এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কেন্দ্র ও রাজ্যের বকেয়া মাগ্গীভাতা প্রসঙ্গে

    Surajit Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৫৬৮ বার পঠিত
  • বর্তমানে রাজ্যের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো দুটি, প্রথমটি চাকুরী সংক্রান্ত দুর্নীতি আর দ্বিতীয়টি চাকুরী সংক্রান্ত মাগ্গীভাতা। টিভির যে কোনো চ্যানেল খুললেই এই দুই বিষয়ে আলোচনা ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছেনা বেশ কয়েকমাস ধরে। অর্থাৎ যারা চাকুরী পায়নি আর যারা চাকুরী করছে এই দুদলই এইমুহুর্তে আলোচনার শিরোনামে। প্রত্যেকেই যতরকমভাবে রাজ্য সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করা যায় করছে। তাদের বক্তব্য ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কাজটা বিভিন্ন মিডিয়াগুলো খুব ভালোভাবেই করে চলেছে এখনও অব্দি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারের বিরুদ্ধে জনমানসে হিন্দোল তোলার কোনো চেষ্টাই বাকী রাখছে না। বিভিন্ন রকমের মিম, ট্রোল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে শত শত। কেউ মেয়ের জন্য শিক্ষক পাত্র দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে আপনি ২০১৪ সালে চাকুরী পাননি তো? কেউ বলছে এবার বিদেশ ঘুরে আসা যাবে ৩ শতাংশ মাগ্গীভাতা পাওয়ার পর ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ আমরা কেউই বিষয়ের গভীরে ঢুকছি না। যে যার দোষ ধরার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে সারাদিন। এর চেয়েও হাসির বস্তু হলো, রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের মাগ্গীভাতা নিয়ে যে আন্দোলন তাকেও রাজনৈতিক আন্দোলনের তকমা দেওয়া হচ্ছে।

    পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কত সরকারী কর্মচারী এবং কতজন পেনশনার আছে তার কোনো সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। আনুমানিক সাত লক্ষ সরকারী কর্মচারী আছে বলে শোনা যায় কিন্তু পেনশনারের কোনো হিসেব কেউ বলতে পারে না। সাত লক্ষ কর্মচারী হলে আনুমানিক তিন থেকে চার লক্ষ পেনশনার হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন অর্থাৎ বেসিক পে ১৭০০০ টাকা আর সর্বাধিক ২০১০০০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মাগ্গীভাতা ৩৮ শতাংশ আর রাজ্যের কর্মচারীদের ৬ শতাংশ ধরলে বকেয়া মাগ্গীভাতার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩২ শতাংশ। বিগত জানুয়ারী মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের আরও ৪ শতাংশ মাগ্গীভাতা পাওনা বলে শোনা যাচ্ছে। সেই হিসেবে বকেয়ার পরিমাণ ৩৬ শতাংশ। রাজ্যের কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ধরে হিসেব করলেও দাঁড়ায় এইরকম, (১৭০০০ x ৩৬)/১০০ x ৭০০০০০ = ৪২৮,৪০,০০,০০০ টাকা। আর সর্বোচ্চ বেতন ধরে হিসেব করলে দাঁড়ায় এইরকম, (২০১০০০ x ৩৬)/১০০ x ৭০০০০০ = ৫০৬৫,২০,০০,০০০ টাকা। উচ্চ বেতনের কর্মচারীর সংখ্যা অনেক কম আবার নিম্ন বেতনের কর্মচারীর সংখ্যাও অনেক কম। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মচারী হয় মধ্য বেতনের। তারমানে একসাথে সমস্ত বকেয়া মাগ্গীভাতা দিতে গেলে রাজ্য সরকারের প্রতি মাসে আনুমানিক দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা লাগবে, পেনশনারদের বাদ দিয়ে। সংখ্যাটা এদিক ওদিক হলেও বড়জোর এক থেকে দেড় হাজার কোটি হতে পারে, তারচেয়ে কমবে না। এই টাকার ৬৭ শতাংশ টাকা কেন্দ্র দিয়ে দিয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার তার নিজের কর্মচারীদের জন্য যখনই মাগ্গীভাতা দেয় সেই শতাংশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের জন্য সেই অনুপাতে যে টাকার প্রয়োজন সেটা দিয়ে দেয়। রাজ্যকে বাকী ৩৩ শতাংশের জোগাড় করতে হয়। প্রশ্ন হলো বকেয়া যে ৩৬ শতাংশের কথা বলা হচ্ছে, তার ৬৭ শতাংশ টাকা তো কেন্দ্রীয় সরকার কবেই দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকার কি করেছে সেই টাকা নিয়ে? নিজের ভাগের ৩৩ শতাংশ টাকা জোগাড় করতে না পারলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দুইবারের বা তিনবারের টাকা নিয়েও তো একটা মাগ্গীভাতা দেওয়া যেত। তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের দেয় টাকা গেলো কোথায়? উল্টে অভিযোগ জানানো হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের প্রাপ্য জি, এস, টির টাকা দিচ্ছে না, তাই মাগ্গীভাতার বকেয়াও দেওয়া যাচ্ছে না। তারমানে কি রাজ্য সরকার স্বীকার করে নিচ্ছে যে, তারা এইরকম এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করে।

    এই ধারা আসলে শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে থেকে। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল ঘাটতিশূন্য বাজেটের প্রচলন। বছরের পর বছর ঘাটতিশূন্য বাজেট দেখে দেখে রাজ্যবাসীরও চোখে ন্যাবা ধরে গিয়েছিল। সেই ধারা আজও চলেছে, একটু এদিক, ওদিক হয়েছে মাত্র। এই ঘাটতিশূন্য বাজেটের প্রচলন শুরু হয়েছিল আয়ের অভাবকে গোপন করার উদ্দ্যেশ্য নিয়েই। একটা রাজ্যের উন্নতি কখনই সম্ভব নয় যদিনা তার নির্দিষ্ট আয়ের অঙ্কের ক্রমশঃ উন্নতি না হয়। বিগত প্রায় চল্লিশ বছর ধরে রাজ্যের বাজেটে কোনো আয়ের দিশা নেই অথচ খরচ দিনদিন বেড়েই চলেছে। ফলে একদিকে যেমন লাগামহীন ঋণের বোঝা চেপেছে রাজ্যের ঘাড়ে তেমনি রাজ্য এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করছে। পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়ন হচ্ছে না, অবশ্য উন্নয়নের পরিভাষা বদলে দেওয়া হয়েছে অনেকদিন হলো। রাজ্যের আয়ের মূল উৎস বর্তমানে জি, এস, টি; আবগারি দপ্তর, রেজিস্ট্রি দপ্তর আর পেট্রোল - ডিজেল। এরমধ্যে জি, এস, টির হিসেবমতো টাকা কোনসময়েই তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়না। এই কয়েকটা দপ্তরের ওপর নির্ভর করে কোনো সরকার চলতে পারেনা। পঞ্চাশ বছর আগে কোনো পরিষেবার মূল্য যা ছিল আজকে সেই মূল্যের বড়জোর ১০ কি ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র। এতে অনেকেই বলবেন সরকার কত কম মূল্যে পরিষেবা দিচ্ছে। প্রথমতঃ এই কম মূল্যের পরিষেবা নিয়েও দেখুন কত লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া পরে আছে সরকারের। পরিষেবার মূল্য কম দেখিয়েই সেই দপ্তরগুলোতে লোক নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, ফলস্বরূপ বকেয়া অর্থ আদায় করারও লোক নেই এখন। দ্বিতীয়তঃ সরকারী পরিষেবার যত কম মূল্য আপনি দেবেন তত কম পরিষেবা আপনি সরকারের কাছ থেকে পাবেন। ফলে আয় অনুরূপ না থাকায় একবারে সরকারের পক্ষে মাসে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার বোঝা নেওয়া সম্ভব নয় কোনোদিন। আর বকেয়া পাওনা দিতে গেলে তো কথাই নেই, ঋণের বোঝা দশ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছে যাবে। সেকারণেই সরকারের কাছে দু - একশো কোটি টাকা খরচ করে আইনি লড়াই করা ছাড়া কোনো উপায় নেই এই মুহূর্তে। মাননীয় সুপ্রীম কোর্টকে বোঝানোর জন্যেই এই ৩ শতাংশ মাগ্গীভাতা দেওয়া হয়েছে, অন্ততঃ বলা যাবে সরকারের সদিচ্ছা আছে।
    এরপরে আসি কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া মাগ্গীভাতা প্রসঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীরা এই মুহূর্তে মাগ্গীভাতা সঠিক সময়ে পেলেও করোনাকালে তাদের মাগ্গীভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল দেড় বছরের জন্য। জানুয়ারী ২০২০ থেকে ৪ শতাংশ হারে মাগ্গীভাতা বৃদ্ধি করেও কিছুদিনের মধ্যেই সেই আদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় দেশে করোনার প্রভাবের কারণে। করোনা মোকাবিলার জন্য পি, এম কেয়ার্স ফান্ড তৈরী করলেও আদেশ দেওয়া হয় আগামী দেড় বছর কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীরা কোনো মাগ্গীভাতা পাবে না। দেশের অর্থনীতির ওপরে করোনার কারণে যে চাপ আসছে সেই চাপের হাত থেকে বাঁচতেই এই সিদ্ধান্ত। জুলাই ২০২০ থেকে ৩ শতাংশ, জানুয়ারী ২০২১ থেকে ৪ শতাংশ মাগ্গীভাতার বৃদ্ধি বকেয়া পড়ে। পরবর্তীতে জুলাই ২০২১ থেকে মাগ্গীভাতা বৃদ্ধি করে ৩১ শতাংশ (অর্থাৎ জুলাই ২০১৯ অব্দি ১৭ শতাংশ + ৪ + ৩ + ৪ + জুলাই ২০২১ এর ৩ শতাংশ = মোট ৩১ শতাংশ) করা হলেও কোনরকম রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট দেওয়া হয়নি এবং কোনো বকেয়া প্রদান করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন অর্থাৎ বেসিক পে ১৮০০০ টাকা ধরে হিসেব করলে দাঁড়ায়, ৬ x (১৮০০০ x ৪)/১০০ + ৬ x (১৮০০০ x ৩)/১০০ + ৬ x (১৮০০০ x ৪)/১০০ = ১১৮৮০ টাকা আর সর্বোচ্চ বেতন ২৫০০০০ টাকা ধরে হিসেব করলে দাঁড়ায়, ৬ x (২৫০০০০ x ৪)/১০০ + ৬ x (২৫০০০০ x ৩)/১০০ + ৬ x (২৫০০০০ x ৪)/১০০ = ১৬৫০০০ টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম ১১৮৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৬৫০০০ টাকা সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া রেখে দিয়েছে এখনও। করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা আমরা কাটিয়ে উঠলেও কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখনও দেয়নি। মাঝে মাঝে শোনা যায় বকেয়া দেবে সরকার কিন্তু এখনও কর্মচারীদের হাতে কিছু আসেনি। অবশ্য বর্তমান কর্মচারীদের বকেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না হলেও কেন্দ্রীয় সরকার পরবর্তীতে জানুয়ারী ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১ এর মধ্যে যারা অবসর নিয়েছে তাদের পাওনাগন্ডা বর্ধিত মাগ্গীভাতার হিসেবে প্রদান করে দিয়েছে ইতিমধ্যে।

    সরকারী কর্মচারী সম্পর্কে সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই মনোভাব কম বেশী একই। রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা এখনও পেনশনের আওতায় আছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীরা সেই ২০০৪ সাল থেকেই পেনশনের আওতার বাইরে চলে গেছে। সরকারী কর্মচারীদের জন্য বলার কেউ নেই, কুম্ভিরাশ্রু ফেলার লোক বহু পাওয়া যাবে। অত্যন্ত চতুরতার সাথে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের ৩২ বা ৩৬ শতাংশ মাগ্গীভাতা বকেয়া ফেলেছে, উদ্দেশ্য একটাই, হাতে না পারলে ভাতে মারো। রাজ্যে কংগ্রেস থেকে যখন বামপন্থীদের হাতে ক্ষমতা আসে তারপরে সব রাজ্য সরকারী কর্মচারী কিন্তু কোঅর্ডিনেশন কমিটির সদস্য হয়ে গিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি। কিন্তু আজ এগারো বছর পেরিয়ে গেলেও সেই কোঅর্ডিনেশন কমিটি ভাঙতে পারেনি রাজ্য সরকার। সেই ব্যর্থতাও কাজ করছে এখানে। আবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে হাজার হাজার ঠিকা কর্মচারী কাজ করে, যাদের নাম দেওয়া হয়েছে প্যারা টিচার, আংশিক সময়ের শিক্ষক, কন্ট্রাকচুয়াল কর্মচারী ইত্যাদি। এদের না আছে মাগ্গীভাতা, না আছে গ্র্যাচুইটি, না আছে পেনশন। শুধু মাঝে মাঝে দু এক হাজার টাকা মাইনে বাড়ানো হয়, তাও কয়েকবছর পর পর। সুতরাং বার্তা স্পষ্ট, এই মাইনাতে কাজ করতে হলে করো, নইলে আমার ঠিকা কর্মচারী আছে। বেকারত্বের জ্বালায় সকলেই এখন ঠিকা কর্মচারী হিসেবে যে কোনো দপ্তরে কাজ করতে উৎসাহী। ফলে চিন্তাটা আমাদের, সরকারের নয়। সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বাঁচাতে দু দশ কোটি টাকা খরচ করবে, তার বেশী বিপদে পড়বে না কোনোদিন। বরং আমার, আপনার টাকায় বিনা পয়সায় রেশন দিলে ভোট ব্যাঙ্ক মজবুত হবে।

    হয়তো আপনি ভাবছেন সরকার বদলে দেবেন, ভাবতেই পারেন। সেইমতো কর্মচারীরা সরকারকে হুমকিও দিচ্ছে, মাগ্গীভাতা না পেলে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের কাজ করবেন না। এই লড়াইয়ে আপনি জিততে পারেন, সরকার পড়ে যেতে পারে, কিন্তু নিশ্চিত থাকুন যিনি আসবেন সরকারে তার মানসিকতাও একই। আপনাদের মাগ্গীভাতা অধরাই থেকে যাবে। আসলে এখন এই পরিমাণ বকেয়া দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাজ্যের অর্থনীতির নেই, যদি না কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনো স্টিমুলাস প্যাকেজ পাওয়া যায়। রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা অনেক দেরী করে ফেলেছেন আন্দোলন শুরু করতে। আপনারা যখন ভেবেছেন আপনাদের ৩ শতাংশ মাগ্গীভাতা আর কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের ১৭ শতাংশ তখন কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মাগ্গীভাতা গোকুলে বাড়ছিল। জুলাই ২০২১ সালে যখন এক ধাক্কায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মাগ্গীভাতা ৩১ শতাংশ হয়ে যায় তখন নিজেদের ৩ শতাংশ দেখে আপনাদের হুঁশ ফিরেছিল। ফলে এই দেরীর মাশুল আপনাদের দিয়ে যেতে হবে সারাজীবন, যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে কোনো স্টিমুলাস প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:3ab5:b7dc:4e11:e88e | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৯516655
  • "এই ধারা আসলে শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে থেকে।"
     
    এতদিন ধরে ডিএ বাকী থাকলে তো অনেক টাকা দেবার কথা। 
  • | 2406:7400:63:f439::100 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:২১516657
  • আমার আপনার টাকায় বিনা পয়সায় রেশন ? স্যার , যারা ফ্রি তে রেশন পায় তারাও তো ভারতের নাগরিক , কি বলেন ? আর আজকাল জিএসটি তো সবাই দেয় | 
    বেশ শনি বার নিরামিষ খাওয়া লালুদের মত লিখেছেন কিন্তু |  স্যার মনে হয় বুড়ো লালু , তাই না ?
  • হজবরল | 192.42.116.214 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০০:৪৪516658
  • বাকি সব রাজ্য কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিচ্ছে, পবর দিতে ফাটছে কেন?
  • &/ | 151.141.85.8 | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০২:০৯516660
  • কেন্দ্রীয় সরকার ই ডি পাঠিয়ে ট্রাক ট্রাক টাকা তুলে নিয়ে যাবে। কয়েকমাস ধরে সেটাই তো করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক প্রতিক্রিয়া দিন