ভীমপলশ্রী
যখন দুপুর গড়িয়ে এসে বিকেলের কাছে থামে,
দেয়ালের উপর টিকটিকিটা ডেকে ওঠে জোরে,
সারঙের তেহাই এসে ফাঁক বোজায় সমে,
ভীমপলশ্রী বেজে ওঠে আলসেমি রোদ্দুরে।
লালধুলোর মাঠ পেরিয়ে, টিলা আর পাহাড়
ছাড়িয়ে, ঝিরঝিরে জলে পা ধুয়ে,
ছড়িয়ে পড়ে সুর অনন্ত আকাশে;
কার ছায়া বাতাসে যায় ছুঁয়ে।
অশ্রুত সুর সুশ্রুত-হাত বোলায় ক্ষতের পরে,
আঁধার বেলা নামে অরণ্যে কোমল গান্ধারে,
মধ্যম-পঞ্চমে ঝুমঝুমে সুর যায় ভরে ভরে,
থমকে দাঁড়ায় ঝর্না পাহাড়-সোপান ধারে।
তীব্ৰ বিষাদ বিষ ছড়ায় কোমল ঘাতক নিষাদ,
শরক্ষেপে চন্দ্রাহত কুরঙ্গিনী - আঁখি --
পনিহারিন মেঘের দল, রাজস্থানি ঘুঙ্ঘট, সুছাঁদ,
চলেছে নূপুরে নূপুরে নীরব তাল রাখি।
বকুলদিনের বেলা পুরোয়, ঢলে পড়ে ছায়া,
ধীরে ধীরে থামে বোল, স্তব্ধ তবলা-বাঁয়া
অভিসারী প্রিয় গেছে চলে আপন মন্দির-পানে
কত লাজভয়ে ফিরিয়েছি তারে, কেউ না জানে।
এখন দীর্ঘছায়া, বিরহ দীর্ঘায়িত, নামে নিবিড় আঁধার,
সময় হয়েছে শূন্য মঞ্চে দু-চার ফোঁটা কাঁদার।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।