এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শান্তনীড় রহস্য - ৬ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ এপ্রিল ২০২২ | ৬৬২ বার পঠিত
  • চব্বিশ তারিখে রাত দশটা নাগাদ বৈশাখীর মোবাইলে একটা কল এল। মোবাইল তুলে বৈশাখী দেখল --- কলতান গুপ্তর নাম।
    ------ ' হ্যাঁ .... বলুন মিস্টার গুপ্ত ..... আমি এক্ষুণি আপনাকে ফোন করতে যাচ্ছিলাম । ভালই হল .... আমরা তাহলে কবে ..... '
    ------ ' কাল সকাল দশটা থেকে বারোটার মধ্যে আমার বাড়িতে আসতে পারেন। যদি সম্ভব হয় দুজনেই একসঙ্গে আসবেন। '
    ------ ' হ্যাঁ ..... আমি আমার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে দেখি। ওর প্রবলেমটাই বেশি গ্রিম। আপনার বাড়িটা কোথায় যদি বলেন ..... '
    ------- ' কলেজ স্ট্রীট - এম জি রোড ক্রসিং-এ বলতে পারেন। অ্যড্রেসটা আমি টেক্সট করে দিচ্ছি। কাল সকাল নটার মধ্যে কনফার্ম করুন। ওক্কে .... রাখছি এখন? টেক কেয়ার। '
    কলতান বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। 

    বৈশাখী ভাবতে লাগল, কাল কলতানবাবুর অ্যপয়েন্টমেন্ট নিলে অফিস বাঙ্ক করতে হবে। তার বর নিলয় অফিসের কাজে বাইরে গেছে কুড়ি দিনের জন্য। সেটা অবশ্য এক দিক দিয়ে ভালই হয়েছে বলে মনে করল বৈশাখী।  নিলয়কে সে এসব জানাতে চায় না। ব্যাপারটা ভালভাবে মিটে গেলে ভাল। নাহলে আবার সেই থানা পুলিশ .... ও : ... কি ঝকমারি ....

    তবে সোলাঙ্কির প্রবলেমটা বেশি আতঙ্কজনক মনে হচ্ছে বৈশাখীর। বেচারা টেনশানে একেবারে কাবু হয়ে পড়েছে। 

    বৈশাখী সোলাঙ্কিকে ফোন লাগাল। এখন রাত সাড়ে দশটা। ফোনটা যখন রিং হচ্ছে বৈশাখীর মনে হল এই সময়ে সোলাঙ্কিকে ফোন করে এসব কথা বলা ঠিক হবে কিনা। কারণ, এখন তো ঘরে প্রনবেশ থাকবে। সোলাঙ্কি তাকে এসব কিছু জানাতে চায় না।  

    সোলাঙ্কি ফোন তুলল ---- ' হ্যা ... বল কি খবর। '
    ----- ' সোলাঙ্কি শোন ..... যদি উত্তর দিতে অসুবিধা থাকে শুধু ' হ্যা' বা 'না' বা 'ঠিক আছে' এরকম বলবি। ঘরে প্রণবেশদা আছে নিশ্চয়ই ? '
    -----  ' হ্যাঁ ' 
    ----- ' কলতান গুপ্তর ফোন এসেছিল একটু আগে। কাল দশটা থেকে বারোটার মধ্যে ওনার বাড়িতে যেতে বলেছেন। কলেজ স্ট্রীটে বাড়ি। যাবি তো ? '
    ------ ' হ্যাঁ '
    ----- ' তা'লে কাল দশটার মধ্যে আমার বাড়ি চলে আসিস। তুই এলে বেরিয়ে পড়ব ।'
    ------ ' হ্যাঁ ..... অবশ্যই '
    ------ ' রাখছি তা'লে '
    ------ ' হ্যাঁ ..... ঠিক আছে '

    ***********    ***********           *********

    কলতান টেবিলের উল্টোদিকে দুজনের মুখোমুখি বসল। কুলচা সকাল থেকেই এসে বসে আছে। সে ভিতর থেকে চার কাপ কফি এনে টেবিলের ওপর রাখল। 

    ----- ' আপনারা বলছেন ইনভেস্টিগেশনের হ্যারাসমেন্ট অ্যভয়েড করার জন্য আপনারা পুলিশকে ইনফর্ম করেননি। ' কলতান কফির কাপে একটা চুমুক দিল।
    ----- ' এক্জ্যাক্টলি । আমরা কোন আনওয়ান্টেড কমপ্লিকেশানে পড়তে চাই না। আপনাকেও রিকোয়েস্ট করছি কেসটা যেন একদম সিক্রেট থাকে।' বৈশাখী জবাব দেয়। 
    ------ ' সেটা ঠিক আছে । আমাদের একটা এথিক্স অবশ্যই মেনটেন করতে হয়।  তবে, আপনার কেসটা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের কাছে জলভাতের মতো সহজ। শুধু মোবাইল লোকেশান ট্র্যাক করার ব্যাপার। খুব সহজেই বেরিয়ে যাবে। আমাকেও তো ওই প্রসেসেই কাজ করতে হবে। মোবাইল কল ট্র্যাক করতেই হবে ..... অলরাইট ..... ' 

    সোলাঙ্কির দিকে তাকিয়ে কলতান বলল, ' আমি আপনার সঙ্গে কথা বলছি। একটু ওয়েট করুন প্লিজ ...... এনার ম্যাটারটা একটু গুছিয়ে নিই ..... প্লি...জ '
    সোলাঙ্কি বলল, ' না না ..... ঠিক আছে । আপনি আপনার সুবিধামতো করুন। আমার কোন প্রবলেম নেই। '
    ----- ' থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ ..... '  

    কলতান আবার বৈশাখীর দিকে ফেরে। কুলচা বেশ উসখুস করছে। সে কেসগুলোয় মোটেই কোন উত্তেজনার গন্ধ পাচ্ছে না।

    কলতান আচমকা বৈশাখীকে বলল, ' আচ্ছা মিসেস মজুমদার ..... আপনার হাসব্যান্ড এখন কলকাতায়ই আছেন তো? '
    ----- ' না প্রায় দু সপ্তাহ হল কলকাতায় নেই। অফিস ট্যুরে বাইরে গেছে। সামনের সপ্তাহে ফিরবে। '
    ----- ' ও আচ্ছা। কোথায় গেছেন ? '
    ----- ' মধ্যপ্রদেশে। জব্বলপুরের কাছাকাছি একটা সাইটে।'
    ----- ' সাইটে? উনি কি ইঞ্জিনিয়ার? '
    ----- ' হ্যাঁ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। '
    ------ ' ওনাকে কি প্রায়ই ট্যুরে যেতে হয়? সরি .... এসব জিজ্ঞেস করছি বলে কিছু মনে করবেন না .... '
    ------ ' না না ..... একেবারেই না।  আপনার কাজ তো আপনাকে করতেই হবে। আমাদের দিক থেকে কো-অপারেশানের অভাব হবে না। হ্যাঁ..... তা বছরে অন্তত তিনবার ট্যুরে যেতে হয়। সাইটে কাজ পড়লেই যেতে হয়। '
    ------ ' আই সি .... ।  আচ্ছা ... একটু মনে করে করে দেখুন তো ... এই মোবাইল মেসেজগুলো কবে থেকে আসছে ---- আপনার হাসব্যান্ড ট্যু্রে বেরিয়ে যাবার পর থেকে না তার আগে থেকে? '

    বৈশাখী চোখ বুজে কয়েক সেকেন্ড চিন্তা করল।  তারপর বলল, ' ন্ ....ন্না.... ও চলে যাবার পরদিন থেকেই ওগুলো আসতে শুরু করেছে । '
    ------ ' আই সি .....। আচ্ছা বৈশাখী ম্যাডাম ... মনে করে দেখুন তো আগের কোন ট্যুরের সময় এরকম ধরনের কিছু ঘটেছিল ? মানে , আনটুয়ার্ড অ্যন্ড আনওয়ান্টেড কিছু .... '
    বৈশাখী আবার ভাবতে লাগল। ভেবে নিয়ে বলল, ' না .... তেমন কিছু তো মনে পড়ছে না।'
    ----- ' আচ্ছা, ঠিক আছে । মনে যখন পড়ছে না জোর করে মনে করার দরকার নেই। পরে যদি মনে পড়ে অবশ্যই জানাবেন । আপনার ফোন নাম্বারটা কিন্তু ইউজ করার দরকার হতে পারে, পারমিশান নিয়ে রাখলাম । আচ্ছা ঠিক আছে ।আমি ম্যাডামের সঙ্গে একটু কথা বলি .... '
    কলতান সোলাঙ্কির দিকে মুখ ঘোরাল । বৃত্তান্ত আগেই শুনে নিয়ে নোট করা হয়ে গেছে  কলতানের।
    ----- '  ম্যাডাম .... আপনি তো কখনও ভদ্রলোককে চার্জ করেননি না ? ' কলতান বলে।
    ------ ' মানে ? '
    ------ ' মানে , আমাকে-কিছু বলবেন বা কি-ভেবেছেন-আপনি বা কি-চান-বলুন-তো  ধরনের কিছু বলেননি তো .... না ? '
    ------ ' না না ..... পাগল নাকি !  লোকটাকে দেখলেই আমার বুক ধড়ফড় করতে থাকে কেমন ।  আমার হাসব্যান্ডকে পর্যন্ত কিছু জানাইনি । দেখলেই বুঝতে পারবেন ..... অত সোজা না ..... '
    কলতান মৃদু হেসে বলল ,  ' ও আচ্ছা ..... তা হলে ভদ্রলোককে তো দেখতেই হচ্ছে।  আপনার সামনের ঘরেই তো থাকে বললেন , আপনার ফ্লোরে আর কোন ফ্যামিলি নেই আশপাশের ফ্ল্যাটগুলোয় ? ' কলতান প্রশ্ন করে ।
    ------ ' না সব বুকড্ হয়ে গেছে । এখনও পজেজান নেয়নি ।'
    ------ ' ও .... বুঝতে পেরেছি। নতুন বিল্ডিং-এ যা হয় আর কি ..... ।  আচ্ছা ম্যাডাম .... ভদ্রলোক সাধারণত: কখন ঘরে থাকে আপনি কি নোটিস করেছেন ? রাত্রে কি ঘরে থাকে ? 
    ------ ' রাত্রে মনে হয় বেশিরভাগ দিন ঘরে থাকে না। আমি এই ক'দিন ধরে ভোরবেলায় উঠে দরজা ফাঁক করে একবার দেখে নিই । দেখি যে দরজায় তালা মারা। তবে দুদিন তালা টালা দেখিনি।  আর অন্য সময় তো আর আমি নজর রাখতে পারি না , মানে সাহস পাইনা , তাই ঠিক বলতে পারব না । ' 
    ------- ' হুঁ ..... বুঝলাম । আপনি দেখছি খুবই উদ্বেগের মধ্যে আছেন .... ' কলতান আবার স্মিত হেসে , কিছুটা পরিহাসচ্ছলে বলল । 
    ------ ' সে আর বলতে ..... উঠতে বসতে এখন 
    ওই এক চিন্তা । নইলে আর আপনার কাছে আসি ..... সব বুঝতে পারবেন .... '
    কলতান এবার গম্ভীরমুখে বলল , ' সে তো বটেই.... সে তো বটেই .... বোঝার কি আর শেষ আছে ! '
    কুলচা ভিতরে গেল কি একটা কাজে। কেসগুলো একদম এক্সাইটিং মনে হচ্ছে না তার। 
    কলতান একটু চুপ করে থেকে সোলাঙ্কিকে জিজ্ঞাসা করল ,  ' আপনার অ‌্যপার্টমেন্ট তো সোদপুরে বললেন । অ্যপার্টমেন্টের নাম কি ? '
    ----- ' শান্তনীড় '
    ------ ' শান্তনীড় ? '
    ------'  হুঁ '
    ------ ' যে ভদ্রলোক ডিসটার্ব করছেন তার নামটা জানা গেছে কি ? '
    ------ ' না ...... নামটা ...... বলতে পারব না । আমি কি করে জানব বলুন তো ? '
    ------ ' সোদপুরে .... শান্তনীড় । যদি পারেন  একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন তো ভদ্রলোকের নাম সুনন্দ বা সুনু কিনা ? '
    ----- ' চেষ্টা করব '
    ----- ' আচ্ছা ঠিক আছে । আমি কাজটা শুরু করব ।  কাল সকালের দিকে আমি শান্তনীড়ে যাব । আপনারা কোন চিন্তা করবেন না । ঠিক
     আছে ? '
    ------ ' থ্যাঙ্ক ইউ ..... মিস্টার গুপ্ত .... থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ .... ' বৈশাখী বলল । 
    দুজনে উঠে দাঁড়াল । 
    বৈশাখী একটু ইতস্তত করে বলল, ' মিস্টার গুপ্ত ..... বলছিলাম যে .….. '
    কলতান কথাটা আন্দাজ করে নিয়ে বলল , ' ওসব এখন না ..... আগে কাজে নামি ......'

    ******************     ************    *******

    রাত প্রায় একটা বাজে । নিশাচর শিকারি প্রাণীদের বিচরণের প্রহর । নিশুত রাতে আবাসনের মানুষেরা ঘুমে আচ্ছন্ন ।  এখানে ওখানে ঝরা পাতাগুলো চৈত্রের এলোমেলো দমকা হাওয়ায় উড়ে বেড়াচ্ছে । 
    ঈশানলাল পাঁচিলের অন্ধকার ছায়ায় মিশে শিমূল শিরীষের শুকনো পাতা মাড়িয়ে মাড়িয়ে হেঁটে চলেছে । অ্যসবেসটস ছাওয়া  অন্ধকার ঘরটার সামনে  শিকারের গন্ধ পাওয়া পশুর মতো নিঃসাড়ে এসে দাঁড়াল সে।
    সামনে একটা পলকা দরজার ঠেকা। ভিতরে উমা আর নীলেশ । মা ছেলে ঘুমোচ্ছে । 
    নানা আশঙ্কায় উমা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে না ।
    সামান্য শব্দেই চমকে চমকে ওঠে। 
    তেমনি হঠাৎ ঘুমের ঘোরে একটা চাপা গলায় আওয়াজ শুনে ধড়মড় করে উঠে বসল উমা । ছেলেটা গরমে ঘেমে নেয়ে অকাতরে ঘুমোচ্ছে । 
    ঈশান ফিসফিসে গলায় বলল, ' বেরিয়ে আয় উমা ..... এই উমা ..... ' 
    ভয়ে হৃদপিন্ড গলার কাছে এসে ঠেকল উমার।
    সে চুপ করে গুটিসুটি মেরে বসে রইল অন্ধকার ঘরে । 
    বাইরে থেকে আবার ঈশানের ভসভসে আওয়াজ এল ---- ' দেরি করিস না উমা ..... চলে আয় । বেশি টাইম লাগবে না । তাড়াতাড়ি ..... আমাকে ঘাঁটাস না .... '
    ভিতর থেকে কান্না ভেজা কাতর গলায় উমা বলল, ' আপনার পায়ে পড়ি ..... আমাকে ছেড়ে দিন বাবু ...... আপনার তো অনেক আছে .... আমাকে নিয়ে কি করবেন ..... '
    ------ ' তুই কিন্তু ফালতু কথা বাড়াচ্ছিস ..... আমি যাকে ধরি  তাকে ছাড়ি না । বেকার মেজাজ গরম করাচ্ছিস আমার ..... মটকা গরম হয়ে গেলে কি করে ফেলব চিন্তা করতে পারবি না .....'
    এরপর কান্নায় ভেঙে পড়ল উমা ।  
    ----- ' আপনার পায়ে পড়ি মালিক..... আমাকে ছেড়ে দিন ..... আমার একটা বাচ্চা আছে ..... দয়া করুন বাবু ..... আমাকে ছেড়ে দিন ....'
    উমা কাঁদতে লাগল । গভীর রাত্রে এই 
     রিরংসাক্লিষ্ট হিসহিসানি এবং ভয়ার্ত কান্নার তিরতিরে আওয়াজে নীলেশের ঘুম ভেঙে গেল।
    অন্ধকার ঘরে আচমকা ঘুম ভেঙে গিয়ে মাকে 
    বুক নিঙড়োনো বিলাপ করতে শুনে তার কথা আটকে গেল । সে ভয়ে কাঠ হয়ে শুয়ে রইল ।
    বাইরে থেকে আবার ঈশানের গলা ভেসে এল ------ ' কি রে ..... কি হল ? আমি কি অন্য রাস্তা নেব ..... ' এই সময়ে কোথায় একটা হুলো বিড়াল ডাকতে শুরু করল  এবং ঈশানের গলার আওয়াজ আচমকা থেমে গেল ।  কাকতালিয় ব্যাপার হয়ত । উমা ঘরের ভিতর ভয়ের কম্বল মুড়ি দিয়ে পাথর হয়ে বসে রইল । পাঁচ মিনিট, দশ মিনিট, পনের মিনিট ..... ।  ঈশানলালের গলা কিন্তু আর পাওয়া গেল না । রাত দেড়টা বাজল ।
       ( ক্রমশঃ )
    ******************************************.................................................................
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন