এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মিথ্যে ভূতের গল্প 

    Arundhati Sarkar Santra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ জুন ২০২২ | ১১৭৬ বার পঠিত
  • অফিসের কাজে আমরা সার্ভে করতে গিয়েছি জেলা সদর পেরিয়ে একটু গ্রামের দিকে। কাজ আমাদের পঞ্চায়েতের পরিষেবা নিয়ে । আমরা মানে আমি আর বৃন্দা ।        বৃন্দা এই সবে চাকরিতে ঢুকেছে, ওর তো খুব উৎসাহ। আমারও বেশ ভালো লাগছে। শহরের ইটকাঠ পেরিয়ে শান্ত সবুজ গ্রাম। আমরা জেলা সদর অফিস ঘুরেই এসেছি, ওখান থেকে গ্রামপ্রধানের সাথে যোগাযোগ করাই ছিল।
    আমরা সরাসরি প্রধানের বাড়িতেই এলাম।
    প্রধান গলা তুলে বললেন "আরে কুছ সরবৎ উরবৎ তো লাগাও। ম‍্যাডাম লোগ দূর দিল্লি সে আয়ে হুয়ে হ‍্যায়।"
    কোন সম্বোধন নেই, তাই কাকে যে বললেন বোঝা গেলনা।
    আমি একটু কোণাকুণি বসেছি। ঘরের ভিতর থেকে জানলার শিকের মধ্যে দিয়ে একটা লিকলিকে সরু কালো হাত গন্ধলেবুর গাছ থেকে একটা লেবু পেড়ে নিল। হাতটা খুব রোগা হলেও অস্বাভাবিক লম্বা নয়। তবু যেন শহরের আলো থেকে দূরে এই নিঝুম মত গ্রামের বাড়িতে ঐ প্রায় মাংসহীন হাতটা দেখে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল।
    শরবৎ এলো। নিয়ে এলো একটি যুবক।
    প্রধান বললেন " আপলোগকি যো ভি পেপার ওপার হ্যায়, ইসকো দে দিজিয়ে....য়ে সব ভর দেগা.... আপ লোগ এন্হি ব্যঠকে আরাম কিজিয়ে।’’
    বৃন্দা আবার তরুণ রক্ত। ও তেড়েফুঁড়ে 'সমীক্ষায় সততা' ইত্যাদি নিয়ে লেকচার শুরু করতেই যাচ্ছিল...আমি বললাম ''উসকে সাথে হামলোগ থোড়া গাঁও ভি ঘুম লেঙ্গে'' এতে উনি খুশি হলেন কিনা বোঝা গেলনা তবে সম্মতি দিলেন। বেশ পোড় খাওয়া রাজনীতিক। ওই যুবককে ডেকে নিচু গলায় কিছু নির্দেশও দিলেন।
    ছেলেটির নাম পবন। পবনের সাথে আমরা সার্ভে করতে বেরোলাম। এবং ক্রমশ বুঝতে পারলাম আমরা নিজের ইচ্ছেমত চলছি না। কোন একটা অদৃশ্য সুতো আমাদের একটি ছকে চালাচ্ছে। পবন আমাদের পূর্বনির্দিষ্ট কয়েকটি বাড়িতেই নিয়ে যাচ্ছে। এবং তাদের উত্তর মোটামুটি একই রকম ।
    সে যাই হোক, আমরা মোট পঞ্চাশজন মত লোকজনের সঙ্গে কথা বলব....অর্ধেক পুরুষ আর অর্ধেক মহিলাদের জিজ্ঞাসা করা হবে এরকমই ভেবে এসেছি আমরা। পুরুষদের পাতা তবু ভর্তি হল কিন্তু মহিলাদের দেখা নেই।
    পবনকে বলতে সে বলল '' প্যাহলে বলনা চাহিয়ে থা না ম্যাডামজি। ঔরৎ কে ভি চাহিয়ে। ওহ উস বিবি কা নাম লিখ দেতা।" 
    আমি বলি সেরকমটা হলে হবেনা। মেয়েদের সাথেই আমরা কথা বলতে চাই।
    পবন বলে ''ঔরৎ লোগ ক কুছ পতা নি হ্যায়...ওহ ক্যায়া ব্যাতায়েগা?
    আমি বলি তবু ডেকো, আমরা কথা বলে নেবো।
    আমরা পরের বাড়িটিতে যাই। পুরুষ সদস্যের সাথে কথা বলি, তিনি পাশের বাড়ির বন্ধুদেরও ডেকে নেন। নিজেদের সমস্যা সবিস্তারে বলেন। আমরা খুশি হই, আমাদের কাজ ভালো এগোচ্ছে।
    এবার বলি বাড়ির মেয়েদেরও ডেকে নিন। শুনি “ উনহ সে ক্যায়া করনা? উনহে কুছ পতা নেহি”
    বারবার এরকমই। 
    পর্দার তলা দিয়ে তাদের মলের ঝুমঝুম আওয়াজ শুনেছি, কিন্তু পর্দা তুলে ডাকতে গেলেই ব্যস, আর কেউ নেই, কিচ্ছুটি নেই ....কোথাও শিশুর কান্না শুনে কালো দরজা ঠেলে এগিয়ে যেতেই দেখি সামনে আরো একটি কালোতর দরজা সপাটে বন্ধ. বাচ্চার নামগন্ধও নেই।
     
    এরপর বেরিয়ে রাস্তা ধরে একটু এগোতে দেখি, রাস্তার পাশে চার পাঁচটা, সাদা, কালো, মেটে ছাগল….না না, শুধু ছাগল নয়, একজন মহিলাও বুঝি ওদের মাঝে কোলকুঁজো হয়ে মিলেমিশে গেছে...মানুষ বলে একনজরে যেন বোঝাও যাচ্ছে না....
    তার দিকে এগিয়ে যেতেই, সঙ্গের ছেলেটি বলে ' উসকো কেয়া পুছনা? ওহ পাগল ঔরত....
    পাগল ঔরত তো আর শুধু ওই গ্রামেই নেই, আমার সাথেও আছে। বৃন্দা ততক্ষনে সড়সড় করে নেমে গেছে ওই মহিলার দিকে....
    আমিও প্রায় দৌড়ে বৃন্দার সাথে যেতে থাকি... মহিলা সত্যি পাগল হলে কি জানি কি করে বসেl
    আমি পৌঁছানোর আগেই বৃন্দা তাকে সার্ভের বিষয়ে বোঝাতে শুরু করে দিয়েছে।
    সেই মহিলা চোখ তুলে আমাদের দিকে তাকাতেই আমি চমকে যাই। ‘না মানুষী’ সেই দৃষ্টি যেন বুক হিম করে দেয় । যেন যুগ যুগান্তরের নিরাশার অন্ধকার সেই দুটি চোখের ফ্যাকাশে মণিতে জমাট বেঁধে আছে। সে যেন আধুনিক যুগের কেউই নয়, তার ঝুলে পড়া ত্বকের বলিরেখার শিলালিপি যেন প্রত্নযুগের দলিল । সেই দলিল, এই ফটফটে দিনের আলোয়, আধুনিক সমীক্ষার নিরিক্ষায় ব্যাখ্যা করা যাবেনা।
    বৃন্দা কে হতাশ করে সে আবার মুখটা নামিয়ে নিয়েছে। কথা বা উত্তরের তো প্রশ্নই নেই।
    পবন ততক্ষণে পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে “ বোলা না ম্যায়, ওহ পাগল অউরত, ওহ কিসিসে বাত নেহি করতি। উস কো কুছ নেহি পতা। ”
    এরপর আমরা আরও কয়েকটি বাড়িতে ঘুরি। কোথাও উত্তর মেলে কোথাও বা মেলেনা।
    বাড়ির পুরুষটির সাথে কথা বলতে বলতে জল আসে, চা ও আসে, মাথায় ঘোমটা ঢাকা, লাল চুড়ি পড়া যে হাত দুটি চা দিয়ে যায়, কথা বলতে ডাকলেই সে আর নেই। উনুনে বসানো ভাত তেমনি ফুটছে, উনুনের পাশে কাটা সব্জি তেমনি পড়ে আছে । 
    শুধু সে নেই। কারণ “উসকো কুছ পতা নেহি”।
    পবন কে বলি, "স্কুলে পড়া মেয়ে নেই ভাই ?তাদের বাড়ি নিয়ে চলনা।" 
    পবন বলে “ হ্যায় না, ম্যাডাম জি, চার পাঁচ ঠ হ্যায় । ওহ ত ছোটে হ্যায়, উনহে কুছহ পতা নেহি ।”
    বৃন্দা ক্রমশ বিরক্ত হয়, আমি অবসন্ন হতে থাকি।
    মনে মনে অঙ্ক কষি  এই যে গ্রামের প্রায় অর্ধেক মানুষ, যারা আসলে মেয়েমানুষ, তাদের উল্লেখ আছে জনসংখ্যা গোনার তালিকায়, নাম আছে ভোটার তালিকাতেও , তারা এক্কেবারে ভ্যানিশ ।
    না  ঠিক ভ্যানিশ নয় ।মানুষ আর ভূতের ঠিক মাঝখানটিতে চুপটি করে দাঁড়িয়ে থাকে তারা ।
    এই যে হারিয়ে যাওয়া ঝুমঝুমি গান, বন্ধ হয়ে যাওয়া কালা দরওয়াজা, জানলার ভিতরে কঙ্কালসার হাতের মালকিনেরা প্রেতিনী নয় তো কি?
    এদের ছায়া, ছায়া আবছায়া উপস্থিতি বোঝা যায়, কিন্তু স্বর শোনা যায় না। এরা আছে, আবার নেই। দুধ, দই মাছ, মাংসে ভাগ না পেতে পেতে, 'ভূতের বেগার' খাটতে খাটতে শরীরগুলি কঙ্কালসার, মরা মরা চোখ কোটরে আর মুলোর মত দাঁতগুলো বাইরে। এই মরা কাঠগুলোর গায়ে ঝকমকে জড়ির শাড়ি জড়িয়ে দিলেই তো এক্কেবারে জ্যান্ত পেত্নি। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বেশ উঁচু জাতের। কি এক অজানা কারণে বর ছেলে কে কেটেকুটে রেঁধে বেড়ে সিদ্ধ করে খেয়েও নিজেরা বেশ লকলকিয়ে বেঁচে থাকে। তার সাথে আবার জমিজমাও থাকলে তখন তাদের তো শুধু পেত্নী করে রাখলে চলেনা তাদের একটা 'ডাইনি' নামের উঁচু পদে বসাতেই হয়, ...
    আর তারপর একটা নিকষ কালো অমাবস্যা টাস্যা দেখে একটু সেঁকেপুড়িয়ে নিলেই হল....
    দিনের আলো মরে আসছে। আমরা পবনকে ধন্যবাদ জানিয়ে গাড়িতে উঠে বসি। গ্রাম পিছনে পড়ে থাকে। গাড়ি যতই শহরে কাছে আসতে থাকে দেখি মিররে আমার আর বৃন্দার মুখদুটো স্পষ্ট হচ্ছে।
    ক্লান্তিতে আমার চোখ বুজে আসে, আর বৃন্দা সমীক্ষার মেয়েলি কলামে লিখতে থাকে
    Not satisfactory, not satisfactory, not..............

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ জুন ২০২২ | ১১৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:2107:955d:4c73:bd0a | ২৩ জুন ২০২২ ০২:২২509282
  • আপনি খুব ভালো লেখেন। মিথ্যে কোথায়? এটা তো সত্যি ভুতেরই গল্প!
  • :|: | 174.251.161.216 | ২৩ জুন ২০২২ ০৩:০০509283
  • ভূত। দীর্ঘ ঊ। 
  • &/ | 151.141.85.8 | ২৩ জুন ২০২২ ০৩:০৮509284
  • অনেকে বলেন অতীত অর্থে ভূত(দীর্ঘ ঊ) হবে আর ভুতুড়ে অর্থে হবে ভুত(হ্রস্ব উ)।
  • :|: | 174.251.161.216 | ২৩ জুন ২০২২ ০৩:৩৯509285
  • ভূতুড়ে 
    অনেকে বললেই তো আর হবে না। ডিকশনারীকে বলতে হবে -- তবে জজে মানবে। এই দেখুন প্রথম বানানটাই https://www.learnsanskrit.cc/translate?search=भूत&dir=au 
  • যোষিতা | ২৩ জুন ২০২২ ০৫:৪৬509288
  • খুবই নারীবাদী লেখা।
  • Ranjan Roy | ২৩ জুন ২০২২ ১৬:৩১509307
  • ভালো লেগেছে। 
    গ্রামে দেখেছি মহিলা সরপঞ্চ হলেও ব্যাংকে টাকা তুলতে আসেন তাঁর স্বামী, যার ব্যবহারিক নাম 'সরপঞ্চ-পতি'। উইথড্রওয়াল ভাউচারে বৌয়ের অংগুঠা লাগানো থাকে, ব্যস,। বেশির ভাগ লোকজন এ নিয়ে মাথা ঘামাতো না। তবে আজকাল ছত্তিশগড়ে মহিলারা মুখর এবং সরব হচ্ছেন।
  • Kishore Ghosal | ২৩ জুন ২০২২ ২১:০০509315
  • বাস্তব ঘটনার অসাধারণ উপস্থাপনা। 
     
    সংস্কৃতে ভূত। চলন্তিকা এবং সংসদও "ভূত" বানানটাই  বলছে ঠিক। চলন্তিকা বলছে "ভুতুড়ে" এবং "ভূতুড়ে" দুটো বানানই চলতে পারে। কিন্তু সংসদ বলছে "ভূতুড়ে" -  "ভুতুড়ে"-র কোন উল্লেখই নেই।
    বাংলা বানানও মাঝে মাঝে কেমন যেন "ভূতুড়ে" হয়ে ওঠে - নাকি "ভুতুড়ে"?     
  • এস এস অরুন্ধতী | ২৩ জুন ২০২২ ২১:৪৪509316
  • সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভূত বানানটি সঠিক করলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন