এমনকি প্রয়োজন মনে করলে  কিছু আলোকপাতও করতে পারেন। এবং এই দৃষ্টিকোণে ব্যাপারটা ভেবে দেখলে একথা বলা যেতেই পারে যে, সাহিত্যের ক্ষেত্র এখন আগের থেকে ব্যাপক হয়েছে এবং লেখক ও পাঠক সরাসরি একই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পারস্পরিক মত বিনিময় করতে পারছেন। এবং এটা নিঃসন্দেহে সম্ভব হয়েছে আজকের উন্নততর প্রযুক্তির কল্যাণে। 

    কাজল সেন
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:500:e780:8caa:8aae:e67a:6a59 | ০৮ মার্চ ২০২৩ ২১:১৪517144
  • সম্পাদক জাতীয় "জীব"?!! আপনাদের যৌবনকালে যে সব মুদ্রিত পত্র-্পত্রিকায় লেখা পাঠাবার কথা লিখেছেন, সেখানে এই "জীব"রা থাকতেন না? তাঁদের পদের যোগ্যতা ছিলো কিনা সেটা কিভাবে বোঝা যেতো?
    আমার মাঝেমাঝে মনে হয়, এই কিছু লিখলেই অন্যকে পড়ে শোনানো আর ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখার ছটফটানিটা যদি মানুষের একটু কম থাকতো তাহলে মন্দ হতো না। এখনও অনেক ভালো লেখা বেরোয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আবার এই ছটফটানি ও "আমাকে দেখুন" এর বন্যাও বড় কম নয়। অবশ্য আমি বলার আর কে? দু'রকমই তো হবে। থাক, সবই থাক।
  • Kajal Sen | ০৮ মার্চ ২০২৩ ২২:১৫517149
  • কোনো লেখার সমালোচনা করতে হলে নিজের স্বনামে করা উচিৎ,  আড়ালে থেকে নয়। আমার লেখা আপনার ভালো লাগেনি,  সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আমার সম্পর্কে কিছুই না জেনে আপনি যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আদৌ ঠিক নয়, শোভনও নয়। আপনার অবগতির জন্য জানাই, বিগত চুয়াল্লিশ বছর ধরে আমি একটি লিটন ম্যাগাজিন সম্পাদনা করছি। এবং বিগত দশ বছর একটি অনলাইন পত্রিকাও সম্পাদনা করছি। এছাড়া  মাঝেমধ্যে কিছু লেখালেখিও করি। তাই মুদ্রিত অক্ষরে নিজের নাম দেখার ব্যাপারটা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয় আমার কাছে। সবথেকে বড় কথা আপনি যেভানে প্রায় ব্যক্তিগত আক্রমণের জায়গা থেকে অভিমত প্রকাশ করেছেন, তা রুচিসম্মত নয়।
  • kk | 2601:14a:500:e780:5173:a728:be06:1a37 | ০৮ মার্চ ২০২৩ ২৩:২৪517152
  • ফেয়ার এনাফ। ভালো থাকবেন।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০২:৫৮517158
  • "যদিও  একথা ঠিক যে, এখনও  কোনো মুদ্রিত বা অনলাইন পত্রিকায় লেখা প্রকাশের জন্য  ‘সম্পাদক’ জাতীয় এক ধরনের জীবের ভালোলাগা বা না লাগার ওপর লেখককে হা পিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়; বিশেষত সেই ‘সম্পাদক’ জাতীয়  জীবটির আদৌ কোনো বিচারযোগ্যতা আছে কিনা, এই ভাবনাটাও সমানেই মস্তিষ্কে ঘুরপাক খায়।"
    - রুচিসম্মত? হবেওবা, রুচির্হি বিভিন্নাঃ! 
  • lcm | ০৯ মার্চ ২০২৩ ০৪:৫৭517164
  • "... লেখক ও পাঠক সরাসরি একই প্ল্যাটফর্মে আছেন দাঁড়িয়ে ..." -- কিন্তু এদিকে ট্রেন লেট, কখন আসবে ঠিক নেই। এমতাব্স্থায়, গরম চা সহযোগে লেখার ফর্ম ও কনটেন্ট নিয়ে এক প্রস্থ তক্কাতক্কির সুযোগ।
  • | 103.76.82.115 | ০৯ মার্চ ২০২৩ ১০:৪৭517169
  • কালিমাটি, অনলাইন কালিমাটি, চিন্তা-র বিভিন্ন বই (রাহুল দাশগুপ্ত সম্পাদনার জন্য আদৌ সম্মানদক্ষিণা দেয়, না বই ছাপানোর পরিবর্তে মিনিমাগনায় সম্পাদনা করিয়ে নিচ্ছে?) এর দীর্ঘ সম্পাদকজীবনের অভিজ্ঞতায়, কাজলদা, 'বিচারযোগ্যতা' শব্দটি সম্পর্কে আপনার কী অভিমত? এটা কি আদৌ 'বিচার করার যোগ্যতা' এইরকম সমাসবদ্ধ পদ? নাকি 'বিচারযোগ্য' বিশেষণটির বিশেষ্য রূপ? 'বিচারযোগ্য' অবশ্যই 'যা বিচারের যোগ্য'। অর্থাৎ বিচারযোগ্যতা হল কোনো কিছু বিচারের যোগ্য কিনা সেই অবস্থা বা অভিমত। 
    'জীবটির আদৌ কোনো বিচারযোগ্যতা আছে কিনা' এটা কি সুপ্রযুক্ত হল? এর মানে দাঁড়াল সম্পাদক নিজেই একটি বিচার্য বিষয়, তাই না? জীবটির আদৌ বিচার করার কোনো যোগ্যতা আছে কিনা --- এরকমটা বোধহয় ঠিক হত।
     
    বাকি 'সম্পাদক নামক জীব’ যে লেখা পাঠানোর পর লেখকের মনে সম্পাদকদের সম্পর্কে অভিমত, সে নিয়ে কোনাও তর্ক নেই। তবে নিজের ফেসবুক ওয়ালে বা নিজের ব্লগে পোস্ট করা ছাড়া অনলাইন সেল্ফ পাবলিকেশন এখনো কোনো ওয়েবজিনের সম্পাদক, বা ফেসবুক গ্রুপ অ্যাডমিন এর বিচারের মুখাপেক্ষী। আপনি যে পোস্ট করছেন, এই খেরোর খাতা জিনিসটি আসলে আপনার ব্লগই।
     
    পরিশেষে kk নামের ইউজারটি দীর্ঘ ১৮ বছর এই ওয়েবসাইটে লিখছেন। এই ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা সকলেই তাঁকে চেনেন, নাম জানেন। প্রতিটি নতুন ইউজারের কাছে প্রতিটি পুরনো ইউজার নিজের পরিচয় দিয়ে তবে মন্তব্য করবেন এটা এই সাইটের সাধারণ অভ্যাস নয়। কিন্তু সে যাই হোক, তাঁর মূল বক্তব্যে সমস্যাজনক কী পেলেন? সেল্ফ পাবলিকেশন সহজ হওয়ায় প্রচুর আজে বাজে লেখা, যা হয়তো সম্পাদিত হলে পাঠযোগ্য হত বা একটু সময় দেওয়া হলে কিছুদিন পর লেখক নিজেই কোয়ালিটি বিচার করে বাতিল করতেন, পাঠকের কাছে পৌঁছচ্ছে এ কি সত্যি নয়? আর আপনার লেখাটার যে মূল ফ্ল, সম্পাদক আগেও ছিল এখনও আছে, ফলে আজকের লেখক, সম্পাদক নামক জীবটির বিচার করার যোগ্যতা নিয়ে যেমন সন্দীহান, আগেও সেই পরিস্থিতি আলাদা থাকার কারণ নেই, অন্তত আপনার এ-লেখায় সে কারণের কথা উল্লেখ নেই - তাও তো সত্যি। 
     
    মন্তব্যকারীর নামের বদলে মন্তব্যটুকুর প্রতি মনোযোগ দিলে হয়ত এতখানি উষ্মা দেখাতেন না।
     
    এই সাইটে অ্যানোনিমিটির যে অধিকার ব্যবহারকারীদের দেওয়া আছে তার সদব্যবহার করেই নিজের নামও লিখলাম না। তবে, সাইটের পুরনো ইউজাররা চিনবেন।
  • Malay Roychoudhury | ০৯ মার্চ ২০২৩ ১১:৫৩517172
  • কাজলের খোঁচাটা গুটিকয় গুরুর লাগলো কেন ঠাহর করতে পারলুম না । আমার কাছে লেখা না চাইলে পাঠাইনি শুরু থেকেই । এখনও চাইলে তবে পাঠাই । কনটেমপোরারি অথর্স সিরিজের জন্য যখন আমার জীবনী চাওয়া হল তখন ইংরেজিতে লেখার ভয় ছিল । তবু লিখে ফেললুম আর নাকতলার একটা কমপিউটার স্কুল থেকে পাঠিয়ে দিলুম । কনটেমপোরারি অথর্স সিরিজের তিনজন সম্পাদক লাল,নীল আর কালো কালি দিয়ে সম্পাদনা করে প্রিন্টেড পাণ্ডুলিপি পাঠালেন । তাঁরা যা পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই ভাবে সংশোধন পরিমার্জন করে পাঠালুম । প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ নম্বর এডিশানে  পারিবারিক আর সাহিত্যিক বন্ধুদের ফোটোগ্রাফসহ । ১৯৮০ সালের পরের ঘটনাবলী যোগ করে ওনারা আপডেট করতে চাইলেন । মুম্বাইতে  বাড়িতে কমপিউটার থাকার ফলে নিজেই টাইপ করে সরাসরি পাঠালুম । আবার তিনজন সম্পাদকের তিন রকমের কালি । তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী রদবদল করে ফেরত পাঠালুম । ২২০ নম্বর এডিশানে প্রকাশিত হয়েছিল । 
    কাজল সেন কোন ধরণের পত্রিকা আর প্রকাশকদের কথা বলছেন তা বুঝতে পেরেছি । পশ্চিমবাংলায়  বড়ো প্রকাশক আর কমার্শিয়াল পত্রিকার সম্পাদকরা কিন্তু সত্যিই একরকমের জীব । অক্টোপাস বলা যেতে পারে কিংবা ডোরাকাটা হায়না । 
    গুরুচণ্ডা৯ থেকে আমার বেশ কয়েকটা বই বেরিয়েছে -- এখানে অক্টোপাস বা ডোরাকাটা হায়নার দেখা পাইনি ।
  • ঝর্না বিশ্বাস | ১২ মার্চ ২০২৩ ১৬:৫৫517318
  • kkর মন্তব্য  খুব স্পষ্ট। কোথাও আক্রমণাত্মক মনে হলো না।
    আর  lcm  এর ট্রেন লেট ব্যাপারটা দারুন এক এক্সাম্পেল।ট্রেন ছাড়ুক আর না ছাড়ুক , লেখা ছাপুক আর নাই ছাপুক - পড়তে দোষ নেই। তাই 'গুরু' খুব ভালোবাসার জায়গা। অনেক রকম লেখা পাই, পড়ি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন