এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হোটেল ম্যানেজার - ৫

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ জানুয়ারি ২০২২ | ৬৩৫ বার পঠিত
  • অলোক খেতে খেতেই বলল, ‘অবস্থা খুব খারাপ। কালকে দুটো ইউনিয়নের সঙ্গে সিটিং ছিল ম্যানেজমেন্টের। গভর্নমেন্টের একজন রিপ্রেজেন্টেটিভও ছিল।সলিউশান কিছু বেরোয়নি। কোম্পানি আড়াইশো কোটি টাকার লস দেখাচ্ছে কারেন্ট ইয়ারে। বাঁচবার কোন রাস্তা আছে বলে মনে হচ্ছে না। ‘
    অমিতাভর মনে ভার চেপে বসল।সে বলল, ‘ ভি আর এস হবে বলে মনে হচ্ছে..... নাকি কোম্পানি হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়ে  ওয়াইন্ড আপ করবে ? খবর পেয়েছ কিছু ?’
    — ‘ কলকাতায় হেড অফিসে  দেবর্ষি রায়কে ফোন করেছিলাম। ও তো ভেতরের খবর সব রাখে। বলল, এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাপারটা ক্লিয়ার জানা যাবে। ধরে নাও পুজোর আগেই.....’
    থালার ভাতে অরুচি মেখে গেল। অস্থির মনে খাবার বিস্বাদ লাগে।
    অমিতাভ ক্লান্ত কন্ঠে বলল, ‘ তোমার তো তেমন অসুবিধে নেই... ফ্যামিলি করনি.... মোটামুটি ফ্রি অফ বার্ডেন ....’
    অলোক বলে উঠল, ‘ কি যে বল ! ...... বাবা রিটায়ার্ড। দাদা তেমন কিছু করে না। আনম্যারেড অবশ্য । মায়ের সারা বছর শরীর খারাপ লেগেই থাকে। মোটা টাকা খরচ আছে ডাক্তার আর মেডিসিনে। বোনের বিয়ে বাকি।বিয়ে করিনি তাতে কি ?.... লায়াবিলিটি কিছু কম নেই । ‘
       দুলাল কাউন্টারে বসেছে।অমিতাভ আর অলোক খাওয়ার টাকা মিটিয়ে বাটি থেকে একটু মৌরি তুলে মুখে দিল। দুলাল বলল, ‘ দাদা.... আপনাদের কোন অসুবিধে হচ্ছে না তো ? বাপিকে বলে দিয়েছি, কাল সকালে আপনাদের বিছানার চাদর চেঞ্জ করে দেবে। আপনাদের কোম্পানির খবর কি ? কাগজে কি সব লিখছে....’
    একজন খদ্দের এসে দাঁড়াল  দাম মেটাতে। দুলালের কথায় ছেদ পড়ল। সে টাকা নিয়ে ব্যালান্স ফেরত দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। অমিতাভরা ওখান থেকে সরে গেল। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় ওঠার সময় নিখিলের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে গেল। নিখিল তখন নীচে নামছে।সাদা পাজামা আর পাঞ্জাবি পরে আছে। পাঞ্জাবির হাতা গোটানো।
    নিখিলের চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে বেশ খানিকটা টেনে এসেছে। নিজের ঘরে বসেই টানছিল নিশ্চয়ই। নিখিলের একটা গুণ হল মদ খেয়ে কখনও হুজ্জুতি করে না। আপনমনে থাকে। অমিতাভদের দেখে পরম উৎফুল্ল হয়ে বলে উঠল, ‘ এই যে ব্রাদার .... তোমাদের তো দেখাই পাওয়া যায় না, কোথায় থাক ? শুধু অফিস আর অফিস... শুধু অফিস নিয়ে থাকলেই হবে ? আমাদের সঙ্গেও একটু এস.... একটু এনজয় কর না, কিছু কর না.... জীবন আর কদিনের বল .... জীবন কদিনের.... ‘
     এই রকম এক নাগাড়ে বকবক করতে লাগল নিখিল নেশার ঘোরে। অমিতাভ আর অলোক দুজনেই ভাবল— ঠি কই তো, মানুষের জীবন আর কদিনের । এই কটা দিনের জন্য এত লড়াই, এত ধ্বস্তাধ্বস্তি ! কি অবাক কান্ড ।
       দোতলায় উঠে রাস্তার ধারে বারান্দায় দাঁড়াল দুজনে । বারান্দার নীচে, একটু বাঁ পাশে খাবার জায়গা । তার পাশে একটা চা সিঙ্গাড়ার দোকান। সেখানে অনেক লোক এখনও চা খাচ্ছে।  নীচে রাস্তা বেশ জমজমাট। তিলোত্তমায় দোতলার হলে 
    টি ভি চলছে। গানের কি একটা রিয়ালিটি শো হচ্ছে। তিন চারজন লোক নিশ্চিন্তে ওখানে বসে টি ভি দেখছে। নিরুদ্বিগ্ন পরিবেশ। জীবনের চত্বরে কোথাও কোন কাঁটার ঝোপ আছে বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্য ঝোপঝাড় তো অন্ধকারে চাপা পড়েই থাকে, সে কি আর দেখা যায়। 
     অলোক বলল, ‘ ইনকামের কিছু একটা রাস্তা বের করতে হবে। কোম্পানির ডিসিশানের ওপর ডিপেন্ড করে থেকে আর লাভ নেই। ‘
    — ‘ কিন্তু কি করা যায়। আমাদের তো কোন ক্যাপিটাল নেই, যে কিছু স্টার্ট করব । আর এই বয়সে চাকরিই বা কোথায় পাব ? ‘
    অলোক একটু চুপ করে থাকে। তারপরে বলে, ‘ দেখা যাক কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।এখনও তো কিছুদিন দেরি আছে।একটা রাস্তা নিশ্চয়ই বেরোবে। যদি ভি আর এস হয়, কিছু কমপেনসেশান তো পাব আশা করি। দেখা যাক.....’
     — ‘ এখানে অবশ্য একনম্বরী দুনম্বরী মিলে অনেক টাইপের লোক আসা যাওয়া করে। একটু নাড়াচাড়া করে দেখলে হয়।’ অমিতাভ রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করে।
    — ‘ হ্যাঁ তা দেখতে পার।কিন্তু এ লোকগুলো কতখানি রিলায়েবল জানি না। আমার তো বেশির ভাগকেই কেমন  রিপালসিভ লাগে ।’ অলোককে তেমন উৎসাহী দেখায় না।
    — ‘ এই ক্রাইসিসের সময় এত ইন্ট্রোভার্ট হলে তো হবে না। যতটা সম্ভব মেলামেশা করা দরকার আছে। এত গুটিয়ে থাকলে এ সিচুয়েশানে মিসফিট হয়ে যাব।’
     অলোক চুপ করে অমিতাভর দিকে তাকিয়ে রইল।সে সাত আট বছর ধরে অমিতাভকে চেনে।সে জানে অমিতাভর মতো গভীর অন্তর্মুখী মানুষ কমই আছে।পরিস্থিতি কত বদলে দেয় মানুষকে।সে মরীয়া চেষ্টা চালাচ্ছে নিজের খোলস থেকে বেরোবার।
       মদন বেরা কন্যাশোকের সন্তাপ রসুলপুরে শিউলি গ্রামে ফেলে রেখে দুদিন বাদেই বেলা বারোটা নাগাদ তিলোত্তমায় এসে উঠল। ওখানে ব্যাগ ট্যাগ রেখে সোজা কোর্টে ছুটল। সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা অবশ্যই আছে।তার উকিল মনোতোষ সারেঙ্গী খবর পাঠিয়েছে, আজ শুনানির ডেট পড়েছে। সম্পত্তি নিয়ে এই শরীকি ঝামেলা আর ভাল লাগে না। আর এই উকিলটার হাত থেকে নিস্তার পেলে বাঁচে মদন। মনটা মোটে ভাল লাগে না। সবসময়ে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে।এই সময়ে শঙ্করীবাবার দেখা পেলে সুবিধে হত। কিছু ক্ষমতা তো নিশ্চয়ই আছে ওনার। নইলে রসুলপুরে গাঁয়ের বাড়িতে উনি পৌঁছলেন কি করে। সেদিন মাথায় হাত রাখার পর শরীরে কেমন যেন শান্তি নেমে এল। যে যাই বলুক ওনাকে হেলাফেলা করা উচিৎ হবে না।
      কি আশ্চর্যের ব্যাপার সেদিন দুটো থেকে তিনটে পর্যন্ত হিয়ারিং হল। তারপর সাড়ে চারটে নাগাদ রায় বেরিয়ে গেল এবং রায়ের একশো শতাংশ মদন বেরার পক্ষে গেল। মদন এতটা আশা করেনি।প্রায় আড়াই বছর ধরে ব্যাপক টানাপোড়েনের পর ব্যাপারটায় ইতি পড়ল। তার হক্কের ভাগ ছাড়বে কেন মদন ! ওটা বেদখল হয়ে গেলে তার সংসার চলবে কি করে । তবে, সে জানে তার খুড়তুতো জ্যাঠতুতো ভায়েরা অত সহজে হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নয়। তারা নিশ্চয়ই ওপরের কোর্টে যাবে। মদন ভাবল সে দেখা যাবে’খন। নোটিস আসুক তারপর ভাববে ওসব নিয়ে।  
      মনোতোষ উকিলকে ‘ডলফিন’ রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে প্রচুর খাইয়েছে মদন । সন্ধেবেলায়  তিলোত্তমায় আসতে বলেছিল একটু হুইস্কি সেবনের জন্য। মনোতোষ সারেঙ্গী সে প্রস্তাবে তেমন উৎসাহ দেখাল না। ও রসের রসিক নয় বোধহয়। মদন অবশ্য স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। ভাবল, একটা হ্যাপা থেকে মুক্তি পাওয়া গেল। 
      সন্ধে বেলায় লজের উল্টোদিকে শরতের রোল চাউমিনের দোকানে নিখিল বসে খবরের কাগজ পড়ছিল। মদনকে দেখে বেরিয়ে এল— ‘ আ..রে মদনদা যে ! কি খবর .... কখন এলেন।’
     মদনের কাছে সব শুনে বলল, ‘বা: , এ তো দারুন খবর ! তা খাওয়াচ্ছ কবে ! বাড়ির খবর ভাল তো ? ‘
     মদন শেষ প্রশ্নটার উত্তরে বলল, ‘এই একরকম আছে সব .... এ অবস্থায় আর কেমনই বা থাকবে .... সময় লাগবে আর কি..... ‘
     শুভঙ্কর পাল কোথা থেকে রাউন্ড মেরে এসে তিলোত্তমায় ঢুকতে যাচ্ছিল। নিখিল তাকে দেখতে পেয়ে বলে উঠল, ‘ এই যে, পালবাবু কি খবর .... দেখা পাওয়া যায় না একদম ....’
    বান্টির বাবা শুভঙ্কর পাল লজে না ঢুকে দাঁড়িয়ে গেল। নিখিলের দিকে এগিয়ে এল এক গাল হেসে।
    নিখিলও শুভঙ্করের দিকে এগিয়ে গেল। মদন ভীষণ ক্লান্ত বোধ করছিল। সে এই সুযোগে লজে ঢুকে গেল। 

      শুভঙ্কর বলল, ‘ আর এই.... সারাদিন ঘোরাঘুরি করে আর সময় পাই না একদম। দুচার দিনের জন্যেই তো আসি। তার মধ্যে এগরা, পটাশপুর, রামনগর যেতে হয় । কমপিটিটিভ মার্কেট। আমরা তো আর কলকাতার মার্কেট ধরতে পারব না। তাই এখানে .....’
    — ‘ ও আচ্ছা , তা আসুন না একদিন আমার ঘরে । দুটো রয়্যাল স্ট্যাগ আনিয়ে রাখব অখন।’
     — ‘ ও হো: .... হা: হা: হা: ..... না না.... আমার ওসব একদম চলে না। নিতে পারি না একদম .... ‘ শুভঙ্কর অমায়িকভাবে বলতে থাকে। তারপর বলে, ‘ আচ্ছা নিখিলদা ..... চলি এখন । আবার পরে দেখা হবে। সেই সকালে বেরিয়েছি।’ 
     শুভঙ্কর পাল চলে গেল তার ঘরে যেখানে তার বৌ আর ছেলে অপেক্ষা করে রয়েছে।
     নিখিল স্বগতোক্তি করল— শালা গভীর জলের মাছ .... এগরা পটাশপুরে নাকি গিয়েছিল ইলেকট্রিকের ব্যবসার কাজে ! শালা একদিন না একদিন ঠি ক ফাঁসবে। নেহাৎ চক্রটা সাংঘাতিক তাই চুপচাপ দেখে যাচ্ছি ..... একদিন তোমাকে বাগে পাবই। 
     
        শুভঙ্কর যখন দোতলায় উঠল অমিতাভ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তার লোকজন দেখছিল আর আগডুম বাগডুম নানা কথা চিন্তা করছিল। 
      বান্টির মা বাকপটু মনীষা শুভঙ্করের জুতোর আওয়াজ পেল করিডরে। পেয়ে বেরিয়ে এল। যে যার নিজের লোকের পায়ের আওয়াজ ঠি ক  চেনে। দরজায় দাঁড়িয়ে ডানদিকে তাকিয়ে দেখল তার স্বামী আসছে । বাঁদিকে চোখ যেতে দেখল, রাস্তার দিকে তাকিয়ে ব্যালকনিতে আনমনে দাঁড়িয়ে রয়েছে অমিতাভ। চঞ্চলপ্রাণ  বান্টি ঘুমিয়ে পড়েছে। 
     বাঁদিকে তাকিয়ে মনীষা বলে উঠল,  ‘ এই যে শুনছেন দাদা, কি করছেন ওখানে দাঁড়িয়ে .... এদিকে একটু আসুন না... ‘
    অমিতাভ এখন একেবারেই ভদ্রমহিলার বকবকানি শোনার মুডে নেই। যাই হোক, ভদ্রতার খাতিরে সে এগিয়ে এল। 
     বান্টির মা মনীষা শুভঙ্করকে বলল, ‘ এই যে আমার হাসব্যান্ড....  শোন ইনি হচ্ছেন অমিতাভবাবু .... এই সামনের ঘরে আছেন। কলকাতার লোক।এখানে চাকরি করেন।’
     অমিতাভ আন্দাজ করল যে তার নাম ধরে দুলালবাবু বা অন্য কাউকে ডাকতে শুনেছেন ভদ্রমহিলা। কিন্তু তার বরের সঙ্গে তার আলাপ করানোর জন্য হামলে পড়াটা অমিতাভর অসহ্য লাগছিল।
     কিন্তু তারপরে ভাবল, গুটিয়ে থাকলে চলবে না। পরিস্থিতি খুব খারাপ। সব ধরণের মানুষকেই নেড়ে চেড়ে দেখতে হবে । কার থেকে কি পাওয়া যায় কিছু বলা যায় না। এভরিথিং কাউন্টস।
     সে যাই হোক, শুভঙ্করবাবুকে বেশ অমায়িক লোক মনে হল। দুজনে দুজনের ফোন নাম্বার আদান প্রদান করল এবং সুযোগ সুবিধেমতো একে অন্যের বাড়ি যাবার প্রতিশ্রুতি দিল। ভদ্রলোকের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু বার করতে পারল না অমিতাভ। শুভঙ্করের সম্বন্ধে বাপির ইঙ্গিতপূর্ণ কথাগুলো মনে পড়ে গেল। ছেলেটা মনে হয়, প্রতিকূল পরিবেশের চাপে বিকৃতমনস্ক হয়ে পড়েছে। কিন্তু ওর কথাগুলো তো পুরো শোনা হল না সেদিন । শুনতে হবে একদিন।
     সেদিন রাত্রে অমিতাভর ঘুমটা খারাপ হল না। 
     পরদিন সকাল সাতটা নাগাদ দরজা ঠকঠক। দরজা খুলতে বাপির দর্শন পাওয়া গেল চায়ের গ্লাস হাতে। টেবিলের ওপর চায়ের গ্লাস রাখল। বাইরে বেরিয়ে দেখে এল সাত নম্বর ঘরের দরজা খোলেনি এখনও। তারপর কোন ভনিতা না করেই বলল, ‘কথাবার্তা হল কালকে ? ‘
     অমিতাভ অবাক হয়ে বলল, ‘কার সঙ্গে কি কথা ?’
    — ‘ ওই সামনের ঘরের বৌদির বরের সঙ্গে ‘
    — ‘ ওই ভদ্রমহিলা তো খুব মিশুকে ধরণের। আমার সঙ্গে ওর কর্ত্তার পরিচয় করিয়ে দিলেন আর কি ..... ‘
    — ‘ সে ঠিক আছে। কিন্তু বেশি মাখামাখি করতে যেও না। জালের আঠায় আটকে যাবে। তোমার মতো ভালমানুষ আর বেরোতে পারবে না।’ কাঁচা বয়সের নবীন কিশোর পাকা বয়সের প্রবীনের প্রাজ্ঞ ভঙ্গীতে পরামর্শ দিচ্ছে । এই বয়েসেই দুনিয়ার অনেকটা দেখা হয়ে গেছে তার।
    — ‘ কেন কি হয়েছে .... তাতে কি... হল ? ‘
    বাপি ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে করিডোরে এদিক ওদিক দেখে নিয়ে অমিতাভর কাছে এসে চাপা গলায় বলল, ‘ ও হল মেয়ে পাচার চক্রের হ্যান্ডলার।সন্ত্রাসবাদী  মডিউলের হ্যান্ডলার শুনেছেন তো , এ হল আর এক কারবার।’
    — ‘ কি বলছিস রে ? ‘ অমিতাভ আকাশ থেকে পড়ে । ‘ তাহলে এত নিশ্চিন্তে এখানে রয়েছে কি করে। লোকাল থানায় খবর দিলেই তো হয় ..... যত্ত সব আজেবাজে কথা .... ‘
    বাপি আবার জ্যাঠামশায়ের স্টাইলে বলল, ‘ হ্যা:  হ্যা: হ্যা: .... তুমি একেবারেই বাচ্চা ছেলে দেখছি। এই পুঁচকে থানা ওদের কি করবে ? ওদের চক্র কত বড় আন্দাজ আছে তোমার ? ‘
    তারপর ‘এঁচড়ে পাকা ‘ বাপি পকেট থেকে চিরুনি বার করে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বলল, ‘ যদি নিজের বৌকে বিধবা করার ইচ্ছে থাকে থানায় খবর দিয়ে দেখতে পার ..... হ্যা: হ্যা: হ্যা: .....’
    এই সময়ে নীচের থেকে ননীগোপালের গলার আওয়াজ পাওয়া গেল — ‘ বাপি .... অ্যা..ই বাপি... কোথায় গেলি রে.... ‘
    বাপি ‘যাই ননীদা ....’ বলে চায়ের খালি গ্লাসটা তুলে নিয়ে ছুটে বেরিয়ে গেল ।
     ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন