এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • গঙ্গা ছিনতাই! 

    Muhammad Sadequzzaman Sharif লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ৯১৯ বার পঠিত
  • ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭১ সাল। শ্রীনগর থেকে জম্মু যাওয়ার জন্য শ্রীনগর রানওয়েতে তৈরি একটা ফকার বিমান। বিমানের নাম গঙ্গা। দীর্ঘদিন সেবা দেওয়ার পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এইটাই এই বিমানের শেষ উড্ডয়ন। এরপরে বিশ্রামে চলে যাবে গঙ্গা। ক্যাপ্টেন এম কে কাচারু, কো পাইলট মোহন সিং দীর্ঘদিন থেকে বিমান চালাচ্ছেন, তাদের উপরেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গঙ্গাকে শেষ যাত্রায় নিয়ে যাওয়ার। বরফ পড়ায় একটু দেরি হলেও ২৬ জন যাত্রী নিয়ে সহজেই গঙ্গা আকাশে উঠে পরে, আর এরপরেই ঘটে এই উপমাহাদেশের গতিপথ বদলে যাওয়া ঘটনার সূত্রপাত!

    হাসিম কুরেশি ও আশরাফ কুরেশি চাচাত ভাই। দুইজন এই বিমানের যাত্রী। বিমান আকাশে উঠার পরে, জম্মুর আকাশ সীমায় ঢোকার পরে বন্দুক আর গ্রেনেড নিয়ে ককপিটের কাছে চলে গেলেন। জানালেন তারা কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের সদস্য, বিমান জম্মু নামবে না, নিয়ে যেতে হবে রাওয়ালপিন্ডি। নির্দেশ না মানলে যাত্রীদের হত্যা করা হবে! পাইলট জানায় যে রাওয়ালপিন্ডি যাওয়ার মত জ্বালানি নাই এই বিমানের, তারা লাহোর যেতে পারবে। তাই সই, গঙ্গা চলল লাহোর।

    এর মধ্যে গোপনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বিমান ছিনতাইয়ের খবর জানিয়ে দিতে সক্ষম হয় পাইলটরা। নিমিষে একাধিক ফাইটার বিমান উড়ে এসে যায় কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না, বিমান ঢুকে পরে পাকিস্তানের আকাশ সীমায়। আর ততক্ষণে পাকিস্তানও জেনে গেছে ভারতীয় বিমান ছিনতাই করে পাকিস্তান আসছে ছিনতাইকারীরা, তাই পাকিস্তান আকাশ সীমায় ঢোকা মাত্র পাকিস্তান বিমান বাহিনীর দুইটা ফাইটার বিমান পাহারা দিয়ে নিয়ে যায় গঙ্গাকে। নিরাপদে নামে গঙ্গা লাহোরে। পরে জানা যায় যে যে বন্দুক আর গ্রেনেড দিয়ে গঙ্গা ছিনতাই করেছে কুরেশি ভাই তার দুইটাই নকল, খেলনা বন্দুক আর কাঠের গ্রেনেড! এই নিয়ে বিমান ছিনতাই করে গঙ্গাকে লাহোরে নামানো হয়। পাকিস্তান এইটা নিজেদের বিজয় বলে ভাবতে শুরু করে। কমান্ডোরা বিমান ঘিরে ফেললেন, বিমানের ভিতরে গিয়ে কথাও বলে আসলেন তারা। সবাই খুশি, কাজ করছে একটা! ভারতের বিমান তাদের নাকের ডগা থেকে ছিনতাই করে এনে ফেলেছে, এইটা তো বিরাট বিজয়। কাশ্মীর নিয়ে এর আগেই দুই দেশ কয়েক দফা যুদ্ধ করা শেষ, তাই বিমান ছিনতাই পাকিস্তানের বিজয় বলে ভাবতে দোষের ছিল না। কিন্তু গল্পটা অত সরল ছিল না কখনই!

    পাকিস্তানের নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছে হাস্যজ্জল মুখে বীরের মত আত্মসমর্পণ করে দুই কুরেশি। আল্লাহ আকবর ধ্বনিতে প্রকম্পিত বিমান বন্দর। রাজনৈতিক নেতারা এসে গেছেন। ছিনতাইকারীরা জানালেন তারা মকবুল বাট বয়া ফারুক হায়দারের সাথে কথা বলবেন। তারা দুইজনই পাকিস্তানে পরিচিত, বিশেষ করে মকবুল বাট সুপরিচিত নাম, জম্মু কাশ্মীর ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। কাশ্মীরিদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় তিনি, শ্রদ্ধেয়ও বটে। মকবুল বাট ও ফারুক হায়দার নিশ্চিত করেন যে কুরেশি ভাইরা তার লোক, কোন সন্দেহ করার কারণ থাকে না এরপরে।

    এদিকে তখন বাংলাদেশে নির্বাচন শেষ। ইয়াহিয়া, ভুট্টুর তালবাহান চলছে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে। ৩১ জানুয়ারি এমন এক তালবাহানা সেরে ভুট্ট লাহোরে পৌঁছেন, সোজা চলে জান গঙ্গার কাছে, ছিনতাইকারীদের জড়িয়ে ধরেন তিনি। ভুট্ট তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলে সম্বোধন করেন, পিঠ চাপড়ে সাবাসি দেন। বিমান বিন্দরে তখন হাজার হাজার মানুষ, সবাই নারায়ে তাকবীর দিচ্ছে, হাসি মুখে চলে আসেন ভুট্টু।

    ছিনতাইকারীরা ভারতের কাছে ৩৬ জন কাশ্মীরির মুক্তি দাবী করে। ভারত সোজা না করে দেয়। হুমকি দেয় যে সম্মানে তাদের বিমান, বিমানের যাত্রীদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, না দিলে ফলাফল ভাল হবে না। ভারতের সোজা না করে দেওয়া, হুমকি দেওয়া, যে কারণেই হোক ২ ফেব্রুয়ারি ২৬ জন যাত্রীকেই মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়। গান্ধা সিংওয়া সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করে। যাত্রীদের মুক্তির সময় ছিনতাইকারীদের সাথে কোন আলাপই করে নাই পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ! পরেরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি হুট করেই সবাই দেখল গঙ্গাকে আগুনে জ্বালিয়ে দিলেন। জ্বালিয়ে দেওয়ার আগে বিমান থেকে সমস্ত কাগজপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়, তারপরে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সদ্যসদ্যের সামনেই এই কাজ করে কুরেশি ভাইয়েরা।

    গল্পটা এই পর্যন্ত এক রকম। টুইস্ট শুরু হয় এরপরেই। ভারত গঙ্গাকে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়াকে সহজ ভাবে নিল না। পাকিস্তান যথারীতি এইটাকেও তাদের সাফল্য হিসেবে দেখল। সাহসী যোদ্ধা বলে ডাকা হল দুই ভাইকে। কিন্তু ভারত কতখানি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এই ঘটনা তা পাকিস্তান আন্দাজ করতে পারেনি। আর এর ফলেই শুরুতে যা বলেছিলাম যে ইতিহাসের গতিপথ ঘুরে যায় তার সূত্রপাত হল। ভারত ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিমানের ভারতীয় আকাশ সীমা ব্যবহারের উপরে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ডন পত্রিকা জানায় -

    "আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ভারত সরকার তার আকাশসীমার ওপর দিয়ে যেকোনো পাকিস্তানি বিমানের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে দ্বিতীয় দিনের মতো নয়াদিল্লির পাকিস্তানি হাইকমিশনে হাজার হাজার ভারতীয় ছাত্রের সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত থাকে। ভারত সরকার পাকিস্তানকে জানিয়েছে, বিমান, যাত্রী, ক্রু ও বিমান সংরক্ষিত চিঠিপত্র বাবদ ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। একদিন আগে ভারত মঙ্গলবার লাহোর বিমানবন্দরে ভারতীয় বিমান উড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করে পশ্চিম ও পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে ভারত সরকারের একটি নোট পাকিস্তান হাই কমিশনে হস্তান্তরের সময় প্রায় ৪,০০০ ভারতীয় ছাত্র সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল। (ডন, ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১)"

    দৃশ্যপট বদলে যেতে থাকল দ্রুত। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই কেউ কেউ বলা শুরু করল এইটা পুরোটাই ভারতের চাল, কুরেশি ভাইয়েরা আসলে ভারতের রিসার্চ এন্ড এনালাইসিস উইঙ, রয়ের সদস্য! আবার কেউ কেউ মকবুল বাটের কারণে সরাসরি এইটা বলতেও পারছে না, কারণ মকবুল বাট সুপরিচিত ছিল কাশ্মীরের নেতা হিসেবে। ভুট্ট তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলে হাত মেলানোয় ব্যাপারটা আরও জটিল হয়ে পরে।

    পাকিস্তানের ঘটনা প্রবাহ দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছিল তখন। ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ শুরু হয় যায় বাংলাদেশের সাথে। নয় মাস যুদ্ধে ভারতের আকাশ ব্যবহার না করতে পারা বড় একটা ফ্যাক্ট হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের জন্য। শ্রীলঙ্কা তাদের বিমান বন্দর ব্যবহার করতে দেয়, সৈন্য আনা, রসদ, অস্ত্র আনার জন্য শ্রীলঙ্কায় বিমান নেমে তেল নিয়ে আবার রউনা হওয়া ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিল না পাকিস্তানের কাছে। শ্রীলঙ্কা সেই সময় এই সাহায্য না করলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অন্য রকম যে হত তা সহজেই বলা যায়।

    যুদ্ধের সময় অনেকেই গঙ্গা ছিনতাই নিয়ে কথা বললেও দুই ভাইকে তখন আর কেউ কিছু বলে নাই। ঘটনা শুরু হয় ডিসেম্বরে ঢাকার বুকে পাকিস্তানের লজ্জাজনক আত্মসমর্পণের পরে। কার দোষ? বলির পাঠা হিসেবে পাওয়া যায় দুই কুরেশি আর মকবুল বাট, ফারুক হায়দারকে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আদালত তৈরি করে তাদের বিচার শুরু হয়। সবাই সাফ অস্বীকার করে। কিন্তু আদালত রায় দেয় ভিন্ন রকম। দোষী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় শুধু হাসিম কুরেশিকে। বাকিদের অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে সামান্য সাজা দেওয়া হয়। হাসিম কুরেশির শাস্তি হয় ১৯ বছরের জেল!

    হাসিম কুরেশিকে ১৯ বছর জেল খাটতে হয় নাই। ১৯৮০ সালে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পেয়ে বলেন একই কাজের জন্য আশরাফের এক রকম শাস্তি আর তার অন্য রকম শাস্তির কারণ তিনি বুঝেন নাই, তার সাথে অন্যায় হয়েছে। এরপরে তিনি চলে জান নেদারল্যান্ড। সেখান তিনি ১৫ বছর কাটান।

    এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলে কে দায়ী? এইটা আসলেই রয়ের মাস্টার প্ল্যান ছিল? পাকিস্তান সদলবলে ঢুকে পড়েছিল রয়ের চালে? রয়ের নীল নকশা হলে মকবুল বাটের সমর্থনের যুক্তি কী? তিনি খুবই সুপরিচিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৬ সালে কাশ্মীরে ঢোকার সময় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। আট বছর ধরে বিচার চলে, তিহার জেলে ফাঁসি হয় মকবুল বাটের। কাশ্মীরিদের কাছে মকবুল বাট এখনও শ্রদ্ধেয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত নাম। কাজেই এই দিক দিয়েও আসলে প্রমাণ করার উপায় নাই যে এইটা রয়ের পরিকল্পনা। পরবর্তীতে কেউ কেউ বলেন যে হাসিম কুরেশি মূলত ডাবল এজেন্ট, তিনি মকবুলের সাথে বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে ভারতে প্রবেশ করে এবং ধরা খান। তিনি তখন দল বদল করে ভরতের পক্ষে কাজ করে। এবং রয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী গঙ্গার মত পুরান একটা বিমান নিয়ে লাহোর নামে। এখানে প্রশ্ন থাকে যে তখন হাসিম কুরেশির বয়স কত? ১৬/১৭ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের উপরে রয়ের মত গোয়েন্দা সংস্থা নির্ভর করবে? বিশ্বাসযোগ্য না। আবার রয়ের বেশ কিছু সাবেক কর্মকর্তা পরবর্তীতে দাবী করেছেন পুরোটাই তাদের পরিকল্পনায় হয়েছে, পাকিস্তানকে ঘোল খাইয়েছে বলে দাবী করে! পাকিস্তান তাদেরকে রয়ের সদস্য বলে বিচার করলেও একজনকে শাস্তি দিয়ে বাকিদের ছেড়ে দেয় কেন জানা যায় না, একজনকেও কয়দিন পরে কেন ছেড়ে দিল কেন তারও কোন উত্তর নাই। দেশদ্রোহীদের এত সহজে কেউ মুক্তি দেয়? তাহলে সত্য কী? কোন দাবীই আসলে নিরঙ্কুশ ভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

    তবে বেশ কয়েক বছরের ঘটনা আমাদেরকে ভিন্ন রকম ভাবতে বাধ্য করে। ২০০০ সালে হাসিম কুরেশি ভারতে ফিরেন। বিমানে থেকে নামার পরেই তাকে ধরা হয়। বিচারে এক বছর জেল খাটার পরেই অসুস্থতার অজুহাতে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। হাসিম কুরেশি এখনও ভারতেই বেঁচে আছেন। আর এটাই বড় প্রমাণ যে তিনি আসলেই রয়ের জন্যই কাজ করেছেন। দীর্ঘদিন পরে ভারতে ফেরা এবং এক বছরের মধ্যে মুক্তি পাওয়া, তার ছেলে জুনায়েদ কুরেশির বিভিন্ন সময় ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিতর্কে অংশ নেওয়া, এই সবই আমাদেরকে অনেকটা নিশ্চিত করে যে আসলেই রয়ের বিশাল বড় চালের অংশ হিসেবে গঙ্গা ছিনতাই হয়।

    এখানে তাহলে ঐতিহাসিক প্রশ্ন এসে যাচ্ছে একটা যা বড় বড় মাথা গরম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। কেন করল ভারত এই কাজ? কয়েক মাসের ভিতরে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হবে তা ভারত তথা র জানত? নিশ্চিত ছিলেন? আমরা পুরো সত্য জানতে পারব না হয়ত কোনদিনই। তবে ভারতের এই আকাশ সীমার নিষেধাজ্ঞা যে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল তা নিশ্চিত। শ্রীলঙ্কা হয়ে আসায় পাকিস্তানের জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়, সময় লেগে যায় অনেক, যা পাকিস্তানের নাভিশ্বাস তোলার জন্য যথেষ্ট ছিল। আর ফলাফল স্বাধীন বাংলাদেশ। নিয়াজি সহ আরও অনেকেই ভারতের আকাশ সীমা যুদ্ধের আগেই বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বড় কারণ বলে মনে করেছেন যুদ্ধে পরাজয়ের। । আরও সৈন্য, অস্ত্র দ্রুত আনতে পারেল কে জানে আমাদের মাতৃভূমির ইতিহাস কেমন হত!

    (বেশ কয়েক বছর ৩০ জানুয়ারিতে লেখাটা লেখব বলে মনে করি কিন্তু ভুলে যাই, আর লেখা হয়ে উঠে না। এবার ৩০ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারলাম না। মুক্তিযুদ্ধের গতিপথ যুদ্ধের আগেই কীভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছিল তার এক নজিরবিহীন ইতিহাস হচ্ছে গঙ্গা ছিনতাই, না লিখে আরাম পাচ্ছিলাম না।)
    তথ্যসূত্র - 
     
    * যুদ্ধের আড়ালে যুদ্ধ/ হাসান ফেরদৌস 
    * বাংলাদেশের জন্ম/ রাউ ফরমান আলি 
    * বিট্রিয়াল অব ইস্ট পাকিস্তান/ এএকে নিয়াজি 
    * ইন্টারনেট 
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ | ৯১৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b96b:1e11:235:be92 | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:১০515261
  • গঙ্গার কথা জানতাম না। কৌতূহলোদ্দীপক 
    তবে ২৬ এ মার্চের পর ভারত আকাশ সীমা হয়ত  বন্ধ করতো ই, গঙ্গা কান্ড না ঘটলেও 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:০২515268
  • অরণ্য দা, আকাশ সীমা বন্ধ হত হয়ত কিন্তু তা হতেও সময় লাগত। ভারতকে এই যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত হতে ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আকাশ সীমা বন্ধ করতে হলেও সময় লাগত। আর যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই মাস আগেই আকাশ সীমা বন্ধ হয়ে যাওয়া পাকিস্তানের জন্য বড় রকমের ধাক্কা ছিল। যেটা নিয়াজি, রাওফরমান আলীরা তাদের লেখায় বারবার করে উল্লেখ করেছে। 
  • তো? | 2601:205:c280:2890:5476:6cfc:2e13:23e7 | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১০:৪০515270
  • তো?
  • aranya | 2601:84:4600:5410:5dc1:df2f:c856:2b63 | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:৫৬515277
  • সাদেক, যুদ্ধের দু মাস আগে ভারতের আকাশ সীমা বন্ধ হওয়া অবশ্যই পাকিস্তানের পক্ষে বড় ধাক্কা। তবে ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইট নামক গণহত্যার অপারেশনটা চালানোর পর, ভারত সরকার খুব দ্রুতই হয়ত আকাশ সীমা বন্ধ করত। 
    নিজের দেশের আকাশ সীমা বন্ধ করা আর সরাসরি যুদ্ধে নামা তো আলাদা ব্যাপার। 
  • Muhammad Sadequzzaman Sharif | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৬515303
  • অরণ্য দা, তা তো অবশ্যই। দুই মাস আগে থেকে বন্ধ করাটা আরও বেশি করে জরুরি ছিল আমার কাছে বলে মনে হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে বন্ধ করে দিবে এইটা পাকিস্তান নিজেও জানত। তাই আগেই সৈন্য, অস্ত্র রসদ যা যা লাগে তা মার্চের আগে থেকেই আনা শুরু করেছিল। এবং সেই কারণেই হয়ত আকাশ সীমা বন্ধ করা জরুরি ছিল। পরে জাহাজেও অস্ত্র আসছে, গোলা বারুদ আসছে। 
    যে কারণেই হোক, রয়ের চালে হোক বা পাকিস্তানের বোকামির জন্যই হোক, আমাদেরকে সুবিধাজনক একটা জায়গা করে দিয়েছিল এই গঙ্গা হাইজ্যাক। 
  • র২হ | 96.230.209.161 | ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫১515312
  • অরণ্যদা, আগভাগে সাপ্লাই লাইন ডিসরাপ্ট করে দেওয়া আর জিনিসপত্র পৌঁছে যাওয়ার পর বন্ধ করার মধ্যে তফাত নেই নাকি?!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন