এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  মনে রবে

  • মেটেনি সব চাওয়া-পাওয়া/ তবু হঠাৎ করে চলে যাওয়া

    তপন বন্দ্যোপাধ্যায়
    পড়াবই | মনে রবে | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯১৩ বার পঠিত
  • কুমুদি চলে গেলেন, ছয় মাস হল। কুমুদি রয়ে গেলেন। তাঁর গ্রন্থিত , অগ্রন্থিত গল্পে, প্রবন্ধে, কবিতায়।
    কুমুদি রয়ে গেলেন স্মৃতিতে।
    গুরুচণ্ডা৯ র 'মনে রবে' তে কুমুদি, এবং শুধুই কুমুদি।
    এরকম আকস্মিক চলে যাওয়ার ঘটনা আমি কানে বহুবার শুনে থাকলেও কখনও চোখে দেখি নি। এমন একজন মানুষ যিনি আগের মুহূর্তে ছিলেন প্রাণমন দিয়ে জিজ্ঞাসু, ছিলেন হাসিখুশি, প্রাণচঞ্চল, একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি বলে বেরিয়ে গেলেন হলের বাইরে, তারপর প্রায় হাঁটতে হাঁটতে পাড়ি দিলেন কোন নক্ষত্রলোকের উদ্দেশে সেই প্রশ্নের উত্তর আমি আজও খুঁজছি। নিশ্চয়ই আরও অনেকেই খুঁজছেন।

    বছরখানেক আগে দিল্লির বেঙ্গল অ্যাসোশিয়েশন আয়োজিত বইমেলায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা ও তিনি তাঁর একটি বই আমাকে উপহার দিয়েছিলেন, লাজুক কণ্ঠে জানিয়েছিলেন তাঁর নিভৃতে লেখালিখির কথা। তিনি জয়ন্তী অধিকারী, তখনও জানতাম না তাঁর পরিচয়ের নানা দিক।

    এ বছর গত বারোই মার্চ নিউ দিল্লি যেতে হয়েছিল সাহিত্য অকাদেমির আমন্ত্রণে। খুবই আকস্মিকভাবে আমাকে তাঁরা একটি পুরস্কার দিয়েছেন অনুবাদসাহিত্যের জন্য। অতিমারির কারণে সেই পুরস্কারপ্রদান স্থগিত ছিল এতকাল, এখন করোনাআবহে একটু বিরতি পড়তে পুরস্কার গ্রহণ করার চিঠি। অনুষ্ঠানটি ছিল তেরোই মার্চ সন্ধেবেলা।

    বারোই মার্চ দিল্লি পৌঁছোতে দিল্লির বেঙ্গল অ্যাসোশিয়েসন ও দিগঙ্গন পত্রিকার যৌথ আয়োজনে মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজন করেছিল দুটি অনুষ্ঠানের, একটি আমাকে সংবর্ধনার, অন্যটি দিল্লিপ্রবাসী লেখিকা জয়ন্তী অধিকারীর নতুন বই "বিচিত্রকথা" — একটি প্রবন্ধ সংকলন-এর মোড়ক উন্মোচন। দিল্লি বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দিল্লির সাহিত্যপ্রেমী বহু মানুষকে। অনুষ্ঠান যাঁরা এসেছিলেন, সাহিত্যের প্রতি উৎসাহ, ভালোবাসা ও তাঁদের বৈদগ্ধ্য রাজধানীর অহংকার। নানা কারণে আসতেও পারেন নি অনেকে।

    সেই আলো-আঁধারি সন্ধেয় সেদিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছিলেন দিল্লির এক বিদুষী সাহিত্যপ্রেমী শার্বতী গাঙ্গুলী। তাঁর সাবলীল পরিচালনা ও সাহিত্যবিষয়ে প্রগাঢ় জ্ঞান বিস্মিত করছিল উপস্থিত দর্শকদের। অনুষ্ঠান শুরু হল মৌসুমী আচার্যের একটি চমৎকার গান দিয়ে। উপস্থিত ছিলেন দিগঙ্গন সম্পাদক ব্রততী সেনগুপ্ত, দুই কবি ও লেখক শর্বরী রায়, রিমি মুৎসুদ্দি, আরও অনেক সহিত্যপ্রেমী। সংবর্ধনা জ্ঞাপন শেষ হলে জয়ন্তী অধিকারীর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন। যে কোনও নতুন বইয়ের সংস্পর্শে আসা সর্বদাই এক সুন্দর অনুভূতি। এও শুনলাম আমি দিল্লি আসছি শুনে জয়ন্তী অধিকারীর খুব ইচ্ছে তাঁর এই প্রকাশিতব্য বইটির প্রথম কপি আমার হাতে তুলে দেবেন। সে-কারণে, কর্মক্ষেত্রে ও সাংসারিক প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেও গত তিন মাস যাবৎ তার পাণ্ডুলিপি তৈরি করা, কলকাতায় ছাপতে পাঠানো, তার প্রুফ দেখা, প্রচ্ছদ নির্বাচন করে ছাপানো ও সবশেষে বাঁধাই করে কলকাতা থেকে দিল্লিতে আনা — এরকম বিপুল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন জয়ন্তী।

    অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা জানেন কোনও লেখকের একটি বই প্রকাশ করার কত ঝক্কি। জয়ন্তী সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন না, ফলিত রসায়নের পিএইডি, পেশায় বৈজ্ঞানিক, ব্যস্ত থেকেছেন বিভিন্ন গবেষণায়, যুক্ত ছিলেন শিল্প সংস্থায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের। বিবাহ ও চাকুরিসূত্রে তিন দশকের উপর দিল্লিপ্রবাসী। কিন্তু তাঁর প্রথম ভালোবাসা সাহিত্য।
    আগেরবার জয়ন্তী অধিকারী তাঁর লেখা একটি রম্যরচনার বই "কুমুদির রোমহর্ষক গল্পসমূহ" যখন আমার হাতে দিয়েছিলেন, তাঁকে আমি খুব ভালোভাবে চিনতাম না, কলকতায় এসে কয়েকদিন পর বইটি পড়তে গিয়ে চমৎকৃত হই। বাংলায় রম্যরচনা খুব একটা বেশি লেখা হচ্ছে না ইদানীং। জয়ন্তী এত স্বাদু বাংলায় তাঁর লেখাগুলির পরতে পরতে হিউমার ও উইট মিশিয়েছেন যে, পড়তে গিয়ে খুব মজা পাচ্ছিলাম। আমার ভালো লাগার কথা তাঁকে জানিয়েছিলাম। এবারের বইটি উল্টেপাল্টে দেখলাম একেবারে অন্য স্বাদের। বিচিত্র স্বাদের প্রবন্ধ, তার প্রতি পৃষ্ঠায় গবেষণার ছাপ স্পষ্ট। লেখাগুলি মূলত কয়েকজন কৃতী নারীর কর্মবহুল জীবনের আলেখ্য, কয়েকজন কৃতী পুরুষের অতিমানবীয় কর্মকাণ্ড, কিছু ভারতীয় উৎসবের বিবরণ ও বিশ্লেষণ। ঠিক করলাম কলকাতায় ফিরে গিয়ে বইটি পড়তে হবে মন দিয়ে।

    জয়ন্তী সম্পর্কে বিশদে বলছিলেন দিল্লিবাসী অশীতিপর লেখক মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়। তাঁকে যাঁরা চেনেন, নিশ্চয়ই জানেন এই বিরলকেশ, পণ্ডিত মানুষটি কতখানি প্রাণবন্ত ও উৎসাহী। তাঁর বক্তব্য শুনে অনুধাবন করছিলাম প্রাবন্ধিক কত পরিশ্রম করেছেন, তাঁর সঙ্গে সমানতালে হাত লাগিয়েছেন মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়। সাহিত্যকে কতখানি ভলোবাসলে একজন অনুজা লেখিকার বই প্রকাশে অগ্রজের এমন আগ্রহ। অনুজার পাণ্ডিত্য যেমন পাঠককে মুগ্ধ করবে, তাঁর বইপ্রকাশে অগ্রজের এই সহায়তা লেখা থাকবে সাহিত্যের ইতিহাসে।

    এই অনুষ্ঠানে সারগর্ভ বক্তব্য রাখলেন শর্বরী রায়, রিমি মুৎসুদ্দি- দিল্লির দুই নবীন সাহিত্যিক। ছিলেন সাহিত্য অকাদেমির মিটিংএ আসা আন্দামানের কবি ও সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। কিন্তু অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন জয়ন্তী অধিকারী। আমার সাহিত্য বিষয়ে একের পর এক প্রশ্ন করে চলেছেন, আমি উত্তর দিচ্ছি আর ভাবছি দিল্লিতে বসে এত খবর রাখলেনই বা কী করে জয়ন্তী! তাঁর তখনও চার-পাঁচটি প্রশ্ন বাকি, সে সময় বললেন, আমি একটু বাইরে থেকে টাটকা হাওয়া খেয়ে আসছি। আমি তখন অন্য এক প্রশ্নকর্তার মোকবিলা করছি, তার মধ্যে কখন জয়ন্তী বেরিয়ে গেছেন বাইরে, খেয়াল করি নি। একটু পরে শুনলাম তাঁর শরীর খারাপ লাগছিল বলে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু বাইরে গিয়েই বসে পড়েছিলেন অসুস্থ বোধ করায়।

    দিল্লির বহু কৃতী ও পণ্ডিত মানুষেরা উপস্থিত ছিলেন দর্শকদের মধ্যে, ছিলেন তাঁর স্বামী, তিনিও কৃতী মানুষ, কেমিক্যাল ইঞ্জিনীয়ার, ফলিত বিজ্ঞানের পিএইডি, তিনি পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও রেকর্ডিং করছিলেন আমাদের ডানদিকের চেয়ারে বসে। স্ত্রী অসুস্থ শুনে সমস্ত জিনিস গুটিয়ে ছুটলেন বাইরে, সেখান থেকে হাসপাতালে। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।

    অনুষ্ঠান শেষে আমি ও কল্পনা ফিরে এসেছি গেস্ট হাউসে। তারপর কী হয়েছে খবর পাইনি, অনেক পরে অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসের ফোন, তপনদা জানেন, জয়ন্তী অধিকারী আর নেই। মাসিভ হার্ট অ্যাটাক। সে কী! চমকে উঠে কিছু সময় বাক্যহীন।

    অনুষ্ঠান উপস্থিত আমরা কেউই জানতাম না জয়ন্তী অধিকারীর পরিণতি এরকমটা হতে চলেছে। মণিরত্নদাও অনুমান করেননি। সবাইকে স্তম্ভিত করে প্রায় সবার চোখের সামনে জয়ন্তী অধিকারী পাড়ি দিলেন অন্য লোকে।

    এরকম অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটতে পারে তা ভাবনার বাইরে। কাল সন্ধেয় যিনি একের পর এক প্রশ্ন করে চলেছিলেন, আরও কয়েকটা প্রশ্ন বাকি আছে, বাইরে থেকে ঘুরে এসে করবেন বলে গেলেন, তিনি তো ফিরলেনই না, বরং যেন হেঁটে হেঁটে পাড়ি দিলেন অমৃতলোকের উদ্দেশে। আমার জীবনে এরকম কোনও ঘটনা এই প্রথম। কলকাতায় ফিরে এসে মণিরত্ন মুখোপাধ্যাযের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল, তিনি খুবই ব্যথিত ছিলেন অনুজার আকস্মিক প্রয়াণে। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও ভুলতে পারি নি ঘটনাটা।

    অতঃপর ফিরে এসেছি কলকাতায়, ফুরসত পেতে হাতে তুলে নিই তাঁর নতুন বই। তাঁর বইটা কতবার হাতে নিচ্ছি, একটা করে লেখা পড়ছি, আর ভাবছি দিল্লিতে বসে এক-একটি বিষয় নিয়ে কত পরিশ্রম করেছেন, নানা বই পড়ে খুঁজে বার করেছেন প্রকৃত তথ্য। লীলা মজুমদারের উদ্দেশ্যে দীর্ঘ সাত-আট পাতার একটি চিঠি দিয়ে তাঁর বইয়ের শুরু। লীলা মজুমদারের সব লেখার নিযার্স আহরণ করে চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন তাঁর লেখাগুলি। লিখেছেন নবনীতা দেবসেন, কাদম্বিনী গাঙ্গুলী, অসীমা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। জয়ন্তী নিজের জীবন দিয়ে বুঝেছেন সমাজে একজন নারীকে বড়ো হতে গেলে কতখানি লড়াই করতে হয়। বইটিতে আরও লিখেছেন বাঙালিদের মধ্যে যাঁরা লড়াই করে অতিমানব হয়ে উঠতে পেরেছিলেন, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আইকন হিসেবে স্বীকৃত, এমন বেশ কিছু মানুষের জীবনকথা। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথা যেমন লিখেছেন, তেমনই নতুনভাবে সৃষ্টি করেছেন যোগীন্দ্রনাথ সরকার, উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মৃণাল সেন এরকম কয়েকজন ব্যক্তিমানুষের মূল্যায়ন করেছেন বহুবিধ তথ্যের ভিত্তিতে। কিছু লেখা লিখেছেন ভারতের নানা উৎসবের বিবরণ ও তাদের তাৎপর্য। লেখাগুলির বিশেষ তাৎপর্য হল লেখিকা তাঁর নিজের দেখার সঙ্গে স্থানীয় লোককথা মিশিয়ে পাঠকের সামনে উপস্থাপনা করেছেন এক-একটি আশ্চর্য প্রবন্ধ। আর এই বইটি যাঁর নিবিড় তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত হয়েছে, সেই মণিরত্ন মুখোপাধ্যায় লিখেছেন একটি মূল্যবান ভূমিকা।

    জয়ন্তী অধিকারীর আকস্মিক প্রয়াণে খুবই ভেঙে পড়েছিলেন মণিরত্নদা। কিন্তু তিনি কি স্বপ্নেও আন্দাজ করেছিলেন মাত্র কিছুদিনের মধ্যে তিনিও ছেড়ে চলে যাবেন তাঁর পার্থিব বসবাস !

    তখনই মনে হয় আমাদের পৃথিবীটা এরকমই। কখন কাকে নিয়ে নেবে তা কেউ জানে না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শ্যামল অধিকারী | 2401:4900:1f34:5608:44ae:7c9a:68b:96f | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৩৫498084
  • বইটির মোড়ক উন্মোচন হলো আপনার উপস্থিতি  তে --এটা 
    গর্বের। তারপর জীবনের লাস্ট সিগনেচার করে জয়ন্তী অধিকারী বইটি তুলে দিলেন আপনার হাতে...তারপর চলে গেলেন সব কিছু ত্যাগ করে।
    বলতেন- সাহিত্যই জীবন, প্রথম ভালোবাসা - সাহিত্য। একমাত্র বই এর জন্যই অমরত্ব তাচ্ছিল্য করা যায়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন