এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  অন্য যৌনতা

  • স্মৃতিচারণ: সলীম কিদওয়াই

    অনীশ রায় চৌধুরী
    অন্য যৌনতা | ০২ জুলাই ২০২২ | ৯৮৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • ছবি -


    যারা ছিলেন বলে আমরা আছি



    অধ্যাপক সলীম কিদওয়াই-এর জীবনাবসান ঘটেছে গত ৩০-এ অগস্ট। তাঁকে হারানো আমাদের কাছে এক অপূরণীয় ক্ষতি। এই দেশে যৌনতা এবং লিঙ্গপরিচয় সংক্রান্ত অধিকারের আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব সলীম যে কাজ করে গিয়েছেন তাঁর জীবৎকালে, তা অতুলনীয় এবং অবিস্মরণীয়।

    আজ যখন এই দেশে কিছুটা হলেও প্রথা-বহির্ভূত যৌনতা এবং লিঙ্গপরিচিতি নিয়ে কথা বলার, মাথা উঁচু করে নিজের মতন বাঁচার পক্ষে সামান্য হলেও অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন আমার যে সকল পূর্বসূরীর কথা স্মরণ করে, যাঁদের দুঃসাহসিক এবং দৃঢ় পদক্ষেপে প্রারম্ভিক অনন্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে পথ খোঁজার চেষ্টা মনে করে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে তাঁদের মধ্যে সলীম অন্যতম। বিভিন্ন facebook group-এ আমাদের বিভিন্ন সহযোদ্ধা সলীমের স্মৃতিচারণ করে চলেছেন, শ্রদ্ধা নিবেদনও করছেন অনেকেই। কিন্তু বাংলায় কোনো লেখা গত ক’দিনে নজরে পড়ল না। তাই যদিও তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ নিতান্তই অল্প ছিল, তবুও বাংলায় তাঁর সম্বন্ধে কিছু লেখার দায়িত্ব এই অশক্ত হাতেই তুলে নিলাম।




    সলীমের Facebook Profile থেকে জানা যায়, যে তাঁর জন্ম ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই অগস্ট – আজ থেকে ঠিক সত্তর বছর আগে নবগঠিত উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌ শহরে। Times of India সূত্রে জানতে পারলাম বরাবাঁকির বড়াগাঁওয়ের সম্পন্ন ভূস্বামী পরিবারের সন্তান ছিলেন তিনি। লক্ষ্ণৌয়ের St. Francis’ College এবং দিল্লির St. Stephen’s College-এ পড়াশোনা করার পর তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের McGill University-তে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন। সোপান মুলারের-এর স্মৃতিচারণ থেকে জানতে পারি যে দেশে ফিরে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামজস কলেজে মধ্যযুগীয় ইতিহাস বিষয়ে অধ্যাপনা করেন ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এবং তারপর নিজস্ব গবেষণা, লেখালেখি, অনুবাদ - প্রধানত উর্দু সাহিত্যের ইংরাজি অনুবাদ, গ্রন্থরচনা প্রভৃতি কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন। দিল্লি ছাড়ার পর থেকে তিনি লক্ষ্ণৌতেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং শেষ পর্যন্ত নাদসাগর আর্কাইভস এণ্ড ডক্যুমেন্টেশন সোসাইটি ফর সাউথ এশিয়ান মিউসিক-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বেগম আখতারের জীবন এবং সঙ্গীত নিয়ে তিনি পরম আগ্রহে এবং যত্নে কাজ করেছেন। বেগম আখতারের সমাধির জীর্ণোদ্ধার ও সংরক্ষণে তাঁর ভূমিকা ছিল অসামান্য। ভারতীয় তওয়ায়েফ্-দের নিয়েও তাঁর কাজ বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। গত ৩০-এ অগস্ট নিজের সত্তরতম জন্মবার্ষিকীর তেইশ দিন পরে লক্ষ্ণৌতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী দিয়ে সলীমকে চেনা সম্ভব নয়। আজ থেকে চার দশকেরও বেশি আগে, যখন দেশে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা পূর্ণমাত্রায় বহাল রয়েছে, সমাজে-সাহিত্যে-শিল্পে-চলচ্চিত্রে কোথাও সমকামিতা-উভকামিতা-লিঙ্গান্তরকামিতার কোনো স্থান নেই – সেই ভীষণ অন্ধকার সময়ে সলীম নিজের মতন করে জীবনযাপন করার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। অনেকের পক্ষে হয়তো ধারণা করাও সম্ভব নয় সেটা কী কঠিন কাজ ছিল। আজ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে এসেও অনেকেই পারিবারিক, সামাজিক এবং অন্যান্য চাপে বাধ্য হন নিজের স্বাতন্ত্র্য লুকিয়ে মিথ্যে বিবাহের নাটক করে এক দ্বৈত জীবন যাপন করতে। আজ থেকে দশ বছর আগে সমকামিতার “অপরাধে” চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে এবং নিদারুণ সামাজিক গঞ্জনার শিকার হয়ে আত্মঘাতী হন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রামচন্দ্র সিরাস। আজ থেকে বছর কুড়ি আগে যখন আমি নিজের সমকামী পরিচয় লুকিয়ে না রেখে প্রকাশ্যে আসি, তখন থেকে কত মানুষের কত অস্বস্তিকর এবং অসম্মানজনক ঔৎসুক্যের মুখোমুখি হয়েছি তার কোনো হিসেব নেই। সেখানে তারও প্রায় দুই দশক আগে এই দেশে, এই সমাজে একজন আন্তর্জাতিক উপাধিধারী সফল অধ্যাপক একা, অবিবাহিত এবং স্বঘোষিত সমকামী জীবনযাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন – তা যে কত কঠিন ছিল, তা আমরা যারা তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে চলতে চেষ্টা করি, তারাই কেবল বলতে পারি। যে পরিবারে, যে ধর্মীয় সম্প্রদায়ে, যে সমাজে এবং যে সময়ে তাঁর জন্ম হয়েছিল তার নিরিখে নিজের স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করতে তাঁকে নিদারুণ সংগ্রাম করতে হয়েছিল ঘরে এবং বাইরে। কিন্তু তিনি পরাজয় স্বীকার করেননি। লড়ে নিজের জায়গা তৈরি করে নিয়েছিলেন। সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং পেশাগত জীবনে।

    তবে মনে রাখা দরকার, যে সলীম কেবল তাঁর একক একান্ত যাপন নিয়েই ব্যস্ত থাকেননি। তাঁর অগণ্য গুণগ্রাহীদের অন্যতম শ্রী আদিত্য আদবাণী লিখেছেন, ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে যখন তিনি প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ’দেশে আসেন, তখন তাঁর কাছে যে একমাত্র ভারতীয় সমকামী ব্যক্তির ফোন নম্বর ছিল, তিনি সলীম। অর্থাৎ সেই সময়েই ইন্টারনেট, মোবাইল ফোনের সহায়তা ছাড়াই সমমনস্ক মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করার, নিজের দৃষ্টান্তে নিজের মতন করে বাঁচার সাহস তাঁদের মধ্যে সঞ্চার করার কঠিন সংগ্রামে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করছেন। অত বছর আগে কেবল বিদেশ প্রত্যাগত মানুষদের একমাত্র যোগাযোগসূত্র হিসেবেই নয়, দিল্লির স্থানীয় সমমনস্ক মানুষজনকে সংগঠিত করতে, তাঁদের সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক মেলামেশার একটা পরিমণ্ডল গড়ে তুলতেও যে সলীম সফল হয়েছিলেন, তার উল্লেখ ঐ স্মৃতিচারণেই আছে। সেখান থেকেই এও জানা যাচ্ছে আদিত্যের মা-বাবা তাঁদের সন্তানের সমকামিতা স্বীকার করে নিতে পেরেছিলেন সলীমেরই সহযোগিতায়।




    আরো অনেকেরই স্মৃতিচারণে উঠে এসেছে, কেমন করে সলীম তাঁদের নিজেকে জানতে এবং নিজের সত্ত্বাকে স্বীকার করে নিতে, আত্মবিশ্বাসী হয়ে আত্মমর্য্যাদা নিয়ে নিজের মতন করে নিজের জীবনযাপন করতে সাহায্য করেছিলেন। অনেকে এমনকি তাঁর ব্যক্তিগত আশ্রয়েও কাটিয়েছেন সঙ্কটের সময়ে। একজন-দু’জন নয়, তাঁর শহরে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে আসা অপরিচিত-স্বল্পপরিচিত ৩০-৪০ জনকে একসাথে নিজের বাড়িতে জায়গা করে দেওয়ার জন্যও যে সলীম প্রস্তুত থাকতেন, তা জানা যাচ্ছে চয়নিকা শাহ-এর লেখা থেকে। আদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ১৯৯৭ সাল থেকে সলীমের পরিচিত এবং ১৯৯৮ সালে তাঁরা দু’জনে আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে একত্রে দিল্লির সমকামী সহায়ক সংগঠন হামরাহী প্রতিষ্ঠা করেন। গৌতম ভান লিখেছেন, ২০০০ সালে সলীম তাঁকে সাহস জুগিয়েছিলেন নিজের শর্তে বাঁচার – বলেছিলেন তিনি নিজে যেমন যাবতীয় প্রতিকূলতাকে জয় করে এই সমাজেই বেঁচে আছেন, গৌতমও তেমনই নিজের মতন জীবনযাপনে নিশ্চয়ই সফল হবেন। এমন কত অজস্র মানুষের জীবনকে তিনি প্রভাবিত করেছেন, সাহায্য করেছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন – তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা নির্মাণ কখনোই সম্ভব হবে না।

    যেকোনো বিতর্কিত বিষয়কে সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে তথা আইনের চোখে প্রতিষ্ঠা দিতে তাত্ত্বিক গবেষণার এবং তা মুদ্রিত গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হওয়ার ভূমিকা অপরিসীম। বিশেষ করে যেহেতু যৌনতা এবং লিঙ্গগত পরিচয়ের সাম্প্রতিক লড়াইটার সূত্রপাত তথাকথিত পাশ্চাত্য দেশগুলিতেই হয়েছিল বলে মনে করা হয়, সেহেতু সমকামিতা প্রভৃতি প্রথা-বহির্ভূত জীবনশৈলীকে “পাশ্চাত্যের আমদানি”, “পবিত্র ভারতীয় সমাজকে কলুষিত করার পশ্চিমি ষড়যন্ত্র” বলে দাগিয়ে দিয়ে মানুষের অধিকারের দাবিকে ধামাচাপা দেওয়ার একটা প্রবল অপচেষ্টা ছিল। এখনো কেউ কেউ সেই ধুয়ো তোলার চেষ্টা যে করেন না, তা নয়। ইতিহাস গবেষক সলীম রুথ ভনিতা-এর সঙ্গে যৌথ চেষ্টায় “Same Sex Love in India” নামক তথ্যসমৃদ্ধ, উদাহরণবহুল সুবৃহৎ গ্রন্থটি রচনা, সম্পাদনা এবং প্রকাশ করে এক ভয়ঙ্কর নৈঃশব্দ থেকে, এক কৃষ্ণগহ্বরের করাল গ্রাস থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে প্ৰাগৈস্লামিক যুগ, ঐস্লামিক এবং য়ুরোপীয় কাল হয়ে সমকালে নানান সাহিত্যের, শিল্পের, লোককথার, আইনের এবং অন্যান্য নানান জগতের নানান সূত্রে কোথায় সরাসরিভাবে, কোথায়ই বা রূপকের আড়ালে কেমন করে প্রমাণ পাওয়া যায় যে পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশ-সমাজ-জনগোষ্ঠী-সময়ের মতই আমাদের দেশেও কাল-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সমকামিতা-উভকামিতা-লিঙ্গান্তরকামিতা বিদ্যমান ছিল এবং আছে – তার এক অসামান্য দলিল এই বইটি। আজ শুধু নয়, অনন্ত কাল ধরে তাঁদের গবেষণাঋদ্ধ এই গ্রন্থটি এবং তার একাধিক মূল্যবান বৃত্তান্ত মানুষের অন্যরকম হবার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইতে এক অনবদ্য এবং অপরিহার্য সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা-বিরোধী মামলায় আদালতের সামনে এই বইটি ছিল অন্যতম প্রধান দৃষ্টান্ত। তাঁর দৃষ্টান্ত অনুসরণে এই বিষয়ে আরো অনেককে গবেষণা করতে এবং লেখালেখি করতেও তিনি উৎসাহ জুগিয়েছেন। দিয়িপ্রিয়ে সুঙ্গুমোতে কুকু-শিএমন্স- কে তিনি নিজের বাড়িতে অতিথি হিসেবে বসবাসের এবং তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থের সংগ্রহ ব্যবহারেরও সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বাকি আর কোনো কিচ্ছুটি না করেও এই একটি গ্রন্থ প্রকাশ করলেই তা এক অসামান্য কাজ হত। তাঁর অপরাপর কাজের সঙ্গে বইটি যুক্ত হয়ে তাঁর অবদানকে এক অভ্রংলিহ উচ্চতা দিয়েছে।

    সলীমের নামের সঙ্গে এবং তাঁর কাজের সঙ্গে পরিচয় ছিল আগেই। একবার ৩৭৭ ধারা বিরোধী এক আলোচনাচক্রের সুবাদে সামনাসামনি পরিচয় হয়। তারপর আরও একটি অনুরূপ অবসরে দিল্লিতে সমবেত মানুষজন এক সন্ধ্যায় জমায়েত হয়েছিলেন সুনীল গুপ্তা-এর বাড়িতে। সেখানে সেই সন্ধ্যায় সলীমের সঙ্গে পরিচয় আরো ঘনিষ্ঠ হয়। পরে আরো একবার সুনীলের দিল্লির বাড়িতেই তিনি এবং সুনীল অনেক সময় নিয়ে ধৈর্য্য ধরে আমার সমস্ত কথা শুনে এবং বহু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমায় যৎপরোনাস্তি সাহায্য করেছিলেন। পরে লক্ষ্ণৌতেও বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। মাঝেমধ্যে মেসেঞ্জারে বার্তা বিনিময়, গোটা জীবনে দু’বার মাত্র টেলিফোনে কথোপকথন আর বছরে একবার তাঁর জন্মদিনে facebook-এ শুভেচ্ছা জানানো – এইমাত্র তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়। এই বছরও ৭ই অগস্ট যখন তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালাম, তিনি খুশি হয়ে উত্তরে লিখেছিলেন আমার সেই শুভেচ্ছাবার্তাই নাকি এ’বছর তাঁর প্রথম পাওয়া বার্তা। কখনো কল্পনাও করিনি সেই আমাদের শেষ কথোপকথন।

    সলীমের তুলনায় কুড়ি বছরের কনিষ্ঠ এবং পাণ্ডিত্যে, অভিজ্ঞতায়, কাজে তাঁর তুলনায় অতি অকিঞ্চিৎকর হলেও তিনি সর্বদাই সসম্মানে সমকক্ষ বন্ধুর মতন হয়েই কথা বলতেন। অতি ভদ্র, মৃদুভাষী অথচ স্পষ্টভাষী মানুষটির সঙ্গে কথোপকথন ছিল এক অত্যাশ্চর্য অভিজ্ঞতা। আদর্শ শিক্ষক তিনি, আলোচ্য বিষয় যতই কঠিন ও জটিল হোক না কেন, তাকে সহজ করে শ্রোতার মর্মে প্রবেশ করিয়ে দিতে পারতেন তিনি। যে অতি সামান্য আলাপ হয়েছে তাতেই তাঁর সুন্দর স্বভাব, উদার হৃদয় এবং প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের পরিচয় পেয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তাঁর কাছে আমাদের - সমকামী-উভকামী-লিঙ্গান্তরকামী মানুষজনের, মানবাধিকার কর্মীদের, ইতিহাস ও সঙ্গীতপ্রেমী মানুষদের ঋণ কখনোই পরিশোধ হবার নয়। তাঁর প্রয়াণ আমাদের সকলের জন্যেই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে চেনার সুযোগ যাঁদের হয়নি, তাঁরা যাতে আমাদের এই পরম বন্ধুকে এবং তাঁর অসামান্য অবদানের কথা জানতে পারেন, সেইজন্যেই বিশেষ করে এই স্মৃতিচারণ। তাঁর প্রতি আমার অন্তরের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করি।

    সঙ্গের ছবিগুলি সলীমের Facebook profile-থেকে সংগৃহীত।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • অন্য যৌনতা | ০২ জুলাই ২০২২ | ৯৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.251.161.216 | ০৩ জুলাই ২০২২ ০৩:২১509584
  • "তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের McGill University-তে উচ্চতর শিক্ষা সম্পন্ন করেন।" 
     McGill কানাডার ইউনিভার্সিটি। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন